নির্বাচন
কমিশন গঠন হয়ে গেছে। এখন ধাপে ধাপে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবে সরকার বলে মন্তব্য
করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান
আরিফ।
আজ
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের বিআইসিসিতে এশিয়ান আন্তর্জাতিক
বাণিজ্যমেলার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা
এ এফ হাসান আরিফ বলেন, নির্বাচন কমিশনে যারা এসেছেন সবাই অভিজ্ঞ। তারা ভালো একটি
নির্বাচন উপহার দিতে পারবেন বলে তিনি আশা করেন।
উপদেষ্টা
আরও বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে কাজ চলছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক পর্যটকরা
এ দেশে সম্পূর্ণ নিরাপদ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বেসরকারি
উদ্যোগে মেলা আয়োজন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রামের মেলার আমেজ এ
মেলায় পেলাম। এ ধরনের মেলায় বিদেশিরাও আসেন। তারা বাংলাদেশে সংস্কৃতি, ঐতিহ্য দেখতে
মেলায় আসেন। মেলাগুলো আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরার একটা জায়গা। এ মেলা আমাদের পর্যটন
বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
গত
৭ নভেম্বর থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আদলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের চীন মৈত্রী
সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে ১৭ দিনব্যাপী এশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। মেলা শেষ হবে আগামী
২৩ নভেম্বর।
মন্তব্য করুন
বিশ্বখ্যাত প্রাণীবিদ, প্রাইমাটোলজিস্ট, নৃতত্ত্ববিদ ও পরিবেশ আন্দোলনের অগ্রদূত ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল বুধবার (১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এক শোকবার্তায় অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, আমার প্রিয় বন্ধু ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি ছিলেন এক অক্লান্ত সংগ্রামী। শান্তি, টেকসই উন্নয়ন, ন্যায়বিচার এবং পৃথিবীর সকল জীবের পারস্পরিক সম্পর্কের পক্ষে তিনি জীবন উৎসর্গ করেছেন। প্রাকৃতিক জগত তার এক মহান সমর্থককে হারালো, যা আমাদের হৃদয় ভারাক্রান্ত করে তুলেছে। আজ আমি তার অর্জন ও অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, যা পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার পরও দীর্ঘদিন প্রভাব বিস্তার করবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে জেন গুডলের দীর্ঘ সম্পর্কের কথা স্মরণ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, নব্বইয়ের দশকে তিনি বাংলাদেশ সফরে এসে গ্রামীণ ব্যাংকের নারীদের ক্ষমতায়নের অভিজ্ঞতা দেখেছিলেন এবং পরে আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে তার নিজস্ব কাজে সেই নীতিকে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। তিনি আমাদের দেশের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে ছিলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জেন আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করেছেন এবং আমাদের কাজকে উচ্চভাবে মূল্যায়ন করেছেন। তিনি তার বহু বক্তব্যে গ্রামীণ কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করেছেন, এমনকি সম্প্রতি ২০২৫ সালের জুন মাসে অনুষ্ঠিত সোশ্যাল বিজনেস ডে সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যেও এ বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, তার সমর্থন ও প্রেরণার জন্য আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব। তিনি শুধু আমাকে নয়, বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। শান্তিতে বিশ্রাম নাও জেন, পৃথিবী তোমাকে গভীরভাবে মিস করবে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিখ্যাত প্রাণীবিজ্ঞানী, গবেষক, প্রকৃতিবিদ এবং পরিবেশ আন্দোলনের অন্যতম অগ্রদূত ৯১ বছর বয়সী ড. জেন গুডল গতকাল বুধবার লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়ায় মৃত্যুবরণ করেন।
মন্তব্য করুন
পৃথক দুইটি অভিযানে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন নোয়াগাও চৌমুহনী ও পদুয়ার বাজার এলাকা হতে ০৫ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ৩১ মে ২০২৪ ইং তারিখ বিকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন নোয়াগাও চৌমুহনী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মোঃ শরীফ হোসেন (২৫), ২। মোঃ শহীদুল ইসলাম (২৬) এবং ৩। মোঃ শিপন মিয়া (২০) নামক ০৩ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদের হেফাজত হতে চাঁদাবাজির ৬,১৬০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে গত ৩১ মে ২০২৪ ইং তারিখ বিকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মোঃ নাসির উদ্দিন (৪০) ও ২। মোঃ আব্দুল রহিম (৩৮) নামক ০২ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদের হেফাজত হতে চাঁদাবাজির ৩,১৬০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ শরীফ হোসেন (২৫) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার দৌলতপুর গ্রামের মোঃ নাসির উদ্দিন এর ছেলে, ২। মোঃ শহীদুল ইসলাম (২৬) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার বাগমারা গ্রামের মৃত জহির মিয়া এর ছেলে, ৩। মোঃ শিপন মিয়া (২০) কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার লক্ষীপুর গ্রামের মোঃ খায়ের মিয়া এর ছেলে, ৪। মোঃ নাসির উদ্দিন (৪০) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত দুলা মিয়া এর ছেলে এবং ৫। মোঃ আব্দুল রহিম (৩৮) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার দুতিয়াপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম এর ছেলে।
আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা সকলেই চাঁদাবাজ চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানা ও এর আশ-পাশের বিভিন্ন রাস্তায় অটো, সিএনজি ইত্যাদি পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের নিকট হতে ক্ষয়ক্ষতি ও গুরুতর আঘাতের ভয়ভীতি দেখিয়ে বলপূর্বক টাকা গ্রহণ করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সরকারের সব পর্যায়ে সংস্কার কর্মসূচি
গ্রহণ ও বাস্তবায়নে ‘মার্চিং অর্ডার’ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সচিব সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
এ নির্দেশনা দেন।
উপদেষ্টার
নির্দেশনাগুলো হলো:
১. সরকারের সব পর্যায়ে সংস্কার কর্মসূচি
গ্রহণ ও বাস্তবায়নে ‘মার্চিং অর্ডার’ দিয়েছেন।
২. সংস্কার কর্মসূচি প্রণয়নে প্রয়োজন
অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা ও মতামত গ্রহণ করতে হবে।
৩. জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা
বৈষম্যহীন মানবিক দেশ গড়ার যে প্রত্যয়, যে ভয়হীন চিত্ত আমাদের উপহার দিয়েছে, তার ওপর
দাঁড়িয়ে বিবেক ও ন্যায়বোধে উজ্জীবিত হয়ে আমাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা
নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।
৪. নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য গৎবাঁধা
চিন্তা-ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে, চিন্তার সংস্কার করে, সৃজনশীল উপায়ে জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ
গুরুত্ব দিয়ে সরকারি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৫. দুর্নীতির মূলোৎপাটন করে, সেবা সহজীকরণের
মাধ্যমে জনগণের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে।
৬. সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার
নিশ্চিত করতে হবে।
৭. সরকারি ক্রয়ে যথার্থ প্রতিযোগিতা
নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো দুর
করতে হবে।
৮. সৃষ্টিশীল, নাগরিক-বান্ধব মানসিকতা
নিয়ে প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কর্মসূচির সময়াবদ্ধ
কর্মপরিকল্পনা দাখিল করবে, যা নিয়মিত মূল্যায়ন/পরিবীক্ষণ করা হবে।
৯. ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সৃষ্ট
নতুন বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আগ্রহ, ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে, দেশের স্বার্থে
তা সর্বোত্তম উপায়ে কাজে লাগাতে হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা কর্তৃক চাঁদপুর জেলার সদর থানাধীন তর্পচন্ডী এলাকা থেকে পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতা মোঃ ইয়াসিন (২২) সহ ১৬ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে দেশের প্রচলিত নিয়ম, নীতি অনুসরণ করে পাসপোর্ট প্রাপ্তি সকল নাগরিকের অধিকার। তবে অধিকাংশ সময়ে অসংখ্য ভুক্তভোগী দালাল চক্রের সদস্যকে পাসপোর্ট করতে দিয়ে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার পরেও যথাসময়ে পাসপোর্ট পায়নি মর্মে আমাদের নিকট লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেন। এসকল অভিযোগ সমূহের সত্যতা যাচাই পূর্বক র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার একটি টিম ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং দালাল চক্রকে হাতেনাতে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে।
গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল অদ্য ২৩ জুন ২০২৪ইং তারিখ দুপুরে চাঁদপুর জেলার সদর থানাধীন তর্পচন্ডী এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতা সহ ১৬ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
পাসপোর্ট দালাল চক্রের আসামীদেরকে গ্রেফতারকালে তাদের হেফাজত হতে ১৮৩ টি ডেলিভারি স্লীপ, ০৮ টি মোবাইল ও নগদ ৪৫,২০০/- টাকা’সহ পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ১। মোঃ ইয়াসিন (২২), পিতা-ইলিয়াস, সাং-বিমলের গা, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ২। মোঃ মামুন (৩৭), পিতা-হাতেম আলী, সাং-তর্পচন্ডী, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ৩। মুনকার আহমেদ রাজ (২২), পিতা- মনির হোসেন, সাং-সুবিদপুুর, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ৪। মোঃ তানভীর (২৩), পিতা-হাফেজ, সাং-পালতালুক, থানা-ফরিদগঞ্জ, জেলা-চাঁদপুর; ৫। মোবারক গাজী (৪০), পিতা-ছিটু গাজী, সাং-তর্পচন্ডী, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ৬। মোঃ রবিউল আলম (২৮), পিতা-মিজানুর রহমান গাজী, সাং-মধ্য তর্পচন্ডী, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ৭। মোঃ শরিফ হোসেন (৩৭), পিতা-মোঃ মুসলিম গাজী, সাং-মির্জাপুর, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ৮। মোঃ শাওন (২২), পিতা-মোঃ শাহজাহান প্রধানিয়া, সাং-উত্তর পাইক আচড়া, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ৯। মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার (২৬), পিতা-মৃত আব্দুল বারেক মজুমদার, সাং-সহেদি পাঁচগাও, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ১০। মোঃ অমিত হাসান (২৮), পিতা-তাজুল ইসলাম, সাং-মধ্য তর্পচন্ডী, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ১১। মোঃ তোফাজ্জল দেওয়ান (৫৫), পিতা-কাশেম আলী দেওয়ান, সাং-দক্ষিণ তর্পচন্ডী, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ১২। মোঃ সেলিম (৪০), পিতা-মৃত সিরাজ মিজি, সাং-মধ্য তর্পচন্ডী, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ১৩। রানা (৩৭), পিতা-ইব্রাহিম, সাং-মৈশাদি মির্জাপুর, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ১৪। সাজ্জাদ (১৯), পিতা-শাহজাহান গাজী, সাং-মৈশাদি মির্জাপুর, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর; ১৫। মোঃ তামিম হোসেন (২৩), পিতা-মোঃ ইমরান মিজি, সাং-মৈশাদি পালকান্দি, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর এবং ১৬। আরমান হোসেন (৩০), পিতা-সাত্তার পাটোয়ারী, সাং-বিশকাটালী, পোঃ রামপুর বাজার, থানা-হাজীগঞ্জ, জেলা-চাঁদপুর।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে গ্রেফতারকৃত আসামীরা সকলেই পাসপোর্ট দালাল চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পাসপোর্ট তৈরী করে দেওয়ার নাম করে ভূক্তভোগী লোকজনের নিকট থেকে সরকার নির্ধারিত রেট এর অধিক বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল বলে স্বীকার করে। মূলতঃ তারা সাধারণ মানুষকে সহজভাবে পাসপোর্ট তৈরী করার নাম করে বিভিন্ন এজেন্টের নিকট নিয়ে আসে। এই এজেন্ট গ্রুপ ভুক্তভোগীদের অনলাইন আবেদন ও ব্যাংক ড্রাফট করে দেওয়ার পাশাপাশি দ্রুতসময়ে পাসপোর্ট দিবে বলে ডেলিভারী স্লীপ নিজেদের নিকট রেখে দেয় এবং বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পাসপোর্ট ডেলিভারী করার নির্দিষ্ট তারিখ নিধারণ করে। এভাবেই তাদের কাছে টাকা জমা দিলে তারা বিভিন্নভাবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জালিয়াতি মাধ্যমে প্রস্তুত করে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করে আসছিল বলে মর্মে জানায়।
উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর জেলার সদর থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
আগামীকাল ভারতের দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফ্রেন্স বক্সিং ৬ষ্ঠ এশিয়ান সাবাতে চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৫।
উক্ত প্রতিযোগিতায বাংলাদেশ টিমের একজন উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করে অংশগ্রহণ করছে কুমিল্লা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সত্যায়িত সংগঠন ওয়াইকোসের(YCOS) যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মার্শাল-আর্ট টিম কোচ এবং সাবাতে এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের জাতীয় কোচ মোফাজ্জাল মাহিন চৌধুরী।
জাতীয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত এই খেলোয়র এবার (-৫৭)ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণ অংশগ্রহণ করবেন।
উক্ত প্রতিযোগিতাটি সুষ্ঠু এবং সফল হওয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতা করবে Dighir Chap, বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্যাডেট ফোরাম, লিও ক্লাব অফ কুমিল্লা গ্রেটার্স এবং কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
মন্তব্য করুন
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় থাকায় দেশের সব বিভাগে বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগ বাদে দেশের অন্যত্র তাপমাত্রা কমারও আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে এ তথ্য জানানো হয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও হতে পারে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ।
চট্টগ্রাম বিভাগের দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের
মধ্য দিয়ে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে খুবই
আন্তরিক।
এ
খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পাশাপাশি টেকসই শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত রাখার
জন্য তিনি আহ্বান জানান।
প্রধান
উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক
বাণীতে এসব কথা বলেন।
প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫’
উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড
(বিএবি) এর সকল অংশীজন এবং সহযোগী সংস্থাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। দিবসটির এবারের
প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন : ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের ক্ষমতায়ন (এসএমই)’, বর্তমান
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
ক্ষুদ্র
ও মাঝারি উদ্যোক্তারা বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের মোট দেশজ উৎপাদনের একটি বৃহৎ অংশ এসএমই খাত থেকে আসে।
নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও এ খাতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসএমই খাতের
প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিনিয়ত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, ক্রেতা ও ভোক্তার
পরিবর্তনশীল চাহিদা এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতার মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এ সকল
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রয়োজন সম্মিলিত বৈশ্বিক উদ্যোগ।
তিনি
আরও বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থা জাতীয় গুণগতমান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে পণ্য
ও সেবার সরবরাহ ব্যবস্থার সকল পর্যায়ে গুণগতমান নিশ্চিতকরণ, দক্ষ কারিগরি জনবল সৃষ্টি,
বাণিজ্যে কারিগরি বাধা অপসারণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করে এ
সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএবি এ
লক্ষ্যে কাজ করে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ল্যাবরেটরি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সনদ প্রদানকারী
সংস্থা এবং পরিদর্শন সংস্থাসহ মোট ১৫৫টি সরকারি, বেসরকারি এবং বহুজাতিক সংস্থাকে আন্তর্জাতিক
মান অনুসারে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান করেছে।’
প্রধান
উপদেষ্টা ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা
করছি।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস 'ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকার সবকিছু ধ্বংস করে গেছে' - উল্লেখ করে বলেছেন, নির্বাচনের আগে আমাদের অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা, আমলাতন্ত্র ও বিচারব্যবস্থায় সর্বাত্মক সংস্কার করতে হবে।
একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত হয় সাক্ষাৎকারটি।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থা, সংবিধান এবং বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে। জানুয়ারির মধ্যে ওই কমিশনগুলোর সুপারিশ হাতে পাওয়ার পর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার বাস্তবায়ন করার কথা জানান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। উপদেষ্টা বলেন, 'এই সংস্কার বাস্তবায়নে সময় লাগবে, কেননা ‘নতুন বাংলাদেশ’গড়তে আমরা একদম শূন্য থেকে শুরু করেছি। '
নির্বাচন ঠিক কখন হবে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, ‘নির্বাচনের সময় নির্ভর করছে সংস্কার প্রক্রিয়ার ওপর। এর ফলাফলই সময় নির্ধারণ করে দেবে। ’
সাধারণ নির্বাচনে ড. ইউনূস প্রার্থী হবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘না, আমি রাজনীতিবিদ নই। আমি সব সময়ই রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছি।’ রাষ্ট্রের যেসব ব্যক্তি নীতি-নৈতিকতা সমুন্নত রাখেন, নিয়মকানুন মেনে চলেন এবং নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত রাখেন তাদের নির্বাচনে দাঁড়ানো উচিত বলে মনে করেন ড. ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, ‘হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে দেশের শাসনকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে, আর গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করে তা পুনর্গঠনের সুবিশাল কর্মযজ্ঞ আমাদের ঘাড়ে এসে পড়েছে।'
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, ‘হাসিনার শাসনামলে গণতন্ত্রের রীতিনীতি একদম ধ্বংস হয়ে গেছে। টানা তিন মেয়াদে ভোটারবিহীন ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা। আর তাতে তিনি নিজেকে এবং তার দলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেছেন। একজন ফ্যাসিবাদী শাসক হিসেবে এসব করেছেন হাসিনা।'
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, 'এ বছরের আগস্টে ছাত্র নেতৃত্বাধীন সরকারি চাকরিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কয়েকশ শিক্ষার্থী নিহত হন। এরপরই শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন হাসিনার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। শেষ পর্যন্ত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। তিনি হেলিকপ্টারে চড়ে ভারতে পালিয়ে যান। অক্টোবরে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা এবং তার বেশ কয়েকজন সহযোগীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। ’
বিচারিক কার্যক্রম শেষে রায় হলে হাসিনার প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে ভারতকে অবহিত করা হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ‘বিচার শেষে তার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত রায় এলে আমরা ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসিনাকে হস্তান্তরের অনুরোধ জানাব। এক্ষেত্রে উভয় দেশের স্বাক্ষরিত একটি আন্তর্জাতিক আইনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত এ আইন মানে কাজ করতে বাধ্য হবে।’
কূটনীতিক ফ্রন্টে বাংলাদেশের ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী ও সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত। এক্ষেত্রে ড. ইউনূস দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার প্রস্তাব করেছেন। ভারত ও পাকিস্তানের বৈরী সম্পর্কের ফলে সার্ক কার্যত নিষ্ক্রিয় রয়েছে। সার্কের লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর মতো নিজেদের মধ্যে চলাফেরার স্বাধীনতা, আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য উৎসাহিত করা। সার্কের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে ভারতকে পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানান ড. ইউনূস।
এদিকে হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ভারত। তাদের দাবি বাংলাদেশে হিন্দুদের ঘরবাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে ‘হামলা’ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকাকে অবশ্যই হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে বলে জোর দিয়েছে দিল্লি। তবে ভারত সরকারের এসব ঢালাও বক্তব্য নাকচ করে দেন ড. ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, ‘সংখ্যালঘু ইস্যুতে যা বলা হচ্ছে তার বেশির ভাগই প্রোপাগান্ডা। ’ এগুলো সঠিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বলা হচ্ছে না বলে পাল্টা অভিযোগ করেন ড. ইউনূস। তিনি ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশে এসে তদন্তসাপেক্ষে সঠিক তথ্য তুলে ধরার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা এসব অপ-তথ্যের বিরুদ্ধে ভারত সরকারকে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য কাজ করছি।
অন্য আঞ্চলিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইউনূস চীনকে 'আমাদের বন্ধু' বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, সড়ক ও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ থেকে শুরু করে সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত তারা আমাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ বেইজিংয়ের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সংস্থা- আসিয়ানে বাংলাদেশের যোগ দেওয়ার বিষয়ে জোর দেন ড. ইউনূস। বাংলাদেশ আসিয়ানে যোগ দেয়াকে একটি প্রতিশ্রুতিশীল সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতে চায়। কারণ বাংলাদেশ বিশেষ করে ২০২৬ সালে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে, এরপর বাংলাদেশ আর অগ্রাধিকারভিত্তিক শুল্ক সুবিধা পাবে না।
মালয়েশিয়া আগামী জানুয়ারি থেকে আসিয়ানের সভাপতি হতে যাচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ড. ইউনূস বলেন, তিনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বাংলাদেশের সদস্যপদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বাংলাদেশকে আসিয়ানে স্বাগত জানাতে তার সদিচ্ছার কথা ব্যক্ত করেছেন। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু ধাপ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের আসিয়ানে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপটি হবে আসিয়ানের সংজ্ঞা সংশোধনে একটি সর্বসম্মত রেজোল্যুশন নিশ্চিত করা। এর আগে আমরা আসিয়ানের একটি সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে স্বীকৃতি অর্জনের আশা করছি। আসিয়ানের সদস্য দেশগুলো বাংলাদেশের এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. ইউনূস।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তার দমন-পীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বিপুল সংখ্যক রাষ্ট্রবিহীন ও নাগরিকত্বের প্রাধিকার-বঞ্চিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'এই দায় (রোহিঙ্গা) বাংলাদেশ কতদিন বহন করবে? রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমাদের একটি সুস্পষ্ট গন্তব্য ও একটি অভিন্ন লক্ষ্য ঠিক করা দরকার। '
বাংলাদেশ মিয়ানমারে জাতিসংঘ-শাসিত একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, এতে করে এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা তাদের দেশেই আশ্রয়-শিবিরে থাকতে পারবে। সেখানকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে তাদের অন্য কোনো দেশে স্থানান্তর করার প্রয়োজন হবে না, তারা তাদের নিজেদের বাড়িঘরে ফিরে যেতে পারবে বলে উল্লেখ করেন মুহাম্মদ ইউনূস।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী সোমবার দুই দিনব্যাপী সিভিল
সার্জন সম্মেলন উদ্বোধন করবেন।
আজ
বৃহস্পতিবার (৮ মে) এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা আগামী ১২ মে (সোমবার) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে তাঁর তেজগাঁওস্থ
কার্যালয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।
মন্তব্য করুন
মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে সেনাবাহিনীর কমিশন প্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এই প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এই ক্ষমতা দেওয়া হয়। এই ধারা অনুযায়ী সরকারকে মেট্রোপলিটনের বাইরে যে কোনো ব্যক্তিকে বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের ক্ষেত্রে সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিচে কাউকে দায়িত্ব প্রদান করা না গেলেও অন্যদের ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে আইনে শর্ত আরোপ করা হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭(১) ধারা অনুযায়ী ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা (সেনা কর্মকর্তা) সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের (জেলা প্রশাসক) তত্ত্বাবধানে কাজ করবেন।
গ্রেফতার, তল্লাশি ও বেআইনি সমাবেশ ভঙ্গের ক্ষমতা: প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ফৌজদারি কার্যবিধির ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। এসব ধারা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা কাউকে আটক বা গ্রেফতার বা গ্রেফতারের আদেশ, তল্লাশির আদেশ ও বেআইনি সমাবেশ ভঙ্গের জন্য আদেশ দিতে পারবেন।
গ্রেফতার বা গ্রেফতারের আদেশ: ফৌজদারি কার্যবিধির ৬৪ ও ৬৫ ধারায় একজন ম্যাজিস্ট্রেট তার উপস্থিতিতে ও এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে কোনো অপরাধ করলে তিনি নিজে অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারবেন অথবা অন্য কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতারের আদেশ দিতে পারবেন। এছাড়া ৮৩ ও ৮৪ ধারা অনুযায়ী অধিক্ষেত্রের বাহিরে কার্যকরের জন্য পরোয়ানা জারি করতে পারবেন। আইনের ৮৬ ধারার বিধান মতে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দিতে পারবেন অথবা অপরাধ জামিনযোগ্য না হলে তাকে আদালতে পাঠাবেন।
তল্লশি সংক্রান্ত আদেশ: ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৯৫(২) ধারার বিধানমতে তিনি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে ডাক বা টেলিগ্রাম বিভাগের দ্বারা তল্লাশি পরিচালনা করবার ও উক্ত দলিল, পার্সেল বা ব্যক্তি আটক করার ব্যবস্থা করতে পারবেন। ১০০ ধারার বিধানমতে কোনো ব্যক্তিকে বেআইনিভাবে আটক করার বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ পেলে তল্লাশি পরোয়ানা জারি করতে পারবেন। ১০৫ ধারার বিধানমতে নিজ উপস্থিতিতেও ম্যাজিস্ট্রেট তল্লাশির আদেশ দিতে পারবেন।
শান্তিরক্ষায় মুচলেকা গ্রহণ: শান্তিভঙ্গের আশঙ্কা থাকলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭ ধারা অনুযায়ী শান্তি শান্তিরক্ষায় সদাচরণের মুচলেকা গ্রহণ করতে পারবেন। ১০৯ ধারার বিধানমতে অধিক্ষেত্রের মধ্যে ভবঘুরে ও সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছ থেকে মুচলেকা নিতে পারবেন। ১১০ ও ১২৬ ধারা অনুযায়ী অভ্যাসগত অপরাধীর কাছ থেকে জামিনদারসহ বা জামিনদার ছাড়াও শান্তিরক্ষায় মুচলেকা নিতে এবং প্রয়োজনে মুচলেকা বাতিল করতে পারবেন।
বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গের আদেশ দান: ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭ ধারা অনুযায়ী সর্বসাধারণের শান্তি বিনষ্ট হওয়ার কারণ হতে পারে এই ধরনের পাঁচ বা তারবেশি ব্যক্তির সমাবেশ ছত্রভঙ্গের আদেশ দিতে পারেন। আদেশ অমান্য করলে ১২৮ ধারা অনুযায়ী একজন ম্যাজিস্ট্রেট সমাবেশ ভঙ্গে বল প্রয়োগের আদেশ দিতে পারেন। ১৩০ ধারার বিধান অনুযায়ী সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে প্রয়োজনে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করতে পারবেন।
এছাড়াও ফৌজদারি কার্যবিধির ১৩৩ ধারা অনুযায়ী একজন ম্যাজিস্ট্রেট পথ, নদী, খাল বা প্রকাশ্য স্থানে বেআইনি বাঁধা অপসারণ, ব্যবসা বা সংরক্ষিত এলাকায় মানুষের আরাম আয়েশের বিঘ্ন ঘটানো, গৃহ বা তাবু হতে ক্ষতিকর বস্তু বা বৃক্ষ অপসারণ, জলাশয় ঘেরাও, বিপজ্জনক প্রাণী ধ্বংস বা আটক ইত্যাদি আদেশ দিতে পারেন। কোনো ব্যক্তি ১৪২ ধারার বিধান মতে ক্ষতি এড়াতে কোনো ব্যক্তির উপর নির্দিষ্ট স্থানে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারেন।
মন্তব্য করুন