প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি এক অভিনন্দন বার্তায় বলেন, আমি বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের পক্ষ থেকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ২০২৪ সালে আপনার বিজয়ের জন্য আপনাকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে পেরে আনন্দিত।
মন্তব্য করুন
আগামীকাল
ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের সাইডলাইনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে বলে নিশ্চিত
করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথমবারের মত অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির
বৈঠক হতে চলেছে।
প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসকে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের সরকার প্রধানের
মধ্যে আগামীকাল বৈঠক হবে। ব্যাংককে আজ বিমসটেক সম্মেলনের নৈশভোজে দুই নেতার সাক্ষাৎ
হয় এবং তারা কুশলাদি বিনিময় করেন। নৈশভোজে উভয় নেতাকে বেশ কিছু সময় ধরে ঘনিষ্ঠভাবে
কথা বলতে দেখা গেছে। বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটের (বিমসটেক) শীর্ষ
সম্মেলন উপলক্ষে অধ্যাপক ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি বর্তমানে ব্যাংককে অবস্থান করছেন। ২
থেকে ৪ এপ্রিল ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
পার্বত্য অঞ্চলকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশের
উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি দিবস’ উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন,
দেশের মোট আয়তনের এক দশমাংশ এলাকায় পার্বত্য অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর বসবাস। তাই পার্বত্য
অঞ্চলকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, পার্বত্য জেলাসমূহের নৈসর্গিক সৌন্দর্য সংরক্ষণ ও পর্যটন শিল্পের প্রসারে
স্থানীয় জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে নানামুখী সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে বেকারত্ব
হ্রাস পাবে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এবং জীবনযাত্রার উন্নতি ও সামাজিক বৈষম্য
দূর হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল অধিবাসীর জীবনে শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির
অভিযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আবশ্যক। প্রতি বছরের মতো এবারও
‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি দিবস-২০২৪’
পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি দেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সকল
জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। ১৯৯৭ সালের এই দিনে বাংলাদেশ সরকার
এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এর মধ্যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এটি একটি
রাজনৈতিক চুক্তি ছিল যা শান্তি চুক্তি নামেও পরিচিত। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের
মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে
বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ
ইউনূস 'পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি দিবস-২০২৪’-এর
সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন,ভোটে অনিয়মের ছবি প্রকাশ হওয়ায় সদ্য সমাপ্ত লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত রোববার (৫ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। ভোটে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ ওঠে। ভোটার তালিকা ত্রুটিপূর্ণ বলেও অভিযোগ করেন প্রার্থীরা।
আসনটিতে উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা কলার ছড়ি প্রতীকে পান ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট।
অন্যদিকে, লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনেও অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টির প্রার্থী। ভোটের দিন দুপুরে দুই প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
উপনির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক। ভোটের পরদিন গতকাল সোমবার দুপুরে সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ বাজারে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বর্তমান নির্বাচন কমিশন দিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
এছাড়া আসনটিতে ভোটগ্রহণ চলাকালে একটি কেন্দ্রে ‘জাল ভোটের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেখানকার একটি ভোটকেন্দ্রে একজনকে একাধিক ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে দেখা যায়। গতকাল সোমবার সেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর সুষ্ঠু ভোট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
ভাইরাল হওয়া ৫৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ভোটকক্ষে বসে এক ব্যক্তি ব্যালট পেপারে বিরামহীনভাবে নৌকা প্রতীকে সিল মারছেন। তার গলায় নৌকা প্রতীকের কার্ড ঝুলছে। এসময় ৪৩টি ব্যালটে নৌকা প্রতীকে তাকে সিল মারতে দেখা যায় তাকে।
এরপরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একাধিক সিল মারা ওই ব্যক্তির নাম আজাদ হোসেন। তিনি সদর উপজেলা দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। তবে ওই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারা আজাদকে ছাত্রশিবিরের কর্মী বলে দাবি করেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর একই দিনে মারা যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভুঁইয়া ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল। তাদের মৃত্যুতে গত ৪ অক্টোবর আসন দুটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
আসনটিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে পিংকু ১ লাখ ২০ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মোহাম্মদ রাকিব হোসেন লাঙল প্রতীকে পান ৩ হাজার ৮৪৬ ভোট।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে গিয়ে প্রয়াত ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
হাইকমিশনে খোলা শোক বইয়ে শোকবার্তাও লিখেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গত সপ্তাহে মারা যাওয়া প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে ৭ দিনের শোক পালন করছে ভারত।
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা সকাল সাড়ে ১১টায় বারিধারায় হাইকমিশনে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস হাইকমিশনারের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের বন্ধু মনমোহন সিংয়ের স্মৃতিচারণ করেন।
প্রয়াত ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, তিনি (মনমোহন সিং) অনেক সরল এবং জ্ঞানী ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, ভারতকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত করতে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন মনমোহন সিং।
মন্তব্য করুন
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে নিউইয়র্ক সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) স্থানীয় সকাল ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা।
এর আগে নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১১টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল) প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীরা এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন।
তার আগে ৯ দিনের সফরে গত ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক যান প্রধান উপদেষ্টা। এবার প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন মধ্যে- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা। এ ছাড়া জামায়াত নেতা নকিবুর রহমান তারেক যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতিনিধি দলে যুক্ত হন।
সফরে প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বক্তব্য দেওয়া ছাড়াও সাইডলাইনে বিভিন্ন সরকার ও রাষ্ট্র প্রধান, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কার্যক্রমে সমর্থন দেওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপানি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে তাদের অবস্থান অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে জাপানি রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, জাপান সরকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক— এই তিনটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করবে।
কিমিনোরি বলেন, ‘আমরা এই তিনটি স্তম্ভের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’
তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সংস্কার কার্যক্রমে টোকিওর ‘দৃঢ় সমর্থনের’ কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে অবদান রাখায় জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের প্রশংসা করে বলেন, ‘এই সম্পর্ক সবসময় খুব শক্তিশালী ছিল।’
সরকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি আমাদের জন্য ইতিবাচক বার্তা দেয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ থেকে জাপানি কোন কোম্পানিও চলে যায়নি। তারা এখানে থাকতে আগ্রহী।’
তিনি নিক্কেইয়ের বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান। সেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, ওই সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূস জাপানের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন এবং তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাতে পারবেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার পদক্ষেপের প্রশংসা করে জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, টোকিও এই বৈঠককে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।
অধ্যাপক ইউনূস মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের গ্যারান্টিযুক্ত একটি নিরাপদ এলাকা তৈরির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন, যেখানে সংঘাত শেষ হওয়ার পর বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে তাদের বাড়িতে ফেরার পূর্বে সাময়িকভাবে পুনর্বাসিত করা যেতে পারে।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
কাজের ক্ষেত্রে কারো রক্তচক্ষু বা ধমক
আমলে না নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মাঠ প্রশাসনকে
আইন অনুযায়ী দেশের জন্য কাজ করতে বলেছেন।
আজ রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে
১০টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, কারও রক্তচক্ষুর কারণে, কারো ধমকের কারণে কোনো কাজ করার প্রয়োজন নাই। আমি
নিজের মতো করে যেটাই আইন, যেটা দেশের জন্য করা দরকার সেটা করবো। সে কাজেই আমি ব্যস্ত
থাকবো যাতে আমি করতে পারি।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বিনা কারণে মানুষকে হয়রানি করা হয়। হয়রানি
করাটাই যেন আমাদের ধর্ম! সরকার মানেই মানুষকে হয়রানি—এটার থেকে উল্টে দাও। সরকার ভিন্ন জিনিস,
আপনার অধিকার আপনার দরজায় পৌঁছে দেওয়া আমাদের কাজ। এটাই যেন আমরা স্মরণ রাখি।
দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠাকে সর্বোচ্চ
অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যেহেতু এমন পরিস্থিতিতে
এসেছি, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা মস্ত বড় ইস্যু হয়ে গেল। এটাতে আমরা কে কী পরিমাণে
অগ্রসর হলাম, কী করণীয়—এটা
এক নম্বর বিবেচ্য বিষয়। আইন-শৃঙ্খলায় আমরা যেন বিফল না হই, কারণ এটাতে আমাদের সমস্ত
অর্জন সফলভাবে অর্জিত হতে বা বিফলতায় পর্যবসিত হতে পারে। সেটাই নিয়ে এই সম্মেলনে আলোচনা
হোক। ফিরে যাওয়ার পর যেন এটা বোঝার মধ্যে কোনো গলদ না থাকে।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সাক্ষাৎ করেছেন।
আজ রোববার (১০ নভেম্বর) ঢাকায় তেজগাঁও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের মূল কথাই ছিল সংস্কার। তার সরকার নির্বাচনের আগে সেই সংস্কার করতে বদ্ধপরিকর।
আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে আরও বেশি সুইডিশ বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই’। তার সরকার দুর্নীতি দমন করেছে, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বিনিয়োগ সহজ করেছে এবং শ্রম আইনের বিষয়ে আইএলও কনভেনশন অনুমোদনের উদ্যোগ নিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত উইকস জানান, সুইডেনের সরকার ইউনূস-নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এবং পুলিশের সংস্কার, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন পুনর্গঠনের উদ্যোগকে সমর্থন করে।
নিকেলাসউ উইকস বলেন, 'আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে এই পরিবর্তনকালে আমাদের পূর্ণ সমর্থন আপনার সঙ্গে রয়েছে।'
বৈঠককালে তারা জুলাই-আগস্ট বিপ্লব, সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাংলাদেশের সুইডিশ বিনিয়োগ এবং গণঅভ্যুত্থানে নারীদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে, তবে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে, বিশেষ করে সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠীর উচ্চ প্রত্যাশা পূরণের ক্ষেত্রে। 'দাবিদাওয়া মেটানো একটি বড় কাজ। আমরা চেষ্টা করছি, তবে খুব সতর্কও রয়েছি,' তিনি বলেন।
এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক শাহীনা গাজী।
মন্তব্য করুন
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মোহাম্মদ ইসহাক দার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
আজ রোববার (২৪ আগস্ট) বৈঠকে দুই নেতা
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান
বৃদ্ধি, তরুণ প্রজন্মের পারস্পরিক যোগাযোগ এবং সার্কের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা পুনরুজ্জীবনের
ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উপপ্রধানমন্ত্রী দার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
মোহাম্মদ শেহবাজ শরিফের শুভেচ্ছা পৌঁছে দিয়ে বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী আপনাকে আন্তরিক
শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসও উষ্ণ শুভেচ্ছা
জানিয়ে শরিফের সঙ্গে অতীতে সাক্ষাতের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রতি বার আমাদের
সাক্ষাতে সার্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি অভিন্ন, সার্ক আমাদের উভয়ের
কাছেই অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত।
ইসহাক দার দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির
সুযোগ তুলে ধরে বলেন, আমাদের দুই অর্থনীতি পরিপূরক। বহু ক্ষেত্রে আমরা একসঙ্গে কাজ
করতে পারি। তিনি দারিদ্র্য বিমোচন ও কমিউনিটি ভিত্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে অধ্যাপক
ইউনূসের ভূমিকার উচ্চ প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশ সৌভাগ্যবান যে, আপনার মতো একজন সরকারপ্রধান
রয়েছে— আপনি এমন একজন নেতা যিনি বিশ্বকে অনুপ্রাণিত
করেন।
সফরকালে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের বাণিজ্য ও জ্বালানি উপদেষ্টাসহ কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন এবং বিভিন্ন
রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও আঞ্চলিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের আহ্বান
জানিয়ে বলেন, আমি সার্ককে উৎসাহিত করি এবং পাকিস্তানসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের
সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের একটি হিসেবে দেখি।
তিনি সাংস্কৃতিক বিনিময়ের গুরুত্ব তুলে
ধরে বলেন, যখন পাকিস্তানি শিল্পীরা বাংলাদেশে গান পরিবেশনা করেন, সবাই তাদের প্রশংসা
করে। এই চেতনার ওপরই আমাদের সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
১৩ বছর পর বাংলাদেশ সফরে আসা পাকিস্তানের
কোন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন ইসহাক দার। তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে নৌ ও বিমান যোগাযোগ
উন্নত করার প্রচেষ্টা চলছে।
ইসহাক দার বলেন, অক্টোবরের মধ্যে ফ্লাই
জিন্নাহ ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট চালু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া পিআইএও বেসরকারিকরণের
পর ঢাকা রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু করবে।
বৈঠকে উভয় নেতা আশাবাদ ব্যক্ত করেন
যে, বাণিজ্য বৃদ্ধি, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও আঞ্চলিক সহযোগিতা দক্ষিণ এশিয়াকে আরও স্থিতিশীল
ও সমৃদ্ধ করবে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক
বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
(সূত্র- বাসস)
মন্তব্য করুন