কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনের ট্রিপ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। স্পেশাল ট্রেনটি দিনে ২ বারের পরিবর্তে ৪ বার যাতায়াতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ প্রস্তাবনা গৃহীত হলে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়ার পাশাপাশি পর্যটন খাত আরও সমৃদ্ধ হবে।
তারা বলছেন, বিদ্যমান জনবল এবং লজিস্টিকস ব্যবহার করেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের কক্সবাজার স্পেশালকে নিয়মিত করা ও ট্রিপ সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব।
তাই রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেন্ডেন্টের প্রস্তাবটি রেলভবন গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে বিপুল যাত্রীচাহিদা পূরণ হবে। পাশাপাশি রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়বে।
গত ১১ ডিসেম্বর রেলওয়ে মহাপরিচালককে চিঠি দেন পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম। ওই চিঠিতে বলা হয়, যাত্রী চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে এক জোড়া স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করা হচ্ছে। এই ট্রেন স্থায়ীভাবে পরিচালনার জন্য কক্সবাজার ও আশপাশের এলাকার সামাজিক, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা অনুরোধ জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি আরও এক জোড়া ট্রেন যোগ করে এখন দুই জোড়া ট্রেন পরিচালনার প্রস্তাব করা হলো।
নতুন প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, প্রথম ট্রেন চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছাড়বে সকাল সাড়ে ৬টায়। কক্সবাজারে পৌঁছাবে সকাল ১০টায়। ওই ট্রেন সকাল ১০টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার রেলস্টেশন ছেড়ে যাবে। চট্টগ্রাম পৌঁছাবে দুপুর সোয়া ২টায়। চট্টগ্রাম থেকে দুপুর পৌনে তিনটায় ট্রেনটি কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ফের ছেড়ে যাবে। ওই ট্রেন কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে। কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা ৭টায় আবার ছাড়বে। সেটি চট্টগ্রাম স্টেশনে এসে পৌঁছাবে রাত সাড়ে ১০টায়।
জানা যায়, ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন ২০২৩ সালের নভেম্বরে উদ্বোধনের পর প্রথম এই রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হয় ২০২৩ এর ১ ডিসেম্বর। বিপুল যাত্রীচাহিদা থাকলেও এই রুটে চলাচল করছে মাত্র দুটি নিয়মিত ট্রেন। তাও চলছে কেবল ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচল করা কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস বিরতিহীন হওয়ায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোকজন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের সুফল পাচ্ছেন না। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন চালুর বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।
এর বড় কারণ হচ্ছে, বিপুল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বিদ্যমান ব্যবস্থায় কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেসে চড়ে প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার সুযোগ পান মাত্র ১১৫ জন করে যাত্রী। ফলে এই রুটে স্বাভাবিক সময়েই ট্রেনের টিকিট পাওয়া যেন অনেকটা ‘সোনার হরিণ’পাওয়ার সমান।
এমন বাস্তবতায় ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গত ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে একটি ঈদ স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়। ঈদের দিন বাদ দিয়ে সেটি চলে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর ১৭ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এই ট্রেন ফের চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ট্রেনটি এখনও চলছে।
রেলওয়ের বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম) এ বি এম কামরুজ্জামান বলেন, কক্সবাজার রুটে ট্রেনের টিকিটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু ইঞ্জিন ও কোচসংকটের কারণে নতুন ট্রেন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এখন চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যে বিশেষ ট্রেন চলছে, তা দিয়ে দুই জোড়া ট্রেন পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ট্রেন বাড়লে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মন্তব্য করুন
খবর ছড়িয়েছে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন চট্টগ্রামের তরুণ রাজনীতিবিদ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় মানবিক ব্যক্তিত্ব ফারাজ করিম চৌধুরী। এ বিয়ের গুঞ্জন সবদিকে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে।
তবে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠলেও বিশেষ কোনা কারণে মুখ খোলেননি কেউ। এমনকি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেলেও এ বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফারাজ করিম চৌধুরী'র পক্ষ থেকেও কেউই সাড়া দেননি।
জানা যায়, অনলাইন ফ্ল্যাটফর্মে দেশের বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশ ফারাজ করিম চৌধুরীর সাপোর্টার ও ফলোয়ার্স। কদিন আগেই একটি বিয়ের কার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণে তার বিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতুহল অনেক বেশি বেড়েছে। গত বছরও একই কাণ্ড ঘটেছিলো।
ছোটবেলা থেকে মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ানো এই তরুণকে ঘিরে দেশবাসীর কৌতুহলের শেষ নেই। কেননা, দেশজুড়ে বিভিন্ন দূর্যোগকালীন মুহুর্তে সাহসিকতার সাথে মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে কোটি কোটি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি।
১৯৯২ সালে চট্টগ্রামের রাউজানে জন্মগ্রহণ করা ফারাজ করিম চৌধুরীর পিতা এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী টানা ৫ বারের সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র হতে জানা যায়, ইতোপূর্বে বিয়ে প্রসঙ্গে ফারাজ করিম চৌধুরী বিভিন্ন মিডিয়ায় ঘোষণা দিয়েছিলেন সাদামাটাভাবে মসজিদে শরীয়াহ নিয়ম মেনে বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
সত্যিই কি এমন কিছু ঘটতে থাকে এ জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে ফারাজ করিম চৌধুরীর ঘনিষ্টদের অনেকেই জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নিজ জেলা মানিকগঞ্জে
দাফন করা হয়েছে ।
দুপুরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
জানানো হয় সদর কবরস্থানে বাদ জুমা তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) ঢাকা সেনানিবাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার
প্যারেড গ্রাউন্ডে আসিম জাওয়াদের ফিউনারেল প্যারেড এবং দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত
হয়। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও বিমান বাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান
(পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন এবং নৌবাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে ঢাকা
নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল মাসুদ ইকবাল মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ
করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এছাড়াও, অনুষ্ঠানে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম
জাওয়াদের পরিবারের সদস্য, সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অন্যান্য পদবীর সদস্যরা
উপস্থিত ছিলেন। এর আগে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকের প্যারেড
গ্রাউণ্ডে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
ফিউনারেল প্যারেড শেষে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের মরদেহ নেওয়া
হয় তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর একটি ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান নিয়মিত
প্রশিক্ষণের অংশ নেওয়ার সময় বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
এসময় দুই পাইলট প্যারাসুট নিয়ে বিমান থেকে লাফ দেন। স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম
জাওয়াদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য বিএনএস পতেঙ্গাতে নেওয়া
হয়। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩২ বছর ১ মাস ২০ দিন।
তিনি স্ত্রী, এক কন্যা,
এক পুত্র, বাবা-মা এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে সফররত ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত ও সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিদর্শন করেছেন। এ সময় কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মাহাফুজুল ইসলাম তাকে স্বাগত জানান।
বুধবার (২০ মার্চ ) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে তিনি ভাসানচর থেকে হেলিকপ্টার যোগে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রথমে তিনি, ক্যাম্প চার এক্সটেনশনে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম ও ইউএনএইচসিআরের নিবন্ধন ও খাবার বিতরণের ই ভাউচার আউটলেটে যান এবং সেখানকার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে ক্যাম্প চারে ইউএন ওমেন এবং ইউএনএফপিএ পরিচালিত মাল্টি পারপাস ওমেন্স সেন্টার পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এরপর ক্যাম্প পাঁচে ইউএনএইচসিআর পরিচালিত দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে একটি বেকারি শপ ও পাটজাত পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং সেখানে কর্মরত নারীদের সঙ্গে কথা বলেন রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা কালচারাল মেমোরি সেন্টারও পরিদর্শন করেন তিনি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্যে নির্মিত কক্সবাজারের খুরুশকূল আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সাল থেকে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) জন্য শুভেচ্ছা দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুইডিশ রাজকন্যা।
মন্তব্য করুন
ঈদযাত্রা স্বস্তি ও আরামদায়ক করতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে প্রথমবারের মতো ঈদ স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ২টি বিশেষ ট্রেনই আসা-যাওয়ার পথে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ৭টি স্টেশনে থামবে।
ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে ৫ দিন এই রুটে অন্তত ২টি স্পেশাল ট্রেন চলবে। এই প্রথম এই অঞ্চলের মানুষ ট্রেনে চড়ে ঈদে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পাবেন। সড়ক পথের উপর বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ কিছুটা কমবে। স্বস্তিতে বাড়ি ফেরার আশা এ অঞ্চলের মানুষের।
তারা জানিয়েূছেন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষজনের পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদে বাড়ি যেতে কি পরিমাণ দুর্ভোগ পোহাতে হয় সেটা বুঝানো মুশকিল। এবার সে ঝামেলা ও দুর্ভোগ অনেকটাই কমবে। ট্রেনে করে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি যাওয়া যাবে।
যে সকল স্টেশনে ট্রেন থামবে:
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ৭টায় কক্সবাজারের উদ্দোশ্যে রওনা হয়ে পৌঁছাবে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। আবার কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা সাতটায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫ মিনিটে।
পথে ট্রেনটি ষোলোশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামু স্টেশনে থামবে।
কক্সবাজার রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে গত ১ ডিসেম্বর থেকে। বিপুল যাত্রী চাহিদা থাকলেও গত ৩ মাস ধরে এই রুটে চলাচল করছে মাত্র দুটি ট্রেন। তাও চলছে কেবল ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচল করা কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস বিরতিহীন হওয়ায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোকজন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের সুফল পাচ্ছেন না। এনিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন চালুর বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন এটি আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। সে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবতায় রূপ দিয়েছেন। কিন্তু এখনো ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার যাওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে। চট্টগ্রাম অল্পকিছু যাত্রী পরিবহনের সুযোগ রয়েছে। সেখানের টিকিট পাওয়াও দুর্লভ।
বিপুল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেসে চড়ে প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার সুযোগ পান মাত্র ১১৫ জন করে যাত্রী। ঈদ যাত্রায় সেটি আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
ঈদে বিপুল এ যাত্রী চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এবারের ঈদযাত্রায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বিশেষ ট্রেন চালাবে রেলওয়ে। এতে ঈদযাত্রায় দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান বাংলানিউজকে বলেন, এবার প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ঈদযাত্রায় বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল সাতটায় কক্সবাজারের উদ্দোশ্যে রওনা হয়ে পৌঁছাবে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। আবার কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা সাতটায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫ মিনিটে। ট্রেনটি থামবে ৭ টি স্টেশনে ।
ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হবে আগামী ৩ এপ্রিল। অগ্রিম টিকিট মিলবে ২৪ মার্চ থেকে। গতবারের মতো এবারও ঈদযাত্রার কোনো টিকেট কাউন্টারে বিক্রি করা হবে না। অনলাইনেই টিকিট মিলবে শতভাগ ।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম
নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন আসদগঞ্জ এলাকা থেকে জুয়া খেলার অভিযোগে ১৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার
দিনগত রাতে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ অর্থ উদ্ধার
করা হয়।
আটককৃত
ব্যক্তিরা হলো, ১। মো. হারুন (৪৭), ২।মো. আবদুর রফিক (৬০), ৩।মো. মহিউদ্দিন (৩০),
৪।মো. রুবেল (২৮), ৫।জাকির হোসেন (৪০), ৬।আবুল হোসেন (৬০), ৭।মো. সোলেমান (৪২), ৮।মো.
নরুল ইসলাম (২৪), ৯।মো. মানিক (২৫), ১০।মো. বেলার হোসেন (২৫), ১১।মো. ইউসুফ (৩৪), ১২।মো.
জাফর (৩৯), ১৩।মো. জসিম (৪৪), ১৪।নুরনবী (৩৭), ১৫।জুয়েল (৩৩), ১৬।মো. এবাদুল (৩৫),
১৭।মো. খালেদ মোর্শেদ (৪৫)।
কোতোয়ালি
থানার ওসি এম ওবায়দুল হক বলেন, রাতে জুয়া খেলার সময় আসদগঞ্জ এলাকা থেকে ১৭ জনকে হাতেনাতে
আটক করা হয়।
তাদের
নন-এফআইআর প্রসিকিউশন মূলে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
মন্তব্য করুন
রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে ডুলাহাজারা পার হয়ে চকরিয়া ঢোকার পথে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেসের সঙ্গে গাছবাহী নসিমনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ।
চট্টগ্রাম রেলওয়ের বিভাগীয় কর্মকর্তা রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ট্রেন আসার আগে স্থানীয় একটি নসিমন (মালবাহী পরিবহন) রেললাইনে উঠে যায়। তবে ট্রেনের গতি স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকায় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
আর ২৫ মিনিট পর কক্সবাজার এক্সপ্রেস চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা করে।
এদিকে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের চালক (লোকোমাস্টার) আবদুল আওয়াল রানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই ঘটনার কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গাছবাহী নসিমনটি রেললাইনের ওপর দাঁড়ানো। কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি গাড়িটির মাঝামাঝি আঘাত করে।
তিনি জানান, গাছবাহী নসিমনটি রেললাইনে আটকে যায়। তবে ট্রেনের গতি কম থাকায় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। পরে আবদুল আওয়াল রানা তার সহকারী লোকোমাস্টার, স্টাফ এবং এলাকাবাসীর সহায়তায় নসিমনকে রেললাইন থেকে অপসারণ করে রেললাইন চলাচলের উপযুক্ত করেন।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনের ট্রিপ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। স্পেশাল ট্রেনটি দিনে ২ বারের পরিবর্তে ৪ বার যাতায়াতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ প্রস্তাবনা গৃহীত হলে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়ার পাশাপাশি পর্যটন খাত আরও সমৃদ্ধ হবে।
তারা বলছেন, বিদ্যমান জনবল এবং লজিস্টিকস ব্যবহার করেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের কক্সবাজার স্পেশালকে নিয়মিত করা ও ট্রিপ সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব।
তাই রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেন্ডেন্টের প্রস্তাবটি রেলভবন গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে বিপুল যাত্রীচাহিদা পূরণ হবে। পাশাপাশি রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়বে।
গত ১১ ডিসেম্বর রেলওয়ে মহাপরিচালককে চিঠি দেন পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম। ওই চিঠিতে বলা হয়, যাত্রী চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে এক জোড়া স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করা হচ্ছে। এই ট্রেন স্থায়ীভাবে পরিচালনার জন্য কক্সবাজার ও আশপাশের এলাকার সামাজিক, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা অনুরোধ জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি আরও এক জোড়া ট্রেন যোগ করে এখন দুই জোড়া ট্রেন পরিচালনার প্রস্তাব করা হলো।
নতুন প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, প্রথম ট্রেন চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছাড়বে সকাল সাড়ে ৬টায়। কক্সবাজারে পৌঁছাবে সকাল ১০টায়। ওই ট্রেন সকাল ১০টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার রেলস্টেশন ছেড়ে যাবে। চট্টগ্রাম পৌঁছাবে দুপুর সোয়া ২টায়। চট্টগ্রাম থেকে দুপুর পৌনে তিনটায় ট্রেনটি কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ফের ছেড়ে যাবে। ওই ট্রেন কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে। কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা ৭টায় আবার ছাড়বে। সেটি চট্টগ্রাম স্টেশনে এসে পৌঁছাবে রাত সাড়ে ১০টায়।
জানা যায়, ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন ২০২৩ সালের নভেম্বরে উদ্বোধনের পর প্রথম এই রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হয় ২০২৩ এর ১ ডিসেম্বর। বিপুল যাত্রীচাহিদা থাকলেও এই রুটে চলাচল করছে মাত্র দুটি নিয়মিত ট্রেন। তাও চলছে কেবল ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচল করা কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস বিরতিহীন হওয়ায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোকজন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের সুফল পাচ্ছেন না। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন চালুর বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।
এর বড় কারণ হচ্ছে, বিপুল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বিদ্যমান ব্যবস্থায় কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেসে চড়ে প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার সুযোগ পান মাত্র ১১৫ জন করে যাত্রী। ফলে এই রুটে স্বাভাবিক সময়েই ট্রেনের টিকিট পাওয়া যেন অনেকটা ‘সোনার হরিণ’পাওয়ার সমান।
এমন বাস্তবতায় ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গত ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে একটি ঈদ স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়। ঈদের দিন বাদ দিয়ে সেটি চলে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর ১৭ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এই ট্রেন ফের চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ট্রেনটি এখনও চলছে।
রেলওয়ের বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম) এ বি এম কামরুজ্জামান বলেন, কক্সবাজার রুটে ট্রেনের টিকিটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু ইঞ্জিন ও কোচসংকটের কারণে নতুন ট্রেন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এখন চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যে বিশেষ ট্রেন চলছে, তা দিয়ে দুই জোড়া ট্রেন পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ট্রেন বাড়লে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মন্তব্য করুন
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সদরঘাট নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকা থেকে ১টি দেশি অস্ত্র, ৪টি ছুরি, ২টি তালা কাটার যন্ত্র ও ২টি রেঞ্চসহ ডাকাতি প্রস্তুতিকালে দলের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সদরঘাট থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত আরিফ হাসান মেহেদী নামে ডাকাত দলের ১ সদস্য স্বীকার করেছে- কয়েকদিন আগে মেহেদীবাগস্থ আমিরবাগ আবাসিকের এক বাসা থেকে চুরি করা স্বর্ণ তার কাছে রয়েছে।
পরে তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে ডবলমুরিং থানাধীন বারেক বিল্ডিং এলাকার সানাই সিনেমা হলের খালি জায়গার ঝোপের ভিতরে মাটির নিচে লুকানো অবস্থায় ৫১ ভরি ১২ আনা ৩ রত্তি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রামে বিপিএলের অনুশীলনের সময় মোস্তাফিজুর রহমান উইন্ডিজ ক্রিকেটার ম্যাথিউ ফোর্ডের হাঁকানো বলের আঘাতে মাথায় চোঁট পেয়েছেন । সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আর আজ দলের অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন মোস্তাফিজ। তারই পাশের নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফোর্ড। ক্যারিবীয় এই ক্রিকেটারের হাঁকানো একটি বল এসে আঘাত করে টাইগার পেসারের মাথায়। এতেই মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এসময় তার মাথা থেকে রক্ত পড়তে দেখা যায়।
আঘাত পাওয়ার পর শুরুতে দলের ফিজিও দেন চিকিৎসকরা। পরিস্থিতিতির গুরুত্ব বুঝে মাঠের ভেতর অ্যাম্বুলেন্স এনে দ্রুত তাকে ইম্পেরিয়াল হাসাতাপালে পাঠানো হয়।
কুমিল্লার মিডিয়া ম্যানেজার খান নয়ন গণমাধ্যমকে বলেন, দেখছেন তো মাথায় লেগেছে। এরপর বসে ছিল মাঠে, যদিও রক্ত বের হয়েছে বেশ খানিকটা। তবে সে স্বাভাবিকভাবে কথা বলেছে। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। তার সঙ্গে দলের দায়িত্বে থাকা সকলেই গেছে।
মোস্তাফিজের অবস্থা নিয়ে এখনো কোনো বক্তব্য দেয়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কর্তৃপক্ষ। তবে জানা গেছে, আপাতত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এই পেসারকে। হাসপাতালে নিয়ে করা হচ্ছে স্ক্যান। মূলত স্ক্যান রিপোর্টের উপরই বোঝা যাবে তার অবস্থা।
উল্লেখ্য, বিপিএলের এবারের আসরে এখন পর্যন্ত কুমিল্লার হয়ে ৯ ম্যাচ খেলেছেন মোস্তাফিজ। বল হাতে নিয়েছেন ১১ উইকেট।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক বৃদ্ধকে দেখে
‘মুরুব্বি মুরুব্বি উঁহু উঁহু’ বলায় পপি আক্তার (১০) নামের এক কিশোরীর শরীরে গরম পানি
ঢেলে ঝলসে দিয়েছে ছায়ের খাতুন (৫৫) নামের এক নারী। আহত পপি আক্তার এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। পপি আক্তার স্থানীয় মৃত বিজলি আকতারের মেয়ে। ছোটবেলায়
প্রথমে তার বাবা ও পরে মায়ের মৃত্যু হলে সে নানার বাড়িতে থাকত।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন আনোয়ারা থানার ওসি মো: মনির হোসেন।
ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর)
সন্ধ্যায় উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ওয়াজের বাড়িতে ঘটলেও কিশোরীটি অসহায়
হওয়ায় প্রভাবশালীরা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে জানা যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও কিশোরীর মামা
মো. দিদার জানান, বাবা-মা হারা কিশোরী পপি আক্তার বাড়ির উঠানে খেলছিল।
এসময় তার নানা সম্পর্কিত এয়ার মোহাম্মদ
(৬০) নামের এক বৃদ্ধকে দুষ্টামিবশত ‘মুরুব্বি মুরুব্বি উঁহু উঁহু’ বলে হাসাহাসি করে।
কিছুক্ষণ পর এয়ার মোহাম্মদের ছোট ভাইয়ের বউ ছায়েরা খাতুন (৫৫) এসে ওই কিশোরীর শরীরে
গরম পানি ঢেলে দিলে তার শরীর ঝলসে যায়। আমরা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে ভর্তি করাই। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে আনোয়ারা থানার ওসি মো: মনির
হোসেন বলেন, আমি ঘটনা শোনার পর কিশোরীর অভিভাবককে থানায় আসতে বলছি, তবে এখনো কেউ অভিযোগ
করেনি। শুনেছি কিশোরীটি অসহায়, তার বাবা-মা কেউ নেই। অভিভাবকরা এলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা
নেব।
মন্তব্য করুন