

আগামী
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) যে এইচএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল, তা স্থগিত করা হয়েছে।
আজ
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষা উপদেষ্টা
অধ্যাপক ড. সি আর আবরার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এ ঘোষণা দেন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল,কুমিল্লা:
১৯৭১ সালের ১৮ অক্টোবর কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানায় দেউশ মন্দভাগ বাজারে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে।
১৯৭১ সালের ১৪ অক্টোবর সালদা নদীতে প্রথম আক্রমণের পর ৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ‘সি’ কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার ওহাবের ৭ নং প্লাটুনকে দেউশ-মন্দভাগ এলাকায় প্রতিরক্ষা অবস্থান নিতে নির্দেশ দেন। এলাকাটি দক্ষিণ-পশ্চিমে চান্দলা খাল ও দক্ষিণ-পূর্বে সালদা নদী ঘিরে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সুবেদার ওহাবের নেতৃত্বে প্রায় ৬০ জন মুক্তিযোদ্ধা, ২টি এমজি, ৭-৮টি এলএমজি এবং ৬০ মি.মি. মর্টারসহ দৃঢ় প্রতিরক্ষা অবস্থান গ্রহণ করেন।
শত্রুপক্ষ ৩৩ বালুচ রেজিমেন্টের একটি কোম্পানি ১৭ অক্টোবর রাতে সালদা নদী পথে অগ্রসর হয়। ১৮ অক্টোবর ভোরে চান্দলা খালে মাছ ধরায় নিয়োজিত আবু মিঞা প্রথমে শত্রুর নৌবহরের শব্দ শুনে মুক্তিযোদ্ধাদের সতর্ক করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই শত্রুর প্রথম নৌকাটি প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করলে নায়েক আতাউর রহমান গুলি চালিয়ে আক্রমণ শুরু করেন। মুহূর্তেই মুক্তিবাহিনীর সব পোস্ট সক্রিয় হয় এবং সুবেদার ওহাব নিজে এমজি পজিশনে থেকে ফায়ার নিয়ন্ত্রণ করেন। ভয়াবহ গুলিবর্ষণে পাকিস্তানি সেনাদের ৭-৮টি নৌকা ধ্বংস হয়, বহু সেনা নিহত ও আহত হয়। ভোরের আলো ফোটার পর সুবেদার ওহাব ও তাঁর সহযোদ্ধারা লে. সীমাসহ প্রায় ১৫-২০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেন। নিহত এক হাবিলদারের পকেট থেকে উদ্ধারকৃত চিঠিতে লেখা ছিল- “এখানে মুক্তিবাহিনী নামক বাহিনী আচমকা এসে আক্রমণ করে পালিয়ে যায়, এদের দেখা যায় না।”
এই চিঠি মুক্তিবাহিনীর গেরিলা কৌশলের সার্থকতা প্রকাশ করে।
আহতদের মধ্যে হাবিলদার আকরাম নামের এক সৈনিক জানায়, তাদের নৌকায় মেজর আফ্রিদি ছিলেন যিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিখোঁজ হন। সুবেদার ওহাব আহত আকরামকে হত্যা না করে চিকিৎসার জন্য ক্যাম্পে পাঠান—যা মুক্তিবাহিনীর মানবিক আচরণের উদাহরণ।
অতঃপর সকাল ৯টার দিকে পাকিস্তানি বাহিনী পশ্চিম ও দক্ষিণ দিক থেকে প্রতিআক্রমণ শুরু করে। সুবেদার ওহাবের এমজি ও এলএমজি পোস্ট থেকে গুলি ও মর্টার বর্ষণে শত্রু ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে পিছু হটে যায়। এরপর শুরু হয় আধাঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আর্টিলারি গোলাবর্ষণ, যা অধিকাংশই খাল ও বিলের পানিতে গিয়ে পড়ে। মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ হতাহত না হলেও তাদের দৃঢ় অবস্থান শত্রুকে হতাশ করে।
দুপুরে শত্রু ৪টি হেলিকপ্টার নিয়ে আকাশ থেকে গুলি বর্ষণ করে। এই হামলায় কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হলেও মুক্তিযোদ্ধারা অক্ষত থাকে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলেও সুবেদার ওহাব পরে হেডকোয়ার্টারের সঙ্গে যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করে যুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাঠান।
এই অভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর প্রায় ৫০-৫২ জন নিহত ও ৫০-৫৫ জন আহত হয়, যার মধ্যে ২ জন অফিসারও ছিলেন। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একক অভিযানে শত্রুপক্ষের সর্বাধিক হতাহতের অন্যতম নজির। পাকিস্তানি সেনারা পরবর্তীতে সুবেদার ওহাবকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় ধরিয়ে দিলে ৫০,০০০ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে।
দেউশ-মন্দভাগ অভিযান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায়—যেখানে সুবেদার ওহাবের নেতৃত্ব, মুক্তিযোদ্ধাদের কৌশল, সাহস ও আত্মত্যাগ প্রমাণ করেছিল যে আধুনিক অস্ত্র নয়, স্বাধীনতার অদম্য আকাঙ্ক্ষাই বিজয়ের মূল শক্তি।
মন্তব্য করুন


নীলফামারীর চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের ২ জন সদস্যকে আটক করেছে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার সময় আন্তঃনগর ‘নীলসাগর এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ১১টি আসনের ৫টি টিকিট ও নগদ অর্থসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো- নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের আশরাফুল ইসলাম লিখন (৩২) এবং চিলাহাটির মিন্টু আলী (৪২)।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিউল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল চিলাহাটি স্টেশনে অভিযান চালিয়ে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের ২ সদস্যকে আটক করে।
এ সময় তাদের তল্লাশি করে আন্তঃনগর ‘নীলসাগর এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ১১টি আসনের ৫টি টিকিট, টিকিট বিক্রির নগদ ১ হাজার ৫শত টাকা ও ১টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। চিলাহাটি-ঢাকা রুটের এসব টিকিটের যাত্রার তারিখ ছিল ১২ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম নূরুল ইসলাম।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম নূরুল ইসলাম বলেন, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের ২ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন সোয়াগাজী বাজার এলাকা হতে ৩০ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ০৮ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন সোয়াগাজী বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ৩০ কেজি গাঁজা’সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলো: বাগেরহাট জেলার কঢ়ুয়া থানার বড় আন্দার মানিক গ্রামের মৃত আঃ হামিদ শেখ এর ছেলে মোঃ আতিয়ার রহমান (৫০)। এসময় মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ জব্দকৃত প্রাইভেটকার ব্যবহার করে বাগেরহাট, কুমিল্লা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাঁজা’সহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে।
উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নারী ও শিশু নির্যাতন
আইনে ধর্ষণ মামলায় জামিন পাওয়ার অধিকার রাখবো না বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক
উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আজ রবিবার (৯ মার্চ)
আইন মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ
নজরুল বলেন, ধর্ষণ মামলায় যদি ৯০ দিনের মধ্যে বিচার না হয়, তাহলে এই মামলায় কাউকে জামিন
দেওয়া যাবে না। আগে ছিল ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার না হলে জামিন দেওয়া যেতো। এখন থেকে ধর্ষণের
মামলার ক্ষেত্রে কোনো জামিন দেওয়া হবে না। ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে যদি কোনো রকমের
গাফলতি থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল অ্যাকশন নেয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট আইন
সংযোজন করা হবে। ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে ডিএনএ
সার্টিফিকেট লাগতো। আমাদের দেশের সব জায়গায় ডিএনএ সার্টিফিকেট দেওয়ার সুবিধা নেই। এজন্য
ধর্ষণ মামলার বিচার অনেক দেরি হতো। এজন্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলে একটা সংশোধনী
আনবো যে, উপযুক্ত ক্ষেত্রে বিচারক যদি মনে করে যে শুধু মাত্র মেডিকেল সার্টিফিকেটই
মামলার বিচার ও তদন্ত কার্যক্রম চালানো সম্ভব তাহলে সে রকম ব্যবস্থা নিতে পারবে, বলেন
উপদেষ্টা।
আইন উপদেষ্টা আর বলেন,
যেসব স্থানে আসামিরা হাতেনাতে ধরা পড়বে সেখানে ডিএনএ সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য সময়ক্ষেপণ
রোধকল্পে এই পরিবর্তন আনার চিন্তা করছি। অতিদ্রুত জেলা পর্যায় ডিএনএ টেস্ট নেওয়ার জন্য
ল্যাবরেটরি তৈরি করা হবে।
মন্তব্য করুন


প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত
আহমেদ শুক্রবার প্রথম প্রহরে (রাত ১২ টার পর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে
অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় বলেছেন, বাঙালি জাতি সত্ত্বার
একটি প্রাথমিক স্তম্ভ একুশ। ব্যক্তিগতভাবে এক আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে আমার একুশের
সঙ্গে। আমার মা একজন ভাষা সৈনিক, ভাষা কন্যা।
সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের
নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের বিভাগ ও হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতিবৃন্দ কেন্দ্রীয় শহীদ
মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের বীর
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় দেশের ভাষা আন্দোলনে
শহীদদের অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়, এবং জাতির গৌরবোজ্জ্বল ভাষা আন্দোলনের
ঐতিহ্যকে ধরে রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রধান বিচারপতির মা বাংলাদেশের প্রথম নারী জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের অবদানের জন্য ২০০২ সালে একুশে পদক লাভ করেন। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী থাকাবস্থায় তিনি ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারীদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।
মন্তব্য করুন


তথ্য
ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই।
এই স্বাধীনতাকে কাজে লাগিয়ে গণমাধ্যমকে সাহসের সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে
হবে।
আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দৈনিক
সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা
মো: নাহিদ ইসলাম বলেন, সঠিক তথ্য ব্যাপকভাবে প্রচার না হওয়ায় গুজব ও অপতথ্যের দ্বারা
মানুষ প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত হচ্ছে। গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে গণমাধ্যমকেই অগ্রণী ভূমিকা
পালন করতে হবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা শহিদ ও আহত হয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগের
গল্প গণমাধ্যমে প্রচার করতে হবে। আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের জনস্মৃতিতে রাখতে গণমাধ্যমকে
দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিগত
ফ্যাসিবাদী সরকারের সমালোচনা করে উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম বলেন, ওই সময় অনেক গণমাধ্যমকর্মী
ভয়ে সত্য ঘটনা প্রকাশ করতে পারেননি। এখন সেই সময় কেটে গেছে।
উপদেষ্টা
ফ্যাসিবাদী সরকারের গুম ও দুর্নীতিসহ সকল অপকর্মের তথ্য গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের
প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি
বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। জনগণের কাছে সঠিক
তথ্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সরকার গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করে।
গণমাধ্যমের
সংস্কার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সরকার গণমাধ্যমের সংস্কারের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কমিশন
গঠন করেছে। কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গণমাধ্যমের সংস্কার করা হবে।
মতবিনিময়
সভায় পত্রিকার সম্পাদকগণ বলেন, বর্তমান সময়ে গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ
নেই, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য আশীর্বাদ। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের কার্যকর
ভূমিকা রয়েছে।
তারা
বলেন, গত ১৬ বছর গণমাধ্যম সঠিক ভূমিকা পালন করলে দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান হতো না।
মতবিনিময়
সভায় ইংরেজি পত্রিকার জন্য আলাদা নীতিমালা প্রণয়নেরও দাবি জানানো হয়।
মতবিনিময়
সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের
মহাপরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা
পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ
এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সবাই আমরা এক হয়ে ইনশাআল্লাহ, জাতিকে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর
নির্বাচন উপহার দিতে পারব, এ বিশ্বাস আমার আছে। আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) নির্বাচন
কমিশনের (ইসি) অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওবার্তায় এ কথা বলেন তিনি।
নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে তথ্য দেওয়া
হবে উল্লেখ সিইসি বলেন, দেশবাসীর সম্মুখে খুব নির্ভরযোগ্যভাবে সহজভাবে সুন্দরভাবে বিস্তারিতভাবে
উপস্থাপনের জন্য আমাদের এই ইউটিউব চ্যানেলে মূলত থাকবে নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন
সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য। এতে থাকবে ভোটার রেজিস্ট্রেশনের পদ্ধতি সম্পর্কিত বিষয়।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সময়সূচি, প্রার্থীদের
করণীয় সংক্রান্ত এবং এদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা সম্পর্কিত বক্তব্য। ভোটার হিসেবে
আপনার যে নাগরিক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে এবং অধিকার রয়েছে সে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ
বিষয় এ ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আমরা পরিবেশন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের
মূল ফোকাস থাকবে নারী, যুব সম্প্রদায়, প্রতিবন্ধী, এবং সমাজের পিছে পড়া জনগণকে আমাদের
এই মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা। যেন তাদের আমরা আমাদের এই নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে
সম্পৃক্ত করতে পারি এবং তারা যেন সচেতনভাবে দেশের গণতন্ত্রায়নে অংশ নিতে পারে, সে সুযোগ
আমরা সৃষ্টি করতে চাই।
সিইসি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য,
গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা এবং নির্বাচন ব্যবস্থার
স্বচ্ছতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের প্রত্যাবলী বিস্তারিতভাবে, সুন্দরভাবে,
গ্রহণযোগ্যভাবে জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে চাই, উন্মোচিত করতে চাই, যেন মানুষের আস্থা
এবং আমাদের যে স্বচ্ছতা, তা আরও সুদৃঢ় হয়। ইদানীং একটি বড় চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে।
সেই চ্যালেঞ্জ হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই)
অপব্যবহার সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ। মিথ্যা ভিডিও, বানোয়াট তথ্য নিয়ে ভিডিও, অপতথ্য
নিয়ে ভিডিও এগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমার আবেদন থাকবে,
যেকোনো তথ্য বিশ্বাস করার আগে আপনারা দয়া করে যাচাই করে নেবেন। যদি শেয়ার করেন, আগে
যাচাই করে নেবেন। আগে যাচাই করে তারপর আপনারা বিশ্বাস স্থাপন করবেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির
উদ্দিন বলেন, আমি আশা করব আপনারা আমাদের এই ভিডিওটা নিয়মিত দেখবেন। সাবস্ক্রাইব করুন।
নিয়মিত একটু দেখবেন এবং নিজের সঠিক তথ্য সম্পর্কে অবহিত হবেন এবং অন্যদের সঙ্গে এটি
শেয়ার করবেন। আসুন আমরা সবাই মিলে এই অপতথ্য মোকাবিলা একসঙ্গে শুরু করি। এই অপতথ্যের
বিরুদ্ধে একটা লড়াই শুরু করি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপতথ্য ছড়ানোর যে প্রয়াস, এর
বিরুদ্ধে আমরা ইলেকশন কমিশনের পক্ষ থেকে আপনাদের আহ্বান জানাই, মিলে মিশে এর মোকাবিলা
করি এবং সঠিক তথ্য জাতির সামনে উপস্থাপনে আমরা সবাই মিলে সহযোগিতা, সহায়তা করি এবং
সঠিক তথ্য এবং প্রতিটি কণ্ঠস্বর, প্রতিটি ভোট যে গুরুত্বপূর্ণ, বিষয়টা আমরা প্রতিষ্ঠিত
করতে চাই।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৭৬ কেজি গাঁজা’সহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন বাগরা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
অভিযানে আসামী ১। মোঃ রাশেদ মিয়া (২৪) ও ২। সাইফুল আব্বাস (২২) নামক ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ৭৬ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত ০১ টি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারা বাজার থানার আলমখালী গ্রামের মৃত মনির হোসেন এর ছেলে মোঃ রাশেদ মিয়া (২৪) এবং চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী জেলার দুহিনকুল গ্রামের আলী আব্বাস টিটু এর ছেলে সাইফুল আব্বাস (২২)।
আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত কাভার্ড ভ্যান ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে সুনামগঞ্জ, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।
র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


চব্বিশের
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ফলে দেশ গঠনের যে ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি হয়েছে, তাকে ঐক্যবদ্ধভাবে
কাজে লাগানোর জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম
আলমগীর। তিনি বলেন, ‘দেশপ্রেমিক সকল শক্তিকে এখন এক হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে, যাতে
এই বিজয়ের জন্য দেওয়া আত্মত্যাগ বৃথা না যায় এবং একটি গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র
প্রতিষ্ঠা করা যায়।’
আজ
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এই আহ্বান
জানান। অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ এবং তার প্রয়াত স্ত্রীর গ্রন্থ প্রকাশনা উপলক্ষ্যে
এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা
সভায় বিএনপি মহাসচিব অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহকে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে
‘এক অসামান্য ব্যক্তিত্ব ও দূরদর্শী চিন্তাবিদ’ হিসেবে উল্লেখ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন
করেন। তিনি বলেন, ‘ড. মাহবুব উল্লাহ শুধু একজন শিক্ষাবিদ নন, তিনি ছিলেন নাগরিক অধিকার,
ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং একটি ন্যায়ভিত্তিক অর্থনীতির জন্য সংগ্রাম করা এক আপসহীন যোদ্ধা।’
অধ্যাপক
ড. মাহবুব উল্লাহ এবং তার প্রয়াত স্ত্রীর গ্রন্থ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্যান্যরা
মির্জা
ফখরুল বিশেষত দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের ল্যান্ডস্কেপে ড. মাহবুব উল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ
অবদানের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘‘বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা’
রূপরেখা প্রণয়নের পেছনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষকের চিন্তাভাবনা এবং তাত্ত্বিক
অবদান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার প্রকাশিত গ্রন্থাবলীতেও জাতির জন্য তার আদর্শ
ও স্বপ্নের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে।’অনুষ্ঠানে বক্তৃতার শেষ দিকে মির্জা
ফখরুল ইসলাম আলমগীর অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। একইসঙ্গে
তার ছোট মেয়ের জন্মদিনেও শুভকামনা জানান। এ ছাড়াও, আজ উপমহাদেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত
বেগম রোকেয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার প্রতিও শ্রদ্ধা জানান তিনি। অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের সাবেক উপদেষ্টা জিল্লুর রহমান, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল
কবির খানসহ দেশের বহু বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব উপস্থিত
ছিলেন।
মন্তব্য করুন


রপ্তানিকারকদের নগদ অর্থের চাহিদা পূরণে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে রপ্তানিকারকরা তাদের রপ্তানি আয়ের বৈদেশিক মুদ্রা (যেমন ডলার বা ইউরো) ভাঙানো ছাড়াই তার বিপরীতে টাকার সুবিধা নিতে পারবেন।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে এই সোয়াপ সুবিধা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন এই ব্যবস্থার আওতায় রপ্তানিকারকদের ৩০ দিনের পুলে রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা ও রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) হিসাবের বিপরীতে ‘বৈদেশিক মুদ্রা-টাকা সোয়াপ চুক্তি’ করতে পারবে ব্যাংকগুলো।
সোয়াপ হলো এক ধরনের চুক্তি, যেখানে রপ্তানিকারক সাময়িকভাবে তার বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করবে এবং নির্দিষ্ট সময় শেষে একই পরিমাণ মুদ্রা ফেরত নেবে। এ সময়ের মধ্যে রপ্তানিকারক টাকার সুবিধা ব্যবহার করতে পারবে—অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রা ধরে রাখার পাশাপাশি ব্যবসায়িক নগদ টাকার সংকটও মেটাতে পারবে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, এই সোয়াপ চুক্তি একটি নির্দিষ্ট হারে ও মেয়াদে টাকার বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রার স্পট ক্রয় এবং একই সঙ্গে নির্ধারিত তারিখে পুনঃবিক্রয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। সোয়াপের মেয়াদ ইআরকিউ তহবিলের ব্যবহারযোগ্য সময়ের বেশি হবে না এবং ৩০ দিনের পুল তহবিলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যেই সীমিত থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, সোয়াপের হার নির্ধারণে বাজারভিত্তিক বা খরচভিত্তিক সুদ ও মুনাফার পার্থক্য বিবেচনায় নেওয়া যাবে। তবে এই লেনদেনকে ঋণ বা অর্থায়ন হিসেবে গণ্য করা হবে না। সোয়াপ থেকে প্রাপ্ত টাকা শুধুমাত্র রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চলতি মূলধন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ফটকা বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে এই অর্থ ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই উদ্যোগের ফলে রপ্তানিকারকরা বৈদেশিক মুদ্রা ধরে রেখেও টাকার প্রবাহ বাড়াতে পারবেন। এতে একদিকে ডলার বাজারে চাপ কমবে, অন্যদিকে রপ্তানিকারকরা তাদের আয় আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।
মন্তব্য করুন