মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে মজুরি ঘোষণা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।
পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী, আট হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি পাচ্ছিলেন পোশাকশ্রমিকরা। আগের তুলনায় ন্যূনতম মজুরি বেড়েছে সাড়ে ৪ হাজার টাকা।
আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মালিক ও শ্রমিক পক্ষ এবং নিরপক্ষ প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্রুত নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন শ্রমজীবী মানুষ আন্দোলন করে আসছেন মজুরি বাড়ানোর জন্য। মালিক ও শ্রমিকপক্ষকে নিয়ে মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আলাপ-আলোচনার মধ্যদিয়ে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।মজুরির যদি কোনো তারতম্য হয়ে যায় আমরা শেষ সম্বল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বারস্থ হই সবসময়। উনার মৌখিক নির্দেশে আজকে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ঘোষণা করছি।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের রেশনের দাবি আছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একটি পরিবারের জন্য একটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যেই নির্ধারিত থাকবে যতগুলো সদস্য কার্ডটি ব্যবস্থা করতে পারবে। পরবর্তীতে এ কার্ডের মাধ্যমে রেশনিং ব্যবস্থা চালুর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।এখানে শ্রমজীবী মানুষ ও রাষ্ট্রের স্বার্থ আছে। শিল্প বাঁচলে শ্রমিক বাঁচবে। শ্রমিকের সঙ্গে শিল্পও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। উভয়দিক লক্ষ্য রেখেই মজুরি ঘোষণা করা হচ্ছে।
মজুরি ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়বে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আট হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বহাল আছে।
আন্দোলন-অবরোধের কারণে শিল্পাঞ্চলের বাড়িভাড়া মওকুফের জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বরের বেতন নতুন বেতনের আলোকে হবে। গেজেট এখনই করতে দেবে, কোনো সংশোধন থাকলে ১৪ দিনের মধ্যে করবে।
মজুরি ঘোষণার সময় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তৌফিকুল আরিফ, বিকেএমইএ'র সভাপতি সেলিম ওসমান, বিজিএমইএ'র সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে গুরুতর আহতদের
খোঁজ নিতে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আগারগাঁওয়ের
হাসপাতালটিতে পরিদর্শনে যান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
জুলাই-আগস্টে ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে গুরুতর
আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ৮ শিক্ষার্থীসহ
গুরুতর আহত কমপক্ষে ১১ জন হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ সময় হাসপাতালের পরিচালক কাজী দীন
মোহাম্মদ বলেন, হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ৪ শিক্ষার্থীর
অবস্থা প্রধান উপদেষ্টা দেখেছেন। চারজনেরই মাথায় গুলি লেগেছে। তাদের অবস্থার উন্নতি
হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাক টিকিট অবমুক্ত করেছেন।
একই সঙ্গে ১০ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম ও ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ডও অবমুক্ত করেন তিনি।
আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এগুলো অবমুক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান ও ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস.এম. শাহাবুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টাকে একটি স্মারক ডাক বাক্স ও ‘ন্যাচারাল বিউটি অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ’শীর্ষক একট বই উপহার দেন।
মন্তব্য করুন
বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাটে ১২ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার গারফা এলাকার মেসার্স মা ফিলিং স্টেশনের বিপরীত পাশে শিকদার প্লাজা নামক মার্কেটের সামনে থেকে মো. আকাশ খান (২২) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।
তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হবে। আটককৃত মাদক কারবারি আকাশ খান মোরেলগঞ্জ উপজেলার বারইখালী গ্রামের সুলতান খানের ছেলে।
বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক স্বপন কুমার রায় জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আকাশ খান নামের ওই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। তার কাছে থেকে ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এর বাজার মূল্য তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা। মাদক বিক্রেতাদের কাছে গাজা হস্তান্তরের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আকাশ খান।
এছাড়াও মাদক কারবারি আকাশ খান দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট বাজারে গাঁজা বিক্রি করে আসছিলেন বলে জানান বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক স্বপন কুমার রায়।
মন্তব্য করুন
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)
কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে এবারের ঈদ জামাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন
পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। ঈদ কেন্দ্রিক
সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই।
রবিবার (১৬ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহ
ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন,
সারা দেশের মতো ঢাকা মহানগরীতেও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে
পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ ঈদগাহে নামাজ আদায় করবেন।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ৫টি জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে সব
জামাতের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার
জন্য পার্কিং ও ডাইভারশন থাকবে। পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত
সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। পেট্রোলিং, সিসিটিভি ক্যামেরা মনিটরিংসহ নিরাপত্তা
নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের
পেট্রোল টিম দায়িত্ব পালন করবে। আশা করি, ঈদের জামাত সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান আরও বলেন,
বাংলাদেশের চামড়া প্রসেসিং এলাকা ঢাকা জেলার সাভারে। ঢাকা কেন্দ্রিক যে চামড়া সেগুলো
কালই সেখানে যাবে। আর ঢাকার বাইরেরগুলো ৭ দিনের মধ্যে সেখানে আসবে। এ কাজ যাতে সুন্দরভাবে
সম্পাদন করা হয় সেজন্য ডিএমপি সহায়তা করবে। আমরা ইতোমধ্যে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
গ্রহণ করেছি, অনেককেই গ্রেফতার করেছি। পরে এ ধরনের কাজ যারা করবেন, তারা সতর্ক হবেন
এবং ভবিষ্যতে এসব থেকে তারা নিবৃত থাকবেন। আমরা সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখেই নিরাপত্তা
ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। আমরা সব সময় সর্বাত্মক ও সর্বোচ্চ ব্যবস্থাটাই নিয়ে থাকি।
এবারও সেটি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়েছিল,আনসাররা সে সময় তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সে সময় তারা দূতাবাস, বিমানবন্দর ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সেজন্য নিঃসন্দেহে তারা সাধুবাদ ও প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।’
আজ সকালে (২০ অক্টোবর) রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটায় অবস্থিত ১৯ আনসার ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত দরবারে দেওয়া বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, অঙ্গীভূত আনসারদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। ব্যাটালিয়ন ও অঙ্গীভূত আনসার উভয়ই তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে। এ সময় তিনি ভবিষ্যতে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আরও ভালোভাবে পালন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব সন্তোষজনক না হলেও উন্নতির দিকে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতির সুযোগ রয়েছে। সেখানে আনসার বাহিনীরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এর অন্যতম কারণ হলো দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখালীতে সংঘটিত বন্যা এবং ময়মনসিংহ ও শেরপুরের চলমান বন্যা পরিস্থিতি। কুমিল্লা দেশের অন্যতম বৃহৎ সবজি উৎপাদনকারী জেলা। বন্যার কারণে এ উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে।
এরআগে উপদেষ্টা রাজশাহী মহানগরীর নওহাটা ও খড়খড়ি বাজার পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন দ্রব্যমূল্যের খোঁজখবর নেন। বাজারে যাতে সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজি না থাকে, সে ব্যাপারে তিনি উপস্থিত ব্যবসায়ীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ প্রদান করেন। এছাড়া কেউ চাঁদাবাজি করলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করারও পরামর্শ প্রদান করেন।
এদিন তিনি রাজশাহী মহানগরীর আমচত্বরে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) আঞ্চলিক সার সংরক্ষণাগার পরিদর্শন করেন।
মন্তব্য করুন
ইসলামাবাদের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক এগিয়ে
নিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সমাধানের
আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
ডি-৮ সম্মেলনের সাইডলাইনে আজ বৃহস্পতিবার
(১৯ ডিসেম্বর) মিসরের রাজধানী কায়রোর একটি হোটেলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ
শরিফের সঙ্গে বৈঠকের সময় অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, বিষয়গুলো বারবার আসছে। আসুন আমরা সামনে
এগিয়ে যেতে সেই বিষয়গুলোর ফয়সালা করি।
জবাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ
শরিফ বলেন, ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত বিষয়গুলো মীমাংসা
করেছে, কিন্তু যদি অন্যান্য অমীমাংসিত সমস্যা থাকে, তবে সেগুলো দেখতে পেলে তিনি খুশি
হবেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের
জন্য বিষয়গুলো চিরতরে সুরাহা করে ফেলা ভালো হবে।
তারা ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং ক্রীড়া
ও সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদের বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে সম্মত
হন।
এখানে প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়, দুই
নেতা চিনি শিল্প এবং ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনার মতো নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারিত করার
ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার ঘোষিত বৈদেশিক নীতির মূল বৈশিষ্ট্য সার্কের
পুনরুজ্জীবনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে শরিফের সঙ্গে আলোচনা করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস ২০২৬ সালের মধ্যভাগের
আগে ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার’ এবং সাধারণ নির্বাচন করতে তার সরকারের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ
করেন। তিনি বলেন, তিনি সংস্কারের বিষয়ে সংলাপের জন্য একটি ঐকমত্য গঠন কমিশনের নেতৃত্ব
দিচ্ছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ
ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানান। শরিফ বলেন, আমরা
সত্যিই আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার অপেক্ষায় রয়েছি।
তিনি সার্কের পুনরুজ্জীবনে অধ্যাপক
ইউনূসের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং আঞ্চলিক সংস্থার শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের সম্ভাবনা
নিয়ে কাজ করার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
অধ্যাপক ড. ইউনূস শরিফকে বলেন, এটি
একটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
সার্ক বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. ইউনূস বলেন, আমি সার্কের ধারণার একজন বড় অনুরাগী। আমি ইস্যুটি নিয়ে কথা বলেই যাব।
আমি সার্ক নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন চাই। তিনি বলেন, যদিও তা কেবল একটি ফটোসেশনের জন্যেও
হয়, তবুও এটি একটি শক্তিশালী বার্তা বহন করবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের
রাষ্ট্র পরিচালিত চিনিকলগুলোকে আরও ভালোভাবে পরিচালনার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব
দেন। তিনি বাংলাদেশে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের কারণে মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন এবং বলেন,
ঢাকা এ রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হতে পারে।
তিনি বলেন, প্রায় এক দশক আগে পাঞ্জাবে
ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই বিশ্বমানের বলে প্রশংসিত হয়েছিল। বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের
সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার জন্য আমরা বাংলাদেশে প্রতিনিধিদল পাঠাতে পারি।
অধ্যাপক ড. ইউনূস, শেহবাজ শরিফকে তার
সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আশা করেন পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এই প্রচেষ্টা অব্যাহত
রাখবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে
সিদ্দিকী।
সিদ্দিকী পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দারকে ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং তিনি সেই
প্রস্তাব গ্রহণ করেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসকে তার সুবিধামতো সময়ে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর জানান,অবরোধ-হরতালে পরিবহন বা স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগকারীদের ধরিয়ে দিলে অথবা সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। অবরোধ-হরতালে পরিবহন বা স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগকারীদের উপযুক্ত প্রমাণ অথবা সুনির্দিষ্ট তথ্যসহ ধরিয়ে দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেবেন আইজিপি। তবে যিনি তথ্য দেবেন তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।
এর আগে সোমবার (৬ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, বিভিন্ন স্থানে যারা গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করছে, সহিংসতা ও নাশকতা করছে তাদের অনেককে আমরা হাতেনাতে গ্রেফতার করেছি। অনেক প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা পুলিশের হাতে তাদের ধরিয়ে দিয়েছেন। চলমান অবরোধের মধ্যে যারা যানবাহনে আগুন দিচ্ছে ও পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করছে তাদের ধরিয়ে দিলেই ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা শহর অনেক বড়। অনেক মানুষের বসবাস এখানে। কিছু কিছু ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। পুলিশ কিন্তু অনেক ঘটনা নিবৃত করেছে। অনেককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। হাতেনাতে অনেককে আটক করেছে। হাতেনাতে আটক করার ক্ষেত্রে যারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন তাদেরও আমরা নগদ পুরস্কার দেবো।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সড়ক-ফুটপাত দখলমুক্তকরণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন মহানগরীর বিভিন্ন সড়ক ও ফুটপাতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
মঙ্গলবার সকালে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয় রাজশাহী নগর ভবনের গ্রেটার রোড থেকে। এরপর বর্ণালির মোড়, রাজীব চত্বর, ঐতিহ্য চত্বর, বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার, মেডিকেল জরুরি গেট, লক্ষ্মীপুর মোড়, সিএন্ডবি মোড়, ফায়ার সার্ভিস মোড়, সোনাদিঘী মোড়, গণকপাড়া মোড় পর্যন্ত রাস্তা-ফুটপাতে গড়ে ওঠা সব প্রকার অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হয়। অভিযানকালে গণগ্রন্থাগার ও মেডিকেল জরুরি গেটের সামনে প্রায় ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে জব্দকৃত একটি জেনারেটর নগর ভবনে নিয়ে রাখা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও রাসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান রাজশাহী সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশু।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় কোতয়ালী মডেল থানা কর্তৃক ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ ০১জন আসামী গ্রেফতার।
আজ ২১/০১/২৪খ্রি: তারিখ কোতয়ালী মডেল থানায় কর্মরত এসআই(নিঃ)/ শেখ মফিজুর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ কোতয়ালী মডেল থানা এলাকায় রাত্রীকালীন মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল ডিউটি করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতয়ালী মডেল থানাধীন ০৩নং দক্ষিণ দূর্গাপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর সাকিনের চিশতিয়া টেক্সাটাইল মিলের মেইন গেইটের পূর্ব পার্শ্বে পরিত্যক্ত ছাঁদবিহীন বিল্ডিং এর ভিতর হতে ৫০ কেজি গাঁজাসহ ১জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলো: কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার শাসনগাছা (ঈদগা) এলাকার মোঃ নজরুল ইসলাম এর ছেলে মোঃ আরিফুল ইসলাম(২৬)।
উক্ত ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় এজাহার দায়ের করলে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৫৭, তারিখ- ২১/০১/২০২৪; ধারা- ৬(১) সারণির ১৯(গ) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮; রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন