

পবিত্র হজ পালন করতে শুক্রবার (৩১ মে) রাত ২টা পর্যন্ত সর্বমোট ৫৩ হাজার ১৮০ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন ৮ জন। তারা মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে পৌঁছান মোট ১৩৬টি ফ্লাইটে। এ তথ্য জানা গেছে, শনিবার (১ জুন) সকালে হজ পোর্টালে আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে।
জানা যায়, সর্বমোট ৫৩ হাজার ১৮০ জন হজযাত্রীর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৪৯ হাজার ৪৩৩ জন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ জুন। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন। আগামী ২২ জুলাই দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে।
মন্তব্য করুন


সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শোক বার্তায় তিনি বলেন, জাতি একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদকে হারালো।
আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান- জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।
বার্তায় শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি শোক জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। চিকিৎসক ও জনসেবক হিসেবে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সুদীর্ঘ ও বহুল সম্মানিত কর্মজীবনের কথা স্মরণ করেন তিনি।
ডা. বদরুদ্দোজা দেশের একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক হিসেবে সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্যের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। বিটিভিতে তার ‘আমার ডাক্তার’ অনুষ্ঠানটি কোটি দর্শকের কাছে জনপ্রিয় ছিল।
‘রাজনীতিতেও একই নিষ্ঠা নিয়ে এসেছিলেন ডা. বদরুদ্দোজা। পাঁচবারের সংসদ সদস্য হিসেবে নব্বইয়ের দশকে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। সংসদে তার বক্তব্য সব মতের রাজনীতিবিদদের কাছে প্রশংসনীয় ছিল,’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন।
ডা. বদরুদ্দোজা প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট, উপ-প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী হিসেবে দেশের সেবা করেছেন। তিনি তার উদারতার জন্য সুপরিচিত ছিলেন।
ডা. বদরুদ্দোজার জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সবাইকে জনগণ ও গণতন্ত্রের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন


আগামীতে আইনকানুন এবং সংস্কারের মাধ্যমে
নির্বাচনে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
তিনি বলেছেন, নির্বাচনে কেউ জিতলে পরাজিত
বা অন্যরা আর সন্দেহ করবে না। ভাববে না যে, কলকাঠি নেড়ে কাউকে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার (ফেব্রুয়ারি ১৫) রাজধানীর
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এসব কথা
বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নতুন বাংলাদেশ
মানে নতুন নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার গঠন হবে তার ব্যাপারে কেউ প্রশ্ন
তুলবে না। সেটার ব্যাপারে আইনকানুন সবার জানা থাকবে, এটা নড়চড় করার উপায় কারো থাকবে
না। আইনকানুন বানানোর পরে সেটা নড়চড় করার সুযোগ থাকবে না সেজন্যই এত বড় কমিশন করতে
হয়েছে। এই যে আইনকানুন, নীতিমালা বানিয়ে দেব। একবার বানিয়ে দিলে তারপর থেকে চলতে থাকবে।
একটা ট্র্যান্সপারেন্ট খেলা হবে। খেলায় জিতলে কেউ সন্দেহ করবে না যে কেউ জিতিয়ে দিয়েছে।
এতো ট্রান্সপারেন্ট যে, কেউ সন্দেহ করবে না।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, এখন
যে খেলা চলছে, ঠিকমতো জিতলেও সন্দেহ করে। বলে কিছু একটা কলকাঠি নেড়ে করেছে। এই কলকাঠি
নাড়ার বিষয়টি আমাদের মনের ভেতর গেঁথে গেছে। কলকাঠি ছাড়া যে দেশ একটা নিয়মে চলতে পারে
সেটা আমরা ভুলে গেছি।
সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি
বলেন, এটা সবার স্বপ্ন। এই স্বপ্ন আমরা এমন মজবুতভাবে বানাব যা সবাই মেনে চলবে। এই
মেনে চলার মাধ্যমে আমরা একটা সুন্দর সমাজ, সুন্দর রাষ্ট্র উপহার দিতে পারব। সেই উদ্দেশ্যেই
আজকের সভা।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রচণ্ড
সুযোগ এখন। সুযোগ এজন্যই যে, আমাদের মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টি হলে আমরা সেগুলো কাজে লাগাতে
পারি এমন পর্যায়ে আছি আমরা। একবার কাজে লাগালে সেটা বংশ, প্রজন্ম ও পরম্পরায় সেটা চলতে
থাকবে। একটা সুন্দর দেশ আমরা পাব। এই ভাবনা থেকেই আমরা এগুলো গ্রহণ করব।
অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন অধ্যায় শুরু
হয়েছে মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে প্রথম ইনিংস
বা প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। আজ রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো।
আলোচনাটা কত সুন্দর হবে, কত মসৃণ হবে সেটা আপনাদের ওপর নির্ভর করবে। আমাদের পক্ষ থেকে
আমরা সুপারিশগুলো উপস্থাপন করবো। কমিশনের সদস্যরা এখানে রয়েছেন এগুলো ব্যাখ্যা করার
জন্য, চাপিয়ে দেওয়ার জন্য না। চাপানোর ক্ষমতা আমাদের নাই। আমরা শুধু আপনাদের বোঝানোর
জন্য।
সংস্কার বাস্তবায়ন সবার দায়িত্ব উল্লেখ
করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আপনাদের সহযোগিতা চাই এটা বলব। কারণ, এটা
আপনাদের কাজ। এটা আমার কাজ না, একার কাজ না। যেহেতু আপনারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন
আপনাদের বলতে হবে সমাজের কল্যাণে কোন কোন জিনিস করতে হবে, কীভাবে করতে হবে। যেটা এক্ষুণি
করা যাবে বলবেন। যেটা এক্ষুণি করা দরকার, সামান্য রদবদল থাকলে সেটা করে দেন। আমরা শুধু
সাচিবিক কাজগুলো আপনাদের করে দিলাম। আমরা একটা লন্ডভন্ড অবস্থার মধ্য দিয়ে দায়িত্ব
নিয়েছি। চেষ্টা করেছি এটাকে কোনোরকমে সফল করতে। এই ৬ মাসের যে অভিজ্ঞতা সেটা আমাদের
সবাইকে প্রচণ্ড সাহস দেবে। এই ৬ মাসের অভিজ্ঞতা হলো, দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ,
রাজনৈতিক ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সবাই সমর্থন দিয়েছে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে।
কাজেই আমরা প্রথম পর্বের পর দ্বিতীয় পর্বে এলাম। ২য় পর্বে যেন আমরা আনন্দের সঙ্গে,
খুশি মনে সম্পন্ন করতে পারি।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) অধীনে থাকা শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার পি এস মাহসুদ প্রয়োজনীয় মেরামত করে প্রমোদতরী হিসেবে পুনরায় চালুর সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বাস জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টাকে এ বিষয়ে অবহিত করেছেন নৌ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান সলিম উল্লাহ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের বৈচিত্র্যপূর্ণ নৌকার ডিজাইন পুরো পৃথিবীতে বিখ্যাত। অথচ এগুলো সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানে না। আমাদের এই ঐতিহ্যকে হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। প্যাডেল স্টিমার-সহ যত পুরোনো নৌযান আছে সবকটিই সংরক্ষণে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
প্যাডেল স্টিমারটি চালু হলে তা দেশে ও বিদেশের বহু পর্যটকের আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে আশা করছেন বিআইডব্লিউটিসি’র কর্মকর্তারা। বিদেশি পর্যটকদের জন্য এতে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার, বাংলা গানের পরিবেশনা-সহ নানান আকর্ষণ থাকবে।
কর্মকর্তারা জানান, সপ্তাহে সাতদিনই প্রমোদতরীগুলো চলবে। পাঁচ ঘণ্টার দীর্ঘ যাত্রার পাশাপাশি ২-৩ ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত যাত্রার ব্যবস্থাও থাকবে।
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী এই প্যাডেল স্টিমারগুলোতে ইতিহাস সংরক্ষণ করতে হবে। যারা এতে যাত্রা করবে তারা যেন ইতিহাসটা জানতে পারে। কত বছর আগের স্টিমার, কী নাম, তখনকার দিনে কত আনা ভাড়া নিত, এর পেছনের গল্পটা কী সেগুলো যেন সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়।’
এসময় নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘পি এস মাহসুদ কেবল একটি নৌযান নয়, এটি বাংলাদেশের নদীজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জীবন্ত প্রতীক। আমরা চাই, নতুন প্রজন্ম কাছ থেকে দেখুক, একসময় নদীপথই ছিল যোগাযোগ ও সংস্কৃতির প্রাণ।’
পি এস মাহসুদের পাশাপাশি পি এস অস্ট্রিচ ও পি এস লেপচাসহ অন্য পুরোনো স্টিমারগুলোও সংস্কারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং চট্টগ্রামের কাপ্তাই লেকেও প্রমোদতরী হিসেবে একটি স্টিমার চালুর বিষয়ে ভাবা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তরুণরা যেন বাংলাদেশের এই মূল্যবান ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারে সেজন্য বিশেষ দিনে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য এই প্রমোদতরীর বিশেষ যাত্রার আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে বলে বিআইডব্লিউটিসি’র কর্মকর্তারা জানান।
মন্তব্য করুন


নতুন বছর- ২০২৫ উপলক্ষে দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১ জানুয়ারি) খ্রিষ্টীয় নতুন বছর উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘নতুনের আগমনী বার্তা আমাদের উদ্বেলিত করে, নব উদ্যমে সুন্দর আগামীর পথচলার জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়।
নতুন বছরের এই মাহেন্দ্রক্ষণে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নতুন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উন্নতির নতুন শিখরে আরোহণে অঙ্গীকারবদ্ধ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার লাখো শহীদের রক্ত ও গত জুলাই-আগস্ট মাসে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অর্জিত স্বাধীনতাকে সর্বদা সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার করছে। আমরা দেশকে ভালোবাসবো, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করবো এবং যেকোনো সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করবো।’
নতুন বছরে মানুষে-মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও জোরদার হোক এই কামনা করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২৫ সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী সোমবার দুই দিনব্যাপী সিভিল
সার্জন সম্মেলন উদ্বোধন করবেন।
আজ
বৃহস্পতিবার (৮ মে) এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা আগামী ১২ মে (সোমবার) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে তাঁর তেজগাঁওস্থ
কার্যালয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।
মন্তব্য করুন


জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে নিউইয়র্ক সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) স্থানীয় সকাল ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা।
এর আগে নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১১টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল) প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীরা এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন।
তার আগে ৯ দিনের সফরে গত ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক যান প্রধান উপদেষ্টা। এবার প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন মধ্যে- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা। এ ছাড়া জামায়াত নেতা নকিবুর রহমান তারেক যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতিনিধি দলে যুক্ত হন।
সফরে প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বক্তব্য দেওয়া ছাড়াও সাইডলাইনে বিভিন্ন সরকার ও রাষ্ট্র প্রধান, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মন্তব্য করুন


‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (০৭ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নারীদের সম্ভাবনা ও কর্মদক্ষতাকে উৎপাদনমুখী কাজে সম্পৃক্ত করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের নারীরা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নারী সমাজের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’
ড. ইউনূস বলেন, ৮ মার্চ- আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। নারী অধিকার রক্ষায় এই দিনটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর উদযাপিত হয়। এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়: ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন-নারী ও কন্যার উন্নয়ন’।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষায় ছাত্র-শ্রমিক-জনতা যে অভ্যুত্থান সংগঠিত করেছিল গত জুলাই-আগস্টে তার সম্মুখ সারিতে ছিল নারী। লাখ লাখ ছাত্রী বিভিন্ন ক্যাম্পাসে দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়েছে। একাধিক নারী এই গণ-অভ্যুত্থানে শাহাদতবরণ করেছেন। আমি এই গণ-অভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি এবং জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। তারা এগিয়ে যাচ্ছে সর্বক্ষেত্রে। নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
তিনি আরও বলেন, নির্যাতিত, দুস্থ ও অসহায় নারীদের জন্য শেল্টার হোম, আইনি সহায়তা দিতে ‘মহিলা সহায়তা কেন্দ্র’, কর্মজীবী মহিলাদের আবাসন ও নারীদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সহায়তা ও ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ড. উইনূস বলেন, বাংলাদেশের অদম্য মেয়েরা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বমহিমায় এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন


ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের
তদন্তে জাতিসংঘকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক
আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তার্ক।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার
(৩০ আগস্ট) এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র
রাভিনা শামদাসানি।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের এই মুখপাত্র
জানান, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন সত্য অনুসন্ধান পরিচালনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনুসের কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেয়েছেন ফলকার তার্ক। গত ১ জুলাই থেকে
১৫ আগস্টের ঘটনাগুলোর তদন্তে জাতিসংঘকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ন্যায়বিচার, জবাবদিহি ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের জন্য আগামী সপ্তাহের কোনো একসময় বাংলাদেশে জাতিসংঘের একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দল আসার কথা রয়েছে। দলটিকে পূর্ণ সহযোগিতার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন তারা।
মন্তব্য করুন


বৈঠকে
বসেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এরআগে শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের জন্য হোটেল ডোরচেস্টারে পৌঁছেন তারেক রহমান। এদিন বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে বাসা থেকে রওনা হন তিনি।
এ সময় তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপার্সনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের রুদ্ধদ্বার এই বৈঠক দুই ঘণ্টা ধরে চলবে। বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপসহ অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত নানা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হবে। তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টিও আসতে পারে আলোচনায়।
মন্তব্য করুন


নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখ নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর
সদস্যদেরকে দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তোরণে
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। একটি নির্বিঘ্ন
ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে
দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের
সকল শহীদ, যুদ্ধাহত এবং অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করেন এবং ২০২৪ এর জুলাই-আগস্ট
মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সকল শহীদ, আহত এবং অংশগ্রহণকারী সর্বস্তরের জনগণের প্রতিও
শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম ১৯৭১ সালে
রণক্ষেত্রে। সেসময় ২১ নভেম্বর সেনাবাহিনীর সাথে নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি
বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছিল বলে ২১ নভেম্বরকে মুক্তিযুদ্ধের একটি মাইলফলক হিসেবে গৌরবের
সাথে পালন করা হয়। তবে মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর সংগ্রামের সূচনা ঘটে ২৫শে মার্চের
রাত থেকেই। আমরা যদি বিজয় অর্জন না করতাম তাহলে এই বীর সেনাদের মৃত্যুদন্ড ছিল অনিবার্য,
অসহনীয় হয়ে যেত তাঁদের পরিবারের সকল সদস্যের জীবন।
ড. ইউনূস আরও বলেন, মুক্তিকামী সেনা, নৌ ও বিমান
বাহিনীর অকুতোভয় বীর সেনানীরা জীবনের পরোয়া না করে, পরিবারের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা
না করে এদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তারাই এদেশের আপামর জনসাধারণকে সাহস
জুগিয়েছেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জল-স্থল ও আকাশপথে সম্মিলিতভাবে
প্রতিরোধ গড়ে তুলে দেশমাতৃকাকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে এনেছেন। যুদ্ধ বেগবান
ও সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে তখন বাংলাদেশ ফোর্সেস গঠন করা হয়েছিল। যার অধীনে ১১টি সেক্টরে
দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে আসা মুক্তিযোদ্ধাদের সামরিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি গেরিলা প্রশিক্ষণ
দেওয়া হয়।
এরই চূড়ান্ত রূপ আমরা দেখি ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর
সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সম্মিলিত অভিযানে। পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে
এই যৌথ অভিযানই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের চুড়ান্ত বিজয়
এনে দিয়েছিল।
তিনি উল্লেখ করেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র
বাহিনীর অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
ড. ইউনূস বলেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ
জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনী সবসময় জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে এবং
২০২৪ এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও চলমান দেশ পুনর্গঠনের কাজে সশস্ত্র বাহিনী মানুষের
পাশে দাঁড়িয়ে আস্থার প্রতিদান দিয়েছে। তিনি গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক নেতৃত্বের প্রতি
অনুগত থেকে বাহিনীর পেশাগত দক্ষতা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে এই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন থাকবে
বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, একটি শান্তি প্রিয় জাতি হিসেবে আমরা সকল
বন্ধু রাষ্ট্রের সাথে সম্মানজনক সহাবস্থানে বিশ্বাসী। তথাপি, যেকোন আগ্রাসী বহিঃশত্রুর
আক্রমন থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমাদেরকে সদা প্রস্তুত এবং সংকল্পবদ্ধ থাকতে
হবে। এ লক্ষ্যে আমাদের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন, উন্নত প্রশিক্ষণ এবং উন্নত
বিশে¡র সাথে তাল মিলিয়ে বাহিনীগুলোতে যুগোপযোগী প্রযুক্তি সংযোজনের প্রয়াস অব্যাহত
রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, বিগত ৩৭ বছরে জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা ৪৩ টি দেশে ৬৩ টি মিশন সম্পন্ন করেছে এবং বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ১০টি মিশনে অংশগ্রহণকারী রয়েছে। তিনি বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের সাফল্যের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা যাতে বিশ্বের চ্যালেঞ্জিং ও বিপদজনক অঞ্চল সমূহে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারে সেজন্য তাদের সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রাপ্তির চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
(সূত্র- বাসস)
মন্তব্য করুন