পাবনায় কারাগারে থাকা কয়েদিদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
তারা হলেন—জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তৌফিক ইমাম খান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালু, গয়েশপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহার হোসেন মুতাই এবং আসাদুজ্জামান সুইট। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলা ও হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামি।
এ ঘটনায় শাস্তিস্বরূপ পাঁচ আসামিকে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) অন্য জেলার কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পাবনা জেলার জেল সুপার মো. ওমর ফারুক বলেন, কয়েকদিন ধরেই কারাগারে থাকা অন্য সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছিলেন তারা। সবশেষ ৩ মার্চ বিকেলে এই পাঁচ কয়েদি কারাগারের অন্য কয়েদিদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং বাকবিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে তাদের গায়ে হাত তোলেন।
এ ঘটনার পরে শাস্তিস্বরূপ কয়েদি তৌফিক ইমাম, শেখ লালু ও আসাদুজ্জামান সুইটকে রাজশাহী এবং মুতাই ও অন্যজনকে নওগাঁ জেলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
পাবনা জেলার জেল সুপার আরো বলেন, বিগত সময়ে তারা বাইরে যেমন বেপরোয়াভাবে কথাবার্তা বলেছেন ও চলেছেন, কারাগারেও তেমনই চলছিলেন। ফলে ঝামেলাটা বাঁধে। অন্য কয়েদিদের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও কারাগারে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে ৪ মার্চ বিকেলে তাদের রাজশাহী ও নওগাঁ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত রিপাবলিক অব কসোভোর রাষ্ট্রদূত মি. লুলজিম প্লানা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আজ সোমবার সকাল ৯টায় রাজধানীর বসুন্ধরাস্থ আমিরে জামায়াতের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রদূত বৈঠকের শুরুতেই আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং তার পরিপূর্ণ সুস্থতা কামনা করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশে বিরাজমান সার্বিক পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশ ও কসোভোর দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে তারা খোলামেলা আলোচনা করেন। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রতি কসোভোর দৃঢ় সমর্থন থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসার সাবেক পিয়ন মো. জাহাঙ্গীর আলমের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে তার স্ত্রী কামরুন
নাহার ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের নির্দেশ দেওয়া
হয়েছে। সব ব্যাংকগুলোয় পাঠানো নির্দেশনায় তাদের অ্যাকাউন্ট খোলার ফরমসহ যাবতীয় তথ্য
পাঁচ দিনের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।
রোববার (১৪ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স
ইউনিট (বিএফআইইউ) এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠায়।
বিএফআইইউ-এর নির্দেশনায় জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব খোলার ফরমসহ
যাবতীয় তথ্য পাঁচদিনের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গ ও তাদের
মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব থাকলে সেসব হিসাবের লেনদেন মানিলন্ডারিং
প্রতিরোধ আইন, ২০১২–এর ২৩ (১) (গ) ধারার আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশনা
দেওয়া হলো।
জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে টানা দুই মেয়াদের
পাশাপাশি গত মেয়াদেও কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীকালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ
ওঠায় তাকে ওই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তারপরও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত
সহকারী পরিচয় বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করেছেন।
এ পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিশেষ
বিজ্ঞপ্তিতে জাহাঙ্গীরের বিষয়ে সতর্ক করা হয়। বলা হয়, তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর
কার্যালয়ের সম্পর্ক নেই।
সাম্প্রতিক হওয়া চীন সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল (রোববার) সংবাদ
সম্মেলন করেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বাসায় কাজ করেছে, পিয়ন ছিল সে, এখন
৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। বাস্তব কথা। কী করে বানাল এত টাকা?
জানতে পেরেছি, পরেই ব্যবস্থা নিয়েছি। ’
প্রধানমন্ত্রীর বাসার সাবেক পিয়ন ও আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীরের গ্রামের বাড়ি
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়ায়। এলাকায় তিনি ‘পানি জাহাঙ্গীর’ নামে পরিচিত। তিনি
এর আগে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন।
গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়ী আসনে স্বতন্ত্র
হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে না দাঁড়িয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার
করেন। নির্বাচনী হলফনামায় তার মালিকানাধীন ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ও নোয়াখালী নিজ এলাকায়
বাড়ি, জমি, ফ্ল্যাট, প্লটসহ বিপুল সম্পদের তথ্য উঠে আসে।
গত বছরের ৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিজ্ঞপ্তি জারি করে জাহাঙ্গীর আলম থেকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মো. জাহাঙ্গীর আলম, পিতা: মৃত রহমত উল্যাহ, রহমত উল্যাহ কেরানীর বাড়ি, গ্রাম: নাহারখিল, ইউনিয়ন: খিলপাড়া, উপজেলা: চাটখিল, জেলা: নোয়াখালী- নিজেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করে বেড়াচ্ছেন। তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। এতে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে নিকটস্থ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা নিন।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্ট দিয়ে নরেন্দ্র মোদি বিষয়টি জানিয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
জানান, অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের টেলিফোন কল পেয়েছি। বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের
মধ্যে মতবিনিময় হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের
প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি।
এছাড়াও নরেন্দ্র মোদি, বাংলাদেশের হিন্দু
সম্প্রদায়সহ সব সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়েছেন।
ফোনে ড. ইউনূস নরেন্দ্র মোদিকে জানান,
অন্তর্বর্তী সরকার হিন্দু সম্প্রদায়সহ সব সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তার বিষয়টিকে
অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
কথোপকথনে ড. ইউনূস ও মোদি অগ্রাধিকার
ভিত্তিতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
এর আগে ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের
অনুষ্ঠানে মোদি বলেন, ১৪০ কোটি ভারতীয় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে
চিন্তিত। ভারত সর্বদা বাংলাদেশের অগ্রগতির শুভাকাঙ্ক্ষী। আমরা আশা করি, বাংলাদেশে পরিস্থিতি
শিগগিরই স্বাভাবিক হবে। আমরা চাই হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান,উভয় সিটিতে সব কেন্দ্রে ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ।
ময়মনসিংহ সিটিতে এবার দ্বিতীয়বারের মতো ভোটগ্রহণ হবে। অন্যদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক ওরফে রিফাত (৬৬) গত ১৩ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশন বিধি অনুযায়ী, সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হয়।
ইসি আরো জানিয়েছেন, ময়মনসিংহ সিটির সাধারণ নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে উপনির্বাচন আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। একই দিনে বেশ কয়েকটি পৌরসভায় নির্বাচন হবে। এছাড়া উপজেলা, জেলা পরিষদ উপনির্বাচন হবে। এর বাইরেও মৃত্যুজনিত কারণে শূন্য হওয়া কিছু ইউনিয়ন পরিষদেও নির্বাচন হবে। এই সবগুলো নির্বাচন একই দিনে অর্থাৎ ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। দ্রুতই এসব নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক তফসিল ঘোষণা করা হবে। পৌরসভা, জেলা পরিষদ এবং সিটি করপোরেশন ছাড়া অন্য নির্বাচনগুলোর ভোটগ্রহণ হবে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে।
২০১৯ সালের ৫ মে প্রথমবারের মতো ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ হয়। সেবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হন ইকরামুল হক টিটু। ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন। সিটি করপোরেশটির আয়তন ৯১ দশমিক ৩১৫ বর্গকিলোমিটার। সিটি করপোরেশনের মোট জনসংখ্যা চার লাখ ৭১ হাজার ৮৫৮ জন।ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে বয়ড়া ও আকুয়া ইউনিয়নের পুরোটা এবং খাগডহর, চর ঈশ্বরদিয়া, দাপুনিয়া, ভাবখালী, সিরতা ও চরনিলক্ষীয়া ইউনিয়নের আংশিক এলাকাকে অন্তর্ভুক্ত করে এই সিটি করপোরেশনের এলাকা নির্ধারণ করা হয়। এ সিটিতে প্রথম ভোটেও নগরবাসী ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দিয়েছিলেন। আর এবারও সেখানে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করবে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন।
