

মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের নিয়ে কৃষক মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের আয়োজনে তেগুরিয়া প্রদর্শনী মাঠে এ মাঠ দিবস করা হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মেজবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেনের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ সাইফুল হাসান আলামিন। মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো.মাসুদ হোসেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মানসুরা আক্তার,বিতারা ইউনিয়ন পশ্চিম ছাত্রদলের আহবায়ক দেলোয়ার পাটোয়ারী, যুগ্ন আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম সরকার , কৃষক আবদুর ছাত্তার প্রমুখ।
এসময় কৃষক-কৃষানী সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। পরে অতিথিবৃন্দ কৃষকের সরিষার মাঠ পরিদর্শন করেন এবং সার্বিক বিষয়ে পরামর্শ দেন।
মন্তব্য করুন


চলতি
বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি
বলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে আগামী বছরের জুনের মধ্যে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত
হবে, যা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম সামনে এগিয়ে নিতে সহায়ক
হবে।
আজ
বুধবার (২৮ মে) জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ
লিগের (জেবিপিএফএল) সভাপতি তারো আসো টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে
গেলে তিনি এ কথা বলেন।
চার
দিনের সরকারি সফরে প্রধান উপদেষ্টা আজ দুপুরে টোকিও পৌঁছান। সফরকালে তিনি নিক্কেই ফোরামে
অংশগ্রহণের পাশাপাশি জাপানি নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
সাবেক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশের দীর্ঘ দিনের বন্ধু তারো আসো, যিনি জেবিপিএফএলের সভাপতির
দায়িত্ব পালন করছেন, অধ্যাপক ইউনূসকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে অগ্রসর
করার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং একটি মসৃণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য সাধারণ নির্বাচন
অনুষ্ঠানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধান
উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার তিনটি প্রধান বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে—সংস্কার, খুনিদের বিচার ও
সাধারণ নির্বাচন আয়োজন।
তিনি
আরও বলেন, ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠন এবং
ঋণ পরিশোধে সরকার উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করেছে।
'পূর্ববর্তী
সরকার আমাদের দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, যার ফলে তরুণ সমাজের মধ্যে বিদ্রোহ
সৃষ্টি হয়েছে। সেই তরুণরাই আমাকে এই বিশৃঙ্খলা দূর করার আমন্ত্রণ জানিয়েছে,' বলেন তিনি।
তিনি
বলেন, 'গত ১০ মাসে জাপান আমাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে। আমি জাপানকে আন্তরিক
ধন্যবাদ জানাই। এক অর্থে, এটি একটি কৃতজ্ঞতা সফর।'
প্রধান
উপদেষ্টা ড. ইউনূস তারো আসোকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান, যাতে তিনি নিজের চোখে
পরিবর্তনগুলো দেখতে পারেন।
সাক্ষাতের
সময় তারো আসোর সঙ্গে থাকা কয়েকজন জাপানি সংসদ সদস্য বলেন, ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট
(ইপিএ) স্বাক্ষর বাংলাদেশে বৃহত্তর পরিসরে জাপানি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ
পদক্ষেপ হতে পারে।
বাংলাদেশ
আগামী আগস্টের মধ্যে আলোচনার কাজ শেষ করে সেপ্টেম্বর মাসে ইপিএ চুক্তি স্বাক্ষরের প্রত্যাশা
করছে।
এই
চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে জাপান হবে বাংলাদেশে ইপিএ স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ।
প্রধান
উপদেষ্টা রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিস্থিতি সম্পর্কে জাপানি সংসদ সদস্যদের অবহিত করেন এবং
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এজেন্ডা বাস্তবায়নে তাদের সহায়তা কামনা করেন।
তিনি
বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট অন্যান্য শরণার্থী সংকটের থেকে ভিন্ন, কারণ তারা অন্য
কোনো দেশে যাওয়ার জন্য অনুনয় করছেন না, বরং নিজ দেশে ফেরার দাবি করছেন।
বৈঠকে
উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে
সিদ্দিকী এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।
মন্তব্য করুন


১১ দিনের সরকারি সফরে আজ মঙ্গলবার
