নির্বাচনে নৌকা প্রতীক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আওয়ামী নেতাদের জয়-পরাজয়ের কষ্ট ভুলে আবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামীলীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এ যৌথসভা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নির্বাচন করেছি সবার সঙ্গে। হয়তো কেউ হেরেছি অথবা কেউ জিতেছি, কষ্ট আছে কারো, কারো আনন্দ আছে। কিন্তু ওই আনন্দ-দুঃখ-কষ্ট-হাসি-কান্না সব মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে আবার এক হয়ে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, জনগণের স্বার্থে জনগণের কল্যাণে মানুষের জন্য। মানুষের যে আস্থা-বিশ্বাস আমরা অর্জন করেছি, সেটা যেন কোনোভাবে হারিয়ে না যায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দলটা সবচেয়ে বড়। সংগঠন যদি পাশে না থাকে তো, কোনো অর্জন করা সম্ভব হয় না। প্রতিটা সাফল্যের পেছনে একটা শক্তি দরকার। আমার শক্তি বাংলাদেশের জনগণ, আওয়ামীলীগ ও আমাদের সহযোগী সংগঠনগুলো।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনটা যাতে না হয়, সে জন্য অনেক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র ছিল। ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমরা নির্বাচন করেছি। আমরা নির্বাচনে সবসময় মনোনয়ন দিই, মনোনয়ন দিয়েছি। আমাদের বড় দল, অনেকেই নির্বাচন করতে চায়, সেজন্য নির্বাচনটা উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। যে-যারা করতে চায়, করুক।
নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা নির্বাচন করেছে, কেউ জয়ী হয়েছে, কেউ পারেনি। সেক্ষেত্রে আমি সবাইকে অনুরোধ করব, একজন আরেকজনকে দোষারোপ করা, কার কী অপরাধ সেগুলো খুঁজে বেড়ানো বন্ধ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দল ছাড়া আরও কয়েকটি দল অংশ নিয়েছে। আমরা জনগণের যে সমর্থন পেয়েছি, সেটা কাজের স্বীকৃতি হিসেবে। দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছি, ভোট দিয়েছে, আমাদের জয়ী করেছে।
নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সজাগ থাকতে হবে। অগ্নিসন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ করে যারা রেলগাড়িতে মা-শিশুসন্তানকে পুড়িয়ে মারে, যারা বাসে আগুন মানুষ মারে, ওই অগ্নি সন্ত্রাসীদের বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। তাদের মিথ্যাচার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।
মন্তব্য করুন
ব্যক্তিগত সফরে গোপালগঞ্জ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এদিন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাবেন তিনি।
টুঙ্গিপাড়া ও কোটালিপাড়ায় ব্যক্তিগত সফর শেষে শুক্রবার ঢাকায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা গেছে, গোপালগঞ্জ সফরকালে টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের নদী বাঁচাতেই হবে। বাংলাদেশ বাঁচাতে হলে নদী বাঁচাতে হবে।
সোমবার
(৪ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণরোধ ও নাব্যতা
রক্ষার লক্ষ্যে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের আলোকে সম্পাদিত সমীক্ষা প্রতিবেদন অবলোকন এবং
সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্তবিষয়ক সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, নদী আমাদের বাংলাদেশের জন্য তেমন, ঠিক আমাদের দেহে যেমন রক্ত চলাচলের
জন্য শিরা-উপশিরা আছে। আমাদের বাংলাদেশের টিকে থাকাটাও এ নদীর ওপরে নির্ভর করে। বাংলাদেশকে
টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন সেই প্রবহমান নদী। শিরা-উপশিরার মধ্য দিয়ে রক্তধারা আমাদের
শরীরকে বাঁচায়, বাংলাদেশকেও কিন্তু বাঁচায় এ পানি ও নদী। কথাটা আমাদের সবসময় মনে
রাখতে হবে। আমরা সরকারে আসার পর আমাদের সবসময় একটা প্রচেষ্টা ছিল, নদীগুলোকে কীভাবে
সুরক্ষিত করা যায়, কীভাবে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা যায়। একসময় বাংলাদেশের নৌপথই ছিল
পণ্য পরিবহনের একমাত্র বাহন, একমাত্র জায়গা। নৌপথগুলো কমতে কমতে অনেক জায়গায় এখন
নদীপথ নেই, এমন একটা জায়গায় চলে এসেছে। নদী শাসনের নামে শুধু বাঁধ নির্মাণে ছিল সবার
নজর। আর বাঁধ নির্মাণ করতে গিয়ে ফসলের জমি নষ্ট হয়। নদী রক্ষা করা, নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে
আনা বা দূষণ থেকে নদীকে রক্ষা করার দিকে নজর ছিল না। শুধু এখানে নয়, সারা বাংলাদেশে
স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে কতগুলো ব্রিজ করা হলো, সে সময় ব্রিজগুলো মানুষের খুব উপকারে
এলো, কিন্তু ব্রিজগুলো করার সময় এটা মাথায় রাখা হয়নি যে, এগুলোতে নৌ চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত
হবে। যার জন্য এখন সমস্যা হয়ে গেছে... ব্রিজগুলো প্রতিবন্ধকতা। বেঁটে বেঁটে (নিচু)
ব্রিজগুলো একটু উঁচু করে দেওয়া আর নদীর ড্রেজিং করে দেওয়া যায়। ঢাকার বাইরে অন্য
শহরগুলোর ক্ষেত্রেও এখনই পরিকল্পনা নিতে হবে।
মন্তব্য করুন
রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্যবস্থা নেওয়াসহ প্রধানমন্ত্রীর ১৫ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সব পৌরসভার মেয়র ও প্রশাসককে চিঠি পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সরকারের বর্তমান মেয়াদের প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠকে সবার প্রতি প্রধানমন্ত্রী কতিপয় নির্দেশনা দিয়েছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাওয়া আধা-সরকারি পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সরকারের বর্তমান মেয়াদে প্রথম মন্ত্রিসভা-বৈঠকে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত সকলের প্রতি প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন:
১) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং অংশীজনের সংগে সমন্বয় করে মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২) পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩) নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪-এ বর্ণিত প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নে সকলকে আন্তরিকতার সঙ্গে সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলো জাতীয় বাজেট প্রণয়নকালে নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ বিবেচনায় রাখবে।
8) কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্য পণ্য সংরক্ষাণাগার নির্মাণে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
(৫) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চারটি স্তম্ভ স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট জনগণ নিশ্চিত করতে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়/বিভাগে করণীয় চিহ্নিত করে তা বাস্তবায়ন করবে।
৬) নতুন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রকল্পের উপকারিতা/দেশের জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিদেশি ঋণ/সহায়তা গ্রহণকালীন যথাযথভাবে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে। এছাড়া, চলমান প্রকল্পগুলো বিশেষ করে যেগুলির বাস্তবায়ন সর্বশেষ পর্যায়ে রয়েছে সেগুলির প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করতে হবে।
৭) সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করতে হবে।
৮) সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রকৃত উপকারভোগীর কাছে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে।
৯) সরকারের শূন্য পদগুলোতে দ্রুত জনবল নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১০) নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
১১) রপ্তানী বহুমুখীকরণ, নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান ও প্রবেশে সহায়তা করতে হবে।
১২) গার্মেন্টস সেক্টরের মতো চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং কৃষিজাত পণ্য বিষয়ক শিল্প বিকাশে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
১৩) শিক্ষাকে কর্মমুখী করার লক্ষ্যে আইসিটি শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
১৪) যুবসমাজকে খেলাধুলা এবং শিল্প সংস্কৃতি চর্চায় উৎসাহ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে বিরত রাখতে হবে।
১৫) অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতার বিরুদ্ধে সমন্বিতভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
মুজিব শতবর্ষ জাদুঘর ও আর্কাইভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মুজিব শতবর্ষ জাদুঘর ও আর্কাইভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মহাপরিচালক প্রফেসর ড. হাকিম আরিফ।
মন্তব্য করুন
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক ৪ দিনের সফরে আগামীকাল সোমবার ঢাকায় আসছেন।
সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল ১০টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাজার পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এ সময় রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও ফার্স্ট লেডি গান স্যালুট ও গার্ড অব অনার দিয়ে রাজাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যাবেন রাজা ওয়াংচুক।
এসময় সোমবার বিকেলে ভুটানের রাজা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করবেন এবং তাদের দুজনের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকের পর দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ রাজার সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সাক্ষাৎ করবেন।
মঙ্গলবার রাজা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করবেন। সেসময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
পরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করবেন ভুটানের রাজা। এরপর তিনি বঙ্গভবন পরিদর্শন করবেন, সেখানে রাষ্ট্রপতি ও ফার্স্ট লেডি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজা। রাষ্ট্রপতি সফররত রাজপরিবারের সম্মানে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করবেন।
বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে ভুটানের রানী জেটসুন পেমা ওয়াংচুক ও ভুটানের নির্বাচিত প্রতিনিধি দলের সদস্যরা একটি বিশেষ ফ্লাইটে ভুটানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে তাদের বিদায় জানাবেন।
ভুটানের রাজা পদ্মা সেতু ও বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ পরিদর্শন করবেন। বৃহস্পতিবার রাজা কুড়িগ্রামের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে সোনাহাট স্থলবন্দর হয়ে আসামের গোলকগঞ্জের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী তাকে বিদায় জানাবেন।
মন্তব্য করুন
২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য-জার্মানি এবং বর্তমান উচ্চ-প্রবৃদ্ধির ভিয়েতনাম বা থাইল্যান্ডের বাজারকে ছাড়িয়ে যেতে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
(১৯ নভেম্বর আজ রোববার) ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ৬০ বছর পূর্তি উদযাপন এবং ইনভেস্টমেন্ট এক্সপোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে শুধু লজিস্টিকস খাতই ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজারে পরিণত হবে বাংলাদেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে ৯ম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে এ দেশ। সে সময় যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির মতো প্রতিষ্ঠিত বাজারগুলো এবং বর্তমান উচ্চ-প্রবৃদ্ধির ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডকে যাতে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে যেতে পারে, সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, আমাদের বিশাল জনসংখ্যা আছে। সেটাকে আমরা সবচেয়ে বেশি কাজে লাগাবো। তাদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে আমরা গড়ে তুলছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও রপ্তানির আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে দেশকে গড়ে তোলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে, বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করেছে এবং বিদেশি বিনিয়োগ আসার সুযোগ করে দিয়েছে। সে কারণে দেশ আজ অনেক এগিয়ে গেছে। কোভিড, ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা-পালটা নিষেধাজ্ঞা না হলে আমাদের অর্থনীতিকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারতাম।
তিনি বলেন, অনেক আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমরা এসডিজি বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। দেশের এই অভাবনীয় প্রবৃদ্ধির নেতৃত্বে রয়েছে আমাদের বেসরকারি খাত। আইন দ্বারা বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষাসহ বিনিয়োগ নীতিকে আরও সহজ করার বিভিন্ন পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি, এটা অব্যাহত থাকবে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে আমরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছি। গত ১৫ বছরে আমরা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য খাতের উন্নয়নে বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বেসরকারি খাত আরও শক্তিশালী ও বিকশিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। আশা করা হচ্ছে, ২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, ২০৪১ সালে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ, উন্নত বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
বিএনপি-জামায়াত বয়কটের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এরা পরাজিত শক্তির দালাল, এদের না বলুন। এদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যারা জ্বালাও-পোড়াও করে, রেল লাইনের ফিশপ্লেট তুলে ফেলে, এরা তো পরাজিত শক্তির দালাল, মনে রাখতে হবে এরা পরাজিত শক্তির দোসর। কাজেই এদের না বলুন।
শেখ হাসিনা বলেন, এদের (বিএনপি-জামায়াত) বাংলাদেশে রাজনীতি করারই কোনো অধিকার নেই। কারণ খুনি, সন্ত্রাসী, জঙ্গি, দুর্নীতিবাজ—এদের বাংলাদেশে কোনো স্থান নেই।
‘এরা ধ্বংস করতে জানে, সৃষ্টি করতে জানে না। এরা মানুষ খুন করতে পারে, মানুষের জীবনে শান্তি-নিরাপত্তা দিতে পারে না। এরা মানুষের সর্বনাশ করতে পারে, মানুষকে উন্নতি দিতে পারে না। কাজেই তাদের থেকে সাবধান।’
আওয়ামী লীগের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে দলটির সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেয়েছে। তারা ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবে; তারা শান্তিতে বাস করবে উন্নত জীবন পাবে এটাই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, আমরা এদেশকে আর কখনো এই পরাজিত শক্তির হাতে তুলে দেব না। বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে চলবে এবং এগিয়ে যাবে জাতির পিতার ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে।
বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সারা দেশে তারা অগ্নি-সন্ত্রাস করে যাচ্ছে, তাদের আন্দোলন কী, অবরোধ-হরতাল। তাদের দেখা নেই; কয়েকটা গাড়ি পোড়ানো, মানুষ পোড়ানো, রেল লাইন কেটে দেওয়া, বাস পোড়ানো; এটাই হচ্ছে তাদের হরতাল, এটাই হচ্ছে তাদের আন্দোলন।
তিনি বলেন, তারা নাকি জনগণের স্বার্থে কাজ করে, জনগণের জন্য আন্দোলন করে। তারা নাকি গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য আন্দোলন করবে। আরে গণতন্ত্র বানান করতে পারবে? আর গণতন্ত্র তারা শিখেছে? ওর (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান) বাপ কি গণতন্ত্র দিয়েছিল? ওটা তো কারফিউ গণতন্ত্র ছিল।
বিএনপি-জামায়াতের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ যদি মাঠে নামে এরা হালে পানি পাবে না। কাজেই আমি জনগণের কাছে আহ্বান করবো, সবাইকে সাবধান থাকতে হবে।
তিনি বলেন, এখন তাদের নানা রকম চক্রান্তও শুরু হয়েছে। প্রত্যেকটা নির্বাচনের আগেই চক্রান্ত হয়। কিন্তু এদেশের মানুষের শক্তি হচ্ছে বড় শক্তি, আমি যেটা বিশ্বাস করি। সেই শক্তি আছে বলেই আমরা পরপর এক টানা তিনবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছি।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ থাকলে এদেশের মানুষ সেবা পায়।
টানা তিন মেয়াদে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকায় দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজকে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশকে হেয় চোখে দেখা হত। পাকিস্তানিরা বোঝা মনে করত, এটা চলে গেলেই ভালো। আজকে তারা বলে আমাদেরকে বাংলাদেশ বানিয়ে দাও।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম, শহীদ বুদ্ধিজীবী সন্তান নুজহাত চৌধুরী প্রমুখ।
সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-প্রচার সম্পাদক আবদুল আউয়াল শামীম।
মন্তব্য করুন
টানা চতুর্থবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় আপনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আমাকে অনুমতি দিন।
দুই দেশের সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশের সাথে বিশেষ করে সংহতি, বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে শক্তিশালী সম্পর্ককে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসা বলেন, গত আগস্টে ব্রিকস-আফ্রিকা আউটরিচ এবং ব্রিকস প্লাস ডায়ালগে আপনার উপস্থিতির কারণে এটি আরো মজবুত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সুবিধাজনক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আরও সম্প্রসারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শেখ হাসিনার অব্যহত সুস্বাস্থ্য কামনা করেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসা।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর বিজয় সরণিতে নবনির্মিত ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সকাল ১০টায় এ ভাস্কর্য উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।এই প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,এ ভাস্কর্যের মাধ্যমে দেশের ইতিহাস আরও ভালোভাবে জানা যাবে। বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার স্বপ্ন ছিল প্রতিটি মানুষের ঘর থাকবে, চিকিৎসা ও শিক্ষা পাবে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নেই কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার। ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশকে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে রূপান্তর করা হয়েছে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না,উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রেখেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সারাদেশে ওয়াইফাই সুবিধা, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটসহ আধুনিক সব প্রযুক্তি স্থাপনা করে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপ দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়েছে দেশের মানুষ। বর্তমানে দেশের ৯৮ ভাগ শিশু স্কুলে যেতে পারছে। বিনা পয়সায় বই পাচ্ছে,বৃত্তি পাচ্ছে। উপবৃত্তির টাকা দরিদ্র মায়েদের মোবাইলে পৌঁছে যাচ্ছে। শিক্ষাই সবচেয়ে বড় সম্পদ। শিক্ষার মধ্য দিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে শিশুরা দেশকে আরও উন্নত-সমৃদ্ধ করবে।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বেলা ১১টায় তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে সঙ্গে কমনওয়েলথের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের বৈঠক বসেছে।
বৈঠকে অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব) ফারুক খানসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ আরও কয়েক নেতা।
গত রোববার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে বৈঠক হয় নির্বাচন কমিশন ও কমনওয়েলথ প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের চার সদস্যের।
বাংলাদেশে যে নির্বাচন হয় সেটা কোন পদ্ধতিতে হয় তা জানতে চায় কমনওয়েলথের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। ভোটাররা কীভাবে ভোট দিতে যাবেন, ভোট কীভাবে নেওয়া হবে। ভোট স্বচ্ছ করতে হলে রিটার্নিং ও প্রিসাইডিং অফিসারের কাজ কি। এসব বিষয় তারা জানতে চেয়েছেন বলে জানান নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিস্থিতি আছে কি না, সে বিষয়েও কমনওয়েলথের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলে।
মন্তব্য করুন