দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার হয়েছে। এ ছাড়া বেড়েছে তীব্রতাও, যা অব্যাহত থাকতে পারে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে ঘন কুয়াশার কারণে দেখা নেই সূর্যের উজ্জ্বল কিরণের, সঙ্গে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসে বেড়েছে শীতের অনুভূতিও।
বর্তমানে দেশের ৫টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগেরদিন যা চার জেলায় ছিল। আবার শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে থাকলেও তা নিচে নেমে ৮ ডিগ্রির ঘরে চলে এসেছে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, ভোরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া সৈয়দপুরে ৯ ডিগ্রি, তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি, বদলগাছীতে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
ঢাকার তাপমাত্রা আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমে থার্মোমিটারের পারদ নেমে এসেছে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আগামী রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আগামী দুদিনে আবহাওয়ার তেমন পরিবর্তন নেই। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, তবে পরের দিন ফের কমার আভাস রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর জানান,অবরোধ-হরতালে পরিবহন বা স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগকারীদের ধরিয়ে দিলে অথবা সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। অবরোধ-হরতালে পরিবহন বা স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগকারীদের উপযুক্ত প্রমাণ অথবা সুনির্দিষ্ট তথ্যসহ ধরিয়ে দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেবেন আইজিপি। তবে যিনি তথ্য দেবেন তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।
এর আগে সোমবার (৬ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, বিভিন্ন স্থানে যারা গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করছে, সহিংসতা ও নাশকতা করছে তাদের অনেককে আমরা হাতেনাতে গ্রেফতার করেছি। অনেক প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা পুলিশের হাতে তাদের ধরিয়ে দিয়েছেন। চলমান অবরোধের মধ্যে যারা যানবাহনে আগুন দিচ্ছে ও পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করছে তাদের ধরিয়ে দিলেই ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা শহর অনেক বড়। অনেক মানুষের বসবাস এখানে। কিছু কিছু ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। পুলিশ কিন্তু অনেক ঘটনা নিবৃত করেছে। অনেককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। হাতেনাতে অনেককে আটক করেছে। হাতেনাতে আটক করার ক্ষেত্রে যারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন তাদেরও আমরা নগদ পুরস্কার দেবো।
মন্তব্য করুন
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক ৪ দিনের সফরে আগামীকাল সোমবার ঢাকায় আসছেন।
সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল ১০টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাজার পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এ সময় রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও ফার্স্ট লেডি গান স্যালুট ও গার্ড অব অনার দিয়ে রাজাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যাবেন রাজা ওয়াংচুক।
এসময় সোমবার বিকেলে ভুটানের রাজা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করবেন এবং তাদের দুজনের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকের পর দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ রাজার সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সাক্ষাৎ করবেন।
মঙ্গলবার রাজা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করবেন। সেসময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
পরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করবেন ভুটানের রাজা। এরপর তিনি বঙ্গভবন পরিদর্শন করবেন, সেখানে রাষ্ট্রপতি ও ফার্স্ট লেডি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজা। রাষ্ট্রপতি সফররত রাজপরিবারের সম্মানে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করবেন।
বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে ভুটানের রানী জেটসুন পেমা ওয়াংচুক ও ভুটানের নির্বাচিত প্রতিনিধি দলের সদস্যরা একটি বিশেষ ফ্লাইটে ভুটানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে তাদের বিদায় জানাবেন।
ভুটানের রাজা পদ্মা সেতু ও বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ পরিদর্শন করবেন। বৃহস্পতিবার রাজা কুড়িগ্রামের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে সোনাহাট স্থলবন্দর হয়ে আসামের গোলকগঞ্জের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী তাকে বিদায় জানাবেন।
মন্তব্য করুন
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানী ঢাকাকে নিরাপদ করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদা তৎপর। পুলিশ দিনরাত কাজ করছে। প্রত্যেক পেট্রল পাম্পে রাতে একবার হলেও পুলিশ খোঁজ নিচ্ছে। অবরোধ চলাকালে পুলিশের কর্মকাণ্ড কিন্তু দৃশ্যমান। পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করছে। আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম ও অব্যাহত আছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, কীভাবে নিরাপদে আমরা সামনের দিনগুলোতে চলতে পারি, এটাই এখন আমাদের মূল উদ্দেশ্য। একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি চলছে। আপনারা জানেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকবে, এটিই স্বাভাবিক। সবাইকে এটি মেনে নিতে হবে। কারণ আমরা একেকজন একেক দল পছন্দ করি।
দেশের বিভিন্ন স্থানে যারা গাড়িতে আগুন দিচ্ছে,পেট্রল বোমা মারছে, সহিংসতা-নাশকতা করছে তাদের অনেককে আমরা হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছি, অনেককে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন বললেন ডিএমপি কমিশনার ।
তিনি আরও বললেন নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিলে ২০ হাজার নগদ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রতিরোধ গড়তে হবে, এ ধরনের ঘটনা যাতে তারা না ঘটাতে পারে, বলেন তিনি।
মন্তব্য করুন
সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল
কোঅপারেশন অনকোলজির (এসএফও) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকায়
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যুক্ত হন তিনি।
এ সময় তিনি সার্ক ফেডারেশন অব অনকোলজিস্টসের (এসএফও) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. এবিএমএফ
করিমের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগের অভিজ্ঞতার কথা
উল্লেখ করেন।
এ সময় নিজের ছোটভাই বিশিষ্ট লেখক, সাংবাদিক,
সমালোচক ও খ্যাতনামা টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে স্মরণ করেন অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভাইয়ের ক্যান্সার শনাক্ত ও চিকিৎসার সময় তাঁর পুরো পরিবারকে কী
ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল সেসব অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি। সেসময় ডা. করিম কীভাবে
তাঁর চিকিৎসায় সাহায্য করেছিলেন সে কথা উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ক্যানসার চিকিৎসায় যে প্রযুক্তিগত
সহায়তা প্রয়োজন, তা এখনো আমরা পাচ্ছি না। সার্ক যে ক্যান্সার চিকিৎসাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব
দিচ্ছে এটা অত্যন্ত জরুরি ও অনুপ্রেরণামূলক।
দক্ষিণ-এশিয়ার দেশগুলো সার্ককে সক্রিয়
করে তোলার মধ্য দিয়ে লাভবান হবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সার্ক আমার কাছে
বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আমি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণের পরপরই সার্ককে সক্রিয়
করার বিষয়ে বলেছি। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার কিছু ইস্যুর জন্য সার্ক সক্রিয় হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, আমি মনে করি, দুটি দেশের
মধ্যেকার সমস্যা অন্য দেশগুলোকে প্রভাবিত করা উচিত না। প্রতি বছর দক্ষিণ এশিয়ার নেতারা
যদি সাক্ষাৎ করেন, একসঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন তাহলে গোটা বিশ্বের কাছে বার্তা যায় যে
আমরা একসঙ্গে আছি। এটা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে বিশ্বের কাছে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন
করবে এবং এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজকের কনফারেন্সের
মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে সার্ক সক্রিয় করতে আবারও আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
শনিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক বলেন, সেনাবাহিনী দেশের মানুষের কল্যাণে এবং জান-মালের নিরাপত্তা প্রদানে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে।
রাষ্ট্রপ্রধান আশা করেন যে আগামী দিনে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ দেশ ও জনগণের যে কোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থাকবে।
সেনাপ্রধান রাষ্ট্রপতিকে জানান, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য দেশব্যাপী সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে।
আজকের
এ সাক্ষাতকালে সেনাবাহিনী প্রধান কুশলাদি বিনিময়ের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম,
আসন্ন দুর্গাপূজার নিরাপত্তা রক্ষা এবং দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যায় ত্রাণ কার্যক্রম
ইত্যাদি সম্পর্কে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
মন্তব্য করুন
বন্যার্তদের সাহায্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সহ ক্যাম্পাসের কয়েকটি স্থানে ৬ষ্ঠ দিনের মতো চলছে গণত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম। এতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে দেখা গেছে। যে যা পারছেন অর্থ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে সহায়তা করছেন।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
স্বেচ্ছাসেবকরা জানান, সকাল থেকেই, নানা শ্রেণিপেশার মানুষ নগদ অর্থ, ওষুধ, পোশাক ও ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করছেন। আর এই কার্যক্রম চলবে মধ্যরাত পর্যন্ত। বন্যার্ত ও অসহায় মানুষদের সহযোগিতায় নগরীর সর্বস্তরের মানুষ যেভাবে সাড়া দিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
প্রসঙ্গত, এর আগে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায়
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার ৫ম দিন সন্ধ্যা ৬টা অব্দি সংগৃহীত
অর্থের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এতে জানানো
হয়, আজ মোট সংগ্রহ হয়েছে ১ কোটি ৯ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা।
মন্তব্য করুন
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় ২
জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১৫ জুন) সকাল সোয়া ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী এলাকায়। কুমিল্লা ময়নামতি হাইওয়ে থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, লিচুবাহী একটি
ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন থেকে একটা কাভার্ডভ্যানকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলে
মারা যান ট্রাকে থাকা ২ জন।
কুমিল্লা ময়নামতি হাইওয়ে থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, চট্টগ্রামমুখী লিচুবাহী ট্রাকটি বেপরোয়া গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা একটি কাভার্ডভ্যানকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়।
এতে কাভার্ডভ্যান ও লিচুবাহী ট্রাকটি রাস্তার পাশে পড়ে
যায়। এই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান ট্রাকের ভেতরে থাকা দুইজন। প্রাথমিকভাবে এখনও
শনাক্ত করা যায়নি তাদের পরিচয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নিহত দুইজন হলো: ট্রাকের চালক
ও চালকের সহযোগী।
মন্তব্য করুন
আগামীকাল শুক্রবার টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে প্রথম পর্বের তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা শুরু হচ্ছে।
দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ইতিমধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইজতেমাস্থলে আসতে শুরু করেছেন। শুক্রবার বাদ ফজর থেকে ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অনানুষ্ঠাকিভাবে আজ বৃহস্পতিবার বাদ আসর থেকে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার কাজ শুরু হয়েছে ।
প্রথম পর্বের ইজতেমায় মাওলানা জুবায়ের অনুসারী মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করছেন। তারা ইজতেমা ময়দানে জেলাওয়ারি নির্দিষ্ট খিত্তা অনুসারে অবস্থান নিচ্ছেন। বিদেশি মুসল্লিদের জন্য ময়দানের পশ্চিমাংশে টিনের ছাউনিযুক্ত বিশেষ কামরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইজতেমা ময়দান ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হচ্ছে নির্দিষ্ট পয়েন্টগুলোতে। ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সড়ক-মহাসড়কে যানজট নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এছাড়া প্রস্তুত করা হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প ও হাসপাতালের অতিরিক্ত বেড ও পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স। ইজতেমায় আসা-যাওয়ার জন্য পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। র্যাবের পক্ষ থেকে আকাশে হেলিকপ্টার টহল দেবে। সিসি ক্যামেরা ও সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ার থেকেও মনিটরিং করা হবে সবার গতিবিধি।
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বুধবার দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠ পরিদর্শনে এসে বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমের সামনে প্রেস ব্রিফিংকালে বলেন, আমরা বিশ্ব ইজতেমায় প্রতিবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিয়ে থাকি। এবারও বিশ্ব ইজতেমার ময়দান নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা ও আস্থা রয়েছে। আমরা তাদের ব্রিফিং দিয়েছি, প্রশিক্ষণ দিয়েছি, কে কখন কোথায় কীভাবে তার দায়িত্ব পালন করবে সেভাবে তাদের প্রস্তুত করেছি। বর্তমান নিরাপত্তায় বোম ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াট টিম, ডগ স্কোয়াড, বিস্ফোরক প্রশিক্ষক টিম, ট্রাইম সিন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও আমাদের প্রশিক্ষক টিম, নৌ বহর ও হেলিকপ্টার দিয়েও টহল ব্যবস্থা প্রস্তুত থাকবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, জিআইজি (অপারেশন) আনোয়ার হোসেন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নূরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বুধবার সকালে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে ইজতেমায় র্যাবের কন্ট্রোল রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমায় কোনো ধরনের জঙ্গি হামলা বা জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই। আমরা এ ব্যাপারে সজাগ রয়েছি। আমরা আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার প্যাট্রলিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছি।
৪ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের জোবায়েরপন্থি মুসল্লিদের অংশগ্রহণে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমা।
এরপর চার দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লির নিজামউদ্দিন মারকাযের অনুসারী (সা’দ পন্থি) মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবেন। ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এ পর্বের বিশ্ব ইজতেমা সমাপ্তি ঘটবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার
দায়িত্ব আমাদের। তা নিয়ে ভারতের কিছু বলার দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
বিবিসি হিন্দিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি
এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) প্রকাশিত
ওই সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানকার সংখ্যালঘুরা আমাদের নাগরিক। তাদের
নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এ বিষয়ে ভারতের কিছু বলার দরকার নেই। যেটা নিয়ে ভারতের
বলা প্রয়োজন সেটা হলো, গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা।
এই প্রশ্ন করা যেতে পারে, বাংলাদেশের
বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারত কী ধরনের সাহায্য করতে পারে? এ বিষয়ে কথা বলা প্রয়োজন।
আরও বলতে চাই, ভারতের গণমাধ্যম আমাদের সরকারকে নিয়ে ভুল সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। ভারতের
উচিত এ বিষয়ে একটা সীমা টানা। আমরা চাই, তথ্যের ভিত্তিতে আলোচনা হোক এবং সম্পর্ক উন্নয়নের
প্রশ্নেও আলোচনা হোক।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আওয়ামী
লীগ জুলাই-আগস্টে যে গণহত্যা ঘটিয়েছে, সেটাকে ভারত কীভাবে দেখে, তা ভারত এখনো স্পষ্ট
করেনি। কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে। কিন্তু ভারত এ বিষয়ে
কোন কথা বলেনি। উপরন্তু, যার (শেখ হাসিনা) ওপরে এ ঘটনার দায় বর্তায়, ভারত তাকে আশ্রয়
দিয়েছে। যে ব্যক্তি তার স্বজনকে হারিয়েছে, ভারত যদি তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়, তাহলে
বাংলাদেশের জনগণ সেটিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করবে। আমি চাই, ভারত আমাদের সহায়তা করুক,
যাতে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এখানে যা কিছু
হয়েছে তা আমাদের নজরে আছে। মানুষের যে কষ্ট হয়েছে, সে সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। এটাও
মনে রাখতে হবে, যদি সময়মতো (গণঅভ্যুত্থানের পরপর) ব্যবস্থা না নেওয়া হতো, তাহলে পরিস্থিতি
আরও খারাপ হতো। দুর্গাপূজার কথাই ধরেন। বলা হচ্ছিল, আরও সহিংসতা হবে। আমরা আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনী পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করেছি। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপিত হয়েছে।
আমাদের সরকার সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কথা বলেছে, আশ্বস্ত করেছে। তারাও এতে আশ্বস্ত হয়েছেন।
আমি তো বলব, অন্য কোনো সরকার সংখ্যালঘুদের সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেনি, যা আমরা
গত তিন মাসে করেছি। আগের সরকারগুলো এ বিষয়ে শুধু রাজনৈতিক ফায়দা নিয়েছে। তাদের ওপর
থেকে সংখ্যালঘুদের আস্থা কমে গিয়েছিল। আমাদের এসব ঠিক করতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি,
তাদের কিছু বিষয় আছে, যা এখনই সমাধান হওয়ার নয়। এজন্য আমাদের সময় দিতে হবে। আওয়ামী
লীগ সরকারের বিদায়ের পর কিছু উগ্র ও কট্টরপন্থি সংগঠনের তৎপরতা বাড়তে পারে। এ কারণে
শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতের নিরাপত্তারও সমস্যা হতে পারে—এ প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা
বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো কোনো সহিংসতা বা উগ্রবাদী সংগঠনকে সমর্থন করে না। বাংলাদেশের
মানুষ গণতান্ত্রিক সরকার চায়। আপনি যা বলছেন সেটা আওয়ামী লীগের প্রচার করা অসত্য বয়ান।
তারা বলত, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর তৎপরতা বেড়ে যাবে। এসব
বলে বলে তারা এত বছর বাংলাদেশ শাসন করেছে। ভারতও এই বয়ান সমর্থন করে। প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশে
আওয়ামী লীগ সরকারে থাক বা না থাক, এটা দিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে কেন প্রভাব পড়বে?
এর মানে হলো, ভারত এ দেশের মানুষের সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিল।
বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে এ প্রশ্ন উঠত না। যেমন- আমরা দেখি না ভারতে
কে ক্ষমতায়, বিজেপি না কংগ্রেস। সে রকমই এখানেও এটাই হওয়া উচিত, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়
আছে না নেই, সে প্রশ্ন থাকা উচিত নয়। নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমি শুধু এটাই বলব, বিষয়গুলো
আওয়ামী লীগের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে না দেখাই উচিত। আমরা দুই দেশ একে অপরকে সঙ্গ দিলে উভয়ের
কল্যাণকর কাজ করা সম্ভব। আমরা কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করিনি। কোনো প্রকল্পও
বন্ধ করিনি। সবকিছু আগের মতোই চলছে।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ডাকাত প্রতিরোধ অভিযানে নিহত শহীদ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন (২৩) এর পিতা-মাতা সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
আইএসপিআর জানায়, শহীদ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জনের বাবা-মা বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সেনাসদরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় শহীদ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জনের বাবা-মা সন্তান হারানোর বেদনায় আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইন অনুযায়ী বিচার নিশ্চিতে সর্ব প্রকার সহযোগিতা দেওয়ার অঙ্গিকার করেন।
মন্তব্য করুন