অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বৈঠকে বসবেন ।
সোমবার (১২ আগস্ট) সচিবালয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা জানিয়ে ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, আমাদের কাছে কিছু অভিযোগ এসেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর এবং উপাসনালয় আক্রমণ হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে ধর্ম মন্ত্রণালয় সব সময় আছে। আগেও ছিল এখনো আছে, আগামীতেও থাকবে। এখন আমরা জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত উপাসনালয় এবং যাদের বাড়িঘর বা অন্যান্য ক্ষতি হয়েছে, তাদের তালিকা সংগ্রহ করছি।
সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয় এবং বাড়িঘরে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ বৈঠক হচ্ছে।
খালিদ হোসেন বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণকারীরা দুর্বৃত্ত। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, আগামীকাল বিকেলে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের একটা বৈঠকের ব্যবস্থা করেছি। ওখানে আমরা আরও বিস্তারিত কথা শুনবো। আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য কতটুকু করতে পারি সেই বিষয়ে আমরা কালকে সিদ্ধান্ত নেব। এছাড়া মাঝখানে পুলিশের অনুপস্থিতির কারণে আক্রমণটা একটু বেশি হয়েছে। পুলিশ যেহেতু যোগদান করেছে আমরা আশাবাদী এরকম দুর্ঘটনা আর ঘটবে না।
পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ প্রতিরোধে তথ্য জানানোর জন্য একটি হটলাইন চালু করা হবে বলেও জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন
দেশের অধিকাংশ স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমেছে। ফলে
তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) পূর্বাভাস দিয়ে আবহাওয়া অফিস থেকে আবহাওয়াবিদ
ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ
পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিম বঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে
আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত
বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে
প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
এবং শনিবার (২৪ আগস্ট) রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা,
বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ
হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও
কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য
বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আর রোববার (২৫ আগস্ট) খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের
অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায়
অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে
পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে
দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের
অধিকাংশ জায়গায় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায়
অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে
পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে
দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত
থাকতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে
রাজশাহীতে ১৭৬ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে ৩৫ ডিগ্রি
সেলসিয়াস।
মন্তব্য করুন
বন্যায় চারদিক যখন ডুবন্ত তখন এক অসহায় অন্তঃসত্ত্বাকে সেনাবাহিনী উদ্ধার করেছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই নারী কাতরাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট থেকে এ তথ্য জানা যায়।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ফেনী জেলার ফুলগাজী থেকে তাকে উদ্ধার করে অ্যাভিয়েশন হেলিকপ্টার।
পোস্টে বলা হয়েছে, বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী সিলেট, চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের অধীন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা, জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং ত্রাণ বিতরণে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে।
ওই নারীকে সেনাবাহিনীর অ্যাভিয়েশন হেলিকপ্টারে করে কুমিল্লা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পোস্টটিতে
