কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা থেকে এক ভারতীয় তরুণকে আটক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে ১০০ বোতল ফেনসিডিল ও একটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি অবৈধভাবে বাংলাদেশে মাদকসহ প্রবেশ করেছিলেন।
আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ১০ বিজিবি, কুমিল্লার অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ইফতেখার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটক ভারতীয় তরুণের নাম মেহেদী হাসান (১৮)। তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়া থানার এনসি নগর গ্রামের মো. স্বপন মিয়ার ছেলে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ইফতেখার হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) অধীন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার গোলাবাড়ি পোস্টের টহলদল মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বিজিবির টহলদল সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কেরানীনগর নামক স্থান হতে ওই ভারতীয় নাগরিককে আটক করে। মাদকসহ অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনায় ওই তরুণের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সুশৃঙ্খল সুরক্ষিত মহাসড়ক - এ লক্ষ্যকে নিয়ে দিনরাত কাজ করে যায় হাইওয়ে পুলিশ কারণ মূল উদ্দেশ্য থাকে একটাই দিনশেষে সুরক্ষার সাথে বাড়ি ফেরার নিশ্চয়তা সুনিশ্চিতকরণ ।
শনিবার (২০ এপ্রিল ২০২৪) সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের নেতৃত্বে কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক কুমিল্লা রিজিয়নের ২২টি হাইওয়ে থানা পুলিশের বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা এবং স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার সহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় ।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজির নেতৃত্বে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সংশ্লিষ্ট সার্কেল সহ সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, সাব-ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট সহ সকল পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্স মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বডি ওয়ার্ন ক্যামেরায় সজ্জিত হয়ে সারাক্ষণ লাইভ স্ট্রিমিংয়ে থেকে চেকপোস্ট ডিউটি, অভিযান পরিচালনা ও স্পিড গান ব্যবহার করাসহ আজ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘন কারী গাড়ির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় গাড়ি আটক ও গ্রেফতার করা হয়।
আজকের এই বিশেষ অভিযানের সময় কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে ফিটনেস বিহীন বাস, ফিটনেস বিহীন পণ্যবাহী ট্রাক সহ সকল ফিটনেস বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
শুধু তাই নয়, পণ্যবাহী গাড়িতে যাত্রী পরিবহন করার অপরাধেও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
পাশাপাশি মহাসড়কে অবৈধভাবে এবং ঝুঁকিপূর্ণভাবে থ্রি হুইলার চালানোর অপরাধে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৪৩টি থ্রি হুইলার আটক, ফিটনেস বিহীন ১টি পিকআপ আটক, দুর্ঘটনায় জড়িত ১টি সাউদিয়া বাস আটক ও গাড়ি ১ ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ছাড়াও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘনের অপরাধে বিভিন্ন ধারায় মোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দেওয়া হয় এবং একই সাথে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৬৬ ধারায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত মোটরযান ও গণপরিবহন চালানোর অপরাধে ২৮টি, ৭৫ ধারায় ফিটনেস সনদ ব্যতীত বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ফিটনেস সনদ ব্যবহার করে মোটরযান চালানোর অপরাধে ০৬টি, ৮৭ ধারায় নির্ধারিত গতিসীমার অতিরিক্ত গতিতে মোটরযান চালানো বা স্পীড ডিটেক্টরের সাহায্যে মোটরযানের গতি চিহ্নিত অপরাধে ৫৯টি, ৮৯(১) ধারায় কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী মোটরযান নিষিদ্ধ হর্ণ স্থাপন/ব্যবহার ইত্যাদির অপরাধে ০৭টি, ৮৯(২) ধারায় ঝুঁকিপূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষিত মহাসড়কের চলাচলের অনুপোযোগী যান চালনা ইত্যাদির অপরাধে ৫১টি, ৯২(১) ধারায় মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশাবলী সংক্রান্ত (১ম অংশ) অপরাধে ২০টি এবং ৯২(২) ধারায় (২য় অংশ) অপরাধে ০২টি সহ কুমিল্লা রিজিয়ন কর্তৃক বিভিন্ন অপরাধে সর্বমোট ১৭৩টি প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়।
হাইওয়ে পুলিশ প্রধান এবং বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো: শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কুমিল্লা রিজিয়ন জোরদার ভাবে স্পিড গান বা স্পিড ডিটেক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে ।
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে হাইওয়ে পুলিশের বডি ওয়ার্ণ ক্যামেরার মাধ্যমে লাইভ স্ট্রিমিংয়ে অভিযান সংক্রান্ত এ কার্যক্রম কুমিল্লা রিজিয়নে অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে ৮০ কি:মি গতিসীমার মধ্যেই যানবাহন সমূহ চালানোর নির্দেশনা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি সদা সর্বদা থাকবে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ এর । এসময় কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলম উল্টোদিকে গাড়ি চালানো এবং মহাসড়কে থ্রি হুইলার ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল অফিসার ইনচার্জদের নির্দেশ প্রদান করেন।
পাশাপাশি তিনি পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নের্তৃত্ব এবং সংশ্লিষ্ট সকল গাড়ির ড্রাইভারদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি পরিহার এবং ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকা গাড়ি গুলোকেই গতিসীমা মেনে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ করেন।
মন্তব্য করুন
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) কুমিল্লা প্রেসক্লাব সংলগ্ন সড়কে হেযবুত তওহীদ কুমিল্লা জেলা শাখার উদ্যোগে সংগঠনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ফিলিস্তিনে গণহত্যার বন্ধ করার দাবীতে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- হেযবুত তওহীদ চাঁদপুর জেলা সভাপতি মোঃ ওমর ফারুক,হেযবুত তওহীদ কুমিল্লা জেলা বাণিজ্য সম্পাদক তসলিমা মোবারক আজাদ, হেযবুত তওহীদ লাকসাম উপজেলা সভাপতি মোঃ ফয়সাল মোহাম্মদ,হেযবুত তওহীদ সদর উপজেলা সভাপতি সুজন আলী, হেযবুত তাওহীদ কুমিল্লা জেলা সদস্য ইয়াসিন আরাফাত সহ আরও অনেকে।
বক্তাগণ বলেন, ৭৫ বছরের হত্যাযজ্ঞের পরে এবার ইসরায়েল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এই ভূমিতে আর কোনো একজন মুসলমানকেও থাকতে দেওয়া হবে না। এ হৃদয়বিদারক, ন্যাক্কারজনক ও পৈশাচিক ঘটনার সাক্ষী সমগ্র বিশ্ব। এমন একটি পরিস্থিতিতেও গোটা মুসলিম বিশ্বের সরকারগুলো, বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা, জাতিসংঘ, ওআইসি, আরব লীগ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানগুলো নীরব। প্রতিবেশী আরব রাষ্ট্রগুলোও যেন চোখে ঠুলি পরে আছে। এই বিপর্যয় থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে, জাতির মধ্যে বিরাজিত সব ফেরকা, মাজহাব, দলাদলি এই মুহূর্ত থেকে বাদ দিয়ে আমাদেরকে আল্লাহর তওহীদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
মন্তব্য করুন
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর পৃথক অভিযানে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম
ও সদর দক্ষিন এলাকা হতে ইয়াবা ও গাঁজা সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।
৪ মে রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম
থানাধীন পূর্ব কাশিপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে মোঃ সুমন
মিয়া (২৮) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৫ কেজি গাঁজা
উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে
৪ মে রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন জগপুর (পশ্চিম পাড়া) এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা
করে। উক্ত অভিযানে আব্দুর রাজ্জাক (৪৮) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ
সময় আসামীর কাছ থেকে ৪২ পিস ইয়াবা ও ১২০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা
হলো, ১। মোঃ সুমন মিয়া (২৮) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার পূর্ব কাশিপুর গ্রামের
মোঃ আঃ মালেক এর ছেলে এবং ২। আব্দুর রাজ্জাক (৪৮) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিন মডেল থানার
জগপুর (পশ্চিম পাড়া) গ্রামের মৃত সরাফত আলী এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত
আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা
হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা ও ইয়াবা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী
ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা লাকসাম থানার আলোচিত ও ক্লুলেস
মো. শাহজাহান প্রকাশ সাইমন (১৭) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
