নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা জেলায় গত জুলাই মাসে ১১টি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া জুলাই মাসে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে ৩২টি। ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে ৮ টি। বিভিন্ন অপরাধে জুলাই মাসে জেলায় মোট মামলা করা হয়েছে ৪৭৫টি।
রবিবার (১০ আগস্ট) সকালে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আমিরুল কায়সার। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিবরণীতে জানানো হয়, ডাকাতি, দস্যুতা, খুন, নারী ও শিশু নির্যাতন, চাঁদাবাজি, চুরি, দ্রুত বিচার, মাদকদ্রব্য আইনে মামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। ধর্ষণ, আহত, অস্ত্র উদ্ধার ও চোরাচালানের মামলা কমেছে।
এ ছাড়া জুলাই মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত হন এবং সাতজন আহত হন। এই মাসে ৩৫৯টি মামলা করেন ২১১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসব মামলায় ২৪ লাখ ৮০ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ ছাড়া ২৮৪ জনকে অর্থদণ্ড, পাঁচজনকে কারাদণ্ড, ৭০ জনকে উভয় দণ্ডসহ মোট ৩৫৯ জনকে বিভিন্ন অপরাধে দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায়, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় যানজট নিরসন, মহাসড়কে যান চলাচলে শৃঙ্খলা, শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা, ভাঙাচোরা সড়ক মেরামত, পরিবেশ দূষণ, পলিথিনের ব্যবহার রোধসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সমাধানে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সভায় উপস্থিত জেলা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি কদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল মালিক বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, মাদকদ্রব্য উদ্ধারে অভিযান এবং যানজট নিরসনে নিয়মিত চেকপোস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার উল্লেখিত এবং আলোচিত বিষয়গুলো দ্রুত নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের
সুন্দুরিয়া পাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে
বিদেশী ও দেশী বিপুল পরিমান অস্ত্রসহ মো. মোতাব্বির
হোসেন জনি (৩৫) নামের এক জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
এ সময় তার বাড়ি থেকে ১টি বিদেশি এয়ারগান,
১৪টি দেশিয় তলোয়ার, ১টি লোহার তৈরি চাকতি, ৩টি চাকু, ৫টি স্টিক ও নগদ সাড়ে ৪ লাখ
টাকা উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে সেনাবাহিনীর
নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী জনির বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্রসহ তাকে আটক করে।
আটক হওয়া মোহাম্মদ মোতাব্বির হোসেন
জনি- ফারজানা ট্রান্সপোর্ট এর মালিক।
তাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেনাবাহিনী।
আটককৃত মোহাম্মদ মোতাব্বির হোসেন জনিকে
অস্ত্রসহ বুড়িচং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার বরুড়ায় দিঘীতে গোসল করতে নেমে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে পৌর এলাকার সাহারপদুয়া গ্রামে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন, সাহারপদুয়া গ্রামের পোদ্দার বাড়ির বিপ্লব পোদ্দারের ৯ বছর বয়সী মেয়ে নিধি পোদ্দার এবং একই বাড়ির রিপন পোদ্দারের ৮ বছর বয়সী মেয়ে বন্নি পোদ্দার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই কন্যা শিশু দিঘীতে গোসল করতে নেমে গভীরে চলে গেলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বন্নি পোদ্দার বরুড়া পৌর সাহারপদুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। এই ঘটনায় এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী নাজমুল হক জানান, তিনি এই ঘটনার বিষয়ে অবগত আছেন। একই বাড়ির দুই শিশু গোসল করতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে যায় এবং স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে। থানা পুলিশের একটি দল বর্তমানে নিহতদের বাড়িতে অবস্থান করছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদ ঘোষণাসহ পাঁচ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে গণমিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা মহানগরী। সমাবেশ শেষে মিছিলটি টাউন মাঠ থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে টমচমব্রীজ মোড়ে গিয়ে শেষ করে।
আজ শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মাঠে গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরীর আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ এতে সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা অঞ্চল টিম সদস্য আব্দুস সাত্তার,কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ শাহজাহান এডভোকেট, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল মতিন, মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর একেএম এমদাদুল হক মামুন। মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারী মু. মাহবুবর রহমান এর পরিচালনা গণমিছিল পূর্বসমাবেশে বক্তারা বলেন, পিআর পদ্ধতি নিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। ভুল বুঝানো হচ্ছে। অথচ পিআর পদ্ধতি হলে বেশী ভোট কাস্ট হবে। মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হবে। জনগণের ভোটের সঠিত মূল্যায়ন থাকবে। তাই আগামী নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে। স্বৈরশাসকের সাথে থাকা জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। নির্বাচন সকল দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের জন আকাঙ্খা পূরণ হবেনা। এবং অবিলম্বে কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণা দাবি জানান বক্তারা।
গণমিছিল ও সমাবেশ এসময় অংশ গ্রহন করেন, মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মু. কামারুজ্জামান সোহেল,কাউন্সিল মোশাররফ হোসাইন, নাছির আহম্মেদ মোল্লা, কুমিল্লা মহানগরী ছাত্রশিবির সভাপতি হাসান আহম্মেদ,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি হাফেজ মাজারুল ইসলাম,মহানগর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী নাজমুল হাসান পঞ্চায়েত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য কাজী নজির আহম্মেদ, অধ্যাপক জাকির হোসেন, দেলোয়ার হোসাইন সবুজ সহ অনেকে।কর্মসূচিতে দলের হাজারো নেতাকর্মী অংশ নেন। এসময় এই মুহূর্তে দরকার পিআর আর সংস্কার, পিআর পদ্ধতির নির্বাচন, দিতে হবে দিয়ে দাও, জামায়াত-শিবির জনতা, গড়ে তোলো একতা স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে কাজী দ্বীন মোহাম্মদ আরো বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা দাবি জানান। তিনি আগামী নির্বাচনে কুমিল্লা ৬ আসনে সদর -সদর দক্ষিণ উপজেলার সর্বস্তরের জনগণকে ন্যায়ের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিতে নগরবাসীকে আহবান জানান।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে গোমতী -মেঘনা সেতুর সুরঙ্গ থেকে অস্ত্র, গুলি, ইয়াবা ও গাঁজা উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী ।
গতকাল বুধবার (১৫অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের দাউদকান্দি ক্যাম্পের একটি বিশেষ দল এ অভিযান পরিচালনা করে সেতুর সুরঙ্গ থেকে একটি অস্ত্র, দুটি গুলি, ইয়াবা ট্যাবলেট এবং গাঁজা উদ্ধার করেন।
সেনাবাহিনী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায় , ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি ব্রিজে যানজটের সুযোগে এই অস্ত্র ব্যবহার করে সংঘবদ্ধ ছিনতাই বা ডাকাতি সংগঠিত করার হয়তো পরিকল্পনা ছিল। পাশাপাশি, গোমতী ও মেঘনা নদীতে ডাকাতির ক্ষেত্রেও এই অস্ত্র ব্যবহার হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।
অভিযান শেষে উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মোঃ জুনায়েত চৌধুরী বলেন, পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও মাদকের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত এবং গ্রেফতারে পুলিশের একটি দল কাজ করছে ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় লবণের ট্রাকে সাড়ে ২১ হাজার ইয়াবা বহনের মামলায় এক আসামিকে যাবজ্জীবন এবং তার সহযোগীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
কুমিল্লার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এ রায় দেন।
মামলায় প্রধান আসামি চালক মো. সাদ্দাম হোসেন হাজারীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং তার সহযোগী মো. আয়নাল ইসলামকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার সময় আসামি মো. আয়নাল ইসলাম আদালতে উপস্থিত থাকলেও প্রধান আসামি মো. সাদ্দাম হোসেন হাজারী পলাতক ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৩১ মার্চ ভোরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি দল কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় একটি চেকপোস্ট স্থাপন করে। এ সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী লবণ বোঝাই একটি ট্রাককে থামানোর সংকেত দিলে ট্রাকের চালক মো. সাদ্দাম হোসেন ও তার সহযোগী মো. আয়নাল ইসলাম পালানোর চেষ্টা করেন। র্যাব সদস্যরা তাদের আটক করে তল্লাশি চালায়।
তল্লাশিকালে চালক সাদ্দাম হোসেনের প্যান্টের পকেট এবং চালকের আসনের নিচ থেকে মোট ২০ হাজার পিস এবং সহযোগী আয়নাল ইসলামের পকেট থেকে ১,৪৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে।
আদালত সূত্র জানায়, উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক পর্যালোচনার পর ট্রাইব্যুনাল এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
বিচারক পলাতক আসামি মো. সাদ্দাম হোসেন হাজারীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
অপরদিকে, আদালতে উপস্থিত আসামি মো. আয়নাল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পর তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক মামলায় তিতাস গ্যাসের পিয়ন (অফিস সহায়ক) জহিরুল ইসলামের ৩ স্ত্রীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রায় এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
গতকাল রোববার (৭ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বেগম শামসুন্নাহার ৩টি মামলায় জহিরুলের ৩ স্ত্রীর বিরুদ্ধে এ রায় দেন।
অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ঢাকার অফিস সহায়ক জহিরুল ইসলামের ৩ স্ত্রীকে এই সাজা দেওয়া হয়। তবে ৩ স্ত্রীর সাজা হলেও স্বামী জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সকল মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয় তাকে।
অফিস সহায়ক জহিরুল ইসলামের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আনন্দপুর গ্রামে। স্ত্রীদের সঙ্গে প্রতিটি মামলাতেই দ্বিতীয় আসামি হিসেবে নাম ছিল জহিরুলের। রায় ঘোষণার সময় জহিরুল ও তার ৩ স্ত্রী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদক কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফজলুল হক।
দুদক কুমিল্লা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৯ ফ্রেব্রুয়ারি দায়েরকৃত পৃথক ৩টি মামলায় সেলিনা আক্তার, আকলিমা আক্তার ও আসমা আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ তদন্তপূর্বক মামলার বাদী ছিলেন, দুদক কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান।
দুদক কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফজলুল হক জানান, স্থাবর, অস্থাবর অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের দায়ে তিতাস গ্যাসের ঢাকা অফিসের অফিস সহায়ক জহিরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ১২ লাখ ১২ হাজার ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। দ্বিতীয় স্ত্রী আকলিমা আক্তারকে ৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩৪ লাখ ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া তৃতীয় স্ত্রী আছমা আক্তারকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৮০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালত। অর্থদণ্ডের টাকা রাষ্ট্রের কোষাগারে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় নিখোঁজের একদিন পর রেল সড়কের পাশ থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার বিকেলে নিখোঁজ জামশেদ ভূঁইয়ার লাশ পালপাড়া রেললাইনে পাশে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। এ দিন সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধার এর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মহিনুল ইসলাম ।
নিহত জামশেদ ভূইয়া কুমিল্লা নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড কালিয়াজুরী ভূইয়া বাড়ি সাবেক কমিশনার মরহুম আব্দুল কুদ্দুস ভুইয়ার তৃতীয় পুত্র।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় বাসা হতে মাগরিবের নামাজ আদায় করার জন্য বের হওয়ার পর থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এই বিষয় কোতোয়ালি মডেল থানায় তার বড় ভাই একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, গত সপ্তাহে একই এলাকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সুমাইয়া আক্তার ও তার মা তাহমিনা বেগম হত্যার শিকার হয়েছিলেন। সপ্তাহ না পেরোতেই আবারো একই এলাকায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ব্যবসায়ী।
এই বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মহিনুল ইসলাম বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় নিহত জামশেদ ভূঁইয়ার ভাই থানায় অভিযোগ করেছিলেন । তিনি বলেছিলেন মাগরিবের নামাজ পড়তে গিয়ে তার ভাই বাসায় ফেরেননি । রোববার সন্ধ্যায় আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। হত্যার রহস্য উদঘাটনে আমরা কাজ করছি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দেবিদ্বারে সর্বসাধারণের
গাড়ি ভেবে পুলিশের টহল গাড়িতে ডাকাতির করতে গিয়ে অস্ত্রসহ এক ডাকাতকে গ্রেফতার করা
হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ জুন) ভোর রাতে দেবিদ্বার-চান্দিনা
সড়কের উপজেলার নবিয়াবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় তার কাছে থাকা দুই রাউন্ড কার্তুজ ভর্তি ১টি
দেশীয় এলজি বন্দুক ও দুটি রামদা উদ্ধার করা হয়। আটককৃত আসামী মোশারফ হোসেন (৩৫) বুড়িচং
উপজেলার হালগাঁও গ্রামের আবদুল মতিন মিয়ার ছেলে।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)
মো. নয়ন মিয়া এসব তথ্য জানিয়েছেন।
থানাসূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার
দিবাগত রাতদেড়টার দিকে দেবিদ্বার-চান্দিনা সড়কের নবিয়াবাদ এলাকার ভূইয়া বাড়ির সামনে
সর্বসাধারণের গাড়ি ভেবে থানার একটি টহল গাড়ি থামিয়ে ডাকাতির চেষ্টা করে একটি সংঘবদ্ধ
ডাকাত চক্র। পরে টহল গাড়িতে থাকা এএসআই আবদুল কাদের ও এসআই মিশন বিশ্বাস ডাকাত মোশারফকে
অস্ত্রসহ হাতেনাতে আটক করেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও অন্তত ১০/১২জন ডাকাত
পালিয়ে যায়।
দেবিদ্বার থানার ওসি মো: নয়ন মিয়া জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার মোশারফ অর্ধশতাধিক ডাকাতি করেছে
বলে জানিয়েছে। ডাকাতিকালে তার সঙ্গে আরও ১০/১২ ছিল, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ডাকাতির
অভিযোগে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে। মোশারফের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায়
অস্ত্র ও ডাকাতির ১০টি মামলা রয়েছে। তার কাছ থেকে কার্তুজ ভর্তি দেশীয় বন্দুক উদ্ধার
করা হয়েছে। মোশারফসহ ৫ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত১ ০/১২ জনের বিরুদ্ধে দেবিদ্বার
থানায় অস্ত্র ও ডাকাতির দুটি মামলা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাকে কুমিল্লা জেলহাজতে
পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১০ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন ফুলতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ মোবারক হোসেন নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মোবারক হোসেন
(৩৫) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার দূর্গাপুর গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম এর
ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, সে দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত মোটর সাইকেলটি ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় কোতয়ালী মডেল থানা কর্তৃক ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ ০১জন আসামী গ্রেফতার।
আজ ২১/০১/২৪খ্রি: তারিখ কোতয়ালী মডেল থানায় কর্মরত এসআই(নিঃ)/ শেখ মফিজুর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ কোতয়ালী মডেল থানা এলাকায় রাত্রীকালীন মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল ডিউটি করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতয়ালী মডেল থানাধীন ০৩নং দক্ষিণ দূর্গাপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর সাকিনের চিশতিয়া টেক্সাটাইল মিলের মেইন গেইটের পূর্ব পার্শ্বে পরিত্যক্ত ছাঁদবিহীন বিল্ডিং এর ভিতর হতে ৫০ কেজি গাঁজাসহ ১জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলো: কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার শাসনগাছা (ঈদগা) এলাকার মোঃ নজরুল ইসলাম এর ছেলে মোঃ আরিফুল ইসলাম(২৬)।
উক্ত ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় এজাহার দায়ের করলে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৫৭, তারিখ- ২১/০১/২০২৪; ধারা- ৬(১) সারণির ১৯(গ) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮; রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন