গানবাংলা টেলিভিশন চ্যানেলের কর্ণধার কৌশিক হাসান তাপসের স্ত্রী ফারজানা মুন্নি এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছিলেন, তাপসের সঙ্গে শবনম বুবলীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
তারপর অপু বিশ্বাসের সঙ্গে তার একটি কলরেকর্ডও ফাঁস। সে সময় শাকিব খান ছিলেন ‘দরদ’সিনেমার শুটিংয়ে দেশের বাইরে।
তাপস-বুবলী বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে শাকিব খান বলেন, কথাগুলো বলতে চাই না। মুন্নি ভাবিকে আমি যত স্ট্রং পারসোনালিটির মানুষ হিসেবে দেখেছি, তার মতো মানুষকে আমি এত অসহায়ভাবে আশা করিনি। আর এমন একটা মানুষকে নিয়ে কথা, যার সঙ্গে একটা সময় আমার সম্পর্ক ছিল। মুন্নি ভাবির অডিও আমি শুনেছি এবং আমাকেও যা বলেছেন, এটা আমি আশা করিনি।কখন কার রূপ যে মিডিয়াতে চেঞ্জ হয়, বলা যায় না। এটা আমার কোনো ম্যাটার না। এই ব্যাপারে আমি জড়াতেও চাই না।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলার সময় বুবলি প্রসঙ্গ এড়িয়ে না গিয়ে মুখ খুললেন শাকিব খান।
তিনি বলেন, বুবলীর কোনো অস্তিত্ব আমার জীবনে নেই। যার সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই, তাকে নিয়ে অনধিকার চর্চা কেন করতে যাব।অনেকে হয়ত মনে করছে, আমার সঙ্গে তার (বুবলী) কিছু একটা সম্পর্ক আছে। শাকিবকে বললে হয়ত এর কোনো সলিউশন হবে। হয়ত কোনো হোপ নিয়ে বলেছে। কিন্তু আমি বলেছি, আমার লাইফে তো এই ভদ্রমহিলার কোনো অস্তিত্ব নাই। তার ব্যাপারে আমাকে বলে কোনো লাভ নাই।
এর আগেও অনেকের সঙ্গে বুবলী সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে জানান শাকিব। সেজন্য তাকে সাবধানও করেছিলেন তিনি। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে দোষ নিজের কাঁধেও নিয়েছেন বলে জানান এই অভিনেতা।
জীবনে অনেকবার মানুষ চিনতে ভুল করেছেন বলে জানান শাকিব। বিশেষ করে বুবলীকে তিনি চিনতে পারেননি।
শাকিব বলেন, তার তো এর আগেও অনেক স্ক্যান্ডাল শুনেছি। এই স্ক্যান্ডালটা তো তাপসের ওয়াইফ নিজে বললেন। আমি আসলে বরাবরই মানুষ চিনতে ভুল করেছি। বিশেষ করে দ্বিতীয়বার (বুবলীকে বিয়ে) আমি মানুষ চিনতে ভুল করেছি।
মন্তব্য করুন
ছোট পর্দার এই সময়ের অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি । ইতোমধ্যে শোবিজে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন এ অভিনেত্রী। বিভিন্ন সময় ব্যক্তিজীবন ও কাজ নিয়ে আলোচোনায় এসেছেন তিনি। নতুন বছরে আবারও আলোচনায় উঠে এসেছেন মাহি।
তবে এবার আলোচনা কাজ দিয়ে নয়, মেকাপ ছাড়া তার একটি ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এ নিয়েই চলছে বিভিন্ন প্রকার মন্তব্য।
ফেসবুকে মাহির নো-মেকআপ লুক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে । তারপর থেকে তার গায়ের রং নিয়ে ট্রল করছেন নেটজনতা। চলছে বর্ণবৈষম্য। ভিডিওটি দেখে বোঝা যাচ্ছে কোন একটি নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে মেকাপ ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এই অভিনেত্রী। আর সে সময় তার এক সহকর্মী মজার ছলেই ভিডিও করে। পরে যা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। যেখানে অনেকেই মাহির গায়ের রঙ নিয়ে বিভিন্ন প্রকার কটূক্তি করছেন।
সোশ্যাল সাইটে নাতিদীর্ঘ এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সেই অনুভূতির কথা জানিয়েছেন মাহি।গায়ের রঙ নিয়ে ট্রল করায় কষ্ট পেয়েছেন তিনি। মাহি লিখেছেন, প্রায়ই অভিনেত্রীদের স্কিন কালার নিয়ে নানা ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য শোনা যায়। নিজের বাইরেও অনেকের পোস্টেই এসব মন্তব্য চোখে পড়ে। কিন্তু একজন অভিনেতার ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটে না। এর কারণ আসলেই অজানা। হয়ত আমরা অনেকেই মধ্যযুগীয় চিন্তা-চিতনা নিয়েই চলছি।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকে কাজকে গুরুত্ব দিয়েছেন জানিয়ে অভিনেত্রী লিখেছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে বরাবরই কাজকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছি। বর্তমান যে জায়গায় দাঁড়িয়ে সেখানেও অনেক চেষ্টা, কষ্ট, পরিশ্রম আছে। মানুষের ভালোবাসা রয়েছে। কিন্তু তারপরও মাঝে মধ্যে রঙ নিয়ে মানুষের এমন ট্রল করা আমাকে ভীষণ ভাবায়। যদিও কিছু মানুষই কেবল এমনটা করে থাকে। অথচ একজন মানুষকে, একজন অভিনেত্রীকে তার কাজের মাধ্যমে বিচার করা উচিত। অন্য কোনো কিছু দিয়ে বিচার করা নয়।আমার কাজের সমালোচনা করুন, আমি মাথা পেতে নেব। নিজেকে আরও শুধরানোর জন্য চেষ্টা করব। কিন্তু এভাবে গায়ের রঙ নিয়ে মন্তব্য করে নিজের পরিচয় দেবেন না। আমি আপনাদের জন্যই কাজ করছি, আর করে যাব। আপনাদের সবার ভালোবাসায় থাকতে চাই এবং বাঁচতে চাই।
এর আগে গত বছর মাহি তার সোশ্যাল মাধ্যমে এক যুবকের সাথে ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেন। প্রেমিক হিসেবে ঘোষণা না দিলেও তাদের অন্তরঙ্গতা প্রেমের আভাসই দিচ্ছিল যেন। মাহি অবশেষে প্রেমের কথাও স্বীকার করেন।
প্রেমের বিষয়টি স্বীকার করে মাহি জানান ,কোভিডের আগে, ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে আমাদের পরিচয় হয়। কোভিডের সময় যোগাযোগ বাড়ে, সেখানে থেকেই আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। ওর নাম সাদাত শাফি নাবিল। আর পারিবারিকভাবেই ওদের গাড়ির ব্যবসা আছে।
মন্তব্য করুন
বিদিপ্তা
চক্রবর্তী ওপার বাংলার শোবিজ অঙ্গনের পরিচিত মুখ। তিনি নাটক থেকে সিনেমা সকল জায়গাতেই
অভিনয়ের ছাপ ফেলেছেন। ব্যক্তিজীবনে পরিচালক বিরসা দাশগুপ্তকে বিয়ে করেছেন বিদিপ্তা।
বিদিপ্তার
শাশুড়ি ওপার বাংলার জনপ্রিয় সঞ্চালিকা চৈতালী দাশগুপ্ত। বিরসার সঙ্গে বিয়ের অনেক আগে
থেকেই শাশুড়ির সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল তার। এক সাক্ষাৎকারে সেটাই জানালেন এই অভিনেত্রী।
অভিনেত্রী
বিদিপ্তা বলেন, তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত ছিল। তখন তো বিরসাকে (বর্তমান স্বামী) ছোট
দেখেছি। হয়তো কখনও গালও টিপে দিয়েছি আদর করে, ঠিক মনে নেই। স্বামীর চেয়ে বয়সে প্রায়
৭ বছরের বড় তিনি। কিন্তু বয়সের এই ফারাক কোনোদিন তাদের সম্পর্কে বাধা হয়নি।
তবে
বিরসাকে বিয়ের আগেই বিবাহিত ছিলেন বিদিপ্তা। প্রথম সংসারে একটি কন্যা সন্তানও ছিল বিদিপ্তার।
কিন্তু সেই সংসার টেকেনি। ডিভোর্সের পর মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকতেন অভিনেত্রী বিদিপ্তা।
তখনই বিরসা দাশগুপ্তের সঙ্গে পরিচয়। ২৫ বছর বয়সী বিরসার তখন প্রেমের সম্পর্ক ভেঙেছিল।
আমিও বিচ্ছেদ নিয়ে ভেঙে পড়েছিলাম। একটা সময়ে দুজনের সম্পর্ক প্রেমে রূপ নেয়। আমাদের
পরিবারও বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
অভিনেত্রীর
শাশুড়ি চৈতালী দাশগুপ্ত বলেন, বন্ধু কখন বউমা হয়ে গেল, সেটা একদম চমকপ্রদ গল্প।
মন্তব্য করুন
দ্বিতীয় স্বামীর পদবি মুছে সিঙ্গেল চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি । কারণ তিনি তার দ্বিতীয় স্বামীর পদবি মুছে দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি নিজেই এই ঘোষণা দেন।
দ্বিতীয় বিয়ের পর স্বামী রকিব সরকার ও একমাত্র ছেলে ফারিশকে নিয়ে বেশ ভালোভাবেই দিন কাটছিল চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির। কিন্তু অভিনেত্রীর সেই সংসারেও বেজে ওঠে ভাঙনের সুর। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে বসেন মাহি। এবার স্বামীর পদবি মুছে দিলেন এই চিত্রনায়িকা।
২০১২ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় মাহির। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শারমীন নিপা থেকে হয়ে ওঠেন মাহিয়া মাহি। এরপর থেকে এই নামেই পরিচিতি লাভ করেন তিনি। রকিব সরকারকে বিয়ের পর নিজের নাম রেখেছিলেন মাহিয়া মাহি সরকার। তবে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়ার পরই তার নামের সঙ্গে সংযুক্ত ‘সরকার’ পদবি বদলে ফেললেন মাহি।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বার্তায় মাহি জানান, আমরা দুজন মিলেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তবে রকিব খুব ভালো মানুষ। তাকে ভীষণ সম্মান করি আমি। অনেক কেয়ারিং সে। খুব দ্রুতই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদে যাচ্ছি। কবে আর কীভাবে হবে সেটাও দুজন মিলেই ঠিক করব।
বর্তমানে চলচ্চিত্রে আগের মতো নিয়মিত নন মাহি। রাজনীতিতেও নিজের শক্ত অবস্থান গড়তে পারেননি। একদিকে দ্বিতীয় সংসারও ভাঙল, অন্যদিকে অভিনেত্রীর ছেলের গায়ের রং নিয়েও রয়েছে নানান সমালোচনা। সব মিলিয়ে মানসিক অবসাদেই যেন ভুগছেন মাহি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। এর কয়েক বছর পরেই ২০২০ সালে মে মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা জানান তিনি। পরে ২০২১ সালে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি।
মন্তব্য করুন
২২ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার ঢাকার শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানটি করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জনাব সরদার এ রাজ্জাকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রফেসর ডাঃ সরদার এ নাঈম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সুইড বাংলাদেশ এর মহাসচিব মাহবুবুল মনির। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির সেক্রেটারী জেনারেল বৈশাখী সমাদ্দার বানী।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি অ্যালায়েন্স (IDA) এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি জনাব অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম সিদ্দিকী, জাতীয় তৃণমূল প্রতিবন্ধী সংস্থার প্রোগ্রাম ম্যানেজার বশির আল হোসাইন এনডিডি ট্রাস্টের ট্রেনিং কনসালট্যান্ট ডঃ মারুফ আহমেদ মৃদুল,ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশের পরিচালক শাহানাজ পারভীন চৌধুরী প্রমুখ।
ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার আহমাদ ইবনে সালেহ এর সঞ্চালনায় এতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক উত্তম হাওলাদার। ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মঙ্গোলিয়ান অভিনেতা কর্তৃক অভিনীত আন্তর্জাতিক পুরস্কার চলচ্চিত্র The TRIO Movie এই অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয়। এশিয়া প্যাসিফিক ডাউন সিনড্রোম ফেডারেশনের অন্যতম সদস্য দেশ মঙ্গোলিয়ার ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন অভিনেতার অভিনীত এই চলচ্চিত্রটি বিশ্বের বেশ কয়েকটি পুরস্কার লাভ করেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ চলচ্চিত্রটি উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন করেন এবং প্রদর্শিত চলচ্চিত্রটি উপভোগ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুইড বাংলাদেশ এর মহাসচিব মাহবুবুল মনির বলেন ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি বাংলাদেশে সকল উদ্যোগে সাইটসেভার্স পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করছে। ২২ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র অভিনেতা কর্তৃক অভিনীত সেরা চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জনাব সরদার এ রাজ্জাক ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশের আমন্ত্রণে সাড়া দেয়ায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অতিথিবৃন্দকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ এদেশে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর বৃহত্তর কল্যাণে সমতার বাংলাদেশ গড়তে তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন অভিনেতার অভিনীত এই চলচ্চিত্রটি জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে চমৎকার নৃত্যশৈলী প্রদর্শন করে ডাউন সিনড্রোম ড্যান্স সেলিব্রিটি দল।
মন্তব্য করুন
অভিনেত্রী-সংগীতশিল্পী
কুইনজী চেং শুটিং সেটে মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় মালয়েশিয়ান এ অভিনেত্রীর বয়স ছিল ৩৭
বছর।
গেল
২৮ নভেম্বর অভিনেত্রীর ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো
হয়।
চায়না
প্রেসের বরাত দিয়ে মালয়েশিয়ান সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার জানিয়েছে, চেং ব্রেন অ্যানিউরিজমে
ভুগছিলেন।
স্থানীয়
আর্টিস্ট চাই জি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, সকাল ৮টা সময়ে আমরা দামানসারাতে
উপস্থিত হই। সকালের নাস্তা শেষ করে সাড়ে ৮টার দিকে শুটিং শুরু করি। ওই সময়ে চেং পুরোপুরি
সুস্থ ছিলেন। বিরতি নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফের শুটিং শুরু করি। ওই সময়ে চেং জানান,
তার মাথা ঘুরাচ্ছে, মাথা ব্যথা করছে, বমিবমি লাগছে। এক পর্যায়ে চেং বমি করেন; দ্রুত
অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়। চেংয়ের স্টাফরা তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। চেং যখন জ্ঞান হারান
তখন তার শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত চলছিল। দ্রুত তার ঠোঁট, হাত-পা বেগুনি বর্ণ ধারণ করে।
কল করার পাঁচ মিনিটের মধ্যে অ্যাম্বেলেন্স ঘটনাস্থলে চলে আসে। মেডিক্যাল টিম এসে তার
জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়; পরে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
জানা
যায়, ১৮টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন কুইনজী চেং। ২০১৫ সালে ‘ব্যাড স্টুডেন্টস’ সিনেমার
মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন কুইনজী চেং।
মন্তব্য করুন
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপাকে (মাহিয়া মাহি) নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের দায়ে তলব করেছে ।
শুক্রবার অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যার (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, দ্বিতীয় আদালত) মো. আবু সাঈদ তাকে তলব করেন।
মাহিয়া মাহিকে পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, গত ১৪ ডিসেম্বর আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোট চাচ্ছেন মাহি শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়।
এছাড়া নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি আরো জানতে পারে ওই দিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রচার শুরু করেন এবং ভোটারদের কাছে ভোট চান।
চিঠিতে আরো বলা হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৬(ঘ) ও বিধি ১২ লঙ্ঘন করেছেন শারমিন আক্তার নিপা (মাহি)। যা নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য হয়েছে।
আগামী ১৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় উপস্থিত হয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
দুই বাংলায় জনপ্রিয়তার শিখরে থাকা অভিনেত্রী জয়া আহসান। স্বাভাবিক ভাবেই তার ব্যক্তিজীবন নিয়ে কৌতূহলী তাঁর অনুরাগীরা।
কিছু দিন আগে আনন্দবাজার অনলাইনের একটি সাক্ষাৎকারে জয়া আহসান বলেছিলেন, প্রেম নিয়ে কিছু বলা যাবে না। প্রেমের কথা বলতে গেলেই গন্ডগোল হয়ে যাচ্ছে।
তবে সম্প্রতি বাংলাদেশে একটি বেসরকারি চ্যানেলে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন জয়া।
অভিনেত্রী জয়া আহসান জানিয়েছেন, বর্তমানে নিজের জীবন পুরোদমে উপভোগ করছেন। তার মতে, পরিবার শুধু স্বামী-স্ত্রীকেই ঘিরে নয় অথবা জীবনে কোনও সঙ্গী হলেই হয় না। আমার পরিবারে মা-বাবা আছেন, আমার বাড়িতে যে সব লোক কাজ করেন, তাঁরাও আছেন। আমার চারপেয়ে পোষ্য আছে।
১৯৯৮ সালে ঢাকার জমিদার পরিবারের ফয়সাল আহসানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন জয়া। তখন জয়া মাসুদ থেকে হয়ে ওঠেন জয়া আহসান। সেই সময় ফয়সাল বাংলাদেশে খ্যাতনামা মডেল ও অভিনেতা। তাঁর মহিলা অনুরাগীর সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো। ১৩ বছর সংসার করার পরে ২০১১ সালে দাম্পত্যে চিড় ধরে। তার পরে বিচ্ছেদের পথে এগিয়ে যান তাঁরা। কিন্তু তার পর পরস্পরকে নিয়ে কখনও নেতিবাচক মন্তব্য করেননি প্রাক্তন এই দম্পতি।
ফয়সাল রূপোলি পর্দার সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছেন। তবে ফয়সাল অন্তরালে চলে গেলেও জয়া চুটিয়ে অভিনয় করে যাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
দিন কয়েক ধরেই গুঞ্জনটা শোনা যাচ্ছিল। বিবাহবিচ্ছেদ হতে চলেছে অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির। যদিও প্রতি বারই জল্পনায় জল ঢালেন তিনি। কিন্তু শুক্রবার ফেসবুক লাইভে এসে আচমকাই কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিনেত্রী। তার পরই দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর দেন নায়িকা।
এরই মধ্যে তাঁরা আলাদা থাকা শুরু করেছেন। এ অভিনেত্রী নিজেই আজ রাতে এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন।
নিজের ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় কেঁদে মাহি বলেন, আমরা দুজন মিলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তবে রকিব খুব ভালো মানুষ। তাকে আমি সম্মান করি। অনেক কেয়ারিং সে। খুব দ্রুতই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদে যাচ্ছি। কবে আর কীভাবে হবে, সেটিও দুজন মিলেই ঠিক করব।
কিন্তু কী কারণে সন্তান জন্মের মাস কয়েকের মধ্যেই স্বামীর থেকে আলাদা হচ্ছেন তিনি তা নিয়ে কিছু বলেননি তিনি ।
তিনি জানান, অনেক দিন ধরে তাঁরা আলাদা থাকছেন।
সাথে আরো বলেন, একটা ছাদের নিচে দুটি মানুষ কেন ভালো নেই, সেটা তারাই ভালো জানে। এটা বাইরের থেকে বোঝা যাবে না। আসলে সংসার কেন ভাঙে, কেন হাজবেন্ডের সঙ্গে থাকতে পারল না বা হাজবেন্ড কেন তাঁকে সহ্য করতে পারছে না। অথবা তাঁর ওয়াইফটা কেন তাঁর হাজবেন্ডকে সহ্য করতে পারছে না। অথবা দুজন কেন ভালো নাই। দুজনের মধ্যে আসলে কী ঝামেলা হয়েছে—এগুলো তো আমরা আসলে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বুঝব না। তাই আমরা কাউকে নিয়ে যেন জাজ না করি।
মাহি বলেন, আমি জানি এই ভিডিওটি দেখার পর অনেকেই আমাকে গালি দিবেন, অনেক বাজে কথা বলবেন। বিশ্বাস করেন আপনাদের কমেন্ট গুলো আমার কাছে তীরের মত আমার বুকে লাগবে।
ভিডিওর একপর্যায়ে মাহি তাঁর সন্তানকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য না করার অনুরোধ জানান নেটিজেনদের প্রতি। মাহি বলেন,আমার ছেলেকে নিয়েও আপনারা অনেকে খারাপ কমেন্ট করেন, সেগুলো দেখে মা হিসেবে আমার বুকটা ফেটে যায়। কোনো বাচ্চাকে নিয়ে এমন খারাপ কমেন্ট করবেন না সে যেমনি হোক না কেনো দেখতে ।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ও হয়তো এখন এসব বুঝতে পারে না; কিন্তু একসময় এসব বুঝবে, তখন নিশ্চয়ই কষ্ট পাবে। দয়া করে এসব করবেন না। আপনারা আমার ছেলে ফারিশের জন্য দোয়া করবেন, যেন ওকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।
মন্তব্য করুন
দুই
বছর আগেই চিত্রনায়িকা আঁচল আঁখি বিয়ে করেছেন। নায়িকা নিজেই সম্প্রতি সেই খবর প্রকাশ্যে
এনেছেন । তার স্বামী সৈয়দ অমি একজন গায়ক। মিউজিক্যাল ফিল্মে কাজের সুবাদে পরিচয় তাদের।
এরপর ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে করেন তারা।
অমির
সঙ্গে পরিচয়ের ফিরিস্তি দিতে গিয়ে আঁচল জানান, ‘ও জান রে’ শিরোনামে একটি গানের ভিডিও
চিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে অমির সঙ্গে পরিচয় তার। গানে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি মডেলও হয়েছিলেন
অমি। অমির সঙ্গে তার অল্প পরিচয়েই হয়েছে বিয়ে। ‘ও জান রে’ গানটি রিলিজের পর সেটির এডিটিং
মুগ্ধ করে আঁচলকে। ধন্যবাদ জানাতে তিনি ফোন করেন অমিকে। তখনই নায়িকাকে ট্রিট দেওয়ার
প্রস্তাব দেন গায়ক।
এক
সপ্তাহ পর একটি রেস্তোরাঁয় আঁচল-আমির দেখা হয়। তখন আঁচলকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেন
অমি। আঁচল এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, অমির বাড়ি কুমিল্লায়। কুমিল্লার ছেলেদের অনেক
সাহস, আমি একটা নায়িকা, আমাকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। আমি শুনে অবাক হয়েছিলাম।
তখন
আঁচল অমিকে বলেছিলেন, ‘প্রেম নয়, বন্ধুত্ব নয় সরাসরি বিয়ে প্রস্তাব, কত বড় সাহস তোমার?
আমরা তো বন্ধু হতে পারি। প্রেম হওয়ার মতো হলে পরে হবে। উত্তরে অমি জানায়, সে আঁচলকে
অনেক আগে থেকেই পছন্দ করে। তার সিনেমার ভক্ত। এ ছাড়াও সব কিছু জেনে বুঝে নিয়ে তার পরিবারের
সঙ্গে কথা বলতে আঁচলকে অনুরোধ করেন অমি।
চিত্রনায়িকা
আঁচল জানান,পরিবারের সদস্যদের সিদ্ধান্তের পরই বিয়েটা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
পৌষ
মাসের শেষ দিন পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের সাকরাইন উৎসবে মেতে ওঠার দিন। এ উৎসবের মূল
আকর্ষণ ঘুড়ি উড়ানো।
রবিবার
(১৪ জানুয়ারি) পৌষের শেষ দিন। ঐতিহ্যের আলোয় পৌষের শেষদিনকে রঙিন করতে মাতোয়ারা পুরান
ঢাকাবাসী। তাই উৎসব ঘিরে পুরান ঢাকার অলিগলিতে চলছে ঘুড়ি বেচাকেনার উৎসব। শিশু, তরুণ,
বৃদ্ধরা কিনছেন ঘুড়ি, নাটাই, সুতা। চলছে সুতায় মাঞ্জা দেওয়ার কাজ। পুরান ঢাকায় চলছে
ঘুড়ি বেচাকেনার ধুম। দোকানে দোকানে হরেক রকমের ঘুড়ি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। রঙ-বেরঙের ঘুড়ি
আর নাটাই-সুতা সারি সারি করে সাজিয়ে রেখেছেন দোকানিরা। বাজারে বিভিন্ন নামের ঘুড়ি পাওয়া
যাচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম- চোখদার, চশমাদার, কাউটাদার, লাভবার্ড, পঙ্খিরাজ, প্রজাপতি,
চক্ষুদার, ঈগল, সাদাঘুড়ি, চার বোয়া, দুই বোয়া, টেক্কা, লাভঘুড়ি, তিন টেক্কা, মালাদার,
দাবা ঘুড়ি, বাদুড়, চিল, অ্যাংগ্রি বার্ডস হরেক রঙের ঘুড়ি। এসব নাটাই মিলবে ৫০০ থেকে
তিন হাজার টাকার মধ্যে। সেসব সুতার মধ্যে রক সুতা, ডাবল ড্রাগন, কিংকোবরা, ক্লাক ডেবিল,
ব্লাক গান, ডাবল গান, সম্রাট, ডাবল ব্লেট, মানজা, বর্ধমান, লালগান ও টাইগার অন্যতম।
জানা
যায়, রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে ঐতিহ্যবাহী উৎসব সাকরাইন শুরু হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা
পর্যন্ত ঘুড়ি ওড়ানোর পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে চলবে পিঠাপুলির উৎসব।
মন্তব্য করুন