মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ার কৃতি সন্তান ও যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ পাঠানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার মরহুমের পরিবার ও পালাখাল ছালেহিয়া আলিম মাদ্রাসার আয়োজনে দোয়া মিলাদ ও স্মরন সভা করা হয়।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি আব্দুর রাজ্জাক আনোয়ারীর সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ উল্যা’র পরিচালনায় স্মরন সভায় বক্তব্য রাখেন, মরহুমের সন্তান ও বিশিষ্ট সমাজসেবক রাকিবুল হাসান জেমস,মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মবিন,জাবের মিয়া,সালাউদ্দিন মানিক,পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান,পালাখাল ফাতেমা আইডিয়াল একাডেমীর পরিচালক মাহবুব আলম,প্রধান শিক্ষক কবির হোসেন মাষ্টার,সাংবাদিক জিসান আহমেদ নান্নু,আলমগীর তালুকদার,শিক্ষক আব্দুল কুদ্দস সহ আরো অনেকে। মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আবুল কাশেম ভূঁইয়া। এসময় মরহুমের আত্মীয়-স্বজন, মাদ্রাসার শিক্ষক,অভিভাবক,শিক্ষার্থী এ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর এই দিনে সবাইকে কাদিঁয়ে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। তিনি ১৯৫২ সানের ৩০ জুন পালাখাল গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। জীবদ্দশায় তিনি পালাখাল ছালেহিয়া আলিম মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি, কচুয়া উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাবেক সভাপতি সহ বিভিন্ন জনহিতকরন কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) কুমিল্লা সেক্টর এর উদ্যোগে কুমিল্লায় গোমতী নদী তীরবর্তী বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষদের উদ্ধার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও নদী রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে ।
২২ আগস্ট ২০২৪, বৃহস্পতিবার কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধীন এ বিবির বাজার বিওপির দায়িত্বপূর্ণ গোমতী নদীর তীরবর্তী বন্যাদুর্গত এলাকার অসহায় মানুষদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে পৌঁছে দেয়ার কাজ করছে বিজিবি।
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর আরাফাত হোসেন অনি এ ব্যাপারে জানানোর পাশাপাশি আরো বলেন, বিজিবির উদ্যোগে বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রীও বিতরণ করা হচ্ছে।
এছাড়া গোমতী নদীর তীরে ফাটল দেখা দিলে নদীর ভাঙ্গন রোধে স্থানীয় জনসাধারণকে সাথে নিয়ে বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ নির্মাণ করছে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) সদস্যরা।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় শিক্ষার অন্যতম বিদ্যাপীঠ পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ। এবছর কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে সদ্য প্রকাশিত ফলাফলে জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে কচুয়া উপজেলা কলেজগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে এই কলেজ। মোট ৪১২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ৩৮৬জন পরীক্ষার্থী উর্ত্তীণ হয়। তন্মধ্যে জিপিএ৫ পেয়েছে ৫৩জন। পাশের হার শতকরা ৯৩.৬৯%। বিশেষ করে ওই কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৩জন জিপিএ৫ পেয়েছে। শুধু এ বছর নয়, প্রতিবছর এ কলেজ থেকে ভালো ফলাফল অর্জন করে আসছে।
এদিকে ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকগন আনন্দে মেতে উঠেন। পরে কৃতকার্য শিক্ষার্থীরা কলেজের শিক্ষকদের মিষ্টি খাওয়ান। এসময় কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. বিল্লাল হোসেন মোল্লা, আবুল খায়ের, আব্দুল কুদ্দুস, বিল্লাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, ধনঞ্জয় চক্রবর্তী, প্রভাষক সাইফুল ইসলাম সবুজ, ইউনুছ মোল্লা, ইয়াছিন মিয়া, শিক্ষানুরাগী মাহবুব আলম, ডা. জাহাঙ্গীর, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সৌরভসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম জানান, কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুনামের সাথে ভালো ফলাফল অর্জন করে আসছে। শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায়, শ্রেনিকক্ষে পাঠদানের কারনে এ বছর ভালো ফলাফল অর্জণ সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করেছেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ড. সেলিম মাহমুদ। প্রতিনিয়ত কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছেন তিনি। তাঁর এই প্রচেষ্টাকে শতভাগ ধরে রেখে আমরা মানসম্মত শিক্ষার দিকে নজর দেই। এ কারণেই প্রতি বছর আমরা নিজেদেরকে ছাড়িয়ে যাচ্ছি। শিক্ষকদের পরিশ্রম সাফল্যে উদ্ভাসিত হচ্ছে। আগামীতে এই ধারায় নিজেদেরকে ছাড়িয়ে জেলা ও বিভাগের মধ্যে স্থান করে নিতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
বন্যার পানি কমে এলেও কমেনি মানুষের দুর্ভোগ, মানুষের কষ্ট।
গৃহহীন মানুষগুলো আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।
এ মানুষগুলোর ঘরবাড়ি পুনর্বাসনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিবেক।
কুমিল্লায় স্মরণকালের ইতিহাসের ভয়াবহ বন্যায় অনেক পরিবার গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বিবেক যেটি হলো মানবতার তরে কাজ করা সামাজিক সংগঠন মানুষদের আশ্রয়স্থল পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে।
এ উদ্যোগেরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ১১সেপ্টেম্বর বিবেক এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইউসুফ মোল্লা টিপু এর নেতৃত্বে কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের নমষোদ পাড়া ও ইন্দ্রবতি গ্রাম এবং কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের বালেশ্বর গ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের মাঝে গৃহ পূর্ণনির্মাণের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয় ।
অসহায় মানুষের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস নিয়ে বিবেকের এই কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
ঝালকাঠির গাবখান সেতু এলাকায় ট্রাক- প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত
১১জন নিহতের খবর পাওয়া গিয়েছে।
আজ বুধবার বেলা দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
টোলপ্লাজার সংঘর্ষ নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছেন, ঝালকাঠির গাবখান
সেতুর টোলপ্লাজায় সিমেন্টবাহী একটি ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ট্রাকটি কয়েকটি
গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে চলে যায়। এতে একটি ইজিবাইকের থাকা সব যাত্রীই ঘটনাস্থলেই
মারা গেছেন।
ওই ট্রাকের নিচে একটি প্রাইভেট কারও চাপা পড়েছে। ওই গাড়িতে শিশুসহ ৬ জন আরোহী
ছিলেন।
তবে নিহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ প্রশাসন।
মন্তব্য করুন
দুই হাত ছাড়াই জন্ম সিয়াম মিয়ার। তাই লিখতে শিখেছে পা দিয়ে। এভাবে লিখেই চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে সে। এই কিশোর জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার চাপারকোনা মহেশ চন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
সিয়াম উদানপাড়া গ্রামের দিনমজুর জিন্নাহ মিয়ার ছেলে। সংসারে অভাবের কারণে চতুর্থ শ্রেণিতে ওঠার পর তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। এক বছর পর এক শিক্ষকের চেষ্টায় সে আবার শ্রেণিকক্ষে ফিরে আসে। উচ্চবিদ্যালয় থেকে তার বেতন, পোশাক ও এসএসসির ফি মওকুফ করে দেওয়া হয়।
সিয়াম বলে, ‘যখন ছোট ছিলাম তখন সবাই বলত, আমি জীবনে কোনো দিন পড়াশোনা করতে পারব না। সারা জীবন এ রকম থাকব। এখনো অনেক মানুষ নানা কথা বলে। এগুলো শুনি না। আমি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। সবাইকে দেখাতে চাই, আমিও পারব।’
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল,প্রতিবেদক:
কুমিল্লা
শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুলে পিঠা উৎসবের আয়োজন
করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে স্কুল প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসবকে ঘিরে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। উক্ত পিঠা উৎসবে সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পদচরণায় মুখরিত হয়ে ওঠে স্কুল প্রাঙ্গণ।
এ
পিঠা উৎসবে প্রায় ৩০ এর অধিক স্টলের আয়োজন করা হয়।
সকাল ৯ টায় উৎসবমুখর পরিবেশে সাংস্কৃতিক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অধ্যাপক জামাল নাসেরের সভাপতিত্বে কুমিল্লা মর্ডান হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এ কে এম আখতার হোসেনের উপস্থিতিতে পিঠা উৎসবের সূচনা করা হয়।
শিক্ষার্থীরা
নানা ধরণের মুখরোচক পিঠা বানিয়ে নিয়ে এসে সেগুলোকে স্টলে সাজিয়ে পরিবেশন করে।
কয়েক ঘন্টা ব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশে চলে শিক্ষক শিক্ষার্থীবৃন্দের অংশগ্রহণে কেনা বেচা।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য চাঁদপুর জেলা শাখার সাবেক আমীর অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম পাটোয়ারী বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক, শিক্ষা ও সকল ক্ষেত্রে যদি আল্লাহ’র দাসত্ব করতে পারি, তাহলেই ইসলামের শান্তি কায়েম হবে। তাহলে দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও বৈষম্যমূলক একটি সুখী সমৃদ্ধিশালী সমাজ গঠিত এবং পরিচালিত হবে।
তিনি আরো বলেন, এদেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ও দেশ এবং জনগনের সমৃদ্ধির জন্য জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বারবার রক্ত দেয়া হয়েছে কিন্তু মানুষের সেই কাঙ্খিত আশা এখনো পূরন হয়নি। ছাত্র-জনতার প্রানের বিনিময় ও রক্ত-চোখের পানির বিনিময়ে নতুন বিপ্লব হয়েছে। এ বিপ্লব পূর্বের বিপ্লবের মতো কোনো ধরনের নস্যাৎ করা যাবে না। তাই আল্লাহ’র বিধান অনুযায়ী এদেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন। তাই জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।
তিনি শুক্রবার বিকালে কচুয়া ৭নং সদর দক্ষিন ইউনিয়নে ঘাগড়া বাজারে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে পধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কচুয়া সদর দক্ষিন ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা আব্দুস ছামাদ আযাদীর সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন মিয়াজীর পরিচালনায় বিশেষ মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারী এ্যাডভোকেট মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী ও হাজীগঞ্জ কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফী,উপজেলা আমীর এ্যাডভোকেট আবু তাহের মেসবাহ,নায়েবে আমীর মাষ্টার সিরাজুল ইসলাম, শাহ মুহাম্মদ জাকির উল্যাহ শাজুলী,সেক্রেটারী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, সহ-সেক্রেটারী হাফেজ দেলোয়ার হোসেন,মাওলানা আমিনুল হক মীর আযাদী প্রমুখ। এসময় উপজেলা ও কচুয়া সদর দক্ষিন ইউনিয়নের জামায়াতের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পৃথক স্থানে পুকুরে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুন) এ ঘটনা ঘটে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
জানা যায়, শুভপুর ইউনিয়নের উনকোট গ্রামে দেড় বছর বয়সী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ গতকাল সোমবার দুপুরে পুকুরপাড়ে খেলার সময় পুকুরে পড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর পুকুরে ভাসতে দেখে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ছাড়া সকালে চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার পশ্চিম চান্দিশকরায় নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পুকুরের পানিতে পড়ে মারা গেছে দেড় বছর বয়সী আতিফা আবেদীন ইশরা।
অন্যদিকে চিওড়া ইউনিয়নের চাপিরতলা গ্রামে নানার বাড়ির পুকুরের পানিতে ডুবে সাইফুল ইসলাম নীরব নামে ৮ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত শিশুরা হলো: শুভপুর ইউনিয়নের উনকোট গ্রামের মো. ফারুকের ছেলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বৈলপুর গ্রামের শিক্ষক শিপন আবেদীনের মেয়ে আতিফা আবেদীন ইশরা ও চিওড়া ইউনিয়নের ছোট সাতবাড়িয়া গ্রামের আবদুল কাদির সুফলের ছেলে সাইফুল ইসলাম নীরব।
ইদানীং পানিতে ডুবে অনেক শিশু মারা যাচ্ছে। এ মৃত্যু কমাতে ছোট শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের বেশি খেয়াল রাখা উচিত বলে জানান চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাঈদ আল মানসুর।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীতে ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। এসব তরমুজের বাজার মূল্য দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবি করছেন জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
উৎপাদিত এসব তরমুজ উচ্চমূল্যে বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষক। গত বছরের বৃষ্টিতে তরমুজ চাষের ক্ষতি পুষিয়ে এবার লাভবান চাষিরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ তরমুজ ক্ষেত। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তরমুজ। ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে জড়ো করে রেখেছেন বিক্রির জন্য। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপারীরা তরমুজ কিনতে ক্ষেতে গিয়ে চাষিদের সঙ্গে দরদাম করে কিনে নিচ্ছেন। এই তরমুজ ট্রাক-ট্রলি ও ট্রলারে বোঝাই করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন শ্রমিকরা। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই ক্ষেত থেকে তুলে বাজারজাতে ব্যস্ততা দেখা গেছে চাষিদের মাঝেও।
এসব দৃশ্য দেখা গেছে পটুয়াখালীর গলাচিপা, দশমিনা, কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলার তরমুজ ক্ষেতে। চাষিরা জানান, জেলার গলাচিপা ও রাঙ্গাবালীতে প্রচুর তরমুজ চাষ হয়েছে। তবে বরি মৌসুমে অল্প সময়ে তরমুজ আবাদ ও লাভজনক হওয়ায় পটুয়াখালীর চাষিদের মধ্যে আগ্রহ অনেক বেড়েছে।
একই এলাকার চাষি সেলিম হাওলাদার (৪২) বলেন, তরমুজ চাষের জন্য অন্যের কাছে থেকে এক বছরের চুক্তিতে দুই একর জমি লিজ নিয়েছি। এর মধ্যে চাষযোগ্য ১৬০ শতাংশ জমিতে তরমুজ আবাদ করেছি। এতে বীজ ও সার-ওষুধসহ মোট খরচ হয়েছে এক লাখ টাকার মতো। আর বিক্রি করেছি চার লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, আমি গত বছরগুলোতে তরমুজ চাষ করে তেমন লাভ করতে পারিনি। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজ ভালো হয়েছে এবং লাভবান হয়েছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, এ বছর জেলায় ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে গলাচিপা উপজেলায়। এ উপজেলায় আট হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে রসালো ফলটির চাষ হয়েছে। এ ছাড়াও রাঙ্গাবালীতে ছয় হাজার ৩৫০ হেক্টর, বাউফলে তিন হাজার ৫২০ হেক্টর, কলাপাড়ায় এক হাজার ৭৫০ হেক্টর, দশমিনায় এক হাজার ৭২০ হেক্টর, সদর উপজেলায় ৮০৫ হেক্টর, দুমকি উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর ও মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ১৫৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। উৎপাদিত এসব তরমুজ বাজারে বিক্রি দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
এদিকে গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ও গোলখালী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষেতের পর ক্ষেতে তরমুজ। চাষিরা এখন বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আমখোলা ইউনিয়নের বাউরিয়া গ্রামের তরমুজ চাষি ইউনুচ হওলাদার (৪০) ১৩ বছর ধরে রবি মৌসুমে তরমুজ চাষ করছেন। এ বছর নিজের ও অন্যের জমি মিলিয়ে দুই একর জমিতে ফলটি চাষ করেছেন। তিনি বলেন, আমার ক্ষেতের কিছু তরমুজ গাছ মারা গেছে, তবুও যা ছিল ফলন ভালো হয়েছে। বৃহস্পতিবার তরমুজ আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। ক্ষেত থেকে ব্যাপারীরা এখন পর্যন্ত তরমুজ কেটে নেয়নি।
বৌবাজার এলাকার কৃষক তাসলিমা বেগম মাঝেরচর এলাকায় আট একর জমি লিজ নিয়ে তরমুজ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, দুই একর জমিতে আগাম জাতের তরমুজ উৎপাদন করে সাত লাখ টাকা বিক্রি করেছি। এখনও ছয় একর জমিতে তরমুজ রয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রায় ১৫ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।তিনি আরও বলেন, প্রথমে দাম ভালো ছিল- এখন কিছুটা কম। আজকে রোদের তাপ অনেক, আবহাওয়া এভাবে থাকলে তরমুজের বাড়বে।
সুহুরী ব্রিজ এলাকার কৃষক আলআমিন জানান, মৌসুমের আগেই দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যাপারীরা অগ্রিম দাদন দিতে এলাকায় চলে আসেন এবং ফলনের পর তরমুজ সংগ্রহ করতে এলাকায় অবস্থান করেন। তিনি ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি শুরু করেছেন।
মৌসুম শুরুর আগেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আড়তদার ও ব্যাপারীরা এখানকার চাষিদের লাখ লাখ টাকা দাদন দিয়ে রেখেছেন। এখন আড়তদাররা এলাকায় এসে চাষিদের কাছ থেকে তরমুজ সংগ্রহ করছেন। ক্ষেত থেকে তরমুজ কিনে ট্রলার কিংবা ট্রলি বোঝাই করে এনে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে দেখা গেছে। এ ছাড়া ঢাকাগামী লঞ্চগুলোতে তরমুজ চলে যাচ্ছে রাজধানীতে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম মল্লিক বলেন, জেলায় ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এতে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হবে। প্রায় সবগুলোই অধিক ফলনশীল হাইব্রিড জাতীয়। জেলার আগাম উৎপাদিত তরমুজ বাজারে ভালো দাম পেয়েছে। সেগুলো দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে। উৎপাদিত তরমুজের বাজার মূল্য দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আবাদের পর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। এ অঞ্চলে দোআঁশ মাটিতে তরমুজের ফলন ভালো হয়। বৃষ্টির কারণে মাটিতে প্রচুর রস থাকায় তরমুজ আকারে বড় ও উৎপাদন বেড়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। এ ছাড়াও দিনের বেলা প্রখর রোদে তরমুজের রং উজ্জ্বল ও সুস্বাদু হয়। ফলে এ অঞ্চলের তরমুজ খুব সুস্বাদু এবং ক্রেতাদের কাছেও জনপ্রিয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
সদর দক্ষিণের সোয়াগঞ্জ বাজার এলাকায় ইফতারির বাজার, মৌসুমি ফলসহ নিত্যপণ্যের
বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা।
রোববার (২৪ মার্চ) ভোক্তা-অধিকার বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। পঁচা-বাসি এবং রং যুক্ত খাবার জব্দ করে ধ্বংস করা। অভিযানে ভোক্তা সাধারণের মাঝে যৌক্তিক মূল্যে তরমুজ বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়।
এ
তদারকি অভিযানের সময় ব্যবসায়ীদের ক্রয়-বিক্রয়ের ভাউচার যাচাই করা হয়। ন্যায্যমূল্যে
পণ্য বিক্রয় করতে, দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে, মানুষের স্বাস্থ্যের
জন্য ক্ষতিকর এমন অপদ্রব্য না মেশাতে এবং মেয়াদহীন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়
ও সংরক্ষণ না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জাতীয়
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলার সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলামের
নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ইসরাইল হোসেন এবং
জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
মন্তব্য করুন