

কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা থেকে এক ভারতীয় তরুণকে আটক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে ১০০ বোতল ফেনসিডিল ও একটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি অবৈধভাবে বাংলাদেশে মাদকসহ প্রবেশ করেছিলেন।
আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ১০ বিজিবি, কুমিল্লার অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ইফতেখার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটক ভারতীয় তরুণের নাম মেহেদী হাসান (১৮)। তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়া থানার এনসি নগর গ্রামের মো. স্বপন মিয়ার ছেলে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ইফতেখার হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) অধীন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার গোলাবাড়ি পোস্টের টহলদল মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বিজিবির টহলদল সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কেরানীনগর নামক স্থান হতে ওই ভারতীয় নাগরিককে আটক করে। মাদকসহ অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনায় ওই তরুণের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী সীমান্ত
এক্সপ্রেস ট্রেনে মা-মেয়েকে জুস খাইয়ে অচেতন করেন এক অজ্ঞান পার্টির সদস্য। তাদের কানের
দুল ও নাকের ফুল খুলে নেওয়ার সময় পাশের এক যাত্রী বিষয়টি আঁচ করতে পারেন। পরে সেই সদস্যকে
আটক করে তার ব্যাগে থাকা জুস পান করানো হলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনিও।
আজ শনিবার (৩০ আগস্ট) ভোরে বিরামপুর-সৈয়দপুর
রেলপথে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ফুল মিয়া (৫৫) রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার আব্দুল্লাপুর
এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী যাত্রী দুজন ঠাকুরগাঁওয়ের
পীরগঞ্জ উপজেলার করনাই গ্রামের কৌশিলা রায় (৫০) ও তার মেয়ে বীথি রানী (২৮)।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশ জানায়, বিরামপুর
থেকে ট্রেনে ওঠেন কৌশিলা ও তার মেয়ে। তাদের পাশের আসনে ছিলেন ফুল মিয়া। আলাপের একপর্যায়ে
তিনি জুস খেতে দেন মা-মেয়েকে। জুস খাওয়ার পরপরই তারা অচেতন হয়ে পড়েন। এ সময় তাদের অলংকার
খুলে নেন তিনি। পাশের আসনের যাত্রী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বিষয়টি
বুঝতে পেরে ফুল মিয়াকে আটক করেন। অভিযোগ অস্বীকার করলে যাত্রীরা তাকে তার ব্যাগে থাকা
জুস পান করান। কিছুক্ষণ পর ফুল মিয়া নিজেও অচেতন হয়ে পড়েন। পরে ট্রেনে দায়িত্বরত পুলিশকে
খবর দেওয়া হলে রেলওয়ে পুলিশ ভুক্তভোগী মা-মেয়েসহ ফুল মিয়াকে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে
ভর্তি করে।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা মাহমুদ-উন নবী বলেন, ভুক্তভোগী ও আসামির জ্ঞান এখনো পুরোপুরি ফেরেনি। ভুক্তভোগীর
ছেলে রবীন্দ্র নাথ রায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ফুল মিয়ার নামে দেশের বিভিন্ন রেলওয়ে
থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি ও প্রত্নতত্ত্ব
বিভাগের যৌথ উদ্যোগে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৬ মে) সকাল ১০ টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সম্মেলন শুরু হয়। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের হল রুমে দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান চলবে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য
অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর
ড. মোহাম্মদ সোলায়মান। আরও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব
উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুরমা জাকারিয়া চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম।
সম্মেলনে উপস্থিত গুণী ও পণ্ডিত ব্যক্তিদের স্বাগত জানিয়ে প্রধান অতিথির
বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কেবল শিক্ষাদানের
জায়গা নয়। এখানে দুটি কাজ হয়, একটি জ্ঞান সৃষ্টি, আরেকটি জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়া। আজকের
আয়োজন জ্ঞান সৃষ্টি ও ছড়িয়ে দেওয়া। এর মাধ্যমে উপকৃত হবে আমাদের ছাত্র ও উপস্থিত সকলেই।
তিনি আরও বলেন, প্রত্নতত্ত্ব কেবলমাত্র অতীতের উপাত্ত সংগ্রহের একটি
পন্থা নয়, বরং এটি আমাদের সভ্যতার ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সামাজিক বিকাশের এক অমূল্য
দৃষ্টান্ত। আমাদের দেশের সমৃদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যকে চিহ্নিত করা এবং তা বিশ্বমঞ্চে
তুলে ধরা আমাদের সকলের একান্ত দায়িত্ব।
ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, পুরনোকে নতুনভাবে উপস্থাপন
না করে, পুরনোকে পুরনোভাবে রেখে ইতিহাসকে খোঁজা, সহযাত্রী হওয়া, শিক্ষা নেওয়া, উপস্থাপন
করা, লালন করা এবং আত্মস্থ করা প্রত্নতত্ত্বের জ্ঞান। আমরা ছাত্রজীবনে এই পাঠগুলো পাইনি,
যার ফলে একটা বড় গোষ্ঠী এগুলো নিয়ে সচেতন নয়। আমরা জাতি হিসাবে পিছিয়ে আছি, কেননা আমাদের
এই জিনিসগুলো নিয়ে আমরা সচেতন নই।
তিনি আরও বলেন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক যুগ পূর্তিতে এই আয়োজন আন্তর্জাতিক
মানসম্পন্ন জ্ঞান বিনিময় প্লাটফর্ম তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে শুধু
গবেষণার গুণগত মানই বৃদ্ধি পাবে না, বরং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে দেশি এবং বিদেশি
গবেষকদের আন্তঃসম্পর্ক তৈরি করবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম বলেন, আমার কাছে মনে হয়,
ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে কষ্টিপাথরে যাচাই করা জ্ঞান সৃষ্টি করে প্রত্নতত্ত্ব। আমরা
যদি ইতিহাসকে বিভিন্ন লেয়ারে ভাগ করি, প্রাচীণ, মধ্য, আধুনিক, তাহলে ফাউন্ডেশন লেয়ারে
আমরা প্রত্নতত্ত্বকে পাবো।
তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশে ময়নামতি সংক্রান্ত বিষয় জানতে পারার জন্য ময়নামতির
কাছে এসে এই সম্মেলন হওয়ায় আমরা কৃতার্থ। এই যে
ল্যান্ড অফ ভ্যারাইটিজ যেখানে বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিষয় আছে, সেখানে আসতে পেরে
আমরা আসলেই গর্বিত।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী অধ্যাপক মুতাসিম বিল্লাহ এবং অনুষ্ঠানে
স্বাগত বক্ত্য রাখেন বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুরমা জাকারিয়া
চৌধুরী।
উল্লেখ্য, সম্মেলনে দেশি-বিদেশি শিক্ষক, প্রত্ন-গবেষক ও শিক্ষার্থীদের
শতাধিক প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে ও জেলা ক্রীড়া
সংস্থার সহযোগীতায় মাস ব্যাপী ডেভেলপমেন্ট
কাপ অনূর্ধ্ব ১৫ (বালক) ফুটবল
প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার
(২৫ জানুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ
দত্ত স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন
করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার
সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন।
জেলা
ক্রীড়া অফিসার নাজিম উদ্দিন ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের
সাধারণ সম্পাদক বাদল খন্দকার, জেলা
ফুটবল এসসোয়িশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাহের চৌধুরী সেন্টু ও জেলা ফুটবল
এসোসিয়েশনের সদস্য সারোয়ার জাহান।
প্রশিক্ষক হিসেবে রয়েছেন জেলা ফুটবল দলের কোচ সুজিত হালদার ও মাহাবুবুল আলম তুহিন। মাসব্যাপী প্রশিক্ষণের জন্য ৩০ জন খেলোয়াড়কে বাছাই করা হয়।
মন্তব্য করুন


ডিএনসি-কুমিল্লার মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে
মাদকের গডফাদার মো: ছালাউদ্দিন আইয়ুবীকে ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার
উপ- পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এঁর সার্বিক তত্বাবধানে ও পরিদর্শক মো: শরিফুল ইসলাম
এঁর নেতৃত্বে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ২৩ বি- ব্যাটালিয়নের মেজর মাহিন এঁর সার্বিক
সহযোগিতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানে ডিএনসি
কুমিল্লা ও ২৮ জন সেনা সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
বুধবার সকাল ৭টা দিকে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন
উত্তর বাবুর্চি সৈয়দপুর গ্রামে আসামীর নিজ বাড়ি তল্লাশি করে ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক করা
হয় তাকে।
আটককৃত আসামী মো: নুরুল আমিন এর ছেলে।
আসামীর বিরুদ্ধে পরিদর্শক মো: শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৭৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল (৫ ফেব্রুয়ারী) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন চান্দুল এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ সোহেল রানা (২৪) নামক ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৭৫ বোতল ফেন্সিডিল ও একটি ব্যাটারীচালিত অটো টমটম উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সোহেল রানা (২৪) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন যগুপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের আলী আজম এর ছেলে।
র্যাব জানা, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক দ্রব্য ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে সিএনজি চালক রাসেলকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।
২১ এপ্রিল রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম শুভপুর গ্রামের মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন প্রঃ ইয়াজ উদ্দিন প্রঃ সালাউদ্দিন (২৩) ও একই জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার গান্দাচী গ্রামের আনা মিয়ার ছেলে অলি উল্লাহ প্রঃ অলি (৩০)।
মামলার বিবরণে জানাযায়- ২০১৯ সালের ১৮ জুন আসামীরা পরষ্পর যোগসাজশে হত্যাকাণ্ডের শিকার সিএনজি চালক রাসেল এর সিএনজি গাড়ীটি রিজার্ভ ভাড়া করে মুন্সিরহাট টু বাঙ্গড্ডা বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু রাসেল রাতে বাড়ীতে ফিরে না আসায় তাঁর স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করার একপর্যায়ে আসামি একরামুল হক পাগলা মোবাইল করে বলে যে, সিএনজিসহ রাসেলকে অজ্ঞাত স্থানে আটক আছে। তাঁকে ছাড়াইতে হলে এক লক্ষ টাকা লাগবে। আরও বলেন এবিষয়ে কাউকে কিছু বলা যাবেনা। তখন বাদী নিরুপায় হতে অনেক কষ্টে ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে একরামুল হক পাগলার বিকাশ নম্বরে পাঠায়। কিন্তু কুমিল্লা রাজাপাড়া মোড়ে রাসেলকে ইয়াবা ট্যাবলেট খাওয়ার কথা বলে বিমানবন্দর এলাকায় জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে আসামি অলি উল্লাহ প্রঃ অলি প্যান্টের বেল্ট খুলে গলায় পেচিয়ে মাটিতে পেলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং কাঁদা মাটি দিয়ে ঢেকে লাশ গুম করে রাখে। পরে তাদের দেখানো মতে পুলিশ রাসেল এর মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। এ ব্যাপারে ভিকটিম রাসেল এর বাবা কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীন (৫৫) বাদী হয়ে একই গ্রামের একরামুল হক পাগলার ছেলে মোঃ শাহীন (২৩), মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন (২১) ও টুংকু মিয়া (১৯) ও একরামুল হক পাগলা (৪৫) সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জনকে আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করিলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ হারুনুর রশিদ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি টুংকু মিয়া, গিয়াসউদ্দিন, মোঃ শাহীন ও একরামুলকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করিলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তৎপর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ হারুনুর রশিদ, এসআই সুজন কুমার মজুমদার ও এসআই মিন্টু দত্ত দুটি চার্জশীট দাখিল করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ২৫ জুন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে গিয়াসউদ্দিন ও মহিউদ্দিন @ টুংকু ও মৃত ওসমান আলীর ছেলে একরামুল হক পাগলা ও নাঙ্গলকোট উপজেলার গান্দাচী গ্রামের আনা মিয়ার ছেলে অলি উল্লাহ প্রঃ অলি'র বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ১৪৩, ৩৬৪, ৩৮৫, ৩৮৬, ৩৭৯, ৫০৬, ৩০২, ২০১, ৪১১, ১০৯ ও ৩৪ ধারা বিধানমতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর গ্রামের একরামুল হক পাগলার ছেলে মোঃ শাহীন মিয়া (১৭) ও ভিকটিম রাসেলের বড়ভাইয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী আসমা আক্তার সাথী'র বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় সম্পূরক দোষীপত্র দাখিল করেন। তৎপর মামলাটি বিচারে আসিলে ২০১৯ সালের ১২ জুন আসামি গিয়াসউদ্দিন, মহিউদ্দিন @ টুংকু, একরামুল হক পাগলা ও অলি উল্লাহ প্রঃ অলি'র বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ গঠনক্রমে রাষ্ট্রপক্ষে ১৩জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামী দ্বয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি গিয়াসউদ্দিন ও পলাতক আসামী অলি উল্লাহ প্রঃ অলিকে মৃত্যুদণ্ড এবং একই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত। আসামি মহিউদ্দিন প্রঃ টুংকু'র বিরুদ্ধে রাষ্টপক্ষে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন এবং আসামি একরামুল হক পাগলা মামলা চলাকালীন সময়ে মৃত্যু বরণ করিয়াছেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ গিয়াসউদ্দিন আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন এবং অপর আসামি অলি উল্লাহ প্রঃ অলি আদালত কাঠগড়ায় অনুপস্থিত ছিলেন।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী অতিঃ পিপি এডভোকেট মোঃ মুজিবুর রহমান বাহার বলেন- আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করবেন।
অপরদিকে, আসামি পক্ষে নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী বলেন- এ রায়ে আসামিপক্ষ অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ। রায়ের কপি হাতে পেলে শীঘ্রই উচ্চ আদালতে আপীল করবো।
মন্তব্য করুন


ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় ২
জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১৫ জুন) সকাল সোয়া ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী এলাকায়। কুমিল্লা ময়নামতি হাইওয়ে থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, লিচুবাহী একটি
ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন থেকে একটা কাভার্ডভ্যানকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলে
মারা যান ট্রাকে থাকা ২ জন।
