ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে চা বিক্রির পাশাপাশি লেখাপড়া করে এবার উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে স্মৃতি পারভীন নামে এক ছাত্রী। প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চায়ের দোকানে চা বিক্রি করে রাতে পড়ালেখা করে জিপিএ-৫ পাওয়া স্মৃতির স্বপ্ন ভবিষ্যতে নার্স হয়ে অসহায় রোগীদের সেবা করা। কিন্তু ১৮ বছর বয়সী ছোট স্মৃতির নার্স হওয়ার ছোট স্বপ্ন বাস্তব রূপ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে,স্মৃতি পারভীন উপজেলার ময়না গ্রামের হারুন শেখের মেয়ে। তিন ভাইবোনের মধ্যে স্মৃতি দ্বিতীয়। উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের উপজেলার একমাত্র নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের কারিগরি শাখা থেকে সে এবার উচ্চ মাধ্যমিকে অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর আগে সে উপজেলার ময়না ইউনিয়নে অবস্থিত ময়না এ সি বোস ইনস্টিটিউশন থেকে মাধ্যমিকে অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়।স্মৃতি পারভীন জানায়, প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ময়না বাজারে অবস্থিত চায়ের দোকানে চা বিক্রি করে। এরপর রাত ১০টা পর্যন্ত বড় বোন মনিকা পারভীন চা বিক্রি করে। এভাবে পালাক্রমে দুই বোন চায়ের দোকান চালায়। প্রতি কাপ চা ৫টাকা। এতে যা লাভ থাকে তাতেই সংসার চলে।
স্মৃতি আরও জানায়, তাদের বাবা তেমন কিছু করে না বললেই চলে। ওই চায়ের দোকানই তাদের উপার্জনের প্রধান অবলম্বন। ছোট ভাই এবং নিজের পড়ালেখার খরচ, সংসারের খরচ, ওষুধের খরচ চায়ের দোকান থেকেই চালানো হয়। স্মৃতির ইচ্ছে একজন নার্স হওয়ার। তবে সংসার খরচ চালানোর পর তেমন একটা টাকা অবশিষ্ট থাকে না। এজন্য নার্স হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে কি না তা ভবিষ্যতের আর বড় বোনের ওপর ছেড়ে দিয়েই দীর্ঘশ্বাস ফেলে চায়ের পেয়ালায় হাত লাগায় মেধাবী স্মৃতি।
মন্তব্য করুন
২০২৩ সাল থেকে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। ধাপে ধাপে এই কারিকুলাম বাস্তবায়ন করবে সরকার। মুখস্থ নির্ভরতা কমানো ও হাতে কলমে শিক্ষা প্রণয়নের উদ্দেশ্য নিয়ে চালু হয় নতুন শিক্ষাক্রম। তবে এই নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা অভিভাবক মহলে। এই পদ্ধতি বাতিলেও দাবি তোলেন অনেকে। তবে নতুন কারিকুলাম চালু রেখেই পরীক্ষা পদ্ধতি ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত মিলছে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে।
শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন অ্যাপ নৈপুণ্যতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
নতুন শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী দায়িত্ব নেয়ার পর বলেছিলেন প্রয়োজনে শিক্ষা কারিকুলামে পরিবর্তন আনা হবে। সার্বিক বিষয়ে তিনি গত কয়েক দিন ধরে সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় করছেন। মতামত নিচ্ছেন। সপ্তাহখানেক আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে একটি মূল্যায়ন পদ্ধতি ও কারিকুলাম সংক্রান্ত একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন চলছে।কমিটিতে জাতীয় এনসিটিবি প্রতিনিধি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ও দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধিরা সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তাবৃন্দ এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ।
মূল্যায়ন কমিটির মতামতের উপর ভিত্তি করে পরীক্ষা আংশিক বা পুরো নম্বরে করা হতে পারে। পরীক্ষা না থাকায় অনেক অভিভাবকই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এখন নতুন করে কারিকুলাম ঠিক রেখে ৩০ থেকে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা রাখার চিন্তা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে গত ১লা ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এনসিটিবি এবং শিক্ষা কারিকুলামের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা ও ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক করেন। থিংক গ্লোবালি, অ্যাক্ট লোকালি অর্থাৎ চিন্তায় বৈশ্বিক কিন্তু দেশের সীমাবদ্ধ সম্পদ, অবকাঠামোর মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে- এমন চিন্তা থেকে এই কারিকুলাম ডিজাইন করা হয়েছে তা জানানো হয়। এরপর শিক্ষামন্ত্রী নতুন কারিকুলামে কীভাবে এসেছে রেফারেন্স দেশগুলো বাস্তবায়ন পদ্ধতি ও পরীক্ষার বিস্তারিত প্রতিবেদন আকারে তলব করেন। এরই প্রেক্ষিতে এনসিটিবি তা মন্ত্রণালয়কে সরবরাহও করেছে।
শিক্ষার্থীদের শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়নের তথ্য সংরক্ষণ ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুতের জন্য নৈপুণ্য অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এই অ্যাপের ওয়েব ভার্সন ব্যবহার সংক্রান্ত গাইডলাইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। এনসিটিবি বলছে, নতুন শিক্ষাক্রমে যদি কোনো পরিবর্তন, সংশোধন বা পরিমার্জন আসে তা বছরের যেকোনো সময় বাস্তবায়ন করা সম্ভব। কারণ কোনো বইই এখনো পূর্ণাঙ্গ নয়। সবই পরীক্ষামূলক সংস্করণ। গত বছরের এপ্রিল মাসে ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুটি বইয়ের ৪ শতাধিক সংশোধনী পাঠায় বোর্ড। সারা দেশে কমপক্ষে ৩ শতাধিক স্কুলে সশরীরে উপস্থিত থেকে উপযোগিতা যাচাইয়ের কাজ করা হবে। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তিকের স্কুলের তথ্য যুক্ত করা হবে।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, একেবারে বাতিল না করে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা রাখার দাবি উঠেছে সব মহল থেকে। এসব বিষয় পর্যালোচনা করতেই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশের উপর নির্ভর করছে বিষয়টি।
মন্তব্য করুন
ভাষা আন্দোলনের গতিবেগ দমিয়ে রাখতে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কারান্তরীণ রাখে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে করা পোস্টে এ কথা উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর দুঃশাসন ও শোষণের শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতিসত্তা বিনির্মাণের প্রথম সোপান। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে না হতেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আমাদের মুখের ভাষা বাংলা কেড়ে নিতে চায়।
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা দিলেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এই ঘোষণার বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলার ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হয়ে ওঠে। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পূর্ববাংলার ছাত্র-জনতা।’‘১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সর্বাত্মক সাধারণ ধর্মঘট ও হরতালের আহ্বান করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই হরতাল কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন। যার ফলে তার ওপর পুলিশি নির্যাতন চালানো হয় এবং ওই দিনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বঙ্গবন্ধুর গ্রেপ্তারের পর ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা পরিষদ গঠন করা হয়। সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৪৯ সালের এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে।এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার ফলে বঙ্গবন্ধুসহ ২৪ জন নেতাকে জননিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়।’
‘১৯৫২ সালের জানুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু আটক থাকা অবস্থায় গোপনে বৈঠক করে ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা দিবস পালন ও সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠনের নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি ১৯৫২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু জেল হাসপাতালে থেকে নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ২১ ফেব্রুয়ারি হরতাল ডেকে গণপরিষদ ঘেরাও করার পরামর্শ দেন।’
সজীব ওয়াজেদ আরো লিখেছেন, ‘বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার দাবিতে এই আন্দোলন দমনের লক্ষে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু বাঙালি জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত সংঘবদ্ধ ছাত্র-জনতাকে কোনোভাবেই দাবিয়ে রাখা যায়নি।
‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে বাংলার আকাশ-বাতাস। ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয় রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা অগণিত শহীদের রক্তে। ভাষা আন্দোলনের গতিবেগ দমিয়ে রাখতে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে কারান্তরীণ রাখে। তবে জেলে অবস্থানকালেই বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রভাষা বাংলার প্রতিষ্ঠা ও রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এক সপ্তাহের অনশন করেছিলেন। মায়ের ভাষার অধিকার ও রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ছিল বীর বাঙালি জাতির লড়াই-সংগ্রাম আর বীরত্বের গৌরবগাঁথা অধ্যায়। শহীদের রক্তে রঞ্জিত অমর একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির আত্মপ্রতিষ্ঠা, আত্মবিকাশ ও আত্ম-বিশ্লেষণের দিন।’
পোস্টের শেষে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি-আমি কি ভুলিতে পারি?’ লিখে ভাষা শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাও জানান সজীব ওয়াজেদ।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন ।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর সরকারপ্রধান হিসেবে এটি ছিল তার প্রথম কোনো রাষ্ট্রীয় সফর।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানি যান প্রধানমন্ত্রী। মিউনিখে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রধানমন্ত্রী জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি এবং ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
এছাড়া ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ও যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বর্তমান পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী লর্ড ক্যামেরন এবং জার্মান ফেডারেল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়নমন্ত্রী সভেনজা শুলজেও শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
মন্তব্য করুন
আগামী রবিবার সারাদেশে উদযাপিত হবে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আসুন, নতুন বছরে অতীতের সকল ব্যর্থতা-দুঃখ-গ্লানি পিছনে ফেলে সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করি।
পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে তিনি আজ বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বার্তায় (ভিডিও) দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন,
প্রিয় দেশবাসী,
আসসালামু আলাইকুম।
বর্ষ পরিক্রমায় আবারও আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে নতুন বছর। আপনারা যারা দেশে-বিদেশে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের সকল ভাইবোনকে জানাই বঙ্গাব্দ ১৪৩১-এর শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ।
প্রধানমন্ত্রী কবি সুফিয়া কামালের ভাষায় উচ্চারণ করে বলেন,
‘পুরাতন গত হোক! যবনিকা করি উন্মোচন
তুমি এসো হে নবীন! হে বৈশাখ! নববর্ষ!
এসো হে নতুন।”
শুভ নববর্ষ।
মন্তব্য করুন
আজ বাংলা নববর্ষ । বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে পহেলা বৈশাখে একটি বিশেষ স্থান দখল
করে আছে।
উৎসবমুখর এই দিনটি উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শুভ নববর্ষ
১৪৩১। বাংলা নববর্ষের এই দিনে আমি দেশবাসীসহ সব বাঙালিকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। পয়লা বৈশাখ বাংলা সনের
প্রথম দিন । এটি সর্বজনীন উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে।
আবহমান কাল ধরে নববর্ষের এই উৎসবে ধর্মবর্ণ-নির্বিশেষে সমগ্র জাতি নতুন অঙ্গীকারে নবপ্রাণ
স্পন্দনে জেগে ওঠে । সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে বাঙালি রচনা করে
সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন।
নববর্ষ এর সূচনালগ্ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের সূচনা হয় মূলত মোগল সম্রাট
আকবরের সময় থেকে। কৃষিকাজের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর ফসলি সন হিসেবে বাংলা সন গণনার
যে সূচনা করেন, তা কালের পরিক্রমায় সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক
উৎসবে পরিণত হয়েছে। পয়লা বৈশাখ বাঙালিয়ানার প্রতিচ্ছবি। এই উদ্যাপন আমাদের শিকড়ের
সন্ধান দেয়, এর মধ্য দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় জাতিসত্তার পরিচয়।
নববর্ষ আর বাঙ্গালি জাতি একই সুতার বাঁধনে বাঁধা । বাঙালির প্রতিটি ঘরে, জনজীবনে
এবং আর্থসামাজিক সংস্কৃতিতে পয়লা বৈশাখ এক অনন্য উৎসব। আজকের এই দিনটিকে কেন্দ্র করে
হালখাতার পাশাপাশি যাত্রাগান, পালাগান, পুতুলনাচ, অঞ্চলভিত্তিক লোকসংগীত, খেলাধুলাসহ
বিভিন্ন পসরা নিয়ে মেলার বর্ণিল আয়োজন হয় ।
এ আয়োজনগুলোর গুরত্ব উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এসবের মধ্য দিয়ে যেমন আমাদের
আবহমান গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি প্রাণ ফিরে পায়, তেমনি দেশের অর্থনীতি তথা ক্ষুদ্র ও
কুটির শিল্প ও সমৃদ্ধ হয়, যার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসে ।
পয়লা বৈশাখ ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধারণ
ও লালন করতে শেখায়। অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা ও অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পয়লা বৈশাখকে
গুরত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক অপশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করে আত্মপরিচয় ও স্বীয় সংস্কৃতির শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম মুক্তির সংগ্রামে
আর এভাবেই বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি লালনের মাধ্যমে বিশ্বসমাজে বাঙালি শ্রেষ্ঠ জাতি হয়ে
উঠবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কো ২০১৬ সালে পয়লা বৈশাখের মঙ্গল
শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নববর্ষের এ আন্তর্জাতিক
স্বীকৃতি সারা বিশ্বের বাঙালির জন্য নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক,
উদারনৈতিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের ভাবাদর্শে আজীবন যে সংগ্রাম করে গেছেন, তার মূলমন্ত্র
জাতিগত ঐতিহ্য ও অহংকার। এ কারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং দেশ পুনর্গঠনে কাজ
