

থার্মোমিটারের পারদ ৪৮ ডিগ্রিতে উঠে যাচ্ছে পশ্চিম আফ্রিকার সাহারা মরুভূমির দেশ মালিতে।তার সঙ্গে শুরু হয়েছে লোডশেডিং। গরমের দেশ হলেও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এখন গরম পড়েছে অনেক বেশি।
তীব্র গরমে দেশটির কিছু অংশে এখন রুটি ও দুধের চেয়ে বরফের টুকরার দাম বেশি।
নিয়মিত বিদ্যুৎ না থাকায় চলছে না ফ্রিজ। তার ফলে খাবার সংরক্ষণের জন্য বরফ ব্যবহার করতে হচ্ছে।
গরমে স্বস্তি পেতে পানি ঠাণ্ডা করার জন্যও বরফের দরকার পড়ছে।
মালির রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছে।
গত মার্চ থেকে মালির কিছু অংশে তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠে গেছে, এতে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন বয়স্ক ও তরুণরা।
বামাকোর ইউনিভার্সিটি হসপিটালে কর্মরত অধ্যাপক ইয়াকুবা তোলোবা বলেন, আমরা প্রতিদিন গড়ে ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে দেখছি। অনেক রোগী ডিহাইড্রেটেড হয়- প্রধান লক্ষণগুলি কাশি এবং শ্বাসনালী বন্ধ। কারও কারও শ্বাসকষ্টও রয়েছে।
তবে সতর্কতা হিসেবে কিছু এলাকার স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সেনেগাল, গিনি, বুরকিনা ফাসো, নাইজেরিয়া, নাইজার ও সাদের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোতেও এই ভয়াবহ তাপপ্রবাহ প্রভাব ফেলছে।
মন্তব্য করুন


মাত্র ৪২ ঘণ্টার মধ্যে এটি প্রবল আকার ধারণ করেছে। ক্যাটাগরি ৪-এ পৌঁছানো ঘূর্ণিঝড়টিকে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় বেরিল দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলের কাছে পৌঁছে গেছে এবং স্থানীয়দের নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ‘বেরিল’ এখন পর্যন্ত আটলান্টিক মহাসাগরে রেকর্ড করা প্রথম এবং জুন মাসে রেকর্ড করা একমাত্র ক্যাটাগরি ৪ হারিকেন।
হারিকেন এবং ঝড়-জলোচ্ছ্বাস বিশেষজ্ঞ মাইকেল লোরির মতে, ‘বেরিল এই অঞ্চলে বছরের এই সময়ের জন্য একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং বিরল হারিকেন। আঘাত হানার আগেই এটি ঐতিহাসিক হয়ে উঠেছে।’
ঘূর্ণিঝড় বেরিল রোববার রাত কিংবা সোমবার (১ জুলাই) ভোরে ক্যারিবীয় উইন্ডওয়ার্ড উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জে ভয়াবহ তাণ্ডব চালাতে পারে বলে সতর্ক করেছে ইউএস ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি)।
ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের কাছাকাছি বড় এবং ধ্বংসাত্মক ঢেউ নিয়ে আসতে পারে উল্লেখ করে এনএইচসি বলছে, ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ এলাকায় যেখানে মূল অংশটি আছড়ে পড়তে পারে, সেখানে এবং তার কাছাকাছি উপকূলীয় অঞ্চলে ৬ থেকে ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


বিশ্ববাসীর উদ্দেশে অন্তর্বর্তী সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা পৃথিবীর জন্য আশার এক বাতিঘর
হিসেবে দাঁড়াতে চাই এবং আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের আহ্বান জানাই অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক
চুক্তি পুনর্লিখনের জন্য, পাশাপাশি সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের
ভূমিকা অন্বেষণ করতে, যা প্রান্তিক জনগণের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিতে
সহায়ক।
আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাতারের দোহায়
আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে, যেখানে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি
করার সুযোগ এসেছে। এটি এমন এক চুক্তি, যেখানে রাষ্ট্র ও জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক
ব্যবস্থা, ঐতিহ্য, ন্যায়বিচার, মর্যাদা এবং সুযোগের ভিত্তিতে একটি ভবিষ্যৎ একত্রে গড়ে
তুলবে।
তিনি বলেন, এটি এমন এক সামাজিক চুক্তি,
যেখানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও প্রান্তিক জনগণের ক্ষমতায়ন মৌলিক বিষয় হিসেবে বিবেচিত
হবে।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে একটি
সহনশীল, সমৃদ্ধ এবং টেকসই ভবিষ্যতের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তবে এখন
এমন নানা হুমকি রয়েছে, যা আমাদের উন্নয়নকে বিপথে ঠেলে দিতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা এমন এক সময় পার করছি,
যেখানে বহুপাক্ষিকতা হুমকির মুখে, জলবায়ু পরিবর্তন দ্রুততর হচ্ছে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা
বাড়ছে এবং মানবিক সংকট গভীরতর হচ্ছে। নতুন নতুন নীতিমালা, প্রযুক্তি এবং শাসন পদ্ধতি
আমাদের পৃথিবীকে দ্রুত রূপান্তরিত করছে, যা অতীতের অনেক অনুমানকে অচল করে দিচ্ছে।
এমন প্রেক্ষাপটে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর
জোর দিয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এখন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার পুনরুজ্জীবনের
প্রয়োজন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, আসুন আমরা সাহসী হই। একটি এমন পৃথিবী গড়ি, যেখানে কেউ এতটা দরিদ্র না হয়
যে, সে স্বপ্ন দেখতে না পারে এবং কোনো স্বপ্ন এত বড় না হয় যে, তা অর্জন করা যায় না।
ভবিষ্যৎ এমন কিছু নয়, যা আমরা উত্তরাধিকার হিসেবে পাই। এটি এমন কিছু যা আমরা তৈরি করি।
এবং আমাদের প্রত্যেকেরই এতে একটি করে ভূমিকা রয়েছে। সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে,
তা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, কিন্তু আমাদের উদ্ভাবন,
সহমর্মিতা এবং সম্মিলিত কর্মকাণ্ডের সক্ষমতাও ব্যাপক।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, কাতার
যেভাবে আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছে, তা দেখাচ্ছে কীভাবে একটি দেশ উদ্ভাবন,
ঐতিহ্য ও অংশীদারত্বের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট, সামাজিক বৈষম্য এবং কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ
মোকাবিলা করতে পারে।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর মূল
বক্তব্যে সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের মাধ্যমে প্রান্তিক
জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন।
তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন
শেখ মোজা বিনতে নাসের এবং ভাইস চেয়ারপারসন ও সিইও শেখ হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানিকে
সময়োপযোগী ও চমৎকার এই শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
মন্তব্য করুন


লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে আরাফার ময়দান মুখরিত হয়ে উঠেছে। নানা বয়সের মানুষ আল্লাহর ঘরে হাজিরা দেওয়ার জন্য পবিত্র মক্কা নগরীতে জড়ো হয়েছেন। তাদের মধ্যেই এমন এক দম্পতি আছেন, যারা বিয়ের পর নিজেদের প্রথম বিদেশ সফরে হজ করতে এসেছেন। হানিমুনের পরিবর্তে হজ করতে আসা এই দম্পতি, এই মুহূর্তকে স্মৃতি হিসেবে রেখে দিতে চাইছেন।
হেরা গুহায় জড়ো হয়েছেন একদল হজযাত্রী। কেউ কেউ তুলছেন ছবি। আবার দাঁড়িয়ে আছেন কেউ কেউ। তাদের মধ্যে দেখা মিলল এক দম্পতি। এক নারী গুহার ভেতর থেকে বের হচ্ছেন। পেছন পেছন তার স্বামী বের হচ্ছেন। এই দম্পতির নাম সুআইবা ও মোহাম্মদ আকমল রাজা। বিয়ের পর যখন সবাই হানিমুনে ছোটে, তখন এই দম্পতি এসেছেন আল্লাহর ঘরের মেহমান হয়ে।
সুআইবা জানান, আমরা একসঙ্গে এবারই প্রথম হজ করতে এসেছি। আমরা একে অপরকে উৎসাহ দিতে পেরেছি। বিবাহিত দম্পতি হিসেবে আমাদের প্রথম ভ্রমণ এটি। তাই এটা আমাদের কাছে খুবই বিশেষ। এটা আমাদের জন্য স্মৃতিময় একটি সফর হবে।
আকমল রাজা জানান, পাহাড়ের উপরে উঠতে ১ থেকে ২ ঘণ্টা লাগে। সম্প্রতিই আমাদের বিয়ে হয়েছে। এটা আমাদের ধর্মীয় এবং বৈবাহিক জীবনের আধ্যাত্মিক সংযোগ। মানুষ বিয়ের পর হাইকিংয়ে যায়। আমাদের এটাই এক ধরনের হাইকিং, তবে এটা আধ্যাত্মিক প্রকৃতির। এটা দারুণ অনুভূতি।
ভারতের গণমাধ্যম নিউজ১৮ উর্দু এক ভিডিও নিউজে জানিয়েছে, সুআইবা ও আকমল রাজা পাকিস্তানের বাসিন্দা। তারা বিয়ের পর হজ করতে এসেছেন। তবে কোনো আন্তর্জাতিক বা পাকিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। তাদের কবে বিয়ে হয়েছে বা ভিডিওটি এ বছরের কি না তা-ও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন


আর্জেন্টাইন
সুপাস্ট স্টার লিওনেল মেসি ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর পরই বদলে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের
ফুটবল। আর এবার যুক্তরাষ্ট্রের এনএফএলের (ন্যাশনাল ফুটবল লিগ) চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচ
‘সুপারবোল’ও মেসির খ্যাতিকে কাজে লাগাতে চলেছে।
আর
এবারই ১ম সুপারবোলের বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছেন মেসি। ৬০ সেকেন্ডের সেই বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়ে
১ কোটি ৪০ লাখ ডলার (১৫৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা) আয় করবেন মেসি। সম্প্রতি মেসি একটি বিয়ারের
বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছেন।
বিয়ার
কোম্পানি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পেজগুলোয় এরই মধ্যে মেসির বিজ্ঞাপনের একাধিক টিজার
প্রকাশ করেছে। ১৫ সেকেন্ডের একটি টিজারে দেখা যাচ্ছে, সাগরপাড়ে ফুটবল খেলছেন মেসি।
কয়েকজনকে ড্রিবল করে বল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। পাশে
থাকা পর্যটকেরা তাঁর খেলা মুগ্ধতাভরে দেখছেন।
এই বিজ্ঞাপন আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি লাস ভেগাসের অ্যালেজায়ান্ট স্টেডিয়ামে ন্যাশনাল ফুটবল লিগে (এনএফএল) সুপারবোলের বিরতির সময় দেখানো হবে। প্রতি ৩০ সেকেন্ড বিজ্ঞাপনের জন্য ৭০ লাখ ডলার (৭৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা) দিয়ে আসছে বিয়ার কোম্পানি। সে হিসাবে মেসি ৬০ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়ে পেতে যাচ্ছেন এর দ্বিগুণ অর্থ।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
চিঠিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করাসহ বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে সমর্থন অব্যাহত রাখার ব্যাপারেও জাতিসংঘের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তিনি।
গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। ১৬ আগস্ট ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জাতিসংঘ মহাসচিব।
চিঠিতে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আপনাকে আমার পক্ষ থেকে জানাই শুভেচ্ছা। আমি বাংলাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই। এই ক্রান্তিকালে সহিংসতার অবসান ঘটাতে, জবাবদিহি নিশ্চিত করতে, আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথে এগিয়ে যেতে আপনার নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমি আশা করি- আপনার সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পন্থা অবলম্বন করবে, যার মধ্যে তরুণ ও নারীদের পাশাপাশি সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের কণ্ঠস্বর অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আমি সব নাগরিক ও বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আস্থা রাখছি। আমি আপনাকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জোরালোভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি, বিশেষ করে মিয়ানমারে অবনতিশীল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে। বাংলাদেশ তার ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। জাতিসংঘ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ গণতন্ত্রের প্রতি বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে পূর্ণ সমর্থন করে। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে, বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিতে জাতিসংঘ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মন্তব্য করুন


ভেনেজুয়েলায়
একটি সোনার খনির ধসে অন্তত
২৩ জন নিহত হয়েছেন।
ভেনেজুয়েলার মধ্যাঞ্চলে একটি উন্মুক্ত সোনার
খনিতে এই দুর্ঘটনা ও
প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার
এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার মধ্যাঞ্চলে বেআইনিভাবে পরিচালিত একটি সোনার খনিতে
মাটির দেয়াল ধসে পড়ার পর
অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু
হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় সেখানে বহু
মানুষ কাজ করছিলেন।
স্থানীয়
কর্মকর্তা ইওরগি আর্কিনিগা বুধবার বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, দেশের বলিভার প্রদেশের জঙ্গলে বুল্লা লোকা নামে পরিচিত
খোলা গর্ত থেকে প্রায়
২৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত
মঙ্গলবার এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বেসামরিক
নিরাপত্তা উপমন্ত্রী কার্লোস পেরেজ অ্যাম্পুয়েদা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এই ঘটনার একটি
ভিডিও প্রকাশ করেছেন এবং ধসের ঘটনায়
নিহতের সংখ্যাকে ‘বিশাল’ বলে উল্লেখ করেছেন।
যদিও তিনি নিহতের কোনও
সংখ্যা উল্লেখ করেননি।
ভিডিওটিতে
দেখা যাচ্ছে, একটি উন্মুক্ত খনির
অগভীর পানিতে কর্মরত লোকদের ওপর ধীরে ধীরে
মাটির একটি প্রাচীর ভেঙে
পড়ছে। কেউ কেউ ঘটনার
সময় সেথান থেকে পালাতে সক্ষম
হলেও অনেকে আবার তাতে চাপা
পড়েন।
কর্মকর্তাদের
মতে, প্রায় ২০০ জন লোক
সেসময় খনিতে কাজ করছিল বলে
ধারণা করা হচ্ছে। যেখানে
এই খনিটি অবস্থিত সেখানে পৌঁছাতে হলে নিকটতম শহর
লা প্যারাগুয়া থেকে সাত ঘণ্টার
নৌকায় যেতে হয়।
বলিভার
প্রদেশের নাগরিক নিরাপত্তা বিষয়ক সেক্রেটারি এডগার কোলিনা রেয়েস বলেছেন, আহতদের আঞ্চলিক রাজধানী সিউদাদ বলিভারের একটি হাসপাতালে নিয়ে
যাওয়া হচ্ছে। এই অঞ্চলটি লা
প্যারাগুয়া থেকে চার ঘণ্টা
দূরত্বে এবং রাজধানী কারাকাসের
৭৫০ কিলোমিটার (৪৬০ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।
রেয়েস
বলেছেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে সামরিক, দমকল
বাহিনী এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো
‘আকাশপথে ওই এলাকায় চলে
যাচ্ছে’। তিনি বলেন,
অনুসন্ধানে সহায়তার জন্য কারাকাস থেকে
উদ্ধারকারী দলও পাঠানো হচ্ছে।
আল
জাজিরা বলছে, বলিভার অঞ্চল সোনা, হীরা, লোহা, বক্সাইট, কোয়ার্টজ এবং কোল্টান সমৃদ্ধ।
রাষ্ট্রীয় খনি ছাড়াও এই
অঞ্চলে অবৈধভাবে এসব মূল্যবান ধাতু
উত্তোলনের বিকাশমান শিল্পও রয়েছে।
এর
আগে গত বছরের ডিসেম্বরে
একই অঞ্চলের ইকাবারুর আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি খনি ধসে
কমপক্ষে ১২ জন নিহত
হয়েছিল।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন।
রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে বন্যাদুর্গতদের সহায়তার লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ২০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদানের চেক তুলেন দেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
পাশাপাশি চীনা রেড ক্রসও বাংলাদেশের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য এক লাখ মার্কিন ডলারের মানবিক সহায়তা প্রদান করবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করায় চীনা নেতা এবং জনগণের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানান।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সবুজ অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে চীনের কিছু সোলার প্যানেল কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বেইজিং ঢাকার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত এবং আমি আশাবাদী যে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নপূরণ সফল হবে।
তিনি প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলেন, আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল এবং সমৃদ্ধ হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে চীন ও বাংলাদেশের কৌশলগত এবং সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বের সম্পর্ক উচ্চ শিখরে রয়েছে এবং উভয় দেশ আগামী বছর তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বছর উদযাপন করবে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বেইজিং ও ঢাকার মধ্যে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর জোর দেন এবং চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়ে বলেন, চীন সোলার প্যানেলের অন্যতম বৃহৎ উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, তবে রপ্তানি বাজারে ক্রমবর্ধমান বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
তিনি উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে চীনে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানি সম্প্রসারণের আহ্বান জানান। তিনি উভয় দেশের মধ্যে প্রযুক্তি স্থানান্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা ও কৃষিখাতে সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বানও জানান।
ইয়াও ওয়েন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা কবলিত অঞ্চলে অস্ত্রবিরতির মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান খুঁজে পেতে চীনা সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
বৈঠকে ড. ইউনূস আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশে বসবাসরত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রাজনৈতিক, আর্থিক ও মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে চীন।
প্রধান উপদেষ্টা চীনে তার স্মৃতি স্মরণ বলেন, চীনের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনূস সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে এবং অনেক তরুণ ত্রি-জিরো ক্লাব গঠন করেছে। এসব ক্লাবের সদস্যরা দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি দুই দেশের তরুণ সম্প্রদায় এবং জনগণের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠকে চীনা রাষ্ট্রদূত ড. ইউনূসকে তার সুবিধাজনক সময়মতো চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন একটা সন্ধিক্ষণ পার করছে, তবে বাংলাদেশের জনগণ এই চ্যলেঞ্জ অতিক্রম করতে সক্ষম হবে।
মন্তব্য করুন


অজগরের পেটের ভেতর থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) সাপের পেট কেটে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। এ নিয়ে এক মাসের মধ্যে একই ধরনের ২য় ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।
পুলিশের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, ঘটনাটি মধ্য ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশের সিতেবা গ্রামের। মঙ্গলবার (২ জুলাই) থেকে নিখোঁজ ছিলেন সিরিয়াতি নামের এক নারী।
তিনি সন্তানের জন্য সকালে ওষুধ কিনতে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। দুপুর গড়িয়ে গেলেও না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তার খোঁজ শুরু করেন।
সিরিয়াতির স্বামী আদিয়ান্সার দাবি, বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে স্ত্রীর চপ্পল এবং পোশাক পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। এরপরই সন্দেহ হয় তাদের।
আদিয়ান্সা জানান, তিনি জঙ্গলের ভেতরে ঢুকতেই ১০ মিটারের মধ্যে একটি অজগরকে দেখতে পান। সাপটির পেট বেশ ফোলা ছিল। তারপরই তিনি গ্রামবাসীদের ডেকে আনেন। পরে সাপটিকে ধরে সেটির পেট চিরে ফেলা হয়। তখনই অজগরের পেটের ভেতর থেকে ওই নারীর দেহ উদ্ধার হয়।
এর আগে, গত মাসেই দক্ষিণ সুলাওয়েসিতে অজগরের পেট থেকে আরেক নারীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনার কেশ কাটতে না কাটতেই আবারও সাপের পেট থেকে মরদেহ উদ্ধার ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।
সূত্র: আনন্দবাজার, এনডিটিভি
মন্তব্য করুন


দক্ষিণ- পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে উন্নত দেশ সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাঙ্গালী চালকদের সংগঠন ড্রাইভ সেইফলি, রেইস টু ভিক্টোরি গ্রুপের উদ্যোগে সচেতনতামূলক মিলন মেলা।
গেল ৯ই নভেম্বর রবিবার বিকেল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত, সিঙ্গাপুরের গ্রেন্ডলিন স্কয়ার কমিউনিটি সেন্টারে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। সিঙ্গাপুরে চালক পেশায় কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে ড্রাইভ সেইফলি, রেইস টু ভিক্টোরি গ্রুপের আয়োজনে অনুপ্রেরণামূলক এই অনুষ্ঠানে প্রায় দুই শতাধিক চালকের অংশগ্রহনে অত্যন্ত সফলভাবে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রবাসী বাঙালিদের পরিচিত মুখ, সিঙ্গাপুর সরকার কর্তৃক প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত নাজমুল খান। সংগঠনের গ্রুপ এডমিনদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোঃ শাজাহান, জাহিদ হাসান, শাওন, হাসান,নেহাল, সুমন ।
এসময় বক্তারা, সিঙ্গাপুরে কর্মরত চালকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক আইন মানার প্রেরণা জাগানো, এবং নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং এজেন্ট ছাড়া কিভাবে একজন ড্রাইভারকে ফ্রি ভাবে আনা যায় এ ধরনের অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন। এছাড়াও সিঙ্গাপুরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার ও সৌহার্দ্য গড়ে তোলার বিষয়ে গুরুত্ব দেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয় গ্রুপের ১০ জন এডমিনের সম্মিলিত উদ্যোগে। তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ শাওন, মোঃ শাজাহান, মোঃ জাহিদ হাসান, হাসান এবং নেহাল, সুমন, আবুল খায়ের।
মন্তব্য করুন


বোনের বিয়ে দুদিন পরই। চলছিল হলুদের
অনুষ্ঠান। আর সে হলুদের অনুষ্ঠানে আনন্দে নাচছিলেন ১৮ বছর বয়সী কনের ছোট বোন। তবে আনন্দ
মুহূর্ত বিষাদে রূপ নিতে সময় লাগেনি।
নৃত্য করার মাঝেই মৃত্যুর কোলে ঢলে
পড়েছেন ওই তরুণী। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই
তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের
মিরাটে বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচতে থাকা ১৮ বছর বয়সী এক কিশোরী মারা গেছে। মেয়েটির
নাম রিমশা এবং গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তার বোনের ‘হলদি অনুষ্ঠানে’ নাচছিল সে।
মর্মান্তিক এই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল
মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রিমশা তার
পরিবারের সদস্যদের সাথে উচ্চস্বরে গানের সাথে নাচের তাল মেলাতে চেষ্টা করছেন।
কিন্তু, কয়েক সেকেন্ড পরে তাকে তার
বুকে স্পর্শ করতে দেখা যায় এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার আগে পাশে নাচতে থাকা ছেলেটির
হাত ধরে রাখার চেষ্টা করতে দেখা যায়।
পরে রিমশাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে
গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বোনের মৃত্যুর পর কোনো ধরনের গানবাজনা
ছাড়াই এবং শুধুমাত্র পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন
হয়।
সূত্র: এনডিটিভি
মন্তব্য করুন