কুমিল্লা ময়নামতি হাইওয়ে থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, চট্টগ্রামমুখী লিচুবাহী ট্রাকটি বেপরোয়া গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা একটি কাভার্ডভ্যানকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়।
এতে কাভার্ডভ্যান ও লিচুবাহী ট্রাকটি রাস্তার পাশে পড়ে
যায়। এই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান ট্রাকের ভেতরে থাকা দুইজন। প্রাথমিকভাবে এখনও
শনাক্ত করা যায়নি তাদের পরিচয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নিহত দুইজন হলো: ট্রাকের চালক
ও চালকের সহযোগী।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ফুটপাত ও সড়ক দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন।
আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) কুমিল্লা পদুয়া বাজার (বিশ্বরোড) এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: আমিরুল কায়সারের নির্দেশে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া খানমের তত্ত্বাবধানে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
এতে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সজীব তালুকদার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার জাহান।
জানা গেছে, কুমিল্লা নগরীর সকল ফুটপাত ও সড়ক দখলমুক্ত করতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে পদুয়া বাজার বিশ্বরোডে ওভারব্রিজের চারপাশের ফুটপাত ও সড়কে গড়ে ওঠা প্রায় ১০০টি অবৈধ দোকান ও বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার উচ্ছেদ করে সড়কটি দখলমুক্ত করা হয়।
এ সময় উচ্ছেদ অভিযানে সহায়তা করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন, সাংবাদিকবৃন্দ, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী এবং বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর সদস্যরা।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই)
পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে কুমিল্লার রসমালাই। ২০২৪ সালে কুমিল্লার রসমালাই সহ মোট চারটি
পণ্য জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। পণ্যগুলো হলো টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম,কুমিল্লার
রসমালাই, বাংলাদেশ ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল এবং কুষ্টিয়ার তিলের খাজা।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় কুমিল্লার রসমালাই জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করেন। এসময় তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কজ বড়ুয়াসহ জেষ্ঠ্য সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে জিআই সনদ প্রদর্শন করেন।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু:
মুশফিকুর রহমান বলেন, কুমিল্লার ইতিহাস ঐতিহ্যের ভাণ্ডার অনেক প্রাচীন। কুমিল্লার রসমালাই
জিআই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মধ্যদিয়ে এটির বৈশ্বিক স্বীকৃতি মিলেছে। এই স্বীকৃতির
মাধ্যমে পণ্যটির বাণিজ্যিকীকরণের সুবিধা বাড়লো। এই রসমালাই এখন দেশের বাইরেও রপ্তানি
করা যাবে। আমরা কুমিল্লার খাদি, বিজয়পুরের মৃৎশিল্প নিয়ে জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদনের
জন্য কাজ শুরু করবো। এছাড়াও কুমিল্লার বরুড়ার লতি, হোমনার শ্রীমদ্দির বাঁশি নিয়েও
পরবর্তীতে এগিয়ে যাবো।
কুমিল্লার রসমালাইয়ের জিআই স্বীকৃতি প্রাপ্তিতে অনির্বাণ সেনগুপ্ত কুমিল্লা জেলা প্রশাসনসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা সীমান্ত এলাকায় বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানি পণ্য আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ২১ লাখ টাকার অবৈধ পণ্য।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) সূত্রে জানা গেছে, ১৮ থেকে ১৯ জুলাই ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শিবেরবাজার ও আমানগন্ডা সীমান্তে পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করে তারা এসব পণ্য আটক করে।
বিজিবি থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সীমান্ত এলাকা থেকে এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজিবির বিশেষ টহলদল চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে কোনো মালিকানা ছাড়া পড়ে থাকা অবস্থায় ২০২ কেজি গাঁজা, ১ হাজার ৫৫৫ বোতল ফেনসিডিল, ৭২ বোতল বিদেশি মদ, ২০২ বোতল ইস্কফ সিরাপ, ৪৮ বোতল বিয়ার, ৫০০টি স্কিন সাইন ক্রিম এবং ২০ হাজার ৭৭৬ পিস অবৈধ ভারতীয় বাজি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত এসব মাদকদ্রব্য ও পণ্যের বাজারমূল্য আনুমানিক ২১ লাখ ২০ হাজার ৩২০ টাকা।
বিজিবি জানিয়েছে, আটককৃত মালামাল নিয়ম অনুযায়ী কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে তাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন