বুধবার (১ মে) দুপুরে বঙ্গবন্ধু
আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মে দিবস উপলক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আলোচনা
সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে
আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
মে
দিবসের অনুষ্ঠানের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য
পরিবর্তন করাই আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য। আমরা সব সময় সেই পদক্ষেপ নিই। মা যেমন
একটা রুগ্ন সন্তানকে বুকে নিয়ে লালন-পালন করে গড়ে তোলেন, ঠিক সেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর শূন্য হাতে একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব হাতে
নিয়ে সব কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেন। তাদের
কর্মসংস্থান যাতে ঠিক থাকে, সে পদক্ষেপটাই তিনি হাতে নিয়েছিলেন।
মে
দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর মে দিবসকে প্রথমে শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন
এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন ।
শ্রমিকদের
মজুরি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ আমি শ্রমিকদের দেখেছি, তাদের মজুরি ছিল মাত্র ৮০০
টাকা। তখন সরকারে এসে আমরা তাদের মজুরি বাড়িয়েছিলাম। যতবার সরকারে এসেছি ততবারই মজুরি
বৃদ্ধি করেছি কারণ শ্রমিকদের আরও উপযুক্ত করে
গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।
শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য মজুরি কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মে দিবসের সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এদেশে মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য, সে বৈষম্য তিনি দূর করতে চেয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী
আরো বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশে নারী-পুরুষ সমান মজুরি পায় না। আমরা সেটা সমান করে দিয়েছি।
নারী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছি। তাদের থাকার জন্য ডরমিটরি করে দিয়েছি।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এম ইব্রাহীম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি আরদাশীর কবির, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর কুতুব আলম মান্নান।
মন্তব্য করুন
টানা
৪র্থবার ও সব মিলিয়ে
৫মবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন আওয়ামী
লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার
(১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা ৩ মিনিটে
বঙ্গভবনে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর
শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন।
শেখ
হাসিনা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাধীন
বাংলাদেশের ইতিহাসে ৪ মেয়াদে ২০
বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ শাসন করেছেন
শেখ হাসিনা।
২০২৯
সালে ৫ম মেয়াদ পূর্ণ
হলে তিনি স্বাধীন দেশে
২৫ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব
পালন করবেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ
হাসিনা প্রথম ১৯৮৬ সালে সংসদ
সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯১,
১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ এবং সর্বশেষ
২০২৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত
হন।
দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ
জয়ের পর তরুণ-প্রবীণদের
সমন্বয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন
করেছেন শেখ হাসিনা। ৫ম মেয়াদে
রাষ্ট্র পরিচালনায় এবার শেখ হাসিনার
সঙ্গী হচ্ছেন ২৫ জন মন্ত্রী
ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর
পর একে একে মন্ত্রী
এবং প্রতিমন্ত্রীদেরও শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন দেশের ২য় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও করা হবে পাবনার রূপপুরে । প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয়টির কাজ যাতে শুরু করা যায় সেই ব্যাপারে এখন থেকেই তিনি প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।
আজ সোমবার (১১ মার্চ) বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এন এস টি ফেলসি এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফিজ ওসমান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বিজ্ঞানকে খুব গুরুত্ব দিতেন। তিনি সদ্য স্বাধীন দেশে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত পরমাণু শক্তি কমিশন মানুষের স্বাস্থ্য পরিচর্যা অত্যাধুনিক নিউক্লিয়ার মেডিসিন প্রচলন করেছে। আমরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছি। আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য চেষ্টা করেছিলাম দক্ষিণে কিন্তু দক্ষিণে আমাদের যে মাটি সে মাটি এত নরম। প্রত্যেকটা দিন আমরা দেখেছি আসলে সেখানে করা সম্ভব নয়। এখন যেখানে আমরা করেছি এটা বাস্তবায়ন সম্পন্ন হওয়ার পর দ্বিতীয়টাও আমরা এই পাবনাতেই রূপপুরে করতে পারবো। দক্ষিণ অঞ্চলের প্রত্যেকটি দ্বীপে অ্যাটমিক এনার্জি থেকে লোক পাঠিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, মাটির দেখা হয়েছে আসলে যেখানে মাটি খুব নরম, ওখানে করা সম্ভব হবে না। আমি এখনই বিজ্ঞান প্রযুক্তি মন্ত্রীকে বললাম যে এটার কাজ আমাদের শেষ হবে সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয়টা যাতে শুরু করতে পারি এখন থেকে আমাদের সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। তাছাড়া স্যাটেলাইট ১ আমরা উৎক্ষেপণ করেছি এবং স্যাটেলাইট ২ উৎক্ষেপণ করারও ইতোমধ্যে আমরা নিয়েছি।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, থাইল্যান্ডের
সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ
করে। এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্যই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়।
বৃহস্পতিবার (২ মে) থাইল্যান্ড সফর
নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর
সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী
থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে ২৯ এপ্রিল ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন। সফরকালে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাই প্রধানমন্ত্রী
স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ
ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত
বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।
কৃষি উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে কৃষিখাতে
পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা থাইল্যান্ডের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা
কাজে লাগিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা সুদৃঢ় করতে পারি। এজন্য থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা
বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে
আলোচনা করি। থাইল্যান্ডকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগেরও আহ্বান জানাই।
পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন
ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রাণী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ
করেন। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে
ব্যাংককে পৌঁছেন শেখ হাসিনা। ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
দেওয়া হয়।
থাইল্যান্ডের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের
৫২ বছরে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান পর্যায়ে এটাই ছিল প্রথম সফর।
থাইল্যান্ড সফর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
বলেন, ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর মনোনিবেশের অংশ হিসেবেই তার এই সফর। আর এ সফর
দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে।
একই সময়ে তিনি ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন
কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের
(ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন।
ভাষণে তিনি বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে যুদ্ধকে
‘না’ বলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা।
একইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের
নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
মন্তব্য করুন
বিমানবন্দরে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী আনুতিন
চার্নবাইরাকুল এবং দেশটির ইন্টেরিয়র মন্ত্রী পুয়াংপেত চুনলাইয়াড, ঢাকায় নিযুক্ত
থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর, থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের
রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই এবং থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রাচার প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল
চুমফোন ক্লোইপায়ান।
সেখানে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয় এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে
গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এছাড়া শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে ১৯ বার তোপধ্বনি
দিয়ে গান স্যালুট দেওয়া হয়।
থাইল্যান্ডের
প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে ব্যাংকক পৌঁছেছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
এর
আগে সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪০৩ ফ্লাইটে হযরত
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী ও
তার সফরসঙ্গীরা।
এ
সফরে তিনি থাইল্যান্ডের রাজা-রানি এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের
পাশাপাশি জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক
কমিশনের (ইউএনএসকাপ) অধিবেশনে যোগ দেবেন।
সফরকালে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে দেশটির রাজা ভাজিরালংকর্ন ও
রানি সুথিদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
সেখানে
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক
করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ বৈঠকের পর দুই দেশের
মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন খাতে সহযোগিতা, শুল্কসংক্রান্ত পারস্পরিক
সহযোগিতা-বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি ও
মুক্তবাণিজ্য–সংক্রান্ত সম্মতিপত্র সইয়ের কথা আছে।
ব্যাংককে
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক
কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিবেন।
মন্তব্য করুন
শনিবার
(২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে
উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন
দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী-এমপির
নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী
বলেন, নিকটজনেরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী
প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া
হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি
বলেন,আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই
নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি
গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।
নির্দেশনা
দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের
তারিখ শেষ হউক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
সংবাদ
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ,
আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন,
সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান
গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অটিজম বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রী কন্যা সায়মা ওয়াজেদ।তিনিই প্রথম ও একমাত্র বাংলাদেশি এবং বিশ্বে দ্বিতীয় নারী হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই সম্মানজনক পদে যোগ দিলেন।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদরদপ্তরে তিনি যোগ দেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয়া উপলক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য নিয়ে বহু আগে থেকেই কাজ করা একজন অভিজ্ঞ মানুষ। বিশ্বের বহু দেশের নেতারা তাকে অটিজম বিশেষজ্ঞ হিসেবেই চেনেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, একজন বাংলাদেশি হিসেবে এ রকম দায়িত্বশীল ও গুরুত্বপূর্ণ পদে যোগ দেওয়াটা আমাদের জন্য একটি বিরাট অর্জন ও সম্মানের।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ‘এশিয়া ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার’ পুরস্কার তুলে দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, ৩ ডিসেম্বর রোববার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে পুরস্কার তুলে দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় নেতৃত্ব এবং সোচ্চার কণ্ঠস্বরের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে ‘এশিয়া ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার’ পুরস্কার দেওয়া হয়।
১ ডিসেম্বর শুক্রবার দুবাইয়ে কপ-২৮ শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট মোবিলিটি এ পুরস্কার প্রদান করে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন কপ-২৮ এ বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
দুবাইয়ে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সহ-সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট অ্যাম্বাসেডর ড্যানিস ফ্র্যান্সিস এবং আওএমের জেনারেল সেক্রেটারি অ্যামি পোপ।
মন্তব্য করুন
টানা চতুর্থবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় আপনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আমাকে অনুমতি দিন।
দুই দেশের সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশের সাথে বিশেষ করে সংহতি, বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে শক্তিশালী সম্পর্ককে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসা বলেন, গত আগস্টে ব্রিকস-আফ্রিকা আউটরিচ এবং ব্রিকস প্লাস ডায়ালগে আপনার উপস্থিতির কারণে এটি আরো মজবুত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সুবিধাজনক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আরও সম্প্রসারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শেখ হাসিনার অব্যহত সুস্বাস্থ্য কামনা করেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসা।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে ৫০ নারী সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে রিটার্নিং কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, আগামী মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের জোটগতভাবে মনোনয়নপত্র পেয়েছি ৪৮টি। একইসঙ্গে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে মনোনয়ন পেয়েছি দুটি। আমাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাছাই হয়েছে এবং তাদের তালিকা অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এতে সকলের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। বৈধতার বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি।
ইসির এই যুগ্ম সচিব বলেন, মনোনয়নপত্র যারা জমা দিয়েছেন, তাদের রোববার বিকেল ৪টা পর্যন্ত তা প্রত্যাহারের সুযোগ ছিল। যেহেতু আজকে কোনো প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি, সেহেতু আমাদের নির্বাচনী যে আইনের ১২ ধারা অনুযায়ী, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীদেরকে নির্বাচিত ঘোষণা করার বিধান রয়েছে। আমরা আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের নামের তালিকা প্রকাশ করতে পারব।
এই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশের পর তা কমিশন গেজেট প্রকাশের জন্য বিজি প্রেসে পাঠাবেন আর পরবর্তীতে গ্যাজেটের কপি সংসদ সচিবালয়ে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে সে অনুযায়ী সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশন ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’
খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু করেছে ।
মঙ্গলবার (৭ মে) রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে এ পরিচয়পত্র হস্তান্তরের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে ইসি।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত জাতীয় পরিচয়পত্রটি তার কাছে হস্তান্তর করেন এবং কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। পর্যায়ক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট এনআইডি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত স্মার্ট
এনআইডি দেওয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, এটি মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের অনন্য স্বীকৃতি। মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের
কল্যাণে সম্মানি ভাতা বাড়ানোসহ সরকারের নানা উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন,
ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং যেকোনো প্রয়োজনে সরকার সবসময় তাদের পাশে থাকবে।
এসময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের
সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ।
মন্তব্য করুন