এদিকে ৯ মার্চ যে ৯টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে পারে সেগুলো হলো- জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ পৌরসভা, পটুয়াখালী পৌরসভা, রাজশাহী জেলার কাটাখালী পৌরসভা, সাতক্ষীরা পৌরসভা, ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল পৌরসভা, মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা, সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর পৌরসভা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ পৌরসভা ও বরগুনা জেলার আমতলী পৌরসভা।
তিনি বলেন, উপজেলার যে তালিকগুলো আমরা পেয়েছি, সেগুলো যাচাই-বাছাই করছি। ঈদুল ফিতরের আগে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই কিছু সংখ্যক নির্বাচন করবো। প্রায় ১০০ উপজেলার নির্বাচনের জন্য এই সপ্তাহেই সিদ্ধান্ত হতে পারে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আমরা এখনো পর্যালোচনা করছি এবং দেখছি। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে এবং ১২ মার্চ শেষ হবে। আবার ১০ বা ১১ মার্চ শুরু হবে রমজান। এ বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হচ্ছে। উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে যে নির্বাচনগুলো করতে হবে, সেগুলো ৩০ এপ্রিলের মধ্যে কিছু হবে। বাকিগুলো কয়েক ধাপে মে মাসে হবে। কারণ, জুন মাসে এইচএসসি পরীক্ষা। এজন্য আমরা এই সময়টাকে কাজে লাগাতে চাই।
জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংরক্ষিত আসনের ভোট নিয়ে যাচাই-বাছাই হচ্ছে। সহসাই হয়ে যাবে। সংসদ নির্বাচনের এক মাসের মধ্যে এ ভোট করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ভুয়া মামলা দায়ের এবং মামলায় নিরপরাধ
ব্যক্তিকে পক্ষভুক্ত করার চেষ্টা রোধে ফৌজদারি কার্যবিধিতে নতুন বিধি সংযোজিত হয়েছে
বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আজ রবিবার (২৯ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস
একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি
এ কথা জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, অ্যাডভাইজার
কাউন্সিলের আজকের বৈঠকের খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে- ফৌজদারি কার্যবিধির একটি সংশোধন।
আমাদের সরকারের আমলে কিছু জিনিস নিয়ে আমরা নিজেরাই খুব বিব্রত, এবং এ বিষয়েগুলো নিয়ে
আমরা কাজ করার চেষ্টা করি। তেমনই একটি বিষয় হচ্ছে ভুয়া মামলা, এবং আরেকটি হচ্ছে মামলায়
অকারণে নির্দোষ ব্যক্তিকে পক্ষভুক্ত করে মামলা বাণিজ্য করা। এ বিষয়টি থেকে পরিত্রাণ
পেতে এটি নিয়ে আমরা ভেবে দেখেছি। বাংলাদেশের ক্রিমিনাল ল' এক্সপার্ট ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
সাথে আলোচনা, বৈঠক করে আমরা ফৌজদারি কার্যবিধির একটি বিধানে বড় একটি সংশোধনী এনেছি।
১ফৌজদারি কার্যবিধিতে যখন একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয় তখন ইনভেস্টিগেশন করতে তিন-চার
বছর লাগে, এখানে শত শত আসামি থাকেন, কিছু ক্ষেত্রে এখানে মামলা বাণিজ্যও হয়। এ থেকে
পরিত্রাণ পেতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩(ক)/১৭৩(অ) এই নতুন বিধানটি যুক্ত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে- পুলিশ কমিশনার, এসপি বা কোনো জেলার এসপি পদমর্যাদার কোনো পুলিশ কর্মকর্তার
এখতিয়ারাধীন কোনো মামলার বিষয়ে তিনি যৌক্তিক মনে করলে ইনভেস্টিগেশন অফিসার/তদন্ত কর্মকর্তাকে
ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর সেই মামলার তদন্তের ব্যাপারে প্রাথমিক বা প্রিলিমিনারি ইনভেস্টিগেশন
রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দিতে পারবেন। ম্যাজিস্ট্রেট তার বিবেচনাবলে নিরপরাধ ও যার
বিরুদ্ধে উক্ত অপরাধের কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ নেই, তাদের প্রি ট্রায়াল বা বিচার পূর্ববর্তী
স্টেজেই মামলা থেকে রেহাই দিতে পারবেন।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান,
আমরা আশা করছি এটি কার্যকর হলে পুলিশ ও আদালত প্রশাসন একসাথে কাজ করে এসমস্ত মামলায়
গ্রেফতার বাণিজ্য, মামলা বাণিজ্য এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এর ফলে নিরপরাধ
ব্যক্তিরা ভুয়া মামলা থেকে রেহাই পাবেন। এর ফলে তদন্ত কিন্তু থেমে যাবেনা, যাদের বিরুদ্ধে
অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টতার যথাযথ প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চলমান
থাকবে।
আগামীকাল গেজেট প্রকাশিত হলেই আইনটি
কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।
এসময় আইন উপদেষ্টা আরও জানান, আজ আরেকটি
গুরুত্বপূর্ণ আইনগত অগ্রগতি হয়েছে। একটি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউএনওএইচসিএইচআর
এর প্রধান ফলকার তুর্ক আমাদের দেশে সফর করেছিলেন। সংস্থাটি তাদের কার্যালয়ের একটি মিশন
শাখা বাংলাদেশে খুলতে চেয়েছেন, এ লক্ষ্যে আলোচনা হয়েছে। তাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
আজকে এ বিষয়ে একটি খসড়া সমঝোতা স্মারকের ব্যাপারে আজকের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সভায় নীতিগতভাবে
অনুমোদিত হয়েছে। এটি নিয়ে আরো কিছু আলোচনার পর চূড়ান্ত খসড়াটি ফলকার তুর্ককে পাঠানো
হবে, তিনি তার মতামত দিলে দ্রুততম সময়ে এটি স্বাক্ষরিত হবে। এই স্মারক স্বাক্ষরিত হলে
প্রাথমিকভাবে তিন বছরের জন্য অফিস স্থাপিত হবে। বাংলাদেশে যদি কোন ধরনের গুরুতর মানবাধিকার
ঘটনা ঘটে তাহলে আমাদের মানবাধিকার বিষয়ক রাষ্ট্রীয় এজেন্সিগুলোর পাশাপাশি এই সংস্থাটিও
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।
সম্প্রতি কুমিল্লার মুরাদনগরে সংঘটিত
একটি ধর্ষণের বিষয়ে তিনি বরেন, মুরাদনগরে যে জঘন্য ঘটনা ঘটেছে, তাতে বাংলাদেশের যে
কোন সাধারণ নাগরিকের মত আমরা মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ের
সাথে সাথেই ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রধান আসামি এর সাথে সাথে যারা এই ছবি বা ভিডিও গুলো
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মতন অত্যন্ত দায়িত্বহীন ও অপরাধমূলক কাজ করেছে
তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ধর্ষণ বিষয়ক আইনে
সময়োপোযোগী সংশোধন এনেছি সেটার প্রমাণ আপনারা মাগুরার ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে দেখেছেন।
এই ঘটনাটির ক্ষেত্রেও আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার করব,
সে বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌপরিবহন
মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম
সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকার কোনো উন্নয়ন কাজ বন্ধ করেনি, করবেও না।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুইদিনের
বিশেষ সফরে পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি একথা বলেন।
উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন,
অনেকেই মনে করেছিলেন কী না কী হয়, প্রকল্পগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে আমরা কোনো কাজ
বন্ধ করিনি। অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়
রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনো প্রকল্প গ্রহণ করবে না। বাংলাদেশ সরকার বিদেশ থেকে যেসব পণ্য
আমদানি করে, তার মধ্যে থেকে ২০-৩০ শতাংশ পায়রা বন্দরের মাধ্যমে করা যায় কি না, সে বিষয়ে
পদক্ষেপ নিতে হবে। তা করতে পারলে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের চাপ কমবে। পায়রা সমুদ্র
বন্দরে যেসব প্রকল্প চলমান রয়েছে, সেগুলো নিজস্ব গতিতেই চলবে। এছাড়া বন্দরের সার্বিক
উন্নয়ন এবং অগ্রগতির বিষয়গুলো বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
মন্তব্য করুন
আগামী ২১ মে (মঙ্গলবার) দেশের
১৫৭টি উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত
প্রজ্ঞাপন থেকে বিষয়টি জানা গেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি নির্বাচন
কমিশনে (ইসি) পাঠিয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুজ্জামানের
সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামঙ দি
ডিফারেন্ট মিনিস্ট্রিজ অ্যান্ড ডিভিশনস-এর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অংশে ৩৭ নম্বর ক্রমিকের
অনুবলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক ১৫৭টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ
নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোট গ্রহণের দিন অর্থাৎ ২১ মে ২০২৪ তারিখ সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায়
সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।
ছুটি ঘোষণা করা উপজেলার তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
মন্তব্য করুন
ধর্ম-বর্ণ ও মতের পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশের সব মানুষ একই পরিবারের সদস্য বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে বিমানবন্দরে দেওয়া নিজের একটি বক্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, তখন বলেছিলাম আমরা একটা পরিবার। আমাদের নানামত, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে কিন্তু আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এটাতে জোর দিয়েছিলাম। আমাদের শত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা পরস্পরের শত্রু নই। আমাদের জাতীয়তা, পরিচয়ের প্রশ্নে এক জায়গায় চলে আসি। আমরা বাংলাদেশি, এক পরিবারের সদস্য।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শপথ গ্রহণের পরে শুনতে আরম্ভ করলাম, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। তখন মনটা খারাপ হয়ে গেল। এর পরপরই ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গেলাম। সেখানেও বললাম, আমরা একই পরিবারের সদস্য।
তিনি বলেন, সব দাবিদাওয়া বাদ দিলেও একটা দাবি পরিষ্কার আমাদের সকলের সমান অধিকার, বলার অধিকার, ধর্মের অধিকার, কাজকর্মের অধিকার। সেটা এসেছে সংবিধান থেকে। নাগরিক হিসেবে প্রাপ্য, রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেটা নিশ্চিত করা।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, শুনলাম এখনো সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে।
তাই আমি সবাইকে নিয়ে বসলাম, এটা থেকে কীভাবে উদ্ধার করা যায়।
দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেটা পুরো জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছিল। তখন তৃপ্তি পেলাম, একটু তো কাজ করেছি।
ভুল তথ্যের বিষয়ে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আবার নতুন কথা, হামলা হচ্ছে, অত্যাচার শুরু হচ্ছে। বিদেশি গণমাধ্যম বলব না প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, এটা হচ্ছে। আমি খোঁজ নিচ্ছি, কী হচ্ছে? সবদিকে দেখলাম এটা হচ্ছে না। এক খবরে বলা হচ্ছে, আরেক খবরে বলা হচ্ছে হচ্ছে না, তথ্যের মধ্যে ফারাক আছে। এটা ঠিক না। এটার অবসান হতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যে তথ্য পাচ্ছি তা ভুল হতে পারে। তথ্যের ওপর বসে থাকার কিছুই নাই, এটার অর্থ অন্ধের মতো বসে থাকা। ভেতরে গিয়ে দেখতে হবে। খোঁজ নিতে হবে তথ্যের গরমিল কেন? তাতে ওরা যা বলছে, তা কি মিথ্যা প্রচার? না আমরা যা বলছি তা মিথ্যা প্রচার। সত্যটা কোথায়।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যের কোনো ফারাক নেই। সেখানে সঠিক তথ্য কীভাবে পাব, সেটা আমাদের জানার। প্রকৃত তথ্য, অনেক সময় সরকারি তথ্যের ওপর ভরসা করে লাভ নেই। কর্তা যা চায়, সেভাবে বলে। আসলটা মন খুলে বলতে চাই না। আমরা আসল খবরটা জানতে চাই। সেই প্রক্রিয়াটা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এত বড় দেশে যেকোন ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু প্রকৃত তথ্য জানতে চাই। তাৎক্ষণিক খবর পেলে যাতে সমাধান করা যায়। যেদিক থেকেই দোষী দোষীই। তাকে বিচারের আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, প্রথম কথাটা হলো না হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা। আর হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা করা। আমি যা বলছি, তা দেশের বেশির ভাগ মানুষ মনে করে। আমরা এক পরিবারের মানুষ হিসেবে সামগ্রিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি। সেখানে তথ্য ও প্রতিকার হলো বড় বিষয়।
তিনি বলেন, আমি পেলাম তথ্য কিন্তু প্রতিকার পেলাম না। সমস্যা হয়ে গেলে সমাধান করতে হবে। আজকের আলোচনা খোলাখুলি, আমরা সবাই আলোচনা করব। আমাদের লক্ষ্যে কোনো গোলমাল নেই। তথ্য প্রবাহ কীভাবে পাব, দোষীকে কীভাবে ধরব, যাতে সবাই সঠিক তথ্যটা পেয়ে যায়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এমন বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই, যার নাম দিয়েছি নতুন বাংলাদেশ। এটা আমাদের করতে হবে। আপনাদের কথা বলে সন্তুষ্ট করে আজকের মতো বিদায় দিলাম তা নয়। এটা দ্রুত করতে হবে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে দেখলে হবে না, আমাদের বর্তমানেই করতে যেতে হবে।
সংখ্যালঘু সমস্যার বিষয়ে অবাধ, সত্য তথ্য কীভাবে সংগ্রহ করা যায়, সে বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের পরামর্শ চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কীভাবে নিরাপদে সংগ্রহ করব, যে তথ্য দিচ্ছে সে যেন বিব্রত না করে তাও নিশ্চিত হতে হবে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রথমবারের মতো সেনাসদরে গেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা সেনাসদরে পৌঁছালে সেনাবাহিনী
প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাঁকে স্বাগত জানান।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে জাতীয় নিরাপত্তার
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়। পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক
প্রদত্ত মূল্যবান দিকনির্দেশনাসমূহ সম্মিলিতভাবে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং
বাস্তবায়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালনে অত্যন্ত সহায়ক হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
মো: তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো: জাহাঙ্গীর আলম
চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারি লেফটেন্যান্ট
জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো: মাহবুব হোসেন, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী
প্রধান, পিএসও এএফডি, সামরিক ও অসামরিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং
গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, র্যাব এর মহাপরিচালকগণ
ও সেনাসদরের কর্মকর্তাগণ।
(খবর বাসসের)
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন,পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি
খুঁজে পায় নিজস্ব ঐতিহ্য,সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি আজ দেয়া এক বাণীতে বলেন, শুভ
নববর্ষ-১৪৩১’ পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির জীবনে পরম আনন্দের একটি দিন। আনন্দঘন
এই দিনে আমি দেশে ও বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাই বাংলা নববর্ষের
শুভেচ্ছা। ২০১৬ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন ও আদর্শের
অন্যতম ভিত্তি ছিল দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও জাতীয় চেতনার উন্মেষ। সেই চেতনায়
উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কারারুদ্ধ জীবনে সহবন্দিদের নিয়ে নববর্ষ উদযাপন
করেছিলেন। জাতীয় সংস্কৃতির এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জাতি হিসেবে বাঙালির জন্য
পরম গৌরব ও মর্যাদার।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন,পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি খুঁজে পায় নিজস্ব
ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ। দুঃখ, জরা, ব্যর্থতা ও মলিনতাকে ভুলে সবাই জেগে
ওঠে নব আনন্দে, নব উদ্যমে। বৈশাখের আগমনে বেজে উঠে নতুনের জয়গান। ফসলি সন
হিসেবে মোঘল আমলে যে বর্ষগণনার সূচনা হয়েছিল,সময়ের সাথে আজ সমগ্র বাঙালির
অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে।
এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের
আত্মবিকাশ ও বেড়ে ওঠার প্রেরণা। বৈশাখ শুধু উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।বাঙালি
সংস্কৃতির বিকাশ,আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মুক্তিসাধনায় পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি।
বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও গণতান্ত্রিক বিকাশে সংস্কৃতির এই শক্তি রাজনৈতিকতন্ত্রের
চেতনাকে দৃঢ় ও বেগবান করে।
"পহেলা বৈশাখ আমাদেরকে উদার হতে শিক্ষা দেয় এবং একটি আদর্শ জাতিকে মানব সমাজের অনুপ্রাণিত হয়ে
বিশ্বমানবের সঙ্গে মিশে যাওয়ার শক্তি জোগায়। এই উদারনৈতিক চেতনাকে ধারণ করে
বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আদর্শ এবং রাষ্ট্রভাষা চেতনার
বহ্নিশিখা অন্তরে ধারণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ
বিনির্মাণ হোক আজকের দিনে সকলের অঙ্গীকার।"
ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলে মিলে নাচ-গান, শোভাযাত্রা,
আনন্দ-উৎসব, হরেক রকম খাবার ও বাহারি সাজে বৈশাখকে বরণ করে নেয় উৎসবপ্রেমী বাঙালি
জাতি। নতুন বছরে যাত্রাপালা, পুতুলনাচ, লোকসংগীত, গ্রামীণ খেলাধুলা, মেলাসহ
নানাবিধ বর্ণিল আয়োজন মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয় আনন্দ ও সম্প্রীতির নতুন
বার্তা।
রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা - সকল অশুভ ও অসুন্দরের ওপর সত্য ও
সুন্দরের জয় হোক। ফেলে আসা বছরের সব শোক-দুঃখ-জরা দূর হোক, নতুন বছর জাতীয় ও ব্যক্তিজীবনে
নিয়ে আসুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি।
মন্তব্য করুন