গত ৩ সেপ্টেম্বর লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারের ভেতরে খাটের ওপর সাইমনের মৃতদেহ সাদা কাপড়ে মোড়ানো
অবস্থায় পাওয়া যায়। লাশের গলা কাটা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। মৃতদেহ থেকে পচা রক্ত
ও পানি বের হচ্ছিল।
পরে সাইমনের পিতা আবদুল হান্নান বাদী
হয়ে লাকসাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে কুমিল্লা পুলিশের একটি
বিশেষ দল সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থেকে প্রধান
আসামি আব্দুল ওয়াদুদ প্রকাশ মানিক (২৪) কে রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে
মানিকের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাইমনের অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার এবং অপর আসামি
মো. সানাউল্লাহ (২৪) কে লাকসাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে মানিক স্বীকার
করে, সানাউল্লাহর সাথে সাইমনের পূর্বের একটি মাদক সেবন নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল এবং সাইমন
সানাউল্লাহর মোবাইল নিয়ে যায়। এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে তারা সাইমনকে হত্যার পরিকল্পনা
করে। হত্যাকাণ্ডের দিন তারা সাইমনকে লাকসাম হাসপাতালের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে নিয়ে যায়,
সেখানে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মানিক কাঠের লাঠি দিয়ে সাইমনের মাথায় আঘাত করে এবং সানাউল্লাহ
ব্লেড দিয়ে তার গলা কাটে।
গ্রেফতার মানিক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পুলিশ এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ
অভিযানে ৪৯৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ।
শনিবার রাতে (০১ জুন ২০২৪ ইং)
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী
অভিযান পরিচালনা করে মোঃ ফারুক (৩২) ও মোঃ
ফাহিম (২১) নামক ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১, সিপিসি-২ ।
এ সময় আসামীদ্বয়ের হেফাজত হতে
৪৯৫ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়,
গ্রেফতারকৃত মোঃ ফারুক (৩২) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার ঘোষতল গ্রামের মৃত আব্দুর
রহমান এর ছেলে এবং মোঃ ফাহিম (২১) ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার খামারগাও গ্রামের
মোঃ চান মিয়া এর ছেলে।
গ্রেফতারকৃদের হতে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন
ধরে জব্দকৃত প্রাইভেটকার ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য
ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ, কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট
পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর ভূঁইয়া ট্রাক হোটেল এলাকায় সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে গাঁজা, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত যুবক হলেন সাতক্ষীরা জেলার গোনা গ্রামের মো. তুহিন হোসেন (২৭)। তার পিতা মো. রওশন আলী (৫৫)। জানা গেছে, তুহিন হোসেনের নামে পূর্বে কোনো মামলা ছিল না।
সেনা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম আর্মি ক্যাম্পের জেসিও সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মনজুরুল হকের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এতে ১.৫ কেজি গাঁজা, নগদ ১০ হাজার ৮৭০ টাকা এবং একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ট্রাক হোটেল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা রয়েছে। দূরপাল্লার ট্রাক চালক ও সহকারীরা এখানে খাবার খেতে এসে মাদক গ্রহণ করেন। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তারা গাড়ি চালানোয় সড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। এর আগেও এ এলাকায় একাধিকবার
অভিযান চালিয়ে মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অভিযান শেষে গ্রেপ্তারকৃত তুহিন হোসেনকে জব্দকৃত মালামালসহ চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেনা ও পুলিশ উভয়ই জানিয়েছে, মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৪৮ বোতল বিদেশী মদসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারী) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন কালির বাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে রবিউল হোসেন (৩২) ও মোঃ কবির হোসেন (৩৭) কে গ্রেফতার করে। এ সময় ৪৮ বোতল বিদেশী মদ ও ১ টি অটো মিশুক উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী রবিউল হোসেন কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার দিশাবন গ্রামের মোঃ ফজর আলী এর ছেলে এবং মোঃ কবির হোসেন কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার দিশাবন গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলাম এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য বিদেশী মদ সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা থেকে এক ভারতীয় তরুণকে আটক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে ১০০ বোতল ফেনসিডিল ও একটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি অবৈধভাবে বাংলাদেশে মাদকসহ প্রবেশ করেছিলেন।
আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ১০ বিজিবি, কুমিল্লার অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ইফতেখার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটক ভারতীয় তরুণের নাম মেহেদী হাসান (১৮)। তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়া থানার এনসি নগর গ্রামের মো. স্বপন মিয়ার ছেলে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ইফতেখার হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) অধীন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার গোলাবাড়ি পোস্টের টহলদল মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বিজিবির টহলদল সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কেরানীনগর নামক স্থান হতে ওই ভারতীয় নাগরিককে আটক করে। মাদকসহ অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনায় ওই তরুণের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মো: মিজানুর রহমান মিনু :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩০০ গ্রাম গাঁজা ও ১২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ মো: সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সোনা মিয়া (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত সাইফুল উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের ঝিকড্ডা পশ্চিম পাড়ার মৃত এন্তু মিয়ার ছেলে।
সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ত্রিনাথ সাহা।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন কনকাপৈত পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক মো: শরীফুর রহমান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক মো: জাকির হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স সহ রোববার বিকাল সাড়ে তিনটায় উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের ঝিকড্ডা পশ্চিম পাড়া এলাকায় সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সোনা মিয়ার বাড়ীতে তার টিনশেড বসতঘরে অভিযান চালিয়ে পেপারে মোড়ানো ৩০টি গাঁজার রোল (ওজন ৩০০ গ্রাম) ও নীল রঙের বায়ুনিরোধক পলিপ্যাকে সংরক্ষিত ১২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ত্রিনাথ সাহা বলেন, রোববার বিকালে থানা পুলিশের অভিযানে গাঁজা ও ইয়াবা সহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের শেষে সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় ঋণজনিত পারিবারিক কলহের জেরে বিষপানে মা ও মেয়ের আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৮ জুলাই) রাতে উপজেলার রামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ বাসা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতরা হলেন- জাহেদা আক্তার (৩৫) এবং তার কন্যা মিশু আক্তার (১৪)। তারা বুড়িচং উপজেলার রামপুর গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তারা ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার জয়নগর গ্রামের রাজমিস্ত্রী মীর হোসেনের স্ত্রী ও মেয়ে।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল হক জানান, ‘বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নেয়ার পর তা পরিশোধে অক্ষম হয়ে মীর হোসেন পরিবারসহ এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে যান। পরে বুড়িচংয়ের রামপুর গ্রামে আবুল খায়েরের বাড়িতে ভাড়া বসবাস শুরু করেন। চলমান আর্থিক সংকট ও দাম্পত্য কলহের জেরে সোমবার রাতে স্ত্রী ও কন্যা বিষপান করেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, ‘ঘটনার পরপরই মীর হোসেন পালিয়ে যান। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।’
ওসি বলেন, ‘ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। একইসঙ্গে ঘটনার পেছনে অন্য কোনো রহস্য রয়েছে কি না, সেটিও আমরা তদন্ত করে দেখছি।’
বাড়ির মালিক আবুল খায়ের জানান, গত ১২ জুলাই রাজমিস্ত্রি মীর হোসেন বাসা ভাড়া নেয়। আজ ভোরে হঠাৎ সে বাসা থেকে লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘরে গিয়ে দেখা যায় মা ও মেয়ের মরদেহ পড়ে আছে।
মন্তব্য করুন