পশ্চিমবঙ্গে এক চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদ এবং বিচারের দাবিতে ভারতজুড়ে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
গত সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হন এক ইন্টার্ন চিকিৎসক। সেই ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে পুরো ভারত।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের চিকিৎসকদের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) জানিয়েছে, আগামীকাল শনিবার থেকে ২৪ ঘণ্টা কর্মবিরতি কার্যকর হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে আইএমএ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আইএমএ জানিয়েছে, ১৭ আগস্ট শনিবার সকাল ৬টা থেকে রোববার ১৮ আগস্ট সকাল ৬টা পর্যন্ত কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন আইএমএ। আইএমএ এ বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এ সময় জরুরি সেবা চালু থাকলেও বহির্বিভাগসহ অন্য সব সেবা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
এর আগে, গত ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক শিক্ষানবিশ ডাক্তারকে (৩১) ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এই নৃশংস ঘটনার প্রভাবে সারা ভারতে জ্বলছে বিক্ষোভের আগুন। চলছে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ও সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ-প্রতিবাদ।
গত শুক্রবার আরজি কর মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগের চারতলায় রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় নারী চিকিৎসকের দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। খুন ও ধর্ষণের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে শামিল হন আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসকেরা। পরে সেই আন্দোলনে যোগ দেন অন্য চিকিৎসকেরা। তবে সেই আন্দোলন শুধু আরজি করের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশকে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ
অংশীদার বলে বর্ণনা করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার
বিকেলে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে সরকারি দায়িত্বে যুক্তরাষ্ট্র সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.
হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, টেকসই
উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসহ জাতিসংঘের অনেক কর্মযজ্ঞে উল্লেখযোগ্য অবদান
রেখে চলেছে এবং সে কারণেই আমরা বাংলাদেশকে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচনা
করি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত ৫০ বছর
ধরে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের দৃঢ় অংশীদারত্ব এবং উন্নয়নে সহায়তার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে
ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশের জাতিসংঘে যোগদানের অর্ধশত বছর পূর্তিতে গুতেরেসকে বাংলাদেশ
সফরের সাদর আমন্ত্রণ জানান তিনি।
দ্বিপাক্ষিক এ বৈঠকে মহাসচিব
জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে বাংলাদেশের অভিযোজন ও প্রতিকূলতা মোকাবিলার সক্ষমতার প্রশংসা
করেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গাদের
প্রতি বাংলাদেশের উদারতার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের
বর্তমান পরিস্থিতি, বিশেষ করে সে দেশের সেনাবাহিনী তরুণ রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক নিয়োগ
করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
নিম্নআয়ের দেশের কাতার থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতিসংঘের সহযোগিতা
কামনা করলে গুতেরেস এ বিষয়ে বিশ্ব সংস্থার পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, এজন্য বাংলাদেশকে
পুরস্কৃত করা উচিত, শাস্তিদান নয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনের
গাজায় সংঘাতসহ চলমান বিশ্বের কঠিন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় মহাসচিবকে তার নেতৃত্বের
জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, রাফায় সংঘাত এড়াতে সেখানে জাতিসংঘ মহাসচিব যেভাবে
নিজে উপস্থিত হয়েছিলেন, শান্তিপ্রিয় বিশ্ববাসী তার প্রশংসা করেছে।
এ সময় রোহিঙ্গা সংকটের ওপর বিশ্বের
আলোকপাত বজায় রাখা, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ
রোহিঙ্গার মর্যাদার সঙ্গে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন এবং মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময়
পরিস্থিতির উন্নতিকল্পে জাতিসংঘের জোরদার ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাতিসংঘ মহাসচিব গত দশকে বাংলাদেশের
অসামান্য অগ্রগতির প্রশংসা করলে ড. হাছান মহাসচিব গুতেরেসকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার দূরদৃষ্টি ও দক্ষ নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ অনেক আগেই সামাজিক, অর্থনৈতিক,
মানবিক সূচকসহ সব সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে এবং গত কয়েক বছরে অনেক সূচকে ভারতকেও
ছাড়িয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালে মাথাপিছু আয়েও
ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে।
