বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের কাছে অর্থ সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ উপলক্ষে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বিকেএমইএ ঢাকা কার্যালয়ে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম, এ কে এইচ আখতার হোসেন এবং আরিফুল ইসলাম আদিব।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই আন্দোলনে আত্মত্যাগকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিকেএমইএ সভাপতি বলেন, এ দেশের আপামর জনসাধারণের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন একটি বৈষম্যবিরোধী সমাজ প্রতিষ্ঠার। এর জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তারা আমাদের মাঝেই বেঁচে থাকবেন। আর যারা আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি সবার এগিয়ে আসা উচিত। এ কাজে একাত্ম হতে পেরে আমরা আনন্দিত।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, আহতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অর্থ সহায়তাই শেষ কথা নয়। এক্ষেত্রে মেধা, শ্রম, সর্বোপরি সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
আজকের এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি মনসুর আহমেদ, সহ-সভাপতি (অর্থ) মোর্শেদ সারোয়ার সোহেল, সাবেক সহ-সভাপতি মাসুদুজ্জামান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছানোর
মাধ্যমে জুলাই সনদ ঘোষণা করা হবে। আমরা সবাই আজ এখানে দেশ ও জাতির কল্যাণে একত্রিত
হয়েছি। আশা করি, সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছে আমরা একটি অত্যন্ত সুন্দর জুলাই
সনদ প্রস্তুত করতে পারবো।
আজ
সোমবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক
দলগুলোর দ্বিতীয় দফা সংলাপের উদ্বোধনী বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, সরকার আশা করে যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে এনে জুলাই সনদ
ঘোষণা করা সম্ভব হবে।
প্রধান
উপদেষ্টা নিজে ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি খুব খুশি যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি জাতীয়
ঐকমত্য গড়ে তুলতে এই সংলাপে অংশগ্রহণ করেছেন।
কমিশনের
সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, কমিশনের মেয়াদ ২০২৫ সালের আগস্টে শেষ হচ্ছে এবং
এর আগেই জুলাই মাসে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে কমিশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের ওপর
অর্পিত এই পবিত্র দায়িত্ব পালনে অবশ্যই সফল হতে হবে।
জাতীয়
ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফা সংলাপ আজ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অধ্যাপক ইউনূসের সভাপতিত্বে
শুরু হয়েছে।
উক্ত
সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় জড়িত অংশীজনরা অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসলাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করলেন ।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) রোহিঙ্গা
ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার
সঙ্গে ইফতার করেন তারা।
এর আগে দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে কক্সবাজার পৌঁছান তারা। এরপর বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কক্সবাজারের উখিয়ায় যান জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস। পরে সেখানে রোহিঙ্গা শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
অন্যদিকে
কক্সবাজারে পৌঁছে সেখানে নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরবর্তীতে বিকেলে উখিয়ায় প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব।
উল্লেখ্য, ৪ দিনের সফরে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকায় পৌঁছান জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ
পুলিশ বিভিন্ন জেলায় বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে । ইতোমধ্যে বন্যার্তদের
উদ্ধার এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য জেলাভিত্তিক পুলিশের জরুরি নম্বরও চালু করা
হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর
জানান, বন্যার্তদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার জন্য অনুরোধ জানানো
হয়েছে। এছাড়া জেলাভিত্তিক উদ্ধারে পুলিশ কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেগুলো
হলো-
জেলা
পুলিশ, নোয়াখালী
+8801320111898
জেলা পুলিশ, লক্ষ্মীপুর
+8801320112898
জেলা
পুলিশ, ফেনী
+8801320113898
জেলা
পুলিশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
+880
1320-115898
জেলা
পুলিশ, কুমিল্লা
+880
1320-114898
জেলা
পুলিশ, চাঁদপুর
+880
13 2011 6898
জেলা
পুলিশ, রাঙ্গামাটি
+8801320109898
জেলা
পুলিশ, বান্দরবান
+8801320110898
জেলা
পুলিশ, খাগড়াছড়ি
+8801320110398
জেলা
পুলিশ, চট্টগ্রাম
+8801320108398
জেলা
পুলিশ, কক্সবাজার
+8801320109398
জেলা
পুলিশ, মৌলভীবাজার
+880
1320-120698
জেলা
পুলিশ, হবিগঞ্জ
+880
1320-119698
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে
প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচনের আয়োজন করা হবে বলে কূটনীতিকদের জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এজন্য বন্ধু রাষ্ট্র ও সংস্থাগুলোর পূর্ণ
সমর্থন চেয়েছেন।
রোববার
(১৮ আগস্ট) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত,
হাইকমিশনারসহ জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের ব্রিফ করেন ড. ইউনূস। পরে প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি
বলেন, বাংলাদেশে যে দূতাবাসগুলো আছে তার রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘের যেসব সংস্থার প্রধান
এখানে আছেন তাদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তিনি সবাইকে
ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি সবার পূর্ণ সমর্থন চেয়েছেন।
প্রেস
সচিব আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন- এটা দ্বিতীয় রেভ্যুলেশন ছিল। এখানে এত মানুষের
সম্পৃক্ততা ছিল যে তিনি বলেছেন ১৯৭১ সালে যদি প্রথম রেভ্যুলেশন হয় এটা দ্বিতীয় রেভ্যুলেশন।
তার বার্তা ছিল দ্রুত অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করা। উনি নির্বাচনটি
তখনই করবেন যখন প্রয়োজনীয় সংস্কার করা যায়। বিচার বিভাগ, সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন,
সিকিউরিটি ফোর্স, মিডিয়া- সব কিছুতে সংস্কার চিহ্নিত করে বাস্তবায়ন করে যত দ্রুত নির্বাচন
দেওয়া যায় সেটি তার লক্ষ্য। তিনি বলেছেন এখন প্রধান কাজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা। সেটি অনেকটা
স্বাভাবিক হয়েছে।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে বাংলাদেশে উদ্ভুত বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহায়তার লক্ষ্যে ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সহায়তা সমন্বয় সেল’ গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে আরো বলা হয়, জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব মো. হারুন-অর-রশিদ সেলের দৈনন্দিন কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করবেন।
‘দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা
সহায়তা সমন্বয় সেল’-এ জরুরি যোগাযোগের জন্য ০২-৪৭১১৮৭০০, ০২- ৪৭১১৮৭০১, ০২-৪৭১১৮৭০২, ০২-৪৭১১৮৭০৩, ০২-৪৭১১৮৭০৪ ও ০২-৪৭১১৮৭০৫ এবং ০১৩১৭৭৪৯৯৮০ ও ০১৮২০১১৭৭৪৪ নম্বরে ফোন করা যাবে।
সমন্বয় সেল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে সার্বক্ষণিক
যোগাযোগ রক্ষাসহ প্রাপ্ত তথ্যাদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন এবং সার্বক্ষণিক ফলোআপ করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে
উল্লেখ করা হয় ।
মন্তব্য করুন
আজ (৫ ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন দুই সংস্কার কমিশনের প্রধান।
কমিশনগুলো হলো: জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।
দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
গতকাল (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, আমাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল গত মাসে। কিন্তু আমরা আমাদের কাজের কারণে পারিনি। কারণ আমরা মাঠে গিয়েছি, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় গিয়ে আমরা কথা বলেছি, অনলাইনে আমরা মতামত নিয়েছি। প্রতিবেদনে ১০০টির বেশি সুপারিশ থাকছে।
গত ৩ অক্টোবর ৮ সদস্যের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করে সরকার। পরে কমিশনের সদস্য সংখ্যা আরও তিনজন বাড়ানো হয়। ৩ মাসের মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন হস্তান্তর করতে বলা হয়। এরপর তিন দফা বাড়িয়ে কমিশনের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় বেঁধে দেওয়া বর্ধিত সময়ের ১০ দিন আগেই প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হলো। আর বিচার বিভাগকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয় ৩ অক্টোবর।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) সদস্যদেরকে কর্তব্যপরায়ণতা, নিষ্ঠায় অটল এবং
‘চেইন অব কমান্ডে’র প্রতি আস্থাশীল থেকে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের
নির্দেশ দিয়েছেন।
শনিবার (৬ জুলাই) বিশেষায়িত
এই বাহিনীর ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের পিজিআর সদরদপ্তরের শহীদ
ক্যাপ্টেন হাফিজ হলে অনুষ্ঠিত দরবারে প্রধান অতিথির ভাষণে রাষ্ট্রপতি এই নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, মনে
রাখবেন, দেশ ও জাতি যে মহান দায়িত্ব আপনাদের ওপর অর্পণ করেছে, সেই দায়িত্ব পালনে যেকোনো
আত্মত্যাগ জাতির ইতিহাসে আপনাদের চিরস্মরণীয় করে রাখবে।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং পিজিআর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল
খালেদ কামাল ঢাকা সেনানিবাসের পিজিআর সদর দফতরের শহীদ ক্যাপ্টেন হাফিজ হলে পিজিআরের
দরবারে রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান।
পিজিআর সদরদপ্তরের শহীদ ক্যাপ্টেন
হাফিজ হলে অনুষ্ঠিত দরবারে প্রধান অতিথির ভাষণে রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, সমসাময়িক বৈশ্বিক
প্রেক্ষাপটে বিস্তৃত বহুমাত্রিক নিরাপত্তা, নতুন নতুন তথ্য প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণে
প্রয়োজন অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণ।
মো. সাহাবুদ্দিন পিজিআর সদস্যদেরকে স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে প্রশিক্ষণ গ্রহণ, শৃঙ্খলা বজায়
রাখা, আত্মোন্নয়নে মনোযোগী হতে এবং সর্বোপরি সৈনিক হিসেবে নিজের শারীরিক যোগ্যতাকে
সর্বদা অক্ষুন্ন রাখতেও উপদেশ দেয়ার পাশাপাশি
পেশাগত মান ও দক্ষতাকে আরো বিকশিত ও বিশ্বমানে পৌঁছাতে বিদ্যমান প্রশিক্ষণ কর্মসূচিকে
প্রয়োজনে আরো জোরদার করার পরামর্শ ও দেন রাষ্ট্রপ্রধান।
রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয়
অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালের ৫ জুলাই
প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই দিনটি প্রতিটি গার্ডস সদস্যের কাছে একটি বিশেষ দিন উল্লেখ করে
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া পিজিআর এর সদস্য হিসাবে তারা দেশ ও জনগণের কল্যাণে
কাজ করছেন। নিঃসন্দেহে এটি খুবই আনন্দ ও গৌরবের একটি বিষয়। প্রতিষ্ঠাকাল হতে অদ্যাবধি
প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের সদস্যগণ কর্তব্য পালনে আত্মত্যাগের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত
স্থাপন করেছেন। দায়িত্ববোধ, পেশাগত উৎকর্ষ, দেশপ্রেম ও নিষ্ঠার সাথে নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে
পালনের মাধ্যমে পিজিআর এর সুনাম দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বহির্বিশ্বেও ছড়িয়ে দিতে হবে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এর কালরাতে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর
পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যদের হত্যাকান্ডের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সাহাবুদ্দিন বলেন, দুঃখজনক
হলেও এটি সত্যি যে, পিজিআর প্রতিষ্ঠার মাত্র ৪২ দিনের মাথায় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা
বিরোধী ঘাতক চক্রের হাতে বঙ্গবন্ধু ও বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ তাঁর পরিবারের সদস্য
বিপদগামী একদল সেনা কর্মকর্তার নির্মম বুলেটের আঘাতে ধানমন্ডির ৩২নং বাড়ীতে শহিদ হন।
সেদিন আমরা আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টাকে রক্ষা করতে পারিনি, সেটা ছিল আমাদের
অমার্জনীয় অপরাধ। সেদিন যদি পিজিআর আজকের মতো সুসংগঠিত ও চৌকস হতো তাহলে হয়তোবা ১৫
আগস্ট কালরাতে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করতে পারতো না ঘাতক দল। বাঙালি ও বাংলাদেশের
উন্নয়ন ও অগ্রগতির ইতিহাস অন্যরকম হতে পারতো। দেশ পরিণত হতো জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার
বাংলায়।
রাষ্ট্রপতি পিজিআর সদস্যদেরকে বলেন, তাদের (পিজিআর) ওপর অর্পিত দায়িত্ব একদিকে যেমন
গুরুত্বপূর্ণ অন্যদিকে তেমন গৌরবময়। বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান ছাড়াও
অনেক দেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিআইপি) বর্গের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তারা দেশের
ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছেন।
রাষ্ট্রপতি একটি সুশৃঙ্খল, পূর্ণাঙ্গ এবং স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রেসিডেন্ট
গার্ড রেজিমেন্টকে বর্তমান অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করার কারিগর হিসেবে প্রাক্তন সদস্যদের
অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে
ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আলোকে তিনটি নতুন ডিভিশনসহ বিভিন্ন ফরমেশনের অধীনে ব্রিগেড, স্পেশাল
ওয়ার্কস অরগানাইজেশন এবং ছোট বড় ৫৮টি ইউনিট প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে, রাষ্ট্রপ্রধান উল্লেখ
করেন।
রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ, উর্দ্ধতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ ও প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের কমান্ডার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন করেন এবং
দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
তিনি সেখানে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে একটি কেক কাটেন।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেছেন, নারীদের সম্ভাবনা ও কর্মদক্ষতাকে উৎপাদনমুখী কাজে সম্পৃক্ত করে উন্নত
বাংলাদেশ গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ
করে যাচ্ছে।
উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন
করতে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের নারীরা- এ কথা উল্লেখ করে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের নারী সমাজের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এটাই
হোক আমাদের অঙ্গীকার।’
‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষ্যে
আজ দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক
নারী দিবস। ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান
করে। নারী অধিকার রক্ষায় এই দিনটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর
উদযাপিত হয়। এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়:‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন-নারী ও কন্যার
উন্নয়ন’। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষায় ছাত্র-শ্রমিক-জনতা যে গণ-অভ্যুত্থান
সংগঠিত করেছিল গত জুলাই-আগস্টে তার সম্মুখ সারিতে ছিল নারী। লক্ষ লক্ষ ছাত্রী বিভিন্ন
ক্যাম্পাসে দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়েছে। একাধিক নারী এই গণ-অভ্যুত্থানে
শাহাদত বরণ করেছেন। আমি এই গণ-অভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি
এবং জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’ দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। তারা
এগিয়ে যাচ্ছে সর্বক্ষেত্রে। নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক
উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে মহিলা
ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। নির্যাতিত, দুস্থ ও অসহায়
নারীদের জন্য শেল্টার হোম, আইনি সহায়তা দিতে
‘মহিলা সহায়তা কেন্দ্র’, কর্মজীবী মহিলাদের আবাসন ও নারীদের আত্মকর্মসংস্থান
সৃষ্টির লক্ষ্যে সহায়তা ও ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে
ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অদম্য মেয়েরা
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বমহিমায় এগিয়ে যাচ্ছে। নারীর অর্জনকে স্বীকৃতি
দিতে ‘অদম্য নারী পুরস্কার’ ও ‘বেগম রোকেয়া পদক’ প্রদানসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা
হয়েছে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ
দ্য অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) হেলেন লাফেভ।
আজ বুধবার (অক্টোবর ২৩) রাষ্ট্রীয় অতিথি
ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ হয়।
সাক্ষাতে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট
বিভিন্ন বিষয় এবং সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি
ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের প্রধান পয়েন্টগুলো নিয়ে আলাপ করেন।
হেলেন লাফেভ প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন,
আগামী সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করবেন।
অধ্যাপক ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের
সংস্কার উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এরই মধ্যে ছয়টি
প্রধান সংস্কার কমিশন তাদের কাজ শুরু করেছে এবং তারা অংশীজনদের সঙ্গে সংস্কার বিষয়ে
পরামর্শ করছেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে আজারবাইজানের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত এলচিন হুসেইনলি আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এ সময় তারা আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠেয় কপ-২৯ সম্মেলন এবং জ্বালানি, বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সহযোগিতা ও দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন।
আশা করা হচ্ছে অধ্যাপক ইউনুস আজারবাইজানে অনুষ্ঠেয় কপ-২৯ সম্মেলনে যোগ দেবেন, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অন্তত ৩২ হাজার মানুষ জলবায়ু অর্থায়নের বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
রাষ্ট্রদূত হুসেইনলি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও নিবিড় করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসাথে তিনি উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ উন্মোচন এবং আরও বেশি ব্যবসার উপায় খোঁজার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি জানান, জুন মাসে বাকুতে দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্র দপ্তর পর্যায়ে একটি পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আজারবাইজান বাংলাদেশের সঙ্গে একটি বিমান পরিষেবা চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনুস আজারবাইজানকে "ভাল বন্ধু" হিসেবে উল্লেখ করেন এবং দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস আজারবাইজানের জনগণ, দেশটির নেতৃত্ব এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে তার দীর্ঘ সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন।
মন্তব্য করুন