প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে তুর্কি বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ঢাকা এখন
ব্যবসার জন্য প্রস্তুত এবং উভয় দেশকে তাদের সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো
উচিত।
সোমবার (১৪ অক্টোবর)
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন অধ্যাপক
ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা
অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে উভয়দেশকে আররো জোরালো প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্ব
আরোপ করেন।
বৈঠকে তারা মুসলিম
সংখ্যাগরিষ্ঠ দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা
বাড়ানোর উপায়, রোহিঙ্গা সংকট নিরসন এবং শিক্ষার্থী বিনিময় বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাাপক
ইউনূস বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যায় তুরস্কের মানবিক সহায়তা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের
প্রতি অব্যাহত সহায়তা প্রদানের জন্য তুরস্কের প্রশংসা করেন এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক
সম্পর্ক বাড়ানোর লক্ষ্যে তুরস্কের একটি অফিসিয়াল প্রতিনিধিদলের সফরের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট
ও ফার্স্ট লেডিকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
তুর্কি রাষ্ট্রদূত
গত বছর তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সংহতি জানিয়ে দশ হাজার তাঁবু পাঠানোর
জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আসন্ন
ওয়ার্ল্ড হালাল সামিট এবং ইস্তাম্বুলে মন্ত্রী পর্যায়ের একটি সম্মেলনে যোগদানের জন্য
তুরস্ক বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত আরো জানান,
তুরস্কের একটি অফিসিয়াল প্রতিনিধিদল বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছে, যারা মূলত নতুন ব্যবসা
ও বাণিজ্যিক সুযোগ খুঁজে বের করতে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগে সহায়তা
করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন,‘আমরা অর্থনৈতিক
ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো নিবিড় করতে চাই।’
রাষ্ট্রদূত বলেন,
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় সাম্প্রতিক বন্যার সময় তুরস্কের আরেকটি দল দেশটি সফর
করেছে। তারা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লায় বন্যার্তদের জন্য মানবিক সহায়তা
প্রদান করেছে।
তিনি জানান, দুই দেশের
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বর্তমানে ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে, তবে উভয় দেশ থেকে
রপ্তানি বাড়ানোর অনেক সুযোগ এখনো রয়ে গেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন,
তুরস্কের ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের একটি উচ্চ
পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল দেশটি সফর করার প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি জানান, তুরস্কের
বাণিজ্যমন্ত্রী এই বছরের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ সফর করবেন।
মন্তব্য করুন
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে
যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে কাতার
এয়ারওয়েজের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নিউইয়র্কের
উদ্দেশে রওনা হন প্রধান উপদেষ্টা। নিরাপত্তা, গণমাধ্যমকর্মীসহ সব মিলিয়ে মোট ৫৭ জন
প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে নিউইয়র্ক যাচ্ছেন।
সফরকালে নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান,
নেপাল, ইউরোপীয় কমিশন প্রধান, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক
করবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা
নেই।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪
সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ইউনূস-বাইডেন বৈঠকে বসবেন। বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক
সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি আঞ্চলিকভাবে অন্তর্বর্তী সরকার যে প্রতিকূলতার মধ্যে
রয়েছে, সেটি নিয়ে বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।
এছাড়া ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ
পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায়
বাংলাদেশের সুদৃঢ় অবস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক সংঘাত, রোহিঙ্গা সংকট, টেকসই উন্নয়ন
লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমস্যা, সম্পদের অবৈধ পাচার রোধ,
অভিবাসী অধিকার রক্ষার মতো বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
তৌহিদ হোসেন।
আগামী শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে
প্রধান উপদেষ্টা সফর শেষ করে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকার পথে রওনা হবেন।
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়া সরকারের প্রতি বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার এবং মালয়েশিয়ায় পেশাজীবী ও কর্মী বাড়ানোর আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মালয়েশিয়ার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সফর নিয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে তার ‘মহান বন্ধু’হিসেবে উল্লেখ করে, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টার প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করেছেন।
ঢাকায় এলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এ সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনারসহ লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
দুই নেতার মধ্যে একটি একান্ত বৈঠক ও একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে সফরের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
বৈঠকের সময় দুই নেতা দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে তাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ডেটা সায়েন্স, সেমি-কন্ডাক্টর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অর্থ, স্বাস্থ্য, উচ্চ শিক্ষা, কৃষি, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা ও হালাল অর্থনীতিসহ সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
উভয় নেতা শিগগিরই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে পরবর্তী দফা আলোচনা করতে সম্মত হন।
আগামী বছরের শুরুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ কমিশনের বৈঠকে বসতেও সম্মত হন তারা।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যত্র ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশাল অবদানের প্রশংসা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা একটি গণতান্ত্রিক ও ন্যায়পরায়ণ বাংলাদেশের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত চলমান সংস্কার উদ্যোগ সম্পর্কে সফররত প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
‘আমরা একটি নতুন বাংলাদেশে যাচ্ছি, যা আমাদের গর্বিত করবে’- বলেন অধ্যাপক ইউনূস।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গতিপথকে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে’ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর জানান,অবরোধ-হরতালে পরিবহন বা স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগকারীদের ধরিয়ে দিলে অথবা সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। অবরোধ-হরতালে পরিবহন বা স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগকারীদের উপযুক্ত প্রমাণ অথবা সুনির্দিষ্ট তথ্যসহ ধরিয়ে দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেবেন আইজিপি। তবে যিনি তথ্য দেবেন তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।
এর আগে সোমবার (৬ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, বিভিন্ন স্থানে যারা গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করছে, সহিংসতা ও নাশকতা করছে তাদের অনেককে আমরা হাতেনাতে গ্রেফতার করেছি। অনেক প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা পুলিশের হাতে তাদের ধরিয়ে দিয়েছেন। চলমান অবরোধের মধ্যে যারা যানবাহনে আগুন দিচ্ছে ও পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করছে তাদের ধরিয়ে দিলেই ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা শহর অনেক বড়। অনেক মানুষের বসবাস এখানে। কিছু কিছু ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। পুলিশ কিন্তু অনেক ঘটনা নিবৃত করেছে। অনেককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। হাতেনাতে অনেককে আটক করেছে। হাতেনাতে আটক করার ক্ষেত্রে যারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন তাদেরও আমরা নগদ পুরস্কার দেবো।
মন্তব্য করুন
সেন্টমার্টিনে যেতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে— এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেন্টমার্টিনে যেতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে— এ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হচ্ছে, যা পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। প্রকৃতপক্ষে সেন্টমার্টিনে যেতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি মন্ত্রণালয় বা পরিবেশ অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আজ (৫ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ওই সেমিনারে সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় অংশীজনদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধে গুরুত্বারোপ করা হয়। সেখানে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম চালুর প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি আলোচিত হলেও এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়নি।
অর্থাৎ
এটা পরিষ্কারভাবে বলা যায় যে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বা পরিবেশ অধিদপ্তর
এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে পাঁচটি কূটনৈতিক দলিলে স্বাক্ষর করা হয়েছে। এর
মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট বা অভিপ্রায়পত্র
রয়েছে।
শুক্রবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারাসহ প্রমুখ।
বৈঠকের আগে থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে
স্বাগত জানান। এরপর থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী
স্রেথা থাভিসিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এসব দলিলে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি,
পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্তবাণিজ্য
চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অব ইন্টেন্ট সই হয়।
দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানীর গভর্নমেন্ট হাউজে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসকল
তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৈঠক নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা তাভিসিনের অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ
পরিবেশে বৈঠক হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক
বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি
বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের আহ্বান
জানান। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক
জোন করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১.৩ মিলিয়ন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ
আশ্রয় দিয়েছে। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে
বলে জানান ড. হাছান।
তিনি বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন। এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও
এই পালিয়ে আসা মানুষদের ভারে জর্জরিত। এ সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের
একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে
জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ)
৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। সফর শেষে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা
রয়েছে।
মন্তব্য করুন
আগামী বছর ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির
তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। আগামী বছর সাধারণ ও নির্বাহী
আদেশ মিলিয়ে মোট ২৬ দিন ছুটি থাকবে। এর মধ্যে ৯ দিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন। শুক্রবার
৫টি ও শনিবার ৪টি।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর
তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে
পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
আগামী বছর সাধারণ ছুটি ১২ দিন ও নির্বাহী
আদেশের ছুটি ১৪ দিন। ছুটি গত বছর থেকে মোট ৪ দিন বেড়েছে।
অনুমোদিত ছুটির তালিকায় অন্তর্ভূক্ত বিষয়সমূহ হলো:
(১) জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের
গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে ১২ (বার) দিন সাধারণ ছুটি। এ ছুটির মধ্যে ৫টি সাপ্তাহিক
ছুটির দিন (৩টি শুক্রবার ও ২টি শনিবার)।
(২) বাংলা নববর্ষ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ
ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে ১৪ দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি। এর মধ্যে ৪টি সাপ্তাহিক ছুটির দিন (২টি শুক্রবার
ও ২টি শনিবার)।
(৩) ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষ্যে প্রজাতন্ত্রের
কর্মচারীদের বছরে অনধিক ০৩ দিনের এচ্ছিক ছুটি ভোগের জন্য ধর্মীয় পর্বসমূহের বিবরণ।
(৪) পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর
বাইরে কর্মরত বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের প্রধান সামাজিক উৎসব
বৈসাবি বা অনুরূপ সামাজিক উৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে ২ দিন ঐচ্ছিক ছুটি। এ ছুটির মধ্যে
একটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন (০১টি শনিবার)।
(৫) ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের জন্য ১২ দিন
সাধারণ ছুটি ও ১৪ দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ
প্রস্তাবিত মোট ছুটি (০৯ দিনের সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে ৫টি শুক্রবার ও ৪টি শনিবার ব্যতীত)
২৬ - ০৯ = ১৭ দিন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের অনুমোদিত
মোট ছুটি (২ দিনের সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ব্যতীত) ছিল ২২ - ০২ = ২০ দিন।
মন্তব্য করুন
সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী আইন ও বিচার বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে বুধবার তাকে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এ বিভাগের চলতি দায়িত্ব পালনের ১০ দিনের মাথায় তিনি পূর্ণ দায়িত্ব পেলেন।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একই বিভাগে তিনি যুগ্ম সচিব (প্রশাসন-১) পদে ছিলেন। এর আগে চট্টগ্রাম থেকে তাকে ঢাকায় বদলি করে আনা হয়। তিনি ৮ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি দায়িত্বে ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের সাবেক এই রেজিস্ট্রার জেনারেলকে দেড় মাস আগে জেলা ও দায়রা জজ করে পাঠানো হয়েছিল চট্টগ্রামে। সরকার পরিবর্তনের পর গত ১৩ অগাস্ট তাকে আবার আইন মন্ত্রণালয়ে ফিরিয়ে আনা হয়। তখন এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে আলোচনা ছিল।
এ বিভাগের আগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারকে গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ওএসডি করা হয়েছিল।
বিভিন্ন জেলায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করা নতুন আইন সচিব গোলাম রব্বানী ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৫ সালে তৈরি করা সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের পদটি রাষ্ট্রের পদমর্যাদাক্রম অনুযায়ী জ্যেষ্ঠ সচিবের সমপর্যায়ের। এর আগে তিনি ছিলেন হাই কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার, যে পদটি মর্যাদার দিক দিয়ে সচিব পর্যায়ের।
আগের সরকার এ বছর ১ জুলাই তাকে রেজিস্টার জেনারেল পদ থেকে সরিয়ে চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে বদলি করে। ক্ষমতার পালাবদলের পর গত ১৩ অগাস্ট তাকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র গোলাম রব্বানী ১৯৯১ সালে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে জুডিশিয়াল সার্ভিসে নিয়োগ পেয়ে টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জামালপুরের যুগ্ম জেলা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের আইন শাখায় দায়িত্ব পালন করা গোলাম রব্বানী ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর হাই কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পান।
মন্তব্য করুন