

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে নিশ্চিত করে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন, এমন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আগামী ২০ এপ্রিলের পর শুরু হবে। এতে প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলার মাঠ পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।
কমিশনের জনসংযোগ শাখার পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানান, সচিবালয়ের নিজস্ব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ সব নির্বাচন সংশ্লিষ্ট এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণ সংক্রান্ত বিধি-বিধানের উপর নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এর আওতায় আগামী ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ১ম ও ২য় শ্রেণির কর্মকর্তাদের জন্য ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ এবং ২য় পর্যায়ের তফসিলে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এছাড়া বর্তমানে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ডি নথিবিষয়ক প্রশিক্ষণ চালু রয়েছে।
আবার ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে নতুন করে যোগ দেওয়া এবং সদ্য পদোন্নতি পাওয়া ১ম ও ২য় শ্রেণির কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণও চলমান রয়েছে। এছাড়া প্রশিক্ষণ বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী— সাইবার সিকিউরিটি প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী
সরকার আজ বৃহস্পতিবার ( ২৭ নভেম্বর )উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে রাজধনী উন্নয়ন
কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন করেছে। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
মুহাম্মদ ইউনূস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেশের সব ভবন ও নির্মাণ কাজের অনুমোদনের জন্য
একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠনের নির্দেশ দেন।
বৈঠকের
পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানান, প্রধান উপদেষ্টা গৃহায়ন
ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠন করা যায়, যা
দেশের সব স্থাপনা ও নির্মাণ কাজের অনুমোদন দেবে। বর্তমানে রাজউক শুধুমাত্র নিজস্ব এলাকায়
অনুমোদন দিতে পারে।
বৈঠকে
প্রধান উপদেষ্টা নিরাপদ নির্মাণ বিধি মানা হচ্ছে কি না তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
প্রেস সচিব বলেন, গ্রামাঞ্চলসহ দেশজুড়ে চার থেকে পাঁচ তলা ভবন নির্মাণ হচ্ছে, তবে প্রশ্ন
হলো এগুলো জাতীয় ভবন নির্মাণ কোড মেনে তৈরি হচ্ছে কিনা। এছাড়া ভূমিকম্প ও অগ্নি ঝুঁকির
বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নতুন
রাজউক অধ্যাদেশে পুনর্বিকাশ, জমি পুনর্বিন্যাস, খেলার মাঠ, জলাশয় ও প্রাকৃতিক জলাধারের
সুরক্ষা সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। শফিকুল আলম বলেন, ‘জমির মালিক ৬০ শতাংশের
সম্মতিতে পুনর্বিকাশ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে।’
প্রধান
উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন, নতুন অধ্যাদেশে নির্মাণ, জলাশয় খনন, নিচু জমি ভরাট, প্রাকৃতিক
জলপ্রবাহ বাধা, খেলার মাঠ ও উদ্যানের শ্রেণী পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণের বিধান রাখা হয়েছে।
এছাড়া অনুমোদিত নকশা ব্যতীত নির্মাণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যত্যয়ী স্থাপনা অপসারণের শাস্তি
এবং রাজউকের চেয়ারম্যান, সদস্য বা কর্মচারীদের রাজউকের সঙ্গে সংযুক্ত কোনো চুক্তি বা
শেয়ারে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের এক বিবৃতিতেতে এ কথা জানিয়ে আরো বলা হয়েছে যে, অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে দ্রুত শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে বলে আশাবাদী দক্ষিণ কোরিয়া। কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ দক্ষিণ কোরিয়া।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মুখে সরকারের পতনের গত ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়।
মন্তব্য করুন


দেশি-বিদেশি
চিকিৎসকদের যুক্ত রেখেই খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ড. রেজা কিবরিয়ার যোগদান
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
মির্জা
ফখরুল বলেন, আপনারা জানেন, ম্যাডাম অসুস্থ এবং আমাদের চিকিৎসকরা কাজ করছেন, আপ্রাণ
চেষ্টা করছেন। দেশি-বিদেশি সব চিকিৎসকদের যুক্ত রেখেই তারা চিকিৎসাটা করছেন। আল্লাহ
তাআলার কাছে আমরা সবসময় গোটা দেশবাসী এই দোয়া করছি যে, আল্লাহ তাআলা তাকে যেন সুস্থ
করে দেন এবং তিনি যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে আসেন।
গত
রোববার থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ভর্তি আছেন। সেখানে
পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার ফুসফুসে ইনফেকশন ধরা পড়ায় তার অবস্থা সংকটময় বলে বিএনপির
তরফ থেকে জানানো হয়। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে খালেদা জিয়াকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট
(সিসিইউ) নিয়ে চিকিৎসকরা নিবিড়ভাবে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতত্বে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি
মেডিকেল বোর্ডের অধীনে খালেদা জিয়া চিকিৎসা কাজ চলছে।
এই
বোর্ডে তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান, যুক্তরাষ্ট্রের জনহোপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়
এবং যুক্তরাজ্যে লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরাও রয়েছেন। লন্ডন থেকে তার জ্যেষ্ঠ ছেলে তারেক
রহমান সর্বক্ষণ মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গেও
তিনি যোগাযোগে সমন্বয় করছেন।
মন্তব্য করুন


পেশাদারত্ব ও ধৈর্যের পরিচয় দেওয়ায়
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সাধুবাদ পেয়েছেন ক্যাপ্টেন
আশিক।
রোববার (১৮ আগস্ট) সেনাপ্রধানের কার্যালয়ে
এক সাক্ষাতে এই সাধুবাদ জানান সেনাপ্রধান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রতিকূল
পরিস্থিতিতেও পেশাদারত্ব বজায় রাখায় ক্যাপ্টেন আশিককে সাধুবাদ জানান সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।
ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজের জন্য অনুপ্রাণিত করেন তিনি।
এসময় আরও দুই সেনা কর্মকর্তা উপস্থিত
ছিলেন। সেনাপ্রধানের সঙ্গে এক ফটোসেশনে অংশ নিতেও দেখা গেছে আশিককে।
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি
একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে শাহবাগ থানায় এক নারীকে দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চবাচ্য করতে
দেখা যায়। এরকম পরিস্থিতিতে ক্যাপ্টেন আশিক অত্যন্ত বিচক্ষণতা ও ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতির
সামাল দেন এবং সেটির সমাধান করেন। ক্যাপ্টেন আশিকের এই ধৈর্য ও পেশাদারত্ব দেখে নেটিজেনরা
প্রশংসা করছেন।
মন্তব্য করুন


মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে সেনাবাহিনীর কমিশন প্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এই প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এই ক্ষমতা দেওয়া হয়। এই ধারা অনুযায়ী সরকারকে মেট্রোপলিটনের বাইরে যে কোনো ব্যক্তিকে বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের ক্ষেত্রে সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিচে কাউকে দায়িত্ব প্রদান করা না গেলেও অন্যদের ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে আইনে শর্ত আরোপ করা হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭(১) ধারা অনুযায়ী ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা (সেনা কর্মকর্তা) সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের (জেলা প্রশাসক) তত্ত্বাবধানে কাজ করবেন।
গ্রেফতার, তল্লাশি ও বেআইনি সমাবেশ ভঙ্গের ক্ষমতা: প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ফৌজদারি কার্যবিধির ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। এসব ধারা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা কাউকে আটক বা গ্রেফতার বা গ্রেফতারের আদেশ, তল্লাশির আদেশ ও বেআইনি সমাবেশ ভঙ্গের জন্য আদেশ দিতে পারবেন।
গ্রেফতার বা গ্রেফতারের আদেশ: ফৌজদারি কার্যবিধির ৬৪ ও ৬৫ ধারায় একজন ম্যাজিস্ট্রেট তার উপস্থিতিতে ও এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে কোনো অপরাধ করলে তিনি নিজে অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারবেন অথবা অন্য কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতারের আদেশ দিতে পারবেন। এছাড়া ৮৩ ও ৮৪ ধারা অনুযায়ী অধিক্ষেত্রের বাহিরে কার্যকরের জন্য পরোয়ানা জারি করতে পারবেন। আইনের ৮৬ ধারার বিধান মতে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দিতে পারবেন অথবা অপরাধ জামিনযোগ্য না হলে তাকে আদালতে পাঠাবেন।
তল্লশি সংক্রান্ত আদেশ: ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৯৫(২) ধারার বিধানমতে তিনি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে ডাক বা টেলিগ্রাম বিভাগের দ্বারা তল্লাশি পরিচালনা করবার ও উক্ত দলিল, পার্সেল বা ব্যক্তি আটক করার ব্যবস্থা করতে পারবেন। ১০০ ধারার বিধানমতে কোনো ব্যক্তিকে বেআইনিভাবে আটক করার বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ পেলে তল্লাশি পরোয়ানা জারি করতে পারবেন। ১০৫ ধারার বিধানমতে নিজ উপস্থিতিতেও ম্যাজিস্ট্রেট তল্লাশির আদেশ দিতে পারবেন।
শান্তিরক্ষায় মুচলেকা গ্রহণ: শান্তিভঙ্গের আশঙ্কা থাকলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭ ধারা অনুযায়ী শান্তি শান্তিরক্ষায় সদাচরণের মুচলেকা গ্রহণ করতে পারবেন। ১০৯ ধারার বিধানমতে অধিক্ষেত্রের মধ্যে ভবঘুরে ও সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছ থেকে মুচলেকা নিতে পারবেন। ১১০ ও ১২৬ ধারা অনুযায়ী অভ্যাসগত অপরাধীর কাছ থেকে জামিনদারসহ বা জামিনদার ছাড়াও শান্তিরক্ষায় মুচলেকা নিতে এবং প্রয়োজনে মুচলেকা বাতিল করতে পারবেন।
বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গের আদেশ দান: ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭ ধারা অনুযায়ী সর্বসাধারণের শান্তি বিনষ্ট হওয়ার কারণ হতে পারে এই ধরনের পাঁচ বা তারবেশি ব্যক্তির সমাবেশ ছত্রভঙ্গের আদেশ দিতে পারেন। আদেশ অমান্য করলে ১২৮ ধারা অনুযায়ী একজন ম্যাজিস্ট্রেট সমাবেশ ভঙ্গে বল প্রয়োগের আদেশ দিতে পারেন। ১৩০ ধারার বিধান অনুযায়ী সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে প্রয়োজনে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করতে পারবেন।
এছাড়াও ফৌজদারি কার্যবিধির ১৩৩ ধারা অনুযায়ী একজন ম্যাজিস্ট্রেট পথ, নদী, খাল বা প্রকাশ্য স্থানে বেআইনি বাঁধা অপসারণ, ব্যবসা বা সংরক্ষিত এলাকায় মানুষের আরাম আয়েশের বিঘ্ন ঘটানো, গৃহ বা তাবু হতে ক্ষতিকর বস্তু বা বৃক্ষ অপসারণ, জলাশয় ঘেরাও, বিপজ্জনক প্রাণী ধ্বংস বা আটক ইত্যাদি আদেশ দিতে পারেন। কোনো ব্যক্তি ১৪২ ধারার বিধান মতে ক্ষতি এড়াতে কোনো ব্যক্তির উপর নির্দিষ্ট স্থানে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারেন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে
টেকসই সংহতি এবং বর্ধিত সহায়তার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, এমন
সহায়তার প্রয়োজন যাতে আর্থিক সংকট লাঘব করা যায় এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর
জন্য বাংলাদেশের সহায়তা আরো জোরদার করা যায়।
আজ
মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন
লুইস প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎকালে
তাঁরা রোহিঙ্গা সংকট এবং রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক সহায়তার চলমান চ্যালেঞ্জ নিয়ে গুরুত্ব
সহকারে আলোচনা করেন।
তাঁরা
উভয়ে অর্থায়নের ব্যাপক কাটছাঁটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন, যা ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর
শিক্ষা ও অন্যান্য জরুরি কার্যক্রমে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
আবাসিক
সমন্বয়ক গোয়েন লুইস অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে দৃঢ় সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং উভয়
নেতা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
তাঁরা
সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষী সংস্কার কার্যক্রম শক্তিশালী করতে জাতিসংঘ কীভাবে ব্যাপক সহায়তা
দিতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেন।
আবাসিক
সমন্বয়ক বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য একটি নির্বিঘ্ন
রূপান্তর নিশ্চিত করতে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন।
আবাসিক
সমন্বয়কারী বাংলাদেশের সংস্কার ও সংস্কারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে তার অবিচল সংহতি পুনর্ব্যক্ত
করেন এবং টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে জাতিসংঘের সমর্থনের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।
মন্তব্য করুন


পাবনার ঈশ্বরদীতে ৮টি কুকুরছানাকে বস্তাবন্দি করে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যার পর মা কুকুরটি বাচ্চাদের খোঁজে বিভিন্ন দিকে ছুটাছুটি করছে।
মঙ্গলবার
(২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের
দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল মা কুকুরটি। উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় তলায় এ দৃশ্য দেখা গেছে।
গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মা কুকুরটি উপজেলা
পরিষদের দ্বিতীয় তলায় ইউএনওর কক্ষের সামনে ঘুরঘুর করছে। এটিকে সেখান থেকে তাড়ানোর চেষ্টা
করেও সফল হয়নি কয়েকজন কর্মচারী। দুপুর ১২টার দিকে কুকুরটিকে আদর করে নিচে নামান কয়েকজন।
বিকেল পর্যন্ত কুকুরটি উপজেলা পরিষদের আশপাশে ঘুরঘুর করছিল।
৮টি
কুকুরছানাকে বস্তাবন্দি করে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নিশি বেগম নামের এক
নারীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, বাসার দরজার সামনে বারবার ডাকাডাকি করায় বিরক্ত হয়ে
৮টি ছানাকে বস্তায় ভরে পুকুরে ফেলে হত্যা করেন তিনি।
নিশি
বেগম ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের স্ত্রী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত
নারীর স্বামীকে তার বরাদ্দকৃত সরকারি বাসা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার
(১ ডিসেম্বর) রাতেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি চিঠি দিয়ে ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের
কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নকে তার কোয়াটার থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া
হয়েছে।
কুকুরছানা
হত্যাকারী অভিযুক্ত নিশি বেগম বলেন, বাচ্চাগুলো এবং কুকুরটি আমার বাসার সিঁড়ির পাশে
থাকত। বাচ্চাগুলো আমাদের খুবই ডিস্টার্ব করত, তাই আমি বাজারের ব্যাগে ভরে পুকুরের পাশে
একটি গাছের পাশে রেখে আসি। এরপর হয়তো কোনোভাবে পুকুরের মধ্যে পড়ে যায়। আমি নিজে
বাচ্চাগুলোকে পুকুরে ফেলে দিইনি।
ঈশ্বরদী
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বলেন, এটা খুবই অমানবিক। মা কুকুর ইতোমধ্যেই
অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে আমাদের লোকজন চিকিৎসা দিয়েছে। প্রাণী কল্যাণ আইন ২০১৯-এর অধীনে
কুকুরছানা হত্যার অপরাধে মামলার একটি বিধান রয়েছে। কুকুরছানা হত্যাকারী নিশি বেগমের
বিরুদ্ধে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। মামলা করারও সিদ্ধান্ত নিতে পারি।
ঈশ্বরদী
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এটি চরম অমানবিক ও নিষ্ঠুর
কাজ। শাস্তিস্বরূপ ওই কর্মকর্তাকে এক দিনের মধ্যে সরকারি কোয়ার্টার ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ
দেওয়া হয়েছে। মা কুকুরটির চিকিৎসার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


এআই
দিয়ে আহত হাতের ছবি বানিয়ে অফিস থেকে ছুটি নিলেন এক কর্মী। সেই ঘটনা ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল
মিডিয়ায়, চলছে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
মানুষের
জীবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহারের পাশাপাশি অপব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। সম্প্রতি
গুগলের ন্যানো ব্যানা এআই ইমেজ জেনারেটর তারই যেন প্রমাণ দিলো। এর হাইপার-রিয়েলিস্টিক
(অত্যন্ত বাস্তবসম্মত) ছবি তৈরি করার ক্ষমতা ব্যবহার করে অদ্ভুতভাবে অফিস থেকে ছুটি
নিয়েছেন এক ব্যক্তি। তিনি প্রথমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিজের হাতের একটি ছবি তোলেন। এরপর
সেই ছবি ন্যানো ব্যানানাতে আপলোড করেন। সেখানে সংক্ষিপ্ত প্রম্পট লিখে এআই’কে
আঘাতের চিহ্ন যোগ করার নির্দেশ দেন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এআই এমন একটি বাস্তবসম্মত
ছবি তৈরি করে দেয়, যা দেখলে মনে হবে- সত্যিই আঘাত লেগেছে।
মন্তব্য করুন


আসন্ন
চীন সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক
ডক্টরেট ডিগ্রি দেবে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বের শীর্ষ ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের
মধ্যে এটি একটি।
আজ
রোববার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
প্রেস
সচিব আরও বলেন, আগামী ২৯ মার্চ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য
রাখবেন ড. ইউনূস। বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি
দেওয়া হবে। চীনের কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। চীনের
সঙ্গে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সম্পর্ক উন্নয়নেও কাজ করা হচ্ছে। চীন এরইমধ্যে জানিয়েছে,
তারা বাংলাদেশে একটি জেনারেল হাসপাতাল স্থাপন করবে। প্রধান উপদেষ্টা চাইছেন, চীনের
চেইন হাসপাতালগুলো বাংলাদেশে এসে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করুক এবং জয়েন্ট ভেঞ্চারে
হাসপাতাল পরিচালনা করুক।
মন্তব্য করুন


কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এক শোক বার্তায় প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যু বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
প্রধান উপদেষ্টা কবির পরকালীন জীবনের শান্তি কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি আরও বলেন, কবি হেলাল হাফিজ ছিলেন তারুণ্যের শক্তি এবং স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে এক সাহসী কণ্ঠ। তার কালজয়ী কবিতার মতোই তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে।
মন্তব্য করুন