

স্থানীয়
সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব
ভূঁইয়া তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া পোস্টে বলেন, বিগত সময়ে বাজেট বরাদ্দে অসম
বণ্টন হতো রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের মতো অঞ্চলগুলো বারবার
বঞ্চিত হতো। এখন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সুষম বাজেট বণ্টনের মাধ্যমে সেই বৈষম্য দূর
করেছে। বঞ্চিত এলাকাগুলোর দীর্ঘদিনের সমস্যা নিরসনে সুষম ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন
বরাদ্দ অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


নির্মাণকাজ পরিদর্শন ও কোনো ত্রুটি আছে কি-না যাচাই করতে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাচ্ছে একটি ট্রেন।
রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় আটটি বগি ও একটি ইঞ্জিন নিয়ে ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে গেছে।
ট্রেনটিতে রয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম ও রেলের পরিদর্শন অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, রোববার ট্রেনটি সকাল ১০টায় দোহাজারী স্টেশনে পৌঁছবে।
এরপর সেখান থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেবে। ট্রেনটি বিকেল সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার পৌঁছার কথা রয়েছে। রেলের পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কক্সবাজারে অবস্থান করবেন। ৬ নভেম্বর ওই টিম কক্সবাজার রেলস্টেশন ইয়ার্ড পরিদর্শন করবে। ৭ নভেম্বর সকাল ৭টায় ওই টিম চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেবে।
সরকারি রেল পরিদর্শক (জিআইবিআর) রুহুল কাদের আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, আজ ট্রেনযোগে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে যাচ্ছেন রেলের পরিদর্শন দফতরের টিম। এসময় নির্মাণাধীন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন ও বিভিন্ন স্টেশন পরিদর্শন করা হবে। এতে কোনো ত্রুটি আছে কি না যাচাই করা হবে।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক সুবক্তগীন বাংলানিউজকে বলেন, ১১ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে আসবেন। ওখানে সুধী সমাবেশ হবে। আইকনিক স্টেশন দেখবেন এবং একটা অংশ থাকবে উদ্বোধনের।
তিনি আরও বলেন, ১১ নভেম্বর কক্সবাজারের পথে ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের পর বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলবে ২০ বা ২৫ নভেম্বর থেকে। কক্সবাজার রুটে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে ছয় জোড়া ট্রেন চলাচলের পরিকল্পনা আছে। তবে ইঞ্জিন ও বগি সংকটের কারণে এখনই তা হচ্ছে না। পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম বলেন, এটি আমাদের রুটিন কাজ। এটিকে ট্রায়াল রান বলা যাবে না। আমাদের সঙ্গে আছেন রেলের পরিদর্শন অধিদফতরের কর্মকর্তারা। তারা এ রেল পরিদর্শন করবেন সেখানে কোন ত্রুটি আছে কিনা দেখবেন। ইন্টারলকিং সিগন্যালিং ব্যবস্থা, প্লার্টফর্ম উঁচু সঠিক কিনা, কালভার্ট, লেভেল ক্রসিং গেট এসব দেখবেন। পরে রেলের পরিদর্শন অধিদফতরের কর্মকর্তারা সার্টিফাই করবেন। এরপর ট্রেন চলবে।
দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প ২০১০ সালের ৬ জুলাই একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৮ সালে এই রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ৩০ জুন। পরে এক দফা বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ করা হয় ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। এতে ব্যয় ধরা হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রকল্পে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়েনি। এ প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলায় নির্ধারিত সময়ের আগেই তা সমাপ্ত হতে যাচ্ছে।
২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল প্রকল্পটি ‘ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। রেলপথটি নির্মিত হলে মিয়ানমার, চীনসহ ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডোরে যুক্ত হবে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন


শ্রদ্ধা, ভালোবাসা
ও শোকের মধ্য দিয়ে আজ
বুধবার (১৬ জুলাই) শহীদ আবু সাঈদকে স্মরণ করেছে বেগম রোকেয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু
সাঈদের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকীতে বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ তোরণ ও মিউজিয়াম এবং শহীদ
আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভ’র
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে
শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন বেলা ১১টায় শহীদ আবু সাঈদ তোরণ, মিউজিয়াম স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তি স্থাপন করেন।
উদ্বোধন শেষে দোয়া মোনাজাত করা হয়।
পরে শহীদ আবু সাঈদের স্মৃতিচারণে আলোচনা সভা
অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন,
অন্তর্বর্তী
সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল এবং
পরিবেশ, বন
ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের
(ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এসএমএ ফায়েজ, শিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের
সদস্য প্রফেসর ড. তানজীম উদ্দীন খান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেগম রোকেয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শওকাত আলী। বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম ও
ডিআইজি আমিনুল ইসলামসহ বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অন্তর্বর্তী
সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল বলেন, দ্রুতই আবু সাঈদ হত্যার বিচার হবে। তাঁর বাবা
এ বিচার দেখে যেতে পারবেন। এ সরকারের আমলেই জুলাই হত্যার বিচার হবে।
পরিবেশ, বন
ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, রংপুর অঞ্চলের মানুষ আর বৈষম্যের শিকার থাকবে
না। ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন এ বছরেই হবে। এছাড়া
কুড়িগ্রামে ইপিজেড হবে। রংপুর অঞ্চলে হবে চীনের অত্যাধুনিক হাসপাতাল।
আজকের এই দিনে পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া আবু
সাঈদকে স্মরণ করে কাঁদছেন তার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। তারা বলেছেন, আবু সাঈদ যেন এক আলোকবর্তিকা। বাংলাদেশের
মানুষের মুক্তির দিশারী।
শহীদ আবু সাঈদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেছেন সর্বস্তরের মানুষ।
মন্তব্য করুন


রাষ্ট্র সংস্কারে আরও চারটি কমিশন গঠনের
সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই চারটি কমিশন হলো স্বাস্থ্য কমিশন, গণমাধ্যম কমিশন, নারী
বিষয়ক কমিশন ও শ্রমিক অধিকার কমিশন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) উপদেষ্টা
পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন,
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সরকারী মাহফুজ আলম ও প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম।
এসময় উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান জানান,
সংস্কারের জন্য আরও চারটি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্য কমিশনের
প্রধান হিসেবে কাজ করবে জাতীয় অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ খান, শ্রমিক অধিকার কমিশনের কাজ
করবে সৈয়ত সুলতানউদ্দিন আহমেদ, গণমাধ্যম কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন
কামাল আহমেদ, নারী অধিকার বিষয়ক কমিশনের প্রধান হিসেবে কাজ করবেন শিরিন হক। চাকরিতে
প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কাজের প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। সেই প্রতিবেদন পর্যালোচনা
করা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত কী হয়, পরবর্তীতে সেটি জানানো হবে। এছাড়া শিক্ষা কমিশন নিয়ে
আলোচনা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার
কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার
কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ গেজেট প্রকাশ করে সরকার। আর ৬ অক্টোবর
সংবিধান সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ গেজেট প্রকাশিত হয়।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান এর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান মান্যবর হাইকমিশনার মিস. সুসান রাইল আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ৯.০০টায় রাজধানীর বসুন্ধরাস্থ কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও এক ব্রেকফাস্ট বৈঠকে মিলিত হন।
মিস. হাইকমিশনার শুরুতেই আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এর স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন এবং পরিপূর্ণ আরোগ্য কামনা করেন।
বৈঠকটি অত্যন্ত আন্তরিকতা ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডেপুটি হাইকমিশনার ক্লিন্টন পোবকে, পলিটিক্যাল ফার্স্ট সেক্রেটারি আনা পিটারসনসহ ৪ জন প্রতিনিধি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলে আমীরে জামায়াতের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা ইয়াসিন আরাফাত।
মন্তব্য করুন


পার্বত্য অঞ্চলকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশের
উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি দিবস’ উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন,
দেশের মোট আয়তনের এক দশমাংশ এলাকায় পার্বত্য অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর বসবাস। তাই পার্বত্য
অঞ্চলকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেন, পার্বত্য জেলাসমূহের নৈসর্গিক সৌন্দর্য সংরক্ষণ ও পর্যটন শিল্পের প্রসারে
স্থানীয় জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে নানামুখী সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে বেকারত্ব
হ্রাস পাবে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এবং জীবনযাত্রার উন্নতি ও সামাজিক বৈষম্য
দূর হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল অধিবাসীর জীবনে শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির
অভিযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আবশ্যক। প্রতি বছরের মতো এবারও
‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি দিবস-২০২৪’
পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি দেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সকল
জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। ১৯৯৭ সালের এই দিনে বাংলাদেশ সরকার
এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এর মধ্যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এটি একটি
রাজনৈতিক চুক্তি ছিল যা শান্তি চুক্তি নামেও পরিচিত। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের
মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে
বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ
ইউনূস 'পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি দিবস-২০২৪’-এর
সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
মন্তব্য করুন


ছাত্র আন্দোলনে আহতদের মধ্যে ১০০ জন
পুলিশের চাকরি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.)
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সিআইডির প্রধান
কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সিআইডিতে
আজকে আমার একটা নরমাল ভিজিট ছিল। আমার সঙ্গে আইজিপি ছিলেন। আমরা অনেক বিষয়ে কথা বলেছি।
আপনারা জানেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেকে নিহত এবং আহত হয়েছেন। যারা আহত
হয়েছেন তাদের কর্মসংস্থানের একটা ব্যবস্থা কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা এই বিষয়ে একটা প্রপোজাল পাঠিয়েছি। যারা আহত হয়েছে তাদেরকে পুলিশে
চাকরি দেওয়ার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবাইকেতো আর পুলিশে নেওয়া যাবে না, তবে একেকজন একেকভাবে
আহত হয়েছেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আহতদের মধ্যে ১শ’ জনকে আমরা পুলিশ বাহিনীতে নিব।
আমরা দ্রুত এই বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করব। আমরা আপাতত ১শ’ জন আহতকে দিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি,
পরবর্তীতে আমরা এই সংখ্যাটা আরো বাড়াব। আমরা আপাতত পুলিশে শুরু করছি পরবর্তীতে আমরা
আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সকল ডিপার্টমেন্টে এটা করে দিব। ট্রাফিক ব্যবস্থার একটা সমস্যা রয়ে
গেছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আমরা এক হাজার ছাত্রকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে প্রপোজাল পাঠিয়েছিলাম।
এখন পর্যন্ত ৪শ’ জন শিক্ষার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা আরো একটি প্রপোজাল পাঠিয়েছিলাম
যে, বিভিন্ন বাহিনীতে যারা অবসরে গিয়েছেন তাদের নিয়োগ দিয়ে ট্রাফিক শৃঙ্খলায় নিয়োজিত
করা। তবে অবসরপ্রাপ্তরা এই বিষয়ে রেসপন্স খুব কম দিয়েছেন। আমি ভেবেছিলাম তারা অনেকে
আসতে চাইবে। তবে আমরা আপাতত ৫০-৬০ জনের মত পেয়েছি। আমরা চেয়েছিলাম অন্তত ৫শ’ জন দিয়ে
শুরু করি।
শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সঙ্গে ট্রাফিক
ব্যবস্থাপনার বিষয়টা কেমন হবে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা যেন পড়াশোনা
ঠিক রাখতে পারে সেজন্য তাদেরকে আমরা সময়টা কম দিয়েছি। তারা যেন পড়াশোনাও করতে পারে
এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করেছি। তাদের সম্মানী দেওয়া হচ্ছে।
তারা রাস্তায় ২-৩ ঘণ্টা কাজ করবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকারের
আমলে সব থেকে বড় সমস্যা ছিল মানি লন্ডারিং। মানি লন্ডারিং নিয়ে আমি সিআইডি প্রধানকে
সব থেকে বেশি ইন্সট্রাকশন দিয়েছি। আমি সিআইডি প্রধানকে বলেছি যে, তিনি যেন দ্রুত বাংলাদেশ
ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরির ঘটনার প্রতিবেদন দেন। বিগত সরকারের আমলে মানি লন্ডারিং সব
থেকে বেশি হয়েছে। আমি সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছি মানি লন্ডারিং এর মামলাগুলোর প্রতিবেদন
যেন দ্রুত দেয়া হয়। তদন্তের
নামে সময়ক্ষেপন করে লাভ নেই। আমি একটা রিপোর্ট চাই যে কারা কারা মানিলন্ডারিং এর সঙ্গে
জড়িত। সেটা আমি সিআইডিকে বলেছি। যদি তদন্তের নামে দুই তিন বছর চলে যায় তাহলে তো এটার
কোন কার্যকারিতা থাকে না।
মন্তব্য করুন


দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জান-মাল ও
সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহের সার্বিক নিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার
লক্ষ্যে দেশব্যাপী নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ মধ্যরাত হতে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ
সকাল ৮ টা পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড রাজধানীর
উত্তরার ৮ নম্বর সেক্টর এবং দক্ষিণখান এর মধ্যবর্তী বাইদা বস্তি এলাকায় যৌথ অভিযান
পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং এর হোতা শীর্ষ সন্ত্রাসী আলতাফ হোসেন
ওরফে ঠোঁট-কাটা আলতাফ ও তার ১৩ জন সহযোগী মোঃ সোহাগ, মোঃ শামীম, মোঃ নবী, মোঃ
সুলতান, মোঃ সোহেল, মোঃ আশিক, মোঃ সুমন ইসলাম, মোঃ শাহিন, মোঃ শরিফুল, মোঃ সাগর,
মোছাঃ ময়না বেগম, সেলিনা, মোছাঃ রহিমাকে নগদ অর্থ, মাদক এবং বেশ কিছু দেশীয়
অস্ত্রসহ আটক করে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদকসহ ১০ টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও, গত ৫
আগষ্ট ২০২৪ তারিখ উত্তরা পূর্ব থানার অস্ত্র লুটের সাথে আলতাফ এবং তার বাহিনীর
সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, এই বাইদা বস্তি অপরাধের এক অভয়ারণ্য যা ব্যবহার করে মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং এর নিয়ন্ত্রক ঠোঁট-কাটা আলতাফ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করত। আটককৃত সন্ত্রাসীদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানীসহ সারাদেশে এক হাজার ১৫১ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার এর আওতায় ২৯ ডিসেম্বর থেকে আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকাসহ সারাদেশের নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি টহল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।
ইসি জানিয়েছিল, ৩০০ সংসদীয় আসনে আগামী ৩ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগের জন্য আদেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।
এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৩ জানুয়ারি থেকে সশস্ত্র বাহিনী মাঠে নামবে।
নির্বাচনকালীন সেনাবাহিনী মোতায়েনে গত ১৭ ডিসেম্বর নীতিগত অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার লক্ষ্যে সেনা মোতায়েনে সশস্ত্র বাহিনীকে চিঠি দেয় ইসি।
গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখ রোজ রোববার ৩০০ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই হয় ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি করা হয় ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসাররা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয় ১৮ ডিসেম্বর।
মন্তব্য করুন


জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা দায়ের করতে পারবে বলে জানিয়েছেন- সংস্থাটির প্রধান প্রসিকিউটর (কৌঁসুলি) করিম এ এ খান।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা নিয়ে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর ছাত্র-জনতার বিপ্লবে জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের প্রক্রিয়া, রোহিঙ্গা সংকট, ২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন।
আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটরের কাছে অধ্যাপক ইউনূস জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় গণহত্যার অপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা দায়ের করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান। এ অভ্যুত্থানে বিগত সরকারের নৃশংসতার শিকার হয়ে অন্তত ৭০০ মানুষ মারা গেছেন এবং ২০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
আইসিসি-তে মামলা দায়ের প্রসঙ্গে করিম খান বলেন, বাংলাদেশ অবশ্যই হেগ-ভিত্তিক আদালতে মামলা দায়ের করতে পারে। তবে আইসিসি-তে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়েরের জন্য নির্দিষ্ট নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে।
বৈঠকে করিম খান অধ্যাপক ইউনূসকে ২০১৯ সালে আইসিসির রোহিঙ্গা নির্বাসন নিয়ে তদন্তের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ সফর করবেন বলেও জানান আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে অধ্যাপক ইউনূসের তিন দফা প্রস্তাবের প্রশংসা করে করিম খান বলেন, এসব প্রস্তাব রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নতুন করে গতি আনবে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য জাতিসংঘ প্রধানের একটি জরুরি সম্মেলন আয়োজন এবং সমাধানের উপায় বের করা, রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকটের জন্য শক্তিশালী যৌথ সাড়াদান পরিকল্পনা এবং ২০১৭ সালে রাখাইনে সংঘটিত গণহত্যার অপরাধের ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে জোরালোভাবে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা চালানোর প্রস্তাব দেন।
এ তিনটি প্রস্তাবকে
নিখুঁত- বলে মন্তব্য করেন করিম খান।
মন্তব্য করুন


কেটে গেছে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ। সারা দেশে বাড়বে রাতের তাপমাত্রা।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আবহাওয়া অফিস এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানিয়েছেন, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ শুষ্ক থাকতে পারে সারা দেশের আবহাওয়া। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে, তবে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা এবং সিলেট বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন