দক্ষিণ কোরিয়ার ১৮১ জন আরোহী নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২০ জনে দাঁড়িয়েছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ জিওলা প্রদেশে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে অন্তত ২৯ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছিল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। পরে ক্রমেই মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। সর্বশেষ খবর অনুসারে, দুর্ঘটনায় ৮৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয়জন ক্রু বহনকারী ওই উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার আর ২ জন থাই নাগরিক।
জেজু এয়ারের ২২১৬ ফ্লাইটটি থাইল্যান্ড থেকে এসে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে। ২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার নিউজ এজেন্সি নিউজ ওয়ান জানিয়েছে, জরুরি পরিষেবাগুলো উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
বিবিসি জানায়, মধ্য আকারের এই বিমানবন্দরটি ২০০৭ সালে চালু করা হয়েছিল। এখান থেকে এশিয়ার বিভিন্ন গন্তব্যে উড়োজাহাজ চলাচল করে।
উড়োজাহাজটি কেন দুর্ঘটনায় পড়লো বা কেন রানওয়ে থেকে ছিটকে গেল তা এখনো জানা যায়নি। তবে, পাখির কারণে ল্যান্ডিং গিয়ার অকার্যকর হয়ে এটি ঘটে থাকতে পারে বলে বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপের খবরে বলা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার দমকল বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, এই মুহূর্তে ফায়ার সার্ভিসের ৩২টি গাড়িসহ অন্তত ৮০ জন দমকলকর্মী ঘটনাস্থলে কাজ করছেন।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো), জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ), ইউএন এইডস এবং ইউএন ভলান্টিয়ার এর বিশেষ প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে জাতিসংঘ প্রতিনিধিদল অন্তর্বর্তীকালীন বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৈঠকে যুব সমাজের উন্নয়নে তৃণমূল পর্যায়ে কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন ইউএন এইডস’এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. সাইমা খান, ইউএনডিপির উপ-আবাসিক প্রতিনিধি মিজ সোনালী, ইউএনএফপিএ-এর কিশোর কিশোরী ইউনিটের প্রধান ড. ইলিজা আজেই এবং ইউএন ভলেন্টিয়ারের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মিজ সোনিয়া মেহজাবিন।
এ সময় ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. শুসান ভেইজ বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। যুবসমাজের জীবনমান উন্নয়নে আমরা বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি এবং আগামীতে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমাদেরকে একটি কমন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে, যেখানে যুবরা তাদের কথা নির্ভয়ে বলতে পারে।
শুসান ভেইজ বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নিয়ে সমন্বয় করে এই কমন প্ল্যাটফর্মের ডিজাইন শুরু করা যেতে পারে।
এ সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের ছাত্র-জনতা স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে তাদের কণ্ঠস্বর প্রকাশ করেছে। এই প্রেক্ষিতে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের সকল দাবি আদায় নিয়ে সচেষ্ট রয়েছে। দেশের যুব সংগঠনগুলো সম্প্রতি বন্যা পরিস্থিতিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, যুব অধিদপ্তরের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আমরা এই প্রশিক্ষণগুলো আরও উন্নতিকরণের চিন্তা করছি। এই বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ফিফা
প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় যুব উৎসবে যোগ
দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
এখানে
প্রাপ্ত এক খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯-এর ফাঁকে প্রধান
উপদেষ্টার সঙ্গে বেশ কয়েকজন বিশ্ব নেতা ও সংস্থার প্রধান কর্মকর্তার বৈঠক অনুষ্ঠিত
হয়।
অধ্যাপক
ইউনূস ফিফা প্রধানকে উৎসব সম্পর্কে অবহিত করেন এবং স্বনামধন্য মহিলা ফুটবল দলকে বাংলাদেশে
আনতে তার সহায়তা কামনা করেন।
প্রধান
উপদেষ্টা এখন বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে বাকুতে চার দিনের এক সরকারি সফরে রয়েছেন।
গতকাল
সোমবার (১১ নভেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের
একটি ফ্লাইটে প্রধান উপদেষ্টা বাকুতে পৌঁছান।
তিনি
কপ২৯-এর বিভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং বিভিন্ন সাইডলাইন ইভেন্টে বক্তব্য রাখবেন।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামকে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এমন তথ্য জানিয়ে বলা হয় যে, তাজুল ইসলাম ছাড়াও ট্রাইব্যুনালে আরও চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হোসাইন তামিম, বিএম সুলতান মাহমুদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয় যে, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদা ভোগ করবেন।
এতে
পরিশেষে আরো বলা হয়, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে পাঁচটি কূটনৈতিক দলিলে স্বাক্ষর করা হয়েছে। এর
মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট বা অভিপ্রায়পত্র
রয়েছে।
শুক্রবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারাসহ প্রমুখ।
বৈঠকের আগে থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে
স্বাগত জানান। এরপর থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী
স্রেথা থাভিসিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এসব দলিলে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি,
পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্তবাণিজ্য
চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অব ইন্টেন্ট সই হয়।
দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানীর গভর্নমেন্ট হাউজে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসকল
তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৈঠক নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ
পরিবেশে বৈঠক হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক
বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি
বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের আহ্বান
জানান। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক
জোন করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১.৩ মিলিয়ন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ
আশ্রয় দিয়েছে। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে
বলে জানান ড. হাছান।
তিনি বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন। এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও
এই পালিয়ে আসা মানুষদের ভারে জর্জরিত। এ সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের
একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে
জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ)
৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। সফর শেষে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা
রয়েছে।
মন্তব্য করুন
চীনের আনহুই প্রদেশে ২০১৪ সালে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন এক ব্যক্তি। তারপর তিনি কোমায় চলে যান। কিন্তু স্ত্রীর বিশ্বাস ছিল, তার জীবনসঙ্গী একদিন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন। আর সেই বিশ্বাস, মনের প্রবল জোর ও নিঃস্বার্থ সেবায় দীর্ঘ ১০ বছর পর কোমা থেকে স্বামীকে ফিরে পেলেন সান হংশিয়া নামের ওই নারী।
এই দম্পতির একটি আবেগঘন ভিডিও চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, জেগে ওঠা স্বামীর পাশে বিছানায় বসে আছেন সান হংশিয়া। গত কয়েক বছর কীভাবে কেটেছে, সেই বর্ণনা স্বামীকে দিচ্ছিলেন ওই নারী। এসব শুনে কোমা থেকে জেগে ওঠা ওই ব্যক্তির চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে।
গণমাধ্যমকে সান বলেন, যদিও আমি অনেক ক্লান্ত। তারপরও একটি পরিবারের সবাই যদি আবার এক হয়, সেটার অনুভূতি অন্য রকম।
হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে স্বামী কোমায় চলে যাওয়ার পর তিনি কী দুরবস্থার মধ্য দিয়ে গেছেন, সেগুলোর স্মৃতিচারণা করেন সান। তিনি বলেন, দুই সন্তানের চিন্তাই তাকে শক্তি জুগিয়েছে, ভেঙে পড়তে দেয়নি। পাশাপাশি তিনি সন্তানদের জন্য সুন্দর একটি উদাহরণও তৈরি করতে চেয়েছিলেন।
সান আরও বলেন, তার কাছে অগ্রাধিকার ছিল স্বামী। অচেতন স্বামীর থাকাটা যেন আরামদায়ক হয়, সে জন্য তিনি সময় ও শক্তি দুটিই ব্যয় করেছেন। দীর্ঘদিন কোমায় থাকার কারণে ওই ব্যক্তির (স্বামী) অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়েছিল। শ্বাসপ্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে তার জন্য ট্র্যাকিওস্টমি প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়েছে। পুরুষাঙ্গে ক্যাথেটার ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। তারপরও সান লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হননি।
সানের ৮৪ বছর বয়সী শ্বশুর বউমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, সে আমার বউমা, কিন্তু আমার মেয়ের চেয়েও বেশি। ওর সঙ্গে কারও তুলনা হয় না।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
মন্তব্য করুন
বেলজিয়ামের রানি মাথিল্ডের পরনে দেখা যায়, বাংলাদেশের জনপ্রিয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ংয়ের সাব-ব্র্যান্ড “হার স্টোরি”র একটি জ্যাকেটে।
বিভিন্ন দেশের রাজপরিবারের সদস্যসের ফ্যাশন ইনস্টাগ্রামে তুলে ধরে রয়্যাল ফ্যাশন পুলিশ। গত ৪ মার্চ তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয় বেলজিয়ামের রানি মাথিল্ডের একটি ছবি। সেখানে রাজপরিবারের এই সদস্যের পরনে দেখা যায়, বাংলাদেশের জনপ্রিয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ংয়ের সাব-ব্র্যান্ড “হার স্টোরি”র একটি জ্যাকেটে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের আগস্টে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় এসেছিলেন রানি মাথিল্ডে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার দূত হিসেবে ওই এসেছিলেন তিনি। সেই সময় বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা পরিদর্শনের পর বাংলাদেশের পোশাক খাতের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, সেই সময়ই পোশাকটি সংগ্রহ করেন তিনি।
জানা গেছে, রানি মাথিল্ডে গত ৩ মার্চ পশ্চিম আফ্রিকার রাষ্ট্র আইভরিকোস্টের রাজধানী ইয়ামুসুক্রোতে রাষ্ট্রীয় সফরে পোশাকটি পরেছিলেন। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) দূত হিসেবে ওই রাষ্ট্রীয় সফরে অংশ নেন তিনি।
রয়্যাল ফ্যাশন পুলিশের ওই পোস্টে অনেকেই রানির “ফ্যাশন সেন্সের” প্রশংসা করেছেন। প্রশংসিত হয়েছে রানির পরিহিত জ্যাকেটটিও। সিল্কে বিভিন্ন রঙের প্রিন্ট আর এমব্রয়ডারি করা জ্যাকেটটিতে রয়েছে রাজকীয় আবেদন। ধাতব সোনালি রঙের একরঙা কো-অর্ডস সেটের ওপর জ্যাকেটটি পরেছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্ট দিয়ে নরেন্দ্র মোদি বিষয়টি জানিয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
জানান, অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের টেলিফোন কল পেয়েছি। বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের
মধ্যে মতবিনিময় হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের
প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি।
এছাড়াও নরেন্দ্র মোদি, বাংলাদেশের হিন্দু
সম্প্রদায়সহ সব সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়েছেন।
ফোনে ড. ইউনূস নরেন্দ্র মোদিকে জানান,
অন্তর্বর্তী সরকার হিন্দু সম্প্রদায়সহ সব সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তার বিষয়টিকে
অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
কথোপকথনে ড. ইউনূস ও মোদি অগ্রাধিকার
ভিত্তিতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
এর আগে ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের
অনুষ্ঠানে মোদি বলেন, ১৪০ কোটি ভারতীয় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে
চিন্তিত। ভারত সর্বদা বাংলাদেশের অগ্রগতির শুভাকাঙ্ক্ষী। আমরা আশা করি, বাংলাদেশে পরিস্থিতি
শিগগিরই স্বাভাবিক হবে। আমরা চাই হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক।
মন্তব্য করুন
গত
১০ জানুয়ারি ভারতের গীতা কলোনি উড়ালপুলের নীচের রাস্তা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের
মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কিভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায় ময়নাতদন্তে। কিন্তু,
কিছুতেই মৃতের পরিচয় জানা যাচ্ছিল না। মৃতদেহের মুখটি এমন ভাবে বিকৃত হয়ে গিয়েছিল যে
চেনার উপায় ছিল না তাকে। ফলে খুনি অবধি পৌঁছনো অসম্ভব হয়ে পড়ছিল। ১ সপ্তাহের বেশি
তদন্ত চালিয়েও যখন বিশেষ লাভ হচ্ছে না, তখন পুলিশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেয়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে মৃত যুবকের ছবি পুনর্নির্মাণ করা হয়। তারপর
সেই ছবি দিয়ে ৫০০টি পোস্টার ছাপিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় লাগিয়ে দেওয়া হয়। হোয়াটসঅ্যাপ
গ্রুপ মারফতও ছড়িয়ে দেওয়া হয় ছবিটি।
কয়েকদিন
পরেই এক ব্যক্তির ফোন আসে পুলিশের কাছে। তিনি জানান, পোস্টারের ওই যুবক তার দাদা হিতেন্দ্র।
এরপরই নতুন করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্ত করে জা, হিতেন্দ্রর সঙ্গে ৩ যুবকের ঝামেলা
বেধেছিল। কথা কাটাকাটির মধ্যেই শ্বাসরোধ করে হিতেন্দ্রকে খুন করে ৩ জন। মৃতদেহের মুখ
বিকৃত করতে সাহায্য করেন ১ মহিলা। ইতিমধ্যে ওই মহিলা সহ ৩ জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।
এভাবে
এআই ব্যবহার করে ‘বাঁচিয়ে’ তোলা হয় মৃতকে। আর তাতেই সাফল্য। অপ্রত্যাশিত ভাবে দ্রুত
সমাধান হয়ে গেল জটিল মামলার।
সূত্র:
আনন্দবাজার পত্রিকা
মন্তব্য করুন
দক্ষিণ কোরিয়ার ১৮১ জন আরোহী নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২০ জনে দাঁড়িয়েছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ জিওলা প্রদেশে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে অন্তত ২৯ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছিল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। পরে ক্রমেই মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। সর্বশেষ খবর অনুসারে, দুর্ঘটনায় ৮৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয়জন ক্রু বহনকারী ওই উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার আর ২ জন থাই নাগরিক।
জেজু এয়ারের ২২১৬ ফ্লাইটটি থাইল্যান্ড থেকে এসে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে। ২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার নিউজ এজেন্সি নিউজ ওয়ান জানিয়েছে, জরুরি পরিষেবাগুলো উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
বিবিসি জানায়, মধ্য আকারের এই বিমানবন্দরটি ২০০৭ সালে চালু করা হয়েছিল। এখান থেকে এশিয়ার বিভিন্ন গন্তব্যে উড়োজাহাজ চলাচল করে।
উড়োজাহাজটি কেন দুর্ঘটনায় পড়লো বা কেন রানওয়ে থেকে ছিটকে গেল তা এখনো জানা যায়নি। তবে, পাখির কারণে ল্যান্ডিং গিয়ার অকার্যকর হয়ে এটি ঘটে থাকতে পারে বলে বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপের খবরে বলা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার দমকল বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, এই মুহূর্তে ফায়ার সার্ভিসের ৩২টি গাড়িসহ অন্তত ৮০ জন দমকলকর্মী ঘটনাস্থলে কাজ করছেন।
মন্তব্য করুন
অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন টালিউড অভিনেতা দেব। হেলিকপ্টারযোগে পশ্চিমবঙ্গের মালদা থেকে রানীনগরে যাচ্ছিলেন টালিউড অভিনেতা দেব। আর পথে হেলিকপ্টারে আগুন লাগে। তবে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই হেলিকপ্টারটিতে আগুন লেগেছে বলে ধারণা পুলিশের।
শুক্রবার (৩ মে) রাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে,
মালদা হেলিপ্যাড থেকে উড্ডয়নের পরপরই দেবকে বহন করা হেলিকপ্টারটিতে আগুন ধরে যায়।
পাইলট জরুরি অবতরণ করেন। অক্ষত অবস্থায় হেলিকপ্টার থেকে নামেন অভিনেতা দেব।
দুর্ঘটনার পর সড়কপথে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন দেব।
গণমাধ্যমকে দুর্ঘটনার বিষয়ে দেব জানান, কিছুটা ট্রমায় আছি আমি। অশান্তি, ধোঁয়া ও গন্ধ আমার ওপর মানসিক প্রভাব ফেলেছে।
মন্তব্য করুন