বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ১৮০ সদস্য সাহসিকতা এবং সেবামূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ আট ক্যাটাগরিতে পদক পাচ্ছেন ।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৪তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে গাজীপুরের সফিপুরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ পদক তুলে দেওয়া হবে।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আনসার শাখা-২ থেকে ১৮০ জন সদস্যের পদকের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর এই সদস্যরা আট ক্যাটাগরিতে পদক পাবেন। বাংলাদেশ আনসার পদক ক্যাটাগরিতে ১০ জন, প্রেসিডেন্ট আনসার পদক ক্যাটাগরিতে ২০ জন, বাংলাদেশ গ্রাম প্রতিরক্ষা দল পদক ক্যাটাগরিতে ১০ জন, প্রেসিডেন্ট গ্রাম প্রতিরক্ষা দল পদক ক্যাটাগরিতে ২০ জন, বাংলাদেশ আনসার (সেবা) পদক ক্যাটাগরিতে ২০ জন, প্রেসিডেন্ট আনসার (সেবা) পদক ক্যাটাগরিতে ৪০জন, বাংলাদেশ গ্রাম প্রতিরক্ষা দল ( সেবা) পদক ক্যাটাগরিতে ২০ জন এবং প্রেসিডেন্ট গ্রাম প্রতিরক্ষা দল ( সেবা) পদক ক্যাটাগরিতে ৪০জন পদক পাবেন।
এর মধ্যে মরণোত্তর বাংলাদেশ গ্রাম প্রতিরক্ষা দল পদক পাচ্ছেন ভিডিপি সদস্য মৃত রূপচান। তার পক্ষ থেকে পদক গ্রহণ করবেন রূপচানের ছেলে মাহবুবুর রহমান। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৪৫ জন নারী সদস্য আনসার পদক পাচ্ছেন।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৪তম জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশ উপলক্ষে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমি গাজীপুরের সফিপুরে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে।
১৯৪৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আনসার বাহিনী গঠন করা হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বাহিনীটি। প্রায় ৪০ হাজার রাইফেল ও গোলাবারুদ নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এই বাহিনীর সদস্যরা। মুক্তিযুদ্ধে বাহিনীর ৬৭০ জন শহীদ হন। তাদের মধ্যে ৯ জন কর্মকর্তা ও ৪জন কর্মচারী এবং ৬৫৭ জন আনসার সদস্য রয়েছে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিধি আরও বড় হচ্ছে।
নতুন করে ৫ উপদেষ্টা যুক্ত হচ্ছেন। এরমধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, আলী ইমাম মজুমদার, লে.ক. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম ও মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আগামীকাল শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের শপথ পাঠ করাবেন।
বঙ্গভবন সূত্র জানায়, শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে নতুন উপদেষ্টাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যান্য উপদেষ্টাগণ উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে, গত ৮ আগস্ট রাতে নবীন-প্রবীণের সমন্বয় গঠিত হলো দেশের বহুল আলোচিত অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বঙ্গভবনের দরবার হলে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ সময় আরও ১৩ জন উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ গ্রহণ করেন। শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও কূটনীতিকেরা দরবার হলে উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তীতে ১১ ও ১৩ আগস্ট আরও তিন জন উপদেষ্টা শপথ নেন। তারা ঢাকার বাইরে থাকায় পরে শপথ নেন।
অন্তর্বর্তী
সরকারের উপদেষ্টারা হলেন- ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত
হোসেন, ড. আসিফ নজরুল, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শারমিন মুরশিদ,
ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক), আদিলুর রহমান খান, সুপ্রদীপ চাকমা, ফরিদা আখতার, বিধান রঞ্জন
রায়, আ ফ ম খালিদ হাসান, নুরজাহান বেগম, মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
মন্তব্য করুন
বন্যার্তদের সাহায্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সহ ক্যাম্পাসের কয়েকটি স্থানে ৬ষ্ঠ দিনের মতো চলছে গণত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম। এতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে দেখা গেছে। যে যা পারছেন অর্থ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে সহায়তা করছেন।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
স্বেচ্ছাসেবকরা জানান, সকাল থেকেই, নানা শ্রেণিপেশার মানুষ নগদ অর্থ, ওষুধ, পোশাক ও ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করছেন। আর এই কার্যক্রম চলবে মধ্যরাত পর্যন্ত। বন্যার্ত ও অসহায় মানুষদের সহযোগিতায় নগরীর সর্বস্তরের মানুষ যেভাবে সাড়া দিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
প্রসঙ্গত, এর আগে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায়
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার ৫ম দিন সন্ধ্যা ৬টা অব্দি সংগৃহীত
অর্থের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এতে জানানো
হয়, আজ মোট সংগ্রহ হয়েছে ১ কোটি ৯ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা।
মন্তব্য করুন
অভিনব কায়দার ফার্নিচার (সোফা সেট) এর ভিতর লুকিয়ে ফেনসিডিল পাচারের সময় আল আমিন (৩৬) নামে এক মাদককারবারিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১।
দিনাজপুর থেকে চার সেট ফার্নিচারের মধ্যে ১৯৭ বোতল ফেনসিডিল লুকিয়ে বিমানবন্দর দিয়ে যাওয়ার সময় তল্লাশির মাধ্যমে আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় গ্রেফতারকৃত মাদককারবরির কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিমকার্ড ও ৪টি সোফা সেট জব্দ করা হয়।
সোমবার (১ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন, র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (অপস অ্যান্ড মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান।
র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান জানান, রোববার (৩০ জুন) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এ মাদককারবারিকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি ও সরবরাহ করে আসছিলেন। আল আমিন বিভিন্ন সময় সুকৌশলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল পরিবহন করে রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় খুচরা মাদককারবারিদের কাছে সরবরাহ করতেন বলে স্বীকার করেছেন।
র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান আরও জানান, গ্রেফতারকৃত মাদককারবরির নামে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যসহ তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
আজ (৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামে যাবেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক
হাসনাত আবদুল্লাহ এবং মুন্সিগঞ্জ যাবেন সমন্বয়ক সারজিস আলম।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তারা এ তথ্য জানান।
গতকাল সমন্বয়ক ফেসবুকে হাসনাত আবদুল্লাহ
জানান, প্রিয় চট্টগ্রামবাসী! আগামীকাল (রোববার) ৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলনের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সফর। এ সফরের অংশ হিসেবে আমাদের একটি সমন্বয়ক
টিম প্রত্যেকটি জেলার অভ্যুত্থান ঘটানো ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করবে।
সফরের প্রথম জেলা হিসেবে আগামীকাল চট্টগ্রামে দুটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। ছাত্র-জনতার
সঙ্গে মতবিনিময় নিয়ে প্রথম সভাটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।
একইদিনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময়
নিয়ে দ্বিতীয় সভাটি চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘির ময়দানে বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।
রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ ছাত্র-জনতার সঙ্গে আগামীকাল দেখা হবে, ইনশাআল্লাহ।
মুন্সিগঞ্জে’শিরোনামে আরেকটি স্ট্যাটাস
দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
তিনি ফেসবুকে লেখেন, আগামীকাল রোববার
(৮ আগস্ট) থেকে শুরু হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সফর।
যেখানে আমাদের একটি সমন্বয়ক টিম প্রত্যেকটি জেলার অভ্যুত্থান ঘটানো ছাত্র-জনতার সঙ্গে
মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করবে। ঢাকা বিভাগীয় সফরের প্রথম জেলা হিসেবে আগামীকাল মুন্সিগঞ্জে
সেই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময়
সভা হবে মুন্সিগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে বিকেল ৩টায়। রক্তের বন্ধনে
আবদ্ধ ছাত্র-জনতার সঙ্গে আগামীকাল দেখা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য করুন
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত
আহমেদ শুক্রবার প্রথম প্রহরে (রাত ১২ টার পর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে
অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় বলেছেন, বাঙালি জাতি সত্ত্বার
একটি প্রাথমিক স্তম্ভ একুশ। ব্যক্তিগতভাবে এক আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে আমার একুশের
সঙ্গে। আমার মা একজন ভাষা সৈনিক, ভাষা কন্যা।
সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের
নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের বিভাগ ও হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতিবৃন্দ কেন্দ্রীয় শহীদ
মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের বীর
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় দেশের ভাষা আন্দোলনে
শহীদদের অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়, এবং জাতির গৌরবোজ্জ্বল ভাষা আন্দোলনের
ঐতিহ্যকে ধরে রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রধান বিচারপতির মা বাংলাদেশের প্রথম নারী জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের অবদানের জন্য ২০০২ সালে একুশে পদক লাভ করেন। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী থাকাবস্থায় তিনি ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারীদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।
মন্তব্য করুন
রোববার (২৩ জুন) রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার সদর দক্ষিণে মাইক্রোবাসের চাপায় মো. মোস্তফা কামাল (৫০) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন।
এ দুর্ঘটনাটি ঘটে সদর উপজেলার সুয়াগাজী ট্রাফিক চৌমুহনী এলাকায়।
পার্শ্ববর্তী চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জয়মঙ্গলপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে নিহত মোস্তফা কামাল। নিহত মোস্তফা কামাল পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, রাতে মোস্তফা কামাল তার অটোরিকশাটি সুয়াগাজী চৌমুহনীর একটি গ্যারেজে রেখে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় চট্টগ্রামমুখী একটি মাইক্রোবাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই কামালের মৃত্যু হয়। এ সময় মাইক্রোবাসটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায় চালক।
সোমবার (২৪ জুন) সকালে ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার জানায়, কিছুক্ষণ আগে দুর্ঘটনার খবরটি পেয়েছি। এ বিষয়ে জানতে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠাচ্ছি।
মন্তব্য করুন
খেজুরের রস পান করে নড়াইল সদরের একটি বিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় এ ঘটনাটি ঘটে জেলা সদর উপজেলার শাহাবাদ এলাকায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে শাহাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ওই বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীরা জানায়, সকালে স্কুলে আসার পরে ১০টায় ১০-১২ জন শিক্ষার্থী মিলে পাশের একটি জমিতে কয়েকটি খেজুরের গাছে উঠে রসের হাঁড়ি নামিয়ে আনে। এরপর সবাই সেটি পান করে। কিছুক্ষণ পর ৬ জনের তীব্র পেটে ব্যথা শুরু হয়। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। এর মধ্যে একজন বমি করতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক অসুস্থদের অন্যদের সহায়তায় নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
খেজুরের রসের মধ্যে অন্য কিছু ছিল কি না তা শিক্ষার্থীরা জানে না, তবে রস খাওয়া কয়েকজন সুস্থ আছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে শাহাবাদ, দলজিতপুরের বাসিন্দা।
নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রেশমী খাতুন জানান, শিক্ষার্থীরা বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মাত্রা বেশি না হওয়ায় ওয়াশ করার প্রয়োজন পড়েনি। একজন বমি করেছে, অবস্থা খারাপ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে।
আপাতত তাদের ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস লুটপাট হওয়া সম্পদ ও অর্থ পুনরুদ্ধারের পর সেই
সম্পদ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে একটি তহবিল গঠনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ
সোমবার (১৯ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস বিফ্রিংয়ে প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, লুটপাট হওয়া অর্থ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি তহবিল
গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা, যা জনকল্যাণে ব্যবহার করা হবে।
এর
আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারের অগ্রগতি নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত
হয়।
সভায়
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন।
প্রেস
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, এই তহবিল বর্তমান আইন অনুযায়ী
গঠিত হবে। তবে প্রয়োজনে তহবিল গঠনের জন্য আইন সংশোধন করা হবে।
বাংলাদেশ
ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেন, আমি আশা করি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদে এই তহবিল গঠন
করা সম্ভব হবে। তবে পরবর্তী নির্বাচিত সরকারকে তা চালিয়ে নিতে হবে।
মন্তব্য করুন
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার মিরপুরে গুলিবিদ্ধ তাহের মোক্তার হোসেন এর ছেলে মোঃ রাফি হোসেন (১৪) এর ঢাকা সিএমএইচে সফল অস্ত্রপ্রচার করা হয়।
রাফি হোসেন গত ১৯ জুলাই ডান কাঁধে গুলিবদ্ধ হন এবং তার ডান কাঁধের হাড় ও ধমনী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এপ্রেক্ষিতে, তাকে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকার হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে অপারেশন করা হয়। পরবর্তীতে কিছু জটিলতা দেখা দিলে হৃদরোগ ইনিস্টিউট ও ঢাকা সিএমএইচ এর চিকিৎসকগণের আলোচনার ভিত্তিতে তাকে গতকাল (২৫ আগস্ট ২০২৪) দিবাগত রাতে ঢাকা সিএমএইচ এ আনা হয় এবং দ্রুততার সাথে দীর্ঘ ৬ ঘন্টা সময় ধরে সিএমএইচের ভাস্কুলার টিম কর্তৃক সফলভাবে কৃত্রিম রক্তনালী সংযোজনের মাধ্যমে অস্ত্র প্রচার করা হয়। বর্তমানে মোঃ রাফি হোসেন আশঙ্কা মুক্ত।
অপরজন মিরপুর কলেজের ছাত্র হারুন মিয়া এর ছেলে মোঃ মমিন হোসেন (২৩) গত ১৯ জুলাই ২০২৪ তারিখে গুলিবিদ্ধ হয় এবং গুলিটি তার মেরুদণ্ডের পিছনে আটকে যায়। পরবর্তীতে ২০ আগস্ট ২০২৪ তারিখে তাকে ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি করা হয় এবং ল্যাপারস্কপির মাধ্যমে ২৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে অপারেশন করে গুলি বের করা হয়। বর্তমানে মোঃ মমিন হোসেন ভালো আছে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস 'সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৫' এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।
আজ রোববার
(২০ জুলাই)) সেনা সদর দপ্তরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন
তিনি।
প্রথম পর্বের এই পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির যোগ্য কর্মকর্তাগণ পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন।
পদোন্নতি পর্ষদের বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা শুরুতেই স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল শহীদ, যুদ্ধাহত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর শহীদসহ সকল বীর সেনানীদের, যাঁদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে। এছাড়াও, তিনি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনকালে সকল আহত ও শহীদ সেনা সদস্যদের। একই সাথে তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যূত্থানে শহীদ ও আহত সকল ছাত্র জনতাকে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস পদোন্নতির জন্য অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলী, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি নিযুক্তিগত উপযুক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করতে নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যদের নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া সৎ, নীতিবান, পেশাদার এবং নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন অফিসারগণই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে যে সকল অফিসার সামরিক জীবনের বিভিন্ন স্তরে যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন সে সকল অফিসারকে পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করার নির্দেশনা প্রদান করেন প্রধান উপদেষ্টা।
ড.
ইউনূস বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা ও দুর্যোগ মোকাবেলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বর্তমানে সেনা সদস্যগণ বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব বেশ কিছু সময় ধরে পালন করে আসছেন। দেশের প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই ত্যাগের জন্য তিনি সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারি এবং চীফ অব জেনারেল স্টাফ।
নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করায় সেনা প্রধান অধ্যাপক
ড. ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।
এসময়
সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাগণের সাথে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।
মন্তব্য করুন