এ বৈঠকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সফরসঙ্গী ও মিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে তাইওয়ানে। বুধবার সকালে স্থানীয় সময় ৭টা ৫৮ মিনিটে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪। এতে অন্তত ৪ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। ভূমিকম্পের পর তিন দেশ- তাইওয়ান, ফিলিপাইন ও জাপানে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
এক জরুরি বার্তায় তারা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে সুনামি আঘাত হানতে পারে। তাইওয়ানে এর প্রভাব পড়তে পারে। উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। ২৫ বছর আগে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাইওয়ানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত আনে। তাতে ২ হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্যমতে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে। ভূপৃষ্ঠের ৩৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে এর উৎপত্তি হয়েছে। ভূমিকম্পের পরপরই সুনামি সতর্কতা জারি করেছে তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ। ভূমিকম্পে তাইওয়ানের একাধিক শহরের বেশকিছু ভবন ধসে পড়েছে। এসব ভবনের নিচেও চাপা পড়েছেন অনেকে। এছাড়া এই পাহাড়ি শহরটিতে ভূমিধ্বসের খবরও জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আগামী শুক্রবার কক্সবাজারে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন।
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানিয়ে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হবে।
চার দিনের সফরে আগামীকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশ আসবেন।
মন্তব্য করুন
ব্রাজিলের তরুণ গায়ক
ডার্লিন মোরাইস মাকড়সার কামড়ে মুখমণ্ডলে আহত হয়ে মারা গেছেন।
তার স্ত্রী জুলেনি
লিসবোয়ার বরাতে জানিয়েছে সোমবার মোরাইসের মৃত্যু হয়েছে। পরে গায়কের পরিবার
মোরাইসের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকেও তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ।
গায়কের স্ত্রী জুলেনি
লিসবোয়ার জানিয়েছেন, শনিবার মোরাইস ক্লান্তি অনুভব করেন, তার চোখমুখ দ্রুত কালো
হতে থাকে। রোববার তাকে জেনারেল হাসপাতাল অব পালমাসে ভর্তি করা হয়। তবে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়েছে ।
ব্রাজিলের জনস্বাস্থ্য
বিভাগ মৃত্যুর কারণ খুঁজতে তদন্ত করছে। মোরাইসের সঙ্গে তার ১৮ বছর বয়সী সৎমেয়েও
মাকড়সার কামড়ে আহত হয়েছেন। তিনিও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে,মেয়ের অবস্থা
স্থিতিশীল।
মন্তব্য করুন
মা হতে চলেছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরে প্রথম সন্তানের জন্ম দেবেন তিনি।
(২৯ ফেব্রুয়ারি)বৃহস্পতিবার সকালে দীপিকা তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে মা হতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একই পোস্ট শেয়ার করেছেন তার স্বামী অভিনেতা রণবীর সিং।
এই দম্পতি ইনস্টাগ্রামে যে ছবিটি পোস্ট করেছেন তার ক্যাপশনে কিছুই লেখেননি। তবে ছবিতেই সুখবরটি স্পষ্ট। যেখানে দেখা যায়- ছোট বাচ্চার জামা-কাপড়, জুতা, খেলনার ছবি। এতে লেখা রয়েছে— ‘সেপ্টেম্বর ২০২৪, দীপিকা-রণবীর।’
নিজেদের জীবনের অন্যতম এই সুখবরটি প্রকাশ্যে আনতেই শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন রণবীর-দীপিকা দম্পতি। ভক্ত-অনুরাগীদের পাশাপাশি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলিউড তারকারাও।
কয়েক দিন আগে দীপিকার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র দ্য উইককে জানিয়েছিলেন, দীপিকা পাড়ুকোন এখন সেকেন্ড ট্রাইমেস্টার’র (১৪-২৭ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা) পার করছেন। খুব শিগগিরই বলিউডের তারকা দম্পতির সংসারে আসতে চলেছে প্রথম সন্তান।
দ্য উইককের এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, কয়েক দিন আগে লন্ডনের রয়্যাল ফেস্টিভ্যালে বসেছিল ৭৭তম ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস (বাফটা) অ্যাওয়ার্ডেসের আসর। এতে সব্যসাচি মুখার্জির ডিজাইন করা শাড়ি পরে হাজির হয়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। এ মঞ্চে শাড়ি দিয়ে বারবার পেট আড়াল করার চেষ্টা করেছেন তিনি। এরপর দীপিকার মা হতে যাওয়ার গুঞ্জন আরো জোরালো হয়। সেই সকল গুঞ্জনকে সত্য প্রমাণ করে আনুষ্ঠানিকভাবেই মা হওয়ার ঘোষণা দিলেন অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য, সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত রাম-লীলা সিনেমার শুটিং সেট থেকে প্রেম শুরুর পর ২০১৮ সালে বিয়ে করেন রণবীর-দীপিকা জুটি। বিয়ের প্রায় ৬ বছরের মাথায় তাদের সংসার আলো করে আসতে চলেছে প্রথম সন্তান।
মন্তব্য করুন
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সংস্কার কার্যক্রম এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
ইউরোপীয় এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি আজ ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতকালে বাংলাদেশকে সমর্থনে ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রস্তুতির কথা জানান।
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি প্রধান মাইকেল মিলার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যভূক্ত ২৭টি রাষ্ট্রের সমর্থন নিশ্চিত করে পাম্পালোনি প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ‘আমাদের বার্তা খুবই স্পষ্ট। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আপনাদের পাশে আছে। আমরা আপনাদের সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন দিতে চাই।’
পাম্পালোনি বলেন, সংস্কারের জন্য অর্থের কোনো ঘাটতি হবে না এবং বাংলাদেশ সরকারের এই কাজ সম্পাদনের জন্য তারা প্রযুক্তিগত সহায়তাও দেবে।
এই সমর্থনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করায় প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা স্মরণ করে ড. ইউনূস বলেন, তারা সেসময় বাংলাদেশের প্রতি সমর্থনের বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ভন ডার লেয়েন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
পাম্পালোনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং আর্থিক সহায়তা দিয়ে অনেক দেশের পাশে এভাবে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া আপনার বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনেছি এবং বুঝতে পেরেছি যে এখন বাংলাদেশে আমাদের কাজ করার মতো একজন আছেন। আপনাকে একা অনুভব করতে হবে না। আমরা সত্যিই আপনাকে সমর্থন দিতে আগ্রহী।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা বাংলাদেশকে আরও বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে করে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
রাষ্ট্রদূত মিলার প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশে আরও ব্যবসায় সুযোগ খুঁজে বের করার লক্ষ্যে আগামী জানুয়ারিতে এই দেশ সফর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে শ্রম অধিকার সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করেন এবং বলেন, এর ফলে আরও বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত হবে।
তিনি ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে শ্রম অধিকারের বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখব। এখানে কোনো লুকোচুরি হবে না। আমরা আর লুকোচরির খেলা খেলতে চাই না।’
ইইউ কর্মকর্তারা বিভিন্ন খাতে সংস্কারের ক্ষেত্রে অধ্যাপক ইউনুসের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন।
পাম্পালোনি বলেন, ‘এই প্রথম আমরা দেখছি এমন কিছু রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি আপনি নির্ধারণ করেছেন, যা নিয়ে আগে আমরা কথা বলেছি। সুতরাং আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখছি।’
প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নেপাল এবং ভারতের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, নেপালে বিশাল জলবিদ্যুৎ রয়েছে যা অপচয় হচ্ছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু সহায়তা পেলে নেপাল, বাংলাদেশ এবং ভারত সবাই এতে লাভবান হতে পারে।
অধ্যাপক ইউনূস ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি বাংলাদেশের যুবসমাজের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান এবং দক্ষিণ এশীয় ফুটবল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের মেয়েদের সাম্প্রতিক অর্জনের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘তারা খেলতে গেছে এবং জয় করেছে, একবার নয়, বরং দু'বার।’
তিনি আরও অনুরোধ করেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেন একটি ইউরোপীয় ফুটবল দল পাঠায় যা বাংলাদেশের মেয়েদের অনুপ্রাণিত করবে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে
টেকসই সংহতি এবং বর্ধিত সহায়তার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, এমন
সহায়তার প্রয়োজন যাতে আর্থিক সংকট লাঘব করা যায় এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর
জন্য বাংলাদেশের সহায়তা আরো জোরদার করা যায়।
আজ
মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন
লুইস প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎকালে
তাঁরা রোহিঙ্গা সংকট এবং রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক সহায়তার চলমান চ্যালেঞ্জ নিয়ে গুরুত্ব
সহকারে আলোচনা করেন।
তাঁরা
উভয়ে অর্থায়নের ব্যাপক কাটছাঁটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন, যা ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর
শিক্ষা ও অন্যান্য জরুরি কার্যক্রমে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
আবাসিক
সমন্বয়ক গোয়েন লুইস অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে দৃঢ় সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং উভয়
নেতা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
তাঁরা
সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষী সংস্কার কার্যক্রম শক্তিশালী করতে জাতিসংঘ কীভাবে ব্যাপক সহায়তা
দিতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেন।
আবাসিক
সমন্বয়ক বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য একটি নির্বিঘ্ন
রূপান্তর নিশ্চিত করতে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন।
আবাসিক
সমন্বয়কারী বাংলাদেশের সংস্কার ও সংস্কারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে তার অবিচল সংহতি পুনর্ব্যক্ত
করেন এবং টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে জাতিসংঘের সমর্থনের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে আন্তর্জাতিক
মঞ্চে রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার
রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে
রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাইন অপসারণের কথা স্মরণ
করেন।
তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি বাংলাদেশের
অন্যান্য পণ্যও আমদানি বাড়ানোর আহ্বান জানান। বর্তমানে রাশিয়ায় বাংলাদেশের মোট
রপ্তানির ৯০ শতাংশ তৈরি পোশাক।
বৈঠকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায়
বাংলাদেশে নির্মিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং খাদ্য নিরাপত্তা,
জ্বালানি অনুসন্ধান এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সহায়তা বাড়ানোসহ পারস্পরিক স্বার্থ
সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি আলোচনা করেন।
বাংলাদেশের খাদ্যশস্য এবং সারের বড় একটি অংশ রাশিয়া থেকে আমদানি
করা হয় উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক
অংশীদার।
গত বছর রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন টনেরও বেশি গম
আমদানি করেছে এবং চলতি বছর আমদানির পরিমাণ ইতোমধ্যে ২ মিলিয়ন টন অতিক্রম করেছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত জানান, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি
কোম্পানি গ্যাজপ্রম ভোলা দ্বীপে এবং দেশের অভ্যন্তরে আরও পাঁচটি গ্যাস কূপ
অনুসন্ধান করতে আগ্রহী।
তিনি আরও জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ
চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি আগামী বছর চালু হতে পারে।
তিনি বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশে এলএনজি রপ্তানিতে আগ্রহী।
প্রধান উপদেষ্টা অর্থনৈতিক ও শিক্ষা সহযোগিতা এবং দুই দেশের জনগণের
মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
মন্তব্য করুন
বিয়ের অনুষ্ঠানে বর জনসম্মুখে কনেকে চুমু দেন। তা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে বরের পরিবারের সদস্যদের বেদম মারধর করেছে কনে পক্ষ। বরের বাবাসহ ৬ জন আহত হন। আর এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বিয়ের মঞ্চে জনসম্মুখে বর কনেকে চুমু দেন। এটা কেন্দ্র করে বর পক্ষ ও কনে পক্ষের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ লেগে যায়।
খবর অনুসারে, বিয়ে বাড়ি যুদ্ধের ময়দানে পরিণত হয়। খবরে বলা হয়েছে, বরের চুমু কাণ্ডে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে তর্কাতর্কি শুরু হয়। হঠাৎ কনের পরিবারের সদস্যরা লাঠি নিয়ে মঞ্চে ওঠেন। বরের পরিবারের সদস্যদের তারা বেদম প্রহার করেন। বরের বাবাসহ ৬ জন আহত হন।
মারামারির একপর্যায়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ সাতজনকে আটক করে নিয়ে যায়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে কনের বাবা তার দুই কন্যার বিয়ের আয়োজন করেন। কোনো সমস্যা ছাড়াই প্রথম বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু দ্বিতীয় বিয়েতে বাধে বিপত্তি। কনের পরিবারের অভিযোগ, বর মঞ্চে কনেকে জোরপূর্বক চুমু দিয়েছে। অন্যদিকে বর বলেন, মালা বদলের পর কনে তাকে চুমু দিতে পীড়াপীড়ি করেন।
স্থানীয় থানার জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা রাজকুমার আগরওয়াল জানান, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে সে অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনশৃঙ্খলা ও শান্তি বিনষ্টের জন্য ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের
জুনের মধ্যে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি
ইলেকশনস (এএনএফআরইএল)-কে আশ্বস্ত করেছেন।
বৃহস্পতিবার
ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এএনএফআরইএল এর একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, এই নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা
এবং দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় এক মাইলফলক।
এএনএফআরইএল
প্রতিনিধিদলে ছিলেন নির্বাহী পরিচালক ব্রিজা রোসালেস, বাংলাদেশ নির্বাচন ও গণতন্ত্র
কর্মসূচির পরামর্শক মে বুটয়, প্রচারাভিযান ও অ্যাডভোকেসি বিভাগের সিনিয়র প্রোগ্রাম
কর্মকর্তা থারিন্ডু অ্যাবেইরাথনা, প্রোগ্রাম অফিসার আয়ান রহমান খান এবং প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট
আফসানা আমেই।
প্রধান
উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ কথা জানান।
এএনএফআরইএল
হলো নাগরিক সমাজের একটি আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক যা এশিয়ায় গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থার
উন্নয়নে নিবেদিত, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, গণতান্ত্রিক সংস্কার
এবং নাগরিক সম্পৃক্ততা বাড়াতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বৈঠকে,
এএনএফআরইএল প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে চলমান বিভিন্ন উদ্যোগ বিশেষ করে নাগরিক সমাজের-নেতৃত্বাধীন
স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কাঠামো পুনর্গঠনের অঙ্গীকার তুলে ধরেন।
প্রতিনিধিদলটি
অংশীজন ম্যাপিং এবং চাহিদা নিরূপণের মাধ্যমে নাগরিক সমাজের সম্পৃক্ততা জোরদার এবং নির্বাচনী
স্বচ্ছতা বৃদ্ধির সুযোগ চিহ্নিত করার বিষয়েও আলোচনা করে।
এএনএফআরইএল
প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ এবং বাংলাদেশে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে অংশীজনদের সঙ্গে
চলমান সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
মন্তব্য করুন