বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে পাঁচটি কূটনৈতিক দলিলে স্বাক্ষর করা হয়েছে। এর
মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট বা অভিপ্রায়পত্র
রয়েছে।
শুক্রবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারাসহ প্রমুখ।
বৈঠকের আগে থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে
স্বাগত জানান। এরপর থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী
স্রেথা থাভিসিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এসব দলিলে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি,
পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্তবাণিজ্য
চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অব ইন্টেন্ট সই হয়।
দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানীর গভর্নমেন্ট হাউজে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসকল
তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৈঠক নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ
পরিবেশে বৈঠক হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক
বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি
বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের আহ্বান
জানান। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক
জোন করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১.৩ মিলিয়ন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ
আশ্রয় দিয়েছে। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে
বলে জানান ড. হাছান।
তিনি বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন। এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও
এই পালিয়ে আসা মানুষদের ভারে জর্জরিত। এ সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের
একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে
জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ)
৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। সফর শেষে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা
রয়েছে।
মন্তব্য করুন
রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ড রোধে রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, আমার মনে হয়, রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে আরো বেশি সতর্ক হওয়া উচিত। সামান্য একটা ভুলের জন্য ৪৫টা প্রাণ চলে গেল, এর থেকে মর্মান্তিক আর কিছু হতে পারে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আরো বেশি অভিযান পরিচালনা করা উচিত। এই দুই প্রতিষ্ঠান আরো বেশি সতর্ক হলে অগ্নিকাণ্ড সামনের দিনে কমে আসবে।
(২ মার্চ) শনিবার সকালে ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি আয়োজিত ২৩তম আন্তর্জাতিক সায়েন্টিফিক সেমিনারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসপাতালে সব ধরনের অনিয়ম বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অতীতে কী হয়েছে সেগুলো মনে রাখা যাবে না। ইচ্ছা করলেই অনিয়ম করে আর হাসপাতাল খোলা যাবে না। অভিযান লাগাতার চলবে।
সামন্ত লাল বলেন, আমি বাংলাদেশের সব হাসপাতাল বন্ধ করার পক্ষে না। হাসপাতাল থাকবে, সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালও থাকবে। কিন্তু সে হাসপাতালগুলোকে নিয়ম মেনে যা যা ক্রাইটেরিয়া দরকার সেগুলো মেনে চলতে হবে।
মন্তব্য করুন
থাইল্যান্ডে
ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে আজ দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার
(২৯ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের
একটি ফ্লাইট সকাল ১১টা ২৭ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ
করে।
এর আগে ব্যাংককের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে বিমানটি
ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে আসে।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল)
ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে যান।
এই
সফরকে দুই দেশের সম্পর্কের একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা ও থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিন।
প্রধানমন্ত্রীর
সফরে ঢাকা এবং ব্যাংককের মধ্যে পাঁচটি নথি সই হয়।
মন্তব্য করুন
সব
দলকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে
আওয়ামী লীগ এর সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,
নির্বাচনের দরজা সবার জন্য
উন্মুক্ত।
১৭
নভেম্বর (শুক্রবার) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী
লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভায় বক্তৃতায় তিনি
এ আহ্বান জানান।
সব
রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের
আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,
নির্বাচনের শিডিউল (তফসিল) ঘোষণা হয়েছে। সবাই আসেন, ইলেকশনে
অংশগ্রহণ করেন, ইলেকশনে জনগণের কাছে গিয়ে জনগণের
ভোট চান। এই যে
অপরাধ করেছেন জনগণের কাছে, বিশেষ করে জামায়াত-বিএনপি,
অগ্নিসংযোগ করে জনগণকে হত্যা
ও জানমালের ক্ষতি করেছেন, সেজন্য জাতির কাছে মাফ চেয়ে
তারপর নির্বাচনে আসেন, সেটাই আমরা চাই। নির্বাচনের
দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত।
আন্দোলন
করে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না
মন্তব্য করে শেখ হাসিনা
বলেন, আগুন নিয়ে খেলছে।
বিএনপি এবং তাদের যে
জোট আছে, তাদের শুধু
একটা কথা বলবো- এই
আগুন নিয়ে খেলা বাংলাদেশের মানুষ
কখনো মেনে নেবে না।
(অতীতে) তারা নির্বাচন বানচাল
করতে চেয়েছে, এটাও তারা বানচাল
করতে পারবে না।
তফসিল
ঘোষণার জন্য নির্বাচন কমিশনকে
ধন্যবাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,
ধন্যবাদ জানাই আমাদের নির্বাচন কমিশনকে। তারা অন্তত এ
জ্বালাও-পোড়াওয়ে ভীত না হয়ে,
সাংবিধানিক নিয়ম মেনে সময় মতো
নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা আরও বলেন,
এখন নির্বাচন যেন যথাসময়ে সুষ্ঠুভাবে
হয় সেজন্য জনগণ ও দেশবাসীর
সহযোগিতা আমি চাই। নির্বাচন
জনগণের অধিকার, এটা তাদের সাংবিধানিক
অধিকার। সময় এসেছে নির্বাচন
হবে। জনগণ ভোট দেবে।
কারও যদি সাহস থাকে
এসে ইলেকশন করবে। জনগণের ভোট পাওয়ার অবস্থা
যদি থাকে তাহলে ভোট
পাবে। জনগণ যাকে ভোটে
নির্বাচিত করবে সেই সরকার
গঠন করবে।
আওয়ামী
লীগ এর সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভায় দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ওবায়দুল কাদেরসহ
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী
সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমাদের ছেলেমেয়েরা দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও খেলাধুলায় ভালো অর্জন করছে। যেটা স্বাধীনতার পরপরই শুরু হয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেসময় রাশিয়া-ভারত এমনকি ভিয়েতনামে পর্যন্ত আমাদের যুব টিম পাঠিয়েছিলেন। তিনি প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করেছিলেন। কাজেই সেইভাবে আমাদের খেলাধুলাকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
বুধবার(৭ ফেব্রুয়ারী) ৫২তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে শুধু ক্রিকেট-ফুটবল না, সব ধরনের খেলাধুলার প্রতি বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। আন্ত স্কুল, আন্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতা গড়ে তোলার দরকার। এতে করে আমাদের ছেলেমেয়েদের যেমন শরীরচর্চা হবে, তেমনি তাদের মন মানসিকতা আরও সুন্দরভাবে গড়ে উঠবে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, খেলাধুলার জন্য আমাদের ছেলেমেয়েদের আরও উন্নত প্রশিক্ষণের দরকার। আমরা দেশের ৮ বিভাগেই একটি করে ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলব। যেখানে আমাদের ছেলেমেয়েরা ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলায় পারদর্শী হয়ে উঠতে পারবে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জনসভায় যোগ দিতে আগামী মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রংপুরে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার প্লেনযোগে শ্বশুরবাড়ির এলাকা রংপুরের পীরগঞ্জে (রংপুর-৬) যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেখানে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন তিনি।
গত ২০ ডিসেম্বর হজরত শাহজালাল ও হজরত শাহ পরানের মাজার জিয়ারতের পর সিলেটের আলিয়া মাদরাসা মাঠে জনসভার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগ প্রধান।
২১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়িতে নির্বাচনী জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা।
২৩ ডিসেম্বর বিকেলে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নেত্রকোনা, রাঙামাটি এবং বরগুনা জেলার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলার জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করেন তিনি।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে আরও ৬ জেলায় নির্বাচনী জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা।
আগামী ২৯ ডিসেম্বর বরিশাল সফরে যাবেন আওয়ামী লীগ প্রধান। এদিন বিকেল ৩টায় বরিশাল জেলা সদরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন ।
এরপর আগামী ৩০ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলা সফর করবেন আওয়ামী লীগ প্রধান। এদিন গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) আসন নিজের নির্বাচনী এলাকায় জনসভায় বক্তব্য দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এ ছাড়া এদিন মাদারীপুর-৩ আসনেও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামী ১ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকায় নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এদিন বিকেল ৩টায় মোহাম্মদপুর শারীরিক চর্চা কেন্দ্র মাঠে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ৬ জেলার নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেবেন। বিকাল ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে ৬টি জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করবেন।
আওয়মী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আজ পর্যায়ক্রমে জামালপুর ও শেরপুর জেলা, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী এবং চাঁদপুর ও বান্দরবান জেলার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন। কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, সংশ্লিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা-থানা-পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন-ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা এবং সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নির্বাচনী এলাকাগুলোর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা উপস্থিত থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর ৫ জেলায় এবং ২৩ ডিসেম্বর ৬ জেলায় নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন
কমিশন (ইসি) আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনভিত্তিক ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ
করছে। আইন অনুযায়ী নির্বাচনের ২৫ দিন আগে ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশের করার বিধান রয়েছে।
আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ
সরকারি মুদ্রণালয়ে ধারাবাহিকভাবে গেজেট ছাপানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
ইসির
অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, এবার ৪ হাজার ১০৩টি ভোটকেন্দ্রে চূড়ান্ত করা
হয়েছে।
কর্মকর্তারা
জানান, গত ৪ ডিসেম্বর থেকে ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ শুরু হয়। এটি ধারাবাহিকভাবে সম্পন্ন
করা হবে।
ইসির
উপসচিব (নির্বাচন সমন্বয় ও সহায়তা শাখা) মো. মাহবুব আলম শাহ স্বাক্ষরিত ভোটকেন্দ্রের
গেজেট সকলের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করছে ইসি সচিবালয়। এতে ভোটকেন্দ্রের ক্রমিক নম্বর, ভোটকেন্দ্রের
নাম ও অবস্থান, ভোটকক্ষের সংখ্যা, ভোটার এলাকা, পুরুষ, নারী, হিজড়া ভোটার এবং মোট ভোটার
সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে।
ইসির
অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল ২ হাজার
৭১৬টি। তারমধ্যে বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি, যা মোট দাখিলকৃত
মনোনয়নপত্রের ২৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বা ২৭ শতাংশ। আর বৈধ হয়েছে ১ হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র,
যা দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের ৭৩ দশমিক ০৮শতাংশ বা ৭৩ শতাংশ।
ইসি
সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল
আবেদন জমা পড়েছে। আর ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর শুনানি আপিল আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন
কমিশন।
ইসি
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা
প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার
৬৩৩ জন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক অভিনন্দন বার্তায় সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করায় আমি আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
এই ফলাফল বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে আপনার নেতৃত্ব এবং নিষ্ঠার কথাই বলে। ’
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার অভিনন্দন বার্তায় আরও বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের স্বল্প-আয়ের থেকে একটি নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের যাত্রা, যা জনগণের মঙ্গলের প্রতি আপনার অঙ্গীকারেরই প্রমাণ। ’
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার উল্লেখ করেন, ‘আপনি যখন আপনার পরবর্তী মেয়াদ শুরু করবেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে, বাংলাদেশ তার উন্নতি অব্যাহত রাখবে, নতুন মাইলফলক অর্জন করবে এবং সুশাসনের জন্য বৈশ্বিক মানদ- স্থাপন করবে। ’
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার আরও বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনগণের জন্য ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে আপনাকে এবং আপনার প্রশাসনকে সমর্থন দেওয়ার সুযোগের অপেক্ষায় আছি। ’
সবশেষে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বলেন, ‘আবারও এই অর্জনের জন্য আপনাকে অভিনন্দন। আমি আপনার সার্বিক সাফল্য কামনা করি এবং আবারও আপনার সাথে দেখা করার জন্য আমি অপেক্ষায় আছি। ’
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) আসন চাওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন ১২টা বাজে, ৪টা পর্যন্ত দেখি। এই ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। সব ফাইনাল হয়ে যাবে ৪টার মধ্যে।’
আজ রবিবার(১৭ডিসেম্বর) ধানমন্ডিতে দলের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টির নিজস্ব চাওয়া আছে। তাদের নির্দিষ্টসংখ্যক আসন ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। সেসব আসনে নৌকার প্রার্থী থাকবে না।’
তিনি অরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। কোনো অশোভন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।’
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনকে ‘ভাগাভাগি’ বলছে। যে নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দল এবং প্রায় ২২শ প্রার্থী আছে, সে নির্বাচন কীভাবে ভাগাভাগির নির্বাচন হয়?
মন্তব্য করুন
নির্বাচনে নৌকা প্রতীক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আওয়ামী নেতাদের জয়-পরাজয়ের কষ্ট ভুলে আবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামীলীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এ যৌথসভা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নির্বাচন করেছি সবার সঙ্গে। হয়তো কেউ হেরেছি অথবা কেউ জিতেছি, কষ্ট আছে কারো, কারো আনন্দ আছে। কিন্তু ওই আনন্দ-দুঃখ-কষ্ট-হাসি-কান্না সব মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে আবার এক হয়ে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, জনগণের স্বার্থে জনগণের কল্যাণে মানুষের জন্য। মানুষের যে আস্থা-বিশ্বাস আমরা অর্জন করেছি, সেটা যেন কোনোভাবে হারিয়ে না যায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দলটা সবচেয়ে বড়। সংগঠন যদি পাশে না থাকে তো, কোনো অর্জন করা সম্ভব হয় না। প্রতিটা সাফল্যের পেছনে একটা শক্তি দরকার। আমার শক্তি বাংলাদেশের জনগণ, আওয়ামীলীগ ও আমাদের সহযোগী সংগঠনগুলো।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনটা যাতে না হয়, সে জন্য অনেক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র ছিল। ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমরা নির্বাচন করেছি। আমরা নির্বাচনে সবসময় মনোনয়ন দিই, মনোনয়ন দিয়েছি। আমাদের বড় দল, অনেকেই নির্বাচন করতে চায়, সেজন্য নির্বাচনটা উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। যে-যারা করতে চায়, করুক।
নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা নির্বাচন করেছে, কেউ জয়ী হয়েছে, কেউ পারেনি। সেক্ষেত্রে আমি সবাইকে অনুরোধ করব, একজন আরেকজনকে দোষারোপ করা, কার কী অপরাধ সেগুলো খুঁজে বেড়ানো বন্ধ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দল ছাড়া আরও কয়েকটি দল অংশ নিয়েছে। আমরা জনগণের যে সমর্থন পেয়েছি, সেটা কাজের স্বীকৃতি হিসেবে। দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছি, ভোট দিয়েছে, আমাদের জয়ী করেছে।
নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সজাগ থাকতে হবে। অগ্নিসন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ করে যারা রেলগাড়িতে মা-শিশুসন্তানকে পুড়িয়ে মারে, যারা বাসে আগুন মানুষ মারে, ওই অগ্নি সন্ত্রাসীদের বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। তাদের মিথ্যাচার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।
মন্তব্য করুন