যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে ১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
আজ সন্ধ্যায় (৩১ অক্টোবর) যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের হাতে ১ কোটি টাকার চেক তুলে দেন। এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় দলের কোচ পিটার বাটলার।
এর আগে দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছাদখোলা বাসে রওয়ানা দিয়ে তিন ঘন্টা শহরের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিন করে সন্ধ্যায় বাফুফে ভবনে এসে উপস্থিত হন সাবিনা, মনিকা, রুপনারা। তার আগেই অবশ্য সেখানে সাবিনাদের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।
পরে বাফুফে ভবনের তিন তলায় কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ দলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এরপর সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান আগামী শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নারীদের এক কোটি টাকা প্রদান করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা নারী দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন শনিবার। আমরা নারী ফুটবলের উন্নয়নের সঙ্গী হিসেবে রয়েছি। আমরা বিশেষভাবে নারী দলকে পুরো জাতি ও একইসাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। নেপালের মাটিতে স্বাগতিক সমর্থকদের বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েরা যেভাবে জয় ছিনিয়ে এনেছে তার জন্য তারা ধন্যবাদ পাবার যোগ্য। শুধু নারী ফুটবল নয়, ক্রিকেটেও এই সমস্যা রয়েছে। এই বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে বিসিবির সাথে কথা হয়েছে। বাফুফের সাথে আলোচনা হবে। অবশ্যই এই বৈষম্য দূর করতে হবে।
এ সময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে সাফের শিরোপা অক্ষুন্ন রাখে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ
উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজোল্যুশন (প্রস্তাবনা) সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত
হয়েছে। ১১২টি দেশ এই রেজোল্যুশনটিতে কো-স্পন্সর করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
প্রথম মেয়াদে সরকার পরিচালনার সময় ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে
শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি গৃহীত হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশ
‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজোল্যুশনটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে, যা শান্তি
ও অহিংসার সংস্কৃতিকে উন্নীত করার জন্য আটটি বিশেষ ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে, সে অনুযায়ী
কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সবার প্রতি আহ্বান রয়েছে এতে। এছাড়া সাধারণ পরিষদের সভাপতির
নেতৃত্বে ২০১২ সাল থেকে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটি উচ্চ পর্যায়ের
ফোরামের আয়োজন করে আসছে।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার
(২ মে) জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত
বাংলাদেশের পক্ষে এটি উত্থাপন করেন। শুক্রবার (৩ মে) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন
এ তথ্য জানায়।
স্থায়ী মিশন বলছে, চলতি বছর
আলোচ্য রেজোল্যুশনটি একটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। কেননা এ বছরে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা
এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি ২৫তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।
প্রস্তাবনাটি উপস্থাপনের
সময় রাষ্ট্রদূত মুহিত বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতির অব্যাহত
প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আজ বিশ্ব ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং মানবিক মর্যাদা
অবজ্ঞার মুখোমুখি। এই ক্রমবর্ধমান সংঘাত ও সহিংসতা থেকে উত্তরণে মানবমনে সম্প্রীতি
ও সহমর্মিতার ভাবকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে, সমতা ও সব মানুষের সমমর্যাদার চেতনাকে সমুন্নত
করতে হবে এবং সর্বোপরি যুদ্ধের চেয়ে শান্তিকে অনেক বেশি লাভজনক করে তুলতে হবে।
যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের
নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির
ধারণা প্রবর্তনের বাংলাদেশের উদ্যোগটি আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত। বৈষম্য,
বর্ণবাদী অসহিষ্ণুতা এবং পরাধীনতা আমাদের একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে।
এ কারণেই আমরা শান্তির প্রসারকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক নীতিতে পরিণত করেছি।
এবারের রেজোল্যুশনে শান্তির
সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচির ২৫তম বার্ষিকী যথাযথভাবে পালন ও উদ্যাপনের
জন্য সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে দিনব্যাপী একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম আহ্বান করার জন্য
অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া এ রেজোল্যুশনে সাধারণ পরিষদের সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘের
আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা, নাগরিক সমাজ, বেসরকারি খাত, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
এবং মিডিয়াসহ অন্যান্য অংশীজনদের শিক্ষা ও জনসচেতনতা সম্প্রসারণসহ অন্যান্য আয়োজনের
মাধ্যমে যথাযথভাবে এই বার্ষিকীটি পালনের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
রেজোল্যুশনটির বিবেচনার পূর্বে
শান্তির সংস্কৃতির ওপর সাধারণ পরিষদে একটি সাধারণ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বহুসংখ্যক
সদস্য রাষ্ট্র বক্তব্য দেয়। এ সময় তারা শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি
বাস্তবায়নে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে।
সবশেষে প্রতিনিধি দলগুলো
জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক
নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানায়।
মন্তব্য করুন
খেজুরের রস পান করে নড়াইল সদরের একটি বিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় এ ঘটনাটি ঘটে জেলা সদর উপজেলার শাহাবাদ এলাকায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে শাহাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ওই বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীরা জানায়, সকালে স্কুলে আসার পরে ১০টায় ১০-১২ জন শিক্ষার্থী মিলে পাশের একটি জমিতে কয়েকটি খেজুরের গাছে উঠে রসের হাঁড়ি নামিয়ে আনে। এরপর সবাই সেটি পান করে। কিছুক্ষণ পর ৬ জনের তীব্র পেটে ব্যথা শুরু হয়। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। এর মধ্যে একজন বমি করতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক অসুস্থদের অন্যদের সহায়তায় নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
খেজুরের রসের মধ্যে অন্য কিছু ছিল কি না তা শিক্ষার্থীরা জানে না, তবে রস খাওয়া কয়েকজন সুস্থ আছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে শাহাবাদ, দলজিতপুরের বাসিন্দা।
নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রেশমী খাতুন জানান, শিক্ষার্থীরা বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মাত্রা বেশি না হওয়ায় ওয়াশ করার প্রয়োজন পড়েনি। একজন বমি করেছে, অবস্থা খারাপ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে।
আপাতত তাদের ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
স্থানীয়
সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব
ভূঁইয়া বলেছেন, স্থলপথে বাংলাদেশি কিছু পণ্য আমদানিতে ভারতের বিধিনিষেধ আমাদের জন্যে
আত্মনির্ভরশীলতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটা সুযোগ।
উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজের এক পোস্টে বলেন, ব্যবসায়ীদের সাময়িক হয়তো কিছু
ক্ষতি হবে, তবে দীর্ঘ মেয়াদে আমরা মনে করি,এটি আমাদের আত্মনির্ভরশীলতার দিকে এগিয়ে
যাওয়ার একটা সুযোগ।
সাভারে
জাতীয় যুব ইন্সটিটিউটে যুব সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবেও এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
স্থলপথে
বাংলাদেশি কিছু পণ্য আমদানিতে ভারতের বিধিনিষেধের কারণে ব্যবসায়ীদের সাময়িক ক্ষতি প্রসঙ্গে
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, এটি আমাদের আত্মনির্ভরশীলতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটা সুযোগ।
মন্তব্য করুন
আজ (১৪ নভেম্বর ২০২৪) জাহানাবাদ সেনানিবাসস্থ এএসসি সেন্টার এন্ড স্কুল এ আর্মি সার্ভিস কোরের ৪৩তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি। সেনাবাহিনী প্রধান এএসসি সেন্টার এন্ড স্কুল এ পৌছালে তাকে এএসসি কোরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অভ্যর্থনা জানান।
সেনাবাহিনী প্রধান বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে উপস্থিত এএসসি কোরের অধিনায়ক ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন এবং এ কোরের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, গবেষণা, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। একই সাথে তিনি স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী এএসসি কোরের বীর সেনানীসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। সেনাবাহিনী প্রধান এএসসি কোরের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য এবং দেশমাতৃকার সেবায় এই কোরের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এএসসি কোরের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং কোরের প্রতিটি সদস্যকে অভিনন্দন জানান। এছাড়াও, তিনি আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকতে এই কোরের সকল সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান।
উক্ত অনুষ্ঠানে সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণ, সদর দপ্তর আর্মি ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড এর কর্মকর্তাগণ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল এএসসি ইউনিটসমূহের অধিনায়কগণ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
এয়ারবাসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াউটার ভ্যান ওয়ার্শ আজ মঙ্গলবার লন্ডনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তাঁর হোটেলে সাক্ষাৎ করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (১০ জুন) লন্ডনের একটি হোটেলে এই সাক্ষাৎ হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা চার দিনের সরকারি সফরে আজ স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫ মিনিটে লন্ডন পৌঁছান।
মন্তব্য করুন
মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। এ ছাড়া ব্রেইল বইসহ বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা নিয়েও তিনি কথা বলেন।
তিনি বলেন, মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাসহ বিশ্বের সকল ভাষাভাষী মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। ইউনেস্কো ২০০০ সাল থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে এ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করে আসছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মেইক ল্যাঙ্গুয়েজ কাউন্ট ফর সাসটেউনেবল ডেভেলপমেন্ট’ যুক্তিযুক্ত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ ও দেশের ভাষাসমূহের মর্যাদা রক্ষায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে, যা দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
ড. ইউনূস আরো বলেন, শত বছরের শোষণে ও শাসনে জর্জরিত বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের প্রথম জয়যাত্রা ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারিতে। বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের ভিত রচিত হয়েছিল। এ দিনে আমাদের মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষা করতে প্রাণোৎসর্গ করেছিলেন আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, আবদুস সালাম, রফিক উদ্দিন আহমদ, শফিউর রহমানসহ আরো অনেকে।
পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, ১৯৫৬ সালে বাংলা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পায় এবং ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে এই দিনে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
প্রফেসর
ইউনূস সবাইকে মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ এর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
জানান। তিনি এ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন। সূত্র: বাসস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে যে রিউমার বা কথাবার্তা
শোনা যাচ্ছে, অনেকেই শুনতে চাচ্ছেন আমাদের থেকে, কথা হচ্ছে এ বিষয়ে এর আগেও আমরা স্পষ্টভাবে
বলেছি যে এখনই রাজনৈতিক দল খোলার কোনো অভিপ্রায় আমাদের নেই। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে
যা আছেন তাদের ক্ষমতার অভিলাস নেই।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আরও
বলেন, আপনারা জানেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যারা আছেন তাদের পেশাগত জীবন আছে। সবাই
সেখানে ফিরে যেতে চাই। দেশের মানুষ গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সেটা
যথাযথভাবে পালন করা, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফল ঘটিয়ে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে
গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর
তেরখাদিয়া এলাকায় জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক অধিদপ্তরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এসব
কথা বলেন।
উপদেষ্টা আসিফ আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
বলেন, আমরা যে সংস্কারের কথা বলেছি, সেটা ছিল এক দফা সংস্কার। শেখ হাসিনার সরকারের
পতন হয়েছে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। এক দফার মূল অংশ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ। এই
ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপের জন্য যে সংস্কারগুলো অত্যাবশ্যকীয় সেগুলো করার ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতেই হয়েছে। জনগণ নির্বাচন বা ক্ষমতার
পালাবদলের জন্য অভ্যুত্থানে আসেনি। যদি আসত তাহলে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেই আসত
বলে আমি মনে করি। অভ্যুত্থান হয়েছে স্পষ্টভাবে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিলুপ্তের জন্য।
যে ব্যবস্থা বিদ্যমান আছে যদি এটার সংস্কার করে দিয়ে যেতে না পারি তাহলে যে দলই ক্ষমতায়
আসুক স্বৈরতান্ত্রিক একটা সিস্টেমের মধ্যে সে নিজেও স্বৈরাচার হতে বাধ্য হবে। সে কারণে
আমরা মনে করি, দেশের জনগণ যেভাবে দেশকে গড়তে চাইবে, পুনর্গঠনের যে প্রস্তাবনা মানুষের
মধ্য থেকে আসবে সেটার বাস্তবায়ন করা আমাদের দায়িত্ব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান
পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুর রহিম খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শ্রম
ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জান, আইএলও-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো
পুটিআইনেন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী নগরীর তেরখাদিয়া
এলাকায় ১৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহীতে নবনির্মিত জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা
বিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ এশিয়ায় পেশাগত স্বাস্থ্য
ও নিরাপত্তা বিষয়ক একটি উল্লেখযোগ্য স্থান হতে চলেছে। দেশের শিল্প কলকারখানাসমূহে নিরাপদ
কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ ও শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে এই প্রতিষ্ঠানটি।
মন্তব্য করুন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর প্রামাণ্যচিত্র
নির্মাণে সরকার সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ
ইসলাম।
মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয়
গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে কনটেন্ট ক্রিয়েশন, স্ক্রিন প্লে অ্যান্ড ভিজ্যুয়াল প্রোডাকশন
টেকনিকস্ বিষয়ক প্রশিক্ষণ পাঠ্যধারার সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ভিডিও সংরক্ষণের
ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, এই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণের
দায়িত্ব আামাদের সকলের। এ গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করেই আমাদের সৃষ্টিশীল কাজে মনোনিবেশ
করতে হবে। এই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী শাসকের
যেমন বর্বরতার গল্প রয়েছে, তেমনি ছাত্র-জনতার সাহসিকতার গল্পও রয়েছে। তিনি ছাত্র-জনতার
সাহসিকতার গল্প জনসম্মুখে তুলে ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তথ্য উপদেষ্টা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের
ওপর ভিডিও কনটেন্ট নির্মাণের জন্য প্রশিক্ষণার্থী ও কোর্স প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগানোর জন্য প্রশিক্ষণার্থীর প্রতি আহ্বান জানান।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক
সুফী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের
সচিব মাহবুবা ফারজানা, কোর্স পরিচালক ড. মো. মারুফ নাওয়াজ এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের
সার্চ কমিটির আহ্বায়ক মো. আল আমিন রাকিব তনয়।
অনুষ্ঠানের শেষে উপদেষ্টা প্রশিক্ষণার্থীদের
মাঝে সনদ বিতরণ করেন।
মন্তব্য করুন
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী
রফিকুল আবরার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক
ড. মোঃ হায়দার আলী। আজ ১৬ মার্চ সকাল ১০.৩০টায় শিক্ষা উপদেষ্টার কার্যালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার
সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক
ড. মাসুদা কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের
পরিচালক মোঃ দেলোয়ার হোসেন এবং প্রকৌশল দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস. এম. শহিদুল
হাসান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ২৪ ইঞ্জিনিয়ার
কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের প্রধান প্রকল্প সমন্বয়ক এএফডব্লিউসি, পিএসসি কর্ণেল আরিফুল ইসলাম
খান এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক পিএসসি
লেফটেন্যান্ট কর্ণেল জাহিদুল ইসলাম।
সৌজন্য সাক্ষাতে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের
সার্বিক বিষয় ও অগ্রগতি নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে কথা বলেন। শিক্ষা উপদেষ্টা উপাচার্যকে
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নসহ পরামর্শ প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন