কুমিল্লায় মাদকবিরোধী অভিযানে ৭ কেজি
গাঁজাসহ এক নারীকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা।
বুধবার (১২ জুন) বুড়িচং থানাধীন কোরপাই
ফয়েজউদ্দিন নুরানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার সামনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার
উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সহকারী উপ-পরিদর্শক মিজানুর
রহমান এর নেতৃত্বে ডিএনসি- কুমিল্লা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা
করে হনুফা আক্তার নামের এক নারীকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার
করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো- বাগেরহাট জেলার
মোরেলগঞ্জ থানাধীন বারইখালী এলাকার মোশাররফ খা এর মেয়ে হনুফা আক্তার (২৭)।
আসামীদের বিরুদ্ধে সহকারী উপ-পরিদর্শক
মিজানুর রহমান বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন
আজ শনিবার (২১ জুন)
সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমড়াতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মোজাম্মেল
হোসেন অমি (২৭) এবং সাইমন হোসেন (২৩) নামক
দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ১০ কেজি গাঁজা ও মাদক
পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। মোজাম্মেল হোসেন অমি (২৭) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার শিমপুর গ্রামের মৃত
ফতে আলী এর ছেলে এবং ২। সাইমন হোসেন (২৩) একই গ্রামের শহিদ আলম এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা
দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত মোটরসাইকেল ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য
গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি
ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ
হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১
এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ
প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা
নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকায় ভোক্তা অধিদপ্তরের একটি অভিযানে দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে
অনিয়ম ও ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার (২৮ মে) দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার ও প্রযুক্তিবিদ (টেকনোলজিস্ট) না থাকায় “কুমিল্লা তিতাস মেডিকেল” প্যাথলজিকে ৫০,০০০ টাকা এবং আল নুর হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগে রেডিওলজিস্ট না থাকায় ২০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা
অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা তিতাস মেডিকেলে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া রিএজেন্ট ব্যবহার
করা হচ্ছিল এবং সেখানে কোনো রেজিস্টার্ড মেডিকেল টেকনোলজিস্ট কর্মরত ছিলেন না। অন্যদিকে,
আল নুর হাসপাতালে এক্স-রে পরীক্ষার সময় কোনো রেডিওলজিস্ট উপস্থিত না থাকায় রোগীদের
সেবা বিঘ্নিত হচ্ছিল। এছাড়া, প্রতিষ্ঠান দুটি রোগীদেরকে প্রতিশ্রুতিসম্মত সেবা প্রদান
করতে ব্যর্থ হয়।
ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর অধীন এ অনিয়মের জন্য মোট ৭০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
পাশাপাশি, ভবিষ্যতে সঠিকভাবে সেবা প্রদান ও নিয়ম মেনে চলার জন্য সতর্কবার্তা দেওয়া
হয়।
জাতীয়
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়ার নেতৃত্বে
এই অভিযান পরিচালিত হয়। তাকে সহযোগিতা করেন অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন এবং কুমিল্লা
জেলা পুলিশের একটি টিম।
ভোক্তা
অধিদপ্তর জানিয়েছেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং কোনো প্রতিষ্ঠানই
ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে রেয়াত পাবে না।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার
দক্ষিণ মাঝিগাছা এলাকা থেকে দলনেতাসহ আট জন কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১,
সিপিসি-২।
গত ২৭ জুন রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
দক্ষিণ মাঝিগাছা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের
নিকট হতে ২ টি চাকু, ৪ টি ক্ষুর ও ৭ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত আসামীরা হলো: ১। মোঃ নিলয় ইসলাম (২০), পিতা-মোঃ রোকন মিয়া, সাং-
অরন্যপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা; ২। মোঃ ইমতিয়াজ মিনহাজ আকাশ (১৯), পিতা-
মোঃ গোলাম রাব্বানী মাসুম, সাং- অরন্যপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা; ৩। মোঃ
বাপ্পি (১৯), পিতা-মৃত আবুল খায়ের, সাং- অরন্যপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা;
৪। পিয়াল খন্দকার (১৯), পিতা-মোঃ বশির খন্দকার, সাং- গাজীপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা;
৫। মোঃ আব্দুল কাদির (১৯), পিতা-মোঃ সোয়াব আলী, থানা-মাধবপুর, জেলা-হবিগঞ্জ, এ/পি সাং-
উত্তর রামপুর, থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা’দেরকে গ্রেফতার এবং আইনের সাথে
সংঘাতে জড়িত শিশু ৬। শাহাদাত হোসেন মাহি (১৭), পিতা-মোঃ নাদের হোসেন, সাং- উত্তর রামপুর,
থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা; ৭। রাকিবুল হাসান (১৬), পিতা- মোঃ সোহেল রানা,
সাং- উত্তর রামপুর, থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা এবং ৮। মোঃ মুনতাছির মাহমুদ@
সামির (১৭), পিতা-মোঃ মীর হোসেন, সাং- উত্তর রামপুর থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের
ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা সকলেই কিশোর গ্যাং
এর সক্রিয় সদস্য। তারা উপরোক্ত দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে এলাকার সাধারণ মানুষকে ভয়
ভীতির মাধ্যমে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও তারা ভয় ভীতির
মাধ্যমে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ যানবাহনে ছিনতাই ও চাঁদা আদায়সহ ত্রাস সৃষ্টি করে
আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামী ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুদের
বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ফকিরবাজার এলাকায় অপরাধী চক্রের একটি টর্চার সেলের সন্ধান পায় সেনাবাহিনী।
আর সে টর্চার সেল থেকে দেশীয় অস্ত্র ও এলজিসহ সালাউদ্দিন খান (৩৮) নামে একজনকে আটক করে সেনাবাহিনী।
২৩ বীর সেনাবাহিনীর চৌদ্দগ্রাম স্টেশনের কর্মকর্তা মেজর মাহিন জানান, সালাউদ্দিন খানসহ স্থানীয় সন্ত্রাসীরা কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষকে জোরপূর্বক ধরে এনে টর্চার সেলে অমানবিক নির্যাতন চালাতো। টর্চার সেলে অস্ত্র মজুত রাখা ও নির্যাতনের অভিযোগটি আগেই আমরা পেয়েছি। পরে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। রোববার রাতে উপজেলার ফকির বাজারে রিয়াজ হুসাইন কামালের ‘লন্ডন বাড়ি'র টর্চার সেলে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী। এ সময় অস্ত্রসহ মূল হোতা সালাউদ্দিনকে আটক করা হয়। তবে সালাউদ্দিনের সহযোগীরা সেনাবাহিনীর অবস্থান টের পেয়ে পালিয়ে যায়। সালাউদ্দিন খান স্বীকারোক্তি দিয়েছে। মানুষকে টার্গেট করে টর্চার সেলে এনে জিম্মি করতো তারা। নির্যাতন চালিয়ে আদায় করতো অর্থ। সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে চৌদ্দগ্রাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটককৃত সালাউদ্দিন চৌদ্দগ্রাম থানার গুণবতী কালিয়াতর (বিষ্ণুপুর) গ্রামের শাহজাহান খানের ছেলে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
গাজীপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে সাংবাদিক তুহিনকে জবাই করে হত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লার
দেবীদ্বারে মানববন্ধন করেছে উপজেলায় কর্মরত
সাংবাদিকরা।
আজ শনিবার সকাল ১১ টার সময় স্বাধীনতা চত্বরে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার দেবীদ্বার প্রতিনিধি এ বিএম আতিকুর রহমান বাশার, দৈনিক সমকালের দেবীদ্বার প্রতিনিধি সৈয়দ খলিলুর রহমান বাবুল, সাংবাদিক মাসুদ রানা, আনন্দ টিভি'র দেবিদ্বার ব্রাহ্মনপাড়া প্রতিনিধি মাহফুজ আহম্মেদ সরকারসহ অনন্যরা।
মানববন্ধনে বক্তারা, সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে ফাসিঁর দাবী জানান, সেই সাথে সারা দেশে সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানি বন্ধে অন্তবর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন৷
মন্তব্য করুন
সুজন মজুমদার, বরুড়া:
কুমিল্লা জেলা বরুড়া উপজেলায় ১০০ জন প্রান্তিক মাছ চাষীকে দেওয়া হয়েছে বিনামূল্যে ১০০০ কেজি কার্প মিশ্র মাছের পোনা।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (১৭ ও ১৮ অক্টোবর) সকালে উপজেলা মৎস্য দপ্তর আয়োজনে উপজেলার পরিষদ ও পয়ালগাছা স্থানে মোট ১০০০কেজি কার্প মিশ্র পোনা (রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশ) ১০০ জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক মাছ চাষিদের মাঝে এ পোনা বিতরণ করা হয়।
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সুরাইয়া জাহান নিতু নেতৃত্বে ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহমেদ হাছানের সভাপতিত্বে দুইদিন ব্যাপি প্রান্তিক মাছ চাষীদের মাঝে বিনামূল্যে পোনা মাছ বিতরণ করা হয়।
প্রান্তিক মাছ চাষীদেরকে পোনামাছ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মৎস্য অফিসার বেলাল হোসেন। তিনি বলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্ব বাজেটের আওতায় ২০২৪ সালের বন্যায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অনেক মৎস্য চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ওই সময় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিদের তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছিলাম। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্ব বাজেটের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ মৎস্য চাষিকে প্রণোদনার অংশ হিসেবে ১০০০ কেজি পোনা বিতরণ করা হয়েছে।
প্রান্তিক মাছ চাষী হেলেনা আক্তার বলেন, পোনা পেয়ে অনেক খুশি। বন্যার কারনে পুকুরের সব মাছ চলে যায়। আজ মাছ নিয়ে পুকুরে মাছ পেলে চারপাশে বাঁধ তৈরি করি।
অন্য আরেকজন মাছ চাষী মিজানুর রহমান বলেন, লাখ লাখ টাকার মাছ চলে গেছে, সেখানে কি আর ১০কেজি পোন মাছে পৌষবে?
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী পরিচালক (জেলা মৎস্য অফিস) অশোক কুমার দাস, উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা মৎস্য অফিসার (রিজার্ভ) জনাব সুদীপ্ত মিশ্র, লালমাই উপজেলা মৎস্য অফিসার হাবিবুর রহমান ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় দালাল চক্রের সাত সদস্যকে
আটক করেছে সেনাবাহিনী। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে দেবিদ্বার
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান
আদালতের মাধ্যমে তাদের তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)
ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন, ছোট
আলমপুরের এরশাদ মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন, একই গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ মিয়ার মেয়ে নাছিমা
আক্তার, বারুর গ্রামের মৃত ঈসমাইল মিয়ার ছেলে আব্দুল জলিল মিয়া, বারেরা গ্রামের সুলতান
আলীর ছেলে মো. জাকির হোসেন, ওয়াহেদপুর গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার মেয়ে শাহেনা আক্তার,
একই গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বুলবুল এবং রসুলপুর গ্রামের জিয়াখানের মেয়ে
ফাতেমা আক্তার।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে,
আটক দালাল চক্রের সাত সদস্য রোগীদের ভুল বুঝিয়ে হাসপাতাল থেকে বাইরের বিভিন্ন বেসরকারি
হাসপাতালে নিয়ে যেতেন অপরদিকে হাসপাতালে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ থাকার পরও
তারা বেসরকারি হাসপাতালে উচ্চ মূল্যে পরীক্ষা নিরিক্ষা করাতে বাধ্য করতেন। রোগীরা চিকিৎসা
করাতে রাজী না হলে হয়রানি করতেন চক্রের সদস্যরা।
দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)
ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, দালালেরা সরকারি হাসপাতাল
থেকে তাঁদের কমিশন ভিত্তিক বিভিন্ন ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিচ্ছেন
এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালিয়ে চক্রের সাত সদস্যকে আটক করে।
পরে আটক সাতজনকে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার
কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আলী এহসান বলেন, দালাল চক্রের শতাধিক সদস্য হাসপাতালের স্বাভাবিক
স্বাস্থ্যসেবায় ব্যাহত করছে। তারা দূর থেকে আসা সাধারণ রোগীদের কম টাকায় ভালো চিকিৎসা
দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে সরকারি হাসপাতাল থেকে বাহিরের বিভিন্ন ক্লিনিকে
নিয়ে যায়। এতে সাধারণ রোগীরা ভালো চিকিৎসা পাওয়ার বদলে প্রতারিত হচ্ছেন। ওই দালাল চক্রের
সাত সদস্যকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে প্রবাসী লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেলে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্স যোগে সৌদি প্রবাসী রুবেলের মরদেহ নিয়ে ফটিকছড়ি যাচ্ছিল নিহত রুবেলের আপন ভাই বাবুল (৩২) ও তাহার প্রতিবেশীরা।
লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানার দক্ষিণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাতিসা (কালিকাপুর) পৌঁছা মাত্রই ১৪ চাকার বড় লড়ির পিছনে ধাক্কা দেয়। এতে নিহত প্রবাসী রুবেলের বড় ভাই বাবুল (৩২), প্রতিবেশী ওসমান মিয়া (৪০) ঘটনাস্থলে নিহত হন এবং অপর প্রতিবেশী বশির মিয়া (৩০) গুরুতর আহত হয়ে মহাসড়কের পরে।
কালিকাপুর গ্রামের স্থানীয়রা দুর্ঘটনায় আহত ব্যাক্তি বশির মিয়াকে প্রথমে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাবুদ্দিন জানান, লাশবাহী গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে চট্টগ্রামমুখী ১৪ চাকার লড়ির পিছনে ধাক্কা দেয়, এতে ঘটনাস্থলে ২ জন নিহত ও গুরুতর একজন আহত হন। লাশবাহী এম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত সকলের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার বুঝপুর গ্রামের বাসিন্দা। গত এক বছর পূর্বে সৌদি আরবে রুবেল মারা যায়। আইনী পক্রিয়া শেষে আজ সকালে রুবেলের মরদেহ ঢাকা এসে পৌছায়। পরবর্তীতে প্রবাসী রুবেলের মরদেহ সংগ্রহ করে বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে এ দুর্ঘটনার শিকার হন। ঘটনার পর থেকে লাশবাহী এম্বুলেন্সের ড্রাইভার পলাতক রয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত বিশেষ অভিযানে ২৪ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় মাদক ট্যাপেন ট্যাডল ট্যাবলেট আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ গোলাবাড়ী পোষ্টের টহলদল সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক ও চোরাচালানবিরোধী অভিযান চালায়। অভিযানে সীমান্ত পিলার ২০৮১/৮-এস থেকে ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কেরানীনগর এলাকায় চোরাচালানকৃত মাদকদ্রব্যগুলো জব্দ করা হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, আটককৃত মাদকদ্রব্যের সংখ্যা ২,৪০০ পিস এবং বাজারমূল্য প্রায় ২৪ লাখ টাকা। এগুলো সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাপথে বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হচ্ছিল।
উল্লেখ্য, বিজিবি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও চোরাচালানবিরোধী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে, যা সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আটককৃত মাদকদ্রব্য আইনানুগ প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ২১নং ওয়ার্ড শাকতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ উৎসব উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় শাকতলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা মহানগর কৃষকদল এর আহ্বায়ক কে.এম শাহীনুর হোসাইন শাহীন। তিনি বই বিতরণ উৎসবটি উদ্বোধন করেন।
এ সময় শাকতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নুরুল আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর কাজী মাহবুবুর রহমান এবং ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ শোয়েব আহমেদ জুয়েল, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আক্তার হোসেন ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মন্ডলী। এ সময় শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সহ এলাকার স্বনামধন্য আরও ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন