অক্টোবর মাসের তুলনায় নভেম্বর মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম মাত্র এক টাকা কমিয়ে ১৪৫৫ (এক হাজার চারশত পঞ্চান্ন) টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
টানা ৪ দফা দাম বাড়ার পর ভোক্তা পর্যায়ে অবশেষে কমলো তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ এলপিজির এই নতুন দাম ঘোষণা করেছেন এক সংবাদ সম্মেলনে।
নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫৬ টাকা থেকে ১ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে, সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় অক্টোবর মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৩৫ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল বিইআরসি।
তারও আগে রবিবার (২ সেপ্টেম্বর) ভোক্তা পর্যায়ে সেপ্টেম্বর মাসের জন্য ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম আগস্ট মাসের তুলনায় ৪৪ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৪২১ টাকা। আর গত আগস্ট ও জুলাইয়ে এলপিজির প্রতিটি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম বেড়েছিল যথাক্রমে ১১ টাকা ও ৩ টাকা। সেসময় ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হয়েছিল যথাক্রমে ১ হাজার ৩৭৭ টাকা ও ১ হাজার ৩৬৬ টাকা।
মন্তব্য করুন
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বলেছেন, দুর্গাপূজা নিয়ে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। পূজার নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে। তারা নিশ্চিন্তে পূজা করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে ফারইস্ট টাওয়ারের ট্যুরিস্ট পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম জানান, জঙ্গি হামলারও কোনো আশঙ্কা নেই। তারপরেও পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে। নিরাপত্তায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
পূজার সময় কোথাও কোনো ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন
বলেছেন, দেশের দুর্যোগ দুর্দিনে এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশবাসীর কল্যাণে পাশে আছে
এবং থাকবে। বন্যায় যাদের ঘর ভেসে গেছে, তাদের নতুনভাবে ঘর করে দেওয়া হবে।
আজ (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর
জেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমটুয়া আল আরাবিয়া দারুল উলুম মাদরাসা মাঠে বানভাসিদের
মাঝে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, বন্যায় যারা অত্যন্ত
ক্ষতিগ্রস্ত, যাদের ঘর পানিতে মিশে গেছে, যারা রাস্তার ওপর থাকছেন তাদের ছোটখাটো বাড়ি
করে দেওয়া হবে।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, লক্ষ্মীপুর,
ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যাদুর্গতদের সাহায্যে আলেম সমাজ ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তারা মাঠে ময়দানে
গিয়ে সাহায্য করছেন। ফেনী মুহুরি নদীর দিকে বেসরকারি উদ্যোগে এক কোটি টাকা খরচ করে
বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। সরকারি উদ্যোগেও কাজ চলছে। ইনশাআল্লাহ, আমরা এ বিপদ থেকে উদ্ধার
হতে পারবো। আমরা আল্লাহর সাহায্য কামনা করি।
আল-মানাহিল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ আয়োজন
করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রামের জামিয়া ইসলামিয়া জিরির মুতামিম মাওলানা
খোবাইন বিন তৈয়ব, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ
তারেক বিন রশিদ ও কমলনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ
প্রমুখ।
আয়োজকরা জানায়, আল-মানাহিল ফাউন্ডেশনের
উদ্যোগে বন্যায় দুর্গত ৫০০ পরিবারে মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে দুই শতাধিক
মানুষের মাঝে শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
রোববার ভোরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-২) ও যৌথ বাহিনী অভিযানে শীর্ষ মাদক কারবারি পিচ্চি রাজাসহ ৩২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে ৩ জন নারী মাদক কারবারিও রয়েছেন।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি জানায়, র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শিহাব করিম।
র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শিহাব করিম জানিয়েছেন, রোববার ভোরে জেনেভা ক্যাম্পে এ অভিযান শুরু হয়। অভিযানে র্যাব-২ ও যৌথ বাহিনী ছিল। এ অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, দুটি পিস্তল, ২০ রাউন্ড গুলি ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে ৩ জন নারী মাদক কারবারি ও শীর্ষ মাদক কারবারি পিচ্চি রাজাসহ ৩২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের ৩ ঘণ্টার অভিযানে ৫৩০ জন অভিবাসী আটক হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ৯৪ জন বাংলাদেশি।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) এই অভিযান চালানো হয় রাত থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশটির সেলাঙ্গর রাজ্যের সেরিকেমবাঙ্গান পাইকারি বাজারে।
অভিযানে জেনারেল অপারেশন ফোর্স (পিজিএ), রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশ, মালয়েশিয়ান সিভিল ডিফেন্স ফোর্স (এপিএম), সেলাঙ্গর ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জেপিএন) এবং সুবাং সিটি কাউন্সিলও অংশ নেয়।
আটকদের কাছে মালয়েশিয়ায় থাকার বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হবে। যে কারণে তাদের মধ্যে থেকে কতজনকে গ্রেফতার দেখানো হবে তা চূড়ান্ত করা হয়নি।
গতকাল শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য দেন সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশনের পরিচালক খায়রুল আমিনুস কামার উদ্দিন।
বিবৃতিতে সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশনের পরিচালক খায়রুল আমিনুস কামার উদ্দিন বলেন, ‘অভিযানে ৫০৪ জন পুরুষ ও ২৬ জন নারীকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ২৭৭ জন মিয়ানমারের, ৯৪ জন বাংলাদেশের, ৭২ জন ভারতের, ৩৯ জন ইন্দোনেশিয়ার, ১৫ জন নেপালের, ৯ জন শ্রীলঙ্কার, ৬ জন পাকিস্তানের ও ১ জন ভিয়েতনামের নাগরিক রয়েছেন। ’
সূত্র: দ্য স্টার
মন্তব্য করুন
খুলনা মহানগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে খুলনা সদর থানার সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. কুতুব উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: যশোর কেশবপুরের সফিনর দফাদারের ছেলে সজল দফাদার (২২), মহানগরের সবুপাড়া মেইল রোডের জনি হাওলাদারের ছেলে সাব্বির গাওলাদার (১৯) ও বাগমারা ২নং ব্যাংকার্স গলির বাসিন্দা মো. সেলিম শেখের ছেলে আকাশ শেখ (১৯)।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. কুতুব উদ্দিন জানান, ৮ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টায় খুলনা সদর থানাধীন শেরে বাংলা রোডস্থ পুরতন নির্বাচন অফিসের বিপরীতে হিমু লেনের ভেতর ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাংয়ের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে কভারসহ একটি গুপ্তি, একটি ডাবল সুইচ গিয়ার ছুরি, একটি বাটযুক্ত ধারালো ছুরি এবং একটি লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো লোহার রড উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধ খুলনা সদর থানায় ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেপ্তাররা খুলনা মহানগর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কিশোর গ্যাং গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিভিন্ন জায়গায় অপরাধজনক ঘটনার সাথে তাদের জড়িত থাকার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করে। তাদের তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারের প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন
বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী
বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
আজ রোববার (৫ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে
বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় উপস্থিত হন দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরামের
নেতারা।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল
কবির খান জানান, খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল
ইসলাম আলমগীর। আর স্থায়ী কমিটির নেতাদের মধ্যে আছেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার
জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম
খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমির খসরু মাহমুদ
চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
এর আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে এলডিপির
চেয়ারম্যান অলি আহমদ সাক্ষাৎ করেছেন বলেও জানান তিনি।
বিএনপির নেতারা বলছেন, উন্নত চিকিৎসার
জন্য আগামী ৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন বেগম খালেদা জিয়া।
তাই তার আগে দলের স্থায়ী কমিটির নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। সাক্ষাতের সময়ে দেশের
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী দিনের বিএনপির করণীয় নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া কয়েকদিন
আগে ম্যাডাম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সেনাপ্রধান সাক্ষাৎ করে গেছেন। এই বিষয়ে নেতাদের সঙ্গে
আলোচনা হতে পারে। তাছাড়া তিনি কত মাস পর আবার দেশে ফিরবেন সেটি এখনও চূড়ান্ত নয়, কারণ
তিনি বিভিন্ন ধরনের রোগে ভুগছেন, ফলে তারা যাত্রা দীর্ঘ হবে। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে সবার
কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার বিষয় রয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন,
এটা মূলত ম্যাডাম চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার আগে আমাদের আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ। সবকিছু
ঠিক থাকলে আগামী ৭ জানুয়ারি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে লন্ডনে নেওয়া হবে। ‘এটা তো
স্বাভাবিক বিষয়, ম্যাডামের সাক্ষাতে রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হবেই।
মন্তব্য করুন
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছানোর
মাধ্যমে জুলাই সনদ ঘোষণা করা হবে। আমরা সবাই আজ এখানে দেশ ও জাতির কল্যাণে একত্রিত
হয়েছি। আশা করি, সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছে আমরা একটি অত্যন্ত সুন্দর জুলাই
সনদ প্রস্তুত করতে পারবো।
আজ
সোমবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক
দলগুলোর দ্বিতীয় দফা সংলাপের উদ্বোধনী বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, সরকার আশা করে যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে এনে জুলাই সনদ
ঘোষণা করা সম্ভব হবে।
প্রধান
উপদেষ্টা নিজে ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি খুব খুশি যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি জাতীয়
ঐকমত্য গড়ে তুলতে এই সংলাপে অংশগ্রহণ করেছেন।
কমিশনের
সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, কমিশনের মেয়াদ ২০২৫ সালের আগস্টে শেষ হচ্ছে এবং
এর আগেই জুলাই মাসে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে কমিশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের ওপর
অর্পিত এই পবিত্র দায়িত্ব পালনে অবশ্যই সফল হতে হবে।
জাতীয়
ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফা সংলাপ আজ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অধ্যাপক ইউনূসের সভাপতিত্বে
শুরু হয়েছে।
উক্ত
সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় জড়িত অংশীজনরা অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নাজিরাবাজার এলাকা হতে ১৩২ কেজি গাঁজা’সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
নিয়মিত টহলের অংশ হিসাবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল গত ০৩ নভেম্বর রাতে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নাজিরাবাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ১৩২ কেজি গাঁজা’সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলো: ১। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার খাড়েরা গ্রামের মোঃ শামসু মিয়া এর ছেলে মোঃ রাসেল (২৪) এবং ২। কুমিল্লা জেলার বাঙ্গরা বাজার থানার হায়দারাবাদ গ্রামের মোঃ আব্দুল হান্নান এর ছেলে মোঃ শরীফ (২০)। এসময় মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ জব্দকৃত কাভার্ড ভ্যান ব্যবহার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাঁজা’সহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
গণভবনকে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের
জাদুঘর নির্মাণের জন্য উপদেষ্টাদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ
ইউনূস।
আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) গণভবন পরিদর্শনের
সময় এই নির্দেশ দেন তিনি।
‘‘গণভবনে ক্ষমতাচ্যুত ‘স্বৈরশাসক’ শেখ
হাসিনা গত ১৫ বছর ধরে বাস করেছিলেন, যা দমন ও তার নৃশংস শাসনের প্রতীক হয়ে উঠেছে’’
বলে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
গণভবনের ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শনকালে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘তার (শেখ হাসিনা) দুঃশাসনের স্মৃতি এবং জনগণ যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল, যখন তারা তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করেছিল, সেসব জাদুঘরের রাখা উচিত হবে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার কয়েক মুহূর্ত পর ৫ আগস্ট গণভবনে কয়েক লাখ বিক্ষোভকারী হামলা চালায়। বিক্ষোভকারীরা গণভবনের দেয়াল ও কক্ষে গ্রাফিতি এঁকে এবং খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী নোট লিখে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আয়নাঘর, যেখানে হাসিনার কুখ্যাত নিরাপত্তা সংস্থাগুলো গোপনে শত শত ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধী কর্মীকে আটক করেছিল, তার একটি রেপ্লিকাও গণভবনের জাদুঘরে নির্মাণ করা উচিত। আয়নাঘরের উচিত দর্শকদের গোপন বন্দিদের নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে দেওয়া।
গণভবন পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ।
এসময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
মাহফুজ আলমও উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ইউনূস উপদেষ্টাদের জাদুঘর বিশেষজ্ঞদের
সঙ্গে পরামর্শ করতে বলেন। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাদুঘরের জন্য প্রস্তাব চূড়ান্ত
করতে বলেন তিনি।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ২০০৯ সাল
থেকে শুরু হওয়া হাসিনার শাসনের অপকর্মগুলো জাদুঘরে যত্নসহকারে সংরক্ষণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
যেসব শিক্ষার্থী রাস্তায় ট্রাফিকের কাজ করছে তাদের তালিকা করে সবাইকে পুলিশের পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এ কথা জানিয়ে আরো
বলেছেন, এই সার্টিফিকেট চাকরি ক্ষেত্রে যেন মূল্যায়ন করা হয়।
সাখাওয়াত হোসেন এটাও বলেন যে, আমি আইজিপিকে অনুরোধ করবো, এই যে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় ট্রাফিকের কাজ করছে তাদের তালিকা করে সবাইকে পুলিশের পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট দেবেন। শিক্ষার্থীরা নিজের টাকায় সড়কে কাজ করছে, সড়ক পরিষ্কার করছে, রং কিনে দেয়াল সুন্দর করছে। এটা যদি সরকারি প্রজেক্ট হতো তাহলে হাজার কোটি টাকা লাগতো। একটা দেশে এই চাইতে ভালো উদাহরণ হতে পারে না।
শিক্ষার্থীরা তাঁর গাড়িও চেক করেছে উল্লেখ করে তিনি জানান, পতাকাওয়ালা গাড়ি থামানো হয়েছে। তারপর তারা বলেছে পতাকা থাক আর যাই থাক গাড়ি চেক করবো। এরপর আমাকে দেখে বললো না স্যার আপনি চলে যান।
মন্তব্য করুন