

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় দেশের চলমান বন্যা নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এখন পর্যন্ত দুইজন নারীসহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪৮ লাখের বেশি মানুষ।
নিহতদের মধ্যে কুমিল্লায় চারজন, ফেনীতে একজন, চট্টগ্রামে চারজন, নোয়াখালীতে একজন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় একজন, লক্ষ্মীপুর একজন এবং কক্সবাজারে তিনজন।
এদিকে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যায় একটি শিশু পাতিলের মধ্যে কাপড় দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় গুটিসুটি মেরে শুয়ে আছে।
পাতিলের ভেতর বন্যার পানিতে ভাসতে দেখে সেখানে থেকে তাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়। অনেকেই ছবিটি শেয়ার করছেন নানা আবেগঘন ক্যাপশন দিয়ে। আবার অনেকেই বলছেন পরিবারের সব সদস্য মৃত।
তবে অনুসন্ধান করে জানা গেছে ভাইরাল হওয়া ছবিটি কুমিল্লার খারাতাইয়া, বুড়িচং এলাকার। ছবিটি তুলেছেন নাজমুল হাসান তপন নামের এক ব্যক্তি।
তিনি জানিয়েছেন, শিশুটির পরিবারের সবাই জীবিত এবং নিরাপদে আছেন।
এর আগে গত বুধবার (২১ আগস্ট) আরেকটি শিশুর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে দেখা গেছে, শিশুটি গলা পর্যন্ত পানির নিচে ডুবে আছে। তার কপালে ভাঁজ এবং অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও ওই ছবি শেয়ার করে বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। তবে রিউমর স্ক্যানারের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি ছিল। রিউমর স্ক্যানারের ফেসবুক পেজ থেকে শিশুর ভাইরাল হওয়া ছবিটিসহ দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, বন্যার বাস্তব দৃশ্য প্রকৃতপক্ষে আরও করুণ। তবে, আমাদের বিশ্লেষণে ভাইরাল ছবিটি এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি।
পোস্টে
আরও বলা হয়, আলোর প্রতিফলন, শিশুটির চোখের অভিব্যক্তি, কপালের ভাঁজ ও ঠোঁটের অস্বাভাবিকতা
ইত্যাদি অসংগতি অনুযায়ী আপাতদৃষ্টিতে অনেকেই ভাইরাল ছবিটিকে এআই জেনারেটেড বলেই ধারণা
করেছেন। তা ছাড়া, এআই ছবি যাচাইয়ের বিভিন্ন ওয়েবসাইটও ছবিটিকে ৬০% থেকে ৯১% পর্যন্ত
এআই বলে ফলাফল দিয়েছে। রিউমর স্ক্যানার টিম হতে MidJourney AI ব্যবহার করে এই একই ধরনের
ছবি পুনরায় তৈরি করার চেষ্টায়ও প্রায় একই ফলাফল পেয়েছি আমরা।
মন্তব্য করুন


চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ঠুঁঠাপাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে দুই ভারতীয় ও এক বাংলাদেশি গরু চোরাকারবারিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে মনাকষা ইউনিয়নের ঠুঁঠাপাড়া গ্রামে বাংলাদেশি চোরাকারবারি মারুফের বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন বিষয়টি নিশ্চিত করে।
আটক ভারতীয়রা হলেন—মালদহ জেলার পার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের আব্দুল কাদির (৩০) ও দেলোয়ার হোসেন (৩৪)। বাংলাদেশি আটক চোরাকারবারির নাম মো. মারুফ।
বিজিবি জানায়, ৩ ডিসেম্বর ভোরে কাঁটাতারবিহীন ফতেহপুর সীমান্ত দিয়ে চারটি গরু নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন ওই দুই ভারতীয়। স্থানীয় চোরাকারবারি ফজেলের কাছে গরুগুলো হস্তান্তর করলেও ভোর হয়ে যাওয়ায় তারা ভারতে ফিরতে পারেননি। সারাদিন পদ্মার চরে লুকিয়ে থাকার পর মারুফের সহায়তায় ঠুঁঠাপাড়ায় আশ্রয় নেন।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশে ও প্রবাসে বসবাসকারী সব বাংলাদেশিসহ
বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।
আগামীকাল
(১১ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এই শুভেচ্ছা জানান।
রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন,মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের
বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সবার মাঝে
ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। ঈদের এই আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে, গ্রামগঞ্জে,
সারা বাংলায়, সারা বিশ্বে। এদিন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের
আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন। ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের
বন্ধন। ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। এখানে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানির স্থান নেই। মানবিক
মূল্যবোধ, সাম্য ও পারস্পরিক সহাবস্থান এবং পরমতসহিষ্ণুতাসহ বিশ্বজনীন কল্যাণকে ইসলাম
ধারণ করে। ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। বিশ্বব্যাপী
নানাবিধ সংকটের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। বাংলাদেশেও এ মন্দার
প্রভাব দৃশ্যমান। ফলে সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠী স্বাভাবিক জীবনধারণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি
হচ্ছে। এমতাবস্থায়, আমি সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদের প্রতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর
আহ্বান জানাচ্ছি, যেন ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই ঈদের আনন্দ সমানভাবে উপভোগ করতে পারে।
মন্তব্য করুন


আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড.
আসিফ নজরুল জানিয়েছেন তিনি বিদেশে বাংলাদেশি শ্রমিকদের শোষণ, পাসপোর্ট ও এনআইডি প্রাপ্তি
এবং ব্যাংকে টাকা স্থানান্তর ও টাকা তোলার ক্ষেত্রে ভোগান্তি নিরসনে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, 'বিদেশে শ্রমিক শোষণ বন্ধের
বিষয়ে আমরা কাজ করছি। কিছুটা অগ্রগতি হোক, তখন জানাবো।'
আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) উপদেষ্টা
তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে একথা বলেন, আমি সরকারী কাজে কাতারে ছিলাম তিনদিন।
আমার হোটেলে যেসব বাংলাদেশী ভাইরা কাজ করেন তাদের থেকে তাদের বঞ্চনার অনেক খবর শুনেছি।
দুতাবাসে আমন্ত্রিত অনেক শ্রমিক ও পেশাজীবী ভাই-বোনের সাথে কথা বলেছি। দূতাবাসের কর্মকর্তাদের
বক্তব্যও শুনেছি। সেখানকার প্রবাসী ভাই-বোনদের মূল অভিযোগ পাসপোর্ট-এনআইডি-পাওয়ার অব
এটর্নি সংক্রান্ত বিষয়ে এবং সেখানে কর্মসংস্থান ও পারিশ্রমিক নিয়ে। এর মধ্যে পাসপোর্টের
বিষয়ে আমি ডিজির সাথে কথা বলেছি। তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে
পাসপোর্ট সরবরাহ শুরু হবে।
পাসপোর্ট আর এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
বিষয় উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, তবে সেখানে আমি যোগাযোগ অব্যাহত রাখবো। কালকে আমি
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে পাসপোর্ট ফি কমানো বা কমহারে সবার জন্য একরকম করার কথা বলেছি।
এটা নিয়ে আমার যোগোযোগ অব্যাহত থাকবে।
তিনি আটো বলেন, এছাড়া পাসপোর্ট আর এনআইডি
সহজীকরণের বিষয়ে কি কি করা যায় তা আইন মন্ত্রনালয়ের থেকে খতিয়ে দেখবো।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, 'আপনারা ভালো
থাকবেন। পবিত্র জুম্মার দিনে আমাদের শহীদ ভাই চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলামের মাগফেরাত
এবং আমাদের সকলের হেদায়েতের জন্য দোয়া করবেন।'
মন্তব্য করুন


যেসব শিক্ষার্থী রাস্তায় ট্রাফিকের কাজ করছে তাদের তালিকা করে সবাইকে পুলিশের পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এ কথা জানিয়ে আরো
বলেছেন, এই সার্টিফিকেট চাকরি ক্ষেত্রে যেন মূল্যায়ন করা হয়।
সাখাওয়াত হোসেন এটাও বলেন যে, আমি আইজিপিকে অনুরোধ করবো, এই যে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় ট্রাফিকের কাজ করছে তাদের তালিকা করে সবাইকে পুলিশের পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট দেবেন। শিক্ষার্থীরা নিজের টাকায় সড়কে কাজ করছে, সড়ক পরিষ্কার করছে, রং কিনে দেয়াল সুন্দর করছে। এটা যদি সরকারি প্রজেক্ট হতো তাহলে হাজার কোটি টাকা লাগতো। একটা দেশে এই চাইতে ভালো উদাহরণ হতে পারে না।
শিক্ষার্থীরা তাঁর গাড়িও চেক করেছে উল্লেখ করে তিনি জানান, পতাকাওয়ালা গাড়ি থামানো হয়েছে। তারপর তারা বলেছে পতাকা থাক আর যাই থাক গাড়ি চেক করবো। এরপর আমাকে দেখে বললো না স্যার আপনি চলে যান।
মন্তব্য করুন


ঢাকার
বাইরে রাজশাহী, নাটোর এলাকায় শুটিং হচ্ছে আরিফিন শুভ অভিনীত 'মালিক' সিনেমার। সেখানে
একটি অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিং করার সময় আহত হয়েছেন তিনি। আগুনের শিখায় দগ্ধ হয়েছে ওই
নায়কের পা।
শুটিং
সূত্র থেকে জানা যায়, শুরুতে নিজেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন শুভ। কিন্তু আগুন থামছিল
না—ধীরে ধীরে ভারসাম্য হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। তখন ছুটে
আসে ইউনিটের সদস্যরা। মুহূর্তেই আগুন নিভে যায়, কিন্তু ততক্ষণে তার পা পুড়ে গেছে।
ঘটনার
পর শুটিং বন্ধ করতে চেয়েছিলেন পরিচালক সাইফ চন্দন। কিন্তু পুড়ে যাওয়া পা নিয়েই শুটিং
করেছেন শুভ। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েই আবার দাঁড়িয়ে যান ক্যামেরার সামনে। পায়ে ক্ষত নিয়েও
শুট অব্যাহত রেখেছেন এই জনপ্রিয় নায়ক।
মন্তব্য করুন


প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘকে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি নারী শান্তিরক্ষী
নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রচেষ্টায়
বাংলাদেশের অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
আজ
রোববার (২০ এপ্রিল) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের শান্তি কার্যক্রমবিষয়ক
আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যাঁ-পিয়ের লাক্রোয়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে
গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে
শান্তিরক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এ
সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি যা উৎসাহিত করি তা হলো শান্তিরক্ষা মিশনে আরও বাংলাদেশি
নারীর অংশগ্রহণ।
শান্তিরক্ষী
প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষ তিন দেশের একটি। বর্তমানে বাংলাদেশের ৫,৬৭৭
জন শান্তিরক্ষী ১১টি সক্রিয় মিশনের মধ্যে ১০টিতে কাজ করছে।
জাতিসংঘ
আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জানান, নারীদের শান্তিরক্ষায় সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে জাতিসংঘের
একটি নীতিমালা রয়েছে।
তিনি
বলেন, আমরা নারীদের নির্দিষ্ট কোনো ভূমিকায় সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না।’ তিনি উল্লেখ করেন
যে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষার সব ক্ষেত্রে নারীদের নিয়োগে সমর্থন দেবে।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, প্রয়োজনে বাংলাদেশ অতিরিক্ত সৈন্য ও পুলিশ পাঠাতে
প্রস্তুত। তিনি জাতিসংঘের পিসকিপিং ক্যাপাবিলিটি রেডিনেস সিস্টেম (পিপিআরএস)-এর র্যাপিড
ডিপ্লয়মেন্ট পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুত পাঁচটি ইউনিটের কথা উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় সদর দপ্তর এবং মাঠপর্যায়ে বাংলাদেশি নেতৃত্ব
বৃদ্ধির পক্ষে মত দেন। জাতিসংঘ প্রতিনিধি বলেন, এ ব্যাপারেও তারা বাংলাদেশকে সমর্থন
দেবে।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, শান্তিরক্ষী নিয়োগে জাতিসংঘের যাচাই প্রক্রিয়া বাংলাদেশ
কঠোরভাবে মেনে চলে এবং প্রশিক্ষণ ও জবাবদিহিতায় জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আরও
সহযোগিতাকে স্বাগত জানায়, যাতে মানবাধিকার প্রতিপালন আরও জোরদার হয়।
প্রধান
উপদেষ্টাকে জানানো হয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল
আগামী ১৩ থেকে ১৪ মে জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের
সম্মেলনে অংশ নেবে।
মিয়ানমারে
চলমান সংঘর্ষ, সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা, বেসামরিক নাগরিক হতাহত এবং নাফ নদী সংলগ্ন
এলাকায় জীবিকা বিঘ্নিত হওয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
তিনি
সতর্ক করেন, এই অস্থিরতা অব্যাহত থাকলে তা আরও অবনতি হয়ে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি সৃষ্টি
করতে পারে। তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগের আহ্বান জানান।
প্রধান
উপদেষ্টা সম্প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে
অবস্থিত রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের কথা স্মরণ করে বলেন, তার এই সফর রোহিঙ্গাদের নিরাপদ
ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে নতুন করে আশা জুগিয়েছে।
মন্তব্য করুন


সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভ বড়দিন ও নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত আর্চ বিশপের হাউজ পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী সকলকে শুভ বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের দেশের গর্ব। সকল সম্প্রদায়ের ব্যক্তিবর্গ যেন নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে উদযাপন করতে পারে, সে বিষয়ে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, অন্যান্য সকল সম্প্রদায়ের জনগণ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভ বড়দিন ও নববর্ষ উদযাপনে আন্তরিকতার সাথে সহযোগিতা করবে এবং সকলেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থেকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সুখী, সমৃদ্ধশালী ও উন্নত দেশ গঠনে এগিয়ে আসবে।
মন্তব্য করুন


আগামীতে আইনকানুন এবং সংস্কারের মাধ্যমে
নির্বাচনে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
তিনি বলেছেন, নির্বাচনে কেউ জিতলে পরাজিত
বা অন্যরা আর সন্দেহ করবে না। ভাববে না যে, কলকাঠি নেড়ে কাউকে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার (ফেব্রুয়ারি ১৫) রাজধানীর
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এসব কথা
বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নতুন বাংলাদেশ
মানে নতুন নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার গঠন হবে তার ব্যাপারে কেউ প্রশ্ন
তুলবে না। সেটার ব্যাপারে আইনকানুন সবার জানা থাকবে, এটা নড়চড় করার উপায় কারো থাকবে
না। আইনকানুন বানানোর পরে সেটা নড়চড় করার সুযোগ থাকবে না সেজন্যই এত বড় কমিশন করতে
হয়েছে। এই যে আইনকানুন, নীতিমালা বানিয়ে দেব। একবার বানিয়ে দিলে তারপর থেকে চলতে থাকবে।
একটা ট্র্যান্সপারেন্ট খেলা হবে। খেলায় জিতলে কেউ সন্দেহ করবে না যে কেউ জিতিয়ে দিয়েছে।
এতো ট্রান্সপারেন্ট যে, কেউ সন্দেহ করবে না।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, এখন
যে খেলা চলছে, ঠিকমতো জিতলেও সন্দেহ করে। বলে কিছু একটা কলকাঠি নেড়ে করেছে। এই কলকাঠি
নাড়ার বিষয়টি আমাদের মনের ভেতর গেঁথে গেছে। কলকাঠি ছাড়া যে দেশ একটা নিয়মে চলতে পারে
সেটা আমরা ভুলে গেছি।
সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি
বলেন, এটা সবার স্বপ্ন। এই স্বপ্ন আমরা এমন মজবুতভাবে বানাব যা সবাই মেনে চলবে। এই
মেনে চলার মাধ্যমে আমরা একটা সুন্দর সমাজ, সুন্দর রাষ্ট্র উপহার দিতে পারব। সেই উদ্দেশ্যেই
আজকের সভা।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রচণ্ড
সুযোগ এখন। সুযোগ এজন্যই যে, আমাদের মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টি হলে আমরা সেগুলো কাজে লাগাতে
পারি এমন পর্যায়ে আছি আমরা। একবার কাজে লাগালে সেটা বংশ, প্রজন্ম ও পরম্পরায় সেটা চলতে
থাকবে। একটা সুন্দর দেশ আমরা পাব। এই ভাবনা থেকেই আমরা এগুলো গ্রহণ করব।
অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন অধ্যায় শুরু
হয়েছে মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে প্রথম ইনিংস
বা প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। আজ রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো।
আলোচনাটা কত সুন্দর হবে, কত মসৃণ হবে সেটা আপনাদের ওপর নির্ভর করবে। আমাদের পক্ষ থেকে
আমরা সুপারিশগুলো উপস্থাপন করবো। কমিশনের সদস্যরা এখানে রয়েছেন এগুলো ব্যাখ্যা করার
জন্য, চাপিয়ে দেওয়ার জন্য না। চাপানোর ক্ষমতা আমাদের নাই। আমরা শুধু আপনাদের বোঝানোর
জন্য।
সংস্কার বাস্তবায়ন সবার দায়িত্ব উল্লেখ
করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আপনাদের সহযোগিতা চাই এটা বলব। কারণ, এটা
আপনাদের কাজ। এটা আমার কাজ না, একার কাজ না। যেহেতু আপনারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন
আপনাদের বলতে হবে সমাজের কল্যাণে কোন কোন জিনিস করতে হবে, কীভাবে করতে হবে। যেটা এক্ষুণি
করা যাবে বলবেন। যেটা এক্ষুণি করা দরকার, সামান্য রদবদল থাকলে সেটা করে দেন। আমরা শুধু
সাচিবিক কাজগুলো আপনাদের করে দিলাম। আমরা একটা লন্ডভন্ড অবস্থার মধ্য দিয়ে দায়িত্ব
নিয়েছি। চেষ্টা করেছি এটাকে কোনোরকমে সফল করতে। এই ৬ মাসের যে অভিজ্ঞতা সেটা আমাদের
সবাইকে প্রচণ্ড সাহস দেবে। এই ৬ মাসের অভিজ্ঞতা হলো, দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ,
রাজনৈতিক ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সবাই সমর্থন দিয়েছে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে।
কাজেই আমরা প্রথম পর্বের পর দ্বিতীয় পর্বে এলাম। ২য় পর্বে যেন আমরা আনন্দের সঙ্গে,
খুশি মনে সম্পন্ন করতে পারি।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর গুলিস্তানে চাঁদাবাজ চক্রের ৮ সদস্যকে
আটক করেছে সেনাবাহিনী।
আজ রোববার (২০ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর ১১ বীরের (মেক) একটি দল বিশেষ অভিযানে তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলেন- ভোলা জেলার মো. জাকির হোসেন, কুমিল্লার শাকিল এবং বাকি মো. নবীর, মো. জসীম, মো. আব্দুল জলীল, মো. সুরুজ, মো. মাসুদ, মো. রকিব খান মুন্সীগঞ্জ জেলার।
সেনাবাহিনীর সূত্র জানায়, বিগত কয়েকদিন ধরে গুলিস্তান এলাকায় চাঁদাবাজির প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছিল। চাঁদাবাজি ও ছিনতাই সংক্রান্ত বেশ কিছু অভিযোগ গুলিস্তান ক্যাম্পে লিপিবদ্ধ করে ভুক্তভোগীরা। চাঁদাবাজ চক্রটিকে ধরার জন্য অত্র ক্যাম্পের এফএস বেশ কয়েকদিন থেকে নজর রাখছিল সেনাবাহিনী।
এফএসের তথ্যানুযায়ী, গুলিস্তান মোবাইল মার্কেট সংলগ্ন ফুটপাতে চাঁদাবাজি হচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ১১ বীরের একটি টহল দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযান চালায়। অভিযানে ৭ চাঁদাবাজকে হাতেনাতে আটক করে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আটকদের দেহ তল্লাশি করে একাধিক অবৈধ মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ছোটাছুটি করার একপর্যায়ে তারা বেশ কয়েকটি মোবাইল ফেলে দিয়েছিল। যা পরবর্তীতে আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
পরে আটকদের এবং জব্দ করা মালামাল পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
মন্তব্য করুন


সমগ্র বাংলাদেশ একটা পরিবারের মতো উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘যেখানে সরকারের দায়িত্ব হলো প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সুরক্ষা দেওয়া।’
সোমবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথার পাশাপাশি আরো বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হলো প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সুরক্ষা দেওয়া এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।’
হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, তিনি এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চান যেখানে নির্ভয়ে সবাই নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারবে এবং যেখানে কোনো মন্দির পাহারা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
হিন্দু নেতারা জানান, দেশের বন্যা পরিস্থিতির কারণে দুর্গত এলাকাগুলোতে এবার জন্মাষ্টমী উদযাপন স্থগিত করে সেখানে খাদ্য ও ত্রাণ পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার ভূয়সী প্রশংসা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বী
নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, এই বক্তব্য দেশে আসম্প্রদায়িক সমাজ গঠন এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে ভূমিকা করবে।
সনাতন ধর্মাবলম্বী
নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দেশে মানুষের মধ্যে কোনো বিভেদ থাকতে পারে না। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের সমান অধিকার। অন্তর্বর্তী সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সুরক্ষায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
হিন্দু নেতৃবৃন্দ প্রধান উপদেষ্টাকে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, তারা বাংলাদেশে শান্তি-সম্প্রীতি ও এর সমৃদ্ধি এবং আন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য কামনা করে শ্রীকৃষ্ণের
আশীর্বাদ প্রার্থনা করেছেন।
শুভেচ্ছা বিনিময়কালে হিন্দু নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের কাজল দেবনাথ ও মনীন্দ্র কুমার নাথ, আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনা সংঘ ইসকনের চারু চরণ ব্রহ্মচারী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের বাসুদেব ধর ও সন্তোষ শর্মা এবং ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কর্নধার প্রীতি চক্রবর্তী।
মন্তব্য করুন