কুমিল্লায় নয় বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নয় বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী শান্ত (২২)’কে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন কংসনগর এলাকায় হতে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী শান্ত (২২) কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার পশ্চিম সিংহ গ্রামের আবুল কালাম এর ছেলে।
র্যাব জানান, ভিকটিম তার নানীর বাসায় বসবাস করত এবং সে স্থানীয় একটি স্কুলে ২য় শ্রেণীতে পড়ত। ঘটনার দিন গত ৮ জানুয়ারী ২০২২ ইং তারিখে দুপুরে ভিকটিম তার বাড়ির উঠানে খেলা করা অবস্থায় আসামী ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আসামীর ঘরের ভিতরে নিয়ে যায় এবং ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক বিষয়টি ভিকটিম তার মাকে জানায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ভিকটিমকে বুড়িচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে ভিকটিমকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে গত ১৫ জানুয়ারী বুড়িচং থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত উক্ত আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
ক্লুলেস শরীফ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, মূলহোতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার এবং হত্যাকান্ডে
ব্যবহৃত মালামাল উদ্ধার করেছে বরুড়া থানা পুলিশ।
গত
২৭ মার্চ সকালে বরুড়া থানাধীন বরুড়া পৌরসভাস্থ শালুকিয়া এলাকায় শরীফ হোসেন(৩৫) এর মৃত
দেহ তার ঘরে মাটিতে পড়া অবস্থায় ছিলো।
মৃত
শরীফ হোসেন এর মা রৌশন আরা বেগম থানায় এজাহার দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করেন এসআই(নিঃ)
নাজিম উদ্দিন।
ভিকটিম
শরীফ হোসেন(৩৫) এর লাশ পাওয়ার পর হতে পুলিশ সুপার, কুমিল্লার সার্বিক দিক নির্দেশনায়
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ,কে,এম এমরানুল হক মারুফ, সদর দক্ষিণ সার্কেল, কুমিল্লার
তত্ত্বাবধানে বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ, মোঃ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী, এসআই(নিঃ) নাজিম
উদ্দিনসহ বরুড়া থানা পুলিশের একটি চৌকস টীম তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।
তবে
নিহতের পরিবার ও এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে হত্যাকান্ডের কোন যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছিল
না। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের
শনাক্তের জন্য বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জসহ টীম বরুড়া বারবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও
জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তদন্ত কার্যক্রমের একপর্যায়ে হত্যাকান্ডে জড়িত
আসামী ১। আরিফ হোসেন(২২), ২। মোঃ নাছির উদ্দিন(৪৩), ৩। মিসেস খুকী আক্তার(৩৫) কে গ্রেফতার
করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। ১নং আসামী মৃত
শরীফ হোসেন এর ছোট ভাই, ৩নং আসামী মৃত শরীফ হোসেনের বড় বোন এবং ২নং আসামী ৩নং আসামীর
স্বামী।
গ্রেফতারকৃত
আসামীরা হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানান, মৃত শরীফ হোসেন উচ্ছৃঙ্খল
জীবন যাপন করত। সে মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল। এলাকার লোকজন তাকে
ভয় পেতো। মৃত শরীফ হোসেন তার মাকে প্রায় সময়ই গালিগালাজ ও মারধর করত। ছোট ভাই আরিফ
হোসেনের সাথেও তার ঝগড়াঝাটি ছিল। কিছুদিন আগে আরিফ হোসেন এর একটি অটোরিক্সা শরীফ হোসেন
জোরপূর্বক বিক্রি করে। ইহাকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তাছাড়া
মৃত শরীফ হোসেন এলাকার লোকজনের বিভিন্ন রকম ক্ষতি করায় ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন তার বড় বোন
খুকি আক্তার এর নিকট বিচার প্রার্থী হলে বড় বোন শরীফ হোসেনকে শাসন করার জন্য বিভিন্ন
কথাবার্তা বলত। ফলে মৃত শরীফ হোসেন বোনকে শক্র মনে করত। এমনকি বোনকে বিভিন্ন রকম হুমকি
দিতো। মৃত শরীফ হোসেনের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে বড় বোন খুকি আক্তার, বোনের স্বামী মোঃ
নাছির উদ্দিন ও ছোট ভাই আরিফ হোসেন তাদের একজন প্রতিবেশীকে নিয়ে পরিকল্পনা করে যে,
শরীফ হোসেনকে মারপিট করে পঙ্গু করে ঘরে বসিয়ে খাওয়াইবে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামীগন
গত ২৬/০৩/২০২৪খ্রিঃ তারিখ দিবাগত রাত ১টায় ঘটিকার সময় বরুড়া থানাধীন বরুড়া পৌরসভাস্থ
শালুকিয়া সাকিনের শঙ্কু ডাক্তারের পুকুর পাড়ে নির্জনস্থানে শরীফ হোসেনকে একা পেয়ে আসামীদের
হাতে থাকা রড, দা ও টর্চ লাইট দিয়ে শরীফ হোসেনের মাথা, হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে
পিটিয়ে গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত ও ফুলা জখম করে। তারপর শরীফ হোসেনের হাত পা বেধে আসামী
নাছির উদ্দিনের বাড়ির উঠানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর শরীফ হোসেনকে আবারও মারপিট
করে। তারপর শরীফ হোসেন দুর্বল হয়ে গেলে আসামীগন হাত পা বাঁধা অবস্থায় শরীফ হোসেনকে
তার ঘরে মাটিতে ফেলে আসে। সকালে আসামীরা জানতে পারে শরীফ হোসেন মারা গেছে। সংবাদ পেয়ে
আসামীরা শরীফ হোসেনকে দেখতে যায়।
হত্যাকান্ডে
আসামীদের ব্যবহৃত দা, রড, টর্চ লাইট উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ
জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী ১।
আরিফ, ২। নাছির এর ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল, কুমিল্লা :
কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারের দেশওয়ালী পট্রি এবং কুচাইতলীতে ঈদুল আযহাকে উপলক্ষ করে মসলার মিলগুলিতে ভোক্তা অধিকার অভিযান পরিচালনা করেন।
এই ভালো মরিচের সাতজে নষ্ট মরিচ মিক্স
করে ভাংগানোর সময় হাতেনাতে ধরে পরে। এছাড়াও খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হলুদের গুড়া
এবং মরিচের গুড়া সংরক্ষণ ও ক্রাসিং করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুযায়ী 'আল-আমিন
মসলাত মিলকে ১ লাখ এবং 'বায়জিদ মসলার মিলকে ১০ হাজার টাকাসহ মোট ১ লাখ ১০ হাজার টাকা
জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: কাউছার মিয়া।
উক্ত অভিযানে সহযোগিতা করেন কুমিল্লা
জেলা পুলিশের একটি টিম, ক্যাব কুমিল্লা এবং অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন।
মন্তব্য করুন
ডিএনসি কুমিল্লার উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্বাবধানে ও পরিদর্শক মো: সাইফুল ইসলাম ভূঞা এর নেতৃত্বে এবং দাউদকান্দি উপজেলা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন সালেহিনসহ ১৭ জন সৈনিক এর সহযোগিতায় ৬ জানুয়ারি রাত ১২ টা ৫ মিনিটে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন সাতপাড়া গ্রামস্থ ফকিরবাড়ীর মো: সেলিম মিয়ার বাড়িতে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে সেলিম মিয়াকে ২০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়।
ভিডিও- কুমিল্লায় মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স অভিযানে ৬ জন আটক
একইরাতে টাস্কফোর্স অভিযানে মাদকসেবনের অপরাধে ৫ জনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
কারাদন্ড ও অর্থদন্ড প্রদানকৃত আসামীরা দাউদকান্দি থানাধীন সাতপাড়া গ্রামের ১) মৃত আওয়াল এর ছেলে মোঃ সালাউদ্দিন (৫৪), ২) ফুল মিয়ার ছেলে ওয়াসিম (২৮), ৩) দুলাল মিয়ার ছেলে মোঃ সোহাগ (২০), ৪) মৃত নূর মোহাম্মদ এর ছেলে মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম (২১), ৫) ষোলপাড়া গ্রামের আব্দুল কাশেম এর ছেলে মোঃ শাহিন(৩৫)
ইয়াবাসহ আটককৃত আসামি মো: সেলিম মিয়ার বিরুদ্ধে পরিদর্শক মো: সাইফুল ইসলাম ভূঞা বাদী হয়ে দাউদকান্দি থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন
চলমান অপারেশন অপারেশন ডেভিল হান্টে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে গত গেল ২৪ ঘন্টায় ১২ জনসহ মোট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার
করেছে যৌথ বাহিনী।
গ্রেপ্তারকৃরা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে। কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার আরাফাতুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম খোকন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. রেজাউল করিম, মোকাম ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামাল হোসেন, নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবলীগ নেতা ফরহাদ হোসেন, মহানগরীর ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জনি, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলাম হোসেন তপন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি রনিসহ অন্যরা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে এই অভিযান চলছিল।
অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন দাউদকান্দি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়াটগঞ্জ দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও পুলিশের এক সদস্য আহত হয়েছেন।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা ইসলাম।
আহতরা হলেন: দাউদকান্দির সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন ও দাউদকান্দি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহসীন হোসেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম বলেন, দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। এ সময় কয়েকজন এসে আমাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা করে। এতে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন ও দাউদকান্দি থানার একজন উপপরিদর্শক মহসীন হোসেন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েদ চৌধুরী বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় দাউদকান্দি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলামসহ সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেদওয়ান ইসলামকে বাঁচাতে গিয়ে দাউদকান্দি থানার উপপরিদর্শক মহসীন হোসেন ও সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন আহত হন। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাঈমা ইসলাম বলেন, দুর্বৃত্তরা সরকারি কাজে বাধা প্রদান করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
ডিএনসি কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্বাবধানে ও উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার এর নেতৃত্বে ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ তারিখ বিকালে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নিমসার বাজারের পশ্চিম পাশে গাড়ীচালকদের বিশ্রামাগারের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রাস্তার উপর সততা সার্ভিস নামীয় বাস তল্লাশী করে ১০ কেজি গাঁজাসহ মোসা: শিল্পী (৪০) ও রিণা আক্তার (২৭) নামীয় সহোদর ০২ বোনকে কে আটক করা হয়।
আটককৃত আসামীরা নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ছোট ফাউসা গ্রামের মো: নুর ইসলাম এর মেয়ে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মন্তব্য করুন
পৃথক দুইটি অভিযানে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন শাসনগাছা ও সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকা থেকে ০৬ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত (২১ জুন) বিকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মোঃ জামাল হোসেন (৫০), ২। মোঃ শাহিন (৪৮), ৩। রাসেল আহমেদ (২৭) এবং ৪। মোঃ খোকন (৫০) নামক ০৪ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদের হেফাজত হতে চাঁদাবাজির ২,৫৪০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে গত (২১ জুন) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মিজানুর রহমান (২২) এবং ২। মোঃ আব্দুর রশিদ (৫০) নামক ০২ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদ্বয়ের হেফাজত হতে চাঁদাবাজির ৯,৭৯০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ১। মোঃ জামাল হোসেন (৫০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার শাসনগাছা গ্রামের মৃত শফিক ইসলাম এর ছেলে, ২। মোঃ শাহিন (৪৮) একই গ্রামের মৃত খয়েজ আলী এর ছেলে, ৩। রাসেল আহমেদ (২৭) একই গ্রামের মৃত আবুল হাশেম এর ছেলে, ৪। মোঃ খোকন (৫০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার সাতোরা চম্পকনগর গ্রামের মৃত তাজুল এর ছেলে, ৫। মিজানুর রহমান (২২) কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার পরকরা গ্রামের আবুল হাশেম এর ছেলে এবং ৬। মোঃ আব্দুর রশিদ (৫০) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার উত্তর বিজয়পুর গ্রামের মানিক মিয়া এর ছেলে।
আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা সকলেই চাঁদাবাজ চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী ও সদর দক্ষিণ থানা এবং এর আশ-পাশের বিভিন্ন রাস্তায় অটো, সিএনজি ইত্যাদি পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের নিকট হতে ক্ষয়ক্ষতি ও গুরুতর আঘাতের ভয়ভীতি দেখিয়ে বলপূর্বক টাকা গ্রহণ করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহতের ২৬ ঘণ্টা পর বাংলাদেশি যুবক কামাল হোসেনের (৩৩) মরদেহ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভারতের এনসি নগর কোম্পানি কমান্ডার সুনীল কুমার বিজিবি-পুলিশের কাছে এ মরদেহ হস্তান্তর করে।
নিহত যুবক কামাল হোসেন (৩৩) সোমবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পাহাড়পুর সীমান্তে গেলে ভারতীয় বিএসএফ তাকে গুলি করে। কামাল ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে।
নিহত কামাল হোসেন সদর দক্ষিণ উপজেলার জোলাই কুড়িয়াপাড়া গ্রামের ইদু মিয়ার ছেলে।
নিহত কামাল হোসেনের বড় ভাই হিরন মিয়া মরদেহ দেখে জানান, ‘আমার ভাই ঘুমে ছিল। লাদেন কামাল বাড়ির ভিতর আইসা ২ বার ডাকি নিয়ে গেছে। ৮ টার দিকে শুনছি, আমার ভাইরে বিএসএফ গুলি করে মারছে। সোমবার সন্ধ্যার দিকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা পরে বিএসএফ ভারতীয় একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে কামালের মরদেহ নিয়ে যায়। যশপুর বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডারের সঙ্গে মরদেহ আনার বিষয়ে যোগাযোগ করলে তারা এখন আমাদের নিকট মরদেহ বুঝিয়ে দেয়।
নিহতের ফুফাতো বোন খোরশেদা জানান, আমার ভাইকে যারা সীমান্তে নিছে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হোক।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার এসআই দিলীপ কুমার মজুমদার বলেন, মরদেহ আমরা গ্রহণ করে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছি। তারা বলছিল দ্রুত সময়ে মরদেহ দাফন করে ফেলবে।
কুমিল্লার ১০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত সিইউ মেজর আরাফাত বলেন, পুলিশ মরদেহ গ্রহণ করে। বিএসএফ এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। পরবর্তীকালে এমন ঘটনা ঘটবে না। যদি করে আমরা বিজিবিও সমুচিত জাবাব দিতে প্রস্তুত। গুলিতেই সে নিহত হন। তারা হত্যা না করে আমাদের নিকট তাকে ধরিয়ে দিতে পারতো। এ হত্যাটি কোনভাবেই কাম্য নয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা বাদশা মিয়ার
বাজার ও চকবাজারে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে
নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) এ অভিযানে দুটি
দোকানের বিরুদ্ধে দুটি মামলায় মোট ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং প্রায় ২০২
কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে।
অভিযানে মোবাইল কোর্টের দায়িত্ব পালন
করেন, কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
মো: ফরিদুল ইসলাম এবং মাহমুদা আক্তার জ্যোতি।
অভিযানে প্রসিকিউশনের দায়িত্ব পালন
করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট মোঃ রায়হান মোর্শেদ
এবং পরিদর্শক চন্দর বিশ্বাস।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উক্ত কার্যালয়ের
হিসাবরক্ষক তোফায়েল আহমেদ মজুমদার এবং জেলা পুলিশের সদস্যবৃন্দ।
পরিবেশ সুরক্ষায় এ ধরনের কার্যক্রম
ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
মন্তব্য করুন
মাহাবুব আলম বাবু:
৩১ জানুয়ারি শুক্রবার কুমিল্লা ক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদ(২০২৫-২৬) এর নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে দারুণ উৎসাহ ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে। উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে কুমিল্লা ক্লাব। শেষ মূহুর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা। অপরদিকে ভোটারগন ক্লাবের অগ্রগতির স্বার্থে দক্ষ ও অসীর আগ্রহে ভোট প্রদানের জন্য অভিজ্ঞ প্রার্থীদের বেছে নিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। ইতিমধ্যে কুমিল্লার স্থানীয় ভোটাগণে পাশাপাশি ঢাকা ও চট্টগ্রামে বসবাসরত ভোটারগণ কুমিল্লায় আসতে শুরু করেছেন। কুমিল্লা ক্লাবের আঙ্গিনা এখন আগত ভোটারদের উপস্থিতিতে মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
শুক্রবার নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হবে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। ক্লাবের এডহক কমিটির ২০১ সদস্য ফরহাদ আখতার, মো শাহরিয়ার এবং দেলোয়ার হোসেন মানিক সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯১৭ সালে তৎকালীন ত্রিপুরার মহারাজা বীর বাহাদুর মানিক্য এ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা।
নির্বাচন শুরুর আগে সকাল ১০টা থেকে ১ম অধিবেশনে কুমিল্লা ক্লাবের ১০৮ তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভাপতিত্ব করবেন কুমিল্লা ক্লাবের সভাপতি জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার।
এবারের নির্বাচনে ভোট ভোটার হচ্ছেন ৫৬১ জন। বিভিন্ন পরে প্রার্থী রয়েছেন ৩১ জন। উল্লেখ্য কুমিল্লা ক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য মোট ১৯ তন্মধ্যে ২ জন নির্বাচন ছাড়াই প্রতিনিধি হিসেবে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হন। একজন হচ্ছেন ক্লাব সভাপতি পদে জেলা প্রশাসক এবং অপরজন হচ্ছেন টাউন হলের প্রতিনিধি। বাকি ১৭ সদস্য নির্বাচিত হয়ে কমিটিতে আসেন। ১৭ জনের পদগুলো হচ্ছে- সভাপতি পদে (৩ জন), সাধারণ সম্পাদক পদে (১জন), সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে (১ জন), কোষাধ্যক্ষ পথে (১জন), ক্রীড়া সম্পাদক পদে (১ জন), অতিথিশালা ও আপ্যায়ন সম্পাদক পদে (১জন), কল্যান সম্পাদক পদে (১ জন) এবং নির্বাহী সদস্য পদে (৮ জন)।
নির্বাচনে বিভিন্ন পদের প্রার্থীরা হচ্ছেন- সহ-সভাপতি পদে মোঃ জামাল খন্দকার, কাজী এনামুল হক বাবুল, মহিউদ্দিন আহমেদ, মো. আমিরুজ্জামান ভূঁইয়া, আলহাজ্ব মোঃ জসিম উদ্দিন, ডা. মো. আবদুল লতিফ,অধ্যাপক আলহাজ ফারুক আহমেদ।
সাধারন সম্পাদক পদে রইস আবদুর রব, আহমেদ শোয়ের সোহেল, সহ- সাধারন পদে-মেহেদী হোসেন (শাকিল), মো. মাহাবুব আলম চৌধুরী,
কোষাধ্যক্ষ পদে - মো. হুমায়ুন কবির, এম এ তাহের, মো. আতিকুল ইসলাম। ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. মনিরুল ইসলাম বাচ্চু, মোহাম্মদ জহিরুল হক।
অতিথিশালা ও আপ্যায়ন সম্পাদক পদে মোঃ ওমর ফারুক শাহীন, মোঃ তারিক ওবাইদুল্লাহ। কল্যাণ সম্পাদক পদে মাহাবুব আলম বাবু, মোহাম্মদ নামির উদ্দিন (সুমন)।
নির্বাহী সদস্য পদে- গোলাম ইউসুফ চৌধুরী, মো. ফোরকান উদ্দিন হেলাল, মাসুদ আহমেদ, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মো মাহবুবুর রশিদ (তুহিন), প্রকৌশলী মো. . সাইফুল ইসলাম, মো. জিয়াউল হক (লিটু), মোঃ মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া, ডা. মো. সফিকুর রহমান, মোঃ রেজাউনুর রহমান , ডা. মো. রাসেল আহমেদ চৌধুরী।
মন্তব্য করুন