চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর
প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অসীম জাওয়াদ নামে এক পাইলট নিহত। এ ঘটনায় হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন রয়েছেন আহত কো-পাইলট।
আজ (৯ মে) দুপুর সাড় ১২টার দিকে পতেঙ্গার
বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) পাইলট জাওয়াদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের
উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা।
শাকিলা সোলতানা বলেন, বিমান বাহিনীর
বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের পাইলট ও কো-পাইলট প্যারাসুট দিয়ে নেমে এলে তাদেরকে আহত
অবস্থায় উদ্ধার করে বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুর ১টার দিকে তাদের
মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অসীম জাওয়াদ নামে একজনের মৃত্যু হয়। অন্যজনের চিকিৎসা চলছে।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক
গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলীম আহমেদ জানিয়েছেন, অবতরণের সময় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান
ওয়াইএকে১৩০ এয়ারফোর্স ট্রেনিং ফাইটার বিধ্বস্ত হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানী ঢাকাকে নিরাপদ করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদা তৎপর। পুলিশ দিনরাত কাজ করছে। প্রত্যেক পেট্রল পাম্পে রাতে একবার হলেও পুলিশ খোঁজ নিচ্ছে। অবরোধ চলাকালে পুলিশের কর্মকাণ্ড কিন্তু দৃশ্যমান। পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করছে। আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম ও অব্যাহত আছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, কীভাবে নিরাপদে আমরা সামনের দিনগুলোতে চলতে পারি, এটাই এখন আমাদের মূল উদ্দেশ্য। একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি চলছে। আপনারা জানেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকবে, এটিই স্বাভাবিক। সবাইকে এটি মেনে নিতে হবে। কারণ আমরা একেকজন একেক দল পছন্দ করি।
দেশের বিভিন্ন স্থানে যারা গাড়িতে আগুন দিচ্ছে,পেট্রল বোমা মারছে, সহিংসতা-নাশকতা করছে তাদের অনেককে আমরা হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছি, অনেককে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন বললেন ডিএমপি কমিশনার ।
তিনি আরও বললেন নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিলে ২০ হাজার নগদ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রতিরোধ গড়তে হবে, এ ধরনের ঘটনা যাতে তারা না ঘটাতে পারে, বলেন তিনি।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা শাখা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার লেখা বই ‘বঙ্গবন্ধু থেকে দেশরত্ব: অনুপ্রেরণার মহাকাব্য’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন। এসময় গ্রন্থকার বিপ্লব বড়ুয়া ও প্রকাশক কবি তারিক সুজাতসহ মন্ত্রপরিষদের সদস্যবর্গ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বইটির মুখবন্ধ লিখেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গিত গ্রন্থটিতে দশটি প্রবন্ধ, যা- বাঙালির চিরঞ্জীব অনুপ্রেরণার মহাকাব্য, বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর অনন্য সংগ্রাম, মহান পিতার সুযোগ্য কন্যা, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরদ্ধারের দিন ৭ মে ২০০৭, ৩১ জানুয়ারি ১৯৯৬: ভুলে যাওয়া এক অভিশপ্ত দিন, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ নিয়ে বিএনপি'র রাজনীতি, পদ্মা সেতুবিরোধী ষড়যন্ত্র ও ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি, ১৫ ফেব্রুয়ারির বিএনপি'র নির্বাচন এবং ইতিহাসের কালো অধ্যায়, নির্বাচন কমিশন গঠন আইন: অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণ শিরোনামে সংকলিত হয়েছে। লেখাগুলোতে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপান্তের আলোকে বিশ্লেষণের মাধ্যমে নির্মোহ সত্যাসত্য উপস্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে গ্রন্থকারের জীবনাভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে দুটি রাজনৈতিক স্মৃতিগদ্যও রয়েছে।
শেষ অধ্যায়ে বিপ্লব বড়ুয়া প্রদত্ত একটি ইংরেজিসহ মোট চারটি সাক্ষাৎকার গ্রন্থভুক্ত হয়েছে, যথা-সরকার ভারত বা চীনমুখী নয়, সম্পূর্ণভাবে দেশের জনগণমুখী, মুক্তির প্রশ্নে ভরসা কেবল শেখ হাসিনা, তরুণরা সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ, আমি বিশ্বাস করি না, এবং ‘‘Seventy-five is A Very Sensitive Term For Us’’ যেখানে গ্রন্থকারের রাজনৈতিক দর্শন ও দূরবৃষ্টি পাঠকের সামনে প্রতিভাত হয়ে উঠে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা মুখবন্ধে লিখেছেন, ‘পৃথিবীর অনেক রাজনীতিবিদের রচনাই ইতিহাসের অসামান্য দলিল হিসেবে স্বীকৃত। জাতির পিতার বইগুলো তার সঙ্গে উল্লেখযোগ্য সংযোজন। বিভিন্ন সময়ে পত্রিকায় প্রকাশিত বিপ্লবের লেখাগুলো গ্রন্থ হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে, এটি আমার কাছে অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। লেখাগুলোতে বাংলাদেশের রাজনীতির কিছু চিত্র তুলে ধরেছে বিপ্লব যা পাঠকের কাছে রাজনৈতিক প্রবন্ধ-পাঠের নতুন অভিজ্ঞতা হিসেবে গণ্য হবে।
বিপ্লবের মতো সকল রাজনৈতিক কর্মীরা সমাজ ও রাজনীতি নিয়ে নিয়মিত লিখবে, এ আমার প্রত্যাশা।’- বইটির মুখবন্ধ লেখা ও মোড়ক উন্মোচন করায় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা'র প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিপ্লব বড়ুয়া।
পাশাপাশি বইটির প্রকাশক ও উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকুরী শেষে
ফেয়ারওয়েল আছে, আছে এককালীন আর্থিক সুবিধা ও পেনশন সহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা।
কিন্তু যারা আল্লাহর ঘর মসজিদে খেদমতের কাজ করেন, দীর্ঘ দিন কাজ করার পরও তাদের
ভাগ্য জুটে না কোনো বিদায় সংবর্ধনা। তবে এবার স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের
ব্যতিক্রমী উদ্যোগ একই মসজিদে ৩৬ বছর খেদমত শেষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একজন
মুয়াজ্জিন পেলেন রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজ শেষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের নরোত্তমপুর
গ্রামের গুড়াগাজী বেপারী বাড়ি মসজিদে তাকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
জানা যায়, গুড়াগাজী জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন হুজুর। তিনি একই
মসজিদে একটানা ৩৬ বছর, ৩ যুগেরও অধিক সময় মুয়াজ্জিন হিসেবে খেদমত করে গেছেন। বয়স
এবং কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ায় দীঘ কর্মজীবন শেষে তিনি অবসর নেন। তার এই দীর্ঘ খেদমত
জীবনকে স্মরণীয় করতে রাখতে মসজিদ কমিটির পরিচালনা পরিষদ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী
সংগঠন মানবতা এক্সপ্রেসের পক্ষ থেকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ উপলক্ষে এলাকার হাজারো মুসল্লির উপস্থিতিতে তাদের পক্ষ থেকে নগদ এক লাখ
পঞ্চাশ হাজার টাকা সহ পরিবারের সদস্যদের জন্য উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে মুয়াজ্জিনকে।
এই সময় হাজারো মুসল্লি কয়েকটি পিকআপভ্যান এবং ফুলসজ্জিত একটি মাইক্রোবাসে করে
মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ হেলাল হুজুরকে ফুলেল শুভেচ্ছায় পুরো গ্রাম ঘুরিয়ে নিজ বাড়ীতে
পৌঁছে দেন। এইদিকে একজন দীর্ঘদিন মসজিদে খেদমত জীবন শেষে এমন শুভেচ্ছার উদ্যোগকে
স্বাগত জানান এলাকার অনেক উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ।
একজন সাধারণ মুয়াজ্জিন হিসেবে এমন বিরল সম্মান পেয়ে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে
আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ হেলাল হুজুর।
অনুষ্ঠিত সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখেন, মসজিদের উপদেষ্টা ও দৈনিক নয়াদিগন্তের নোয়াখালী
অফিস প্রধান মুহাম্মদ হানিফ ভুঁইয়া, সাংবাদিক তাজুল ইসলাম মানিক, স্থানীয় ইউপি
সদস্য জিল্লুর রহমান, সমাজ সেবক শরীফ উল্লাহ, সাংবাদিক মোঃ সুমন ভূঁইয়া,
মানবতা এক্সপেসের মনির হোসেন, মনসাদ আলম প্রমূখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, সরকারি এবং বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী জীবন শেষে
এককালীন আর্থিক সুবিধা ও পেনশন সহ নানা সুযোগ-সুবিধা আছে। কিন্তু আল্লাহর ঘর
মসজিদের খতিব, মুয়াজ্জিনদের জন্য এ সুবিধা না থাকলেও গুড়াগাজী জামে মসজিদের
মুয়াজ্জিন মোহাম্মদ হেলাল হুজুরের সম্মানজনক রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনার এই উদ্যোগ
আগামীতে অন্যান্য মসজিদের খতিব, মুয়াজ্জিনদের সম্মানে নতুন দিগন্ত উন্মেচিত হবে।
মন্তব্য করুন
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ১১০ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ৩৩৮ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদলির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তা অনুমোদন করেছেন কমিশন।
৩০ নভেম্বর সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলি করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশন। এজন্য কাদের বদলি করা হবে সেই প্রস্তাব পাঠানোর জন্যও বলে সংস্থাটি।
সেই নির্দেশনার আলোকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রস্তাব পাঠালে এর আগে ৪৭ জন ইউএনওকে বদলির অনুমোদন দেয় ইসি। পরবর্তীতে বুধবার ১১০ ইউএনও ও ৩৩৮ ওসি বদলির প্রস্তাব এলে তাও অনুমোদন দিল কমিশন।
মন্তব্য করুন
টানা
৪র্থবার ও সব মিলিয়ে
৫মবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন আওয়ামী
লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার
(১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা ৩ মিনিটে
বঙ্গভবনে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর
শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন।
শেখ
হাসিনা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাধীন
বাংলাদেশের ইতিহাসে ৪ মেয়াদে ২০
বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ শাসন করেছেন
শেখ হাসিনা।
২০২৯
সালে ৫ম মেয়াদ পূর্ণ
হলে তিনি স্বাধীন দেশে
২৫ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব
পালন করবেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ
হাসিনা প্রথম ১৯৮৬ সালে সংসদ
সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯১,
১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ এবং সর্বশেষ
২০২৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত
হন।
দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ
জয়ের পর তরুণ-প্রবীণদের
সমন্বয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন
করেছেন শেখ হাসিনা। ৫ম মেয়াদে
রাষ্ট্র পরিচালনায় এবার শেখ হাসিনার
সঙ্গী হচ্ছেন ২৫ জন মন্ত্রী
ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর
পর একে একে মন্ত্রী
এবং প্রতিমন্ত্রীদেরও শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি।
মন্তব্য করুন
৬
বছর বয়সী এক শিশুর লাশ ফেলে পালিয়েছেন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা
এক ব্যক্তি। হাসপাতালে আসার পর পুলিশকে নুরনবী
নামের এক ব্যক্তি নিজেকে ওই শিশুটির বাবা পরিচয় দেন। তিনি জানিয়েছিলেন, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী
কাজলা এলাকায় বাসার পাশে ভ্যানের ধাক্কায় আহত হয়েছিল শিশুটি।
শুক্রবার
(১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে শিশুটির মৃত্যু হয়।
ঢাকা
মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, সকালে নূরনবী নামে এক ব্যক্তি শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখন তিনি নিজেকে শিশুটির বাবা পরিচয় দেন এবং জানান তার বাসা যাত্রাবাড়ী কাজলা এলাকায়। সকালে বাসার সামনের রাস্তায় একটি ভ্যানের ধাক্কায় আহত হয়েছে শিশুটি। পরে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় নূরনবী নামে ওই ব্যক্তি।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের
চিকিৎসক ও নার্সরা জানান, সকাল ১০টার দিকে জরুরি বিভাগের ৪ নম্বর রুমে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
মারা যায় শিশুটি। এর পরপরই তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা ওই ব্যক্তি উধাও হয়ে যায়। এরপর
থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নুরনবীর বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ১ নম্বর
ওয়ার্ডে বলে জানিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন
ঢাক-ঢোল ও বাঁশি বাজিয়ে বাংলা নববর্ষ বরণে অনুষ্ঠিত হলো আজ শোভাযাত্রা। সকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ডিএমপি কমিশনার শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন।
এর
আগে সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রায়
প্রদর্শনীর জন্য বিভিন্ন মুখোশ, পেঁচা, ঘোড়া, মূর্তি, ট্যাপা পুতুল, নকশি পাখি, বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি শোভাযাত্রার জন্য প্রস্তুত করা হয়।
আজ
মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ছিল ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী।তার সাথে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার ৩৫ বছর পূর্তি হলো ।
চারুকলা অনুষদের
উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা
১৯৮৯ সালে । বাঙালি এ উৎসব
সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়। এরপর থেকে বাংলা বর্ষবরণের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে ।
ইউনেস্কোর
বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করে ২০১৬
সালের ৩০ নভেম্বর এ
শোভাযাত্রা।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের সাদাকাতুল ফিতরের (ফিতরা) হার নির্ধারণ করা হয়।
রমজানে এ বছর বাংলাদেশে ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর (২০২৩) সর্বোচ্চ ফিতরা ২ হাজার ৬৪০ টাকা, তবে সর্বনিম্ন ফিতরা ১১৫ টাকাই ছিল।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। এতে ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট আলেমরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাংবাদিকদের ফিতরার হার জানান।
সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয় যে, ইসলামী শরীয়াহ মতে মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী গম, আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের যে কোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করতে পারবেন। এসব পণ্যের বাজার মূল্য হিসাব করে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়। গম ও আটার ক্ষেত্রে এর পরিমাণ এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা’)। খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের (এক সা’) মাধ্যমে সাদকাতুল ফিতর (ফিতরা) আদায় করতে হয়।
হাফেজ মুফতি মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন জানান, উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ফিতরা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা’) বা এর বাজার মূল্য ১১৫ টাকা। যবের ক্ষেত্রে (এক সা’) ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৪০০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।
এছাড়া ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিস বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ১৪৫ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে। খেজুরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ৪৭৫ টাকা ও পনিরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে বলে জানান কমিটির সভাপতি।
ফিতরার পণ্যের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় মূল্য পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে বলেও জানান মাওলানা রুহুল আমিন।
নেছাব পরিমাণ (সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপার সমপরিমাণ) মালের মালিক হলে মুসলমান নারী পুরুষের ওপর ঈদের দিন সকালে সাদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব হয়। ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে ফিতরা আদায় করতে হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ বা ১১ এপ্রিল মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
মন্তব্য করুন
আগামী ১লা জানুয়ারি রাজধানী ঢাকায় নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানান, ঢাকা-১৩ আসনের নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।তিনি বলেন, ১লা জানুয়ারি বিকেল ৩টায় মোহাম্মদপুর শারীরিক চর্চা কেন্দ্র মাঠে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
গত বুধবার হজরত শাহজালাল ও হজরত শাহ পরানের মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে সিলেট সফর শুরু করেন শেখ হাসিনা। এরপর সিলেটের আলিয়া মাদরাসা মাঠে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন আওয়ামী লীগ প্রধান এবং সেই জনসভা থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।
২১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়িতে নির্বাচনী জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
২৩ ডিসেম্বর (শনিবার) বিকেলে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নেত্রকোনা, রাঙ্গামাটি এবং বরগুনা জেলার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলার জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করবেন তিনি।
আগামী ২৯ ডিসেম্বর বরিশাল সফরে যাবেন শেখ হাসিনা। এদিন বিকেল ৩টায় বরিশাল জেলা সদরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এর পর আগামী ৩০ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ এবং মাদারীপুর জেলা সফর করবেন আওয়ামী লীগ প্রধান। এদিন গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) আসন নিজের নির্বাচনী এলাকায় জনসভায় বক্তব্য দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এছাড়া এদিন মাদারীপুর-৩ আসনেও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন
নির্বাচনে
ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
দলের যে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাতে পারে বলেও জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার
(২৬ ডিসেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে
এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচন
বিশেষজ্ঞ দল। বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ২ সদস্য বিশিষ্ট
ইইউ দলে নেতৃত্ব দেন ডেভিড ওয়ার্ন। আওয়ামী লীগের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলের সাধারণ সম্পাদক
ওবায়দুল কাদের।
পরে
ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইইউ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে
জানতে চেয়েছে। কথা হয়েছে বিএনপির নির্বাচন পণ্ডের সহিংসতা নিয়ে। বিএনপি শান্তিপূর্ণ
নির্বাচনের জবাব দিচ্ছে সহিংসতা করে। দলীয় যে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ক্যাম্পেইন
চালাতে পারে। এখানে দোষের কিছু নেই। সে সুযোগ তাদের দেওয়া হয়েছে। কাউকে বহিষ্কার বা সদস্যপদ স্থগিত করার অধিকার জেলা-উপজেলা
কমিটির নেই। তারা শুধু কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠাতে পারে।
মন্তব্য করুন