তীব্র তাপপ্রবাহে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এ ছাড়াও এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে রাখাসহ গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে বিদ্যুৎ বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিগত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন সত্ত্বেও চলমান দাবদাহে বিদ্যুতের চাহিদা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তা সত্ত্বেও গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদানে বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করছে এবং একইসঙ্গে গ্রাহকদের আরো পরিমিত ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারে আহ্বান জানাচ্ছে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। বাড়তি উৎপাদনের পরও লোডশেডিং এড়াতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগ। শহরে স্বস্তি থাকলেও, গ্রামে ভোগান্তিতে গ্রাহকরা।
বিদ্যুৎ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, নিম্নহারে বিদ্যুৎ বিল পেতে দোকান, শপিংমল, পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অতিরিক্ত বাতি ব্যবহারে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি বা এর ওপরে রাখতে আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনা এড়াতে হুকিং বা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিরত থাকতেও আহ্বান জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বেআইনিভাবে ইজিবাইক ও মোটরচালিত রিকশার ব্যাটারি চার্জিং থেকেও বিরত থাকতে গ্রাহকদের আহ্বান জানানো হয়।
মন্তব্য করুন
সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে । বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহার করা গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে গেজেট জারি করা হয়েছে। নতুন এ দাম চলতি ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই কার্যকর ধরা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ১৮ জানুয়ারি আবাসিক, সিএনজিচালিত যানবাহন, সার ও চা শিল্পে ব্যবহার ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল, যা ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কার্যকর হয়।
সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য গ্যাসের পূর্ব মূল্য ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা যা বাড়িয়ে বর্তমান মূল্য করা হয়েছে ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা।
ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট, স্মল পাওয়ার প্ল্যান্ট ও বাণিজ্যিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ছিল প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকা। এক্ষেত্রেও ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে সেটা ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভতুর্কি সমন্বয়ে বিদ্যুতের সঙ্গে গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে । গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, গ্যাসের দাম সমন্বয় গ্রাহক পর্যায়ে হচ্ছে না। বিদ্যুতের পর্যায় হচ্ছে। গ্যাসের আবাসিক পর্যায়ে ব্যবহারের ক্ষেত্রে দাম বাড়ছে না। শিল্পেও গ্যাসের দাম বাড়ছে না। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে যে গ্যাস দেওয়া হয় সেখানে আমরা কিছুটা সমন্বয় করছি।
তিনি বলেন যে গ্যাস বিদ্যুতে দেওয়া হয় সেখানে প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বাড়বে, অর্থাৎ এটা ইন্টারনাল।
এ বছর বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি আসবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি ক্ষেত্রে ৬ হাজার কোটি টাকার মতো ভর্তুকি আসবে। এগুলো আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আমরা সমন্বয়ে যাবো।
মন্তব্য করুন
তীব্র তাপদাহের মধ্যে আগামীকাল রবিবার
(২৮ এপ্রিল) খুলছে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সব প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ
থাকবে।
শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এতে বলা হয়, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে
কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট
পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোতে
শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
১. আগামী ২৮ এপ্রিল রবিবার থেকে সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকার্যক্রম চলমান থাকবে।
২. এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহ
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে।
৩. দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহ
প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত
চলমান থাকবে।
৪. তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত
অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।
৫. উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সংশ্লিষ্টদের
নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো রুটিন
বিবেচনায় নিয়ে উপজেলা ভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাপ্তাহিক রুটিন প্রণয়ন
করবেন।
৫. প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
তাপদাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে আসার পূর্ব-পর্যন্ত
এবং পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত উল্লিখিত সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ
সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে
পরিণত হয়েছে এবং এর অগ্রযাত্রা সামনেও অব্যাহত থাকবে।
আজ সন্ধ্যায় তাঁর সরকারি
বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় বক্তব্য প্রদানকালে
বৈঠকের সূচনা ভাষণে এ কথা বলেন।
মা ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস,
চিকিৎসা সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া, শিক্ষার হার বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে এমন কোনো খাত নেই যা পিছিয়ে
আছে।শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ এগিয়েছে।
সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ
নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের নেয়া সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপের কারণে কোভিড-১৯
অতিমারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলা করেও বাংলাদেশ
তার অর্থনৈতিক শক্তি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিয়ে
তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে এবং ২০২৬ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে
উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে স্বল্পোন্নত দেশ
থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর অবশ্যই ঘটবে।
প্রধানমন্ত্রী জনগণকে সবচেয়ে
বেশি গুরত্ব দিয়ে বলেন, গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনে
জনগণ আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে।এ জনগণই আওয়ামী লীগের একমাত্র শক্তি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়
থাকলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর অবশ্যই ঘটবে। এই আওয়ামী লীগের শাসনামলে ব্যাপক উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ
এখন বিশ্ব মঞ্চে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে ।
গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের
আজকের এ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ সময় আরো উপস্হিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও
কাজী জাফরউল্লাহ এবং সিনিয়র সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহসহ অন্যান্যরা ।
মন্তব্য করুন
সড়ক
পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের শক্তি এ দেশের জনগণ। অনেকেই ভেবেছে
নির্বাচন করতে পারবে না। কিন্তু তাদের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেছে।
রোববার
(১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রীর কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন
ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল
কাদের বলেন, মানুষের জীবনে রাজনীতি বলুন, অর্থনীতি বলুন সর্বক্ষেত্রেই জীবন চ্যালেঞ্জিং।
বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সেই চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন। তবে আমি মনে করি কোনো চ্যালেঞ্জই
মোকাবিলা করা অসম্ভব নয়। আমরা যখন পদ্মাসেতু কাজ শুরু করেছিলাম তখন কেউ ভাবেনি এটা
শেষ করা সম্ভব হবে। বিশ্বব্যাংকও পাশে ছিল না। কিন্তু আমরা পদ্মাসেতু করতে পেরেছি।
মেট্রোরেল দিয়ে যে এ শহর সমৃদ্ধ হবে এ কথাও কেউ ভাবেনি। কিন্তু সেটাও শেখ হাসিনার সরকার
উপহার দিয়েছে। আমাদের অনেক কাজ আছে সামনে, অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। তবে এখনো আমরা সড়কে
যানবাহনের শৃঙ্খলা আনতে পারিনি। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একযোগে আমরা একটা প্রকল্প হাতে
নিয়েছি। এটা করতে পারলে রোড সেফটি নিশ্চিত হবে। আজ অনেক রাস্তা হচ্ছে। রাস্তাগুলো স্মার্ট
করতে হবে। এ বিষয়গুলোও আমরা দেখবো। অনেক সড়কের নির্মাণকাজ শেষ করতে হবে।আমাদের শক্তি
এ দেশের জনগণ। অনেকেই ভেবেছে নির্বাচন করতে পারবে না। কিন্তু তাদের স্বপ্ন স্বপ্নই
রয়ে গেছে। এ দেশটা সকলের। দেশ যে শুধু আওয়ামী লীগের সেটা তো বলতে পারি না। সত্যিকার
অর্থে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চায় আসতে হবে।
মন্তব্য করুন
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক ৪ দিনের সফরে আগামীকাল সোমবার ঢাকায় আসছেন।
সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল ১০টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাজার পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এ সময় রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও ফার্স্ট লেডি গান স্যালুট ও গার্ড অব অনার দিয়ে রাজাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যাবেন রাজা ওয়াংচুক।
এসময় সোমবার বিকেলে ভুটানের রাজা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করবেন এবং তাদের দুজনের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকের পর দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ রাজার সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সাক্ষাৎ করবেন।
মঙ্গলবার রাজা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করবেন। সেসময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
পরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করবেন ভুটানের রাজা। এরপর তিনি বঙ্গভবন পরিদর্শন করবেন, সেখানে রাষ্ট্রপতি ও ফার্স্ট লেডি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজা। রাষ্ট্রপতি সফররত রাজপরিবারের সম্মানে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করবেন।
বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে ভুটানের রানী জেটসুন পেমা ওয়াংচুক ও ভুটানের নির্বাচিত প্রতিনিধি দলের সদস্যরা একটি বিশেষ ফ্লাইটে ভুটানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে তাদের বিদায় জানাবেন।
ভুটানের রাজা পদ্মা সেতু ও বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ পরিদর্শন করবেন। বৃহস্পতিবার রাজা কুড়িগ্রামের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে সোনাহাট স্থলবন্দর হয়ে আসামের গোলকগঞ্জের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী তাকে বিদায় জানাবেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে
চায় বাংলাদেশ, তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সব সময় প্রস্তুত ।
রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রামের হালিশহর সেনানিবাসে আর্টিলারি
সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স’
উদ্বোধন শেষে দরবারে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, কেউ আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করুক, আমরা
সেটা চাই না। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে চাই, কিন্তু আমাদের দেশের
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যা যা করা দরকার আমরা তা করব। আমাদের এটি
সর্বদা মনে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ডিজিটাল মাধ্যমে যুদ্ধ করা হচ্ছে। সেজন্য দেশে
আধুনিক, জ্ঞানভিত্তিক উচ্চ প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা দরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় শান্তি চাই। বাংলাদেশ স্বাধীন ও
সার্বভৌম। আমরা যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছি। যুদ্ধে জয়ী হয়ে আমরা যে
স্বাধীনতা পেয়েছি তা আমাদের ধরে রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আরও উন্নত, আরও দক্ষ এবং আরও
প্রশিক্ষিত হবে এবং সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি আমরা।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেহেতু প্রয়োজনে সবসময় জনগণের
পাশে রয়েছে, তাই এখন তারা জাতির কাছে আস্থার প্রতীক।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান
জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তাকে স্বাগত জানান।
মন্তব্য করুন
দেশে প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের অনলাইন, অনলাইনের জন্য নিবন্ধিত এবং নিবন্ধন পেতে
আবেদন করা অনলাইন গণমাধ্যম ছাড়া বাকি সব অনলাইন বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার
প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্যা রিপোর্টার্স
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে একেবারে প্রতিষ্ঠিত
গণমাধ্যমের ২১৩টি অনলাইন আছে। আর রেজিস্টার অনলাইন আছে ২১৩টি। অর্থাৎ মোট ৪২৬টি অনলাইন
আছে। একইসঙ্গে যেগুলো দরখাস্ত করেছে, প্রক্রিয়াধীন আছে সবগুলোর লিস্ট করতে বলা হয়েছে।
এর বাইরে যত অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে, সেগুলো আমরা সব বন্ধ করে দেব।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দরখাস্ত করলে নিবন্ধন পাওয়ার আগ পর্যন্ত
বন্ধ হবে না। কারণ নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা অনলাইন কিভাবে চলছে সেটা দেখতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারমুক্ত গণমাধ্যম, সাংবাদিকতার চমৎকার পরিবেশ এবং মত প্রকাশের
স্বাধীনতার জন্য যা যা উপকরণ লাগে সেই বিষয়গুলো নিশ্চিত করণের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী
বলেন, তথ্য অধিকার আইন শেখ হাসিনার আমলেই সংসদে পাশ হয়েছে। তথ্য পাওয়ার যে অধিকার আইনগতভাবে
নিশ্চিত করা হয়েছে সেটাকে বাস্তবে আমরা আরও বেশি নিশ্চিত করতে চাই। তথ্য সম্প্রচার
মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে আমরা একটা বার্তা দিয়েছি, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে। আমরা চাচ্ছি
তথ্য অধিকার আইনকে আরও সুদৃঢ় করার জন্য কারণ তথ্য প্রবাহকে অবারিত করতে চাই।
জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকার বিষয়ে গুরত্বারোপ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণকে তথ্য
দেওয়ার বিষয়টি আমাদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক। এটাকে জাগ্রত করার চেষ্টা করছি প্রশাসনের
প্রত্যেকটি স্তরে। যদি তথ্য না থাকে তখনই অপপ্রচারের সুযোগ তৈরি হয়। কাজেই কিছু প্রশাসনিক
পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। যেন খুবই অল্প সময়ের মধ্যে সাংবাদিকদের
কাছে তথ্য পৌঁছাতে পারি এবং আপনারা সেটা জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারেন।
সবাই মিলে তথ্যের অবাধ প্রবাহকে আরো সুনিশ্চিত করণ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপতথ্যকে
রোধ করতে হবে। ক্লাইমেট ঝুঁকির চেয়ে বেশি ঝুঁকি হচ্ছে অপতথ্যের ঝুঁকি। সোশ্যাল মিডিয়া
বিশেষ করে এখানে কোন ধরনের নীতিমালা না থাকার কারণেই এই অপতথ্যের বিস্তার ঘটছে।
মূলধারার গণমাধ্যমের নীতিমালার গুরত্ব নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন,
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন নীতিমালা না থাকার কারণে এটি জনগণের জন্য হিতকর নয় তাই
সেখানে আমরা একটা নীতিমালার আওতায় আনতে চাচ্ছি। কারণ মিথ্যা খবর কোন ভাবেই সমাজের কল্যাণ
বয়ে আনতে পারে না।
মন্তব্য করুন
গত
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে
টানা ৪র্থবারের মতো সরকার গঠন করছে আওয়ামী লীগ। ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের বেসরকারি
ফলাফল পাওয়া গেছে। তারমধ্যে নৌকা প্রতীকে ২২২টি আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার
(১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো.
সাহাবুদ্দিন।
শপথ
নেওয়ার পর মন্ত্রীদের দফতর বণ্টন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব
পেলেন যে মন্ত্রীরা:
১.
আ ক ম মোজাম্মেল হক- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
২.
ওবায়দুল কাদের- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
৩.
আবুল হাসান মাহমুদ আলী- অর্থ মন্ত্রণালয়।
৪.
আনিসুল হক- আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
৫.
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন- শিল্প মন্ত্রণালয়। ।
৬.
আসাদুজ্জামান খান (কামাল)- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
৭.
মো. তাজুল ইসলাম- স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
৮.
মুহাম্মদ ফারুক খান- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
৯.
মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
১০.
ডা. দীপু মনি- সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
১১.
সাধন চন্দ্র মজুমদার- খাদ্য মন্ত্রণালয়।
১২.
আব্দুস সালাম- পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
১৩.
মো. ফরিদুল হক খান- ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
১৪.
র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী- গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
১৫.
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ- ভূমি মন্ত্রণালয়।
১৬.
জাহাঙ্গীর কবির নানক- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।
১৭.
মো. আব্দুর রহমান- মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
১৮.
মো. আব্দুস শহীদ- কৃষি মন্ত্রণালয়।
১৯.
স্থপতি ইয়াফেস ওসমান- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
২০.
ডা. সামন্ত লাল সেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
২১.
মো. জিল্লুল হাকিম- রেলপথ মন্ত্রণালয়।
২২.
মো. ফরহাদ হোসেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২৩.
নাজমুল হাসান (পাপন)- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
২৪.
সাবের হোসেন চৌধুরী- পরিবে, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
২৫.
মহিবুল হাসান চৌধুরী- শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রতিমন্ত্রী :
১.
নসরুল হামিদ- বিদ্যুৎ বিভাগ।
২.
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী- নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়।
৩.
জুনাইদ আহমেদ পলক- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
৪.
জাহিদ ফারুক- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
৫.
সিমিন হোমেন রিমি- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
৬.
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
৭.
মো. মহিববুর রহমান- দযোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
৮.
মোহাম্মদ আলী আরাফাত- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
৯.
শফিকুর রহমান চৌধুরী- প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
১০.
রুমানা আলী- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১১.
আহসানুল ইসলাম (টিটু)- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বুধবার
(১০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ
সদস্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী, ২৫ জনকে মন্ত্রী ও ১১ জনকে প্রতিমন্ত্রী নিয়োগে
সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি।
মন্তব্য করুন
৫২তম বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট, একটি উদ্বোধনী খাম ও একটি ডাটাকার্ড অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
(১৬ ডিসেম্বর) শনিবার সকালে গণভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে একটি বিশেষ সিলমোহর ও ব্যবহার করা হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এই ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ড ঢাকা জিপিওর ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হবে এবং পরবর্তীতে সারা দেশের অন্যান্য জিপিও এবং প্রধান পোস্ট অফিসগুলোতেও পাওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন
রাতের তাপমাত্রা বাড়ার পাশাপাশি দেশের কিছু কিছু জায়গায় টানা ৩দিন বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বির্স্তৃত।
এই অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামীকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
তাছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সারাদেশে প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন