কুমিল্লায় ৩৯০
বোতল ফেন্সিডিল’সহ
০১ জন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে
র্যাব-১১,
সিপিসি- ২
কুমিল্লা।
র্যাব জানায়, রোববার দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর বিশেষ অভিযানে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ মডেল থানার উত্তর রামপুর এলাকা থেকে ৩৯০ বোতল ফেন্সিডিলসহ মোঃ সেলিম (৩৭) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় ফেন্সিডিল পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী সেলিম (৩৭) চট্টগ্রাম জেলার ডাবলমুরিং থানার জিলানী কলোনী গ্রামের মকবুল আহমদ এর ছেলে।
র্যাব-১১,
সিপিসি-২,
কুমিল্লার
কোম্পানী
অধিনায়ক
উপ-পরিচালক
লেঃ
কমান্ডার
মাহমুদুল
হাসান
জানান,
গ্রেফতারকৃত
আসামী
দীর্ঘদিন
ধরে
কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী
এলাকা
হতে
মাদকদ্রব্য
ফেন্সিডিল
সংগ্রহ
করে
কাভার্ড
ভ্যান
যোগে
দেশের
বিভিন্ন
জেলায়
মাদক
ব্যবসায়ী
ও
মাদক
সেবীদের
নিকট
পাইকারি
ও
খুচরা
মূল্যে
বিক্রয়
করে
আসার
কথা
স্বীকার
করে।
তার
বিরুদ্ধে
সদর
দক্ষিণ
থানায়
আইনানুগ
ব্যবস্থা
গ্রহণ
করা
হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ২৪৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ
মডেল থানাধীন দয়াপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ সোহাগ (২৬)
এবং ২। মোঃ হাসান (২৬) নামক দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের
কাছ থেকে ২৪৪ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার
করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ সোহাগ (২৬)
কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার শ্রীপুর গ্রামের মোঃ মোসলেম মিয়া এর ছেলে এবং ২। মোঃ
হাসান (২৬) ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া থানার পূর্ব চন্দ্রপুর গ্রামের মোঃ ইয়াছিন এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কাভার্ড ভ্যান যোগে দেশের
বিভিন্ন জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে
আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা
করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় টাউন হল মাঠে অস্ত্র সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নগরীর টাউনহল মাঠের ভিতর পূর্ব পাশে
দেশীয় অস্ত্রের মহড়া প্রদর্শন করে, জনমনে আতংকিত করে ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি করে। উক্ত
সংবাদ কান্দিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আমিনুল উল্লাহ মোবাইল ফোনে জানালে
থানা এলাকায় ডিউটিরত মোবাইল-১ পার্টি এবং কান্দিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ
অফিসার ও ফোর্সসহ ৯ জানুয়ারী রাত ৪ টা ৪০ মিনিটে কোতয়ালী মডেল থানাধীন কান্দিরপাড়
সাকিনস্থ টাউন হল মাঠের ভিতর পূর্ব পার্শ্বে পৌছামাত্র আসামীগন পুলিশের উপস্থিতি টের
পেয়ে পালাইয়া যাওয়ার চেষ্টার সময় তাদেরকে আটক করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- ১। মোঃ শরীফ
(২০), পিতা-আব্দুর সামাদ, মাতা-মোসাঃ জোসনা বেগম, সাং-শাসনগাছা, ২। মোঃ ফরহাদ হোসেন
(২০), পিতা মৃত-দুলাল মিয়া, মাতা মৃত-রওশন আরা, সাং-রামপুর, ৩। জসিম উদ্দিন (২০),
পিতা-মোঃ সুরুজ মিয়া, মাতা- মোসাঃ খুরশিদা বেগম, সাং- নিশ্চিন্তপুর, ৪। মোঃ আকাশ
(২০), পিতা-কামাল হোসেন, মাতা- মোসাঃ রহিমা বেগম, সাং-অশোকতলা, ৫। মোঃ রবিউল (২১),
পিতা মৃত আব্দুল করিম, মাতা-আমেনা বেগম, সাং-অরন্যপুর, সর্ব থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা,
৬। মোঃ সবুজ আলী (২১), পিতা-রেসু মিয়া, সাং-ছালিয়াকান্দি, থানা-মুরাদনগর, জেলা-কুমিল্লা,
৭। মোঃ বাবু সওদাগর (২৫), পিতা মৃত-মহন সওদাগর, মাতা- মোসাঃ চায়না, সাং-মদন গোপাল
আঙ্গিনা, থানা-মধুপুর, জেলা-টাঙ্গাইল।
জব্দকৃত অস্ত্রগুলো হচ্ছে- ২ টি চাকু,
২ টি হাসুয়া,ষ্টীলের তৈরী মাথায় লোহার করাত, ১ টি কাচি, ৩টি মোবাইল ফোনের বেক কাভার,
মানিব্যাগ,১ টি রেঞ্জ, পেপার কাটার।
আসামীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায়
মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা নগরীতে হাতি দিয়ে বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজির সময় দুজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
এসময় দুটি হাতি উদ্ধার করে দেওয়া হয়েছে কোতোয়ালি থানায়। আটক হওয়া দুজনকে পুলিশের
কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী।
আটককৃতরা হলেন, মৌলভীবাজারের বড়লেখা
উপজেলার মৌলভীবাজার এলাকার মো: ইমরান ও মাদারীপুরের কালকিনি এলাকার চর ঠেংগামারার বাসিন্দা নাজমুল কাজী।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা মো: মাহিনুল ইসলাম জানান, আটক দুজনের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে তাদের নিজ এলাকায়
ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কারণ কুমিল্লা বন বিভাগের কাছে হাতি রাখার মতো কোনো পরিবেশ
নেই। তাই তাদের হাতি দুটি নিয়ে নিজ বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
জানা
যায়, আজ বুধবার বিকেলে কুমিল্লার আরবান ভলেন্টিয়ার্সদের সহযোগিতায় দুটি হাতি ও দুই
মাহুতকে নগরীর কাপ্তানবাজার এলাকা থেকে আটক করে সেনাবাহিনী।
মন্তব্য করুন
জাতীয়
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে বাজার
তদারকি অভিযান পরিচালনা করে চার প্রতিষ্ঠানকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ শনিবার সকাল ১১টা
থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই ও বিজয়পুর বাজারে
এ তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। অভিযানে ডিম, ব্রয়লার মুরগী, আলু, মরিচ, সবজিসহ
নিত্যপণ্যের ক্রয় ভাউচার দেখা হয় এবং বিক্রয়ের তথ্য যাচাই করা হয়। দৃশ্যমান স্থানে
পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শিত আছে কিনা দেখা হয়। অভিযানে ক্রয় ভাউচার দেখাতে
না পারা এবং দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা না রাখায় বিজয়পুর বাজারের ভাইয়ের বন্ধন
ভ্যারাইটিজ স্টোরকে ৩ হাজার টাকা, লোকনাথ স্টোরকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা
হয়। এছাড়াও মেয়াদহীন ঔষধ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করায় লালমাই বাজারের মোল্লা
ফার্মেসীকে ৮ হাজার টাকা এবং কাঁচা মাছ মাংসের সাথে বাসি গ্রিল সংরক্ষণ করায় একই
বাজারের বাংলা রেস্তোরাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং বাসি গ্রিল জব্দ করে
ধ্বংস করা হয়।
আজ ভোক্তা অধিকার বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মোট চার প্রতিষ্ঠানকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং অন্যদের সতর্ক করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাঠ ও বাজার পরিদর্শক এমদাদুল্লাহ এবং জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
মন্তব্য করুন
এমদাদুল হক সোহাগ, কুমিল্লা:
শীত শেষ হলেও সমস্যা কাটেনি লাইন গ্যাসের, মাসিক টাকা নিয়েও গ্যাস দিতে পারছেনা বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
গেলো এক যুগ ধরে শীত উঁকি দিলেই থাকেনি বাখরাবাদের গ্যাস, শীতের তীব্রতার সাথে বেড়েছে গ্যাস সঙ্কটও। এবছর এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি গ্যাস সরবরাহ। বাখরাবাদের দায়সারা এমন আচরণে ভূগান্তিতে পরেছেন গ্রাহকেরা। অস্থির বাজারমূল্যের সময় গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। বিশেষ করে ছোট বাচ্চা, বয়োবৃদ্ধ আছে এমন পরিবার, কর্মজীবী নারী, শ্রমিক ও অফিসগামী মানুষেরা বেশী ভূগান্তি পোহাচ্ছেন। আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারেরও সুযোগ নেই প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের। অথচ মাস শেষে বাখরাবাদ ঠিকই তাদের বিল আদায় করছেন।
কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স, পশ্চিম বাগিচাগাঁও, ঝাউতলা, পুলিশ লাইন, শুভপুর, চকবাজার এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। বাখরাবাদের এমন অবহেলায় ফুঁসে উঠেছে গ্রাহক জনসাধারণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ক্ষোভ করছেন অনেকে। বাখরাবাদ সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সীমাহীন দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা অতীতেও বিভিন্ন মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তাদের অঢেল সম্পদের সুষ্ঠু তদন্ত করে ইনকাম ট্যাক্স ও দুদকের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনারও দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা।
এনজিও কর্মী তাহরিমা ইসলাম জানান, তাঁর বাসা কুমিল্লা শহরতলীর ধর্মপুর। সেখানে প্রতিদিনই গ্যাসের সমস্যা হচ্ছে। এ সমস্যায় তাদের প্রত্যাহিক জীবন বিঘ্নিত হচ্ছে। মো: আফতাব আমিন জানান, তাঁর শ্বশুর বাড়ি কুমিল্লা নগরীর শুভপুর এলাকায় সেখানে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গ্যাস থাকেনা। তারা অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছেন।
কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক এম ফিরোজ মিয়া জানান, কুমিল্লা নগরীর পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকার ২২ নং ওয়ার্ডের প্রায় পাঁচটি মহল্লায় গ্যাস থাকেনা। সদর দক্ষিণ উপজেলার প্রায় ১৭ থেকে ১৮টি গ্রামে গ্যাস থাকেনা। প্রতিদিনই তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সমাজকর্মী রাইসুল ইসলামে সোহাগ জানান, কুমিল্লা নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ডের পাথুরিয়াপাড়া এলাকায় সকালে গ্যাস থাকেনা। পুরো শীত মৌসুমে এমন সমস্যা পোহাতে হয়েছে তাদের। শীত চলে গেছে অথচ রয়ে গেছে বাখরাবাদের গ্যাস সমস্যা।
ব্যবসায়ী মামুন আহম্মেদ জানান, কুমিল্লা নগরীর স্টেশনরোড এলাকার নিলয় সোসাইটিতে তাঁর বাসা। সেখানেও গ্যাসের সমস্যা করছে। নবাব ফয়জুন্নেছা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতা আজাদ সরকার লিটন জানান, কুমিল্লা নগরীর ১৬নং ওয়ার্ডের সংরাইশ পশ্চিমপাড়া চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় গ্যাসের তীব্র সঙ্কট রয়েছে। শীত মৌসুমে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গ্যাস থাকতো না। বর্তমানে সকাল হলেই গ্যাসের দেখা মেলেনা, দুপুর দুইটা তিনটার পর গ্যাস পাওয়া যায়। বিএনপি নেতা আতাউর রহমান ছুটি জানান, চকবাজারের আংশিক, সংরাইশ, জগন্নাথপুর এলাকায় গ্যাস সঙ্কট রয়েছে। রোটারেক্টর টিআই সাদেক জানান ৬নং ওয়ার্ড এলাকায় গ্যাসের সমস্যা রয়েছে। সোহেল মিয়া নামের একজন জানান নগরীর পশ্চিম বাগিচাগাঁও এলাকায় সকালে গ্যাস থাকেনা।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শম্পা জানান, সদর উপজেলার বাজগড্ডা, জগন্নাথপুর এলাকাতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গ্যাস থাকেনা। কলেজ শিক্ষিকা ফাহমিদা আক্তার জিনিয়া জানান, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে রান্না করে সেই রান্না টিফিনে করে কলেজে নিয়ে যান এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য রেখে যান। রান্নার মাঝে-ই গ্যাস চলে যায়। আমার বাসায় সিলিন্ডার গ্যাস নেই। কয়েক বছর ধরে সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এটা কেমন কথা, দিনের পর দিন বিল নিচ্ছে কিন্তু গ্রাহক সেবা দিচ্ছেনা। দেশে কি এসব দেখার লোক নেই? নাগরিক অধিকার বলে কি কিছু নেই? আমাদের প্রত্যাহিক জীবন যাত্রা ব্যহত হচ্ছে। পারিবারিক অশান্তি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পাঠদানওে প্রভাব পড়ছে। যারা সম্পদশালী বা দুর্নীতিবাজ তাদের বাসায় সিলিন্ডার রাখতে পারে কিন্তু আমরাতো চাইলেই পারিনা। আমার দাবি দ্রুত গ্যাসের ব্যবস্থা করা হউক, না হয় গ্যাস বিল অর্ধেক নিতে হবে।
বাখরাবাদ গ্যাসের ইঞ্জনিয়ারিং সার্ভিস বিভাগের (কুমিল্লা রিজিওন) উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী ছগীর আহমেদ এর কাছে গ্যাস সরবরাহ কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলএনজি আমদানি কম হওয়াতে এমনটি হচ্ছে। এটি জাতীয় সমস্যা। জাতীয় গ্রীড থেকেই আমরা চাহিদামত গ্যাস পাচ্ছিনা। কুমিল্লা, চাঁদপুর, লাকসাম, গৌরীপুর সহ আমার রিজওিনে গ্যাসের চাহিদা দৈনিক ৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট অথচ আমরা পাচ্ছি ২২ থেকে ২৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। কিছু এলাকায় লাইন ক্যাপাসিটির কারনেও গ্যাস সমস্যা করে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন এলএনজি আমদানি কম হলে গ্যাসের চাপও কমে যায়, যার ফলে দূরবর্তী এলাকাগুলোতে গ্যাসের সমস্যা বেশি হয়।
জানতে চাইলে বাখরাবাদের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মর্তুজা রহমান খান জানান, আমরা গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানী লিমিটেড (জিটিসিএল) থেকে যে পরিমান গ্যাস পাই সেটাই বিতরণ করছি। সমস্যাটা আমাদের না জাতীয় সমস্যা। এর বাইরে আর কিছু বলতে পারবোনা।
এ
বিষয়ে জানতে বাখরাবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আব্দুল মান্নান পাটওয়ারীর মুঠোফোনে
একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই)
পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে কুমিল্লার রসমালাই। ২০২৪ সালে কুমিল্লার রসমালাই সহ মোট চারটি
পণ্য জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। পণ্যগুলো হলো টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম,কুমিল্লার
রসমালাই, বাংলাদেশ ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল এবং কুষ্টিয়ার তিলের খাজা।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় কুমিল্লার রসমালাই জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করেন। এসময় তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কজ বড়ুয়াসহ জেষ্ঠ্য সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে জিআই সনদ প্রদর্শন করেন।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু:
মুশফিকুর রহমান বলেন, কুমিল্লার ইতিহাস ঐতিহ্যের ভাণ্ডার অনেক প্রাচীন। কুমিল্লার রসমালাই
জিআই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মধ্যদিয়ে এটির বৈশ্বিক স্বীকৃতি মিলেছে। এই স্বীকৃতির
মাধ্যমে পণ্যটির বাণিজ্যিকীকরণের সুবিধা বাড়লো। এই রসমালাই এখন দেশের বাইরেও রপ্তানি
করা যাবে। আমরা কুমিল্লার খাদি, বিজয়পুরের মৃৎশিল্প নিয়ে জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদনের
জন্য কাজ শুরু করবো। এছাড়াও কুমিল্লার বরুড়ার লতি, হোমনার শ্রীমদ্দির বাঁশি নিয়েও
পরবর্তীতে এগিয়ে যাবো।
কুমিল্লার রসমালাইয়ের জিআই স্বীকৃতি প্রাপ্তিতে অনির্বাণ সেনগুপ্ত কুমিল্লা জেলা প্রশাসনসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
চলমান অপারেশন অপারেশন ডেভিল হান্টে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে গত গেল ২৪ ঘন্টায় আরো ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে গেল চার দিনে মোট ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
চালের
বাজারে কৃত্রিম সংকট ও অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়
অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,কুমিল্লা।
আজ
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার পারুয়া এলাকায়
একাধিক অটো রাইস মিলে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
উক্ত
অভিযানে মিলগেট মূল্য ও উৎপাদনের তারিখ বিহীন চাল বিক্রি, অবৈধভাবে চাল মজুদ এবং
নামিদামি ব্র্যান্ডের ব্যাগে স্থানীয় চাল ভরে বাজারজাত করার অভিযোগে দুইটি মিলকে
মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জরিমানাকৃত প্রতিষ্ঠান দুটি হলো- জাপান-বাংলা অটো রাইস মিলকে ২০ হাজার টাকা
এবং মেসার্স আব্দুল মান্নান এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা।
জাতীয়
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো.
কাউছার মিয়া অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
উক্ত
অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন বুড়িচং উপজেলার খাদ্য পরিদর্শক সুভাষ চন্দ্র দেব
নাথ, অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন এবং কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক
দল ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে সারাদেশে জেলা ভিত্তিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাম্য ও মানবিক
সমাজ বিনির্মাণে দিক নিদের্শনামূলক যৌথ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বুধবার
(১৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি
রাজিব হাসান। সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল কবির পল। এছাড়াও
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, কেন্দ্রীয়
যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে কুমিল্লার শীর্ষ নেতৃবৃন্দের
মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন, কুমিল্লা দক্ষিণ
জেলা যুবদলের সভাপতি আনোয়ারুল হক, সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন শিবলু, কুমিল্লা জেলা স্বেচ্ছাসেবক
দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, কুমিল্লা জেলা ছাত্রদলের
সভাপতি নাদিমুর রহমান শিশির, সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুদ্দিনসহ
অন্যান্যরা। কর্মী সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক
সাংগঠনিক বক্তব্য রাখেন।
এ সময় তারা বিএনপির ও সহযোগী সংগঠনের
নেতাকর্মীদের প্রতি তাদের স্ব স্ব এলাকায় শক্তিশালী সংগঠন তৈরি করতে দিকনির্দেশনা দেন।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্দেশনায়
ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন ইউনিটের
সাথে মতবিনিময় এবং দিক নির্দেশনামূলক সভা করছেন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল:
কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জমিজমা নিয়ে বিরোধের
জের ধরে মোঃ গিয়াস উদ্দিন ও মোঃ জামাল হোসেন নামের দুই চাচাতো জ্যেঠাতো ভাইকে ধারালো
দা, ছেনী ও হকিস্টিক দ্বারা কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৭ জনকে যাবজ্জীবন
কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। সেই সাথে প্রত্যককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড
এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামী প্রত্যেককে অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড
প্রদান করেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায়
কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ
রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লা
সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন ধনাইতরী গ্রামের মোঃ হাজী আতর আলীর ছেলে তোফায়েল আহমেদ তোতা,
মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে কামাল হোসেন, হাজী আব্দুর রহিমের ছেলে আলমগীর হোসেন, মোঃ ফরিদ
উদ্দিনের ছেলে মোঃ মামুন, মৃত আনোয়ার আলীর ছেলে মোঃ বাবুল ও মৃত আনোয়ার আলীর হারুনুর
রশিদ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা
হলেন- কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন ধনাইতরীর মৃত জুনাব আলীর ছেলে হায়দার আলী, হাজী
আব্দুর রহিমের ছেলে আঃ মান্নান, মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে জামাল হোসেন, মৃত আঃ খালেক
এর ছেলে আবুল বাশার, মৃত আঃ রশিদ এর ছেলে জাকির হোসেন, মৃত আঃ খালেক এর ছেলে আব্দুল
কাদের ও মৃত ইউসুফ মিয়া'র ছেলে আব্দুল কুদ্দুস।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজ্ঞ জেলা পিপি
এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্র পক্ষে
নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম ও অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট
মোঃ মজিবুর রহমান বাহার এবং বাদীপক্ষে প্রাইভেট ল'ইয়ার এডভোকেট মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন
আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন।
মন্তব্য করুন