(১৫ অক্টোবর) ঢাকা ছেড়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান । এ সময় তিনি
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর করবেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সফরকালে তিনি জাতিসংঘ সদর দফতর, যুক্তরাষ্ট্র
ও কানাডার উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে অংশ নেবেন ও পারস্পারিক
সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করবেন।
বৈঠকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন সংক্রান্ত
বিষয়ে আলোচনা, সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং ভবিষ্যত
কর্মপন্থা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
আইএসপিআর জানায়, সেনা প্রধান আগামী
২৫ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।
মন্তব্য করুন


সংস্কার গভীর না হলে দেশে আবারও স্বৈরাচার
আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, সংস্কার মানে শুধু কয়েকটা
কাগজের সংস্কার নয়, মনের গভীরতর জায়গার সংস্কার করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকালে রাজধানীর
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জুলাই বিপ্লবের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশে জাতিসংঘ
মানবাধিকার মিশনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশকে একেবারে নতুন করে গড়ে তুলতে
হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শুধু ওপরে একটি প্রলেপ দিয়ে নয়,
গভীর থেকে পরিবর্তন আনতে হবে। সেই গভীরতম পরিবর্তন যদি না করি, যেই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে
আজ আমরা কথা বলছি, আবার ঘুরেফিরে সে চলে আসবে—যতই আমরা সামাল দিই, যতই সংস্কার করি।
আমাদের আরও গভীরের সংস্কার দরকার। এই সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচার এমনভাবে
করা হবে যেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে কখনো নীরবতা দমন বা দেশের জনগণকে ধ্বংস
করা না যায়।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, সংস্কার কর্মসূচির পাশাপাশি আমরা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ীদের আইনের আওতায়
আনতে কাজ করছি। কিন্তু বিচার মানে শুধু শাস্তি নয়—বিচার মানে এই নিশ্চয়তা প্রদান
করা যে রাষ্ট্রক্ষমতা আর কখনো জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে না।
রাজনৈতিক ব্যবস্থা গঠনের লক্ষ্যে জাতীয়
ঐকমত্য গড়ার চেষ্টা করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই ঐকমত্য এমন একটি
ব্যবস্থাকে নিশ্চিত করবে, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন
নিশ্চিত করে।
আমাদের লক্ষ্য একটাই, একটি বাংলাদেশ
গঠন করা, যেখানে প্রতিটি নাগরিক শান্তিতে, মর্যাদায়, গর্বে ও স্বাধীনতায় বাঁচতে পারে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে
রোহিঙ্গা সংকট পর্যন্ত, এমনকি গত বছরের জুলাই-আগস্টের সংকটকালীন সময়েও জাতিসংঘ সব সময়
বাংলাদেশের পাশে ছিল বলেও উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মন্তব্য করুন


সারাদেশে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়বে শেষ রাত থেকে। এছাড়া প্রশমিত হবে শৈত্য প্রবাহ।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) আবহাওয়া অফিস এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানায়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ শুষ্ক থাকতে পারে সারাদেশের আবহাওয়া। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ এখন কঠিন সময় পার করছে। সবাইকে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের গ্রাজুয়েশন সেরিমনিতে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ কঠিন সময় পার করছে। বৈশ্বিক ও কৌশলগতভাবে এখন কঠিন সময় যাচ্ছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।
সবাইকে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
