

বাংলাদেশ সফরে থাকা ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
রোববার (২৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি সিটি হোটেলে তাদের মধ্যে এ সৌহার্দ্যপূর্ণ দেখা–সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সকালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয়।
এর আগে শনিবার সকালে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন শেরিং তোবগে। ড্রুক এয়ারের একটি ফ্লাইট সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাকে অভ্যর্থনা জানান।
সফরসূচি অনুযায়ী, আগামী সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে তিনি ঢাকা ত্যাগ করে থিম্পুর উদ্দেশে রওনা হবেন।
মন্তব্য করুন


আগামীতে আইনকানুন এবং সংস্কারের মাধ্যমে
নির্বাচনে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
তিনি বলেছেন, নির্বাচনে কেউ জিতলে পরাজিত
বা অন্যরা আর সন্দেহ করবে না। ভাববে না যে, কলকাঠি নেড়ে কাউকে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার (ফেব্রুয়ারি ১৫) রাজধানীর
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এসব কথা
বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নতুন বাংলাদেশ
মানে নতুন নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার গঠন হবে তার ব্যাপারে কেউ প্রশ্ন
তুলবে না। সেটার ব্যাপারে আইনকানুন সবার জানা থাকবে, এটা নড়চড় করার উপায় কারো থাকবে
না। আইনকানুন বানানোর পরে সেটা নড়চড় করার সুযোগ থাকবে না সেজন্যই এত বড় কমিশন করতে
হয়েছে। এই যে আইনকানুন, নীতিমালা বানিয়ে দেব। একবার বানিয়ে দিলে তারপর থেকে চলতে থাকবে।
একটা ট্র্যান্সপারেন্ট খেলা হবে। খেলায় জিতলে কেউ সন্দেহ করবে না যে কেউ জিতিয়ে দিয়েছে।
এতো ট্রান্সপারেন্ট যে, কেউ সন্দেহ করবে না।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, এখন
যে খেলা চলছে, ঠিকমতো জিতলেও সন্দেহ করে। বলে কিছু একটা কলকাঠি নেড়ে করেছে। এই কলকাঠি
নাড়ার বিষয়টি আমাদের মনের ভেতর গেঁথে গেছে। কলকাঠি ছাড়া যে দেশ একটা নিয়মে চলতে পারে
সেটা আমরা ভুলে গেছি।
সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি
বলেন, এটা সবার স্বপ্ন। এই স্বপ্ন আমরা এমন মজবুতভাবে বানাব যা সবাই মেনে চলবে। এই
মেনে চলার মাধ্যমে আমরা একটা সুন্দর সমাজ, সুন্দর রাষ্ট্র উপহার দিতে পারব। সেই উদ্দেশ্যেই
আজকের সভা।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রচণ্ড
সুযোগ এখন। সুযোগ এজন্যই যে, আমাদের মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টি হলে আমরা সেগুলো কাজে লাগাতে
পারি এমন পর্যায়ে আছি আমরা। একবার কাজে লাগালে সেটা বংশ, প্রজন্ম ও পরম্পরায় সেটা চলতে
থাকবে। একটা সুন্দর দেশ আমরা পাব। এই ভাবনা থেকেই আমরা এগুলো গ্রহণ করব।
অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন অধ্যায় শুরু
হয়েছে মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে প্রথম ইনিংস
বা প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। আজ রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো।
আলোচনাটা কত সুন্দর হবে, কত মসৃণ হবে সেটা আপনাদের ওপর নির্ভর করবে। আমাদের পক্ষ থেকে
আমরা সুপারিশগুলো উপস্থাপন করবো। কমিশনের সদস্যরা এখানে রয়েছেন এগুলো ব্যাখ্যা করার
জন্য, চাপিয়ে দেওয়ার জন্য না। চাপানোর ক্ষমতা আমাদের নাই। আমরা শুধু আপনাদের বোঝানোর
জন্য।
সংস্কার বাস্তবায়ন সবার দায়িত্ব উল্লেখ
করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আপনাদের সহযোগিতা চাই এটা বলব। কারণ, এটা
আপনাদের কাজ। এটা আমার কাজ না, একার কাজ না। যেহেতু আপনারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন
আপনাদের বলতে হবে সমাজের কল্যাণে কোন কোন জিনিস করতে হবে, কীভাবে করতে হবে। যেটা এক্ষুণি
করা যাবে বলবেন। যেটা এক্ষুণি করা দরকার, সামান্য রদবদল থাকলে সেটা করে দেন। আমরা শুধু
সাচিবিক কাজগুলো আপনাদের করে দিলাম। আমরা একটা লন্ডভন্ড অবস্থার মধ্য দিয়ে দায়িত্ব
নিয়েছি। চেষ্টা করেছি এটাকে কোনোরকমে সফল করতে। এই ৬ মাসের যে অভিজ্ঞতা সেটা আমাদের
সবাইকে প্রচণ্ড সাহস দেবে। এই ৬ মাসের অভিজ্ঞতা হলো, দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ,
রাজনৈতিক ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সবাই সমর্থন দিয়েছে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে।
কাজেই আমরা প্রথম পর্বের পর দ্বিতীয় পর্বে এলাম। ২য় পর্বে যেন আমরা আনন্দের সঙ্গে,
খুশি মনে সম্পন্ন করতে পারি।
মন্তব্য করুন


সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি আজ
সোমবার (১১ নভেম্বর) চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ)'তে ৭ম সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে গৌরবমন্ডিত 'হল অব ফেইম' এ অন্তর্ভুক্ত হন।
এ সময় সেনাবাহিনী প্রধানের সহধর্মিনীও উপস্থিত ছিলেন।
বর্ণাঢ্য সামরিক জীবনের অধিকারী সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ২০ ডিসেম্বর ১৯৮৫ তারিখে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি হতে ১৩ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সাথে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করে কোর অব ইনফেন্ট্রি'তে কমিশন লাভ করেন। উল্লেখ্য, তিনি গত ২৩ জুন ২০২৪ তারিখে ১৮তম সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে জিওসি, আর্টডক; কমান্ড্যান্ট, ইবিআরসি; জিওসি, ২৪ পদাতিক ডিভিশন; এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল; কমান্ড্যান্ট, বিএমএ; সামরিক সচিবসহ সেনাসদর, চট্টগ্রাম সেনানিবাস এবং বিএমএ'র উর্ধ্বতন ও বিভিন্ন পদবীর সেনাকর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি স্মারক ডাকটিকেট, একটি উদ্বোধনী খাম ও একটি সিলমোহর অবমুক্ত করেছেন ।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্তকালে উপস্থিত ছিলেন তথ্য, ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস এম সাহাবুদ্দিন ।
এ ছাড়াও একই সময়ে সপ্তম জাতীয় কমডেকা ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকেট, একটি উদ্বোধনী খাম ও একটি সিলমোহর ও অবমুক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
এছাড়া
এ সময় কমডেকা উপদেষ্টা, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক
বিভাগের সিনিয়র সচিব মুহাম্মদ এহছানুল হক, কমডেকা চিফ মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধসহ
অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, এ নিয়ে আলোচনা করতে আজ ছাত্রদের সঙ্গে, আগামীকাল বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে এবং পরদিন বৃহস্পতিবার ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন




স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আগামী সোমবার ঘোষিত রায়কে কেন্দ্র করে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি ইতোমধ্যেই সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
তিনি
বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনা এবং অন্যদের বিরুদ্ধে রায় ১৭ নভেম্বর ঘোষণা
করা হবে। রায়কে কেন্দ্র করে দেশের কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তাই
আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি ইতোমধ্যেই তাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।’
আজ শনিবার ( ১৫ নভেম্বর ) দুপুরে সরকারি
সফরে পটুয়াখালী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি ।
জাহাঙ্গীর
আলম চৌধুরী বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে নয় দিনের জন্য
বিশেষ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। নির্বাচনের আগে পাঁচ দিন, নির্বাচনের দিন এবং পরে আরও তিন দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে কঠোর অবস্থানে থাকবে। প্রয়োজন হলে দেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী সময়সীমা সমন্বয় করা হতে পারে বলেও তিনি জানান।
তিনি
জানান, বর্তমানে ৩০ হাজার সেনা
সদস্য মাঠে থাকলেও নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর মোতায়েন বাড়িয়ে প্রায় ১ লাখ করা
হবে। এছাড়া দায়িত্ব পালন করবে প্রায় ১ লাখ ৫০
হাজার পুলিশ, ৩৫ হাজার বিজিবি,
৫ হাজার নৌবাহিনী, ৪ হাজার কোস্টগার্ড,
৮ হাজার র্যাব এবং
আনুমানিক সাড়ে ৫ লাখ আনসার
সদস্য। নিরাপত্তা জোরদারে আনসার সদস্যদের অস্ত্র ও বডিক্যাম সরবরাহ
করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
নির্বাচনের
নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে কোনো সন্দেহের সুযোগ নেই জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ইলেকশন খুবই শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন
করেছে।
সরকার
পরিবর্তন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ দেশে সরকার
পতন কোনো তিনজন মানুষের কারণে হয়নি। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের কারণেই সরকার পরিবর্তন ঘটেছে। আপনারা দেখেছেন, তারা কীভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তাদের আত্মীয়স্বজনও পালিয়েছে। এটি জনগণের ইচ্ছার ফসল।’
উপদেষ্টা
জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে রোজার আগেই অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণার পর লটারির মাধ্যমে
প্রশাসনের রদবদল করা হবে।
মতবিনিময়
শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পটুয়াখালী পুলিশ লাইনস ও কোস্টগার্ড বেইস
পরিদর্শন করেন।
মন্তব্য করুন


বাড্ডা থানার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে “বিচার, সংস্কার ও জুলাই সনদ” দাবিতে জাতীয় যুবশক্তির জুলাই যুব সভা।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. তারিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদস্য সচিব ডা. জাহেদুল ইসলাম, মুখ্য সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ সোহেল এবং কেন্দ্রীয় যুবশক্তির অন্যান্য শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
উক্ত সভায় বক্তারা বলেন, সংস্কারের আগে নির্বাচন এটি দেশের মানুষ মেনে নিবেনা। দেশের যুবসমাজ আর আশাহত হতে চায় না। কাঙ্ক্ষিত সংস্কার আজও না পাওয়ার কারণে তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সভা শেষে দেশে চলমান হ-ত্যা, চাঁদাবাজি, এবং স-ন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
মন্তব্য করুন


প্রধান
উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন
কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।
আজ
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিনি
সাক্ষাৎ করেন।
প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস উইং এ কথা জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর
এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা
বিদেশে নিয়ে যাওয়ার মতো নয় বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তবে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার ব্যাপারে ভিসা ও যোগাযোগসংক্রান্ত
কাজ এগিয়ে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন এই বিএনপি নেতা।
আজ
শনিবার ( ২৯ নভেম্বর ) গুলশানে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে
তিনি এ কথা জানান।
মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা
সংকটাপন্ন।
বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসক দ্বারা তার চিকিৎসা চলছে। আমেরিকার জন হপকিন্স এবং লন্ডন ক্লিনিকের বিশিষ্ট
চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা করছেন। গতকাল রাতে বেশ সময় নিয়ে তারা বোর্ড সভা করেছেন। নিজেদের
মেডিক্যাল বোর্ডে তারা কালকে মতামত দিয়েছেন চিকিৎসাটা কী ধরনের হবে এ বিষয়ে।
বিএনপি
চেয়ারপারসনের বিদেশে নেওয়া প্রসঙ্গে এ সময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তাকে বিদেশে নেওয়া
প্রয়োজন। এ বিষয়ে তারা বলছেন যে হয়তো নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু তার এখন যে শারীরিক
যে অবস্থা সে অবস্থায় তাকে বিদেশ নেওয়ার মতো কোনো শারীরিক অবস্থায় নেই। শারীরিক অবস্থা
স্ট্যাবল হলে তখন চিন্তা করে দেখা হবে তাকে নেওয়া সম্ভব হবে কি না।’
মির্জা
ফখরুল বলেন, ‘তবে বিদেশে নেওয়ার জন্য যেসব বিষয় প্রয়োজন যেমন ভিসা, যেসব দেশে যাবে
সেসব দেশের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে এবং সেগুলো মোটামুটি
কাজ এগিয়ে আছে। অর্থাৎ যদি প্রয়োজন হয়, যদি দেখা যায় শি ইজ রেডি টু ফ্লাই, তখন তাকে
নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হবে।’
এ
সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে আমি দেশের সাধারণ মানুষের কাছে
একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চাই—বিএনপি চেয়ারপারসন ও দেশনেত্রীর অসুস্থতার
খবরে পুরো দেশবাসী উদ্বিগ্ন। অনেকেই হাসপাতালের সামনে আসছেন ভিড় করছেন। এতে করে খালেদা
জিয়াসহ অন্য রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং ডাক্তাররাও বিরক্তবোধ
করছেন। আমি সবাইকে ভিড় না করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন


নির্বাচন কমিশনকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আয়োজনে রাজধানীর কাকরাইলে এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশে বিলুপ্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ থেকে গত ৭ নভেম্বরই মুক্তির সূচনা হয়েছিল।
সালাহউদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো গণতন্ত্রের পুনর্বাসন চায় না। তারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্র রক্ষার জন্য কোনো কাজ করেনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি সবসময় মিথ্যার রাজনীতি। জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে আমরা এতদিন প্রশ্ন তুলিনি। ভারতে বসে আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বরের লকডাউন কর্মসূচি দেয়া পাগলের প্রলাপ, শক্তি থাকলে তাদের ভারতে পালাতে হতো না।
তিনি আরও বলেন, ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ শেষ করে আমেরিকায় গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন সহ-সভাপতি। গণভোটের মধ্যদিয়ে সংবিধান পরিবর্তন হয়ে যাবে না, তবে মানুষের চাওয়া রক্ষায় সায় দিয়েছে বিএনপি। ঘি দিয়ে তৈলাক্ত বক্তব্য সমীচীন নয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনারা খেতে না পারলে, বারা ভাতে ছাই দেবেন তা মেনে নেবে না জনগণ। জামায়াতের আনুকূল্যে রায় দিয়েছে কমিশন, অথচ রেফারি হয়ে হাতে গোল দেয়ার চেষ্টা করছে তারা। সরকারের সীমারেখা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন পর্যন্ত। তাদের সঙ্গে যেকোনো আলোচনায় প্রস্তুত বিএনপি, তবে কোনো রাজনৈতিক দলকে রেফারির দায়িত্ব দেয়া যাবে না।
মন্তব্য করুন