সবশেষে বলা হয় যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের পাশে দৃঢ়ভাবে আছে এবং তাদের সহায়তা
এবং উপস্থিতি অব্যাহত রেখেছে।
মন্তব্য করুন
স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন তাদের সুপারিশের একটি সারসংক্ষেপ গত বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দেয়।
ঐ সারসংক্ষেপে সুপারিশ করে বলা হয় স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের মতে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন একসঙ্গে এবং এ মুহূর্তে করা সম্ভব। তা না হলে নির্বাচনের পূর্বে অনেক প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আইনি জটিলতার সৃষ্ট হতে পারে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান-এর পরবর্তী সময়ে দেশে কার্যত কোনও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নেই।
গত ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদকে প্রধান করে ৮ সদস্য বিশিষ্ট স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, বিআইএসএস-এর পরিচালক ড. মাহফুজ কবির, নারী উদ্যোগ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মাসুদা খাতুন শেফালী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তারিকুল ইসলাম এবং একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।
কমিশনের মতে, বর্তমানে নতুন একটি স্বচ্ছ ক্যানভাসে নতুন ছবি আঁকা সম্ভব। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংসদীয় পদ্ধতি চালু করার আলোচনা দীর্ঘদিন ধরে জনপরিসরে থাকলেও কোনও সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। এখন সেই সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী মার্চ অথবা এপ্রিলের মধ্যে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের জন্য দুটি একীভূত স্থানীয় সরকার আইন প্রণয়ন করে আগামী জুনের মধ্যে সব সমতল ও পাহাড়ের ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যেতে পারে। প্রস্তাবিত ‘স্থানীয় সরকার কমিশন এ বিষয়ে বিস্তারিত কাজ এপ্রিলের আগে সমাপ্ত করতে পারে। তবে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো এবং নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠিত হলেই তা সম্ভবপর হবে বলে মনে করেন কমিশন।
সংস্কার কমিশন বলছে, এসব নির্বাচন অনুষ্ঠানে পাঁচ বছরে মাত্র একবার সর্বোচ্চ দেড় থেকে দুই মাস সময়ের প্রয়োজন হতে পারে। এতে করে নির্বাচন ব্যবস্থাটিও ব্যয় সাশ্রয়ী ও সময় সাশ্রয়ী হবে। অভিন্ন বা সমন্বিত দুইটি স্থানীয় সরকার আইনের খসড়া এ কমিশন প্রস্তাব আকারে পেশ করছে। যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ আকারে প্রণয়ন করতে পারে, অথবা পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকার আইন আকারে প্রণয়ন করতে পারে।
সংস্কার
কমিশন জানান, এ সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কার্য ও সেবা প্রয়োজন অনুসারে ভিন্ন
ভিন্ন থাকবে।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শিশুরাই সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার। বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে শিশুদের সুন্দর বিকাশের জন্য গুরুত্ব প্রদান করা আমাদের সবার দায়িত্ব।
সোমবার (৭ অক্টোবর) ‘বিশ্ব শিশু দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশে উপযুক্ত পরিবেশ, শিক্ষা, নিরাপত্তা, পুষ্টি ও সুস্থ বিনোদনের বিকল্প নেই। শিশুরা স্নেহ, মমতা ও মুক্তচিন্তার চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে বেড়ে উঠলে আগামী দিনের বাংলাদেশ গঠনে তারা ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আজকের শিশুরাই আগামীর শিল্পী, সাহিত্যিক, দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ, বিজ্ঞানী, চিকিৎসক ও প্রকৌশলীসহ নানা পেশায় দক্ষ হয়ে উঠবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার শিশুর প্রতি বঞ্চনা, শিশুশ্রম, অপুষ্টি ও বাল্যবিয়েসহ অন্যান্য সমস্যা যা শিশুর সঠিক বিকাশের অন্তরায়, সেসব চিহ্নিত করে সমাধান করতে বদ্ধপরিকর।
