

নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
নানা হুমকির কারনে ২০১৭ সালে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য কুমিল্লা কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন নগরীর ৪নং ওয়ার্ড ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র। সেই জিডিতে তিনি সাবেক ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কিছু চিহ্নিত ব্যক্তিসহ কয়েকজন স্থানীয় দুর্বৃত্তের নাম উল্লেখ করেছিলেন কিন্তু নিরাপত্তার আশায় করা সেই জিডি তার জন্য আশীর্বাদ নয়, পরিণত হয় দীর্ঘমেয়াদি এক দুঃস্বপ্নে।
পরের বছর ২০১৮ সালের ২৮ জুন ফের একটি জিডি করা পর থেকেই শুরু হয় অপরাধীদের নাসকতামুলক অত্যাচার ও নির্যাতনের। গ্রামের বাড়ী বরুড়া কেমতলীতে জাওয়ার পথে নিমশার এলাকায় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার উপর আক্রমন চালিয়ে আহত করে এবং সি এন জেতে সহ হামলা করে। এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে মামলাটি জোরপূর্বক প্রত্যাহার করায় এবং সেই থেকে সকল অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য তারা নারী পুরুষ সম্মিলিত 'স্যার গ্রুপ' গঠন করে একটি চক্র তার বাসার সামনে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি ১৫ইং তারিখে ককটেল বিস্ফোরণ চালায়। একপর্যায়ে তিনি প্রশাসন সহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সর্বোচ্চ মহলেলিখিত আবেদন করেন। এ সকল আবেদন গুলো গুরত্ব সহকারে তদন্ত করা হয়। মামলার হাজিরার ধার্য তারিখে সে উপস্থিত হতে গেলে মোটরসাইকেল মহরা দিয়ে তাকে আদালতে যেতে দেয় নাই, এরফলে বাদী উপস্থিত না থাকার ধরুন বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত মামলাটি খারিজ করে দেয়। এছাড়া শুভ্রর বিরুদ্ধে ভুয়া ওয়ারেন্ট দিয়ে আল আমিন ও মতিন নামের দুইজন ৫ হাজার টাকা দাবী করে জারিকারক ও পুলিশের সদস্য পরিচয়ে।শুভ্র মামলার সঠিক তথ্য চেয়ে তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। পরে তিনি কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যলয়ে মিথ্যা মামলার বিষয়ে সহযোগীতা কামনা করেন। যার স্মারক নাম্বার-৯৪৬১/২য়। এ প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার এর নির্দেশে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে ওয়ারেন্টটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এছাড়া গত বছরের ৪ আগস্ট তারা কুমিল্লার টিক্কাচর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় রাতের বেলায় শুভ্রকে উপর্যপুরী ছুরিকাঘাত করে মারধর করে। এ ঘটনায় কুমিল্লা সিনিয়র জ্যুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দ্রুত বিচার আইনে চাদাঁবাজি সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৩জন পুরুষ ও একজন মহিলাসহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। যার নাম্বার দ্রুত সিআর ৩৬/২৪ যাহা পিবিআই এর তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন রিপোর্ট গত দাখিল করেন।তারা আবারো গত বছরের ১৬ ইং অক্টোবর দিনের বেলায় সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তার উপর হামলা করে। এ ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করে যাচ্ছে আইনশৃংখলা বাহিনী। মামলার আসামিরা হলেন- আমড়াতলী এলাকার মৃত বাবুল সর্দারের ছেলে মহিউদ্দিন (৩৮), আদালত পাড়ার টাউট মতিন (৩৮), পাঁচথুবী এলাকার তারেক (৪২), ঢাকার ধানমন্ডির মৃত ওয়াকিলুর রহমানের ছেলে ফয়সল রহমান (৩৮), সদর দক্ষিণ গলিয়ারা ইউনিয়নের হাবিবের ছেলে মো. মতিন (৪০), ডুমুরিয়া চানপুরের আরাফাত (৩৬), ফৌজদারি এলাকার আল আমিন (৩৫), আদালতের পশ্চিম গেটের সোনিয়া (৩২) এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪ থেকে ৫ জন।
সর্বশেষ স্যার গ্রুপ অনলাইনে ফেসবুক বিভিন্ন হ্যাকিং, ভুয়া ফেসবুক আই ডি খুলে অশ্লীল ছবি তৈরি করে শুভ্র কে পাঠিয়ে চাদা দাবী করে আসছে ০১৯৭১০৭৩৫৮৪ ও ০১৭০৪২৭২৯৬১ এ নম্বরে। এ বিষয়ে একটি জিডি হয় যার নাম্বার ২২২। জিডির তদন্তে ঘটনার সত্যতা খুজে পেয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-০১ কুমিল্লা স্মারক নাম্বার ২৩৮৯ তাং-১৭-০৩-২৫জিডিতে বর্ণিত সকল আসামীদের সকল অপরাধ তদন্তের অনুমতি প্রার্থনা করেন। আদালত ডিআর ৫২৬/২৫, তাং-১৯-০৩-২৫ ইং মূলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদেশ প্রদান করেন। অতপর তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন রিপোর্ট কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় স্মারক নাম্বার ২৮২৬ তাং-০৬-০৪-২৫ইং অনুমতি নিয়ে আদালতে একটি নন এফআইআর মামলা করার জন্য প্রসিকিউশন দাখিল করলে মামলা রুজু হয়। যার নাম্বার ২৪/২৫ নন জিআর মামলা নাম্বার ২০/২৫ তারিখ ০৭-০৪-২৫ রজু হয়। যাহা আসামীদের প্রতি সমন সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে কোতয়ালী মডেল থানা দুটি সাধারণ জিডি করা হয়। জিডি নাম্বার ১৪৮৪,১৯/৯/২০২৫,জিডি নাম্বার ২১৩৬, ২৭/৯/২০২৫। ভূক্তভোগী মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র বলেন, এইসব কারনে আসামীরা সকল মামলা প্রত্যাহারের জন্য নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছে। আমার বিরুদ্ধে সামাজিক পরিসরে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক তথ্য বিভ্রান্তি ছড়িয়ে চক্রান্ত করছে ,মামলা প্রত্যাহার না করলে আমাকে নানাভাবে ক্ষতির মুখে পরতে হবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে।এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিনুল ইসলাম বলেন, মানবাধিকার কর্মী মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র একাধিক অভিযোগ আমরা পেয়েছি, আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ আন্তরিকতার সহিত কাজ করছে। ইতিমধ্যে একজন আসামী আটক করা হয়েছে। বাকীদের ও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ মাদক কারবারিকে
আটক করা হয়েছে ।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলম এর নির্দেশনা
মোতাবেক শুক্রবার (১৪ ই জুন) বিকাল আনুমানিক ৪টায় কুমিল্লা
সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের মিরপুর হাইওয়ে থানাধীন ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ৩৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জন মাদক কারবারিকে আটক করা
হয়।
আটককৃতরা হলো রোজিনা বেগম (২৮) এবং আলা
আমিন মিয়া (৪২) ।
কুমিল্লা সিলেট আঞ্চলিক মহাসডকের মিরপুর
হাইওয়ে থানাধীন ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় কুমিল্লা গামী
নিউ সুগন্ধা যাত্রীবাহী একটি বাসে করে ২ জন
মাদক কারবারি ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে যাচ্ছে।
এই তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুর হাইওয়ে থানার এসআই বোরহান উদ্দিন তার ফোর্স সহ
উক্ত বাসটি থামিয়ে সে গাড়িতে থাকা যাত্রীদের তল্লাশীর চেষ্টাকালে
তারা ২জন দ্রুত গাড়ি হতে নেমে পালানোর চেষ্টা
করলে এসআই বোরহান উদ্দিন ফোর্স সহ তাদের ২ জনকে আটক করে স্থানীয় মহিলা সাক্ষী দ্বারা
আসামি রোজিনা বেগমকে তল্লাশি করলে রোজিনা বেগম তার পরিহিত কালো বোরকার নিচে থাকা পরিহিত
পায়জামার কোঁছা হতে মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় উপস্থিত সাক্ষীদের উপস্তিতিতে উক্ত মাদক গননা করে মিনিটে ৩৫০ পিস ইয়াবা
ট্যাবলেট পাওয়া যায় যা বিকাল অনুমান ৩টা ৫০ এসআই বোরহান উদ্দিন জব্দ তালিকা মুলে জব্দ
করেন।
রোজিনা বেগমের সাথে থাকা অপর ব্যাক্তি আলা আমিন হচ্ছে তার স্বামী।
তারা স্বামী ও স্ত্রী ২জন পরষ্পর যোগসাজসে
উদ্ধারকৃত মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট সমুহ সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ক্রয় করে অধিক লাভে বিক্রয়ের
জন্য কুমিল্লাগামী বাস যোগে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিলো।
উক্ত বিষয়ে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১টি
মামলা দায়ের করে আসামিদেরকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো
হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
৪৩ তম জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপের গ্রুপ পর্বের শেষ খেলায় মাগুরা জেলা ক্রিকেট দলকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট দল। এর আগে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ বিমানের সাথে ফাইনালে রানার্সআপ হয় কুমিল্লা। আগামী ৪মে রোববার কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচে কিশোরগঞ্জ জেলা দলের মুখোমুখি হবে কুমিল্লা।
আজ
বৃহস্পতিবার কক্সবাজার স্টেডিয়ামে টসে হেরে ফিল্ডিং পাওয়া কুমিল্লা জেলা দলের দুই স্পিনার ইয়াসির আরাফাত এবং আশরাফুল হাসান রোহান এর ঘূর্ণি যাদুতে মাগুরা জেলা ক্রিকেট দল মাত্র ৩৮.২ ওভারে অলআউট হয়ে যায়। মাগুরা জেলা দলের আসলাম, মোহাইমিন এবং তালহা যথাক্রমে ১৯,১৮ এবং ১৭ রান করেন। ইয়াসির আরাফাত ৫০ রানে ৫ উইকেট এবং রোহান ৩৮ রানে ৪ উইকেট লাভ করেন।অপর উইকেটটি নেন পেসার সবুজ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লা জেলা দল ৩৪.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। দলের ওপেনার ইরফান তাকরির অপরাজিত ৮০ রান করেন। অপর ব্যাটসম্যানের মধ্যে রুবেল মিয়া ২৮ আবুবকর, ১৪ রান করেন।
কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট দলের ম্যানেজার ফখরুল আলম উল্লাস এবং কোচ মানিক কুমার দাস ২২বছর পর ফাইনালে উঠার সুযোগ পাওয়ায় ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং ফাইনালে ভাল করার জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা চান্দিনা এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (৩০ শে মে ) দূপর পৌনে ১২টার দিকে চান্দিনা থানাধীন চান্দিনা পৌরসভার ০৫ নং ওয়ার্ড খান বাড়ীর মোঃ নজরুল ইসলাম খান এর তিন তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এর ২য় তলার পশ্চিম পার্শ্বর ফ্লেটের দঃ পশ্চিম রুম হইতে অফিসার্স ইন্চার্জ চান্দিনা থানার নেতৃত্বে এসআই মো রায়হান হোসেন এর সর্গীয় ফোর্স এসআই মোঃ ইমাম হোসেন সহ আরো কয়েক জনের অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলো–(১) মো হুমায়ন কবির প্রঃ জুয়েল (৪৫) পিতা ফজলুল হক ব্যাপারী মাতা হোসনেয়ারা বেগম সাং গোপালপুর ব্যাপারী বাড়ী থানা তিতাস।( ২) আব্দুল আজিজ পিতা আবুল হোসেন মোল্লা মাতা আমেনা বেগম সাং বুধাইরকান্দি পো উজানচর থানা বাঞ্ছারামপুর, (৩)মো খাইরুল ইসলাম প্রঃ পারভেজ পিতা শামীম প্রধাান মাতা খাদিজা বেগম সাং তালতলী থানা দাউদকান্দি , (৪)মাসুদ রানা পিতা জসিম উদ্দিন ভূইয়া মাতা পারভীন বেগম সাং রাগদৈল ভুঁইয়া বাড়ী ইউপি সাচার থানা কচুয়া(৫) মো হাসান খান পিতা কাশেম খান মাতা সেফালী বেগম সাং পশ্চিম শ্যামপুর( আটরশী দরবার ) থানা সদরপুর ,(৬) মোঃ মোহর আলী পিতা হরমুজ সাং ঘোলঘর সূরমা ইউপি থানা সুনামগন্জ( ৭) মো নজরুল ইসলাম খান পিতা আশ্রাফ খান মাতা হাসিনা বেগম সাং চান্দিনা খান বাড়ী চান্দিনা পৌরসভা থানা চান্দিনা, শুক্রবার (৩০ মে ) দুপুরে চান্দিনা থানার ওসি প্রেস এর মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, শুক্রবার দুপরে গোপন সংবাদে জানা যায়, চান্দিনা পৌরসভার মো নজরুল ইসলাম খান এর বাড়ীতে কিছু দুষ্কৃতকারী ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরে থানা-পুলিশ অভিযান চালায়।
অভিযানকালে পালানোর সময় সাত জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। এ সময় অজ্ঞাত চার-পাঁচ জন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। গ্রেফতার কৃত সাত জনসহ অজ্ঞাত আরো চার-পাঁচ জনের বিরুদ্ধে চান্দিনা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।’মামলা নং ২৪ তাং ৩০/৫/২০২৫ ইং ধরা ৩৯৯/ ৪০২ পেনাল কেড ১৮৬০ রজু করা হয়। এমামলার তদন্তবার এসআই ইমামের হাতে তদন্তবার দেওয়া হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানায়, গ্রেফতার কৃত ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দল ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনা ইলিয়টগঞ্জ দাউদকান্দি এলাকাসহ কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও ডাকাতি করে আসছিল। তাদের মধ্যে , আজিজ, মাসুদ, খাইরুল, এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি, মাদক, হত্যা চেষ্টা, মারামারি সহ একাধিক মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক
দল ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে সারাদেশে জেলা ভিত্তিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাম্য ও মানবিক
সমাজ বিনির্মাণে দিক নিদের্শনামূলক যৌথ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বুধবার
(১৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি
রাজিব হাসান। সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল কবির পল। এছাড়াও
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, কেন্দ্রীয়
যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে কুমিল্লার শীর্ষ নেতৃবৃন্দের
মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন, কুমিল্লা দক্ষিণ
জেলা যুবদলের সভাপতি আনোয়ারুল হক, সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন শিবলু, কুমিল্লা জেলা স্বেচ্ছাসেবক
দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, কুমিল্লা জেলা ছাত্রদলের
সভাপতি নাদিমুর রহমান শিশির, সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুদ্দিনসহ
অন্যান্যরা। কর্মী সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক
সাংগঠনিক বক্তব্য রাখেন।
এ সময় তারা বিএনপির ও সহযোগী সংগঠনের
নেতাকর্মীদের প্রতি তাদের স্ব স্ব এলাকায় শক্তিশালী সংগঠন তৈরি করতে দিকনির্দেশনা দেন।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্দেশনায়
ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন ইউনিটের
সাথে মতবিনিময় এবং দিক নির্দেশনামূলক সভা করছেন।
মন্তব্য করুন


ডিএনসি-কুমিল্লার মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে
মাদকের গডফাদার মো: ছালাউদ্দিন আইয়ুবীকে ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার
উপ- পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এঁর সার্বিক তত্বাবধানে ও পরিদর্শক মো: শরিফুল ইসলাম
এঁর নেতৃত্বে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ২৩ বি- ব্যাটালিয়নের মেজর মাহিন এঁর সার্বিক
সহযোগিতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানে ডিএনসি
কুমিল্লা ও ২৮ জন সেনা সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
বুধবার সকাল ৭টা দিকে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন
উত্তর বাবুর্চি সৈয়দপুর গ্রামে আসামীর নিজ বাড়ি তল্লাশি করে ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক করা
হয় তাকে।
আটককৃত আসামী মো: নুরুল আমিন এর ছেলে।
আসামীর বিরুদ্ধে পরিদর্শক মো: শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার তিতাসে পরকীয়ার জেরে ফোনে ডেকে নিয়ে নজরুলকে হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল ও ছুরি উদ্ধার করেছে তিতাস থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত নজরুলের পিতা হানিফ ভূইয়া বাদী হয়ে খুনি দম্পতি হোসেন ও তার স্ত্রী স্মৃতিকে আসামি করে আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত রেখে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পরকীয়ার জেরে হোসেন ও তার স্ত্রী স্মৃতি নজরুলকে (৩৫) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে টুকরো টুকরো করে বাজারের ব্যাগে ভরে বাড়ির পাশে খালে ফেলে দেয়। আটককৃত দম্পতির স্বীকারোক্তি মতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্থানীয় জেলেদের দিয়ে খণ্ডিত দুই হাতসহ হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল ও ছুড়ি উদ্ধার করেছে। এদিকে নিহতের বাকী অংশবিশেষ উদ্ধারে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেই।
এ বিষয়ে তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ উল্যাহ বলেন, নজরুলকে হত্যাকারী দম্পতিকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি এবং তাদের স্বীকারোক্তি মতে নিহতের খণ্ডিত দুই হাত উদ্ধার করাসহ হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল ও ছুরি উদ্ধার করেছি। নিহতের বাকি অংশবিশেষ উদ্ধারের চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় নিহত নজরুলের পিতা হানিফ ভূঁইয়া বাদী হয়ে হোসেন ও তার স্ত্রী স্মৃতিকে আসামি করে এবং আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃত দম্পতিকে সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০টায় নজরুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নিজ ঘরে হত্যা করে হোসেন-স্মৃতি দম্পতি।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ
পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ।
গত (৫ জুন) রাতে সঞ্জিত চন্দ্র সরকার
পিকআপ গাড়ি করে মাছ নিয়ে যাওয়ার সময় মুরাদনগর থানাধীন মুরাদনগর বাজারের আল্লাহ চত্ত্বর
সিএনজি স্টেশনে আসার পর অজ্ঞাতনামা একজন মোটরসাইকেল যোগে এসে মাছের গাড়িকে সিগন্যাল
দিয়ে গাড়িতে অবৈধ মাল আছে বলে জিজ্ঞাসা করে এবং নিজেকে আইনের লোক বলে পরিচয় দেয়। পিকআপটি
দাঁড় করানোর সাথে সাথে অজ্ঞাতনামা লোক মোটরসাইকেল ও প্রাইভেকার নিয়ে পিকআপের পাশে এসে
দাঁড়ায় এবং পিকআপ চেক করতে শুরু করে। এমন সময় অন্য একজন অজ্ঞাতনামা লোক পিকআপ গাড়ির
ড্রাইভার মোঃ সোহেল এর প্যান্টের বাম পকেট থেকে ১ লক্ষ ২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিলে বিষয়টি সন্দেহ হলে সাথে সাথে আসামীদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে
অজ্ঞাতনামা আসামীরা তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার যোগে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে
সঞ্জিত চন্দ্র সরকার থানায় এসে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত এজাহার দায়ের
করেন।
উক্ত ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির সাথে সাথে
মুরাদনগর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম লুষ্ঠিত টাকা ও ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের
লক্ষে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযান পরিচালনার সময় তথ্য প্রযুক্তি
ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় গত (১২ জুন) মুরাদনগর থানাধীন নিমাইকান্দি গ্রামের মাসুদ
এর বিল্ডিংয়ের সামনে পৌঁছালে পুলিশ দেখতে পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর সময় আসামী মোঃ নাজমুল
হাসান লিটনকে গ্রেফতার করা হয় এবং অপর এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির হাতে থাকা ১৫ পিস ইয়াবা
ফেলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো- কুমিল্লা জেলার
মুরাদনগর থানাধীন ১৩নং মুরাদনগর সদর ইউনিয়নের মুরাদনগর মধ্যপাড়া এলাকার ওমর আলীর ছেলে
মোঃ নাজমুল হাসান লিটন (২৬)।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদকালে
তার অপর এক সহযোগীর সহায়তায় উক্ত ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে এবং তার দেখানো স্থান
হতে ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত রেজিস্ট্রেশন ও নম্বরবিহীন একটি কালো রংয়ের ১৫০ সিসি পালসার
মোটরসাইকেল এবং লুণ্ঠিত ১ লক্ষ ২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদেরকে
গ্রেফতারের জন্য ও ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়ী উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উক্ত ঘটনায় পৃথকভাবে মুরাদনগর থানার
মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


বাঁচা-মরার ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপে সুপার ফোরে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। এই জয়ের মাধ্যমে দেশের বাইরে প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানকে টি-টোয়েন্টিতে হারালো বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে আফগানিস্তানকে ১৫৫ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার সেদিকুল্লাহ অটলকে শূন্য রানে এলবিডাব্লিউ করেন বাহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। ওই ওভার মেইডেন নেন নাসুম। উইকেট হারানোর পরেও চড়াও হওয়ার চেষ্টায় ছিলেন ইব্রাহিম জাদরান ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তবে পঞ্চম ওভারে এসে সেই জুটিও ভেঙেছেন নাসুম। তার বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ৫ রানে ফিরেছেন ইব্রাহিম। অবশ্য আফগানিস্তান রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। আফগান ব্যাটার কাটা পড়েন আম্পায়ারর্স কলে।
পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেট নেয়ার পাশাপাশি আফগানদের চেপে ধরে টাইগার বোলাররা। ৬ ওভারে আফগানদের সংগ্রহ মাত্র ২৭ রান।
৮ দশমিক ৩ ওভারে এসে গুলবাদিনকে বিদায় দিয়ে আফগানদের আরও চাপে ফেলেন রিশাদ। গুলবাদিনের ফিরতি ক্যাচ নেন এই লেগি। আফগান এই ব্যাটার ১৪ বলে ১৬ রান করে বিদায় নেন। গুরবাজ এক প্রান্ত আগলে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ালেও ড্রিংকস ব্রেকের পর রিশাদের বলে সুইপ করতে গিয়ে ৩৫ রানে কাটা পড়েন। তার ৩১ বলের ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ২টি ছয়। এটি ছিল রিশাদের দ্বিতীয় উইকেট। আফগানরা চতুর্থ উইকেট হারায় ৬২ রানে।
১৩তম ওভারে পঞ্চম উইকেটও তুলে নেয় বাংলাদেশ। মোস্তাফিজের বলে বোল্ড হন মোহাম্মদ নবী (১৫)। তাতে ৭৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে আরও বিপদে পড়ে আফগানিস্তান। তবে ক্যামিও ইনিংসে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ব্যবধান কমাচ্ছিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তার ব্যাটে ১৫তম ওভারে স্কোর একশ ছাড়ায় আফগানদের। তবে এই ব্যাটারকে ৩০ রানে থামিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। ওমরজাই ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ১৬ বলে ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
১৮ বলে যখন ৩১ রান দরকার ঠিক তখনই রান আউটের ফাঁদে করিম জান্নাত। সোহানের দুর্দান্ত থ্রোয়ে রান আউট হন তিনি। ১২৪ রানে পড়ে সপ্তম উইকেট। ব্যবধান কমিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলার চেষ্টায় ছিলেন রশিদ খান। প্রথম বলে চার মারলেও ১৮ দশমিক ২ ওভারে মোস্তাফিজের বলেই ২০ রানে কাটা পড়েন তিনি। তাতে ১৩২ রানে অষ্টম উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
পরের বলে নতুন নামা গজনফরকেও গ্লাভসবন্দি করান কাটার মাস্টার। তাতে জয়ের আরও কাছে চলে আসে বাংলাদেশ। ইনিংসের শেষ বলে সোহানের হাতে তালুবন্দি হন নুর। এতেই ৮ রানের পরাজয় ঘটে আফগানদের।
বাংলাদেশের হয়ে এই ম্যাচে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। তাসকিন, রিশাদ এবং নাসুম নিয়েছেন দুটি করে। তবে চার ওভার বল করে মাত্র ১১ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন নাসুম।
এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চার পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামা বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিমের সাথে ওপেনিংয়ে নামেন সাইফ হাসান। ভাগ্যের সহায়তা পান দুজনই। প্রথম ওভারে ক্যাচ তুলেও বেঁচে যান সাইফ হাসান। তৃতীয় ওভারে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয় তানজিদ হাসানের। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বাংলাদেশ তোলে বিনা উইকেটে ৫৯।
একসময় মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশ ১৭০-১৮০ রানের দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু তানজিদ ছাড়া বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দল ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৫৪ রানের মাঝারি সংগ্রহ।
আফগান স্পিনার নুর আহমেদকে ছক্কা মারতে গিয়ে ইব্রাহিম জাদরানের ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে ৩১ বলে ৫২ রান করেন ওপেনার তানজিদ। ২৮ বলে ৩০ আসে সাইফের ব্যাট থেকে। বাকিরা কেউই ত্রিশ পেরোতে পারেননি।
১৩ তম ওভারে তানজিদের বিদায়ের পর শেষ ৭.১ ওভারে বাংলাদেশ মাত্র ৫০ রান তুলতে পেরেছে। এ সময় হারিয়েছে মাত্র ২ উইকেট। জাকের আলি করেন ১৩ বলে ১২ এবং নুরুল হাসান ৬ বলে ১২ রান করে অপরাজিত ছিলেন। আর ২০ বলে ২৬ রান করে আউট হন তাওহিদ হৃদয়।
বাংলাদেশ এর আগে একবারই আফগানদের ১৫৫-এর বেশি লক্ষ্য দিতে পেরেছে। ২০২২ সালে মিরপুরে সেই ম্যাচে ১৫৬ রানের লক্ষ্য ছুঁতে নেমে ৯৪ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। সেই ম্যাচেও নাসুম আহমেদ ৪ উইকেট তুলে নিয়ে দলের জয়ে ভূমিকা রেখেছিলেন। এ ম্যাচেও প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন এই বোলার।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের
কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে নগরীর শাসনগাছা এলাকায় অবস্থিত বাদশা মিয়ার বাজারে
নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) উক্ত অভিযানে
২টি দোকানকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং প্রায় ২০১ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং
ব্যাগ জব্দ করা হয়।
অভিযানটি পরিচালনা করেন, কুমিল্লা জেলা
প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার শ্রী রতন কুমার দত্ত। কোর্টে প্রসিকিউশন প্রদান
করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক চন্দন বিশ্বাস এবং পরিদর্শক
জোবায়ের হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট মোঃ রায়হান মোর্শেদ, নমুনা সংগ্রহকারী মোঃ মোবারক হোসেন এবং জেলা পুলিশ সদস্যরা।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন ৬নং জগন্নাথপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক ও মাদক বিক্রির
নগদ টাকাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানার চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশের একটি চৌকস টিম।
কোতয়ালী মডেল থানার চকবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত অফিসার ইনচার্জ মোঃ মঈন উদ্দিন এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) মীর সিরাজুল ইসলাম, এএসআই(নি:) মোঃ ইলিয়াস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে (৩ডিসেম্বর) মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭ টার সময় কোতয়ালী মডেল থানাধীন ৬নং জগন্নাথপুর ইউনিয়ন শাহপুর পূর্বপাড়া মো: সহিদ মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৮৪ বোতল বিদেশি মদ, ৪৮ বোতল ফেনসিডিল, ৯৩ বোতলের স্কাপসিরাপ, ৭৯ বোতল বিয়ার, ৭৭৫ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির নগদ ১০,৮২,০৭০ টাকাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো, কোতয়ালী মডেল থানার শাহপুর গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে মো: আব্দুল সাত্তার (৫২) ও সদর দক্ষিণ মডেল থানার লালমাই দক্ষিণ কাছার গ্রামের আব্দুল হাই এর ছেলে মোঃ পারভেজ (১৫)।
চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ মোঃ মঈন উদ্দিন বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামী আব্দুল সাত্তার ও মোঃ পারভেজ এর বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন