মো মিজানুর রহমান মিনু:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পাঁচটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে অনিয়মের অভিযোগে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জেপি দেওয়ান ও তমালিকা পাল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ইটভাটাগুলো হলো: ফাতেমা ব্রিকস, একতা ব্রিকস, মিরাজ ব্রিকস, সিটি ব্রিকস ও ইসলামিয়া ব্রিকস।
জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলার ফাতেমা ব্রিকস, একতা ব্রিকস, মিরাজ ব্রিকস, সিটি ব্রিকস ও ইসলামিয়া ব্রিকসে অভিযান পরিচালনা করেন। এরমধ্যে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী তিনটি ইটভাটাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন। এছাড়া ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ২টি ইটভাটা থেকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহযোগিতায় ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার পরিদর্শক চন্দন বিশ্বাস, জুবায়ের হোসেন, বিএসটিআই কুমিল্লার পরিদর্শক কাজী মোহাম্মদ শাহান, চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মেহেদী হাসান ও থানা পুলিশের একটি টিম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জেপি দেওয়ান বলেন, বিভিন্ন অনিয়মের কারণে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অবস্থিত পাঁচটি ইটভাটাকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ইটভাটাগুলোতে অনিয়ম রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা চান্দিনার মাধাইয়া এবং দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জ বাজার এলাকায় মসলা, মৌসুমি ফলসহ নিত্যপণ্যের বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা।
শনিবার ভোক্তা-অধিকার বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
অভিযানে রং যুক্ত, মেয়াদহীন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
অভিযানের সময় ব্যবসায়ীদের ক্রয়-বিক্রয়ের ভাউচার যাচাই করা হয়। ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয় করতে, দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে এবং মেয়াদহীন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয় ও সংরক্ষণ না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলার সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ইসরাইল হোসেন এবং জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
মন্তব্য করুন
এতিম শিশুদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়াতে সমাজের দানশীল ও মানবীক মানুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার লক্ষ্যে কুমিল্লার দেবীদ্বারে দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা ও ক্যাট’স হোম বিড়ালের বাড়ির উদ্যোগে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দেবীদ্বার সরকারি শিশু পরিবারে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল হাসনাত খাঁন।
গ্লোবাল টেলিভিশন, কুমিল্লার সার্বিক সহযোগিতায় এবং দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা ও ক্যাট’স হোম বিড়ালের বাড়ি এর প্রতিষ্ঠাতা রোটাঃ মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন রনী স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায় বরুন চক্রবর্তী দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ রায়হানুল ইসলাম, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দিন ইলিয়াস, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ, দৈনিক কালের কন্ঠের প্রতিনিধি প্রবীন সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, ডাক্তার শেখ মোঃ শাহজালাল, কামরুল হাসান।
সহকারী শিক্ষক আবুল হাসেম এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক মোঃ মাসুদ রানা, মোঃ এনামুল হক,ফখরুল ইসলাম সাগর, শাহিন আলম, ফারুক হোসেন জনি, মোঃ মাহফুজ আহম্মেদ, আনোয়ার হোসেন, নাজমুল হাসান, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন সরকার, দলিল লেখক হাফিজুর রহমান, বীমাকর্মী নওশাদ চৌধুরী, ক্যামেরা পারসন সাইফুল ইসলাম সজিব, ব্যবসায়ী রাসেল আহম্মেদ ক্বারী সাইফুল ইসলামসহ আরো অনেকে।
দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা ও ক্যাট’স হোম বিড়ালের বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা রোটাঃ মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন রনী বলেন, সুবিধা বঞ্চিত এতিম শিশুদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়াতে সমাজের দানশীল ও মানবীক মানুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে আজকের এই দোয়া ও ইফতার মাহফিল। এই অনুষ্ঠান দেখে একজনও যদি তার আশে পাশের এতিমদের সহযোগিতায় এগিয়ে তবেই এই অনুষ্ঠান স্বার্থক। এছাড়াও দৃষ্টান্ত ফাউন্ডেশন প্রতি বছর বিশেষ বিশেষ দিনে এই শিশুদের জন্য উন্নত মানের খাবার বিতরণ, ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ, পিঠা, বসন্ত, ফল উৎসবসহ নানান আয়োজন করে থাকে। ভবিষ্যতে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের উনকোট গ্রামে বিশেষ অভিযানে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী।
আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোর প্রায় ৪ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
গ্রেফতারকৃত মোহাম্মদ রাকিব হোসেন চৌদ্দগ্রামের উনকুট গ্রামের তাজুল ইসলামের পুত্র।
অভিযানের সময় আসামির কাছ থেকে দুটি ওয়াকিটকি সেট, দুটি ওয়াকিটকি চার্জার, একটি লাঠি ও একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন মামলায় ১১ আসামিকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
শুক্রবার
রাতভর নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় পাচারকালে
আট কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
আজ
শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম।
পুলিশ
ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, নগরীতে অপরাধ দমনে পুলিশের একাধিক টিম শুক্রবার রাতভর
বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পুলিশ রাজনৈতিক মামলা সংক্রান্তে ৮ জন,
সড়ক দুর্ঘটনার মামলায় দুইজন এবং নিয়মিত মামলায় একজনসহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে পাচারকালে উদ্ধার করা হয় ৮ কেজি গাঁজা।
গ্রেফতারকৃতরা
হচ্ছেন, হাসান (২৩), আব্দুল মালেক (৫৯), কামাল (১৯), জসিম (৪৩), মাহবুব খান শোয়েব
(২৬), তাজুল ইসলাম (৫৩), জাহাঙ্গীর আলম জানু (৬৫), সাইফুল হক (৫৮), সাইফুল আরেফিন রাহাত
(৪৩), আব্দুল আজিজ মিঠু (৫৪), আসাদুজ্জামান লাদেন প্রকাশ জামান প্রকাশ আসাদ (২২)।গ্রেফতারকৃতদেরকে
শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার
অভিযানে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ রোববার (২২ জুন) দুপুরে আদর্শ সদর
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
উক্ত অভিযানে সালাউদ্দিন সুইটস এন্ড
হোটেল-এ পচা-বাসি (ফাংগাসযুক্ত) মিষ্টি বিক্রির অভিযোগে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা
হয়। কান্দিরপাড়ের ফারক ফল বিতানকে বেশি দামে পণ্য বিক্রি ও ভাউচার সংরক্ষণ না করায়
৩,০০০ টাকা জরিমানা এবং ধর্মসাগরের পিৎজা জোন (ভুতের বাড়ি) রেস্টুরেন্টকে অস্বাস্থ্যকর
পরিবেশে খাবার সংরক্ষণের জন্য ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো: কাউছার মিয়া। অভিযানে সহযোগিতা
করেন জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো: আবুল কালাম আজাদ, অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন এবং
কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি টিম।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রসমুহে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
শুক্রবার
(২৬ এপ্রিল) এক অফিস আদেশে
১৪৪ ধারা জারি করেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান।
শনিবার
(২৭ এপ্রিল) গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সমুহের ‘এ’ ইউনিট, ৩
মে 'বি' ইউনিট এবং ১০ মে 'সি'
ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। 'এ' ইউনিটের পরীক্ষা
শুরু হবে বেলা ১২টায়। অন্য দুই ইউনিটের পরীক্ষা বেলা ১১টায় শুরু হবে। পরীক্ষা চলবে এক ঘণ্টা।
সূত্র
জানায়, কুমিল্লায় 'এ' ইউনিটের ভর্তি
পরীক্ষা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গভর্নমেন্ট ল্যাবেরটরি হাইস্কুল, বর্ডার গার্ড পাবলিক বিদ্যালয়, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজ ও বার্ড হাইস্কুল;
'বি' ইউনিটের পরীক্ষা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও টিচার্স ট্রেনিং
কলেজ এবং 'সি' ইউনিটের পরীক্ষা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
কুমিল্লার
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ শামসুল তাবরীজ জানান, সবগুলো পরীক্ষা কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতে করে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সে
জন্য ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। বিশৃঙ্খলা হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শুরু হয়েছে বহুল প্রত্যাশিত আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা-২০২৫। বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের আয়োজনে বুধবার (৭ মে) সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিযোগিতাটির উদ্বোধন করেন মাননীয় ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, "খেলোয়াড়দের
মধ্যে খেলোয়াড়সুলভ আচরণ এবং দর্শকদের মধ্যে সহিষ্ণুতা থাকা প্রয়োজন। কখনও কখনও এ জায়গায়
ব্যত্যয় দেখা যায়, তবে আমি আশা করি এবারের প্রতিযোগিতায় সব বিভাগ দায়িত্বশীলতা ও সৌহার্দ্য
বজায় রাখবে।" তিনি আরও বলেন, "হার-জিত খেলার অংশ, তাই তা মেনে নেওয়ার মানসিকতা
থাকতে হবে। আবহাওয়াজনিত কারণে কমিটির সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া উচিত। প্রতিটি বিভাগ যেন
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও সুন্দর খেলা উপহার দেয়, সেই প্রত্যাশা রইল।"
তিনি আরও যোগ করেন, "এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে
আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অংশগ্রহণযোগ্য ভালো ক্রিকেটার উঠে আসবে। ব্যক্তিগত অনুশীলনের
পাশাপাশি দলীয় বোঝাপড়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যান্ডিংয়ে শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখতে পারবে। ভবিষ্যতে আন্তঃহল প্রতিযোগিতা আয়োজনের দিকেও ক্রিয়া কমিটি সচেষ্ট
থাকবে।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়া কমিটির আহ্বায়ক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন জানান, “নভেম্বরে কমিটি গঠনের পর থেকে কোনো খেলা বাদ যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক খেলাগুলো তিন মাসে সম্পন্ন করেছি। আশা করি, আন্তঃবিভাগ প্রতিযোগিতাটিও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে।”
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম বলেন,
“খেলায় হার-জিত থাকবেই। শিক্ষার্থীদের উচিত এই বাস্তবতাকে মেনে নেওয়া এবং আম্পায়ারের
সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো। বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধুলার উদ্দেশ্য পূরণে সবাই যেন সচেষ্ট
থাকেন।”
প্রতিযোগিতার সর্বশেষ আপডেট বিশ্ববিদ্যালয়ের
নির্ধারিত ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
মুরাদনগরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আমপাল গ্রামবাসীর কাছে
আতঙ্কের আরেক নাম ছিল সুমন সরকার । সেই সুমন সরকারকে স্ত্রী হত্যা মামলার অভিযোগে পুলিশ আটক করেছে।
শুক্রবার যাত্রাবাড়ী প্রথম স্ত্রীর বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁও থানা পুলিশ।
কুমিল্লা
মুরাদনগর আমপাল গ্রামের মৃত আলিম সরকারের ছেলে সুমন সরকার। নিহত রিমা সুমনের দ্বিতীয়
স্ত্রী, তার দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রহমান বলেন, মামলার প্রধান আসামী নিহতের স্বামী সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত
১৯ জুন সোনারগাঁও থানাধীন সাদিপুর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ থেকে নিহত রিমার লাশ
একটি পলিথিন মোড়ানো বস্তা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১৯ কেজি গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ বৃহস্পতিবার (১২
ডিসেম্বর) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন তৈলকুপি দক্ষিণ বাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান
পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে আসামী মোঃ রাহাদ নামের একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
মোঃ রাহাদ (১৯) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার মনিপুর গ্রামের মোঃ জাহাঙ্গীর আলম
এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে
দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার
বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে
আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা
করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার দেবিদ্বারে শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার হওয়া করিম ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, স্ত্রী তাছলিমা বেগমের পরিকল্পনায় তার তিন ভাই ইসরাফিল, গোলাম হাক্কানী ও মোজাম্মেল হক মিলে করিম ভূঁইয়াকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখেন।
আজ রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, আগের দিন শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার আমলী আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন চার ঘাতক।
পুলিশ জানায়, নিখোঁজের একমাস পাঁচদিন পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের শ্বশুর বাড়ির একটি টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় করিম ভূঁইয়ার (৪৮) গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত করিম ভূঁইয়া উপজেলার বড়শালঘর গ্রামের মন্ত্রীবাড়ি এলাকার মৃত আবুল কাশেম ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি গত ১৩ আগস্ট সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
গ্রেপ্তারদের জবানবন্দী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট রাতে স্ত্রী তাছলিমা বেগমের পরিকল্পনায় মাদক সেবনের লোভ দেখিয়ে করিমকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নেন শ্যালক ইসরাফিল। সেখানে প্রথমে তিন ভাই মিলে তাকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করেন। এ সময় তার মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় স্ত্রী তাছলিমা সেই রক্ত মুছে ফেলেন। পরে বড় ভাইয়ের বিল্ডিংয়ের টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্কে মরদেহ ফেলে দেওয়ার কথা বলা হয়। তিনি রাজি না হওয়ায় প্রথমে মরদেহ বাড়ির পাশের খালে ফেলে দেওয়া হয়। সকালে মরদেহ ভেসে উঠলে আবারও স্ত্রী এবং ভাইয়েরা মিলে খাল থেকে তুলে এনে হাত-পা বেঁধে বড় ভাইয়ের টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেন।
মরদেহ উদ্ধারের পর নিহতের বড় ভাই আমির হোসেন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় ঘাতক স্ত্রী তাছলিমা বেগম ও তার তিন ভাই ইসরাফিল, গোলাম হাক্কানী ও মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তারা শনিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দিনের আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দেন।
দেবিদ্বার থানার ওসি সামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, স্ত্রী তাছলিমার পরিকল্পনায় মাদক সেবনের লোভ দেখিয়ে ভালো ব্যবহার করে ডেকে নিয়ে তিন ভাইসহ চারজনে মিলে করিম ভূঁইয়াকে হত্যা করে। নিহতের ভাই আমির হোসেন থানায় সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে। পরে সন্দেহভাজন আসামিদের ওপর নজরদারি ও গ্রেপ্তারের ভিত্তিতেই মরদেহ উদ্ধার এবং হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়। নিহত করিম ভুইয়া প্রায় স্ত্রী তাছলিমা বেগম ও মেয়েকে পাশবিক নির্যাতন করতেন। এতে তারা অতিষ্ঠ হয়ে এ হত্যাকান্ডটি ঘটায়।
মন্তব্য করুন