‘বিশ্ব শিশু দিবস ২০২৪' উদযাপনে নেওয়া কর্মসূচি শিশুর সার্বিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শিশু নিরাপদ ও নিবিড় স্নেহ যত্নে বেড়ে উঠুক- আজকের দিনে এটাই আমার প্রত্যাশা।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে “বিশ্ব শিশু দিবস ২০২৪” উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শিশুকে স্নেহ ও ভালোবাসা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঊষালগ্নে বিশ্ব শিশু দিবস পালনের গুরুত্ব নতুন মাত্রায় উপনীত হয়েছে।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূসের সাথে আজ কায়রোতে মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী ড. জাম্বরি আব্দুল কাদির
বৈঠক করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে,
বৈঠকে তাঁরা মতবিনিময় করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টায়
মিশরের রাজধানী কায়রো পৌঁছান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে,
মিশরের পাবলিক বিজনেস সেক্টরের মন্ত্রী মোহাম্মদ শিমি কায়রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে
তাঁকে স্বাগত জানান।
পরে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মন্ত্রীর
সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গতকাল
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কায়রোর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল
কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে জানান, আমিরাত এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট প্রধান উপদেষ্টা
ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে রাত ১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ
করে।
'তরুণদের বিনিয়োগ ও এসএমইকে সহায়তা
করা: আগামীর অর্থনীতিকে রূপদান’
এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন
বা ডেভেলপিং-৮ নামে পরিচিত ডি-৮ ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর
মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতা উৎসাহিত করে।
এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে রয়েছে-
বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্কের মতো
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কয়েকটি দেশ। এই দেশগুলো বিশ্ব জনসংখ্যার অনুমানিক প্রায় ১৪ শতাংশের
প্রতিনিধিত্ব করে।
মন্তব্য করুন
দেশের ৯টি জেলা ভয়াবহ বন্যার কবলে বিপর্যস্ত। দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে টিএসসিতে চলছে গণত্রাণ কর্মসূচি।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) নিজের ফেসবুক পেজ থেকে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
ফেসবুক পেস্টে হাসনাত জানান, টিএসসিতে চলছে গণত্রাণ কর্মসূচি, চলবে সারা দিনব্যাপী।
যে জিনিসগুলোর প্রয়োজন:
১। শুকনা খাবার (চিড়া, মুড়ি, বিস্কিট, টোস্ট, গুড়, ছাতু, বাদাম ইত্যাদি)
২। স্যালাইন, জরুরি ঔষধ
৩। স্যানিটারি ন্যাপকিন
৪। শিশুখাদ্য (দুধ, সুজি ইত্যাদি)
৫। চাল, ডাল, লবন
৬। মোমবাতি, দিয়াশলাই
৭। পলিথিন ইত্যাদি।
এ ছাড়া আপনারা অর্থ সাহায্য করা যাবে ব্যাংক একাউন্টে বা সরাসরি টিএসসিতে।
হাসনাত আরো জানান, আমাদের টিম রেসকিউয়ের কাজ শুরু করেছে। আমরা আজ সারা দিনে দুইশো’র বেশি বোট পাঠানোর সিদ্ধান্তে আছি, যার মধ্যে প্রায় ২০-২৫টি এরইমধ্যে স্পটে চলে গেছে। আমরা একতা ধরে রাখি। এই বিপদে বাংলাদেশ লড়বে একসাথে।
ফান্ড রেইজিং একাউন্ট ডিটেইল:
Mohammad
Anisur Rahman
20503100200291004
Badda
Branch, Dhaka
Islami
Bank Bangladesh
উল্লেখ্য, পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় বিপর্যস্ত হয়েছে দেশের নয়টি জেলা। বন্যাকবলিত জেলাগুলো হলো– ফেনী, নোয়াখালী, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর ও খাগড়াছড়ি। এসব জেলার কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি ও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
মন্তব্য করুন
পূর্বানুমতি
ছাড়া চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীকে গ্রেপ্তার না করার সুপারিশ করেছে
স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন।
সুপারিশে
বলা হয়েছে, বিএমডিসি,বিএনএমসি, বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল, আ্যালাইড হেলথ প্রোফেশনাল
কাউন্সিল ইত্যাদির পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা
প্রদানকারীকে গ্রেফতার করা যাবে না। শুধু অনুসন্ধান ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা
গ্রহণযোগ্য হবে, তবে তা অভিযোগ দাখিলের নব্বই দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
সোমবার
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন পেশ করেন স্বাস্থ্যখাত
সংস্কার কমিশন কমিশনের সদস্যরা। প্রতিবেদনের ১১নম্বর সুপারিশে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি
তুলে ধরা হয়।
চিকিৎসা
সেবা প্রদানকারীদের নিরাপত্তা ও পেশাগত সুরক্ষার বিষয়ে বলা হয়েছে, সেবা গ্রহীতার অভিযোগ
নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে একটি আধুনিক ডিজিটাল অভিযোগ নিষ্পত্তি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে
হবে।বিএমডিসি,বিএনএমসি, বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল, আ্যালাইড হেলথ পোফেশনাল কাউন্সিল
ইত্যাদির আইনগত ক্ষমতা ও কাঠামোকে আরও কার্যকর করতে হবে। চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট
ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য মেডিকেল প্রফেশনাল ইন্স্যুরেন্স চালু
করতে হবে, যাতে কর্মজীবনে আইনি ঝুঁকি বা অপ্রীতিকর ঘটনার ক্ষেত্রে তাদের আর্থিক ও সামাজিক
সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
জরুরি
পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশের
অধীনে একটি নির্দিষ্ট ইউনিট থাকবে যেখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সংরক্ষিত কিছু পুলিশ থাকবেন
(যাদের মেডিকেল পুলিশ বলা যেতে পারে) যারা জরুরি পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের
নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলা, হুমকি ও সহিংসতা
প্রতিরোধে এই ইউনিট কাজ করবে।
সরকার
২০২৪ সালের নভেম্বরে ১২ সদস্যের স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিশনের প্রধান
হিসেবে রয়েছেন ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ
খান।
কমিশনের
সদস্য হিসেবে আরও রয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) জনস্বাস্থ্য ও
হেলথ ইনফরমেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক মো. মুহাম্মদ জাকির হোসেন, পথিকৃৎ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান
অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার, শিশু নিউরো
বিজ্ঞান বিভাগের নিউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নাইলা জামান খান, সাবেক সচিব এম এম রেজা,
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মুজাহেরুল হক, আইসিডিডিআরবি’র ডা. আজহারুল ইসলাম, স্কয়ার
হাসপাতালের স্কয়ার ক্যান্সার সেন্টারের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, গ্রিন লাইফ
সেন্টার ফর রিউম্যাটিক কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চের প্রধান পরামর্শক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল
হক, আইসিডিডিআরবি’র
বিজ্ঞানী ডা. আহমেদ আহসানুর রহমান এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ওমায়ের আফিফ।
মন্তব্য করুন
মাতৃভাষার জন্য জীবন
দেওয়ার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (২১
ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক
মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার
স্বীকৃতি এনে দিতে আমাদের আত্মত্যাগ করতে হয়েছে অনেক। জাতির মুক্তি সংগ্রামের
ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই একটি
অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষাভিত্তিক জাতিসত্তা ও রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের ভিত
রচিত হয়।
তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর
প্রায় সব দেশে নানান দেশের নানান ভাষার কিংবা হাতে গোনা কয়েকটি দেশের কিছু মানুষ
নাগরিকত্ব গ্রহণ করে কয়েক প্রজন্ম ধরে বসবাস করে। নতুন দেশের ভাষা তাদের দৈনন্দিন
জীবনে চব্বিশ ঘণ্টার ভাষায় পরিণত হয়ে যায়, কিন্তু তবু সে ভাষা তার মাতৃভাষায় পরিণত
হয় না। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে মাতৃভাষার চেতনা ও মর্যাদা
রক্ষার প্রেরণা ও এ চেতনার সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিকতার সূত্রে ২০০১ সালের ১৫ মার্চ
ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। বিশ্বের সব
মাতৃভাষার সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও গবেষণার ইতিবৃত্তকে লক্ষ্য করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা
ইনস্টিটিউট তার যাত্রা শুরু করে।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, একটি নতুন ভাষা শিখলেই পুরনো ভাষায় দুর্বল হয়ে পড়বে এই ধারণার কোনো ভিত্তি
নেই। পৃথিবীর বহু দেশে একই নাগরিক সাবলীলভাবে কয়েকটি ভাষায় কথা বলবে এটা খুবই
স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া হয়। তারা শৈশব থেকে নানান ভাষায় অভ্যস্ত হয়ে যায়।
স্কুলে পড়ার সময় প্রত্যেক ছাত্রকে অন্তত একটি ভিন্ন ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক করা
হয়। ছাত্ররাও আনন্দ সহকারে সেটা করে থাকে। ইংরেজি শিখলেই বাংলা ভুলে যেতে হবে এমন
কোনো চিন্তা তাদের কারও মাথায় আসে না।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন,
আমরা দ্রুত গতিতে নতুন পৃথিবী সৃষ্টি করে যাচ্ছি। এর জন্য মূলত নিত্যনতুন
প্রযুক্তি প্রধানত দায়ী। প্রযুক্তির প্রাধান্যের সঙ্গে আসে ভাষার প্রাধান্য। যে
দেশের প্রযুক্তি পৃথিবীতে প্রাধান্য অর্জন করতে থাকবে তার সঙ্গে প্রাধান্য অর্জন
করতে থাকবে প্রযুক্তিদাতা দেশের ভাষা। সারা পৃথিবী এই ভাষা শেখার জন্য ঝাঁপিয়ে
পড়বে।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, ভাষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির সঙ্গে সাহিত্য, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান- সরাসরি জড়িত। আমরা যখন মাতৃভাষায় কথা বলি তখন যেন মনে রাখি মাতৃভাষা মানুষের প্রাথমিক ভাষা। সেই ভাষা প্রথম শ্রবণে যতই রূঢ় মনে হোক না কেন তা একদিন তার প্রাথমিক স্তর পার হয়ে বহু দেশের বহু মানুষের অত্যন্ত নমস্য ভাষায় পরিণত হতে পারে। যদি সে ভাষা পৃথিবীর অগ্রযাত্রায় কৌশলগত ভূমিকা দখল করে নিতে পারে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জন্য ঋণ সহায়তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। এসময় বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রধান বলেন, চলতি অর্থবছরে তার সংস্থা বাংলাদেশের জন্য দুইশ’ কোটি মার্কিন ডলারের নতুন অর্থায়ন করতে পারবে। এই অর্থ অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন, বন্যা মোকাবিলা, দূষণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বায়ুর মান বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে সহায়তা করা হবে।
জরুরিভাবে আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে এমন ক্ষেত্রে সহায়তা করা হবে উল্লেখ করে আবদৌলায়ে সেক বলেন, আমরা যত দ্রুত সম্ভব এবং যতটা সম্ভব আপনাদের সহায়তা করতে চাই।
বৈঠকে নতুন ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার অনুরোধের প্রেক্ষিতে সংস্থাটি সরকারের চলমান বিদ্যমান প্রকল্পে প্রায় একশ’ কোটি ডলারের অতিরিক্ত একশ’ কোটি ডলারের তহবিল পুনর্বিন্যাসের কথা উল্লেখ করা হয়।
বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রধান জানান, অতিরিক্ত ঋণ প্রদানের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংক এবারের অর্থবছরে বাংলাদেশকে সহজশর্তে ঋণ এবং মঞ্জুরি মিলিয়ে প্রায় তিনশ’কোটি মার্কিন ডলার প্রদান করবে, যার মাধ্যমে বিদ্যমান প্রকল্পসমূহের তহবিল পুনর্বিন্যাসও করা হবে।
সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন বাংলাদেশের তরুণ সম্প্রদায় এবং দেশটির জন্য ‘মহৎ কাজ’হবে উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রধান বলেন, প্রতিবছর যে ২০ লাখ মানুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে, তারাও এর সুফল পাবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরক্টেরকে উদ্দেশে করে বলেন, ১৫ বছরের অপশাসন থেকে ঘুরে দাঁড়াতে আমরা যে নতুন যাত্রার সূচনা করেছি তাকে এগিয়ে নিতে এবং সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাংকের ঋণ তহবিলসমূহের শর্তাবলী নমনীয় হতে হবে। আমাদের ধ্বংসাবশেষ থেকে নতুন কাঠামো তৈরি করতে হচ্ছে। আমাদের এখন বড় ধাক্কা দেওয়ার প্রয়োজন এবং ছাত্রদের যে স্বপ্ন রয়েছে তা পূরণে মনোযোগ দিতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন,
আমি আপনাদের বলবো- আমাদের সাহায্য করুন। আমাদের টিমের অংশীদার হোন। গত ১৫ বছরে শেখ
হাসিনার শাসন আমলে দুর্নীতিবাজরা অর্থ আত্মসাৎ করে বিদেশে কয়েক বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। পাচার হওয়া এসব অর্থ ফিরিয়ে আনতে তিনি বিশ্বব্যাংককে কারিগরি সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান।
বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রধান বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সহায়তা করতে সম্মত হন। তিনি বলেন, আমরা আপনাদের সাহায্য করতে পেরে খুশি হবো। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে পরিসংখ্যানগত তথ্যের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা তৈরি, কর আহরণে অটোমেশন চালু এবং আর্থিক খাত সংস্কারে সহায়তা করতে চায়। বাংলাদেশ তার প্রতিষ্ঠানগুলো মেরামত এবং মোটা দাগের সংস্কার করার এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না। একবার এ সুযোগ হারালে কখনো তা আর ফিরে আসবে না।
আবদৌলায়ে সেক জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের শহিদদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি ঢাকার দেয়ালে তরুণদের আঁকা বর্ণিল গ্রাফিতি ও ম্যুরাল দেখে মুগ্ধ হয়েছেন উল্লেখ করে বলেছেন, ৩০ বছরের চাকরি জীবনে অন্য কোথাও এমন দেখিনি।
মন্তব্য করুন
পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রশিক্ষণার্থীদের
সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শিক্ষা, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিকভাবে
পার্বত্য অঞ্চলকে এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সম্পদে
পরিপূর্ণ পার্বত্য জেলাগুলো বাংলাদেশের সবচাইতে উন্নত অঞ্চল হতে পারতো, কিন্তু সবচেয়ে
পেছনে পড়ে আছে। এটা হওয়ার কথা না। আপনাদের ফসল, ফল-ফলাদি, ঐতিহ্যবাহী পণ্য দিয়ে অর্থনীতিতে
আপনাদের এগিয়ে যাওয়ার কথা। পার্বত্য এলাকাগুলো দুর্গম, সেজন্য যোগাযোগ করা কঠিন হয়।
আর এ কারণেই সেখানে প্রযুক্তির প্রসার দরকার। প্রযুক্তি দিয়ে এই দূরত্ব জয় করা যাবে।
পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও
সদস্যবৃন্দের জন্য আয়োজিত 'পার্বত্য জেলা পরিষদ ব্যবস্থাপনা' শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি
রাজধানীর পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ
দিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
নারী ফুটবল টিমে পার্বত্য জেলা থেকে
আসা খেলোয়াড়দের সঙ্গে বৈঠকের স্মৃতিচারণ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের মেয়েরা ফুটবলে বিশ্বের
অন্যান্য দেশের টিমকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। আপনাদের এলাকার মেয়েরা কী দুর্দান্ত
খেলল! কীভাবে বলবেন পিছিয়ে আছে? যারা আপনাদের এলাকা থেকে এসেছে তাদের সাথে আমি কথা
বলেছি। কী কঠিন পরিস্থিতি! কত কষ্ট করে পাহাড় ভেঙে বাড়িতে পৌঁছাতে হয়! বাবা মা ঢাকায়
আসলে কত কষ্ট করে তাদের আসতে হয়। এই প্রতিকূলতার মধ্যেই কিন্তু তারা বিশ্বজয় করে এসেছে।’
পার্বত্য এলাকার তরুণরা যেন বিশ্ব নাগরিক
হয়ে গড়ে ওঠে এ আশাবাদ ব্যক্ত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপনাদের মেয়েরা ফুটবলে বিশ্বজয়
এনে দিয়েছে। তরুণরা শুধু বাংলাদেশের নাগরিক না, বিশ্ব নাগরিক হতে হবে। দুর্গম এলাকা
বলে পিছিয়ে থাকলে হবে না। সীমাবদ্ধতা থাকবে, কিন্তু মনের সীমারেখাকে বাড়িয়ে দিতে হবে।
সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে নিজ কৃতিত্ব দিয়ে পৌঁছে যেতে হবে।’ জানুয়ারিতে তারুণ্যের উৎসবে পার্বত্য
অঞ্চলের তরুণদের অংশ নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আপনাদের শিশুদের, তরুণদের
এ উৎসবে যোগ দিতে উৎসাহ দিন। স্থানীয় খেলা হোক, রচনা প্রতিযোগিতা, গান-নাচ তারা যা
পারে, যা চায় তা নিয়ে যেন অংশ নেয়। এটা সবার উৎসব। উৎসবটি বৈচিত্রময় হোক। সরকারি নির্দেশ
তাই অংশ নেবে এরকম না। তাদেরকে আপনারা উৎসাহ দিন, যেন নিজ থেকেই তারা উদ্যমী হয়ে এ
উৎসবে অংশ নেয়।
পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থার
সংস্কার ও সঠিক পদ্ধতি, প্রশিক্ষণের গুরুত্ব নিয়েও কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি
আরও বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এক কঠিন সংকটে আছে। আপনাদের অঞ্চলে এটা আরও বেশি কঠিন।
শিক্ষকদের কষ্ট হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের কষ্ট হয়। আপনাদের পড়াশোনার দিকে মনোযোগী হতে হবে।
আমরাও চেষ্টা করব রাষ্ট্রীয় দিক থেকে কীভাবে কী করা যায়। পার্বত্য জেলার তরুণরা দুর্গম
অঞ্চলে আছে বলে বড় শহর থেকে লেখাপড়ায় পিছিয়ে থাকবে সেটা হতে দেওয়া যাবে না। লেখাপড়ায়
তাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।
মন্তব্য করুন