করেছে তাঁর অভিন্ন চেতনা। আমরা বীরের জাতি, এ জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কাল
থেকে কালান্তরের পথপরিক্রমায় বাঙালির অর্জন ও অগ্রগতি চির ভাস্বর হয়ে থাকবে, এ আমার
দৃঢ় বিশ্বাস।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত
জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ
করতে সক্ষম হব ইনশা আল্লাহ।
নতুন বছরের সংকল্প নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন, আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা,
অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনে এগিয়ে চলি। সুখী, শান্তিময়,
আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১-এ এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে আগামী ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের প্রচারণা ও মিছিল করার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনার আলোকে মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে।
এতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৮ অনুসারে কোনো নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণ শুরুর আগের ৪৮ ঘণ্টা এবং ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোনো জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান এবং কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা আয়োজন বা তাতে যোগদান না করার বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টায়। এ হিসাবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৯ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
পরিপত্রে আরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ভোটকেন্দ্রের ৪শত গজের মধ্যে কোনো প্রার্থী নির্বাচন ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবে না।
মন্তব্য করুন
নতুন সরকার গঠনের পর নিয়োগ পাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছয় উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রোববার (২১ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তাদের দায়িত্ব বণ্টন করেপ্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬ এর রুল ৩বি(২) অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টাদের এ দায়িত্ব বণ্টন করলেন ।
ড. মসিউর রহমান প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা, ড. গওহর রিজভী প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা, সালমান ফজলুর রহমান (সালমান এফ রহমান) প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
এছাড়া ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিককে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আগামী ১৯ ও ২০ নভেম্বর এর (রবিবার ও সোমবার) সব পরীক্ষা স্থগিত
করা হয়েছে।
১৮
নভেম্বর (শনিবার) দুপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো
হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণে ওই দুদিনের সব
পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্থগিত এসব পরীক্ষার সংশোধিত তারিখ
সংশ্লিষ্ট সবাইকে পরে জানানো হবে। এ ছাড়া পূর্ব ঘোষিত অন্যান্য পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি
অপরিবর্তিত থাকবে।
মন্তব্য করুন
মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়েছে ।
তিন দিনব্যাপী এ বিশ্ব ইজতেমা শুরুর আগে তিনজন ও ইজতেমা শুরু হওয়ার পর একজন মুসল্লি মৃত্যুবরণ করেন। এ নিয়ে বিশ্ব ইজতেমায় চারজন মুসল্লি মারা গেলেন।
শুক্রবার ভোররাতে এখলাস উদ্দিন (৭০) নামে এক মুসল্লি বার্ধক্যজনিত কারণে ইজতেমা ময়দানে মারা যান যার বাড়ি নেত্রকোনা জেলা সদরে।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সেলের প্রধান মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, ভোররাত ৩টা ১৫ মিনিটে ইজতেমা ময়দানে নির্দিষ্ট খিত্তায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে এখলাস উদ্দিনকে টঙ্গী শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার কুমরি বাজার গ্রামের আব্দুস সাত্তার (৭০), চাঁপাইনবাবগঞ্জের চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬৫) নামে ৩ জন মৃত্যুবরণ করেন।
মন্তব্য করুন
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংগীত শেষে মাদকবিরোধী বক্তব্য দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
সোমবার মাউশির সহকারী পরিচালক তপন কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্কুল-কলেজসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী প্রচারণা জোরদার করার লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান বা দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি জাতীয় সংগীত শেষে নিয়মিত মাদকবিরোধী সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও অনুরোধ করা হলো।
এর আগে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা দেয়া হয়।
মন্তব্য করুন