বন্যা দুর্গত অঞ্চলে ও কুমিল্লা মহানগরীর আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে সহমর্মিতা প্রকাশ করে যাচ্ছেন বিবেকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইউসুফ মোল্লা টিপু।
উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে, কুমিল্লা জিলা স্কুলের আশ্রয় কেন্দ্রে চাহিদা মত রান্না করা খাবার, শুকনো খাবার, মেডিসিন, ওরস্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় সকল সামগ্রী দিয়ে যাওয়ার কাজ করে যাচ্ছে বিবেক ।
কুমিল্লাতে এরই মধ্যে কুমিল্লা হাই স্কুল, সংরাইশ সালেহা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,ধর্মপুর মহিলা সরকারি কলেজর আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে প্রত্যেকের চাহিদা অনুযায়ী উপহার সামগ্রী বন্টন করেছে আত্ম মানবতার সেবায় নিয়োজিত সংগঠন বিবেক ।
পাশাপাশি বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনেও আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের কাজ করে আসছে সংগঠনটি ।
সহযোগিতা প্রদানের কাজ নিয়ে ইতিমধ্যেই ইউসুফ মোল্লা টিপু আশ্বস্ত করেছেন বন্য পরবর্তী সময়ে পুনর্বাসন সহ অনেক উদ্যোগ বিবেক হাতে নিয়েছে যার কার্যক্রম কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে।
এখানে
বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বিবেক সংগঠন থেকে যা কিছু করা হয় সেগুলোর আর্থিক অনুদান একমাত্র
বিবেকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইউসুফ মোল্লা টিপু'র নিজ অর্থায়নে করা হয়।
মন্তব্য করুন
সরকারের সব পর্যায়ে সংস্কার কর্মসূচি
গ্রহণ ও বাস্তবায়নে ‘মার্চিং অর্ডার’ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সচিব সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
এ নির্দেশনা দেন।
উপদেষ্টার
নির্দেশনাগুলো হলো:
১. সরকারের সব পর্যায়ে সংস্কার কর্মসূচি
গ্রহণ ও বাস্তবায়নে ‘মার্চিং অর্ডার’ দিয়েছেন।
২. সংস্কার কর্মসূচি প্রণয়নে প্রয়োজন
অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা ও মতামত গ্রহণ করতে হবে।
৩. জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা
বৈষম্যহীন মানবিক দেশ গড়ার যে প্রত্যয়, যে ভয়হীন চিত্ত আমাদের উপহার দিয়েছে, তার ওপর
দাঁড়িয়ে বিবেক ও ন্যায়বোধে উজ্জীবিত হয়ে আমাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা
নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।
৪. নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য গৎবাঁধা
চিন্তা-ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে, চিন্তার সংস্কার করে, সৃজনশীল উপায়ে জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ
গুরুত্ব দিয়ে সরকারি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৫. দুর্নীতির মূলোৎপাটন করে, সেবা সহজীকরণের
মাধ্যমে জনগণের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে।
৬. সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার
নিশ্চিত করতে হবে।
৭. সরকারি ক্রয়ে যথার্থ প্রতিযোগিতা
নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো দুর
করতে হবে।
৮. সৃষ্টিশীল, নাগরিক-বান্ধব মানসিকতা
নিয়ে প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কর্মসূচির সময়াবদ্ধ
কর্মপরিকল্পনা দাখিল করবে, যা নিয়মিত মূল্যায়ন/পরিবীক্ষণ করা হবে।
৯. ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সৃষ্ট
নতুন বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আগ্রহ, ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে, দেশের স্বার্থে
তা সর্বোত্তম উপায়ে কাজে লাগাতে হবে।
মন্তব্য করুন
বিশ্ববাসীর উদ্দেশে অন্তর্বর্তী সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা পৃথিবীর জন্য আশার এক বাতিঘর
হিসেবে দাঁড়াতে চাই এবং আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের আহ্বান জানাই অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক
চুক্তি পুনর্লিখনের জন্য, পাশাপাশি সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের
ভূমিকা অন্বেষণ করতে, যা প্রান্তিক জনগণের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিতে
সহায়ক।
আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাতারের দোহায়
আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে, যেখানে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি
করার সুযোগ এসেছে। এটি এমন এক চুক্তি, যেখানে রাষ্ট্র ও জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক
ব্যবস্থা, ঐতিহ্য, ন্যায়বিচার, মর্যাদা এবং সুযোগের ভিত্তিতে একটি ভবিষ্যৎ একত্রে গড়ে
তুলবে।
তিনি বলেন, এটি এমন এক সামাজিক চুক্তি,
যেখানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও প্রান্তিক জনগণের ক্ষমতায়ন মৌলিক বিষয় হিসেবে বিবেচিত
হবে।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে একটি
সহনশীল, সমৃদ্ধ এবং টেকসই ভবিষ্যতের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তবে এখন
এমন নানা হুমকি রয়েছে, যা আমাদের উন্নয়নকে বিপথে ঠেলে দিতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা এমন এক সময় পার করছি,
যেখানে বহুপাক্ষিকতা হুমকির মুখে, জলবায়ু পরিবর্তন দ্রুততর হচ্ছে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা
বাড়ছে এবং মানবিক সংকট গভীরতর হচ্ছে। নতুন নতুন নীতিমালা, প্রযুক্তি এবং শাসন পদ্ধতি
আমাদের পৃথিবীকে দ্রুত রূপান্তরিত করছে, যা অতীতের অনেক অনুমানকে অচল করে দিচ্ছে।
এমন প্রেক্ষাপটে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর
জোর দিয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এখন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার পুনরুজ্জীবনের
প্রয়োজন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, আসুন আমরা সাহসী হই। একটি এমন পৃথিবী গড়ি, যেখানে কেউ এতটা দরিদ্র না হয়
যে, সে স্বপ্ন দেখতে না পারে এবং কোনো স্বপ্ন এত বড় না হয় যে, তা অর্জন করা যায় না।
ভবিষ্যৎ এমন কিছু নয়, যা আমরা উত্তরাধিকার হিসেবে পাই। এটি এমন কিছু যা আমরা তৈরি করি।
এবং আমাদের প্রত্যেকেরই এতে একটি করে ভূমিকা রয়েছে। সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে,
তা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, কিন্তু আমাদের উদ্ভাবন,
সহমর্মিতা এবং সম্মিলিত কর্মকাণ্ডের সক্ষমতাও ব্যাপক।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, কাতার
যেভাবে আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছে, তা দেখাচ্ছে কীভাবে একটি দেশ উদ্ভাবন,
ঐতিহ্য ও অংশীদারত্বের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট, সামাজিক বৈষম্য এবং কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ
মোকাবিলা করতে পারে।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর মূল
বক্তব্যে সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের মাধ্যমে প্রান্তিক
জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন।
তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন
শেখ মোজা বিনতে নাসের এবং ভাইস চেয়ারপারসন ও সিইও শেখ হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানিকে
সময়োপযোগী ও চমৎকার এই শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
মন্তব্য করুন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে
বৈঠকে করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ‘পূর্ণ সমর্থন’জানিয়েছেন জো বাইডেন।
মঙ্গলবার ( ২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে জাতিসংঘের
সদর দপ্তরের নির্ধারিত সভা কক্ষে বৈঠকটি হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ভেরিফায়েড
ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পোস্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারকে
‘পূর্ণ সমর্থন’
জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আজ মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের
ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকে ড. ইউনূস বিগত সরকারের আমলে সকল
ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা ও বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ
অবদানের কথা জো বাইডেনকে জানান।
অধ্যাপক ড. ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, দেশ
পুনর্গঠনে তার সরকারকে অবশ্যই সফল হতে হবে। এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেকোনো
সাহায্যে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম
অধিবেশনে যোগ দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তাকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব
অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূসকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনে যোগদান করায় শুভেচ্ছা জানিয়েছে
জাতিসংঘ। প্রধান উপদেষ্টা এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এ সফর করছেন যখন বাংলাদেশ জাতিসংঘের
সদস্য পদ লাভের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে
(সাবেক টুইটার) শেয়ার করা ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইস এক বার্তায় বলেন,
এ বছর বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে। প্রধান উপদেষ্টা
ড. ইউনূস সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ায় আমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু
হওয়ার পর ভাষণ দেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বব্যাপী এমন এক
চ্যাঞ্জেলের মুখে রয়েছি যা আগে কখনো দেখিনি। বৈশ্বিকভাবেই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে
হবে। যুদ্ধ বেড়েই চলছে এবং তা শেষ হওয়ার কোনো উপায় দেখছি না।
মঙ্গলবার শুরু হওয়া জাতিসংঘের ৭৯তম
সাধারণ অধিবেশনে বিশ্ব নেতারা এমন এক সময় জড়ো হচ্ছেন, যখন ইউরোপ, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে
সংঘাত বেড়েই চলেছে। এ ছাড়া রয়েছে গাজা যুদ্ধ এবং ইউক্রেন ও সুদানে সংঘাত। আশা করা হচ্ছে
এ অধিবেশনে বিশ্বনেতারা যুদ্ধ বন্ধে তাদের কণ্ঠ জোরালো করবেন।
জানা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো
বাইডেন মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। জাতিসংঘে এটি তার চতুর্থ এবং
শেষ ভাষণ। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এ ভাষণে বাইডেন বর্তমান বৈশ্বিক সংকট তুলে ধরবেন।
ইউএনজিএতে অংশগ্রহণ উপলক্ষে ড. ইউনূস
এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশ সরকারের প্রধান হিসেবে এটি ড. ইউনূসের প্রথম
যুক্তরাষ্ট্র সফর।
মন্তব্য করুন
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো পুনর্বিবেচনা করা হবে।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে
আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
নাহিদ ইসলাম বলেন, আজকের বৈঠকে মৌলিকভাবে এই বিভাগের বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ এবং
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা বলতে চাই, সাইবার সিকিউরিটি আইনের
যে ধারাগুলো নিয়ে সমালোচনা রয়েছে সেগুলো পুনর্বিবেচনা করা হবে। এ সময় তিনি বলেন, কোটা
সংস্কার আন্দোলনের সময়ে যেসব স্টার্টআপ শিক্ষার্থীদের পক্ষ নেওয়ায় বিরূপ আচরণের শিকার
হয়েছে, তাদের বিনিয়োগ নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা হবে। দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন শিক্ষামূলক
প্রতিষ্ঠান ‘টেন মিনিট স্কুল’-এর
জন্য পাঁচ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব গত ১৬ জুলাই বাতিল করে আইসিটি বিভাগের আওতাধীন
সরকারি সংস্থা স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড। টেন মিনিট স্কুলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও
আয়মান সাদিক সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের পক্ষ নিয়ে নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন।
এর পরই বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল করা হয়।
এদিকে আন্দোলনকালে ইন্টারনেট শাটডাউন
নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে রবিবারে। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার
কথা।
এর পেছনে যদি সাবেক প্রতিমন্ত্রী বা
কোনো সংস্থাপ্রধান জড়িত থাকেন, তাহলে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে কি না—তা জানতে চাওয়া হলে নাহিদ ইসলাম বলেন,
অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আজকের মধ্যে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন আসবে। এরপর যদি মূল্যায়ন
করে আরও তদন্ত প্রয়োজন হয়, সেটি করা হবে। এতে যদি সরকারের কোনো লোক, সংস্থা বা মন্ত্রী
কেউ জড়িত থাকেন, অবশ্যই বিচার করা হবে। ইন্টারনেটে অবাধে তথ্যপ্রবাহ হয়, এটি মানবাধিকার।
কিন্তু এই ইন্টারনেট বন্ধ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে, শত শত মানুষকে মেরে ফেলা
হয়েছে। এ বিভাগের প্রকল্পে দুর্নীতি ও অবহেলার সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌপরিবহন
মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম
সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বর্তমান সরকার কোনো উন্নয়ন কাজ বন্ধ করেনি, করবেও না।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুইদিনের
বিশেষ সফরে পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি একথা বলেন।
উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন,
অনেকেই মনে করেছিলেন কী না কী হয়, প্রকল্পগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে আমরা কোনো কাজ
বন্ধ করিনি। অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়
রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনো প্রকল্প গ্রহণ করবে না। বাংলাদেশ সরকার বিদেশ থেকে যেসব পণ্য
আমদানি করে, তার মধ্যে থেকে ২০-৩০ শতাংশ পায়রা বন্দরের মাধ্যমে করা যায় কি না, সে বিষয়ে
পদক্ষেপ নিতে হবে। তা করতে পারলে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের চাপ কমবে। পায়রা সমুদ্র
বন্দরে যেসব প্রকল্প চলমান রয়েছে, সেগুলো নিজস্ব গতিতেই চলবে। এছাড়া বন্দরের সার্বিক
উন্নয়ন এবং অগ্রগতির বিষয়গুলো বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
বলেছেন, লেখাপড়া করে মেধার ভিত্তিতে যেমন ডাক্তার, প্রকৌশলী, অর্কিটেক্ট হতে হবে তেমনি
পেশাদার খেলোয়াড় কিংবা শিল্পী তৈরী করতে হবে। কারণ,একজন পেশাদার খেলোয়াড় কিংবা শিল্পীও
তার পেশার মাধ্যমে পরিবারকে সাহায্য করতে পারেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) লালমনিরহাটের
বড়বাড়ীতে শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে ‘শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪’র ফাইনাল ম্যাচে লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল
প্লাটফর্মে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। এটি ছিল ‘শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল
টুর্নামেন্ট’র
৬ষ্ঠ তম আসর।
তারেক রহমান বলেন, দেশের মানুষ স্বৈরাচার
বিদায় করেছে। এখন দেশ গড়ার পালা। এ প্রত্যয় নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য আমাদের
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশ গড়তে আমরা ৩১ দফা দিয়েছি। দেশকে নিয়ে এখনো ষড়যন্ত্র
হচ্ছে। আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
আগামীদিনে পেশাদার খেলোয়াড় তৈরী করতে
হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর পাশপাশি ভাল সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও শিল্পী তৈরির কাজ
করতে হবে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে জনপ্রিয় খেলাগুলো বাছাই করে আমরা দেশের তরুণ সমাজের
মধ্যে থেকে আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় তৈরি করবো। বাইরের দেশের খেলোয়াড়ের উপর নির্ভরশীলতা
কমাতে হবে। সবকিছু হবে সরকারিভাবে।
এ প্রসঙ্গে, উদাহরণ হিসেবে শহিদ জিয়ার
আমলের ‘নতুন কুড়ি’
অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ওই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভাল সাংস্কৃতিক
ব্যক্তিত্ব এবং ভাল শিল্পী বের করে আনা। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী
বেবী নাজনীন ‘নতুন কুড়ি’-ই
ফসল।
তিনি বলেন, ‘ঠিক একইভাবে ভাল খেলোয়াড়
বের করে আনতে আমাদেরকে ৮ থেকে ১০ টি খেলা পছন্দ করে এসব খেলার ওপর জোর গুরুত্ব দিতে
হবে। যিনি যে ধরণের খেলায় ভাল করবেন, তাদেরকে সেই খেলায় পারদর্শী করে তুলতে হবে। যাতে
করে আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলোতে আমাদের খোলোয়াড়রাও ভাল ফলাফল বয়ে আনতে পারে।’
বিএনপি’ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যার বলেন,‘জনগণের ভোটে যদি ক্ষমতায় আসতে
পারি তাহলে আমরা সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাজের সাথে-সাথে খেলাধুলা
ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের ওপরও জোর দেব। মেধাবী ডাক্তার, প্রকৌশলী, আর্কিটেক্ট বানানোর
পাশাপাশি ভালো রাজনীতিবিদ, ভালো খেলোয়াড় ও শিল্পী তৈরী করতে পারি সেই চেষ্টা করবো।
তারেক রহমান আরও বলেন, যে ব্যক্তি যে
বিষয়ে মেধাবী, তার মেধাকে মূল্যায়ন করে সেই বিষয়ে দক্ষ করে তোলা হবে। সবাইকে নিয়ে নতুন
বাংলাদেশ তৈরি করবে বিএনপি।
‘আমরা যদি বিভিন্ন খেলায় পেশাদার খেলোয়াড়
এবং ভালো সাংস্কৃতিক কর্মী ও শিল্পী তৈরী করতে পারি’ তাহলে ওইসব ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হবে বলেও
তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, লালমনিরহাটের বড়বাড়ি শহীদ
আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে গত ১২ নভেম্বর শুরু হয় শহীদ জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট। বিএনপির
রংপুর বিভাগের ১০টি সাংগঠনিক দল এতে অংশগ্রহণ করে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় পঞ্চগড় বিএনপি
একাদশ ও রংপুর মহানগর বিএনপি একাদশ’র
মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। টাইব্রেকারে এক শূন্য গোলে পঞ্চগড় জেলা বিএনপি একাদশ
বিজয় লাভ করে।
‘শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪’র ফাইনাল ম্যাচ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি’র
জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস। অনুষ্ঠানে
সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র
রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পদক আসাদুল হাবিব দুলু।
অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী
এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা ফরহাদ হোসেন আজাদ ও ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান অনুষ্ঠানে
বক্তৃতা করেন ।
মন্তব্য করুন
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের দেখাশোনাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের বলে জানিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে বাইপাইলে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত মো. রমজান আলীর পরিবারের সাথে সাক্ষাতকালে তথ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন,গণঅভ্যুত্থানের সময় যেভাবে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে এসেছিলো, তাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। শহীদদের জন্যই আমরা বেঁচে আছি, বাক্স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি।
এ সময় তথ্য উপদেষ্টা শহীদ রমজান আলীর পরিবারের খোঁজখবর নেন। তাদেরসহ সব শহীদ পরিবারের মাসিক ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাতের সময় শহীদ রমজানের পরিবার থেকে তার বাবা ও ছোট বোন উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ রমজান আলী নাটোরের সিংড়ায় স্নাতক শ্রেণিতে পড়াশোনা করতেন। তার পরিবারের কেউ উপার্জনক্ষম না থাকায় বাইপাইলে একটি মাছের আড়তে কাজ করে তিনি পুরো পরিবারের খরচ চালাতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন তিনি আন্দোলনে অংশ নেন এবং ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
মন্তব্য করুন
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপাকে (মাহিয়া মাহি) নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের দায়ে তলব করেছে ।
শুক্রবার অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যার (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, দ্বিতীয় আদালত) মো. আবু সাঈদ তাকে তলব করেন।
মাহিয়া মাহিকে পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, গত ১৪ ডিসেম্বর আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোট চাচ্ছেন মাহি শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়।
এছাড়া নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি আরো জানতে পারে ওই দিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রচার শুরু করেন এবং ভোটারদের কাছে ভোট চান।
চিঠিতে আরো বলা হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৬(ঘ) ও বিধি ১২ লঙ্ঘন করেছেন শারমিন আক্তার নিপা (মাহি)। যা নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য হয়েছে।
আগামী ১৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় উপস্থিত হয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
পূর্বানুমতি
ছাড়া চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীকে গ্রেপ্তার না করার সুপারিশ করেছে
স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন।
সুপারিশে
বলা হয়েছে, বিএমডিসি,বিএনএমসি, বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল, আ্যালাইড হেলথ প্রোফেশনাল
কাউন্সিল ইত্যাদির পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা
প্রদানকারীকে গ্রেফতার করা যাবে না। শুধু অনুসন্ধান ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা
গ্রহণযোগ্য হবে, তবে তা অভিযোগ দাখিলের নব্বই দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
সোমবার
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন পেশ করেন স্বাস্থ্যখাত
সংস্কার কমিশন কমিশনের সদস্যরা। প্রতিবেদনের ১১নম্বর সুপারিশে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি
তুলে ধরা হয়।
চিকিৎসা
সেবা প্রদানকারীদের নিরাপত্তা ও পেশাগত সুরক্ষার বিষয়ে বলা হয়েছে, সেবা গ্রহীতার অভিযোগ
নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে একটি আধুনিক ডিজিটাল অভিযোগ নিষ্পত্তি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে
হবে।বিএমডিসি,বিএনএমসি, বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল, আ্যালাইড হেলথ পোফেশনাল কাউন্সিল
ইত্যাদির আইনগত ক্ষমতা ও কাঠামোকে আরও কার্যকর করতে হবে। চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট
ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য মেডিকেল প্রফেশনাল ইন্স্যুরেন্স চালু
করতে হবে, যাতে কর্মজীবনে আইনি ঝুঁকি বা অপ্রীতিকর ঘটনার ক্ষেত্রে তাদের আর্থিক ও সামাজিক
সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
জরুরি
পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশের
অধীনে একটি নির্দিষ্ট ইউনিট থাকবে যেখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সংরক্ষিত কিছু পুলিশ থাকবেন
(যাদের মেডিকেল পুলিশ বলা যেতে পারে) যারা জরুরি পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের
নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলা, হুমকি ও সহিংসতা
প্রতিরোধে এই ইউনিট কাজ করবে।
সরকার
২০২৪ সালের নভেম্বরে ১২ সদস্যের স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিশনের প্রধান
হিসেবে রয়েছেন ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ
খান।
কমিশনের
সদস্য হিসেবে আরও রয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) জনস্বাস্থ্য ও
হেলথ ইনফরমেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক মো. মুহাম্মদ জাকির হোসেন, পথিকৃৎ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান
অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার, শিশু নিউরো
বিজ্ঞান বিভাগের নিউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নাইলা জামান খান, সাবেক সচিব এম এম রেজা,
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মুজাহেরুল হক, আইসিডিডিআরবি’র ডা. আজহারুল ইসলাম, স্কয়ার
হাসপাতালের স্কয়ার ক্যান্সার সেন্টারের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, গ্রিন লাইফ
সেন্টার ফর রিউম্যাটিক কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চের প্রধান পরামর্শক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল
হক, আইসিডিডিআরবি’র
বিজ্ঞানী ডা. আহমেদ আহসানুর রহমান এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ওমায়ের আফিফ।
মন্তব্য করুন
নিজেদের সংখ্যালঘু হিসেবে নয়, বরং মানুষ
হিসেবে এবং বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করে সাংবিধানিক অধিকার চাওয়ার আহ্বান
জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে হিন্দু
সম্প্রদায়ের ওপর বিভিন্ন হামলার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার
প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী
মন্দিরে সনাতন ধর্মালম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, এমন বাংলাদেশ আমরা করতে যাচ্ছি, যেখানে সবাই এক পরিবার। এটা হলো মূল জিনিস। এখানে
পরিবারের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা, বিভেদ করা, এটার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমরা মুসলমান,
হিন্দু, বৌদ্ধ হিসেবে বিবেচিত নই; মানুষ হিসেবে বিবেচিত। আমাদের অধিকারগুলো নিশ্চিত
হোক। আপনারা যদি টেনে টেনে নিয়ে আসেন আমি ওমুক, আমি তমুক, এটা আবার পুরোনো জায়গায় চলে
গেলো। আপনারা বলেন যে আমি মানুষ, আমি বাংলাদেশের মানুষ, আমার সাংবিধানিক অধিকার এই,
আমাকে দিতে হবে। সব সরকারের কাছে এটাই চাইবেন। সব সমস্যার গোড়া হলো আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো
পচে গেছে। এ কারণেই এসব গোলমাল হচ্ছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করতে হবে। ন্যায়বিচার
হলে কে বিচার পাবে না আমাকে বলেন। কোন ধর্মের, কোন জাতের, আইনে কি বলা আছে যে মুসলমান
সম্প্রদায় হলে এই আদালতে হবে, হিন্দু হলে ওই আদালতে যাবে। সবার জন্য আইন একটা, কার
সাধ্য আছে সেখানে বিভেদ করে যে এ রকম একটা, ওই রকম একটা। এটা এমন রোগ, মূলে যেতে হবে।
আপনারা যদি বলেন আমাদের সংখ্যালঘুরা, এটা বললে মূল সমস্যা থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি।
আমাদের বলতে হবে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেটা পেলে বাকস্বাধীনতা
প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটিই হলো আমাদের মূল লক্ষ্য।
সনির্বন্ধ অনুরোধ আপনারা বিভিন্ন খোপের (বিভেদ) মধ্যে চলে যাইয়েন না। এই খোপ হলে, খোপের
মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি লেগে যাবে। এক হয়ে আসেন। এক আইন, আমাদের আইনি অধিকার দিতে
হবে। বলেন, আপনারা আইনি অধিকার পান না, বিচার হয় না। এটাই হলো আসল জিনিস। বিচারব্যবস্থা
আমাদের দিকে তাকায় না, পুলিশ আমাদের দিকে তাকায় না। কারণ, আমি অধিকারটা … করতে পারি
নাই। আমাদের নীতিটা আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারি নাই। খোপ খোপ করতে আরম্ভ করবেন, তারাও
মজা পেয়ে যাবে। ওই মজার খেলাতে আমাদের আর নিয়ে যাইয়েন না। আমরা এসেছি, আমরা এক মানুষ,
আমাদের এক অধিকার। এর মধ্যে কোনো পার্থক্য করা যাবে না। একটু সহযোগিতা করেন আমাদের,
একটু ধৈর্য্য ধরেন। কী করতে পারলাম, কী পারলাম না সেটা পরে বিচার কইরেন। যদি না পারি
আমাদের দোষ দেবেন।
এর আগে সনাতন ধর্মের ধর্মীয় নেতারা
বিভিন্ন সময় তাদের ওপর হামলার কথা তুলে ধরেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের কাছে এসব
সমস্যার স্থায়ী প্রতিকার চান। ড. মুহাম্মদ ইউনূস অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়
প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে তাদের আশ্বাস দেন।
মন্তব্য করুন