

আগামীকাল দেশে ফিরছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুর ২টা ১০ মিনিটে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে তার দেশে আসার কথা রয়েছে।
আজ বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ইউনূস সেন্টার থেকে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
জানা যায়, অলিম্পিক কমিটির আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্যারিসে গিয়েছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন, তার একটি ছোট অস্ত্রোপচার হয়েছে। সেই কারণে তার ফিরতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্তির পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দেশের পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শিক্ষার্থী আন্দোলনের মুখে গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
মন্তব্য করুন


বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অর্থ আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরানোর কাজ শুরু করেছে সরকার।
এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোর নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বিএফআইইউ, পুলিশের সিআইডি ও দুদকের সহায়তায় আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশে পাচার করা অর্থ প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থ পুনরুদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে।
সরকার খুব শিগগির একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করবে, যারা সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যাংকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করবে এবং ব্যাংকগুলোর
পুনর্গঠনের জন্য ছয় মাসের মধ্যে একটি বাস্তবায়নযোগ্য রোডম্যাপ প্রণয়ন করবে।
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও প্রতারণার মাধ্যমে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং বিদেশে পাচার করেছেন। এর সঠিক পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ চলমান আছে। এই আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ লক্ষাধিক কোটি টাকার ওপরে বলে ধারণা করা যায়।
অর্থ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার সহায়তা চেয়ে ইতিমধ্যে যোগাযোগ শুরু করা হয়েছে।
এ ধরনের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইতিমধ্যে সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে
সংস্কার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
নতুন ব্যবস্থাপনা
কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা এসব অর্থের প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং তাদের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থের প্রকৃত পরিমাণ নির্ণয়ে অডিট কার্যক্রম শুরু করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের লক্ষ্য হলো সব আন্তর্জাতিক
মানদণ্ড পরিপালনে সক্ষম একটি শক্তিশালী ব্যাংকিং খাত গড়ে তোলা। তবে এই উদ্দেশ্য অর্জনের কার্যক্রম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কারিগরি সহায়তা ও অর্থের প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার অর্থ আত্মসাৎকারীদের দেশি-বিদেশি সম্পদ অধিগ্রহণ ও বিদেশ থেকে ফেরত এনে ব্যাংকগুলোকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে। ব্যাংকগুলোর এই পুনর্গঠন ও আর্থিক খাতের কাঠামোগত সংস্কার সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে সরকার বাংলাদেশের আর্থিক খাতকে আন্তর্জাতিক
মানের করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
মন্তব্য করুন


বৈঠকে কৃষি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, যুব উন্নয়ন
এবং তরুণ ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের সম্ভাবনাসহ বিভিন্ন
ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিয়ে মতবিনিময়
করেন দুই পক্ষ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে
অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি
জানান, আওয়ামী লীগ আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, কারণ দলটির কার্যক্রম
নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন তাদের নিবন্ধন স্থগিত করেছে। আগের স্বৈরাচারী
সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত তিনটি ‘কারচুপির নির্বাচনে’ ভোট দিতে না পারা রেকর্ডসংখ্যক
নতুন ভোটার এবার প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এটি আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক
মুহূর্ত। যে তরুণেরা গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের দেয়ালে গ্রাফিতি
ও চিত্র এঁকেছিলেন, এখন তারাই ভোট দিতে আসবেন।
ডাচ ভাইস মিনিস্টার বাংলাদেশের নির্বাচন প্রস্তুতি প্রশংসা
করে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে প্রস্তুতির জন্য সময় ছিল খুব সীমিত, তারপরও
তারা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
পাসকাল গ্রোটেনহুইস বাংলাদেশের শ্রম আইন সংস্কারকেও স্বাগত
জানান। তিনি বলেন, শ্রম খাতে সাম্প্রতিক সংস্কার নেদারল্যান্ডসসহ ইউরোপের আরও বিনিয়োগ
আকৃষ্ট করতে ভূমিকা রাখবে। চলতি মাসের শুরুতে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি
গতকাল এসব আইনে স্বাক্ষর করেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে
পাবলিকুপ্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই করার পরিকল্পনা
করছে নেদারল্যান্ডস। তার আশাবাদ, খুব শিগগিরই এ চুক্তি সম্পন্ন হবে এবং বাংলাদেশের
প্রতি ডাচ বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, পঞ্চাশ বছর ধরে নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশ
উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। এখন আমরা এই সম্পর্ককে সমতা ও অংশীদারত্বের ভিত্তিতে
রাজনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে উন্নীত করতে চাই।
ডাচ ভাইস মিনিস্টার আরও জানান- নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন
কোম্পানি যারা এত দিন বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি করেছে, তারা এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগে
আগ্রহী এবং সরাসরি অংশীদার হিসেবে কাজ করতে চায়।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ
পুলিশ বিভিন্ন জেলায় বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে । ইতোমধ্যে বন্যার্তদের
উদ্ধার এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য জেলাভিত্তিক পুলিশের জরুরি নম্বরও চালু করা
হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর
জানান, বন্যার্তদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার জন্য অনুরোধ জানানো
হয়েছে। এছাড়া জেলাভিত্তিক উদ্ধারে পুলিশ কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেগুলো
হলো-
জেলা
পুলিশ, নোয়াখালী
+8801320111898
জেলা পুলিশ, লক্ষ্মীপুর
+8801320112898
জেলা
পুলিশ, ফেনী
+8801320113898
জেলা
পুলিশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
+880
1320-115898
জেলা
পুলিশ, কুমিল্লা
+880
1320-114898
জেলা
পুলিশ, চাঁদপুর
+880
13 2011 6898
জেলা
পুলিশ, রাঙ্গামাটি
+8801320109898
জেলা
পুলিশ, বান্দরবান
+8801320110898
জেলা
পুলিশ, খাগড়াছড়ি
+8801320110398
জেলা
পুলিশ, চট্টগ্রাম
+8801320108398
জেলা
পুলিশ, কক্সবাজার
+8801320109398
জেলা
পুলিশ, মৌলভীবাজার
+880
1320-120698
জেলা
পুলিশ, হবিগঞ্জ
+880
1320-119698
মন্তব্য করুন


মার্কিন শুল্ক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপদেষ্টা, অর্থনীতিবিদ, বিশেষজ্ঞ ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন।
আজ (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠক শুরু হয়েছে।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূসের সাথে আজ কায়রোতে মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী ড. জাম্বরি আব্দুল কাদির
বৈঠক করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে,
বৈঠকে তাঁরা মতবিনিময় করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টায়
মিশরের রাজধানী কায়রো পৌঁছান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে,
মিশরের পাবলিক বিজনেস সেক্টরের মন্ত্রী মোহাম্মদ শিমি কায়রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে
তাঁকে স্বাগত জানান।
পরে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মন্ত্রীর
সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গতকাল
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কায়রোর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল
কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে জানান, আমিরাত এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট প্রধান উপদেষ্টা
ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে রাত ১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ
করে।
'তরুণদের বিনিয়োগ ও এসএমইকে সহায়তা
করা: আগামীর অর্থনীতিকে রূপদান’
এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন
বা ডেভেলপিং-৮ নামে পরিচিত ডি-৮ ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর
মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতা উৎসাহিত করে।
এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে রয়েছে-
বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্কের মতো
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কয়েকটি দেশ। এই দেশগুলো বিশ্ব জনসংখ্যার অনুমানিক প্রায় ১৪ শতাংশের
প্রতিনিধিত্ব করে।
মন্তব্য করুন


জুলাই
গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্দেশ্যে এক ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আজ আমরা পুরো জাতি একসঙ্গে স্মরণ করছি এমন একটি
দিন, যা এদেশের ইতিহাসে গভীর ছাপ রেখে গেছে। ৫ আগস্ট শুধু একটি বিশেষ দিবস নয়, এটি
একটি প্রতিজ্ঞা, গণজাগরণের উপাখ্যান এবং ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে জাতির পুনর্জন্মের দিন।২০২৪
সালের উত্তাল জুলাই ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক সংকটময় অধ্যায়, ষোল বছরের পুঞ্জিভূত
ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। বুকে গুলি চালিয়ে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চেয়েছিল ফ্যাসিবাদি
সরকার। তারা নির্বিচারে গুলি করেছে, গ্রেপ্তার করেছে, ইন্টারনেট বন্ধ করে হত্যাকাণ্ডের
তথ্য লুকাতে চেয়েছে, রাতের অন্ধকারে এলাকায় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছাত্রদের আটক করেছে।
তিনি
দেশবাসীকে কোন ধরনের নিপীড়নের কাছে মাথা না নোয়াতে এবং গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন ও জনকল্যাণকর
রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
জুলাই
গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দেশজুড়ে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক
অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্টে গুলিবিদ্ধ আহতদের তারা হাসপাতালে চিকিৎসা
নিতে দেয়নি। হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যেন আহতদের ভর্তি না করা হয়। এ কারণে
বহু মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে চিরতরে দৃষ্টি হারিয়েছে, পঙ্গু হয়েছে। ২০২৪ সালের উত্তাল
জুলাই ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক সংকটময় অধ্যায়, ষোল বছরের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
দেশের বিপুল সংখ্যক তরুণ ১৬ বছর ধরে ক্রমাগত হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছে। ভালো ফলাফল করেও
চাকরির জন্য ক্ষমতাসীনদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছে। চাকরিকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি,
তদবির বাণিজ্য। যে তরুণ ঘুষ দিতে পারেনি, এলাকার মাফিয়াদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলতে পারেনি
তার চাকরি হয়নি। সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক
কোটা পদ্ধতি, যেটা মূলত ছিল দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির আরেকটা হাতিয়ার, এর বিরুদ্ধে তরুণ
সমাজ দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করলেও ফ্যাসিবাদী শাসকের টনক নড়েনি। দীর্ঘ এই সময়
প্রতিটি সেক্টরে মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করে একটি সুবিধাভোগী শ্রেণি তৈরি করা হয়েছিল, যারা
আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধার বিনিময়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলবে, কাজ করবে। স্বৈরাচারের
পক্ষের সঙ্গী হলেই তার চাকরি হবে, কাজ মিলবে। সরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,
অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান এমনকি বিচার ব্যবস্থা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক
মণ্ডলেও এই ধরনের সুবিধাভোগী শ্রেণি তৈরি হয়েছিল। এদেশের গরীব-মেহনতি মানুষের পয়সা
লুট করে পতিত ফ্যাসিবাদ ও তাদের সহযোগীরা একেকজন টাকার পাহাড় গড়ে তোলে। সীমাহীন দুর্নীতির
কবলে পড়ে অর্থনীতি ভেঙে পড়ে।
বিগত
১৬ বছরের নিপীড়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই দেড় যুগে প্রতিটি নায্য
দাবি, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের পাশাপাশি দলীয় সন্ত্রাসীরা অস্ত্র হাতে আন্দোলনকারীদের
পিটিয়েছে। গত ১৬ বছরে যারাই সরকারের সমালোচনা করেছে, নাগরিকদের অধিকারের পক্ষে কথা
বলেছে তাদেরকে গ্রেপ্তার অথবা গুম করা হয়েছে। লাখ লাখ বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের
নির্বিচারে আটক-গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে চব্বিশের জুলাইয়ে দেশের
ছাত্রসমাজ, তরুণ প্রজন্ম, সাধারণ মানুষ—সবাই একত্রিত হয়েছে এক নতুন দিনের প্রত্যাশায়।
সমস্বরে তারা বলে ওঠে, এবার ফ্যাসিবাদকে যেতে হবে। তবু দেশের মানুষের বুকে গুলি চালিয়ে
শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে চেয়েছিল ফ্যাসিবাদী সরকার।
জুলাই
গণ-অভ্যুত্থান দিবসে জাতির সূর্য সন্তান জুলাই শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, তাঁদের আত্মার মাগফেরাত
কামনা করছি। জুলাইয়ে যারা আহত হয়েছেন, চিরতরে পঙ্গু হয়েছেন, দৃষ্টি হারিয়েছেন জাতির
পক্ষ থেকে আমি তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এ জাতি আপনাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ
থাকবে। গত বছর ডিসেম্বর মাসে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের কল্যাণ এবং
যাবতীয় বিষয়াদির প্রশাসনিক দায়িত্ব মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওপর ন্যস্ত করা
হয়েছিল। এখন পর্যন্ত ৮৩৬টি শহীদ পরিবারের মধ্যে ৭৭৫টি শহীদ পরিবারকে মোট ৯৮ কোটি ৪০
লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও মাসিক ভাতা বাবদ ব্যাংক চেক দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট যাঁরা আছেন,
তাঁদেরও কয়েকটি বিষয় নিষ্পত্তি সাপেক্ষে সঞ্চয়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এর
পাশাপাশি আহত ১৩ হাজার ৮০০ জন জুলাই যোদ্ধাকে তিনটি ক্যাটাগরিতে নগদ টাকা ও চেক বাবদ
মোট ১৫৩ কোটি ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
প্রধান
উপদেষ্টা আরও জানান, এর মধ্যে ৭৮ জন অতি গুরুতর আহত জুলাইযোদ্ধাকে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড,
তুরস্ক এবং রাশিয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং চিকিৎসা ব্যয় বাবদ এ পর্যন্ত
৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
জুলাইযোদ্ধাদের
চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জেলা ও উপজেলা
পর্যায়ের সকল সরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক বা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে সকল শ্রেণির আহত জুলাই যোদ্ধাদের
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারের পক্ষ
থেকে জুলাই শহীদ ও আহতদের জন্য আরও নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে জুলাইয়ের মহানায়কদের
আত্মত্যাগ তখনই সার্থক হবে যখন এই দেশকে আমরা একটি সত্যিকারের জনকল্যাণকর দেশ হিসেবে
গড়ে তুলতে পারব। আজ আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের
সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের আত্মত্যাগে আমরা পেয়েছি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ।
১৯৭১ সালে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এদেশের জনগণ
সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। লাখো প্রাণের বিনিময়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র
প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পরেও এদেশের মানুষ সুবিচার ও গণতন্ত্র
থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
বৈষম্যহীন
ও জনকল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, আজ আমরা কেবল অতীত
স্মরণ করতে আসিনি,আমরা একটি শপথ গ্রহণ করতে এসেছি। শপথ এই যে—আমরা কোনো ধরনের নিপীড়নের
কাছে মাথা নোয়াব না, আমরা প্রতিষ্ঠা করব একটি জবাবদিহিমূলক, মানবিক, গণতান্ত্রিক এবং
বৈষম্যহীন রাষ্ট্র। এমন রাষ্ট্র, যা সবসময় জনকল্যাণে কাজ করবে। জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগ
আমরা বৃথা যেতে দেব না। তাঁদের আত্মত্যাগই হবে আমাদের পথচলার প্রেরণা। তাঁদের স্বপ্নই
হবে আমাদের আগামী বাংলাদেশের নির্মাণরেখা, আজকের দিনে এটাই হোক আমাদের শপথ।
মন্তব্য করুন


প্রধানমন্ত্রী ২০২২ সালের
২৫ জুন প্রমত্তা পদ্মা নদীর উপর দেশের বৃহত্তম সেতু ৬.১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতু উদ্বোধন
করেছিলেন। নিজস্ব অর্থায়নে ৩২ হাজার ৬০৫.৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে পদ্মা সেতু।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পদ্মা সেতু নির্মাণে নেওয়া ঋণ পরিশোধের ৭ম ও ৮ম কিস্তি হিসেবে ৩১৪,৬৪,৮৬,৯৬৩ টাকার
বেশি গ্রহণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার গণভবনে এক অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি প্রধানমন্ত্রীর
কাছে পদ্মা সেতুর ঋণের সপ্তম ও অষ্টম কিস্তি হিসেবে ৩১৪ কোটি ৬৪ লাখ ৮৬ হাজার ৯৬৩ টাকার
চেক হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব
মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম. নাঈমুল ইসলাম খান, অর্থ বিভাগের
সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদারসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গণভবনে উপস্থিত
ছিলেন।
অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু
কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নেওয়া
হয়।
২০২২ সালের ২৫ জুন সেতু চালু হওয়ার পর থেকে ২০২৪ সালের ২৬ জুন পর্যন্ত পদ্মা সেতু থেকে মোট ১৬৫৩,৭১,৬৫,৫৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
৫ এপ্রিল, সেতু বিভাগ প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তি হিসাবে সেতু থেকে টোল আদায় হিসাবে অর্জিত
রাজস্ব থেকে ৩১৬,৯০,৯৭,০৫০ টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ শুরু করে।
সর্বশেষ কিস্তিসহ সেতু বিভাগ এই পর্যন্ত সরকারকে মোট
১২৬২,৬৬,০৬,৫৪৮ টাকা পরিশোধ করেছে।
মন্তব্য করুন


যৌথবাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গত সাত দিনে ৪২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ (শনিবার) পর্যন্ত অভিযানে এসব লোককে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হতে ৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশন, ১০ পদাতিক ডিভিশন, ১১ পদাতিক ডিভিশন, ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, ৭ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, ৮৬ স্বতন্ত্র সিগন্যাল ব্রিগেড ও ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিটসমূহ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীর মিরপুর-১, ভাষানটেক, ইসিবি চত্বর, কাঁঠালবাগান, হাজারীবাগ এবং দেশের অন্যান্য এলাকা টঙ্গী, নরসিংদী, রাজেন্দ্রপুর, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব যৌথ অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ, ডাকাত দলের সদস্য ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক ব্যবসায়ীসহ ৪২৭ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের নিকট হতে অবৈধ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, পাসপোর্ট, এনআইডি, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
পাশাপাশি অভিযানে বিভিন্ন স্থানে নকল ভোজ্য তেল ও নকল ফলের জুস এর কারখানা সহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা সিলগালা সহ দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আটককৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোন সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সাক্ষাৎ করেছেন।
আজ রোববার (১০ নভেম্বর) ঢাকায় তেজগাঁও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭টি দেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে চলছে।
আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তেজগাঁও কার্যালয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার বৈঠক চলছে।
এ বৈঠকে সমসাময়িক ইস্যু ও অর্থনৈতিক খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্ভাব্য অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
মন্তব্য করুন