

বাংলাদেশি তরুণী সুবর্ণা আক্তারের প্রেমের টানে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্য গছানী গ্রামে ছুটে এসেছেন দিলশান মাদুরাঙ্গা নামের এক শ্রীলংকার যুবক।
গত বুধবার (৬ নভেম্বর) তিনি পটুয়াখালী আসেন এবং বৃহস্পতিবার ইসলামী শরিয়াহ মেনে পরিবারিক সম্মতিতে তাদের বিবাহ হয়।
বিষয়টি শুক্রবার (৮ নভেম্বর) জানাজানি হলে উপজেলার মানুষ এই নব দম্পতিকে এক নজর দেখার জন্য সুবর্ণার বাড়িতে ভিড় করতে থাকে।
জানা গেছে, গছানী গ্রামের নিজাম উদ্দিন সিকদারের মেয়ে সুবর্ণা পাঁচ বছর আগে জর্ডানে যান কাজের সন্ধানে। সেখানে একটি পোশাক কারখানায় কাজ পান তিনি। একই পোশাক কারখানায় সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করতেন দিলশান মাদুরাঙ্গা। কাজের সুবাদে পরিচয় হয় তাদের। পরে তাদের মধ্যে দীর্ঘ পাঁচ বছর প্রেমের সম্পর্ক চলে।
দিলশান মাদুরাঙ্গা শ্রীলঙ্কার কুরুনাগাল জেলার দুমমলচুরিয়া থানার ন্যাবটাকা উডুবাগদা গ্রামের লাকমালের ছেলে।
১ মাস আগে গ্রামে ফিরে সুবর্ণা বিষয়টি তার পরিবারকে জানান এবং তার পরিবার রাজি হলে তিনি দিলশান মাদুরাঙ্গাকে বাংলাদেশে আসতে বলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিলশান মাদুরাঙ্গা পটুয়াখালী পৌঁছান এবং তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তার বর্তমান দিলশান ইসলাম।
শ্রীলঙ্কান পাত্র দিলশান মাদুরাঙ্গা ওরফে দিলশান ইসলাম বলেন, আমরা দুইজন একই গার্মেন্টসে কাজ করতাম। সেখানেই আমাদের পরিচয় হয়। গত পাঁচ বছরের সম্পর্ক, আমাদের পরিবার আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে জানেন এবং তাদের সম্মতিতে বিবাহ করেছি।
সুবর্ণার বাবা নিজাম উদ্দিন সিকদার বলেন, আমার মেয়ের সুখেই আমার সুখ। এখানে আমার কিছুই বলার নাই। তবে দোয়া করি ওরা যাতে ভালো থাকে।
এ বিষয়ে দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আলীম বলেন, আমরা শুনেছি শ্রীলঙ্কার এক নাগরিক প্রেমঘটিত কারণে দশমিনায় এসেছেন।
মন্তব্য করুন


এক অন্যরকম আবেগের শব্দ মা। এর সাথে জড়িয়ে থাকে একটি মানুষের হৃদস্পন্দন। মায়ের মতো দুনিয়াতে কেউ হয় না।
এবার সেই কথাকেই যেন বাস্তবে প্রমাণ করলেন এক ছেলে। করলেন ইক অকল্পনীয় কাজ ।
নিজের গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন। শুধু তাই নয়, নিজের হাতে সে জুতো পরিয়েও দিলেন এই ছেলে।
এই যুবকের নাম রৌনক গুর্জর। ভারতের মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর বাসিন্দা সে। রৌনক গুর্জর জানান, তিনি রামায়ণের ভক্ত। রোজ একবার করে রামায়ণ পাঠ করেন। রাম তার আদর্শ। সেই গ্রন্থ পাঠ করেই মায়ের জন্য কিছু করার ইচ্ছা জাগে তার মনে। এজন্য নিজের গায়ের চামড়া দিয়ে মায়ের জুতা তৈরির পরিকল্পনা করেন।
জানা গেছে, অতীতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত ছিলেন রৌনক। একবার পায়ে পুলিশের গুলিও খান তিনি। পরে সেই পায়ের অংশ থেকে অস্ত্রপচারের মাধ্ম্যমে কিছুটা চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানান এই ছেলে। শুধু তাই নয়, নিজের হাতে মায়ের পায়ে পরিয়ে দেন সেই জুতা। আর এতে আবেগে মা কেঁদে ফেলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রামায়ণ অনুযায়ী, ভগবান রাম একবার বলেছিলেন, নিজের চামড়া দিয়ে তৈরি জুতা মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য যথেষ্ট নয়। সেখান থেকেই এই ভাবনাটি মাথায় আসে বলে জানায় ওই যুবক।
অন্যদিকে, জুতা পেয়ে উচ্ছ্বসিত বৃদ্ধা মা বলেন,এমন ছেলে যেন ঈশ্বর সব মাকেই দেন।
মন্তব্য করুন


ক্যানসার, ডায়ালাইসিসে থাকা কিডনি রোগী, গুরুতর হৃদ্রোগ, অক্সিজেননির্ভর ফুসফুসজনিত সমস্যা, ভয়াবহ লিভার সিরোসিস ও মানসিক জটিলতাসহ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হজে অংশগ্রহণের অনুমতি দেবে না সৌদি আরব।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোনো দেশের হজযাত্রীর মধ্যে এসব স্বাস্থ্যঝুঁকি শনাক্ত হলে সংশ্লিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে সংশোধনমূলক ও নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এতে বলা হয়, হজযাত্রী প্রেরণকারী সব দেশকে তাদের প্রত্যেক হজপ্রার্থীর পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি সরকার। পরীক্ষায় স্বাস্থ্যঝুঁকিমুক্ত প্রত্যয়ন পাওয়া ব্যক্তিরাই কেবল হজে যেতে পারবেন।
এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা ইতিমধ্যেই হজযাত্রী পাঠানো দেশগুলোর কাছে পাঠিয়েছে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়েছে, শরীরের কোনো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ অকার্যকর হলে বা গুরুতর জটিল রোগ থাকলে হজের অনুমতি দেওয়া হবে না। এর মধ্যে রয়েছে—ডায়ালাইসিস চলমান কিডনি রোগ, মারাত্মক হৃদরোগ, অক্সিজেননির্ভর ফুসফুসের রোগ ও চূড়ান্ত পর্যায়ের লিভার সিরোসিস।
এছাড়া গুরুতর স্নায়বিক ও মানসিক সমস্যা, স্মৃতিভ্রষ্টতা, অতিবয়স্কতা, শেষ প্রান্তিক বা ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা থাকলেও কেউ হজে যেতে পারবেন না।
সংক্রামক রোগ যেমন যক্ষ্মা, ভাইরাল হেমোরেজিক জ্বর কিংবা কেমোথেরাপি বা অন্য কোনো ইমিউনোথেরাপি নিচ্ছেন—এমন ক্যানসার রোগীদেরও হজের অনুমতি দেওয়া হবে না।
প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকিমুক্ত সনদ প্রদানের পরই “নুসুক মাসার” নামের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বৈধ স্বাস্থ্যসনদ ইস্যু করতে হবে। এটি সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহবিষয়ক একটি অফিসিয়াল অনলাইন ব্যবস্থা।
সৌদি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানবন্দরসহ আগমন ও প্রস্থানের সময় স্বাস্থ্যসনদ যাচাই করবে মনিটরিং টিম, যাতে তথ্যের সত্যতা ও সঠিকতা নিশ্চিত হয়।
এ বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, “হজ ব্যবস্থাপনা নির্বিঘ্ন রাখতে শারীরিক সক্ষমতা অত্যন্ত জরুরি। সৌদি সরকারের নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে হজযাত্রী নির্বাচন করা হবে।”
এছাড়া সৌদি সরকারের আহ্বানে স্বাস্থ্যনীতি ও যাচাই–বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক কর্মশালায় বাংলাদেশের দুইজন চিকিৎসক বর্তমানে অংশ নিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন


ভূমিকম্পের ধারাবাহিক ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই জনমনে বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করেছে বঙ্গোপসাগরে আসন্ন একটি ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় দানা বাঁধার জোরালো আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি দুর্বল নিম্নচাপ এরই মধ্যে আরও শক্তিশালী হয়ে 'সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অঞ্চলে' রূপ নিয়েছে। এটি আগামীকাল সোমবার আরও শক্তি সঞ্চয় করে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
ধাপে ধাপে ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি।
আজ, ২৩ নভেম্বরের সর্বশেষ আবহাওয়া পূর্বাভাস বিশ্লেষণ করে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী ২৬ বা ২৭ নভেম্বরের মধ্যে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে এই লঘুচাপটি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই লঘুচাপ পর্যায়ক্রমে নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ এবং সবশেষে একটি পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব এনভাইরোনমেন্ট অ্যান্ড সাস্টেনিবিলিটির আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ একই পূর্বাভাস দিয়ে বলেন, ২৬/২৭ নভেম্বর নাগাদ এই লঘুচাপটি তীব্র হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে।
কোথায় আঘাত হানার আশঙ্কা?
যদিও ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির বিষয়ে সব আন্তর্জাতিক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল একমত, তবে এটি কতটা শক্তিশালী হবে এবং ঠিক কোন উপকূল ধরে স্থলভাগে আঘাত হানবে— সে বিষয়ে মডেলগুলোর মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে।
বর্তমানে পাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য থেকে শুরু করে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী যেকোনো স্থানে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত করতে পারে।
মন্তব্য করুন


মন্তব্য করুন


খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্ট এদিনে বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা ধর্মীয় আচার, প্রার্থনা ও আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করবেন।
খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে শুভ বড়দিন হিসেবে উদযাপন করে থাকে। তারা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্ট ধর্মানুসারীরাও আজ যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আচারাদি, আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুভ বড়দিন উদযাপন করবেন।
এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গির্জাগুলোকে সাজানো হয়েছে নতুন আঙ্গিকে। এ ছাড়া গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন গির্জা এবং তারকা হোটেলগুলোতে ব্যবস্থা করা হয়েছে আলোকসজ্জার। বড়দিনের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও হোটেলগুলোতে। নগরের বিভিন্ন হোটেলের লবি ও অন্যান্য স্থান সাজানো হচ্ছে বর্ণিল সাজে।
খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক প্রভু যিশু ঈশ্বরের পুত্র। পৃথিবীতে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে, মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনা করতে এবং সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের লক্ষ্যে প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল। দুই হাজার ২৩ বছর আগে তিনি আশ্চর্যজনকভাবে ঐশী শক্তিতে মেরির কোলে জন্মগ্রহণ করেন। মানবজাতির প্রতীক্ষিত মুক্তিদাতা প্রভু যিশু ৩০ বছর বয়সে প্রকাশ্যে প্রচার শুরু করেন।
এদিকে বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীসহ সবার শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে পৃথক বাণী দিয়েছেন। এসব বাণীতে তারা খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন


পাকিস্তান সামরিক একাডেমি (পিএমএ) থেকে প্রশিক্ষণ শেষে মর্যাদাপূর্ণ কমান্ড্যান্টস ওভারসিজ মেডেল অর্জন করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাডেট “ জান্নাতুল মাওয় ” । প্রশিক্ষণে অসাধারণ সাফল্যের জন্য তার হাতে এ পদক তুলে দেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির।
গতকাল শনিবার (১৮ অক্টোবর) পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের কাকুলে অনুষ্ঠিত পাসিং আউট প্যারেডে অংশ নেন ১৫২তম পিএমএ লং কোর্স, ৭১তম ইন্টিগ্রেটেড কোর্স, ২৬তম লেডি ক্যাডেট কোর্স এবং ৩৭তম টেকনিক্যাল গ্র্যাজুয়েট কোর্সের ক্যাডেটরা। জান্নাতুল মাওয়া অংশ নিয়েছিলেন ২৬তম লেডি ক্যাডেট কোর্সে। এই আয়োজনে বাংলাদেশসহ ইরাক, ফিলিস্তিন, কাতার, মালি, নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, ইয়েমেন ও নাইজেরিয়ার মতো বন্ধুপ্রতিম দেশের প্রশিক্ষণার্থীরাও অংশগ্রহণ করেন। পাকিস্তানে সম্মাননা পেলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জান্নাতুল মাওয়া
প্যারেড শেষে সেনাপ্রধান কৃতিত্বপূর্ণ ক্যাডেটদের হাতে বিভিন্ন পুরস্কার তুলে দেন। ১৫২তম পিএমএ লং কোর্স থেকে একাডেমি সিনিয়র আন্ডার অফিসার আহমেদ মুজতবা আরিফ রাজা সোর্ড অব অনার এবং ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার জোহাইর হোসেন রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক লাভ করেন।
মন্তব্য করুন


ইউরোপীয় ইউনিয়নের মান্যবর রাষ্ট্রদূত Mr. Michael Miller এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সেনাসদরে সেনাপ্রধান এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে, পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময়ের
পাশাপাশি, তাঁরা বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা জোরদার করা
এবং ইউরোপীয় সহায়তায় বাংলাদেশে সামরিক শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় করেন।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর
অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের
প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যদের সাথে অর্থনৈতিক আলোচনায় বসার পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এমন খবর দিয়েছে
যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।
মার্কিন রাজস্ব ও অর্থ দফতরের আন্তর্জাতিক
অর্থায়নবিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইমার ওই পত্রিকাটিকে বলেছেন, আইএমএফ
এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন সম্পৃক্ততার
জন্য মার্কিন সমর্থন বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছে ওয়াশিংটন। কারণ বাংলাদেশ আর্থিক খাতের
সংস্কার গভীরতর করে আর্থিক টেকসইমূলক উন্নতি এবং দুর্নীতি হ্রাস করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
জোরদার করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
আশাবাদী যে প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক দুর্বলতা
মোকাবেলা করতে পারবে এবং অব্যাহত প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির ভিত্তি তৈরি করতে পারবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী-জনতার
আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন ঘটেছে
গত ৫ আগস্ট। ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।
তার পদত্যাগের তিন দিন পর বাংলাদেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন
সরকার দায়িত্ব নেয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর আগামী ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মাঝে প্রথমবারের মতো উচ্চ-পর্যায়ের অর্থনৈতিক সংলাপ
অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সংলাপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সাথে বাংলাদেশের
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ৮৪ বছর বয়সী নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশের
অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
মার্কিন প্রতিনিধি দলে যুক্তরাষ্ট্রের
অর্থ, পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দফতর ও ইউএসএইডের কর্মকর্তাদের অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। সংলাপে
বাংলাদেশের আর্থিক ও মুদ্রানীতির পাশাপাশি আর্থিক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা
হবে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বলেছে, ঢাকায় অনুষ্ঠেয়
সংলাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনায় বাংলাদেশের আর্থিক এবং মুদ্রানীতির পাশাপাশি
আর্থিক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করা হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সাথেও সাক্ষাৎ করবেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি
ও খাদ্য আমদানির মূল্য বৃদ্ধির পর থেকে বাংলাদেশের ৪৫০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি দ্রুত
স্তিমিত হয়ে পড়ে। ফলে গত বছর ৪.৫ বিলিয়ন ডলারের বেলআউটের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা
তহবিলের কাছে যেতে বাধ্য হয়েছে বাংলাদেশ।
সূত্র : ফিন্যান্সিয়াল টাইমস
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার
দায়িত্ব আমাদের। তা নিয়ে ভারতের কিছু বলার দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
বিবিসি হিন্দিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি
এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) প্রকাশিত
ওই সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানকার সংখ্যালঘুরা আমাদের নাগরিক। তাদের
নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এ বিষয়ে ভারতের কিছু বলার দরকার নেই। যেটা নিয়ে ভারতের
বলা প্রয়োজন সেটা হলো, গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা।
এই প্রশ্ন করা যেতে পারে, বাংলাদেশের
বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারত কী ধরনের সাহায্য করতে পারে? এ বিষয়ে কথা বলা প্রয়োজন।
আরও বলতে চাই, ভারতের গণমাধ্যম আমাদের সরকারকে নিয়ে ভুল সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। ভারতের
উচিত এ বিষয়ে একটা সীমা টানা। আমরা চাই, তথ্যের ভিত্তিতে আলোচনা হোক এবং সম্পর্ক উন্নয়নের
প্রশ্নেও আলোচনা হোক।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আওয়ামী
লীগ জুলাই-আগস্টে যে গণহত্যা ঘটিয়েছে, সেটাকে ভারত কীভাবে দেখে, তা ভারত এখনো স্পষ্ট
করেনি। কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে। কিন্তু ভারত এ বিষয়ে
কোন কথা বলেনি। উপরন্তু, যার (শেখ হাসিনা) ওপরে এ ঘটনার দায় বর্তায়, ভারত তাকে আশ্রয়
দিয়েছে। যে ব্যক্তি তার স্বজনকে হারিয়েছে, ভারত যদি তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়, তাহলে
বাংলাদেশের জনগণ সেটিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করবে। আমি চাই, ভারত আমাদের সহায়তা করুক,
যাতে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এখানে যা কিছু
হয়েছে তা আমাদের নজরে আছে। মানুষের যে কষ্ট হয়েছে, সে সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। এটাও
মনে রাখতে হবে, যদি সময়মতো (গণঅভ্যুত্থানের পরপর) ব্যবস্থা না নেওয়া হতো, তাহলে পরিস্থিতি
আরও খারাপ হতো। দুর্গাপূজার কথাই ধরেন। বলা হচ্ছিল, আরও সহিংসতা হবে। আমরা আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনী পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করেছি। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপিত হয়েছে।
আমাদের সরকার সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কথা বলেছে, আশ্বস্ত করেছে। তারাও এতে আশ্বস্ত হয়েছেন।
আমি তো বলব, অন্য কোনো সরকার সংখ্যালঘুদের সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেনি, যা আমরা
গত তিন মাসে করেছি। আগের সরকারগুলো এ বিষয়ে শুধু রাজনৈতিক ফায়দা নিয়েছে। তাদের ওপর
থেকে সংখ্যালঘুদের আস্থা কমে গিয়েছিল। আমাদের এসব ঠিক করতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি,
তাদের কিছু বিষয় আছে, যা এখনই সমাধান হওয়ার নয়। এজন্য আমাদের সময় দিতে হবে। আওয়ামী
লীগ সরকারের বিদায়ের পর কিছু উগ্র ও কট্টরপন্থি সংগঠনের তৎপরতা বাড়তে পারে। এ কারণে
শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতের নিরাপত্তারও সমস্যা হতে পারে—এ প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা
বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো কোনো সহিংসতা বা উগ্রবাদী সংগঠনকে সমর্থন করে না। বাংলাদেশের
মানুষ গণতান্ত্রিক সরকার চায়। আপনি যা বলছেন সেটা আওয়ামী লীগের প্রচার করা অসত্য বয়ান।
তারা বলত, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর তৎপরতা বেড়ে যাবে। এসব
বলে বলে তারা এত বছর বাংলাদেশ শাসন করেছে। ভারতও এই বয়ান সমর্থন করে। প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশে
আওয়ামী লীগ সরকারে থাক বা না থাক, এটা দিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে কেন প্রভাব পড়বে?
এর মানে হলো, ভারত এ দেশের মানুষের সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিল।
বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে এ প্রশ্ন উঠত না। যেমন- আমরা দেখি না ভারতে
কে ক্ষমতায়, বিজেপি না কংগ্রেস। সে রকমই এখানেও এটাই হওয়া উচিত, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়
আছে না নেই, সে প্রশ্ন থাকা উচিত নয়। নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমি শুধু এটাই বলব, বিষয়গুলো
আওয়ামী লীগের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে না দেখাই উচিত। আমরা দুই দেশ একে অপরকে সঙ্গ দিলে উভয়ের
কল্যাণকর কাজ করা সম্ভব। আমরা কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করিনি। কোনো প্রকল্পও
বন্ধ করিনি। সবকিছু আগের মতোই চলছে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশে সফররত ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত ও সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিদর্শন করেছেন। এ সময় কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মাহাফুজুল ইসলাম তাকে স্বাগত জানান।
বুধবার (২০ মার্চ ) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে তিনি ভাসানচর থেকে হেলিকপ্টার যোগে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রথমে তিনি, ক্যাম্প চার এক্সটেনশনে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম ও ইউএনএইচসিআরের নিবন্ধন ও খাবার বিতরণের ই ভাউচার আউটলেটে যান এবং সেখানকার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে ক্যাম্প চারে ইউএন ওমেন এবং ইউএনএফপিএ পরিচালিত মাল্টি পারপাস ওমেন্স সেন্টার পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এরপর ক্যাম্প পাঁচে ইউএনএইচসিআর পরিচালিত দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে একটি বেকারি শপ ও পাটজাত পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং সেখানে কর্মরত নারীদের সঙ্গে কথা বলেন রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা কালচারাল মেমোরি সেন্টারও পরিদর্শন করেন তিনি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্যে নির্মিত কক্সবাজারের খুরুশকূল আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সাল থেকে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) জন্য শুভেচ্ছা দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুইডিশ রাজকন্যা।
মন্তব্য করুন