জাতীয় বিপর্যয় থেকে শুরু করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশ সুনাম কুড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে; প্রতিটি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য অনিন্দ্য সুন্দর অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন; যা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষের জন্য মুক্তির দিশারি হিসেবে পথ দেখাবে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ উপলক্ষে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারি, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতিবিজড়িত ১২ রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) বিশ্ববাসী বিশেষত মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে বিশ্বজগতের হেদায়েত ও নাজাতের জন্য ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’ তথা সারা জাহানের রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন। নবী করিম (সা.) সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য কেবল রহমতরূপে প্রেরণ করেছি’ (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭)। মুহাম্মদ (সা.) এসেছিলেন তওহিদের মহান বাণী নিয়ে। সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, পাপাচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তি, শান্তি, প্রগতি ও সামগ্রিক কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তিনি। বিশ্ববাসীকে তিনি মুক্তি ও শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়ে অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়েছিলেন এবং সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন। আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে মহানবীর (সা.) অনুপম জীবনাদর্শ, তার সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ এবং ইবাদতের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে বলে আমি মনে করি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ, উৎকৃষ্টতম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় এবং এর মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ উপলক্ষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ তথা বিশ্ববাসীর শান্তি, মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করে বলেন, মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে মহানবী (সা.) এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ যথাযথভাবে অনুসরণের মাধ্যমে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামে যোগ দিতে আগামী ১২ অক্টোবর (রোববার) ইতালির রাজধানী রোম যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, ১২ অক্টোবর রোমে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামে যোগ দেবেন তিনি। পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ে অনেকের সঙ্গে বৈঠকও করবেন।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা সভার বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, সভায় ভিসা জটিলতা থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসা যায় সে বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আশা করি দ্রুত সমাধান হবে।
শিক্ষার বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, দেশে অনেক বেশি বিবিএ গ্র্যাজুয়েট তৈরি হচ্ছে। কিন্তু তা মার্কেটে অতিরিক্ত। তাই সার্বিক পরিস্থিতিতে সায়েন্স ভিত্তিক গ্রাজুয়েশন বাড়ানো প্রয়োজন। এ বিষয়ে সবার মতামত নেওয়া হয়েছে।
দেশের ৯টি রেজিম কোম্পানিকে সরকার অতি দ্রুতই অবসায়ন করবে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।
মন্তব্য করুন


শাহানাজ পারভিন চৌধুরী
পরিচালক, ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ
আজ ২১ মার্চ। বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস।পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ও ভালোবাসার একটি শব্দ হচ্ছে মা। মায়ের কাছে একটি সন্তান যেমন তার জগৎ তেমনি সন্তানের কাছে তার মা-ই সব। আর এজন্য মা এবং সন্তানের মধ্যকার সম্পর্কটি সবচেয়ে মধুর ও মমতাময়। একটি সন্তান যখন ঠিক মতো খেতে পারে না কথা বলতে পারে না এমন কি নিজের কাজ নিজেও করতে পারে না তখন তাকে আগলে রাখেন মা। তার পরম মমতার চাদরের উষ্ণতায় তাকে বড় করে তোলে। সন্তানের সব আবদার মা হাসি মুখে মেনে নেয়। সেই ভালোবাসা মাখা মা ডাক মায়ের কাছে যেন মধুর থেকেও মধুর হয়ে যায়। এই ভাবেই মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্ক সুন্দর আর ভালোবাসা পূর্ণ হয়ে ওঠে। ডাউন সিনড্রোম শিশুরা সময়ের সাথে সাথে বয়সে বড় হলেও তাদের হৃদয় থাকে শিশুদের মতো কোমল। ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিরা মা-বাবা,আত্মীয়-স্বজন,প্রতিবেশী সকলের কাছ থেকে সব সময় শুধু একটা জিনিস ই চায় আর তা হলো - ভালোবাসা ।
প্রতি বছরের মতো ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ- দেশব্যাপী ডাউন সিনড্রোম কমিউনিটিকে সঙ্গে নিয়ে যথাযথ মর্যাদায় এ বিশেষ দিবসটি উদযাপন করছে। এ বছর জাতীয়ভাবে ১১তম ও আন্তর্জাতিকভাবে ১৯তম বারের মতো বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবসটি পালিত হচ্ছে। ২০১২ সাল থেকে জাতিসংঘ সারাবিশ্বে বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবসটি উদযাপন করে আসছে। এরই মাধ্যমে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিরা সমাজে তাদের অধিকার ফিরে পাওয়ার মাধ্যমে একীভূত সমাজ গঠনে কার্যকরী অবদান রাখবে বলে আশা রাখি।
ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমাকে প্রায়শই মায়েদের কাছ থেকে একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তা হলো- ‘আপা, আমি আমার ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুর যত্ন কিভাবে করবো? এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমার আজকে এই প্রবন্ধটি লেখা। যাতে করে মায়েরা তাদের শিশুকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারেন।
ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুর যত্নে পিতামাতার ভূমিকা মুখ্য। কারণ শিশু স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের তুলনায় বাবা-মার সাথেই বেশি সময় অতিবাহিত করে থাকে।
আমি আমার সন্তান রাফানকে যেভাবে গড়ে তুলেছি তাই আজকে আমি আপনাদের কাছে তুলে ধরবো। নিম্নে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুকে বাবা-মা কিভাবে লালনপালন করবে তার একটি বয়সভিত্তিক সার্বিক চিত্র উপস্থাপন করা হলো। উপস্থাপনাটি কোন গবেষণা বা প্রমিত মানদন্ডের ভিত্তিতে প্রণীত হয়নি। তাই এটি স্থান, কাল, পাত্রভেদে পরিবর্তিত হতে পারে।
৬-১২ সপ্তাহ
কিছুর প্রয়োজন হলে কান্না করা, শিশুর মাথা স্থির রাখা ও কোন জিনিসের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা এই বয়সে শিশুর স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। কিন্তু ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের বিকাশ অন্যদের থেকে তুলনামূলক দেরিতে হওয়ায় মা-বাবাকে অল্প বয়স থেকেই ঘাড়, মেরুদণ্ড, শরীরের পেশীসমূহে দিনে দুইবার করে ম্যাসাজ করতে হবে। শিশুর সামনে ঝুনঝুনি বা হালকা রকমারি আলোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে, যাতে করে তার দৃষ্টির স্থিরতা আসে।
৩ মাস
বিভিন্ন ধরণের কু-ধ্বনি উচ্চারণ করা, মাকে চিনতে পারা, তার গলার আওয়াজ শুনে খোঁজা ও কিছুক্ষণ মাথা সোজা রাখা এই বয়সে সাধারণ শিশুদের বৈশিষ্ট্য। সেক্ষেত্রে মা শিশুকে কোলে নিয়ে আধবোলে কথা বলা, তালি বা শব্দের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করা ও নিয়মিত পেশীর ম্যাসাজ- এই বয়সে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের ক্ষেত্রে নিয়মিত করতে হবে।
৬ মাস
আধবুলি (বা…বা, দাদা….দা, মা…মা, মা…ম) করা, আশেপাশের শব্দে মাথা ঘোরানো, ঠেকা দিয়ে অল্প সময়ের জন্য বসা, চিত ও উপুড় হতে পারা এই সময়ের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। এই সময়ে বাবা-মা শিশুকে নরম বালিশে শোয়ানো ও নরম কিছু দিয়ে ঠেকা দেওয়ার মাধ্যমে বসানোর চেষ্টা করতে পারে।
৯ মাস
কিছু না ধরে বসা ও হামাগুড়ি দেওয়া এই বয়সে শিশুর মধ্যে না দেখলে বাবা-মা শিশুর চারপাশে বালিশ দিয়ে বসানোর চেষ্টা করবে এবং নিয়মিত পেশীর ম্যাসাজ করাবে।
১২ মাস
সব শেষ/আরো দাও বলতে পারে, দাঁড়ানোর চেষ্টা করা এবং আসবাবপত্র ধরে হাঁটা এই বয়স থেকেই একজন সাধারণ শিশু শুরু করে। কিন্তু এই বৈশিষ্ট্যগুলো একজন ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুর মধ্যে না দেখা দিলে শিশুকে একটি ওয়াকার কিনে দিতে হবে এবং সাথে সাথে পেশীর ব্যায়ামগুলো চলমান রাখতে হবে।
১৮ মাস
কুকুরকে কুকুল, দুই শব্দে কথা বলা, গ্লাস ধরে পানি পান করা এবং হাঁটা এ বয়সের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। কিন্তু ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুর বিকাশ ধীরে হয়। তাই বাবা-মা শিশু কিছু না ধরতে পারলে শিশুর আঙ্গুল ও কব্জির সংযোগস্থলে নিয়মিত দুইবেলা ম্যাসাজ করবে এবং ওয়াকারের মাধ্যমে হাঁটানোর চেষ্টা করাতে হবে। এই বয়সেও সে এক শব্দের কথা না বললে, মা শিশুকে নিয়ে আয়নার সামনে বসে ধীর লয়ে কথা বলানোর চেষ্টা করবে।
২ বছর
সীমিত বহুবচনের ব্যবহার, কি/কোথায় জাতীয় প্রশ্ন ও এ জাতীয় প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, দৌঁড়াতে পারা, কিছু চাওয়া, পায়জামা ধরণের জামাকাপড় খুলে ফেলা এই বৈশিষ্ট্যগুলো দুই বছর বয়সে স্বাভাবিক। অন্যথায় বাবা-মা শিশুকে কোন কিছুতে দড়ি বেঁধে দিয়ে বা আসবাবপত্র ধরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করাতে হবে এবং ধীরেধীরে হাঁটানোর চেষ্টা করাতে হবে।
৩ বছর
প্রায় ৮০০০ শব্দ বলতে পারে, স্মৃতি হতে ৫ পর্যন্ত সংখ্যা, মৌলিক রংয়ের নাম, ক্রিয়ার অতীতকালের রূপ, তিন শব্দ বিশিষ্ট বাক্য যেমন, আমি ভাত খাই, বাবা কই যাও?, হাত তুলে কাঁধের উপর থেকে কিছু ছোঁড়া, কিছু সরিয়ে রাখা এই বয়সের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হলেও ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের ক্ষেত্রে তিন বছর বয়সে এই বৈশিষ্ট্যগুলো নাও পরিলক্ষিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাবা-মা পরিচিত জিনিসপত্রের নাম বলা, শিশু যে শব্দগুলো বলে তা পুনরাবৃত্তি করা, বিভিন্ন রংয়ের সাথে পরিচয় করানোর চেষ্টা করতে হবে।
৪ বছর
নিজের নাম ও বয়স বলা, বস্তুর ব্যবহার সম্পর্কে জানা, সাইকেলে প্যাডেলিং করা, বই বা ম্যাগাজিন দেখে ছবির নাম বলা এই বয়সে শিশুদের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। সেক্ষেত্রে বাবা-মা উক্ত ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু যদি এগুলো না করতে পারে তাহলে তাকে নিয়মিত বিভিন্ন রঙিন বই বা ছবিযুক্ত ম্যাগাজিন নিয়ে নিয়ম করে সকাল ও সন্ধ্যা দুইবেলা পড়ার টেবিলে বসাতে হবে। এর মাধ্যমে শিশুর যেমন বসার অভ্যাস তৈরি হবে তেমনি সে পড়ালেখার প্রতিও আগ্রহী হবে। এছাড়া বাংলা ও ইংরেজি বর্ণমালা শিশুকে লিখানোর চেষ্টা করাতে হবে এবং ধীরে ধীরে তাকে প্রি-স্কুলিংয়ের জন্য প্রস্তুত করতে হবে।
৫ বছর
১৫০০-২০০০ শব্দ বলতে পারা, শব্দের অনিয়মিত বহুবচনের ব্যবহার, বিভিন্ন জটিল বাক্য যেমন, আমরা নানা বাড়িতে এত সুন্দর ঘুরেছি যে খুব মজা হয়েছিলো, জামাকাপড়ের বোতাম লাগানো, কয়েকটি রংয়ের নাম বলা, সিঁড়ি দিয়ে নামতে পারা, পা ফাঁকা করে লাফানো পাঁচ বছর বয়সী শিশুর স্বাভাবিক বিকাশের ধাপ।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন,
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনের
মতো গণভোটও ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে একইদিনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংস্কারের লক্ষ্য কোনোভাবে
বাধাগ্রস্ত হবে না। নির্বাচন আরও উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী হবে। গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে
উপযুক্ত সময়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া
ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, রাষ্ট্রকাঠামো
সংস্কারের প্রস্তাব তৈরির লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিরলসভাবে গত প্রায় নয় মাস ধরে
কাজ করেছে। এ সময় কমিশন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের
সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা করেছে। অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ধৈর্য্যসহকারে রাজনৈতিক
দলগুলো কমিশন কর্তৃক উত্থাপিত বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছে।
মতের পার্থক্য থাকলেও তা কমিয়ে আনার চেষ্টা করেছে। অনেক বিষয়েই ঐকমত্যে আসতে পেরেছে।
দেশবাসী সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে এই পুরো কার্যক্রম দেখতে পেরেছেন। এটি বাংলাদেশের
রাজনীতির ক্ষেত্রে তো বটেই, পৃথিবীর অনেক দেশের জন্য এক অভূতপূর্ব ঘটনা। এটি ভবিষ্যৎ
রাজনীতির জন্যও আশাব্যঞ্জক। তিনি ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের এবং রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে
গণতান্ত্রিক চর্চার এই আসাধারণ আয়োজনকে সফল করায় আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ঐকমত্য কমিশনের প্রণীত জুলাই
সনদে সংবিধান বিষয়ক ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য
তৈরি হয়েছে। এটি একটি ঐতিহাসিক অর্জন। কিছু প্রস্তাবে সামান্য ভিন্নমত আছে। বাকি অল্প
কিছু প্রস্তাবে আপাতদৃষ্টে মনে হয় অনেক দূরত্ব আছে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অস্বাভাবিক
কিছু নয়। তবে খতিয়ে দেখলে দেখা যায়, এসব প্রস্তাবগুলোর ক্ষেত্রেও আসলে মতভিন্নতা খুব
গভীর নয়। কেউ সংস্কারটা সংবিধানে করতে চেয়েছেন, কেউ আইনের মাধ্যমে করতে চেয়েছেন। কিন্তু
সংস্কারের প্রয়োজনীতা, নীতি ও লক্ষ্য নিয়ে কারো মধ্যে মতভেদ নেই। কাজেই রাজনৈতিক দলগুলোর
প্রকাশ্য বক্তব্য যতখানি পরস্পরবিরোধী অবস্থানে আছে বলে মনে হয়, জুলাই সনদ সঠিকভাবে
বিশ্লেষণ করলে ততখানি মত পার্থক্য দেখা যায় না। এটি আমাদের অনন্য অর্জন। এতে জাতি এগিয়ে
যেতে সাহসী হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এসব বিবেচনায় রেখে এবং
রাজনৈতিক দলগুলো কর্তৃক স্বাক্ষরিত জুলাই সনদকে মূল দলিল হিসেবে ধরে নিয়ে অন্তর্বর্তী
সরকার আজকের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ,
২০২৫ অনুমোদন করেছে। এটি বিরাট খবর। প্রয়োজনীয় স্বাক্ষর শেষে এটি ইতোমধ্যে গেজেট নোটিফিকেশন
করার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই আদেশে আমরা গুরুত্বপূর্ণ
কিছু বিধান গ্রহণ করেছি। এর মধ্যে রয়েছে সনদের সংবিধান বিষয়ক সংস্কার প্রস্তাবনার ওপর
গণভোট অনুষ্ঠান এবং পরবর্তী সময়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত। আমরা সকল
বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের আয়োজন
করা হবে। অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনের মতো গণভোটও ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে একইদিনে অনুষ্ঠিত
হবে। এতে সংস্কারের লক্ষ্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হবে না। নির্বাচন আরও উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী
হবে। গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে উপযুক্ত সময়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা হবে।’
জুলাই সনদের আলোকে গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্নও
নির্ধারণ করা হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন।
প্রশ্নটি হবে এরকম:
‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন
আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর
প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?’
ক) নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন
কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন
করা হবে।
খ) আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ
নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত
হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।
গ) সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে
ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির
ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকার-সহ
বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে সেগুলো
বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।
ঘ) জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক
দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গণভোটের দিন
এই চারটি বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে আপনি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে আপনার মতামত
জানাবেন।
তিনি বলেন, গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ সূচক
হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত
হবে। এই প্রতিনিধিগণ একইসাথে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরিষদ
তার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ হতে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।
সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হবার পর ৩০ কার্যদিবসের
মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। এর মেয়াদ হবে
নিম্নকক্ষের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা অনুসারে সংবিধানে জুলাই জাতীয় সনদ অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটিও আজকে অনুমোদিত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতের তাপমাত্রা বেড়ে শীত কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কয়েকদিন শীতের তীব্রতা বাড়ার সম্ভাবনা নেই। বরং এসময়ে রাতের তাপমাত্রা ক্রমে বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আগামী সপ্তাহে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে (রংপুর এবং সিলেট অঞ্চল) বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
বৃহস্পতিবার(২১ডিসেম্বর) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। যা একদিন আগে ছিল ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এসময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শুক্রবার এবং শনিবারও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে জানিয়ে তিনি বলেছেন, পরবর্তী ৫দিনে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে এবং দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন