

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা ভগবতী এন্ড পেড়া ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট কিরণময় দত্ত ঝুনু পরলোকগমন করায় আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির নিয়ম অনুসারে শেষকৃত্য পালনের জন্য কিরণময় দত্ত ঝুনু'র সহধর্মিণী অনিতা দত্তের হাতে ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা বুঝিয়ে দিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খন্দকার মিজানুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক গাজী মোঃ নজরুল ইসলাম মানিক ও এডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার সহ আরো অনেকে।
উল্লেখ্য যে, এডভোকেট কিরণময় দত্ত ঝুনু গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার সময় ইহলোকের মায়ামমতা ত্যাগ করে পরলোকগমন করেন।
মন্তব্য করুন


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি নিহত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলা ইলিয়টগঞ্জ বাজারের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত মোহাম্মদ ফিরোজ (৩২) হাওলাদার ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের হার রুনুর রশিদ হাওলাদারের ছেলে।
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ইলিয়টগঞ্জ বাজারের নিকট এসিআই কম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি মোটরসাইকেলযোগে উল্টো পথে আসা একটি মাছের পিকআপ ধাক্কা দিলে সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে গৌরীপুর হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়।
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. রুহুল আমিন জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এসিআই কম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি ফিরোজ হাওলাদারের মরদেহ আজ শুক্রবার তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় লবণের ট্রাকে সাড়ে ২১ হাজার ইয়াবা বহনের মামলায় এক আসামিকে যাবজ্জীবন এবং তার সহযোগীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
কুমিল্লার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এ রায় দেন।
মামলায় প্রধান আসামি চালক মো. সাদ্দাম হোসেন হাজারীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং তার সহযোগী মো. আয়নাল ইসলামকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার সময় আসামি মো. আয়নাল ইসলাম আদালতে উপস্থিত থাকলেও প্রধান আসামি মো. সাদ্দাম হোসেন হাজারী পলাতক ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৩১ মার্চ ভোরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি দল কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় একটি চেকপোস্ট স্থাপন করে। এ সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী লবণ বোঝাই একটি ট্রাককে থামানোর সংকেত দিলে ট্রাকের চালক মো. সাদ্দাম হোসেন ও তার সহযোগী মো. আয়নাল ইসলাম পালানোর চেষ্টা করেন। র্যাব সদস্যরা তাদের আটক করে তল্লাশি চালায়।
তল্লাশিকালে চালক সাদ্দাম হোসেনের প্যান্টের পকেট এবং চালকের আসনের নিচ থেকে মোট ২০ হাজার পিস এবং সহযোগী আয়নাল ইসলামের পকেট থেকে ১,৪৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে।
আদালত সূত্র জানায়, উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক পর্যালোচনার পর ট্রাইব্যুনাল এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
বিচারক পলাতক আসামি মো. সাদ্দাম হোসেন হাজারীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
অপরদিকে, আদালতে উপস্থিত আসামি মো. আয়নাল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পর তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ চর্থার পশ্চিমপাড়া এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মোহাম্মদ আলী আকবরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি কুমিল্লা মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেনের পিতা। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনগণ, রাজনৈতিক সহকর্মী, আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাদ যোহর কুমিল্লা সদর হাসপাতাল জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে নগরীর টমছমব্রিজ কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজা ও দাফনে অংশ নেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী, ব্যবসায়ী সমাজের প্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠনের সদস্য এবং সাধারণ মানুষ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মো. জসিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শওকত আলী বকুল, আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল কাইয়ূম, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিউর রহমান রাজিব, মহানগর বিএনপি নেতা ও সাবেক কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার, মহানগর বিএনপি নেতা মনির হোসেন পারভেজ, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন শিবলু, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মেরাজ হোসেন, সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ পান্নাসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অসংখ্য নেতা-কর্মী।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাধারণ মুসল্লি, তার দীর্ঘদিনের বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী। জানাজা শেষে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
রোববার (১২ অক্টোবর) রাত ২টা ১০ মিনিটে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
মোহাম্মদ আলী আকবর দক্ষিণ চর্থা এলাকায় একজন জনপ্রিয় ও সফল ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সততা, সদালাপিতা ও সামাজিক কাজের প্রতি তার আন্তরিকতার কারণে স্থানীয় সমাজে তিনি একজন সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি পান। বিভিন্ন সময়ে এলাকার মসজিদ-মাদ্রাসা, দরিদ্র পরিবারের সহায়তা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে তিনি অবদান রেখেছেন। তার মৃত্যুর খবর শুনে বহু মানুষ তার বাড়িতে ছুটে যান এবং পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন বর্তমানে কুমিল্লা মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মরহুমের মৃত্যুতে কুমিল্লা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন পৃথক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার হোমনায় একই দিনে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে হোমনা থানা পুলিশ।
রোববার (১৭ আগস্ট) পৃথক স্থান হতে সকালে নৌকাতে ভাসমান অবস্থায় একজনের মৃতদেহ ও দুপুরে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় আরেকটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ভাষানিয়া ইউনিয়নের তিতিয়া রঘুনাথপুর এলাকায় তিতাস নদীতে ভাসমান একটি নৌকা থেকে কবির হোসেন ওরফে আরশ মিয়া (৬১) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের সবদর আলীর ছেলে।
অপরদিকে দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের ঝগড়ারচর গ্রামে মো.নজরুল ইসলামের ছেলে সাইজুদ্দিন (৩৫) এর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, উভয়েই মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। একাধিকবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল।
হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনাগুলো আত্মহত্যা। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে এক বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
পরে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই ব্যক্তিকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ান (১০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবি জানায়, ২৯ জুলাই সকালে (০৯:৩০টার দিকে) কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)-এর অধীনস্থ চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চৌদ্দগ্রাম বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ২১০৯/১৪-এস সংলগ্ন “রাধানগর” নামক স্থান দিয়ে তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক চোরাচালানের উদ্দেশ্যে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন।
এ সময় বিএসএফ তাদের আটকের চেষ্টা করলে দু’জন পালিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। তবে একজন বিএসএফের হাতে আটক হন। বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে বিজিবি দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে।
দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে, বেলা ১২টার দিকে সীমান্ত পিলার ২১০৯/১৪-এস এর নিকটবর্তী বৈদ্দ্যেরখীল এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় পলাতক দুই ব্যক্তি এবং আটক বাংলাদেশির বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় নিখোঁজের ৭ দিন পর ডোবা থেকে “আদিবা জাহান মীম” নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহের হাত ও গলায় রশি পেঁচানো ছিল।
আজ , বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন সিমানাপাড় গ্রামের একটি ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। শিশু মীম ওই গ্রামের হানিফ মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় স্বজনদের আহাজারিতে স্থানীয় এলাকায় শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
মৃত শিশু মীমের বাবা হানিফ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মেয়ে যদি পানিতে ডুবে মরত, তাহলে ভেসে উঠত। কিন্তু তার হাতে আর গলায় রশি বাঁধা ছিল। কেউ আমার মেয়েকে হত্যা করে ডোবায় ফেলে রেখে গেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আউয়াল বলেন, শিশুটির মরদেহ দেখে মনে হয়েছে, সে (মীম) পানিতে ডুবে মারা যায়নি, বিষয়টি রহস্যজনক।
বাঙ্গরা বাজার থানার ( ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে । মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন,কুমিল্লা :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সেনা বাহিনীর বিশেষ অভিযানে দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বিষবাগ গ্রামে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে আটককৃতরা হলো— কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানাধীন বিষবাগ গ্রামের মোঃ সাখাওয়াত হোসেন রিয়াজ (২৫),মোঃ আরিফ (২৯)।
অভিযান চলাকালে অস্ত্রসহ বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে— চাইনিজ কুড়াল ২টি, রামদা ৩টি, দা ৫টি, নুনচাক ১টি, ছুরি ১টি, নক ১টি, ওয়্যার কাটার ১টি, কার্তুজ ১ রাউন্ড, দূরবীন ১টি, পাসপোর্ট ১টি এবং ১০টি মোবাইল ফোন (৮টি অ্যান্ড্রয়েড, ২টি বাটন)।
আটককৃত সন্ত্রাসী ও জব্দকৃত মালামাল পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার
বুড়িচংয়ে ৩০ কেজি গাঁজা পাচারকালে মা-মেয়েসহ পাঁচ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে
স্থানীয়রা।
আজ
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নের কোদালিয়া-ছিনাইয়া এলাকা থেকে তাদের
আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা
হলেন- একই ইউনিয়নের উত্তর আনন্দপুরের বাসিন্দা
জেনারুল হোসাইন জেনু (৩৪), দক্ষিণ আনন্দপুরের বাসিন্দা মো. রুবেল (৩৫), পাঁচোড়া গ্রামের
বাসিন্দা আব্দুল ওয়াসেদ মিয়ার মেয়ে আসমা আক্তার (২০), মাশরা গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের
মেয়ে জাহানারা বেগম (৩৬) ও একই গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের স্ত্রী রোকেয়া (৫০)।
পুলিশ
ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে বাকশীমূল ইউনিয়নের কোদালিয়া-ছিনাইয়া
এলাকায় মাদক পাচারকালে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে স্থানীয়রা।
পরে তল্লাশি চালিয়ে ৩০ কেজি গাঁজাসহ পাঁচ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে
একই পরিবারের মা ও মেয়ে রয়েছে।
আটকের
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক।
বুড়িচং
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক জানান, আটকদের মাদক আইনে মামলা রুজু করে আদালতে পাঠানো
হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ১৮ কেজি গাঁজা এবং ৭৩ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর)
সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন পশ্চিম মাঝিগাছা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে
আসামী ১। মোঃ মেহেদী হাসান (২২) এবং ২। মোঃ পারভেজ (২৪) নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে
গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ১৮ কেজি গাঁজা, ৭৩ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক
পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি ইজি বাইক (অটো) উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ মেহেদী হাসান (২২) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার সাতরা গ্রামের মোঃ আলমগীর
এর ছেলে এবং আসামী মোঃ পারভেজ (২৪) একই গ্রামের মোঃ শাহীন এর ছেলে।
র্যাব জানান, আসামীদ্বয়কে
জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত ইজি বাইক (অটো)টি ব্যবহার করে
কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা ও ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কুমিল্লা’সহ অন্যান্য জেলায়
মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১
এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের
মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


আমরা সর্বদা সমাজ সেবায় নিয়োজির এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুমিল্লা চকবাজার ক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়।
দেশের যে কোন দুর্যোগ ও বিপদে মানুষের পাশে থেকে সেবা করার প্রত্যয় নিয়ে এ কমিটির সদস্যরা ঐক্যবদ্ধ হয়।
গতকাল নগরীর চকবাজার চকমার্কেটে
এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট্য সমাজ সেবক ও রাজনীতিবিদ মোঃ
নজরুল ইসলাম, আতাউর রহমান ছুটি, আমিরুল পাশা সিদ্দিকী রাকিব,মোহন মজুমদার, তোফায়েল
আহম্মেদসহ অন্যরা।
আলোচনা সভা শেষে মাসুদ আল হক জছিকে সভাপতি ও মোঃ রুবেল
আহমেদকে সাধারন সম্পাদক করে চকবাজার ক্লাব এর পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হয়।
কমিটির সহ-সভাপতি হয়েছেন সাইফ হোসাইন আল বান্না, সহ- সাধারণ সম্পাদক-মোঃ সুমন সওদাগর, সাংগঠনিক সম্পাদক-মোঃ শাকিল আহমেদ, অর্থ সম্পাদক- মোঃ কামরুল হাসান, প্রচার সম্পাদক- মাহাবুব আলম ইতিফ, দপ্তর সম্পাদক- মোঃ সাইফুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক- মোঃ মারুফ সরকার, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক- মাজহারুল আলম ইমন মজুমদার, অপ্যায়ন ও আমোদ প্রমোদ সম্পাদক- ফয়েজ আহমেদ অপু, সদস্য- ইমাম হোসেন অনিক, মোঃ জাবেদ হোসেন, রবিউল আলম পাভেল, জীবন সরকার, শ্রী রনি সাহা, শ্রী জনি সাহা, সীমান্ত সাহা, রনি সাহা, মোঃ রাজু আহম্মেদ, তন্ময় সাহা।
কমিটিতে উপদেষ্ঠা করা হয়েছে
বিশিষ্ট্য সমাজ সেবক ও রাজনীতিবিদ মোঃ নজরুল ইসলাম, আতাউর রহমান ছুটি, আমিরুল পাশা
সিদ্দিকী রাকিব,মোহন মজুমদার ও তোফায়েল আহম্মেদকে।
মন্তব্য করুন