ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের দাবি দীর্ঘ ৪০ বছর পর পূরণ হতে যাচ্ছে।
এমপিওভুক্তির প্রস্তাবের ফাইলে শেষদিন বুধবার (৫ মার্চ) স্বাক্ষর করে গেছেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ফলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা এমপিওভুক্ত হচ্ছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রথম ধাপে ১ হাজার ৫১৯ ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ৬ হাজারের বেশি শিক্ষকের ভাগ্য খুলছে।
আজ বিদায়ী বক্তব্যে বিষয়টির ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ নিজেই। আজ বুধবার (৫ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শেষ কর্মদিবসে সেই ফাইলে স্বাক্ষর করে গেছেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা। সেই ফাইল এখন প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হবে। তার সম্মতি মিললে মে মাসের মধ্যে শিক্ষকরা বেতন-ভাতা পেতে পারেন।
তিনি বলেন, দেশে অনেক ইবতেদায়ী মাদ্রাসা আছে। এর মধ্যে অনেকগুলো অনানুষ্ঠানিক। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠানের নথি (রেজিস্ট্রেশন) আছে। সরকারি প্রাথমিক স্কুলের মতো তারা বাংলা, ইংরেজি, গণিত পড়াচ্ছে। অবকাঠোমো, শিক্ষক থাকার পরও তাদের এমপিওভুক্ত করা হয়নি। তাদেরকে এমপিওভুক্ত করা সম্ভব। সেই কাজ আমি করে দিয়েছি।
এদিকে আজ বঙ্গভবনে নতুন শিক্ষা উপদেষ্টার শপথ অনুষ্ঠানে এই শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়টি অর্থ বিভাগের সচিবকে অবহিত করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা। এ সময় অর্থ সচিব প্রধান উপদেষ্টার সম্মতি মিললে টাকা ছাড় করার বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।
মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস থেকে ইবতেদায়ী শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার জন্য কাজ করছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ। সারা দেশে এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনাক্তকারী নম্বর আছে (ইআইআইএন) এমন ১ হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসাকে এমপিও করার ফাইল প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হবে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, বিদায়ী উপদেষ্টা এই ফাইলে স্বাক্ষর করেছেন। ফাইলটি এখন প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের অনুমতির জন্য পাঠানো হবে। তিনি সদয় অনুমতি দিলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা হবে।
কতদিন লাগতে পারে- জানতে চাইলে সচিব বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় চলতি বছরের বাজেট বরাদ্দ থেকে অর্থ ছাড়ের আশ্বাস দিয়েছেন। মে মাসের বেতন যেন শিক্ষকরা পান সেই চেষ্টা চালাচ্ছি।
মন্তব্য করুন
মার্কিন শুল্ক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপদেষ্টা, অর্থনীতিবিদ, বিশেষজ্ঞ ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন।
আজ (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠক শুরু হয়েছে।
মন্তব্য করুন
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ (৬ অক্টোবর ২০২৪) সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে 'সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪' এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
করেন।
১ম পর্বের এই পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল ও
লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির যোগ্য কর্মকর্তাগণ পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত
হবেন।
পদোন্নতি পর্ষদের মূল্যবান বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা
ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সিক্ত নতুন বাংলাদেশে সকলকে স্বাগত জানান। এসময় তিনি গভীর
শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকলের
প্রতি।
তিনি আরও স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী
সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর শহিদসহ সকল বীর সেনানীদের যাঁদের আত্মত্যাগ জাতি
চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা পদোন্নতির জন্য অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা,
নেতৃত্বের গুণাবলী, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি
নিযুক্তিগত উপযুক্ততার উপর গুরুত্বারোপ করতে নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যদের নির্দেশনা
প্রদান করেন। এছাড়াও সৎ, নীতিবান এবং নেতৃত্বের অন্যান্য গুণাবলী সম্পন্ন
অফিসারগণই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার বলে তিনি মন্তব্য করেন। তাছাড়া রাজনৈতিক
মতাদর্শের উর্দ্ধে থেকে যে সমস্ত অফিসার সামরিক জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যোগ্য
নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন সেই সকল অফিসারদেরকে পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করার
নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের
মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে
ত্বরান্বিত করে দেশকে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করেছে। ফলশ্রুতিতে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ
করেছে বলে তিনি তাঁর মূল্যবান বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি; প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারি, চীফ অব জেনারেল স্টাফ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার। শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করায় সেনাবাহিনী প্রধান প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সচিব উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাগণের সাথে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।
মন্তব্য করুন
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন সরকারি এবং বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অনলাইন আবেদন ফরম পূরণের সময়সীমা ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
গত ২৪ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৪ নভেম্বর আবেদনের শেষ সময় ছিল।
আবেদন ফরম পূরণের পর রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
তিনি আসামিদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আজ দুপুর ১টায় শিশুটি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছানোর
মাধ্যমে জুলাই সনদ ঘোষণা করা হবে। আমরা সবাই আজ এখানে দেশ ও জাতির কল্যাণে একত্রিত
হয়েছি। আশা করি, সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছে আমরা একটি অত্যন্ত সুন্দর জুলাই
সনদ প্রস্তুত করতে পারবো।
আজ
সোমবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক
দলগুলোর দ্বিতীয় দফা সংলাপের উদ্বোধনী বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, সরকার আশা করে যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে এনে জুলাই সনদ
ঘোষণা করা সম্ভব হবে।
প্রধান
উপদেষ্টা নিজে ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি খুব খুশি যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি জাতীয়
ঐকমত্য গড়ে তুলতে এই সংলাপে অংশগ্রহণ করেছেন।
কমিশনের
সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, কমিশনের মেয়াদ ২০২৫ সালের আগস্টে শেষ হচ্ছে এবং
এর আগেই জুলাই মাসে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে কমিশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের ওপর
অর্পিত এই পবিত্র দায়িত্ব পালনে অবশ্যই সফল হতে হবে।
জাতীয়
ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফা সংলাপ আজ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অধ্যাপক ইউনূসের সভাপতিত্বে
শুরু হয়েছে।
উক্ত
সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় জড়িত অংশীজনরা অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান যেকোনো ধরনের স্থাপনায় কোনো ধরনের হামলা-ভাঙচুর না চালাতে এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি না করতে আহ্বান জানিয়েছেন ।
এ তথ্যটি আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে ঢাকায় হাজারো ছাত্রজনতার ঢল নামে। এ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। দুপুরে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে চড়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
এদিকে, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।
তিনি বলেন, আমি জনগণের জানমালের দায়িত্ব নিয়েছি। আপনারা আশাহত হবেন না। আপনাদের সব দাবি পূরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন ও তাদের
দায়িত্ব বণ্টন করে শুক্রবার (৯ আগস্ট) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টাসহ মোট ১৭ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত
হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে শপথ নিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের
প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্য ১৩ জন উপদেষ্টা। তবে ঢাকার বাইরে থাকায় সেদিন
তিনজন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিতে পারেননি।
এক নজরে কে কোন মন্ত্রণালয় এর দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেন -
১. প্রধান উপদেষ্টা ড.
মুহাম্মদ ইউনূস
১. মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, ২. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ৩. সশস্ত্র
বাহিনী বিভাগ, ৪. শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ৫. সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, ৬. খাদ্য
মন্ত্রণালয়, ৭. গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ৮. ভূমি মন্ত্রণালয়, ৯. বস্ত্র ও পাট
মন্ত্রণালয়, ১০. কৃষি মন্ত্রণালয়, ১১. বিজ্ঞান ও প্রযুুক্তি মন্ত্রণালয়, ১২. রেলপথ
মন্ত্রণালয়, ১৩. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, ১৪. বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ
মন্ত্রণালয়, ১৫. নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, ১৬. পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, ১৭. মহিলা ও
শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ১৮. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ১৯. তথ্য ও
সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, ২০. প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ২১.
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ২২. শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ২৩. সংস্কৃতি বিষয়ক
মন্ত্রণালয়, ২৪. বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, ২৫. মুক্তিযুদ্ধ
বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ২৬. পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ২৭. প্রাথমিক ও
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অন্য উপদেষ্টারা
২. ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ- অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা
মন্ত্রণালয়।
৩. ড. আসিফ নজরুল- আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
৪. আদিলুর রহমান খান- শিল্প মন্ত্রণালয়।
৫. এ এফ হাসান আরিফ- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়
মন্ত্রণালয়।
৬. মো. তৌহিদ হোসেন- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
৭. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন
মন্ত্রণালয়।
৮. শারমিন এস মুরশিদ- সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন- স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়।
১০. আ ফ ম খালিদ হোসেন- ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
১১. ফরিদা আখতার- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
১২. নুরজাহান বেগম- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
১৩. মো. নাহিদ ইসলাম- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি
মন্ত্রণালয়।
১৪. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
তবে ঢাকার বাইরে থাকায় ফারুক-ই-আযম, সুপ্রদীপ চাকমা ও বিধান
রঞ্জন রায় উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিতে পারেননি।
মন্তব্য করুন
সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে
আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা
গর্বিত।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে
ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, আজকে আমরা বিশেষভাবে সৌভাগ্যবান এবং সম্মানিত যে, বাংলাদেশের তিনবারের
নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী
বেগম খালেদা জিয়া আজ এখানে আমাদের মাঝে উপস্থিত আছেন। এক যুগ ধরে তিনি এই মহাসম্মেলনে
অংশগ্রহণের সুযোগ পান নাই। আজকে সুযোগ পেয়েছেন, আমরা সবাই আনন্দিত এবং গর্বিত। আমরা
এই সুযোগ দিতে পেরেছি আপনাকে। শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও এই বিশেষ দিবসে সবার সঙ্গে
শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আমরা তার আশু রোগ মুক্তি কামনা করছি। এবং এই
অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে স্বাগত জানাচ্ছি।
দীর্ঘ এক যুগ পর সশস্ত্র বাহিনী দিবস
উপলক্ষে সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী
বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে সর্বশেষ ২০১২ সালে সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন
তিনি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মুহাম্মদ
ইউনূস এবং খালেদা জিয়া পাশাপাশি বসেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়া কুশল
বিনিময় করেন। খালেদা জিয়াকে বেশ উৎফুল্ল দেখা যায় এবং তাদের হাস্যোজ্জ্বল কথাবার্তা
বলতে দেখা যায়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘুরে ঘুরে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
জানা গেছে, এবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস
উপলক্ষে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির ২৬ নেতাকে সেনাকুঞ্জে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থান
ছাড়াও সুফি মাজারে যেকোনো বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য এবং হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী
সরকার। সেই সঙ্গে হামলায় জড়িতদের অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে
কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানিয়েছে সরকার।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয় থেকে পাঠানো
বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত কয়েকদিনে কিছু দুর্বৃত্তের
দেশের সুফি মাজারগুলোতে হামলা চালানোর বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে। অন্তর্বর্তী
সরকার ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থাপনা এবং সুফি মাজার সম্পর্কিত যেকোনো বিদ্বেষমূলক বক্তব্য
এবং হামলার তীব্র নিন্দা জানায়। এসব হামলার সঙ্গে জড়িতদের অতি দ্রুত আইনের আওতায়
আনা হবে। সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। ধর্মীয় উপাসনালয়
ও সাংস্কৃতিক স্থাপনা রক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে
নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের
দেশ। ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক সহিষ্ণুতা ও সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করার যেকোনো প্রচেষ্টা
সরকার দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করবে।
মন্তব্য করুন
কাজের ক্ষেত্রে কারো রক্তচক্ষু বা ধমক
আমলে না নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মাঠ প্রশাসনকে
আইন অনুযায়ী দেশের জন্য কাজ করতে বলেছেন।
আজ রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে
১০টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, কারও রক্তচক্ষুর কারণে, কারো ধমকের কারণে কোনো কাজ করার প্রয়োজন নাই। আমি
নিজের মতো করে যেটাই আইন, যেটা দেশের জন্য করা দরকার সেটা করবো। সে কাজেই আমি ব্যস্ত
থাকবো যাতে আমি করতে পারি।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বিনা কারণে মানুষকে হয়রানি করা হয়। হয়রানি
করাটাই যেন আমাদের ধর্ম! সরকার মানেই মানুষকে হয়রানি—এটার থেকে উল্টে দাও। সরকার ভিন্ন জিনিস,
আপনার অধিকার আপনার দরজায় পৌঁছে দেওয়া আমাদের কাজ। এটাই যেন আমরা স্মরণ রাখি।
দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠাকে সর্বোচ্চ
অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যেহেতু এমন পরিস্থিতিতে
এসেছি, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা মস্ত বড় ইস্যু হয়ে গেল। এটাতে আমরা কে কী পরিমাণে
অগ্রসর হলাম, কী করণীয়—এটা
এক নম্বর বিবেচ্য বিষয়। আইন-শৃঙ্খলায় আমরা যেন বিফল না হই, কারণ এটাতে আমাদের সমস্ত
অর্জন সফলভাবে অর্জিত হতে বা বিফলতায় পর্যবসিত হতে পারে। সেটাই নিয়ে এই সম্মেলনে আলোচনা
হোক। ফিরে যাওয়ার পর যেন এটা বোঝার মধ্যে কোনো গলদ না থাকে।
মন্তব্য করুন