

দেশের গণমাধ্যম এখন নজিরবিহীন স্বাধীনতা
ভোগ করছে বলে মন্তব্য করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন,
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্যের বন্যা বয়ে গেছে।
আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) অর্থনীতি পুনর্গঠন,
সম্পদপাচার, ভুল তথ্য মোকাবেলা এবং গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়নে বাংলাদেশের
প্রচেষ্টা নিয়ে ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের নেতারা সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টা
এসব কথা বলেন।
ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান
অ্যালেক্স সোরোস এবং সভাপতি বিনাইফার নওরোজির নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার
সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে।
বৈঠকে অ্যালেক্স সোরোস ইতিহাসের একটি
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া এবং দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক করা ও অর্থনীতি
পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ায় ড. ইউনূসের প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থান দেশের জন্য একটি নতুন গতিপথ নির্ধারণের জন্য
বিরাট সুযোগ এনে দিয়েছে। তারা জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান, ভিকটিমদের জন্য অন্তর্বর্তী
ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক সংস্কার, গণমাধ্যম, চুরি যাওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধার, নতুন সাইবার
নিরাপত্তা আইন, কিভাবে তাদের উন্নতি করা যায় এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেন।
অ্যালেক্স সোরোস বলেন, আমরা এসব ক্ষেত্রে
আপনার প্রচেষ্টা সমর্থন করার উপায় খুঁজব।
প্রধান উপদেষ্টা ওপেন ফাউন্ডেশনকে তাদের
সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
তিনি নজিরবিহীন ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের
খবর ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ফাউন্ডেশনের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ডাভোস সফরে গিয়ে
আমি যা প্রত্যক্ষ করেছি তা হলো, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান সম্পর্কে অনেকেই জানে না।
অনেক অপপ্রচার হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার ১৬ বছরের
শাসনামলে পাচার হওয়া প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করার জন্য ফাউন্ডেশনের
প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন,
অন্তর্বর্তী সরকার উত্তরাধিকার সূত্রে একটি ‘বিধ্বস্ত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত’ অর্থনীতি পেয়েছে
এবং তিনি পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় ফাউন্ডেশনের সমর্থন কামনা করেন।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনে
সাহায্য করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ফাউন্ডেশন। এই পদক্ষেপকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনূস স্বাগত জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন


চলতি বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মিশর।
বাংলাদেশে মিশরের রাষ্টদূত ওমর মোহি আলদিন আহমেদ ফাহমি বুধবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।
মিশর আয়োজিত অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশনের এই শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, ইরান, পাকিস্তান ও তুরস্কসহ ৮টি উন্নয়নশীল দেশের শীর্ষ নেতাদের একত্রিত করবে।
১৯৯৭ সালের ১৫ জুন ইস্তাম্বুল ঘোষণার মাধ্যমে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে ডি-৮ গ্রুপটি যাত্রা শুরু করে।
ডি-৮ এর প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল বিশ্ব অর্থনীতিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অবস্থানকে শক্তিশালী করা, বাণিজ্যের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা, আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং সদস্য দেশগুলোর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ইত্যাদি।
রাষ্ট্রদূত ফাহমি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় মিশরের চলমান সমর্থন পূর্ণব্যক্ত করে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে জাতির অব্যাহত অগ্রগতির প্রতি আস্থা প্রকাশ করেন।
ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য বৈচিত্র্য ও উদ্ভাবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে আলোকপাত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া, সদস্য দেশগুলো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং পারস্পরিক প্রবৃদ্ধি উৎসাহিত করতে একসঙ্গে কাজ করবে।
মন্তব্য করুন


ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা আম্পায়ারদের একজন হ্যারল্ড ডেনিস বার্ড আর নেই। ৯২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন প্রথম তিন বিশ্বকাপের ফাইনালে দায়িত্ব পালন করা এই ইংলিশ আম্পায়ার।
ইয়র্কশায়ার মঙ্গলবার বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিজ বাড়িতে এদিন মৃত্যুবরণ করেন ক্রিকেট বিশ্বে ডিকি বার্ড নামে পরিচিত এই আম্পায়ার।
১৯৫৬ সালে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে ইয়র্কশায়ারের হয়ে পেশাদার ক্রিকেটে পথচলা শুরু করেন ডিকি বার্ড। পরে ২০১৪ সালে ক্লাবটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
আট বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে ৯৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ২০.৭১ গড়ে তিন হাজার ৩১৪ রান করেন বার্ড। দুই সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি করেন ১৪টি। দুটি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে করতে পারেন কেবল ৯ রান।
এরপর আম্পায়ারিংকে পেশা হিসেবে বেছে নেন বার্ড। ১৯৭০ সালের মে মাসে পেশাদার আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক হয় তার। তিন দশকের ক্যারিয়ারে ৬৬টি টেস্ট ও ৬৯টি ওয়ানডেতে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মেয়েদের সাতটি ওয়ানডেতেও ছিলেন আম্পায়ার।
৪৭টি প্রথম শ্রেণি ও মোট ১৯২টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন বার্ড।
বার্ডের অদ্ভুত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে বিখ্যাত ছিল সময়ানুবর্তীতা নিয়ে তার অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা। আম্পায়ার হিসেবে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে যেতে হয়েছিল লন্ডনে। ওভালে সারে ও ইয়র্কশায়ারের মধ্যকার ম্যাচটি শুরু হয়েছিল ১১টায়, কিন্তু বার্ড মাঠে পৌঁছে গিয়েছিলেন সকাল ৬টায়। তালাবদ্ধ মাঠের দেয়াল টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টায় পুলিশের হাতে ধরাও পড়েছিলেন তিনি।
১৯৯৬ সালে ভারত-ইংল্যান্ডের লর্ডস টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে ক্যারিয়ারের ইতি টানেন বার্ড। দুই দলের ক্রিকেটারদের ‘গার্ড অব ওনারে’ চোখে জল নিয়ে মাঠে নেমে প্রথম ওভারেই ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইক আথারটনকে এলবিডব্লিউ দেন তিনি। সেটি ছিল রাহুল দ্রাবিড় ও সৌরভ গাঙ্গুলির অভিষেক টেস্ট।
১৯৯৫ সালের ২৬ মে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচটি ছিল আম্পায়ার হিসেবে বার্ডের শেষ ওয়ানডে। ২০০০ সালে সবশেষ একটি অনানুষ্ঠানিক ওয়ানডে ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৮৬ সালে এমবিই (মেম্বার অব দা অর্ডার অব দা ব্রিটিশ এম্পায়ার) ও ২০২১ সালে ওবিই (অফিসার অব দা অর্ডার অব দা ব্রিটিশ এম্পায়ার) স্বীকৃতি পান তিনি।
মন্তব্য করুন


জুলাই
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহত ছাত্র জনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫
এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
আজ
বৃহস্পতিবার (২২ মে) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ
ইউনূস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের ২৯ তম বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।
বিকেলে
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা সুমন মেহেদী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মুক্তিযুদ্ধ
বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে উত্থাপিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহত ছাত্র জনতার
কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং
সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে যা মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো
হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে
আরো জানানো হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহত ছাত্র জনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন
অধ্যাদেশ ছাড়াও আরো কয়েকটি বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
এর
মধ্যে রয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন দ্য প্রটেকশন এন্ড কনজারভেশন অব
ফিশ (আমেনমেন্ট) ২০২৫ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের
ভেটিং সাপেক্ষে এটির অনুমোদন দেয়া হয়।
বাংলাদেশ
ও নেদারল্যান্ড সরকারের মধ্যে নৌ প্রতিরক্ষা সামগ্রী সংক্রান্ত সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা
স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ
বিভাগ থেকে উত্থাপিত সংস্কার কমিশনের সুপারিশের মধ্যে আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ সমূহের
বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান বিষয়ে বলা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক উত্থাপিত সংস্কার
কমিশনের সুপারিশ সমূহ বাস্তবায়নযোগ্য কিনা, বাস্তবায়নযোগ্য হলে সম্ভাব্য সময় এবং বাস্তবায়নের
প্রভাব সংশ্লেষের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিভাগ দফা ওয়ারী সুচিন্তিত মতামত মন্ত্রী
পরিষদ বিভাগের মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে উপস্থাপন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে
সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবে।
মন্তব্য করুন


আজ
(৩০ জানুয়ারি) বিকালে বসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন। একাদশ জাতীয় সংসদের
মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল (২৯ জানুয়ারি)।
রাষ্ট্রপতির
ভাষণের মধ্য দিয়ে বিকেল ৩টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হবে।
সংখ্যাগরিষ্ঠ
দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বর্তমান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল
হক টুকুকে একই পদে মনোনীত করেছে। ফলে তারা আবারও নির্বাচিত হবেন। সংসদ নেতা হিসেবে
নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর উপনেতা মতিয়া চৌধুরী। বিরোধী দলীয় নেতা
হয়েছেন জাতীয় পার্টির জি এম কাদের ও উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
অধিবেশনের
প্রথম দিনেই রাষ্ট্রপতি স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন বলে জানিয়েছে
সংসদ সচিবালয়। এরপর নতুন সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রথমবারের মত ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। পরে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ
আলোচনায় অংশ নেবেন সদস্যরা।
সংসদে
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদীয় কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। এতে
অধিবেশনের কার্যকাল ও আলোচ্যসূচি ঠিক করা হবে।
প্রথম
অধিবেশন সংসদ থেকে সরাসরি দেখার জন্য বিদেশি কূটনীতিকসহ বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো
হয়েছে।
এদিকে
সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বৈঠকে বসবেন ।
সোমবার (১২ আগস্ট) সচিবালয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা জানিয়ে ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, আমাদের কাছে কিছু অভিযোগ এসেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর এবং উপাসনালয় আক্রমণ হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে ধর্ম মন্ত্রণালয় সব সময় আছে। আগেও ছিল এখনো আছে, আগামীতেও থাকবে। এখন আমরা জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত উপাসনালয় এবং যাদের বাড়িঘর বা অন্যান্য ক্ষতি হয়েছে, তাদের তালিকা সংগ্রহ করছি।
সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয় এবং বাড়িঘরে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ বৈঠক হচ্ছে।
খালিদ হোসেন বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণকারীরা দুর্বৃত্ত। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, আগামীকাল বিকেলে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের একটা বৈঠকের ব্যবস্থা করেছি। ওখানে আমরা আরও বিস্তারিত কথা শুনবো। আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য কতটুকু করতে পারি সেই বিষয়ে আমরা কালকে সিদ্ধান্ত নেব। এছাড়া মাঝখানে পুলিশের অনুপস্থিতির কারণে আক্রমণটা একটু বেশি হয়েছে। পুলিশ যেহেতু যোগদান করেছে আমরা আশাবাদী এরকম দুর্ঘটনা আর ঘটবে না।
পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ প্রতিরোধে তথ্য জানানোর জন্য একটি হটলাইন চালু করা হবে বলেও জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির মধ্যে বৈঠক হয়েছে।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বুধবার (সেপ্টেম্বর ২৫) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের সাইডলাইনে এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে উভয় নেতা দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
এর আগে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের সাইডলাইনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
মন্তব্য করুন


দেশের
বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তিনি উপদেষ্টা পরিষদের
সদস্যদের বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত কেবিনেট সভায় এই নির্দেশনা দেন
তিনি।
দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে
উপদেষ্টারা এই জেলাগুলো পরিদর্শন করবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস
ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আজ কেবিনেট বৈঠকে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা
হয়েছে এবং ড. ইউনূস উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনের কথা
বলেছেন।’
তিনি আরো জানান, ১০ জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে এবং সর্বশেষ হিসাবে ৩৬ লাখ মানুষ
বন্যাকবলিত হয়েছে।
আবহাওয়া
অধিদপ্তরকে উদ্ধৃত করে শফিকুল আলম জানান, দীর্ঘ সময় ধরে অতিবৃষ্টির কারণে বন্যা
পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ফিরে আসছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুরে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, সেনাবাহিনীকেও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যেন কার্যক্রমগুলো দ্রুত হয়। এছাড়া
সারাদেশে যে মামলাগুলো রয়েছে, এর মধ্যে অনেকগুলোই গ্রহণযোগ্য নয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের আহ্বান রয়েছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই যেন মামলাগুলো করা হয়। সেই মামলার ভিত্তিতেই যেন পুলিশসহ প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে ও জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রাষ্ট্রীয় সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে নাহিদ বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের ৬টি সংস্কার কমিটি হয়েছে। বৃহস্পতিবার কমিটির সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। অক্টোবর মাস থেকেই সংস্কার কমিটির কার্যক্রম শুরু হবে। শিক্ষা ও গণমাধ্যমসহ আরও কিছু সংস্কার কমিশন গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে। কমিশনগুলো সংশ্লিষ্ট ও অভিজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রূপরেখা তৈরি করবে। তখন সব রাজনৈতিক ও সামাজিক পক্ষ মিলেই আমরা রূপরেখা অনুযায়ী সংস্কার কার্যক্রম শুরু করব।
তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের বড় দুর্যোগ এসেছে আমাদের দেশে। আমরা দেখেছি, এ দুর্যোগে দেশের জনগণ সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে। ছাত্ররাসহ একত্রে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জনগণ ও প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, এখন আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের কার্যক্রমের দিকেই যাচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজটি এগিয়ে নিতে আমরা কাজ করছি। পানি কমছে, মানুষজনও আশ্রয়কেন্দ্র থেকে চলে যাচ্ছে। লক্ষ্মীপুরে পানি দেরি করে কমছে, কারণ এখানে খালগুলো দখল হয়ে গেছে। সে খালগুলো যদি দখলমুক্ত করা যায়, তাহলে তা দীর্ঘমেয়াদি সুরাহা হবে। এখানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের গৃহ নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে বরাদ্দ পাঠানো হয়েছে। সে বরাদ্দ অনুযায়ী খুব শিগগিরই গৃহ নির্মাণ করা হবে। জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসনের জন্য শিক্ষা-স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে এ জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার জন্য সরকার সার্বিকভাবে কাজ করবে।
লক্ষ্মীপুরে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে এসময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার, জেলা পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভি দাশ ও সদর মডেল থানার ওসি ইয়াছিন ফারুক মজুমদার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন


বেসামরিক বিমান পর্যটন ও ভূমি উপদেষ্টা
এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে আনুষ্ঠানিকভাবে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।
আজ রবিবার (২২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার
কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পরিষদের এক বিশেষ সভায় এই শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সভায় শোক প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা সর্বসম্মতভাবে গৃহিত হয়।
সভায় রিজওয়ানা হাসান জানান, আগামীকাল
সকাল সাড়ে দশটায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি হামিদুর রহমানের
কবরের পাশে হাসান আরিফকে সমাহিত করা হবে।
সভার শুরুতে উপদেষ্টা হাসান আরিফের
মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ
অন্য উপদেষ্টারা হাসান আরিফের স্মৃতিচারণ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, আজ ছোট ছোট অনেক কথাই মনে পড়ছে, তিনি সবসময় আমাকে মনে করিয়ে দিতেন- আমরা
কিন্তু সমবয়সী। শিশুর মতো সরল ব্যবহার ছিল তার। যতরকম সমস্যা দেখা দিয়েছে, যেখানে কোনো
কোন্দল দেখেছেন, তিনি হাজির হয়েছেন তার সমাধানে। এ এক অপূর্ব লোক, আমাদের মাঝ থেকে
চলে গেলেন।
অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন
আহমেদ বলেন, হাসান আরিফ ছিলেন একজন বিরল ব্যক্তিত্ব এবং সদা হাস্যময়।
অতীতের কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করে
পাট বস্ত্র ও নৌপরিবহণ উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ব্যক্তিগতভাবে হাসান আরিফের
মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত।
সমাজকল্যাণ এবং নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ বলেন, এখানে কাজ করতে এসে উনার সঙ্গে একটা সুন্দর সম্পর্ক গড়ে
উঠেছিলো। উনি আমাদের জন্য ছিলেন এক ইতিবাচক প্রেরণা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা
আখতার বলেন, আজকে আমাদের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আমরা হাসান আরিফকে মিস করছি। উনাকে
ছাড়া আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান
খান আইনজীবী হিসেবে হাসান আরিফের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, উনি ছিলেন
মানবাধিকার রক্ষায় সব সময় সোচ্চার।
সভায় আদিলুর রহমান জানান, মানবাধিকার
সংগঠন অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি হিসেবেও কাজ করেছেন হাসান আরিফ।
আইন ও বিচার এবং প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা
আসিফ নজরুল বলেন, হাসান আরিফ ছিলেন একজন কর্মনিষ্ঠ ও পরিশ্রমী মানুষ। সবগুলো নথি তিনি
খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন,
হাসান আরিফ কখনো কোনো কাজকে কম গুরুত্বের সঙ্গে নিতেন না।
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর
আলম চৌধুরী বলেন, হাসান আরিফ ছিলেন অমায়িক এক মানুষ, যেকোনো সমস্যা উনার সঙ্গে আলোচনা
করে সমাধান করা যেত।
জ্বালানি ও সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ
ফাওজুল কবির খান বলেন, আমাদের সমাজে বিভেদ অনেক বেশি। এই বিভেদ জোড়া লাগানোর মানুষ
আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। সর্ব মহলে উনার গ্রহণযোগ্যতা ছিল।
১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি
চুক্তি স্বাক্ষরের সময় হাসান আরিফের ভূমিকা স্মরণ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, উনি পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষদের নিয়ে অনেক ভাবতেন। তাঁর মৃত্যুতে
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হলো পার্বত্য অঞ্চলের মানুষদের।
স্থানীয় সরকার ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ
মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে এসে হাসান আরিফকে চিনেছি, উনাকে সব সময় শিক্ষকের
মতো পাশে পেয়েছি।
তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, উনার
সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে একবারও আমাদের বয়সের পার্থক্য বুঝতে পারিনি। তিনি সবার সঙ্গে আন্তরিকভাবে
মিশতেন।
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন,
২০০৮ সালে অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন আয়োজনে আন্তরিকভাবে কাজ করতে দেখেছি উনাকে। এবারও
উনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী পরিষদ
সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, বেসামরিক বিমান সচিব নাসরীন জাহান, ভূমি সচিব এ এস এম সালেহ
আহমেদ।
মন্তব্য করুন


ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের দাবি দীর্ঘ ৪০ বছর পর পূরণ হতে যাচ্ছে।
এমপিওভুক্তির প্রস্তাবের ফাইলে শেষদিন বুধবার (৫ মার্চ) স্বাক্ষর করে গেছেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ফলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা এমপিওভুক্ত হচ্ছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রথম ধাপে ১ হাজার ৫১৯ ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ৬ হাজারের বেশি শিক্ষকের ভাগ্য খুলছে।
আজ বিদায়ী বক্তব্যে বিষয়টির ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ নিজেই। আজ বুধবার (৫ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শেষ কর্মদিবসে সেই ফাইলে স্বাক্ষর করে গেছেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা। সেই ফাইল এখন প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হবে। তার সম্মতি মিললে মে মাসের মধ্যে শিক্ষকরা বেতন-ভাতা পেতে পারেন।
তিনি বলেন, দেশে অনেক ইবতেদায়ী মাদ্রাসা আছে। এর মধ্যে অনেকগুলো অনানুষ্ঠানিক। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠানের নথি (রেজিস্ট্রেশন) আছে। সরকারি প্রাথমিক স্কুলের মতো তারা বাংলা, ইংরেজি, গণিত পড়াচ্ছে। অবকাঠোমো, শিক্ষক থাকার পরও তাদের এমপিওভুক্ত করা হয়নি। তাদেরকে এমপিওভুক্ত করা সম্ভব। সেই কাজ আমি করে দিয়েছি।
এদিকে আজ বঙ্গভবনে নতুন শিক্ষা উপদেষ্টার শপথ অনুষ্ঠানে এই শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়টি অর্থ বিভাগের সচিবকে অবহিত করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা। এ সময় অর্থ সচিব প্রধান উপদেষ্টার সম্মতি মিললে টাকা ছাড় করার বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।
মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস থেকে ইবতেদায়ী শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার জন্য কাজ করছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ। সারা দেশে এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনাক্তকারী নম্বর আছে (ইআইআইএন) এমন ১ হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসাকে এমপিও করার ফাইল প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হবে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, বিদায়ী উপদেষ্টা এই ফাইলে স্বাক্ষর করেছেন। ফাইলটি এখন প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের অনুমতির জন্য পাঠানো হবে। তিনি সদয় অনুমতি দিলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা হবে।
কতদিন লাগতে পারে- জানতে চাইলে সচিব বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় চলতি বছরের বাজেট বরাদ্দ থেকে অর্থ ছাড়ের আশ্বাস দিয়েছেন। মে মাসের বেতন যেন শিক্ষকরা পান সেই চেষ্টা চালাচ্ছি।
মন্তব্য করুন