ঢাক-ঢোল ও বাঁশি বাজিয়ে বাংলা নববর্ষ বরণে অনুষ্ঠিত হলো আজ শোভাযাত্রা। সকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ডিএমপি কমিশনার শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন।
এর
আগে সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রায়
প্রদর্শনীর জন্য বিভিন্ন মুখোশ, পেঁচা, ঘোড়া, মূর্তি, ট্যাপা পুতুল, নকশি পাখি, বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি শোভাযাত্রার জন্য প্রস্তুত করা হয়।
আজ
মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ছিল ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী।তার সাথে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার ৩৫ বছর পূর্তি হলো ।
চারুকলা অনুষদের
উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা
১৯৮৯ সালে । বাঙালি এ উৎসব
সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়। এরপর থেকে বাংলা বর্ষবরণের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে ।
ইউনেস্কোর
বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করে ২০১৬
সালের ৩০ নভেম্বর এ
শোভাযাত্রা।
মন্তব্য করুন
বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোনো কিছু অর্জন করতে হলে জনগণের শক্তি দরকার।
২১ নভেম্বর মঙ্গলবার ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেওয়া এবং ২০২২-২৩ সালে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সদস্যদের পদকে ভূষিতকরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেওয়ার পাশাপাশি অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য শান্তিকালীন কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শান্তিকালীন পদক দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবার কল্যাণ কামনা করি, শান্তি কামনা করি। আমি জানি অগ্নিসন্ত্রাস বা জ্বালাও-পোড়াও মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। আমি জানি না একটা মানুষ কীভাবে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এটা করতো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৩ ও ১৪-এর পর এখন আবার সেই অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। কীভাবে একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে পোড়াতে পারে?. এদের চেতনা ফিরে আসুক, আমি এটাই চাই।
তিনি বলেন, একজন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না। অর্জন করতে হলে জনগণের শক্তি দরকার হয়। জনগণ পাশে থাকতে হয়। জনগণের কল্যাণ করতে হয়। জনগণের অকল্যাণ করে পুড়িয়ে মেরে কোনো কিছু অর্জন করা যায় না।
বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সরকারপ্রধান বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসার ঘটিয়ে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এটা ধরে রেখেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা, সেজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করি।
মন্তব্য করুন
আজ সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে সৌদির উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন তিনি। সৌদি আরবে ইসলামে নারীবিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ৬ থেকে ৮ নভেম্বর সৌদি আরবের জেদ্দায় আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদর দপ্তরের সমন্বয়ে সৌদি আরব এ সম্মেলন আয়োজন করেছে।
স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে প্রধানমন্ত্রী মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
সৌদি আরব সফরের প্রথম দিন সন্ধ্যায় তিনি মহানবী (সা.) এর রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন। রাতে প্রধানমন্ত্রী উড়োজাহাজে মদিনা থেকে জেদ্দায় যাবেন। জেদ্দা থেকে রাতেই তিনি মক্কা যাবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ওমরাহ পালন ও মসজিদে হারামে নামাজ আদায় করবেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যা ৬টায় জেদ্দার হিলটনে তিনি ‘উইমেন ইন ইসলাম’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী ইসলামে নারীবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং বক্তব্য দেবেন।
জেদ্দার হিলটনে সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা, ইরানের নারী ও পরিবারবিষয়ক বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এনসিহ খাজালি, ওআইসি নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. আফনান আলশুয়াইবি এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
রাতে সেখানে প্রধানমন্ত্রী তার সম্মানে দেওয়া নৈশ ভোজে অংশ নেবেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন দেশের ২য় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও করা হবে পাবনার রূপপুরে । প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয়টির কাজ যাতে শুরু করা যায় সেই ব্যাপারে এখন থেকেই তিনি প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।
আজ সোমবার (১১ মার্চ) বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এন এস টি ফেলসি এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফিজ ওসমান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বিজ্ঞানকে খুব গুরুত্ব দিতেন। তিনি সদ্য স্বাধীন দেশে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত পরমাণু শক্তি কমিশন মানুষের স্বাস্থ্য পরিচর্যা অত্যাধুনিক নিউক্লিয়ার মেডিসিন প্রচলন করেছে। আমরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছি। আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য চেষ্টা করেছিলাম দক্ষিণে কিন্তু দক্ষিণে আমাদের যে মাটি সে মাটি এত নরম। প্রত্যেকটা দিন আমরা দেখেছি আসলে সেখানে করা সম্ভব নয়। এখন যেখানে আমরা করেছি এটা বাস্তবায়ন সম্পন্ন হওয়ার পর দ্বিতীয়টাও আমরা এই পাবনাতেই রূপপুরে করতে পারবো। দক্ষিণ অঞ্চলের প্রত্যেকটি দ্বীপে অ্যাটমিক এনার্জি থেকে লোক পাঠিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, মাটির দেখা হয়েছে আসলে যেখানে মাটি খুব নরম, ওখানে করা সম্ভব হবে না। আমি এখনই বিজ্ঞান প্রযুক্তি মন্ত্রীকে বললাম যে এটার কাজ আমাদের শেষ হবে সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয়টা যাতে শুরু করতে পারি এখন থেকে আমাদের সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। তাছাড়া স্যাটেলাইট ১ আমরা উৎক্ষেপণ করেছি এবং স্যাটেলাইট ২ উৎক্ষেপণ করারও ইতোমধ্যে আমরা নিয়েছি।
মন্তব্য করুন
১৩ নভেম্বর সোমবার খুলনায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জনসভায় সভাপতিত্ব করবেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়া জনসভায় বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
সভাস্থল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এছাড়া তিনি ২টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে নানা প্রস্তুতি ইতোমধ্যে প্রায় শেষ হয়েছে। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে খুলনাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাদরে বরণ করতে প্রস্তুত খুলনাবাসী। প্ল্যাকার্ড, পোস্টার, বিলবোর্ড, তোরণ ও আলোকসজ্জা করা হয়েছে পুরো নগরজুড়ে।
মন্তব্য করুন
দুই একদিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এমন সময়ে চলমান অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিরোধ করতে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার একদিনে ১৫৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০হাজার ৪১টি অবকাঠামোর সমন্বিত উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন তিনি। ২৪টি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এসব প্রকল্পের ব্যয় ৯৭ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা।
এ দিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় গণভবনের সঙ্গে ৬৪টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিল সারা দেশের ১০১টি প্রান্ত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে যেহেতু আমাদের নির্বাচনে ঘনিয়ে এসেছে, হয়তো দুই একদিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী তারিখ সময় ঘোষণা দেবে। আজকে আমরা এজন্যই এখানে উপস্থিত হয়েছি, যেহেতু ডিজিটাল সুবিধা আছে, যে কাজগুলো আমরা করলাম সেগুলো উদ্বোধন করতে। তার পেছনে একটু কারণ বলি, ৯৬ সালে অনেকগুলি কাজ করেছি। তখন কিন্তু সব উদ্বোধন করতে পারিনি, হয়তো যে সরকার এসেছে, সরকার গঠন করার এক মাসের মধ্যেই সেই গাবখান ব্রিজ উদ্বোধন করার সময় খালেদা জিয়া বক্তব্য দিচ্ছে, এই সরকার কোনো কাজই করেনি, কোনো উন্নয়ন করেনি। মানে তিনি এক মাসের মধ্যে এই ব্রিজ তৈরি করে ফেলেছেন! গাবখান ব্রিজ বিশাল একটা নদী সেই নদীর উপর দিয়ে সেই ব্রিজ। এ রকমই অনেক কিছু শুনতে হবে যে, আমরা কিছুই করিনি। এবার আমরা যেটুকু কাজ করেছি, সেটুকু উদ্বোধন করব এই হলো বাস্তবতা। সেজন্যে আজকের এই আয়োজন যেগুলো বাকি আছে সেগুলো অন্তত করে দিয়ে যাই। আর তারপরে যখন ইলেকশন হবে জনগণ যদি নৌকা মার্কায় ভোট দেয়, আবার আসব আর না দিলে আমার কোনো আফসোস থাকবে না। কারণ আমি তো দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় নিয়ে এসেছি, এটুকু করতে পেরেছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার আমরাই নিশ্চিত করেছি, কাজেই জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দেবে।
মন্তব্য করুন
বর্ণাঢ্য আয়োজন বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা এবং আনন্দমুখর পরিবেশে প্রতিবারের ন্যায় এবারও পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪ আগামীকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শুরু হচ্ছে ।
ছয় দিনব্যাপী এ পুলিশ সপ্তাহ চলবে ৩ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত।
পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪ এর মূল প্রতিপাদ্য-স্মার্ট পুলিশ, স্মার্ট দেশ; শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ।
বর্তমান সরকার পুলিশ বাহিনীকে একটি আধুনিক, যুগোপযোগী, দক্ষ ও জনবান্ধব বাহিনীতে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে পুলিশ সদস্যদের কার্যক্রমে এসেছে গতিশীলতা এবং কর্মচাঞ্চল্য। পুলিশের জনবল বৃদ্ধি, সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তির সংযোজন, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিশেষায়িত নতুন নতুন ইউনিট গঠনসহ বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ পৃথক বাণী দিবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিন সকাল সাড়ে দশটায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস্ মাঠে সুশৃঙ্খল ও নয়নাভিরাম বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন। তিনি সারাদেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহীদলের মনোমুগ্ধকর প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ শেষে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) এর স্টল পরিদর্শন এবং পুলিশ সদস্যদের সাথে কল্যাণ প্যারেডে অংশগ্রহণ করবেন।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতার চ্যানেলগুলোতে এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিগত ২০২৩ সালে অসীম সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজ, মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা প্রদর্শন, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের জন্য ৪০০ জন বিপিএম ও পিপিএম পদক পাচ্ছেন। পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অসীম সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে “বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)” , ৬০ জনকে “রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)” এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা প্রদর্শন, কর্তব্য নিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে “বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-সেবা)” এবং ২১০ জনকে “রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা)” পদক প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী পদকপ্রাপ্তদেরকে পদক প্রদান করবেন।
পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতির ভাষণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্মেলন, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মেলন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীবর্গের সম্মেলন, আইজি’ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র/মাদক উদ্ধার প্রভৃতি পুরস্কার বিতরণ, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কর্মরত পুলিশ অফিসারদের পুনর্মিলনী, পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির বার্ষিক সমাবেশ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে আইজিপির সম্মেলন এবং বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা ইত্যাদি।
আগামী ৩ মার্চ ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে পুলিশ সপ্তাহের নানা আয়োজনের।
পুলিশ সপ্তাহে বিগত এক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরবর্তী বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের পাশাপাশি তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সম্মতিও জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনেও সম্মতি দিয়েছেন।
নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলেও গণ্য করার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
শপথ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ গঠিত হয়। বাকি ছিল প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের বিষয়টি। রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেওয়ার পর যে কর্মকাণ্ডও সম্পন্ন হয়েছে। এখন বাকি নতুন মন্ত্রিসভার শপথ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকালে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হবে বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কাভার করা দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
রোববার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে জানানো হয় সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় গণভবনে এ সৌজন্য বিনিময় অনুষ্ঠিত হবে।
প্রেস উইং আরো জানায়, শেখ হাসিনা সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় গণভবনে সবার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করবেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের আস্থা-বিশ্বাস
থাকার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের
আস্থা-বিশ্বাস থাকে না সেই সেনাবাহিনী রণাঙ্গণে বিজয়ী হতে পারে না। আমাদের সেনাবাহিনী
আজকে জনগণের পাশে দাঁড়ায়, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। যেকোন দুঃসময় দেখা দিলে
আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে আছে এবং জনগণের একটা ভরসাস্থল হিসেবে সেই আস্থা
আজকে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
রোববার (৫ মে) ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত
আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন এবং আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম
সেনাপ্রাঙ্গণের উদ্বোধন শেষে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দরবারে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের
সেনাবাহিনীর ওপর যেন সাধারণ মানুষের একটা আস্থা-বিশ্বাস সৃষ্টি হয়। যেটা যেকোন সেনাবাহিনীর
জন্য একান্তভাবে জরুরি। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রয়োজন। যেকোন দুঃসময় দেখা
দিলে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে আছে এবং জনগণের একটা ভরসাস্থল হিসেবে সেই আস্থা
আজকে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সশস্ত্র
বাহিনী যে অবদান রাখে প্রতিটি দেশ, প্রত্যেকেই ভূয়সী প্রশংসা করে। সেটাকে আরও উন্নত
করাই আমাদের লক্ষ্য। সশস্ত্র বাহিনীর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭৪ সালে
যে প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন তারই ভিত্তিতে ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করে আমরা
তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। ফোর্সেস গোল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা চাচ্ছি আমাদের সশস্ত্র
বাহিনী আধুনিক জ্ঞানসম্পন্নভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে, সেই সাথে যেহেতু ২০০৮ এর নির্বাচনে
আমাদের লক্ষ্য ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা, কাজেই আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন
আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠবে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য, সেভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গসহ
জনসাধারণের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি
(এএফআইপি) বিভাগের জন্য নতুন ভবন নির্মাণ করা
হয়েছে। এ ছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার, সামাজিক
অনুষ্ঠান ইত্যাদি আয়োজনের লক্ষ্যে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম সেনাপ্রাঙ্গণের নির্মাণ
করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য,
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বাহিনী প্রধানগণ, ঢাকা সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক
কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন