

আজ শনিবার (২১ জুন)
সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা
জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমড়াতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মোজাম্মেল
হোসেন অমি (২৭) এবং সাইমন হোসেন (২৩) নামক
দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ১০ কেজি গাঁজা ও মাদক
পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। মোজাম্মেল হোসেন অমি (২৭) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার শিমপুর গ্রামের মৃত
ফতে আলী এর ছেলে এবং ২। সাইমন হোসেন (২৩) একই গ্রামের শহিদ আলম এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা
দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত মোটরসাইকেল ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য
গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি
ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ
হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১
এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ
প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


চলমান অপারেশন অপারেশন ডেভিল হান্টে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে গত গেল ২৪ ঘন্টায় ১২ জনসহ মোট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার
করেছে যৌথ বাহিনী।
গ্রেপ্তারকৃরা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে। কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার আরাফাতুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম খোকন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. রেজাউল করিম, মোকাম ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামাল হোসেন, নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবলীগ নেতা ফরহাদ হোসেন, মহানগরীর ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জনি, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলাম হোসেন তপন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি রনিসহ অন্যরা।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা নগরীতে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে উজিরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোঃ নাঈমুর রহমান মজুমদার মাছুমকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।
গতকাল ১৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে নগরীর দক্ষিণ চর্থার ইপিজেড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া মাছুম চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘাসি গ্রামের মৃত. মোখলেসুর রহমান মজুমদাের ছেলে । তিনি দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চিহ্নিত আসামি এবং চৌদ্দগ্রামে সংঘটিত এইট মার্ডার হত্যাকাণ্ডের মামলার ৮৮ নং আসামি।
সূত্রে জানা যায়, নাঈমুর রহমানের কাছ থেকে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নাশকতা পরিকল্পনার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। তার স্বীকারোক্তিতে উঠে এসেছে যে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ ঢাকা শহরের ৮/৯টি স্থানে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সকাল ৬ টা থেকে ৭টার মধ্যে ভয়াবহ নাশকতা চালানো হবে।
অভিযুক্ত নাঈমুর রহমান আরও জানায়, এবার শুধু মহাসড়ক অবরোধেই সীমাবদ্ধ নয়, তারা এক্সকাভেটর ব্যবহার করে রাস্তাঘাট কেটে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।এর পাশাপাশি শিল্পাঞ্চলগুলোতে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি করে দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করার কৌশলও হাতে নেওয়া হয়েছে।
সেনা অভিযানে গ্রেফতারের পর নাঈমুর রহমানকে ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে কুমিল্লা সিআইডিকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
এই গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও নাশকতার যেকোনো পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নূরুল ইসলামের বাড়ির ছাদ থেকে ১০০ কেজি গাঁজাসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে পুলিশ মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে গাঁজা উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উত্তর শশীদলে নূরুল ইসলাম মেম্বারের বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ে তল্লাশি চালিয়ে প্রথমে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে কাউছার (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে কাউছারের তথ্যের ভিত্তিতে নূরুল ইসলাম মেম্বারের বাড়ির ছাদে শুকানো অবস্থায় আরো ৬০ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়।
অভিযানের সময় ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যান।
আটককৃত কাউছার শশীদলের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে এবং নূরুল ইসলামের সহযোগী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম জানান, শশীদল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নূরুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার ও কাউছার নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে। পলাতক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা
নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকায় ভোক্তা অধিদপ্তরের একটি অভিযানে দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে
অনিয়ম ও ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার (২৮ মে) দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার ও প্রযুক্তিবিদ (টেকনোলজিস্ট) না থাকায় “কুমিল্লা তিতাস মেডিকেল” প্যাথলজিকে ৫০,০০০ টাকা এবং আল নুর হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগে রেডিওলজিস্ট না থাকায় ২০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা
অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা তিতাস মেডিকেলে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া রিএজেন্ট ব্যবহার
করা হচ্ছিল এবং সেখানে কোনো রেজিস্টার্ড মেডিকেল টেকনোলজিস্ট কর্মরত ছিলেন না। অন্যদিকে,
আল নুর হাসপাতালে এক্স-রে পরীক্ষার সময় কোনো রেডিওলজিস্ট উপস্থিত না থাকায় রোগীদের
সেবা বিঘ্নিত হচ্ছিল। এছাড়া, প্রতিষ্ঠান দুটি রোগীদেরকে প্রতিশ্রুতিসম্মত সেবা প্রদান
করতে ব্যর্থ হয়।
ভোক্তা
অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর অধীন এ অনিয়মের জন্য মোট ৭০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
পাশাপাশি, ভবিষ্যতে সঠিকভাবে সেবা প্রদান ও নিয়ম মেনে চলার জন্য সতর্কবার্তা দেওয়া
হয়।
জাতীয়
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়ার নেতৃত্বে
এই অভিযান পরিচালিত হয়। তাকে সহযোগিতা করেন অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন এবং কুমিল্লা
জেলা পুলিশের একটি টিম।
ভোক্তা
অধিদপ্তর জানিয়েছেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং কোনো প্রতিষ্ঠানই
ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে রেয়াত পাবে না।
মন্তব্য করুন


তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা:
প্রতি বছর কার্ত্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাসা-বাড়ীতে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় ঘরোয়া পরিবেশে পালিত হয় বাঙালি হিন্দুদের শ্রেষ্ঠ সামাজিক অনুষ্ঠান ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটা উৎসব।
তারই ধারাবাহিকতায় ২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর কালিয়াজুরীতে বাংলাদেশ আইনজীবী ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা ইউনিটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকারের একমাত্র মেয়ে অর্পিতা সরকার তাঁর ছোটভাই অরন্য সরকার প্রিন্স এর কপালে চন্দন দিয়ে ফোঁটা এঁকে ছড়া কেটে বলেন "ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়লো কাঁটা, যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দেই আমার ভাইকে ফোঁটা।" এভাবেই ভ্রাতৃদ্বিতীয়া যমের দুয়ারে কাঁটা দিয়ে বোন ভাইয়ের দীর্ঘায়ু ও সৌভাগ্য কামনা করেন। এরপরে ভাইবোনেরা একে অপরের সাথে মিষ্টি বিনিময় করে এবং উপহার আদান-প্রদান করে থাকে।
জানা যায়- শুভ দিনের পরম পবিত্র লগ্নে ভাই-বোনের মধুর সম্পর্কের পুনঃ নবীকরণ করে নেওয়া হয় প্রতি বছর। শৈশবের হারিয়ে যাওয়া মধুর এই দিনটিতে বড় বেশি করে মনে পড়ে যায়। ভাই-বোনের স্নেহ ভালোবাসার সম্পর্কের প্রকাশ ভাইফোঁটা আচার অনুষ্ঠানটি মন কেড়ে নেয়। একটি অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে চিরন্তন আবেগ অনুভূতিই জীবন্ত হয়ে ওঠে। কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষে দ্বিতীয় তিথিতে বোন তাঁর ভাইকে পরম যত্ন সহকারে একটি সুন্দর আসনে বসিয়ে হেমন্তের শিশির ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে হাতের তিন আঙ্গুলের সাহায্যে বোন তাঁর ভাইয়ের কপাল ধুয়ে দেয়। এরপর বোন তার কনিষ্ঠা আঙ্গুল দিয়ে একইভাবে চন্দন তিলক এঁকে দিয়ে ছড়া কেটে বলে "ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়লো কাঁটা, যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দেই আমার ভাইকে ফোঁটা।"
অ্যাডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার বলেন- দীপাবলির একদিন পরেই ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটা। হেমন্তের পবিত্র শিশির দিয়ে বোন তাঁর ভাইয়ের সব অশুভ, অমঙ্গল ও অকল্যাণকর শক্তিকে ধুয়ে দেয়। সুগন্ধি চন্দন তিলক ললাটে এঁকে দিয়ে এনে দেয় সৌভাগ্যের পরশমনি। তারই সঙ্গে অমরত্বের প্রতীক দুর্বা আর ধনের প্রতীক ধান দিয়ে প্রার্থনা বা আশীর্বাদ বা তার মঙ্গল কামনা করেন। তিনি আরো বলেন- যমী (যমুনা) তার ভাই যমকে কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে নিজ গৃহে এনে পূজা করে ভোজনে আপ্যায়িত করেছিলেন। তিনি বলেন জনশ্রুতি আছে, সেই থেকে অদ্যাবধি বিপুুুল উৎসাহ উদ্দীপনায় ঘরোয়া পরিবেশে পালিত হয়ে আসছে বাঙালি হিন্দুদের শ্রেষ্ঠ সামাজিক অনুষ্ঠান ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটা উৎসব।
অন্যদিকে, ১৩৩৬ খ্রিস্টাব্দে আচার্য সবানন্দ সুবীর পুঁথির শেষ শ্লোকে বলা হয় মহাবীরের জীবনবাসন হলে রাজা নন্দী বর্ধন বোনের শোক নিবারণের জন্য বোনকে বুঝিয়ে আদর যত্ন করে আপ্যায়ন করেছিলেন। ভ্রাতৃদ্বিতীয়া যমের দুয়ারে কাঁটা দিয়ে ভাইয়ের দীর্ঘায়ু ও সৌভাগ্য কামনা করা হয়। ভাইফোঁটার দিনে বোনেরা তাদের দাদা বা ভাইকে নিজের বাড়ীতে নিমন্ত্রণ করে আপ্যায়ন করে এবং ভাইয়েরাও বোনদের প্রাণ ভরে আর্শীবাদ করে। ভাগ্নিরা ভাইয়ের কপালে চন্দন ও কুমকুমের তিলক বা ফোঁটা এঁকে দিলে কেউ তার ক্ষতি করতে পারবেনা। সেজন্যই বোনেরা ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে দেয়। এভাবে বোনেরা ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে। এরপর ভাইকে ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি খাওয়ায়। ভাইও তার সাধ্যমত বোনকে কিছু উপহার বা টাকা দেয়। পশ্চিমবঙ্গের ন্যায় বাংলাদেশেও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পালিত হয় বাঙালি হিন্দুদের শ্রেষ্ঠ সামাজিক অনুষ্ঠান ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটা উৎসব।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিন বেগমের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২ কুমিল্লা কোম্পানি। আটক হওয়া সন্দেহভাজনের নাম আব্দুর রব (৭৩)।
সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর কুমিল্লা কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম। জানা গেছে, আব্দুর রব (৭৩) পেশায় কবিরাজ। তার বাড়ি লাঙ্গলকোট উপজেলায়। নিহতের সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগ হয়েছিল আব্দুর রবের বলে জানায় র্যাব।
র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর কুমিল্লা কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম বলেন, ‘সন্দেহভাজন একজনকে লাঙ্গলকোট থেকে দুপুরে আটক করা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’
এর আগে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরীতে নিজ বাসা থেকে লোক প্রশাসন বিভাগের ওই শিক্ষার্থী ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, এটি ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’।
সুমাইয়ার মৃত্যুতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আজই তার পঞ্চম সেমিস্টারের শেষ পরীক্ষা ছিল। সেই পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়েছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধনও করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এদিন দুপুরে নগরীর পূবালী চত্বর এলাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে কুমিল্লা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করে তারা।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পৃথক স্থানে পুকুরে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) এ ঘটনা ঘটে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
জানা যায়, শুভপুর ইউনিয়নের উনকোট গ্রামে দেড় বছর বয়সী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ গতকাল সোমবার দুপুরে পুকুরপাড়ে খেলার সময় পুকুরে পড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর পুকুরে ভাসতে দেখে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ছাড়া সকালে চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার পশ্চিম চান্দিশকরায় নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পুকুরের পানিতে পড়ে মারা গেছে দেড় বছর বয়সী আতিফা আবেদীন ইশরা।
অন্যদিকে চিওড়া ইউনিয়নের চাপিরতলা গ্রামে নানার বাড়ির পুকুরের পানিতে ডুবে সাইফুল ইসলাম নীরব নামে ৮ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত শিশুরা হলো: শুভপুর ইউনিয়নের উনকোট গ্রামের মো. ফারুকের ছেলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বৈলপুর গ্রামের শিক্ষক শিপন আবেদীনের মেয়ে আতিফা আবেদীন ইশরা ও চিওড়া ইউনিয়নের ছোট সাতবাড়িয়া গ্রামের আবদুল কাদির সুফলের ছেলে সাইফুল ইসলাম নীরব।
ইদানীং পানিতে ডুবে অনেক শিশু মারা যাচ্ছে। এ মৃত্যু কমাতে ছোট শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের বেশি খেয়াল রাখা উচিত বলে জানান চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাঈদ আল মানসুর।
মন্তব্য করুন


মো মিজানুর রহমান মিনু, চৌদ্দগ্রাম:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম এর নির্দেশনায় ১৪ জুলাই রাত ২ টার সময় চৌদ্দগ্রাম থানায় কর্মরত এস আই সুজন কুমার চক্রবর্তী সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানার চিওড়া ইউনিয়নের ঘোষতল রাস্তার উপর থেকে ০১টি সিএনজি গাড়ী তল্লাশী করে ১টি স্কুল ব্যাগ ও ১টি প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতরে থেকে মোট ২৫ কেজি গাঁজা ও ০১টি নাম্বার বিহীন সিএনজি অটোরিক্সা উদ্ধার করে।
এ সময় সি এন জি তে থাকা দুইজন আসামী ইউসুফ (৪৫) ও কাজী মোঃ লিটন (৩২)কে মাদকদ্রব্য সহ আটক করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আর একজন আসামী মোঃ ইউনুছ আলী দৌড়ে পালিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে চৌদ্দগ্রাম থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলা করা হয়।
মন্তব্য করুন


তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা:
বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার ২০২৪-২০২৫ সনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট ২০২৫) বিকেল ৪টায় কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির দ্বিতীয় তলায় ৭নং হল রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ শহিদুল্লাহ এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি কেন্দ্রীয় পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সাবেক সভাপতি মোঃ এমদাদ হোসেন, বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি কেন্দ্রীয় পরিষদের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার সাবেক সভাপতি মোঃ আবুল খায়ের খোকন, বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি কেন্দ্রীয় পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার সাবেক সভাপতি মোঃ আবু তাহের কালন এবং অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতির সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন- বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ হোসেন মিয়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও বাংলাদেশ আইনজীবী সহকারী সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার সাবেক সভাপতি মোঃ আব্দুল হক মজুমদার, নির্বাচন কমিশনার মোঃ লোকমান হোসেন ও মোঃ মিজানুর রহমানসহ আইনজীবী সহকারীগণ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত পাঠ শেষে জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির প্রয়াত আইনজীবী সহকারীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত/সৎগতি কামনাসহ অসুস্থ্য আইনজীবী সহকারীদের সুস্থতা কামনার্থে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৫ সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে কুমিল্লা জেলা পুলিশের উদ্যোগে পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেট শহীদ আরআই এ.বি.এম আবদুল হালিম মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন।
সভায় পুলিশ সুপার পূজা মণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি পূজা পূর্ববর্তী ও পূজাকালীন সময়ে করণীয়-বর্জনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় তিনি পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণসহ নিরাপত্তা জোরদারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি বলেন, “আমরা সকলে মিলে উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে কুমিল্লায় শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করবো।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাশেদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) পংকজ বড়ুয়া, জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জগণ এবং জেলা, মহানগর ও উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
মন্তব্য করুন