

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পতিত শক্তি গন্ডগোল লাগিয়ে নির্বাচনের আয়োজনকে ভন্ডুল করার চেষ্টা করছে। এই অপচেষ্টাকে প্রতিহত করতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
আজ শনিবার
(২৬ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন
তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অভ্যুত্থানের সকল শক্তি মিলে একটি সুন্দর নির্বাচন করতে না পারলে এই মস্ত বড় সুযোগ আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে। পরাজিত শক্তি যখনই সুযোগ পাচ্ছে তখনই নানা রকম গন্ডগোল সৃষ্টি করছে। এসব করে তারা দেশের স্বাভাবিক অগ্রযাত্রাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। যখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা অগ্রসর হচ্ছি তখনই নানা ষড়যন্ত্র সামনে আসছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে কোন ষড়যন্ত্র করেই গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। কারণ ফ্যাসিবাদ প্রশ্নে সবগুলো গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য স্পষ্ট।
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।
উপস্থিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে
উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণফ্রন্টের আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস, ১২ দলীয় জোটের মোস্তফা জামাল হায়দার, নেজামে ইসলাম পার্টির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, ন্যশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জাসদের ড. মুশতাক হোসেন, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের ববি হাজ্জাজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, ভাসানী জনশক্তি পার্টির রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) -এর মাসুদ রানা এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।
বৈঠকের শুরুতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন


যেসব শিক্ষার্থী রাস্তায় ট্রাফিকের কাজ করছে তাদের তালিকা করে সবাইকে পুলিশের পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এ কথা জানিয়ে আরো
বলেছেন, এই সার্টিফিকেট চাকরি ক্ষেত্রে যেন মূল্যায়ন করা হয়।
সাখাওয়াত হোসেন এটাও বলেন যে, আমি আইজিপিকে অনুরোধ করবো, এই যে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় ট্রাফিকের কাজ করছে তাদের তালিকা করে সবাইকে পুলিশের পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট দেবেন। শিক্ষার্থীরা নিজের টাকায় সড়কে কাজ করছে, সড়ক পরিষ্কার করছে, রং কিনে দেয়াল সুন্দর করছে। এটা যদি সরকারি প্রজেক্ট হতো তাহলে হাজার কোটি টাকা লাগতো। একটা দেশে এই চাইতে ভালো উদাহরণ হতে পারে না।
শিক্ষার্থীরা তাঁর গাড়িও চেক করেছে উল্লেখ করে তিনি জানান, পতাকাওয়ালা গাড়ি থামানো হয়েছে। তারপর তারা বলেছে পতাকা থাক আর যাই থাক গাড়ি চেক করবো। এরপর আমাকে দেখে বললো না স্যার আপনি চলে যান।
মন্তব্য করুন


সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিক
৩১ দিন পর মুক্তি পেলেন । নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাত ৩টা ৩০ মিনিটে কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এবং আজ রোববার সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো
হবে।
গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে যাত্রা শুরু
করে জাহাজটি। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।
এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরের জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি।
জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা রয়েছে। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের সবাই বাংলাদেশি।
পরে দস্যুরা মুক্তিপণের জন্য জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ
করে। ঈদের আগেই জাহাজটির মালিকপক্ষ নানা পর্যায়ে দরকষাকষির পর দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা
আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর আভাস দিয়েছিল।
জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ।
এর আগে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
সাংবাদিকদের বলেন, সোমালিয়ায় জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি ২৩ নাবিককে উদ্ধারের তৎপরতা
চলছে। বিষয়টি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আশা করি, অল্প কিছুদিনের মধ্যে তাদের সুস্থ অবস্থায়
দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব।
তিনি আরো বলেন, আমাদের একটা লক্ষ্য ছিল, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে তাদের যেন আনতে
পারি। কিন্তু সেই টার্গেটটা পূরণ করা যায়নি। তবে আশা করছি, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই
তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব। জলদস্যুরা কিছু একটা পাওয়ার জন্য জিম্মি করেছে নাবিকদের।
কিন্তু তাদের কত টাকা দিতে হবে এটা বলা যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে জাতিসংঘ পাশে থাকবে বলে
মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) এক এক্স বার্তায় এমন মন্তব্য করে তিনি
বলেন, আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বাংলাদেশের
জনগণকে তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সংস্কার
ও রূপান্তরের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একটি টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার
লক্ষ্যে জাতিসংঘ সর্বদা আপনাদের পাশে থাকবে।
এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব
ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠক করেন। শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ৯টায়
রাজধানীর ইন্টার কন্টিনেন্টালে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব একই উড়োজাহাজে কক্সবাজার ভ্রমণ করেন
।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে কক্সবাজার পৌঁছেছেন
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
কক্সবাজার বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
কক্সবাজারে নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর
ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন ড. ইউনূস। পরিদর্শন শেষে
উখিয়ায় ড. ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার
সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন। জাতিসংঘ মহাসচিব সেখানে রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার,
রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।
পরিদর্শন ও ইফতার শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একসাথে সন্ধ্যায় ঢাকায়
ফিরবেন।
মন্তব্য করুন


আজ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের শপথ গ্রহণ হবে।
বাংলাদেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে রোববার (১১ আগস্ট) বঙ্গভবনে তার শপথগ্রহণ হবে।
রাষ্ট্রপতির আদেশে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি হাইকোর্টের বিচারক বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের প্রয়াত জ্যেষ্ঠ বরেণ্য আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ এবং প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদের ছেলে।
সৈয়দ রেফাত আহমেদের জন্ম ১৯৫৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর। তিনি ১৯৮৪ সালে জেলা আদালতে, ১৯৮৬ সালে হাইকোর্ট এবং ২০০২ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে বিএ ও এম এ ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্র থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান তিনি। দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, ভারত, পাকিস্তান, আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা, নেপালসহ পৃথিবীর বহুদেশ ভ্রমণ করেছেন।
মন্তব্য করুন


রমজান মাসে লোডশেডিং না
দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ৪ কার্গো অতিরিক্ত এলএনজি আমদানির করা হচ্ছে
বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
রবিবার (২ মার্চ) আসরের নামাজের পর রাজধানীর সার্কিট হাউজ জামে
মসজিদের সামনে সাংবাদিকদের উপদেষ্টা বলেন, রমজানে ৪ কার্গো অতিরিক্ত এলএনজি
আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা আশা করছি রমজান মাসে ইনশাআল্লাহ কোনো লোডশেডিং হবে
না।
তিনি বলেন, আমাদের যে গ্যাস ছিল সেই গ্যাস ফুরিয়ে যাচ্ছে। আমরা
বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার করে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করছি। এবারের রোজা কিছুটা
গরমের মধ্যে পড়ছে। এ সময় আমাদের সেচের জন্য অনেক বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়। বিদ্যুতের
চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। শীতকালে আমাদের বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ৯ থেকে ১০ হাজার
মেগাওয়াট। সেচ ও গরমের কারণে এই বিদুতের চাহিদা গরমে ১৭ থেকে ১৮ হাজার মেগাওয়াট
হয়ে যায়। এর মধ্যে দুই হাজার মেগাওয়াট লাগে আমাদের সেচ কাজে। কিন্তু সেচ বন্ধ
করা যাবে না। সেচ বন্ধ হলে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হব।
বিদ্যুৎ চুরির বিষয়ে উপদেষ্টার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু
যে বিদ্যুৎ চুরি হয় তা নয়, গ্যাসও চুরি হয়। সেজন্য আমরা অবৈধ গ্যাস সংযোগ
বিচ্ছিন্ন করছি। বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ব্যবস্থা নিচ্ছি।
উপদেষ্টা বলেন, শীততাপ
নিয়ন্ত্রণ এবং অতিরিক্ত আলোকসজ্জ্বার জন্য ৫ থেকে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে।
এজন্য আমরা ইমাম সাহেব এবং মুসল্লিদের মাধ্যমে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছি এসির
তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি রাখার জন্য। এই ২৫ ডিগ্রি বেশ ভালো তাপমাত্রা। এ তাপমাত্রায়
মানুষ খুব আরামে ইবাদাত করতে পারবে। জুয়েলারি শপেও যেন অতিরিক্ত আলোকসজ্জ্বা না করা হয়। এজন্য আমি
এবং আমার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের সহকর্মীরা সবার কাছে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের সময় রবিন হোসেন নামে ভারতীয় এক নাগরিককে আটক করা হয়েছে। গত সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের নারায়নপুর সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আটক হওয়া রবিন হোসেন (২৫) ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার বক্সনগর থানা এলাকার গৌরাঙ্গলা (আশাবাড়ি) গ্রামের আব্দুল সালামের ছেলে।
বিজিবি সূত্র জানায়, সুলতানপুর ৬০ বিজিবির শশীদল বিওপির একটি টহলদল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায়। নায়েব সুবেদার আবু বক্করের নেতৃত্বে রাত ৯টার দিকে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেইন পিলার ২০৫৮/৬-এস থেকে প্রায় ৩৫০ গজ ভেতরে নারায়ণপুর মাজারের সামনে থেকে রবিন হোসেনকে সীমান্ত অতিক্রমের সময় আটক করে বিজিবি। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে রবিন বৈধ পাসপোর্ট বা ভ্রমণসংক্রান্ত কোনো নথি দেখাতে পারেননি।
শশীদল বিওপির বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আবু বক্কর জানান, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ (কন্ট্রোল অব এন্ট্রি) অ্যাক্ট ১৯৫২-এর ৪ ধারায় মামলা করে তাকে আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসের একদিন
আগে গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে International Convention for the Protection of
All Persons from Enforced Disappearance (ICPPED) যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) উপদেষ্টা পরিষদের
সভায় গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে সই করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক
সনদটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। ৩২টি দেশ এটি অনুস্বাক্ষর করার পর ২০১০ সালে
এ সনদের বাস্তবায়ন শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৭৫টি দেশ এ সনদে যুক্ত হয়েছে।
গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদের লক্ষ্য
হলো: গুম বন্ধের পাশাপাশি এ অপরাধের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের
সহায়তা দেওয়া।
মন্তব্য করুন


ইতালি প্রবাসী ফুটবলার ফাহমিদুল ইসলামকে প্রাথমিক ক্যাম্পে ডেকেও দেশে আনা হয়নি। এ নিয়ে দেশের ফুটবলে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আর সমর্থকদের মধ্যে তৈরি হওয়া এ ক্ষোভ গড়িয়েছে আন্দোলনেও।
এমন পরিস্থিতিতে
রাজধানীর নগর ভবনে আজ দুপুর আড়াইটায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ
মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ ফুটবলের নতুন সম্ভাবনা
হামজা চৌধুরী। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত হয়ে চলমান সঙ্কট নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টার
সঙ্গে আলোচনায় বসেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
এসময় ক্রীড়া উপদেষ্টা
সমর্থকদের পক্ষ থেকে আসা অভিযোগ সম্পর্কে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘ফুটবল ফেডারেশনে
সিন্ডিকেট করার কোনো সুযোগ নেই। যোগ্যতা অনুযায়ী সবাই যার যার জায়গা করে নেবে, এমন
কোন কিছুর আভাস মিললে ব্যবস্থা নেবে ফেডারেশন। ফাহমিদুলকে আমরা বাদ দিয়ে দেইনি। তবে
ওকে আমরা আরও সময় দিতে চেয়েছি। আগামী জুনেই ঘরের মাঠে বাংলাদেশের ম্যাচ রয়েছে,
খুব শিগগিরই হয়তো তাকে আমরা মাঠে দেখতে পারি। সমর্থকদের এতটুকু বলবো, হতাশ হওয়ার
কিছু নেই।
আন্দোলনের
সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, স্বজনপ্রীতি ও সিন্ডিকেটের কারণেই নেওয়া হয়নি ফাহমিদুলকে।
আলোচনায় সিন্ডিকেট নিয়ে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আনা অভিযোগ এবং ফাহমিদুলের বাদ পড়া প্রসঙ্গে ক্রীড়া
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘দেশের স্বার্থেই যোগ্য খেলোয়াড়দের বঞ্চিত করার কোনো
সুযোগ নেই। প্লেয়ার সিলেকশনে যেনো স্বজনপ্রীতি বা সিন্ডিকেটের শিকার কেউ না হোন সে
বিষয়ে বাফুফেকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এ বিষয়ে দুর্নীতির প্রমাণ পেলে জড়িতদের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার। ’
যে কোনো সঙ্কট
মোকাবিলায় বাফুফেকে আরো সুদৃঢ় পদক্ষেপ নিয়ে দেশের ফুটবলকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার
আহ্বান জানান আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আলোচনায় বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি আধুনিক ধারার দৃষ্টিভঙ্গি এবং আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসার প্রয়াসকে প্রশংসিত করে ক্রীড়া উপদেষ্টাকে সাধুবাদ জানান হামজা। বাংলাদেশ ফুটবলকে নিয়ে নতুন সম্ভাবনার কথা শুনিয়ে হামজা চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় আমি আপ্লুত, দেশের ফুটবলকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে।
মন্তব্য করুন


জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে কয়েক শহিদ পরিবার আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বৈঠকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন, আহত ও শহিদ পরিবারের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও স্বীকৃতি, আর্থিক সহযোগিতা ও পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আজকের বৈঠকে শহিদ পরিবারের প্রত্যাশার কথা শুনেছেন এবং সরকারের চলমান কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক সারজিস আলম।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক “ড. মুহাম্মদ ইউনূস” দেশের নারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারকে মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করে সারা দেশে ক্যান্সার বিষয়ে, বিশেষ করে ফ্যাটি লিভারজনিত ও স্তন ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সিঙ্গাপুরের খ্যাতনামা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক “তোহ হান চং-এর সঙ্গে” এক বৈঠকে এই আহ্বান জানান।
গত শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সিঙ্গাপুরের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোহ হান চং-এর সঙ্গে বৈঠককালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় এখন ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের মতো অসংক্রামক রোগগুলো মৃত্যুর প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। তিনি এই রোগগুলো প্রতিরোধে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার উন্নয়নের ওপর জোর দেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস আরও বলেন, "আমাদের দেশে এসব রোগ নিয়ে ব্যাপক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। ক্যান্সার বা হৃদরোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সহজ ও সাশ্রয়ী করতে হবে, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের জন্য। বৈঠকে অধ্যাপক তোহ হান চং জানান, দক্ষিণ এশিয়ায় শত শত মিলিয়ন মানুষ ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত, যা লিভার ক্যান্সারসহ গুরুতর রোগের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি এই রোগ সম্পর্কে আরও বেশি সচেতনতা তৈরির গুরুত্ব তুলে ধরেন। প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে স্বল্প ব্যয়ে ও ব্যাপকভাবে স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং চালুর প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতা বাড়ানোর, বিশেষ করে বাংলাদেশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে সহায়তা করার আহ্বান জানান।
অধ্যাপক তোহ জানান, চলতি সপ্তাহে সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং এমন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রতি বছর অব্যাহত থাকবে। এই বৈঠকে সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ক্যান্সার সেন্টারের সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক তোহ হান চং-এর সঙ্গে ছিলেন সিংহেলথ ডিউক-এনইউএস গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক বিজয়া রাও এবং সিংহেলথ ও এডিনবারা ন্যাপিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ার ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ কালউইন্ডার কৌর।
মন্তব্য করুন