বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) পাঠানো অভিনন্দন বার্তায় শি জিনপিং উল্লেখ করেন, চীন ও বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের প্রতিবেশী।
কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে বিগত ৪৯ বছরে দুই দেশ সর্বদা একে অপরকে সম্মান করেছে, একে অপরের সঙ্গে সমান আচরণ করেছে, পারস্পরিক সুবিধার ক্ষেত্রে উইন উইন ফলাফল অর্জন করেছে।
চীন ও বাংলাদেশ একে অপরের মূল স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে একে অপরকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে এবং যৌথভাবে প্রতিটি দেশের উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনের কাজ করে, যা দুই দেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা নিয়ে আসে।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন ভবনের চারপাশে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করাকে কেন্দ্র করে । আজ ১৫ নভেম্বর সকাল থেকে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়।এর আগে ১৪ নভেম্বর রাত থেকেই বসানো হয় কাঁটাতারের ব্যারিকেড।
নির্বাচন ভবনের বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সামনের রাস্তা ব্যতীত সকল প্রবেশ পথ বন্ধ করেছে দিয়েছে পুলিশ। অবস্থান নিয়েছে বিজিবি,র্যাব, আনসার এবং পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স।
ইতোমধ্যে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। ভাষণে থাকবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলও।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করাকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়।
মন্তব্য করুন
আগামী ৫ বছরের জন্য টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শপথ নিতে যাচ্ছেন নতুন মন্ত্রিসভার ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে টেলিফোন পেলেন যারা- আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, নূরুল মজিদ হুমায়ূন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডা. দীপু মনি, মো. তাজুল ইসলাম, মুহাম্মদ ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, মো. আব্দুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মো. আব্দুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আব্দুস সালাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী, ফরহাদ হোসেন, মো. ফরিদুল হক খান, মো. জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, সামন্ত লাল সেনকে মন্ত্রী পদে শপথ নিতে কল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তারা বঙ্গভবনে শপথ নেবেন।
স্থপতি ইয়াফেস ওসমান ও সামন্ত লাল সেন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন যারা- সিমিন হোমেন রিমি, নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মো. মহিববুর রহমান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাহিদ ফারুক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরী, আহসানুল ইসলাম (টিটু)।
বুধবার (জানুয়ারি ১০) রাতে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এসব নাম ঘোষণা করেন। শপথ নেওয়ার পর পরই তাদের দপ্তর বণ্টনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
মন্তব্য করুন
বর্ণাঢ্য আয়োজন বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা এবং আনন্দমুখর পরিবেশে প্রতিবারের ন্যায় এবারও পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪ আগামীকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) শুরু হচ্ছে ।
ছয় দিনব্যাপী এ পুলিশ সপ্তাহ চলবে ৩ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত।
পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪ এর মূল প্রতিপাদ্য-স্মার্ট পুলিশ, স্মার্ট দেশ; শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ।
বর্তমান সরকার পুলিশ বাহিনীকে একটি আধুনিক, যুগোপযোগী, দক্ষ ও জনবান্ধব বাহিনীতে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে পুলিশ সদস্যদের কার্যক্রমে এসেছে গতিশীলতা এবং কর্মচাঞ্চল্য। পুলিশের জনবল বৃদ্ধি, সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তির সংযোজন, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিশেষায়িত নতুন নতুন ইউনিট গঠনসহ বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ পৃথক বাণী দিবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিন সকাল সাড়ে দশটায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস্ মাঠে সুশৃঙ্খল ও নয়নাভিরাম বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন। তিনি সারাদেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহীদলের মনোমুগ্ধকর প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ শেষে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) এর স্টল পরিদর্শন এবং পুলিশ সদস্যদের সাথে কল্যাণ প্যারেডে অংশগ্রহণ করবেন।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতার চ্যানেলগুলোতে এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিগত ২০২৩ সালে অসীম সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজ, মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা প্রদর্শন, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের জন্য ৪০০ জন বিপিএম ও পিপিএম পদক পাচ্ছেন। পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অসীম সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে “বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)” , ৬০ জনকে “রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)” এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা প্রদর্শন, কর্তব্য নিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে “বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-সেবা)” এবং ২১০ জনকে “রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা)” পদক প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী পদকপ্রাপ্তদেরকে পদক প্রদান করবেন।
পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতির ভাষণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্মেলন, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মেলন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীবর্গের সম্মেলন, আইজি’ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র/মাদক উদ্ধার প্রভৃতি পুরস্কার বিতরণ, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কর্মরত পুলিশ অফিসারদের পুনর্মিলনী, পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির বার্ষিক সমাবেশ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে আইজিপির সম্মেলন এবং বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা ইত্যাদি।
আগামী ৩ মার্চ ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে পুলিশ সপ্তাহের নানা আয়োজনের।
পুলিশ সপ্তাহে বিগত এক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরবর্তী বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
চলতি বছর (২০২৩) এর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল অনুলিপি এবং পরিসংখ্যান প্রতিবেদন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২৬
নভেম্বর (রোববার) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এইচএসসির ফলাফলের অনুলিপি এবং পরিসংখ্যান
প্রতিবেদন তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এ
সময় উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
প্রথমে
প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের সার্বিক পরিসংখ্যান তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী। পরে বিভিন্ন
বোর্ডের চেয়ারম্যানরা স্ব স্ব বিভাগের ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে
দেন।
চলতি
বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় গত ১৭ আগস্ট। পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৩ লাখ ৫৯
হাজার ৩৪২ জন পরীক্ষার্থী, যা গত বছরের চেয়ে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ জন বেশি। এর মধ্যে
ছাত্র ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ জন ও ছাত্রী ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন।
সারা
দেশে ২ হাজার ৬৫৮টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন
শিক্ষার্থীদের মেধা ও সৃজনশীলতার বিকাশে বিশেষ করে মুখস্থ শিক্ষার ওপর নির্ভরতা কমাতে পাঠ্যক্রম এবং শিক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১২ মে) সকালে গণভবনে ডিজিটালভাবে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা-২০২৪ এর ফল প্রকাশকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে শুধু মুখস্থ বিদ্যা শিখবে না। একটা শিশুর ভেতর যে মেধা ও মনন থাকে তাকে বিকশিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া। তার ওই মেধা দিয়েই যেন সে এগিয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের শিক্ষা কারিকুলাম এবং শিক্ষা দেওয়ার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বাচ্চাদের হাতে খেলনার মাধ্যমেই অনেক কিছু তৈরি করা বা অনেক কিছু শেখার সুযোগ রয়েছে। তাদের জন্য ওই সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। বাচ্চাদের কেবল বই দিয়ে বসিয়ে না রেখে খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া যেমন- ফ্লোরে যদি একটি মানচিত্র থাকে যেখানে মহাদেশ ও মহাসগর থাকল, সেখানে বাচ্চাদের শেখানো যে, একটা জায়গা থেকে আর একটা জায়গায় তোমরা লাফ দিয়ে যাও। তাহলে খেলতে খেলতেই সে ওই নামগুলোও জেনে যাবে। কাজেই খেলার মাধ্যমে তাদের শিক্ষা যেন প্রাথমিক পর্যায়ে আসে সেটা করে দেওয়া যায়। তা করলে আমার মনে হয়, তাদের কয়টি মহাদেশ আর মহাসাগর তা মুখস্থ করতে হবে না। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে সবসময় প্রচেষ্টা ছিল মানুষের মাঝে এই সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা, যেন তারা লেখাপড়ার দিকে মনোযোগ দেয়। ফলে আমরা দেখতে পাচ্ছি, সাক্ষরতার হার যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি পাঠ্যক্রমে অংশ নেওয়া ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরও আমি বলব, যদি কেউ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব তাদের স্কুলে পাঠানো এবং পড়াশোনা করানো। শুধু সাধারণ বিএ, এমএ পাস করবে তা নয়, সঙ্গে সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা, বিজ্ঞান প্রযুক্তি, তথ্যপ্রযুক্তিসহ সার্বিকভাবে শিক্ষিত হওয়ায় জন্য যা যা দরকার সে ব্যবস্থা নিতে হবে। অর্থাৎ বিশ্ব পরিমণ্ডলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মতো শিক্ষা ব্যবস্থাই আমরা প্রবর্তন করতে চাই।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড অভিনন্দন জানিয়েছেন ।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক অভিনন্দনবার্তায় প্যাট্রিসিয়া বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির নীতির ওপর গুরুত্বারোপ করে যে রূপরেখা দিয়েছিলেন, তাতে তিনি অনুপ্রাণিত।
প্যাট্রিসিয়া আরো বলেন, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই পররাষ্ট্রনীতির কথাও স্মরণ করেন তিনি। এই মূল্যবোধগুলো আমাদের কমনওয়েলথ সনদে প্রতিফলিত হয়েছে, যেখানে সহনশীলতা, শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়া এবং টেকসই উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার কথা বলা হয়েছে। মূল্যবোধে গুরুত্বপূর্ণ কাজ অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কমনওয়েলথ সচিবালয় আপনাকে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নির্বাচনে জ্যামাইকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ব্রুস গোল্ডিংয়ের নেতৃত্বে স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের একটি কমনওয়েলথ বিশেষজ্ঞ দল পাঠাতে পেরে তিনি সন্তুষ্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি ওই দলের প্রতিবেদনটি তার অনুসন্ধান এবং সুপারিশসহ পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি এবং আপনার সঙ্গে এগুলো নিয়ে আলোচনা করার সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছি।
প্যাট্রিসিয়া আরো বলেন, বাংলাদেশ কমনওয়েলথ পরিবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আমাদের বৈচিত্র্যময় দেশগুলো শান্তি, গণতন্ত্র, টেকসই উন্নয়নসহ অভিন্ন মূল্যবোধের মাধ্যমে আবদ্ধ। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মহাসাগর ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন, ডিজিটাল উদ্ভাবন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, যুবসমাজ, লিঙ্গসমতা, মানসিক স্বাস্থ্য ইস্যুসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের সক্রিয় সম্পৃক্ততা ও নেতৃত্ব ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
কমনওয়েলথ মহাসচিব বলেন, আমরা সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত আছি, যাতে আপনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আপনার পঞ্চম মেয়াদে বাংলাদেশের অগ্রাধিকারের সব ক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারেন।
পরবর্তী কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের বৈঠক নিয়ে তিনি বলেন, আমি আপনাকে লন্ডনের মার্লবোরো হাউসে আবার স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় রয়েছি। ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর সামোয়ায় অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের বৈঠকে (সিএইচওজিএম) আপনার সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় রয়েছি।
সূত্র : বাসস
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য তৃতীয় দিনের মতো সোমবার(২০ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি চলছে। আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৩৩৫টি ফরম বিক্রি হয়েছে। এতে দলের আয় হয়েছে প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা।
এই সময়ের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫৫টি, চট্টগ্রামে ৮২টি, ময়মনসিংহে ২৯টি, সিলেটে ১৫টি, খুলনায় ৪৫টি, বরিশালে ৪০টি, রাজশাহীতে ২৯টি এবং রংপুর বিভাগে ৪০টি ফরম বিক্রি হয়।
এছাড়া বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে মোট ৫৮টি ফরম বিক্রি হয়েছে। অনলাইনে বিক্রি হয় মোট ২৯ লাখ টাকার ফরম।
আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরমের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। ফরম বিক্রি শেষ হওয়ার পর দলের মনোনয়ন বোর্ড যাচাই-বাছাই শেষে ৩০০ আসনে নৌকার প্রার্থী চূড়ান্ত করবে আওয়ামী লীগ।
গত শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়। মনোনয়নপত্র বিক্রির কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
প্রথমদিনেই আওয়ামী লীগ মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে এক হাজার ৭৪টি । এতে পাঁচ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আয় হয় ।
মনোনয়ন ফরম বিক্রি এবং জমা নেওয়ার কার্যক্রম চলবে ২১ নভেম্বর বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দ্রব্যমূল্য
বেড়েছে, যার প্রভাব আছে, বিশেষ করে যারা সীমিত আয়ের, তাদের কষ্ট হচ্ছে। তবে গ্রামে
যারা নিজেরা উৎপাদন করতে পারেন বা করছেন, তাদের জন্য খুব একটা কষ্ট নেই, হাহাকারও নেই।
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এসব কথা জানান।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ অধিবেশনে
সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, টিসিবিতে
যে লোকবল আছে, তা দিয়েই আমরা এখন মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। আর সাধারণ মানুষের যাতে
কষ্ট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের সবসময় প্রচেষ্টা, দ্রব্যমূল্য
যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। যে পণ্যের প্রয়োজন, আমরা দেশে যেমন উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছি,
তেমনি আমদানিও করে যাচ্ছি, যত টাকা-ই লাগুক। আমরা কিন্তু খরচ করে যাচ্ছি, যার জন্য
আমাদের রিজার্ভেও চাপ পড়ছে। রিজার্ভে চাপ পড়লেও মানুষের কল্যাণই হলো সবচেয়ে বড় কথা।
সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। আমরা যে পারিবারিক কার্ড দিয়েছি, তাতে স্বল্পমূল্যে চালসহ
অন্যান্য পণ্য কেনারও সুযোগ করে দিয়েছি। আবার যারা আরও দরিদ্র, তাদের জন্য আরও কমমূল্যে
চাল বিক্রির ব্যবস্থা করেছি। আবার যারা হতদরিদ্র, তাদের বিনামূল্যে চাল দিচ্ছি। টিসিবির
এখন যে জনশক্তি আছে, সেই জনশক্তি দিয়েই কিন্তু আমরা যথাযথভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে
সক্ষম হচ্ছি।
মন্তব্য করুন
অবৈধ মজুদদারি এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (ফেব্রুয়ারি ১০) গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই বর্ধিত সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অবৈধ মজুদদারি, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। আমরা চাই কৃষক ভালো দাম পাবে। কিন্তু অবৈধ মজুদদারি এবং চাঁদাবাজি বন্ধে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।
দলীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সব জায়গায় চাঁদাবাজি এবং মজুতদারি বন্ধ করতে হবে। আপনারা বিভিন্ন এলাকার প্রতিনিধি, এতে আপনাদের নজর দিতে হবে। কৃষক যাতে প্রকৃত মূল্য পায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। চাঁদাবাজি ও মজুতদারির জন্য যাতে পণ্যের দাম না বাড়ে সেটি দেখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এবারের নির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। এছাড়া আমাদের উপায় ছিল না। ভোট কেন্দ্রে যাতে ভোটার আসে। নির্বাচন যেন উৎসবমুখর হয়, সেদিকে নজর রেখে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। আমাদের অনেকেই নির্বাচন করেছে। এ নিয়ে অনেকের মধ্যে মন কষাকষি আছে। দূরত্ব তৈরি হয়েছে। যা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে। এখন এক হয়ে কাজ করতে হবে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে আমরা সমাধান করবো। কিন্তু নিজেরা আত্মঘাতী সংঘাতে লিপ্ত হওয়া যাবে না। এবার নৌকার জোয়ার ছিল, এ জোয়ারেও জিততে না পেরে একে ওকে দোষারোপ করে লাভ নেই।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ক্ষেত্রে (পণ্য পরিবহনে) চাঁদাবাজি হলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শক্তভাবে ব্যবস্থা নিতে
বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার
(৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সচিব সভার বৈঠকে তিনি এসব নির্দেশ
দেন। সচিব সভা শেষে বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো: মাহবুব হোসেন
এসব তথ্য জানান।
সকাল
১০টায় শুরু হয়ে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সাড়ে ৩ ঘণ্টার বৈঠকে সব সচিব এবং বিভিন্ন দপ্তরের
সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৫-১৬ জন সচিব আলোচনায় অংশ
নেন এবং ১১ জন প্রস্তাব দেন।
মন্ত্রিপরিষদ
সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে
তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নজরদারি করতে বলেছেন। নজরদারির ক্ষেত্রে তিনি একটি সুনির্দিষ্ট
এরিয়ার কথা বলেছেন। অনেক সময় আমাদের দ্রব্যমূল্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ে চাঁদাবাজির
প্রসঙ্গ আসে, নিউজ আসে। এক্ষেত্রে তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে খুবই শক্তভাবে ব্যবস্থা নিতে
বলেছেন, এটি যেন কোথাও না হয়। আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী একটি বিষয়ের দিকে
নজর দিতে বলেছেন। বিশেষ করে ছিনতাই, কিশোর গ্যাং বা এ রকম যেসব অপরাধ হচ্ছে, সেক্ষেত্রে
স্থানীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করে নজর দিতে বলেছেন তিনি। বাজার মনিটরিংয়ের জন্য যে নির্দেশনা
দিয়েছেন, সেই নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিনি বলেছেন, এ রকম কারণে অনেক সময় দ্রব্যমূল্য
বেড়ে যায়। সুতরাং এটি যাতে না হয়। এজন্য সংশ্লিষ্টদের তিনি খুবই শক্তভাবে মাঠে থাকতে
বলেছেন।
মন্তব্য করুন