রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে ডুলাহাজারা পার হয়ে চকরিয়া ঢোকার পথে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেসের সঙ্গে গাছবাহী নসিমনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ।
চট্টগ্রাম রেলওয়ের বিভাগীয় কর্মকর্তা রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ট্রেন আসার আগে স্থানীয় একটি নসিমন (মালবাহী পরিবহন) রেললাইনে উঠে যায়। তবে ট্রেনের গতি স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকায় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
আর ২৫ মিনিট পর কক্সবাজার এক্সপ্রেস চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা করে।
এদিকে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের চালক (লোকোমাস্টার) আবদুল আওয়াল রানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই ঘটনার কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গাছবাহী নসিমনটি রেললাইনের ওপর দাঁড়ানো। কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি গাড়িটির মাঝামাঝি আঘাত করে।
তিনি জানান, গাছবাহী নসিমনটি রেললাইনে আটকে যায়। তবে ট্রেনের গতি কম থাকায় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। পরে আবদুল আওয়াল রানা তার সহকারী লোকোমাস্টার, স্টাফ এবং এলাকাবাসীর সহায়তায় নসিমনকে রেললাইন থেকে অপসারণ করে রেললাইন চলাচলের উপযুক্ত করেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে সফররত ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত ও সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিদর্শন করেছেন। এ সময় কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মাহাফুজুল ইসলাম তাকে স্বাগত জানান।
বুধবার (২০ মার্চ ) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে তিনি ভাসানচর থেকে হেলিকপ্টার যোগে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রথমে তিনি, ক্যাম্প চার এক্সটেনশনে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম ও ইউএনএইচসিআরের নিবন্ধন ও খাবার বিতরণের ই ভাউচার আউটলেটে যান এবং সেখানকার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে ক্যাম্প চারে ইউএন ওমেন এবং ইউএনএফপিএ পরিচালিত মাল্টি পারপাস ওমেন্স সেন্টার পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এরপর ক্যাম্প পাঁচে ইউএনএইচসিআর পরিচালিত দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে একটি বেকারি শপ ও পাটজাত পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং সেখানে কর্মরত নারীদের সঙ্গে কথা বলেন রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা কালচারাল মেমোরি সেন্টারও পরিদর্শন করেন তিনি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্যে নির্মিত কক্সবাজারের খুরুশকূল আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সাল থেকে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) জন্য শুভেচ্ছা দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুইডিশ রাজকন্যা।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম শিক্ষার্থীরা নগরের আকবর শাহ থানা এলাকায় লাগেজভর্তি গাঁজা উদ্ধার করেছেন ।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় সড়কে যানবাহন সামলানোর দায়িত্বপালনকালে তারা এই গাঁজা উদ্ধার করেন। পরে নৌ-বাহিনীর সহায়তায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
চট্টগ্রাম নৌ-বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, সন্ধ্যায় আকবর শাহ থানার সিটি গেট এলাকায় নৌ-বাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আফতাব উদ্দিনের নেতৃত্বে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের খবর দেয় লাগেজভর্তি গাঁজাসহ এক ব্যক্তিকে তারা আটক করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি সন্দেহজনকভাবে লাগেজ নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল।
থানার নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তারাসহ আটক ব্যক্তি এবং মালামাল আকবর শাহ থানায় হস্তান্তর করা হয়। ওজন করে দেখা গেছে জব্দ করা লাগেজে ১০ কেজি গাজা ছিল।
মন্তব্য করুন
খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষাধিক বাসিন্দা বন্যায় প্লাবিত হয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়েছে ।
এরই মধ্যে চেঙ্গি, মাইনি ও কাসালং নদীর পানি বিপৎসীমার দুই থেকে ছয় ফিট অতিক্রম করায় আশপাশের এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর), এ বিপন্ন মানুষের সাহায্যার্থে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আইএসপিআর আরো জানায়, দিনভর উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার খাগড়াছড়িবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে সেনাবাহিনী। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থানরত অসহায় মানুষদের রান্না করা খাবার দেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুকনা খাবার, মোমবাতি, দিয়াশলাই, স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
বন্যা
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের পাশাপাশি চিকিৎসা
সেবা প্রদান অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
মন্তব্য করুন
এরমধ্যে ২০টি ফ্লাইট
সরাসরি জেদ্দায় যাবে, দুটি ফ্লাইট যাবে মদিনা।
বিমান
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চট্টগ্রাম জেলার ব্যবস্থাপক মো. শাহাদাত হোসেন জানান, ১৪ মে
ভোররাত ৩টা ৫০ মিনিটে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হজযাত্রীদের নিয়ে
বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭১৭ যোগে প্রথম ফ্লাইট যাত্রা শুরু করবে। প্রথম ফ্লাইটে
৪১৯ জন যাত্রী মদিনা যাবেন।
এই
বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যাবেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে
সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার ৩০৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭৮
হাজার ৮৯৫ জন।
এর
আগে ৯ মে ঢাকা থেকে এ বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে। ঢাকা থেকে এদিন হজযাত্রীদের
নিয়ে প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। এরপর শিডিউল অনুযায়ী পরবর্তী
ফ্লাইটগুলো ছাড়া হবে।
চাঁদ
দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পালিত হতে পারে হজ। প্রতিবছর সাধারণত একমাস আগে থেকে শুরু হয়
হজ ফ্লাইট। তার আগে হজযাত্রীদের ভিসা, ফ্লাইট শিডিউল সংক্রান্ত কাজ শেষ করে থাকে
ধর্ম মন্ত্রণালয় ও এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রামের ইছানগরে আগুনে পুড়তে থাকা চিনির গুদাম দেখতে এসে শিল্পগোষ্ঠী এস আলমের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ বলছেন, আগুন নেভার পর দুই দিনের মধ্যে চিনি পরিশোধনে ফিরতে চান তারা।
সোমবার বিকাল ৪টার দিকে কর্ণফুলী নদীর তীরে এস আলম সুগার রিফাইন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ১ নম্বর গুদামে আগুন লাগে। ২৫ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার বিকালেও সেই আগুন নির্বাপণ করা সম্ভব হয়নি। আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট।
এস আলমের ওই চিনিকলের দৈনিক পরিশোধন ক্ষমতা ২২০০ টন। কারখানার পাশের পাঁচটি গুদামের মধ্যে চারটিতে অপরিশোধিত এবং একটি গুদামে পরিশোধিত চিনি রাখা হয়। রোজা শুরুর এক সপ্তাহ আগে চিনিকলটির ১ নম্বর গুদামে আগুন লাগে, যাতে এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল বলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর আগে সোমবার যখন গুদামে আগুন লাগে, তখন চিনিকলটি চালু ছিল। আগুন লাগার পর কারখানায় উৎপাদন বন্ধ করা হয়। ওই দিনই এস আলমের কল থেকে বাজারে চিনি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
আগুনে ১ নম্বর গুদাম ভস্মীভূত হলেও অন্য গুদাম বা কারখানায় আগুন ছড়ায়নি। তবে ১ নম্বর গুদামের আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করতে আরও কত সময় লাগবে তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে আগুনে পুড়তে থাকা গুদাম দেখতে এলে সাংবাদিকরা সাইফুল আলম মাসুদের কাছে জানতে চান, এই অগ্নিকাণ্ডের প্রভাব রোজায় চিনির বাজারে পড়বে কি না।
উত্তরে সাইফুল আলম মাসুদ বলেন, আপনারা জানেন কিছু ব্যবসায়ী আছে, দুয়েকদিনের জন্য করে এরা; এগুলো ঠিক হয়ে যাবে। হয়তো দুয়েকদিন হবে আরকি। দুয়েকদিন পর তো আমার ডেলিভারি ঠিক হয়ে যাবে।
এস আলমের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ আরো বলেন, আমার প্রোডাকশন চালু করব। আমার বানানো মাল আছে। ওইটা দিয়ে এক সপ্তাহ মিনিমাম চলবে। প্রোডাকশনে যাইতে লাগবে দুই দিন। মালেরও সমস্যা নেই। মেইনলি আগুনটা নিভে গেলে হয়ে যাবে আমার।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রাম
নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন আসদগঞ্জ এলাকা থেকে জুয়া খেলার অভিযোগে ১৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার
দিনগত রাতে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ অর্থ উদ্ধার
করা হয়।
আটককৃত
ব্যক্তিরা হলো, ১। মো. হারুন (৪৭), ২।মো. আবদুর রফিক (৬০), ৩।মো. মহিউদ্দিন (৩০),
৪।মো. রুবেল (২৮), ৫।জাকির হোসেন (৪০), ৬।আবুল হোসেন (৬০), ৭।মো. সোলেমান (৪২), ৮।মো.
নরুল ইসলাম (২৪), ৯।মো. মানিক (২৫), ১০।মো. বেলার হোসেন (২৫), ১১।মো. ইউসুফ (৩৪), ১২।মো.
জাফর (৩৯), ১৩।মো. জসিম (৪৪), ১৪।নুরনবী (৩৭), ১৫।জুয়েল (৩৩), ১৬।মো. এবাদুল (৩৫),
১৭।মো. খালেদ মোর্শেদ (৪৫)।
কোতোয়ালি
থানার ওসি এম ওবায়দুল হক বলেন, রাতে জুয়া খেলার সময় আসদগঞ্জ এলাকা থেকে ১৭ জনকে হাতেনাতে
আটক করা হয়।
তাদের
নন-এফআইআর প্রসিকিউশন মূলে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
মন্তব্য করুন
ঈদযাত্রা স্বস্তি ও আরামদায়ক করতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে প্রথমবারের মতো ঈদ স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ২টি বিশেষ ট্রেনই আসা-যাওয়ার পথে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ৭টি স্টেশনে থামবে।
ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে ৫ দিন এই রুটে অন্তত ২টি স্পেশাল ট্রেন চলবে। এই প্রথম এই অঞ্চলের মানুষ ট্রেনে চড়ে ঈদে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পাবেন। সড়ক পথের উপর বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ কিছুটা কমবে। স্বস্তিতে বাড়ি ফেরার আশা এ অঞ্চলের মানুষের।
তারা জানিয়েূছেন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষজনের পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদে বাড়ি যেতে কি পরিমাণ দুর্ভোগ পোহাতে হয় সেটা বুঝানো মুশকিল। এবার সে ঝামেলা ও দুর্ভোগ অনেকটাই কমবে। ট্রেনে করে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি যাওয়া যাবে।
যে সকল স্টেশনে ট্রেন থামবে:
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ৭টায় কক্সবাজারের উদ্দোশ্যে রওনা হয়ে পৌঁছাবে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। আবার কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা সাতটায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫ মিনিটে।
পথে ট্রেনটি ষোলোশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামু স্টেশনে থামবে।
কক্সবাজার রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে গত ১ ডিসেম্বর থেকে। বিপুল যাত্রী চাহিদা থাকলেও গত ৩ মাস ধরে এই রুটে চলাচল করছে মাত্র দুটি ট্রেন। তাও চলছে কেবল ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচল করা কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস বিরতিহীন হওয়ায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোকজন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের সুফল পাচ্ছেন না। এনিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন চালুর বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন এটি আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। সে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবতায় রূপ দিয়েছেন। কিন্তু এখনো ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার যাওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে। চট্টগ্রাম অল্পকিছু যাত্রী পরিবহনের সুযোগ রয়েছে। সেখানের টিকিট পাওয়াও দুর্লভ।
বিপুল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেসে চড়ে প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার সুযোগ পান মাত্র ১১৫ জন করে যাত্রী। ঈদ যাত্রায় সেটি আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
ঈদে বিপুল এ যাত্রী চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এবারের ঈদযাত্রায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বিশেষ ট্রেন চালাবে রেলওয়ে। এতে ঈদযাত্রায় দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান বাংলানিউজকে বলেন, এবার প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ঈদযাত্রায় বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল সাতটায় কক্সবাজারের উদ্দোশ্যে রওনা হয়ে পৌঁছাবে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। আবার কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা সাতটায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫ মিনিটে। ট্রেনটি থামবে ৭ টি স্টেশনে ।
ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হবে আগামী ৩ এপ্রিল। অগ্রিম টিকিট মিলবে ২৪ মার্চ থেকে। গতবারের মতো এবারও ঈদযাত্রার কোনো টিকেট কাউন্টারে বিক্রি করা হবে না। অনলাইনেই টিকিট মিলবে শতভাগ ।
মন্তব্য করুন
চট্টগ্রামে বিপিএলের অনুশীলনের সময় মোস্তাফিজুর রহমান উইন্ডিজ ক্রিকেটার ম্যাথিউ ফোর্ডের হাঁকানো বলের আঘাতে মাথায় চোঁট পেয়েছেন । সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আর আজ দলের অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন মোস্তাফিজ। তারই পাশের নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফোর্ড। ক্যারিবীয় এই ক্রিকেটারের হাঁকানো একটি বল এসে আঘাত করে টাইগার পেসারের মাথায়। এতেই মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এসময় তার মাথা থেকে রক্ত পড়তে দেখা যায়।
আঘাত পাওয়ার পর শুরুতে দলের ফিজিও দেন চিকিৎসকরা। পরিস্থিতিতির গুরুত্ব বুঝে মাঠের ভেতর অ্যাম্বুলেন্স এনে দ্রুত তাকে ইম্পেরিয়াল হাসাতাপালে পাঠানো হয়।
কুমিল্লার মিডিয়া ম্যানেজার খান নয়ন গণমাধ্যমকে বলেন, দেখছেন তো মাথায় লেগেছে। এরপর বসে ছিল মাঠে, যদিও রক্ত বের হয়েছে বেশ খানিকটা। তবে সে স্বাভাবিকভাবে কথা বলেছে। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। তার সঙ্গে দলের দায়িত্বে থাকা সকলেই গেছে।
মোস্তাফিজের অবস্থা নিয়ে এখনো কোনো বক্তব্য দেয়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কর্তৃপক্ষ। তবে জানা গেছে, আপাতত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এই পেসারকে। হাসপাতালে নিয়ে করা হচ্ছে স্ক্যান। মূলত স্ক্যান রিপোর্টের উপরই বোঝা যাবে তার অবস্থা।
উল্লেখ্য, বিপিএলের এবারের আসরে এখন পর্যন্ত কুমিল্লার হয়ে ৯ ম্যাচ খেলেছেন মোস্তাফিজ। বল হাতে নিয়েছেন ১১ উইকেট।
মন্তব্য করুন
স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নিজ জেলা মানিকগঞ্জে
দাফন করা হয়েছে ।
দুপুরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
জানানো হয় সদর কবরস্থানে বাদ জুমা তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) ঢাকা সেনানিবাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার
প্যারেড গ্রাউন্ডে আসিম জাওয়াদের ফিউনারেল প্যারেড এবং দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত
হয়। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও বিমান বাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান
(পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন এবং নৌবাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে ঢাকা
নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল মাসুদ ইকবাল মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ
করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এছাড়াও, অনুষ্ঠানে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম
জাওয়াদের পরিবারের সদস্য, সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অন্যান্য পদবীর সদস্যরা
উপস্থিত ছিলেন। এর আগে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকের প্যারেড
গ্রাউণ্ডে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
ফিউনারেল প্যারেড শেষে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের মরদেহ নেওয়া
হয় তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর একটি ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান নিয়মিত
প্রশিক্ষণের অংশ নেওয়ার সময় বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
এসময় দুই পাইলট প্যারাসুট নিয়ে বিমান থেকে লাফ দেন। স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম
জাওয়াদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য বিএনএস পতেঙ্গাতে নেওয়া
হয়। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩২ বছর ১ মাস ২০ দিন।
তিনি স্ত্রী, এক কন্যা,
এক পুত্র, বাবা-মা এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মন্তব্য করুন
নির্মাণকাজ পরিদর্শন ও কোনো ত্রুটি আছে কি-না যাচাই করতে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাচ্ছে একটি ট্রেন।
রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় আটটি বগি ও একটি ইঞ্জিন নিয়ে ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে গেছে।
ট্রেনটিতে রয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম ও রেলের পরিদর্শন অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, রোববার ট্রেনটি সকাল ১০টায় দোহাজারী স্টেশনে পৌঁছবে।
এরপর সেখান থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেবে। ট্রেনটি বিকেল সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার পৌঁছার কথা রয়েছে। রেলের পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কক্সবাজারে অবস্থান করবেন। ৬ নভেম্বর ওই টিম কক্সবাজার রেলস্টেশন ইয়ার্ড পরিদর্শন করবে। ৭ নভেম্বর সকাল ৭টায় ওই টিম চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেবে।
সরকারি রেল পরিদর্শক (জিআইবিআর) রুহুল কাদের আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, আজ ট্রেনযোগে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে যাচ্ছেন রেলের পরিদর্শন দফতরের টিম। এসময় নির্মাণাধীন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন ও বিভিন্ন স্টেশন পরিদর্শন করা হবে। এতে কোনো ত্রুটি আছে কি না যাচাই করা হবে।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক সুবক্তগীন বাংলানিউজকে বলেন, ১১ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে আসবেন। ওখানে সুধী সমাবেশ হবে। আইকনিক স্টেশন দেখবেন এবং একটা অংশ থাকবে উদ্বোধনের।
তিনি আরও বলেন, ১১ নভেম্বর কক্সবাজারের পথে ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের পর বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলবে ২০ বা ২৫ নভেম্বর থেকে। কক্সবাজার রুটে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে ছয় জোড়া ট্রেন চলাচলের পরিকল্পনা আছে। তবে ইঞ্জিন ও বগি সংকটের কারণে এখনই তা হচ্ছে না। পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম বলেন, এটি আমাদের রুটিন কাজ। এটিকে ট্রায়াল রান বলা যাবে না। আমাদের সঙ্গে আছেন রেলের পরিদর্শন অধিদফতরের কর্মকর্তারা। তারা এ রেল পরিদর্শন করবেন সেখানে কোন ত্রুটি আছে কিনা দেখবেন। ইন্টারলকিং সিগন্যালিং ব্যবস্থা, প্লার্টফর্ম উঁচু সঠিক কিনা, কালভার্ট, লেভেল ক্রসিং গেট এসব দেখবেন। পরে রেলের পরিদর্শন অধিদফতরের কর্মকর্তারা সার্টিফাই করবেন। এরপর ট্রেন চলবে।
দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প ২০১০ সালের ৬ জুলাই একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৮ সালে এই রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ৩০ জুন। পরে এক দফা বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ করা হয় ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এতে ব্যয় ধরা হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রকল্পে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়েনি। এ প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলায় নির্ধারিত সময়ের আগেই তা সমাপ্ত হতে যাচ্ছে।
২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল প্রকল্পটি ‘ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। রেলপথটি নির্মিত হলে মিয়ানমার, চীনসহ ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডোরে যুক্ত হবে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন