

র্যাব-১১ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা কুমিল্লা এর যৌথ অভিযানে
কুমিল্লায় ১৮৫ বোতল ফেনসিডিল, ৪ কেজি গাঁজা
ও ২ বোতল বিদেশী মদসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
১০ এপ্রিল রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২, কুমিল্লা ও জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লার যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন আলেখারচর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান
পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে মোঃ আব্দুর রহিম (২৭) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১৮৫ বোতল ফেন্সিডিল, ৪ কেজি গাঁজা, ২ বোতল বিদেশী মদ ও
মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ আব্দুর রহিম (২৭) নোয়াখালী জেলার চরজব্বার থানার চর ওয়াবদা গ্রামের মিজান উদ্দিন
এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল, গাঁজা ও বিদেশী মদ সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছিল। র্যাব-১১ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লা এর ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লা এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতে ইসলামী এক বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০মার্চ) দুপুর ২টায় কুমিল্লা নগরীর টাউন হলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে নেতৃত্ব দেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মো. মোছলেহ উদ্দিন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক এ কে এমদাদুল হক মামুন, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মো. মাহবুবুর রহমান এবং সহকারী সেক্রেটারি কামারুজ্জামান সোহেল, মোশারফ হোসাইন ও নাসির আহমেদ মোল্লা।
এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাসান আহমেদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি ইউসুফ ইসলাম, মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য কাজী মোতাহের আলী দিলাল, কাজী নজির আহমেদ, মোহাম্মদ হোসাইন, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সবুজ ও শাহাদাত হোসাইনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা যুদ্ধবিরতির পরও ফিলিস্তিনের নিরীহ জনগণের ওপর ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে এ হামলা বন্ধের দাবি করেন। তারা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার তিন উপজেলা থেকে একদিনে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেলের মধ্যে জেলার লাকসাম, লালমাই ও আদর্শ সদর উপজেলা থেকে এই মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন যুবক ও ১ জন মাদরাসাছাত্র বলে জানা গেছে।
আদর্শ সদর উপজেলার ছত্রখিল পুলিশ ফাঁড়ি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুরে উপজেলার দুতিয়ার দিঘিরপাড় থেকে সামিউল বাসির (১১) নামে এক মাদরাসাছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সামিউল সদর দক্ষিণ উপজেলার আবু ইউসুফের ছেলে এবং দিঘিরপাড় এলাকার গাউছিয়া হাফেজিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় লেখাপড়া করতেন।
সামিউলের স্বজনরা জানান, ২৭ অক্টোবর দুপুরের পর থেকে তারা সামিউলের খোঁজ পাচ্ছিলেন না। এ নিয়ে আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। ছত্রখিল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক “মো. মমিরুল হক” বলেন, বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে সামিউলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, লাকসাম পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গাজীমুড়া উত্তরপাড়ায় নিখোঁজের ৩ দিন পর সাব্বির হোসেন (২২) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকালে গাজীমুড়া বড় মসজিদের পাশের একটি পরিত্যক্ত আইসক্রিম কারখানার ভেতর থেকে দুর্গন্ধ আসছিল। আশপাশের লোকজন গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানার ভেতরে সাব্বিরের মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেন। নিহত সাব্বির ওই এলাকার সৈয়দ আহমেদের ছেলে।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) “নাজনীন সুলতানা” বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে, সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের হরিশ্চর এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
লাকসাম রেলওয়ে থানার (ওসি) “মো. জসিম উদ্দিন” বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ভোররাতের পর কোনো একসময় চট্টগ্রামগামী ট্রেনের ধাক্কায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শরীর ও মাথায় গুরুতর জখমের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলায় সংসারের খরচ চাওয়ায় মাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাতে উপজেলার সাতানি ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মঞ্জুরা বেগম (৬৫) ওই গ্রামের শান্তি মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শান্তি মিয়ার দুই ছেলে তিন মেয়ে। ছোট ছেলে প্রবাসী বাবুল মিয়া বাহরাইনে থাকেন। আর বড় ছেলে নবীর হোসেন স্থানীয় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। শান্তি মিয়ার বয়স হয়েছে, উপার্জন করতে পারেন না। সাংসারিক খরচের জন্য তাকিয়ে থাকেন দুই ছেলের দিকে। ছোট ছেলে প্রবাস থেকে মাস শেষে টাকা পাঠালেও বড় ছেলে খুব একটা সংসার খরচ দেন না। এতে করে কয়েকদিন পর পরই বড় ছেলে নবীর হোসেনের সঙ্গে তার বাবা মায়ের ঝগড়া লাগতো। এর আগেও কয়েকবার সাংসারিক খরচ নিয়ে নবীর হোসেনের সঙ্গে তার মায়ের কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয়রা বসে সমস্যার সমাধান করেন।
মঙ্গলবার রাতে সংসারের খরচ চাওয়ায় নবীর হোসেন তার মাকে গালিগালাজ করেন। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে চেয়ার দিয়ে মাকে মারধর করতে শুরু করেন। এই সময় তার বাবা শান্তি মিয়া বাধা দিলে তাকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে মা মঞ্জুরা বেগমকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে মা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তিতাস উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাতেই ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে সকালে পুলিশ এসে মঞ্জুরা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
কুমিল্লা তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃষ্ণ কান্তি দাস বলেন, সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন আমরা পাইনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মূল ঘটনা জানা যাবে। আমরা এই বিষয়ে তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায়
জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে ও জেলা ক্রীড়া
সংস্থার সহযোগীতায় মাস ব্যাপী ডেভেলপমেন্ট
কাপ অনূর্ধ্ব ১৫ (বালক) ফুটবল
প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার
(২৫ জানুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ
দত্ত স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন
করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার
সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন।
জেলা
ক্রীড়া অফিসার নাজিম উদ্দিন ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের
সাধারণ সম্পাদক বাদল খন্দকার, জেলা
ফুটবল এসসোয়িশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাহের চৌধুরী সেন্টু ও জেলা ফুটবল
এসোসিয়েশনের সদস্য সারোয়ার জাহান।
প্রশিক্ষক হিসেবে রয়েছেন জেলা ফুটবল দলের কোচ সুজিত হালদার ও মাহাবুবুল আলম তুহিন। মাসব্যাপী প্রশিক্ষণের জন্য ৩০ জন খেলোয়াড়কে বাছাই করা হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত বিশেষ অভিযানে ২৪ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় মাদক ট্যাপেন ট্যাডল ট্যাবলেট আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ গোলাবাড়ী পোষ্টের টহলদল সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক ও চোরাচালানবিরোধী অভিযান চালায়। অভিযানে সীমান্ত পিলার ২০৮১/৮-এস থেকে ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কেরানীনগর এলাকায় চোরাচালানকৃত মাদকদ্রব্যগুলো জব্দ করা হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, আটককৃত মাদকদ্রব্যের সংখ্যা ২,৪০০ পিস এবং বাজারমূল্য প্রায় ২৪ লাখ টাকা। এগুলো সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাপথে বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হচ্ছিল।
উল্লেখ্য, বিজিবি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও চোরাচালানবিরোধী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে, যা সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আটককৃত মাদকদ্রব্য আইনানুগ প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার
চাঞ্চল্যকর ৩য় শ্রেণীর পড়ুয়া ৮ বছরের শিশু ধর্ষণ এর ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী মাওলানা
নাছির পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গত ৪ জুলাই
কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন খালিশা এলাকায় ৮ বছরের এক মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশুকে
ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ভিকটিমের মা বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দিাদ থানায় নারী ও
শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণের ঘটনাটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রচারিত হলে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। উক্ত
ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১১ ও র্যাব-১০
এর যৌথ অভিযানে গত ১১ জুলাই রাতে ঢাকা জেলার হাজারীবাগ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা
করে ধর্ষক মাওলানা নাছির পাটোয়ারী কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো- কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন খালিশা এলাকার মৃত আব্দুস সামাদ পাটোয়ারীর
ছেলে মাওলানা নাছির পাটোয়ারী (৪২)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে
গ্রেফতারকৃত আসামী ধর্ষণের ঘটনার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
স্থানীয় সূত্রে
জানা যায়, ভিকটিমের পিতা মালেশিয়া প্রবাসী এবং তার মা একজন গৃহিনী। ভিকটিম এবং তার
ভাই স্থানীয় খালিশা মোহাম্মাদিয়া মিসবাউল উলুম মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যায়নরত
রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী মাওলানা নাছির পাটোয়ারী উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালক।
প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিন গত ৪ জুলাই ২০২৪ইং তারিখে ভিকটিম ও তার ভাই মাদ্রাসায় যায়।
ঘটনার দিন প্রবল বর্ষণের কারণে মাদ্রাসার অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী অনুপস্থিত ছিল। গ্রেফতারকৃত
আসামী নাছির পরিবারসহ মাদ্রাসার পিছনের একটি বাড়িতে বসবাস করতো এবং ঘটনার দিন আসামীর
পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে অনুপস্থিত ছিল। মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রীদের কম উপস্থিতি এবং
গ্রেফতারকৃত আসামীর পরিবারের অনুপস্থিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে আসামী নাছির মাদ্রাসার
পিছনে অবস্থিত তার বাসা ঝাড়ু দেয়ার জন্য ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে যায়। ভিকটিম বাসায় প্রবেশ
করলে গ্রেফতারকৃত আসামী তার বাসার দরজা লাগিয়ে দেয় এবং ভিকটিমকে তার খাটের উপর নিয়ে
ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের একপর্যায়ে ভিকটিম চিৎকার করলে
গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিমকে উক্ত ঘটনা গোপন রাখতে বলে এবং প্রকাশ করলে তাকে মেরে ফেলার
হুমকি দেয়। বাড়িতে আসার পর ভিকটিমের কান্নাকাটির কারণ ভিকটিমের পরিবার জানতে চাইলে
একপর্যায়ে ভিকটিম মাদ্রাসায় ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা বর্ণনা করে। ঘটনার পর গ্রেফতারকৃত
আসামী নিজ এলাকা ছেড়ে ঢাকায় পালিয়ে যায় এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে সেখানে
আত্মগোপন করে।
উক্ত বিষয়ে
গ্রেফতারকৃত আসামীকে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা মহানগরীর উদ্যোগে যাকাত শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(৬ মার্চ) বিকাল ৪ টায় নগরীর গোল্ডেন স্পুন অডিটরিয়ামে মহানগর জামায়াতের আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ড.আবরার আহমেদ।বিশেষ আলোচক হিসাবে আলোচনা করেন ড.মাসুদুল হক চৌধুরী,আড়াইবাড়ী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতী আমিনুল ইসলাম।
কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতে সেক্রেটারী মু.মাহবুবর রহমান এর সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন,মহানগর জামায়াতে নায়েবে আমীর যথাক্রমে মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন,অধ্যাপক এ কে এম এমদাদুল হক মামুন,মহানগর জামায়াতে কর্মপরিষদ সদস্য এড এয়াকুব আলী চৌধুরী,অধ্যাপক মজিবুর রহমান,কাজী নজীর আহম্মেদ,অধ্যাপক জাকির হোসেন,কাজী মোতাহের আলী দিলাল প্রমুখ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে হবে। আল্লাহতাআলার আইন দিয়ে দেশ না চললে কেউ সুখ শান্তি পাবে না। এখানে চুরি, হত্যা রাহাজানিসহ যতধরনের অপকর্ম চলতে থাকবে। ইসলাম মানেই সুবিচার, ইসলাম মানলেই সুবিচার হবে। ইসলাম যতদিন না থাকবে কোথাও সুবিচার কায়েম হবে না। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে ইসলাম কায়েমের মাধ্যমেই সমাজের সকল স্তরে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যারা আল্লাহর বিধান অনুযায়ী সমাজ, রাষ্ট্র ও বিচার বিভাগ চালাবে না তারা কাফের, ফাসেক ও জালেম।
সেমিনার সম্মিলিত সকলের অংশগ্রহণে ইফতার করার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কুমিল্লা মহানগর শাখার নতুন সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে মো. সিরাজুল হককে প্রধান সমন্বয়কারী এবং ইঞ্জিনিয়ার মো. রাশেদুল হাসানকে যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব শেখ আখতার হোসেন এবং দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এই কমিটির অনুমোদন দেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৬ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত (১৯ জুন) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন মিয়াবাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ শাহাদত হোসেন (২০) নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ শাহাদত হোসেন (২০) বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার হেরমা গ্রামের মৃত ইমরান হোসেন এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় উল্টো পথে আসা হানিফ পরিবহনের সেই বাসটিকে জব্দ করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে জেলার দেবিদ্বার উপজেলার খাদঘর মানামা হোটেলের সামনের মাঠ থেকে বাসটি জব্দ করা হয়।
ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, শুক্রবার দুর্ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাসটিকে শনাক্ত করা হয়। সিসিটিভিতে দেখা যাচ্ছিল, হানিফ পরিবহনের ঢাকা মেট্টো-ব-১২-২১৯৭ নম্বরের বাসটি উল্টো পথে চলাচল করার কারণেই সিমেন্ট বোঝাই কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারের ওপর উল্টে পড়ে, তারপর ওই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল।পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, বাসটি জব্দ হলেও চালক বা হেলপার কাউকে পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর বাসটিকে খাদঘর এলাকায় রেখে আত্মগোপনে চলে যান চালক এবং হেলপার। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
গত শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড ইউটার্নে সিমেন্টবোঝাই একটি কাভার্ড ভ্যান প্রাইভেট কারের ওপর আছড়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের চারজন নিহত হন।
নিহতরা হলেন, কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোহাম্মদ ওমর আলী (৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬৫), বড় ছেলে ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেম (৫০) ও ছোট ছেলে আবুল কাশেম (৪৫)। প্রাইভেট কারটি চালাচ্ছিলেন বড় ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল হাশেম। একই দুর্ঘটনায় লরির নিচে থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রীও আহত হন। আহতরা ঢাকা ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নিহত ওমর আলীর ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে সড়ক পরিবহন আইনে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা করেছেন। মামলায় কাভার্ড ভ্যান ও হানিফ পরিবহন বাসের অজ্ঞাতনামা চালকদের আসামি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন