স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে ১২০ ফুট উঁচু
মোবাইল টাওয়ারে উঠে বসে থাকলেন স্বামী। আর সেখানেই বসে থাকলেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
শনিবার ভারতের বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের পাত্রগাতি
গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গিয়েছে, গ্রামবাসীদের হাজার অনুরোধও
কাজে দেয়নি। রাগে ঠায় মোবাইল টাওয়ারের মাথাতেই বসে ছিলেন বছর আঠাশের ওই যুবক। খবর পেয়ে
ঘটনাস্থলে হাজির হয় দমকলের দু’টি
ইঞ্জিন। কিন্তু তাও নামিয়ে আনা যায়নি যুবককে। শেষ পর্যন্ত খবর দিতে হয় বিপর্যয় মোকাবিলা
বাহিনীকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পেশায় ক্ষেতমজুর
সীমন্ত মাঝি মাঝেমধ্যেই মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরেন। স্ত্রী মিঠু মাঝি প্রতিবাদ করলেই
তাদের মধ্যে শুরু হয় ঝগড়া। শনিবার সীমন্তের সঙ্গে মিঠুর ঝগড়ার কারণ ছিল অন্য। মিঠু
জানিয়েছেন, শনিবার দুপুরে স্বামী বাড়ি ফেরার সময় মিঠু গ্রামে এক সাপুড়ের কাছে সাপ খেলা
দেখতে গিয়েছিলেন। সাপুড়ে তাকে বিভিন্ন দোষ কাটাতে কবচ-মাদুলি পরার নিদান দেন। কবচ-মাদুলির
প্রতি স্ত্রীর আগ্রহের কথা জানতে পেরে ঝগড়া শুরু করেন সীমন্ত। তিনি সাপুড়েকেও গালিগালাজ
করেন বলে অভিযোগ। এমনকি, তা নিয়ে গ্রামের একাংশের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়েও পড়েন সীমন্ত।
মিঠুর দাবি, এর পরেই সীমন্ত ছুটে গিয়ে
গ্রামের এক প্রান্তে থাকা ১২০ ফুট উঁচু একটি মোবাইল টাওয়ারের উপর উঠতে শুরু করেন। গ্রামবাসীরা
সীমন্তকে বারবার নেমে আসতে বললেও তিনি ক্রমশ টাওয়ারের চূড়ায় উঠে যান। শেষ অবধি টাওয়ারের
প্রায় ১২০ ফুট উচ্চতায় থাকা ল্যান্ডিংয়ে গিয়ে থামেন সীমন্ত। সীমন্তের এমন কাণ্ড দেখে
বিপদের আশঙ্কায় দমকলে খবর দেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ইন্দাস থানার পুলিশও।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দমকল ও পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সীমন্তকে
নামিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এই ঘটনার
খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার আশপাশের বেশ কিছু গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের ভিড় জড়ো হয় টাওয়ারটির
নীচে। ভিড় সামাল দিতে পুলিশকেও হিমসিম খেতে হয়।
সীমন্তের স্ত্রী মিঠু বলেন, আমার স্বামী
প্রায় দিনই মদ খেয়ে বাড়িতে বসে থাকেন। বারবার প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু কোনও ভাবেই মদের
আসক্তি কমানো যায়নি। আজ এমন কাণ্ড করে বসবে ভাবতে পারিনি।
মোবাইল টাওয়ার সংস্থার আধিকারিক পীযূষ
কুমার মণ্ডল বলেন, টাওয়ারের নীচের অংশ ব্যারিকেড করে ঘেরা রয়েছে। ব্যারিকেডের দরজাতেও
তালা লাগানো ছিল। কিন্তু ওই যুবক ব্যারিকেড টপকে ভিতরে ঢুকে এমন কাণ্ড করেছেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন ।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর সরকারপ্রধান হিসেবে এটি ছিল তার প্রথম কোনো রাষ্ট্রীয় সফর।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানি যান প্রধানমন্ত্রী। মিউনিখে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রধানমন্ত্রী জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি এবং ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
এছাড়া ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ও যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বর্তমান পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী লর্ড ক্যামেরন এবং জার্মান ফেডারেল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়নমন্ত্রী সভেনজা শুলজেও শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
মন্তব্য করুন
মিউনিখ
নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ এবং তার বক্তব্যে অংশ নেওয়া
বাংলাদেশের গুরুত্বকেই তুলে ধরে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার
(১৯ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে
ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
সংবাদ
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম
কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার
ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।
সেতুমন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের বলে, বাংলাদেশে একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচন নিয়ে
সমালোচনামুখর ছিল বহির্বিশ্বের একটা অংশ। তারপরও আজ এ সংকটে সিকিউরিটির মতো সেনসেটিভ
ইস্যুতে (প্রধানমন্ত্রীকে) আমন্ত্রণ জানানো এবং গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে (তার) অংশ নেওয়া
বাংলাদেশের গুরুত্বকেই তুলে ধরে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে যুদ্ধের বিরুদ্ধে,
শান্তির পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখেন। সবচেয়ে বেশি জোরালো বক্তব্য, স্টপ জেনোসাইড ইন
গাজা, যা আগে কোনো নেতা এ সাহস দেখাতে পারেননি। এখানে শেখ হাসিনার সাহসী কূটনীতিই আমরা
দেখলাম। কিছু কিছু জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, আবার কিছু কিছু পণ্যের দাম কমতির দিকে।
বাজার ওঠানামা চিরদিনই আছে। বিশ্ব প্রতিক্রিয়ায় দ্রব্যমূল্য বাড়ছে বলে সরকার এখানে
কোনো উদাসীনতা দেখায়নি। সরকার সক্রিয় আছে, সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা
নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে নেই। যা করণীয়, অবশ্যই তা করছি।
মিয়ানমার
সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, সীমান্ত
রক্ষায় বাংলাদেশ সদা জাগ্রত। মিয়ানমারে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে, তাতে সীমান্তে নিরাপত্তাজনিত
ঝুঁকি থাকতে পারে, হতে পারে। কাজেই এ বিষয়ে আমরা প্রস্তুত আছি। আমাদের প্রস্তুতি আছে।
জাতীয় পার্টি সংসদে বিরোধী দল গঠন করেছে, এর বাইরে যারা জাতীয় পার্টির নামে কোনো
একটি ভাগ সৃষ্টি করছে, সেটি তাদের নিজেদের বিষয়। এতে জাতীয় সংসদে থাকা জাতীয় পার্টির
কেউ নেই। জাতীয় সংসদে যারা বিরোধী দল, তারা সংসদ সদস্য। এর বাইরে যারা করছেন, তারা
কেউ সংসদ সদস্য নন। কাজেই এ নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানো কিংবা উদ্বেগের কিছু নেই। বায়ুদূষণ
রোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বন ও পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সর্বাত্মক
কাজ করে যাচ্ছেন। এরইমধ্যে তিনি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। ইটের ভাটা বন্ধ করা একটি বড়
কাজ।
মন্তব্য করুন
এ পৃথিবীতেই সেই রাস্তা রয়েছে যা শেষ হয়ে গিয়েছে এবং মিশে গিয়েছে অসীমে।
শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ভূ-বিজ্ঞানীরা দিলেন সেই রাস্তার হদিশ। যেখানে স্বপ্ন এসে মিশে যায়।
পৃথিবীর সেই শেষ রাস্তার ঠিকানা হল ইউরোপের ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’যেটি অবস্থিত নরওয়ে-তে।
সেই রাস্তায় ভূ-বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এখানে ভয়ানক গতিতে বাতায় বইতে থাকে। আর তেমনই ঠান্ডা। এতটাই ঠান্ডা যে গ্রীষ্মকালেও এখানে বরফ পড়ে। আর শীতকালে এই রাস্তা তুষারে ঢাকা থাকে। বন্ধ থাকে রাস্তা। অতিরিক্ত তুষারপাত, বৃষ্টির সঙ্গে যখন তখন সেখানে ঝড় উঠে। আবহাওয়ার কোনও পূর্বাভাসই এখানে কাজ করে না। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জন্য এখানে একা যাওয়া নিষিদ্ধ।
ঠিকানা যখন রয়েছে পৃথিবীর শেষ রাস্তার তখন অ্যাডভেঞ্চারের সাক্ষী থাকতে নিশ্চয়ই একবার যেতে মন কাঁদবে অনেকেরই।নরওয়ের ওই ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’তে পৃথিবীর শেষ রাস্তা দিয়ে অন্তত একবার হাঁটার শখ অনেকেরই।
পৃথিবীর এই শেষ রাস্তাটি উত্তর গোলার্ধে অর্থাৎ নিরক্ষরেখার ঠিক উপরের দিকে।
রাস্তাটিকে কেন পৃথিবীর শেষ রাস্তা বলা হয়, তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন ভূ-বিজ্ঞানীরা। সেখানে কি কেউ যেতে পারেন, কীভাবে যাওয়া সম্ভব সেখানে, তাও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
নরওয়ের ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’ উত্তর মেরুর গা ঘেঁষে চলে গিয়েছে। এই রাস্তা উত্তর ইউরোপের নর্ডক্যাপকে সংযুক্ত করেছে নরওয়ের ওল্ডাফিউওর্ড গ্রামের সঙ্গে। এই ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’র দূরত্ব ১২৯ কিলোমিটার। পাঁচটি ট্যানেল পার হয়ে ওই রাস্তা অতিক্রম করতে হয়। এর মধ্যে সবথেকে যে লম্বা ট্যানেলটি রয়েছে তা হল ‘নর্থ কেপ’। ওই ‘নর্থ কেপ’-এর ৬.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ।এই ‘নর্থ কেপ’ ট্যানেলটি গিয়ে পৌঁছয় সমুদ্রতলের ২১২ মিটার নিচে। সেখানেই শেষ রাস্তা। ওই রাস্তায় যাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম না মানলে ওই রাস্তায় যাওয়ার অনুমতি মিলবে না, নিয়ম না মানলে ভয়ঙ্কর বিপদ লুকিয়ে রয়েছে ওই রাস্তার পরতে পরতে। তাই ‘ই-৬৯ হাইওয়ে’তে একা যাওয়ার কোনও অনুমতি নেই।
মন্তব্য করুন
বিয়ে
করে বাড়ি ফেরার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল নবদম্পতির। এসময় গাড়িতে তাদের সঙ্গে
আরও কয়েকজন আত্মীয়স্বজনও প্রাণ হারান এ দুর্ঘটনায়।
কনের
বাড়ি থেকে ফেরার পথে গাড়িটি সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের
সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় গাড়িটির। ধাক্কায় গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। গাড়ির
ভেতরেই আটকে থাকা নবদম্পতিসহ ৫জনের মৃত্যু হয়।
ভারতীয়
গণমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, রোববার ছত্তীসগঢ়ের বোলুদাতে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটিকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার পরই ট্রাক ফেলে রেখে পালান চালক। গাড়িটি পামগড় থেকে আকালতারায় ফিরছিল। পাকারিয়া জঙ্গলের কাছে গাড়িটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে।
মন্তব্য করুন
সৌদি আরবের মক্কা অঞ্চলের একাধিক স্থানে স্বর্ণের নতুন খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার(২৮ ডিসেম্বর) সৌদি অ্যারাবিয়ান মাইনিং কোম্পানি (মাদেন) এই ঘোষণা দিয়েছে। খবর রয়টার্স' ও সৌদি গেজেট'র।
কোম্পানি এক বিবৃতিতে জানায়, নতুন সন্ধান পাওয়া খনিগুলো কোম্পানিটির বিদ্যমান মানসুরা মাসারাহ স্বর্ণের খনির দক্ষিণে অবস্থিত।
স্বর্ণের খনির সন্ধানে তারা ২০২২ সালে ১০০ কিলোমিটার উপত্যকা এলাকায় অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে। এই অনুসন্ধানে প্রথমবারের মতো স্বর্ণের মজুত আবিষ্কৃত হলো।
সংগৃহীত নমুনা বিশ্লেষণে নতুন খনিতে উচ্চ মানসম্পন্ন স্বর্ণ থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। জরিপের ফলাফলের আলোকে কোম্পানিটি ২০২৪ সালে মানসুরা মাসারাহ এলাকা ঘিরে ব্যাপক খননকাজ চালানোর পরিকল্পনা করছে।
মন্তব্য করুন
ভারতে নির্মাণাধীন একটি টানেল ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের ভেতরে আটকা পড়েছে অন্তত ৪০জন শ্রমিক। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকার্য। তবে এখনো কোনো নিহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সারা বছর দর্শনার্থীরা যাতে চারধাম যেতে পারেন তাই ‘অল ওয়েদার’ অর্থাৎ সব আবহাওয়ার জন্য সুড়ঙ্গ তৈরি হচ্ছে। এতে উত্তরকাশী থেকে যমুনোত্রী ধাম যাওয়ার পথ অন্তত ২৬ কিলোমিটার কমবে।
রোববার (১২ নভেম্বর)সকালের দিকে হঠাৎ সেই সুড়ঙ্গর একাংশ ধসে যায়। তবে দুর্ঘটনার কারণ কী, তা নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা রয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায় ব্রহ্মকাল-যমুনোত্রী হাইওয়ের ধারে সাড়ে ৪ কিলোমিটার লম্বা সুড়ঙ্গ তৈরি হচ্ছিল। সেই সুড়ঙ্গের দেড়শো মিটার অংশ ভেঙে পড়ে। সেখানে অন্তত ৪০ জন শ্রমিক ছিলেন। তারা সবাই ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন বলে খবর।
খবর পেয়েই উত্তরকাশীর পুলিশ সুপার অর্পণ যদুবংশী ঘটনাস্থলে পৌঁছান। শুরু হয় উদ্ধার কাজ। আটকে পরা শ্রমিকদের কাছে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সূত্র: এনডিটিভি
মন্তব্য করুন
মিয়ানমারে যুদ্ধের জেরে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রটি এবার বাতিল করা হয়েছে।
ওই কেন্দ্রে যাদের এসএসসি পরীক্ষায় বসার কথা ছিল তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে ১ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফাইল ইসলাম ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত পরির্দশন শেষে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এ এম এম মুজিবুর রহমান সোমবার এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিয়ে বলেন, আমাদের একটি দল ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা পরীক্ষার ভেন্যু পরিবর্তন করেছি। নতুন দুটি ভেন্যু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন ছিল। সেই অনুমোদন পাওয়ার পর বিকল্প ভেন্যু ঘোষণা করা হল।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মিয়নামারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের কারণে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি থাকায় বিকল্প ভেন্যু করা হল।স্থানীয় শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয় দুটিতে আসন বিন্যাস করবেন বলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এম এম মুজিবুর রহমান জানান।
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। দেশের ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৭০০টি কেন্দ্রে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ শিক্ষার্থী এবারের পরীক্ষায় অংশ নেবে।
ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৬১ জন। নতুন পরীক্ষা কেন্দ্র ১ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ধারণ ক্ষমতা ৪২৫ জন এবং ২ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ধারণ ক্ষমতা ২০০ জন।
গত দুই সপ্তাহ ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে । এই যুদ্ধের মধ্যে গুলি ও মর্টার শেল এপাড়ে এসে পড়ছে। এরকম ঘটনায় অন্তত দুজনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন কয়েকজন। এদিকে বিদ্রোহীরা সীমান্ত চৌকি দখল করে নেওয়ায় মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের সোয়া তিনশ সদস্য গত সপ্তাহে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে ঢোকে। তাদের একটি অংশকে নিরস্ত্র করে বিজিবি হেফাজতে ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের একটি ভবনে রাখা হয়।
এসব কারণে ওই বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি অনিশ্চয়তায় পড়ে যায় আর এ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতেই শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধিদল কেন্দ্রটি পরিদর্শন করে বিকল্প কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়ার সুপারিশ করেন।
মন্তব্য করুন
সৌদি কর্তৃপক্ষ এক সপ্তাহে ১৯ হাজার ৫০ জনকে আবাসন, কাজ ও সীমান্ত নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘনের দায়ে গ্রেফতার করেছে। শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)।
একটি সরকারি প্রতিবেদন অনুসারে, মোট ১১ হাজার ৯৮৭ জনকে আবাসিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে গ্রেফতার করা হয়। অন অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টার দায়ে আরও ৪ হাজার ৩৬৭ জন এবং শ্রম সম্পর্কিত সমস্যার জন্য আরো ২ হাজার ৬৯৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে দেশে প্রবেশের চেষ্টার জন্য গ্রেপ্তার হওয়া এক হাজার ১১ জনের মধ্যে ৬১ শতাংশ ইথিওপীয়, ৩৬ শতাংশ ইয়েমেনি এবং ৩ শতাংশ অন্যান্য দেশের নাগরিক।
এ ছাড়া আরো ২৪ জন প্রতিবেশী দেশগুলোতে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে ধরা পড়েছে এবং ১৮ জনকে আইন লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন ও আশ্রয় দেওয়ার জন্য আটক করা হয়েছে।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানান, পরিবহন, আশ্রয় প্রদানসহ দেশে অবৈধ প্রবেশের চেষ্টা করা কাউকে সুবিধা দিলে তাকে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড, এক মিলিয়ন সৌদি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা এবং সেই সঙ্গে যানবাহন ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে।
সূত্র : আরব নিউজ
মন্তব্য করুন
সারা বিশ্বের ১৮৩টি দেশের ন্যায় মিলে নবীন পুরনো অংশীজন, কাস্টমস করবে লক্ষ্য অর্জন - এই শ্লোগান নিয়ে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারী) সকাল ১১টায় বেনাপোল কাস্টম হাউজ অডিটোরিয়ামে পালিত হয়েছে কাস্টমস দিবস-২০২৪।
দিবসটি উপলক্ষে বেনাপোল কাস্টমস হাউসকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। এবার অভ্যন্তরীন ভাবে সেমিনার ও আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কাস্টম দিবস পালন করা হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আব্দুল হাকিম'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসন) মিজ ফারজানা আফরোজ।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, যশোরের কাস্টমস কমিশনার কামরুজ্জামান, যুগ্ন কমিশনার শাফায়েত হোসেন, বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম, সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব শামসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জনাব এমদাদুল হক লতা ও সিনিয়র সহ-সভাপতি খারুজ্জামান মধু।
এছাড়াও কাস্টমস্ হাউজের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সি এন্ডএফ এজেন্টস ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের কমিশনার আব্দুল হাকিম বলেন যে, বেনাপোল কাস্টম হাউসের সকল কর্মকর্তা ও সকল অংশীজনের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে বেনাপোল কাস্টম হাউস। দ্রুততর সময়ের মধ্যে যথাযথ রাজস্ব আদায় করে পণ্য খালাসে তাৎক্ষণিক সেবা প্রদান করতে সকল কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া আছে।
মন্তব্য করুন
বেলজিয়ামের রানি মাথিল্ডের পরনে দেখা যায়, বাংলাদেশের জনপ্রিয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ংয়ের সাব-ব্র্যান্ড “হার স্টোরি”র একটি জ্যাকেটে।
বিভিন্ন দেশের রাজপরিবারের সদস্যসের ফ্যাশন ইনস্টাগ্রামে তুলে ধরে রয়্যাল ফ্যাশন পুলিশ। গত ৪ মার্চ তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয় বেলজিয়ামের রানি মাথিল্ডের একটি ছবি। সেখানে রাজপরিবারের এই সদস্যের পরনে দেখা যায়, বাংলাদেশের জনপ্রিয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ংয়ের সাব-ব্র্যান্ড “হার স্টোরি”র একটি জ্যাকেটে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের আগস্টে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় এসেছিলেন রানি মাথিল্ডে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার দূত হিসেবে ওই এসেছিলেন তিনি। সেই সময় বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা পরিদর্শনের পর বাংলাদেশের পোশাক খাতের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, সেই সময়ই পোশাকটি সংগ্রহ করেন তিনি।
জানা গেছে, রানি মাথিল্ডে গত ৩ মার্চ পশ্চিম আফ্রিকার রাষ্ট্র আইভরিকোস্টের রাজধানী ইয়ামুসুক্রোতে রাষ্ট্রীয় সফরে পোশাকটি পরেছিলেন। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) দূত হিসেবে ওই রাষ্ট্রীয় সফরে অংশ নেন তিনি।
রয়্যাল ফ্যাশন পুলিশের ওই পোস্টে অনেকেই রানির “ফ্যাশন সেন্সের” প্রশংসা করেছেন। প্রশংসিত হয়েছে রানির পরিহিত জ্যাকেটটিও। সিল্কে বিভিন্ন রঙের প্রিন্ট আর এমব্রয়ডারি করা জ্যাকেটটিতে রয়েছে রাজকীয় আবেদন। ধাতব সোনালি রঙের একরঙা কো-অর্ডস সেটের ওপর জ্যাকেটটি পরেছেন তিনি।
মন্তব্য করুন